নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

সেলিম৮৩

সেলিম৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন অাল্লাহপাক মানুষকে শারীরিক প্রতিবন্ধী/বিকলাঙ্গ করে পৃথিবীতে পাঠান? কোরঅান-হাদিস এবং যুক্তি কি বলে?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮


বিষয়টি নিয়ে ব্লগে লিখবো এমন চিন্তাভাবনা কখনো করেনি। পরিতাপের বিষয়, অাবু জেহেল, অাবু লাহাবের উত্তরসূরীরা যখন এহেন বিষয়াবলী নিয়ে দাম্ভিক ভঙ্গিতে অাল্লাহপাক সম্পর্কে অাজেবাজে কথা ব্লগে বমি অাকারে উদগিরণ করে তখন অামি অধম অাল্লাহর গোলাম কলম না ধরে কেমন করে বসে থাকি।
সূত্রপাতটা ছিলো ব্লগে একজন সুপরিচিত ব্লগারের কমেন্টসকে কেন্দ্র করে। অাল্লাহকে উদ্দেশ্য করে তাহার বক্তব্য ছিলো এমন, "তুমি তো জানো অামি ঘোরতর অবিশ্বাসী, চাইলেই তুমি ভুলটা ভেঙ্গে দিলে পারো।..............যাইহোক ইশ্বর ঘুমুচ্ছে। তিনি এসে ঘুম ভাঙ্গাবেন এইটা ভুলে গিয়ে আমাদের উচিত তার ঘুম ভাঙ্গানো"।
যাহোক, অামি একটি রিপিট কমেন্টস করেছিলাম তা হলো, একটা অাই ফোন অাপনার হাতে অাছে। এই অাই ফোন নির্মাতা ফোনটি তৈরী করার পর একটা ম্যানুয়াল সাথে দিয়ে দিয়েছেন।
এখন এই ম্যানুয়ালটা উপেক্ষা করে যদি বলেন, এই ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যতক্ষণ পর্যন্ত অামার বেডরুমে এসে অামাকে এটার ম্যনুয়াল না বুঝাবে ততক্ষণ পর্যন্ত অামি এই ফোনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিবোনা এবং এটা যে তাদের তৈরী সেটাও মানবোনা। বলেনতো, অাপনার এই ইললিজক্যাল অাবদার কি ঐ অাই ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কানে তুলবে? বা এতে তার কোন ক্ষতি হবে?
মি. .হা......ড়ে.. লেখক, অাল্লাহ ঘুমান না । এটা মানুষের জন্য প্রযোজ্য। তিনি ঘুমালে অাপনি যে গ্রহে বাস করেন এটা মহাশূণ্যে অাপনাকে নিয়ে ব্রেক ফেল করে কোথাও অাছড়ে পড়তো।
মানুষ যখন চিরনিদ্রায় শায়িত হবে ঠিক তখনই জাগানো তার কাজ। জীবিত মানুষ যদি ঘুমের ভান ধরে; তাকে জাগানোর দায়িত্ব ঈশ্বরের না।
এটা অাপনার জ্ঞান-বিবেক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
তিনি কোন উত্তর দেননি, জনাব বাবুরাম সাপুড়ে এর প্রতিউত্তর করে একগাদা প্রশ্ন অামাকে ছুড়ে দিলেন। দেখি, প্রশ্নগুলো কি ছিলো ।
আই ফোন নির্মাতা একই মডেলের সমস্ত গ্রাহক কে একই ম্যানুয়াল দেয় , সৃস্টি কর্তা বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ দেয় কেন? এবং এই ধর্মের অনুসারীরা তাদের ম্যানুয়ালকেই শ্রেষ্ট মনে করে কেন? একজন হিন্দু কে কেন মাথা ঠুকে প্রণাম করার ম্যানুয়াল দেওয়া হয় আর মুসলমানকে পেছন তুলে নামাজ পড়ার ম্যানুয়াল ??
................সর্বশক্তিমান ঈশ্বর /আল্লাহ কোটি কোটি বিকলাংগ মানুষ পয়দা করে, জন্ম থেকেই কারুর হাত /পা নেই , কারও হৃৎপিণ্ড ডিফেক্টিভ , কারো ফুসফুস /লিভার অথবা শরীরের অন্যান্য অংশ ত্রুটি পূর্ণ।তা আপনার আল্লাহ নিরীহ মানুষের ত্রুটি পূর্ণ অঙ্গ বদলে দেয় না কেন ??
অামি বুঝতে পারলাম, উনি ধর্ম গ্রন্থ সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ।
একমাত্র কোরঅান ব্যতিত অন্যান্য সকল ধর্মগ্রন্থ গুলো মানব রচিত। এটা অাল্লাহপাক মানুষকে দেননি। যেমন, বেদ-প্রাচীন ভারতে রচিত একাধিক ধর্মগ্রন্থের একটি সমষ্টি। ত্রিপিটক-বুদ্বের দর্শন এবং উপদেশের সংকলন। বাইবেল-খ্রিস্টধর্মমতে, ১৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৪০জন লেখক বাইবেল রচনা করেছিলেন। সুতরাং সৃস্টি কর্তা বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ দেয় কেন? অাপনার এই প্রশ্ন একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
উনার মূল প্রশ্নের সারমর্মটা এরকম, কেন অাল্লাহপাক মানুষকে শারীরিক প্রতিবন্ধী/বিকলাঙ্গ করে পৃথিবীতে পাঠান?
দেখা যায়, মানুষ পৃথিবীতে যে বিপদ-অাপদে পতিত হয় সেটা তিন ধরণের হতে পারে। যথা-
(১) ভয়ংকর রকম পাপাচার বা অাল্লাহর চরম অবাধ্যতার কারণে অাযাব বা গজব( যেমনঃ কওমে নূহ, আদ, ছামুদ,কওমে লূত, মাদইয়ান, ও কওমে ফেরাঊন ইত্যদি জাতিকে অাল্লাহপাক ধ্বংস করে দিয়েছিলেন) (২) কর্মফল অর্থাৎ নিজস্ব কিছু কর্মকান্ডের ফলাফল এবং (৩) অাল্লাহর পরীক্ষা।
"অাযাব বা গজব" বিষয়টা উনার প্রশ্নের সাথে প্রাসঙ্গিক না হওয়ায় অালোচনা করবোনা।
কর্মফলঃ
মহান অাল্লাহপাক বলেন, "তোমার যা কিছু মঙ্গল হয় তা আল্লাহর তরফ থেকে আসে, কিন্তু তোমার যা কিছু অমঙ্গল হয় তা তোমার নিজের কারণে"। – (সূরা নিসা:৭৯)

"তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন (অর্থাৎ না হলে তোমাদের আরো অনেক বিপদ আসত)"। – (সূরা শূরা:৩০)
যেসমস্ত শিশু বিকলাঙ্গ বা কোন শারীরিক জটিলতা নিয়ে জন্মায় তার ভীতর অনেক বিকলাঙ্গতার কারণ জানা সম্ভব নয়(চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতামত)।
উপরোক্ত কোরঅানের বাণী থেকে মানব জীবনের কর্মফলের অালোচনা করবো।
(১) বহুমূত্র বা ডায়বেটিস রোগ কেন হয় সেটা অামরা জানি। অকর্মঠ, শুয়ে, বসে, টিভি দেখে যারা দিন পার করেন, অতিভোজন রসিকদের এই সমস্যা বেশি হয়। সুতরাং এই রোগে অাক্রান্ত রোগীরা সিংহভাগ তাদের নিজেদের কর্মদোষেই দোষী। যদি কোন মহিলা ডায়বেটিস অাক্রান্ত থাকেন তবে তার গর্ভের বাচ্চা ত্রুটিপূর্ণ হয়ে জন্মাবার সম্ভাবনা খুবেই বেশি।
(২) অামার জানি, যৌনবাহিত রোগ তাদের বেশি হয় যারা একের অধিক সঙ্গী/সঙ্গীনীর সাথে মেলামেশা করেন। স্বামী বা স্ত্রী কেউ যদি এই যৌনরোগের ভাইরাস এবং ব্যকটেরিয়া বহন করে তবে ইনফেকশন হয়ে গর্ভধারিণী মায়ের বাচ্চার বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে অর্থাৎ বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মাতে পারে। এটা তাদের কর্মফল ছাড়া কিছুই নয়।
(৪) কোন মহিলা যদি গর্ভাবস্থায় তামাক জাতীয় দ্রব্য যারা সেবন করেন তবে বাচ্চার শারীরিক ডিফেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। অামেরিকার ১৫.৩ ভাগ মহিলা ধুমপান করেন যেখানে পুরুষরা করেন ২০.৫ ভাগ(২০১৩ সালের রিপোর্ট) । দেখা যায়, অামেরিকায় প্রতি ৩০ টি শিশুর একটি কোন না কোন শারীরিক সমস্যা নিয়ে জন্মাচ্ছে। এর অার একটি অন্যতম কারণ, অ্যালকোহল। অামার জানি মদ একটি অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়। এটা পশ্চিমা বিশ্বে সবচেয়ে বেশী পান করা হয়। এখন গর্ভাবস্থায় যদি কোন মা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় লিমিটের বাইরে সেবন করে তবে তার প্রসবকৃত শিশুটা মুখের বিকৃতি তথা চেহারার বিকৃতি, কম ওজনের ছোট বাচ্চা প্রসব, অাচারণগত সমস্যা বা মানসিক সমস্যা, এমনকি সময়ের পূর্বেই তথা ৩৮ সপ্তাহের অাগেই বাচ্চা প্রসব হতে পারে । যার কারণে স্থায়ীভাবে নানান শারীরিক জটিলতা নিয়ে জন্মাতে পারে। এটা অবশ্যই কর্মফল।

(৫) অনেক গোত্রের মেডিসিন অাছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় সেবন করলে বাচ্চা প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যেমন, লিথিয়াম বা ইসোট্রিটিনিয়ন গ্রুপের ঔষধ। এগুলো সমসাময়িক কালের একটা বড় কারণ।

(ক) কোন গর্ভবর্তী মহিলা যদি গর্ভাবস্থায় বেনজোডায়াজেপাইন(Benzodiazepine) গোত্রের অসুধ সেবন করে। অর্থাৎ সোজা বাংলায় অামার যেটা বুঝি "ঘুমের" ঔষধ সেবন করে তবে তার বাচ্চার জন্মের পর শাসকষ্ট বা হাপানী হতে রোগ নিয়েই জন্মাতে পারে। হার্টের সমস্যা নিয়ে জন্মাতে পারে। দূর্বল মাংসপেশী নিয়ে জন্মাতে পারে। অনেক সময় এই অসুধটি গর্ভবতী মায়েরা ডাক্তারে পরামর্শ ছাড়াই সেবন করে থাকেন। কেননা, গর্ভাবস্থায় অনেক মায়ের ঘুমের সমস্যা হয়। তো এখানে যদি কোন বাচ্চা শারীরিক সমস্যা নিয়ে জন্মায় সেটা তারই কর্মফল।

(খ) অামরা জানি, Norethisterone (নরইথিস্টেরন) হরমোনটি মহিলাদের মাসিক রজঃবৃত্তির চক্রের সাথে উঠানাম করে। এই হরমোন জাতীয় ঔষধটি নারীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় অাররেগুলার বা পেইনফুল মেনস্ট্রল নিয়ন্ত্রণের জন্য। এখন কেউ যদি নিজে নিজে ডাক্তারী করতে যেয়ে এই ঔষধটি সেবন করেন এবং পরবর্ততে দেখতে পায় যে সে গর্ভবতী ছিলো; তবে তার বাচ্চা বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সুতরাং কোরঅান অনুযায়ী এটা তাহার কর্মফল।

(গ) অামরা জানি, গর্ভাবস্থায় যদি ভিটামিনের ঘাটতি থাকে তবে বাচ্চা নানান শারীরিক জটিলতা নিয়ে জন্মাতে পারে। বিশেষ করে, জিংক, ফলিকএসিড, অায়রণ, ভিটামিন এ, বি, ডি, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। এখন, এগুলোর ঘাটতিজনিত সমস্যার কারণে যদি বাচ্চা কোন শারীরিক সমস্যা নয়ে জন্ময় তার দায়িত্ব তাহারই। এটা তাহার কর্মফল।
এরকম অনেক মানবঘটিত কারণে জন্মগত ত্রুটি নিয়ে বাচ্চা জন্মায়। সুতরাং কর্মফল সম্পর্কিত অায়াতগুলো যারা বুঝবেন তারা নিশ্চই অাল্লাহর উপর মিথ্যা দোষারোপ করবেন না।
অাল্লাহর পরীক্ষাঃ
অাল্লাহ বান্দাকে বিভিন্নরকম বিপদ-অাপদ দিয়ে পরীক্ষা করবেন এটা তাঁর ওয়াদা। যদিও তিনি পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল অাছেন; তবুও পরীক্ষাটা একান্ত তার বান্দার জন্য।
অাল্লাহপাক বলেন, "তিনি সৃষ্টি করেছেন জন্ম এবং মৃর্ত্যু, যাহাতে তিনি যাচাই/পরীক্ষা করে নিতে পারেন যে, কর্মক্ষেত্রে কে তোমদের মধ্যে বেশি ভালো"।( সুরা-মুলক, অায়াত-২)
অাল্লাহপাক অারো বলেন, "অামি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করবো ভয়-ভীতি, ক্ষুদা-অনাহার, তোমাদের জান(জীবন)-মাল এবং ফসলাদির ক্ষতি সাধন করে। তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও(অামার নেয়ামতের) যখন তাদের সামনে কোন বিপদ এসে উপস্থিত হয় তখন তারা বলে, অামরা তো অাল্লাহর জন্যই এবং অামাদের তো অাল্লাহর নিকট ফিরে যেতে হবে"। (সুরা বাকারা, অায়াত-১৫৫-১৫৬)।
রসুল (সাঃ) বলেছেন, মুমিনের ব্যপারটা খুবেই বিষ্ময়কর, তার সকল কাজই কল্যাণপ্রদ। মুুমিন ছাড়া অন্যের ব্যপারগুলো এরকম নয়। তার জন্য অানন্দের কিছু ঘটলে সে অাল্লাহর শুকরিয়া অাদায় করে; তাতে তার মঙ্গল সাধিত হয়। পক্ষান্তরে ক্ষতিকর কিছু ঘটলে সে ধৈর্য অবলম্বন করে; এটাও তার জন্য কল্যাণকর। ( সহীই মুসলিম-৭২৮২)
রাসূলুল্লাহ(সা) বলেন: কোনও ঈমানদারের উপর যখন কোনো ক্লান্তি, অসুখ, দু:খ, বেদনা, আঘাত, যন্ত্রণা আসে, এমনকি তার যদি একটা কাঁটার খোঁচাও লাগে – এর জন্যও আল্লাহ তার কিছু গুনাহ মাফ করে দেন। – (সহীহ বুখারী)
যুক্তি এবং বিশ্লেষণঃ
ধরুণ, একজন এমবিবিএস পরীক্ষা দিচ্ছেন এবং অার একজন সিম্পল বিএ পরীক্ষা দিচ্ছেন। এখন কঠিন এবং কষ্টকর পরীক্ষা কোনটা? নিশ্চই এমবিবিএস। এখন, এই কঠিন এবং কষ্টকর পরীক্ষা দিয়ে যদি ভালো ফল লাভ করা যায় তার সম্মান বা মর্যাদাটা কিন্তু সিম্পল বিএর থেকে অনেক বেশি। এখন, অাল্লাহপাক কাউকে যদি শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ বা শারীরীক অসুস্থ করে দুনিয়ায় পাঠানোর পরও সে অাল্লাহর উপর তায়াক্কুল করে জীবন যাপন করে তার সম্মান বা পুরস্কারটা অনেক বেশি।অাবার অামরা দেখি, চাকুরীর ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল চ্যানেস্জেস এর একটা কোটা অাছে ; মানে একটা বাড়তী সুযোগ অাছে । কেননা, সে শারীরিকভাবে কিছুটি ডিজঅ্যাবল অাছে এ কারণে। সুতরাং এই জন্মগত ত্রুটির জন্য অবশ্যই অাল্লাপাক কেয়মাতের ময়দানে তাকে বাড়তী সুযোগ দান করবেন এবং এই শারীরিক কষ্ট দেয়ার কারণে তাকে মাফ করে দেবেন; যদি সে অাল্লাহর উপর ভরসা করেই এই কষ্ট স্বীকার করে নেয় বা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
কোন বাচ্চাকে টিকা দিলে সে শারীরিকভাবে কষ্ট পায় এমনকি শরীরে জ্বর অাসতে পারে। বাচ্চাটি কিন্তু মনে করছে যে, তাকে অযাথাই কষ্ট দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তার ভালোর জন্যই যে তাকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে সে সেটা বুঝতে পারছেনা। বান্দার ক্ষেত্রে ব্যাপারটি এরকম। কোন কষ্টের মাঝে কোন ভালো লুকিয়ে অাছে সেটা অামরা জানিনা। সুতরাং এটাকে অাল্লাহর পরীক্ষা হিসাবেই ধরতে হবে এবং কোনভাবেই তার প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়া যাবেনা; বিপরীত হলেই অামরা পরীক্ষায় ফেল করবো।
পরিশিষ্টঃ
অাল্লাহপাক অসীম দয়ালু এই জন্য যে, পৃথিবীতে এমন কোন রোগ নেই; যার প্রতিষেধক অাল্লাহপাক দেননি। অনেক রোগের চিকিৎসা যদিও এখন অাবিষ্কার হয়নি কিন্তু সেগুলো নিরাময়যোগ্য । এগুলো অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে তথা গবেষণা করতে বলা হয়েছে। মানুষের কিডনী, চোখ, লিভার ইত্যাদি মোবাইলের পার্সের মত রিপ্লেস করা সম্ভব। দেখা যায়, অনেক বিকলাঙ্গতার চিকিৎসার জ্ঞানও অাল্লাহপাক মানুষকে দিয়েছেন।
অাল্লাহপাক অামাদের সঠিক বুঝার এবং মানার তৌফিক দান করুণ। অামিন।




মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

মুশশাররাফ হোসেন সৈকত বলেছেন: Click This Link

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

সেলিম৮৩ বলেছেন: অাপনার লিংককৃত ঘটনাটি অনেক অাগেই পড়েছি। নতুন@ এর কমেন্টসে অাপনার উত্তর অাছে। ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

নতুন বলেছেন: যুক্তি এবং বিশ্লেষণঃ
ধরুণ, একজন এমবিবিএস পরীক্ষা দিচ্ছেন এবং অার একজন সিম্পল বিএ পরীক্ষা দিচ্ছেন। এখন কঠিন এবং কষ্টকর পরীক্ষা কোনটা? নিশ্চই এমবিবিএস। এখন, এই কঠিন এবং কষ্টকর পরীক্ষা দিয়ে যদি ভালো ফল লাভ করা যায় তার সম্মান বা মর্যাদাটা কিন্তু সিম্পল বিএর থেকে অনেক বেশি। এখন, অাল্লাহপাক কাউকে যদি শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ বা শারীরীক অসুস্থ করে দুনিয়ায় পাঠানোর পরও সে অাল্লাহর উপর তায়াক্কুল করে জীবন যাপন করে তার সম্মান বা পুরস্কারটা অনেক বেশি।


প্রতিটি মানুষের একাউন্টের ভালো মন্দ তার কাজের উপরের নিভ`র করে। যেমনটা ব্যাংক একাউন্টে হয়ে থাকে।

আমি লোন নিয়ে শোধ না করলে আপনার একাউন্টের টাকা কাটা হবে না।

তেমনি একজন বিকলাঙ্গ মানুষ তৌরি করে বাবা মা এর পরিক্ষা অবশ্যই অযৌক্তিক... এবং শুধুই গোজামিল দেবার জন্যই এই ভাবনার সৃস্টি।

একটা জিঙ্গাসা:--- মনে করেন ব্যাংক যদি আপনার একাউন্টের সব টাকা নিয়ে যায় এবং বলে যে আপনার ভাই/বাবা কে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এটা করা হলো যেন তারা কস্ট পায় যে তার কাছের মানুষের কোন টাকা পয়সা নাই্।

এটা কি আপনার মতে ফেয়ার হবে?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: প্রতিটি মানুষের একাউন্টের ভালো মন্দ তার কাজের উপরের নিভ`র করে। । এটা ঠিক। কিন্তু ভালো-মন্দের বাইরে যেগুলো হয় সেগুলোর ভেতরে অবশ্যই কোন না কোন কল্যাণের ব্যপার নিহিত অাছে যেটা অামাদের বাহ্যিক দৃষ্টিতে অত্যান্ত ভয়ানক বা খারাপ বিষয় হিসাবে পরিগনিত হয়।
ধরুণ, ৫/৬ বছরের একটা বাচ্চা ধর্ষিত হলো বা কোন শিশুকে হত্যা করা হলো। এখানে তার তো কোন দোষ ছিলনা। তাহলে এখানে তার একাউন্টের ভালো মন্দের কি কোন ফলাফল অামরা লক্ষ্য করতে পারি?
খিজির (অাঃ) এবং মুসা(অাঃ) এর কাহিনী যদি জানা থাকে তবে মনে হয় বেশি ব্যাখ্যা দেয়া লাগবেনা।
সুরা কাহাফের ৬৭-৬৯ নাং অায়াতের তাফসির পড়ে দেখুন। কোন নিরাপরাধ মানুষরে উপর সীমাহীন কষ্ট, নির্যাতন, হত্যাকান্ড ইত্যাদি ঘটনার ইতিহাস অসংখ্য রয়েছে। এই সমস্ত ঘটনা এবং ঘটনার মর্মান্তিকতা দুনিয়ার দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে অনেক বড় কিছু; কিন্তু অাল্লাহর নিকট যে কি পুরস্কার অপেক্ষা করছে তা যদি মানুষ দেখতে পেত তবে জীবনের বিনিময়ে সেটা পাবার চেষ্টা করতো। হয়তো এমন হতে পারে এই অন্যায় হত্যাকান্ডের বা অন্যায় নির্যাতনের শিকার হওয়ার জন্য তাকে অাল্লাহপাক পুরস্কৃত করবেন পরকালে।
সুতরাং এসমস্ত বিষয় নিয়ে অাল্লাহর জ্ঞানের ফায়সালা নিরুপণ করা কম্পিউটারের উপর টিকটিকির গবেষণার সমতূল্য।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: জনাব বাবুরাম সাপুড়ে এর প্রতিউত্তর করে একগাদা প্রশ্ন অামাকে ছুড়ে দিলেন। দেখি, প্রশ্নগুলো কি ছিলো ।
অামি বুঝতে পারলাম, উনি ধর্ম গ্রন্থ সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ।
একমাত্র কোরঅান ব্যতিত অন্যান্য সকল ধর্মগ্রন্থ গুলো মানব রচিত। এটা অাল্লাহপাক মানুষকে দেননি।
অাল্লাহর চরম অবাধ্যতার কারণে অাযাব বা গজব.......
"মহান অাল্লাহপাক বলেন, "তোমার যা কিছু মঙ্গল হয় তা আল্লাহর তরফ থেকে আসে, কিন্তু তোমার যা কিছু অমঙ্গল হয় তা তোমার নিজের কারণে"। – (সূরা নিসা:৭৯)"


জ্ঞানের সীমা আছে অজ্ঞানতা সীমাহীন। যখন যেমন ,তখন তেমন ,যেখানে যেমন সেখানে তেমন। ভুজুং -ভাজুং -হ্যান -তান --এই সবের একটা সীমা থাকা দরকার।

অাল্লাহপাক অসীম দয়ালু এই জন্য যে, পৃথিবীতে এমন কোন রোগ নেই; যার প্রতিষেধক অাল্লাহপাক দেননি।
ঠিক ঠিক --সমস্ত রোগের প্রতিষেধক কোরানের আয়াতে বলে দেওয়া আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মুসলমানরা কোরানের কিছুই বুঝতে পারে না , কোরান পড়ে কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারে না। কোরান বোঝে শুধু ইহুদি -নাসারা রা। কোরান পড়েই তারা সব জীবনঘাতী রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার করে। অবশ্য একজন সত্যিকারের মুসলমানের এসব করার কোন দরকার নেই। আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন একজন সত্যি কারের মুসলিমের একমাত্র কাজ শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা। বাকি কাজ কোরান পড়ে ইহুদি -নাসারা রা করে দেবে। আপনারা আল্লাহর ইবাদতের মাঝে সময় বার করতে পারলে , মাঝে মাঝে তাদের গালি দিয়ে যাবেন তারপরে আবার সত্য গ্রন্থে মনোনিবেশ করবেন । কাফের রা নিপাত যাক ,বলুন আল্লাহু আকবর।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

সেলিম৮৩ বলেছেন: বলেছেন: মি. বাবুরাম সাপুড়ে@ কাউয়া নিশ্চই চিনেন? মানে কাক। এরা যখন কোন খাদ্য লুকায় তখন চোখ বন্ধ করে লুকায়। মনে করে অামি যখন দেখছিনা; তখন কেউ দেখছেনা খাবার কোথায় রাখছি।
অাপনার ভুজুং -ভাজুং -হ্যান -তান কথা-কাজ ঐ কাউয়ার মত।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক— ইবনে সিনা। জানা অাছে কি? তার গ্রন্থ "আল কানুন" চিকিৎসা শাস্ত্রের মূল অপ্রতিদ্বন্দ্বী পাঠ্য পুস্তক হিসেবে গন্য হত প্রায় পাচ শতক ধরে । আল কানুন কিতাবটি ল্যাটিন, ইংরেজি, হিব্রু প্রভৃতি ভাষায় অনুদিত হয় এবং তৎকালীন ইউরোপের চিকিৎসা বিদ্যালয় গুলোতে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আল কানুন ৫টি বিশাল খণ্ডে বিভক্ত যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪ লক্ষাধিক। কিতাবটিতে শতাধিক জটিল রোগের কারণ, লক্ষণ, পথ্যাদির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়। তিনি ফার্মাকোলজি ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের প্রভূত উন্নয়ন করেন। তবে তার মূল অবদান ছিল চিকিৎসা শাস্ত্রে। তিনি হলিস্টিক মেডিসিনের প্রণেতা। যেখানে একই সাথে শারীরিক, মানসিক এবং আত্মিক যোগসূত্রকে বিবেচনায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনি মানুষের চোখের সঠিক এনাটমি বর্ণনা করেন। যক্ষ্মা রোগ নিয়ে তিনি অভিমত দেন যে যক্ষ্মা একটি ছোয়াচে রোগ। যা তার পরের পশ্চিমা চিকিৎসকবৃন্দ প্রত্যাখ্যান করেন এবং যা আরো পরে সঠিক বলে প্রমানিত হয়। তিনিই প্রথম মেনিনজাইটিস রোগটি সনাক্ত করেন। প্রকৃত পক্ষে তিনিই আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক। আশ শেফা দর্শন শাস্ত্রের আরেকটি অমূল্য গ্রন্থ, যা ২০ খণ্ডে বিভক্ত ছিল।
রসায়নের জনক— জাবির ইবনে হাইয়ান। মনে হয় মনে নেই।
হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল আবিষ্কারক—ইবনুল নাফিস। এটাও মনে হয় জানেন না।
বিশ্বের সেরা ভূগোলবিদ— আল-বিরুনি
হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল আবিষ্কারক—ইবনুল নাফিস
বীজগণিতের জনক— আল-খাওয়ারিজমি
পদার্থ বিজ্ঞানে শূন্যের অবস্থান নির্ণয়কারী— আল-ফারাবি
আলোক বিজ্ঞানের জনক— ইবনে আল-হাইসাম
এনালিটিক্যাল জ্যামিতির জনক— ওমর খৈয়াম
সাংকেতিক বার্তার পাঠোদ্ধারকারী— আল-কিন্দি
গুটিবসন্ত আবিষ্কারক— আল-রাযী
টলেমির মতবাদ ভ্রান্ত প্রমাণকারী —আল-বাত্তানি
ত্রিকোণমিতির জনক — আবুল ওয়াফা
স্টাটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা — ছাবেত ইবনে কোরা
পৃথিবীর আকার ও আয়তন নির্ধারণকারী—বানু মুসা
মিল্কিওয়ের গঠন শনাক্তকারী — নাসিরুদ্দিন তুসি
এলজাব্রায় প্রথম উচ্চতর পাওয়ার ব্যবহারকারী — আবু কামিল
ল’ অব মোশনের পথ প্রদর্শক— ইবনে বাজ্জাহ
ঘড়ির পেন্ডুলাম আবিষ্কারক — ইবনে ইউনূস
পৃথিবীর ব্যাস নির্ণয়কারী— আল-ফরগানি
পৃথিবীর প্রথম নির্ভুল মানচিত্র অঙ্কনকারী— আল-ইদ্রিসী
বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের আবিষ্কারক —আল-জাজারি
সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতার গতি প্রমাণকারী—আল-জারকালি
বীজগণিতের প্রতীক উদ্ভাবক — আল-কালাসাদি
মিডিয়া পশ্চিমাদের হাতে এটা মনে রাখা দরকার। চোখ কান খোলা রাখুন। অাপনি অাজ অনেক বড় পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন বলে সেই কেন্দু মাষ্টারের অবদান ভুলে যাবেন না।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: অাপনার ভুজুং -ভাজুং -হ্যান -তান এর প্রমান দিচ্ছি।..এই কমেন্টে এবং পোস্টে অসংখ্য আছে।

আল কানুন ৫টি বিশাল খণ্ডে বিভক্ত যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪ লক্ষাধিক।

আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে এমন কোন কিতাব লেখা হয়নি যার পৃষ্টা সংখ্যা ৪ লক্ষাধিক। যদিও এটা ঠিক আজ থেকে ১০০০ বছরেরও বেশি আগে লেখা আল কানুন সেই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্ব পূর্ণ কিতাব ছিল।
তিনিই প্রথম মেনিনজাইটিস রোগটি সনাক্ত করেন।
ইহুদিদের আবিষ্কার করা Google বলছে :
William Mestrezat (1883-1929), and H. Houston Merritt (1902-1979) compiled large series of CSF profiles in meningitis. Organisms causing meningitis were identified in the late 19th century including: Streptococcus pneumonia. Neisseria meningitidis.

রসায়নের জনক— জাবির ইবনে হাইয়ান। মনে হয় মনে নেই
ইহুদিদের আবিষ্কার করা Google বলছে :
Antoine-Laurent de Lavoisier was a French nobleman and chemist central to the 18th-century chemical revolution and had a large influence on both the history of chemistry and the history of biology. He is widely considered in popular literature as the "father of modern chemistry".
https://en.wikipedia.org/wiki/Antoine_Lavoisier

এনালিটিক্যাল জ্যামিতির জনক— ওমর খৈয়াম
ইহুদিদের আবিষ্কার করা Google বলছে :
René Descartes (1596-1650) is generally regarded as the father of Analytical Geometry . His name in Latin is Renatius Cartesius — Analytical Geometry is also often called Cartesian Geometry or Coordinate geometry.
http://academic.sun.ac.za/mathed/shoma/MATUNIT12_02.htm

বিনা বুঝে শুধু কপি পেস্ট করেন ,যা লিখেন সেটা নিজেও পড়েন না । বাকি গুলোর আর উত্তর দিতে ইচ্ছে করছে না। কপি -পেস্ট করা লেখার কি উত্তর দেব ?? ইহুদিদের আবিষ্কার করা Google আছে সার্চ করে দেখে নেবেন। অবশ্য ইহুদিদের Google এর দেয়া তথ্যে বিশ্বাস করা আন -ইসলামিক হতে পারে , কোনো মোল্লা -হুজুরের কাছে জেনে নেবেন।

আগের একটা কমেন্টে আপনি লিখসেন আর আমি পড়ে ব্যাপক বিনোদন পাইসি :

ধরুণ, ৫/৬ বছরের একটা বাচ্চা ধর্ষিত হলো বা কোন শিশুকে হত্যা করা হলো। এখানে তার তো কোন দোষ ছিলনা। তাহলে এখানে তার একাউন্টের ভালো মন্দের কি কোন ফলাফল অামরা লক্ষ্য করতে পারি? ..........হয়তো এমন হতে পারে এই অন্যায় হত্যাকান্ডের বা অন্যায় নির্যাতনের শিকার হওয়ার জন্য তাকে অাল্লাহপাক পুরস্কৃত করবেন পরকালে।

তা আপনার মা -বোন ..মানে ......এই জন্মে ধর্ষণ এবং হত্যার পরিবর্তে আল্লাহ পাকের পরকালের পুরুস্কার পছন্দ করবে কিনা ....মানে তাদের কে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন ......মানে...
( অন্য ভাবে নেবেন না .....আপনার মা -বোন আমার শ্রদ্ধেয় । )

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

সেলিম৮৩ বলেছেন: বেশ অায়েশ করেই গুগলে সার্চ দিয়ে কপি অার পেষ্ট করে দিলেন।
অামি গুগুল থেকে কপি করেছেন কিন্তু কি বের করেছেন তা নিজেই জানেন না।
এখানে মেনিনজাইটিস সনাক্তকরণের কথা বলেছি। অার অাপনি মেনিনজাইটিস এর cerebrospinal fluid(CSF) এর প্রােফাইল অাবিস্কারকের নাম তুলে ধরেছেন। Organisms causing meningitis were identified in the late 19th century-এখানে কি বলেছে সেটাও বোঝেননি। মূলত ব্যকটেরিয়া ইনফেকশন দ্বারা অাক্রান্ত মেনিনজাইটেসকে Organisms causing meningitis বলা হয়। এখানে এটার অাবিস্কারের কথা বলা হয়েছে। এটা মেনিনজাইটিস সনাক্তকরণ নয়। অাপনি হাবলা পাড়ায় নোট ভাঙ্গাতে পারবেন বলে মনে হয়না। তারপরও দেখুন অাপনার গুগুল কি বলছে-

রসায়নের জনক সম্পর্কে ইহুদী -খৃষ্টানরা কি বলেছে দেখুন। অাব্বার নাম বলেন ঠিক অাছে; তো দাদাকে অস্বীকার করেন কিভাবে?

এনালিটিক্যাল জ্যামিতির জনক— ওমর খৈয়াম
ইহুদিদের আবিষ্কার করা Google বলছে :
René Descartes (1596-1650) is generally regarded as the father of Analytical Geometry . His name in Latin is Renatius Cartesius — Analytical Geometry is also often called Cartesian Geometry or Coordinate geometry.
http://academic.sun.ac.za/mathed/shoma/MATUNIT12_02.htm
দেখুন খৃষ্টান ইহুদীরা বরাবরের মতই মুসলমানদের ঘৃণা করে । তারা তাদের তৈরীকৃত ওয়েবসাইটে মুসলমানদের নামটা রাখবেনা এটাই স্বাভাবিক। তারপরও নিচের দিকে দেখুন।

যাহোক, অাপনার শেষ কথায় অামি কিন্তু অাপনার মত ৩২ পাটি দাত বের করার প্রয়োজন মনে করেনি। ধরুন, অাপনার চাচাতো বোন এবং চাচী বাসে করে মিরপুর থেকে মতিঝিল যাবার সময় বাসে দূর্বিত্তদের দেয়া অাগুনে ( হরতালের সময়) পুড়ে অাপনার চাচাতো বোন এবং চাচী মারাত্বকভাবে পুড়ে গেলে কিন্তু বেঁচে কোনক্রমে বেচে থাকলো।
সরকার মানবতার দৃষ্টিকোন থেকে অাপনার চাচাতো বোন এবং চাচী উভয়কে ২০ লাখ করে টাকা দিলো। এই ব্যাপার দেখে অাপনার মা এবং বোন কি মনে মনে অাফসোস করে ভাববেন যে, অামার যদি এমন হতো তবে এতগুলো টাকা অামি পেতাম। কখনই এমন ভাববেন না; পুরস্কার যতই বড় হোক। সরকার জানে যে, অণ্যায়ভাবে অাপনার মা এবং চাচীকে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে; তাই এই দয়াটুকু দেখানো হয়েছে।
কেননা, অাল্লাহর পুরস্কার লাভের সবচেয়ে বড় উপায় তার বিধান মেনে সেইমত চলা এবং রসুলকে অনুসরণ করা।
অাপনি বুঝতে ভুল করেছেন। সুতরাং অাপনার যুক্তিটা ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করলাম। অাল্লাহপাক অাপনাকে হেদায়েত দিক।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নতুন বলেছেন: ভাই আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দেন নাই।


ধরুণ, ৫/৬ বছরের একটা বাচ্চা ধর্ষিত হলো বা কোন শিশুকে হত্যা করা হলো। এখানে তার তো কোন দোষ ছিলনা। তাহলে এখানে তার একাউন্টের ভালো মন্দের কি কোন ফলাফল অামরা লক্ষ্য করতে পারি?
খিজির (অাঃ) এবং মুসা(অাঃ) এর কাহিনী যদি জানা থাকে তবে মনে হয় বেশি ব্যাখ্যা দেয়া লাগবেনা।
সুরা কাহাফের ৬৭-৬৯ নাং অায়াতের তাফসির পড়ে দেখুন। কোন নিরাপরাধ মানুষরে উপর সীমাহীন কষ্ট, নির্যাতন, হত্যাকান্ড ইত্যাদি ঘটনার ইতিহাস অসংখ্য রয়েছে। এই সমস্ত ঘটনা এবং ঘটনার মর্মান্তিকতা দুনিয়ার দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে অনেক বড় কিছু; কিন্তু অাল্লাহর নিকট যে কি পুরস্কার অপেক্ষা করছে তা যদি মানুষ দেখতে পেত তবে জীবনের বিনিময়ে সেটা পাবার চেষ্টা করতো। হয়তো এমন হতে পারে এই অন্যায় হত্যাকান্ডের বা অন্যায় নির্যাতনের শিকার হওয়ার জন্য তাকে অাল্লাহপাক পুরস্কৃত করবেন পরকালে।


আপনার কোন সন্তান মারা যায় নাই। ( আশা করি তেমন কোন পরিস্তিতিতে আপনাকে পড়তে না হয়)

৫ বছরের সন্তান ধষ`ন/ হত্যার ভেতরে আপনি আল্লাহের মহিমা দেখেন... তিনি তাকে পরকালে পুরুস্কার দান করবেন?????

আপনি কি সুস্হ আছেন? আপনি সন্তানের বাবা হলে উপরের কমেন্টে কি লিখেছেন সেটা আবার পড়ে দেখবেন আশা করি।

এরজন মা তার সন্তানের জন্য জীবন দিতে পারে... যদি আপনার মতন চিন্তা করে তবে মাথায় সমস্যা আছে...

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: অাপনাকে কথার ভীতরে ঢুকতে হলে অারো মাথা খাটাতে হবে। অাল্লাহ কারো উপর জুলুম করেননা। কেউ যদি জুলুমের স্বীকার হয় তবে তাকে প্রতিদান দিলেও দিতে পারেন। এখানে সেটাই বলা হয়েছে। কেউ জুলুম/নির্যাতন বা ক্ষতির অাশা করেনা। অাপনি কেন বারবার পাশ কাটিয়ে অাবোল-তাবোল বকছেন?

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০০

নতুন বলেছেন: আরেকটা কথা মনে হলো...

আমাদের দেশে যেই জঙ্গীরা হলি আটিজানে হত্যা করলো.... সেটাও তো তারা করেছে আল্লাহের নামে...
তারাও বিশ্বাস করেছে এই বিদেশী হত্যার জন্য তারা মারা গেলে তারাও শহীদী দরজা পাবে তারাও পুরুস্কার পাবো।

তারা এক অন্তসত্ব এক নারীকে তলোয়ার দিয়ে জবাই করেছে.... সেই অনাগত সন্তানও কিন্তু আপনার থিউরিতে জান্নাত পেতে যাচ্ছে...

ধমভীরুতা ভালো কিন্তু ধমান্ধতা অবশ্যই ক্ষতিকর। আশা করি ধমান্ধতা কাটিয়ে উঠবেন ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

সেলিম৮৩ বলেছেন: হলি আটিজানে যারা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তারা অপব্যাখ্যা করে এগুলো করেছে। ধর্মের সঠিক জ্ঞান তাদের ভীতর ছিলনা। যাহোক, অাপনি প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলেছেন।
অাপনি বলেছেন, তারা এক অন্তসত্ব এক নারীকে তলোয়ার দিয়ে জবাই করেছে.... সেই অনাগত সন্তানও কিন্তু আপনার থিউরিতে জান্নাত পেতে যাচ্ছে...
যদি বাচ্চাটি জান্নাতে যায় তবে অাপনার কোন অাপত্তি থাকার কথা নয়। অার যে হত্যা করেছে সে যদি জাহান্নামে যায় তবে সেখানেও অাপনার অাপত্তি থাকার কথা নয়।
অাপনি বিষয়টির গভীরে প্রবেশ করুন।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পৃথিবীর দায় আল্লাহর প্রতিনিধি মানুষের। সুতরাং দায় যার দায়িত্বও তার। আর দায়িত্বে অবহেলার জবাব অবশ্যই দিতে হবে। আল্লাহর প্রদত্ত দায়িত্ববানদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে যারা ক্ষতি গ্রস্থ্য তাদেরকে অবশেষে পুষিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কাউকে দায়িত্ব দিয়ে আল্লাহ নিজেই যখন তখন তাতে নাক গলাতে পারেননা। যিনি পাওয়ার অফ এটোরনি দিলেন তাঁর জন্য এটা সংগত নয়। বসকেও যে আইন মেনে চলতে হয়। বিকলা্ংগের জন্য যদি আল্লাহকে দোষ দিতে হয় তবে তেলাপোকা বানানোর জন্য তাঁর দোষ কেন নয়? এখন তাঁকে দোষ মুক্ত করতে গেলে দেখা যাবে,কোন কিছু সৃষ্টি না করে তাঁর হাত গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। কেউ যদি বলতে পারেন বৈসাম্য ছাড়া কিভাবে মহা জগত সৃষ্টি করা যায়, তবে আমি তার পা ধুয়ে দেব।
বিকলাংগ না হলে বিকলাংগ না হওয়ার শুকরিয়া আপনি কি ভাবে করবেন? বুঝলাম যাকে আল্লাহ মডেল বানানোতে সে ঠকেছে, তার এ মডেলিং এর বিনিময় পাওয়ার পর যদি সে মনে করে সে বরং মডেলিং করে জিতেছে তবে এতে কার কি ক্ষতি? এখন আল্লাহকে কি মানুষের বিবেচনা মেনে চলতে হবে? আল্লাহতো বলেই দিয়েছেন তিনি যা জানেন মানুষ তা জানেনা। সুতরাং না জেনে মানুষের আল্লাহর ব্যাপারে কূ-মন্তব্য করা ঠিক নয়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

সেলিম৮৩ বলেছেন: জ্বি, অাপনি সুন্দর যুক্তি দেখিয়েছেন। অাসলে যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে তারাই অাল্লাহর অায়াত নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে।
এবং অাল্লাহর দেয়া অঙ্গীকারগুলো নিয়ে হাসি-তামাশা করে। কেউ যদি পেটের অসুখে, প্লেগ রোগে, পানিতে ডুবে মরে তবে সে শহীদের মর্যাদা পাবে; এটা রসুলের হাদিস। এখন এই শহীদের মর্যাদা পাওয়ার জন্য কেউ কি অাশা করবে যে অামার সন্তানটি পানিতে ডুবে মরুক? এদের কি করে বুঝাবেন ফরিদ ভাই!!

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১১

জ্যোৎস্না আক্তার বলেছেন: হে আল্লাহ আমায় ক্ষমা কর! ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহিম। আমিন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: অাল্লাহপাক অত্যান্ত ক্ষমাশীল এবং পরম দয়াময়। দেখুন না, কত নাস্তিক, নাফরমান, বেঈমান, কাফের, মুরতাদকে অাল্লাহপাক দুনিয়ার অালো-বাতাস দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এটা তার অসীম দয়া। তিনি কোরঅানে অসংখ্যবার বলেছেন, তিনি পরম করুনাময়/দয়াময় অত্যান্ত/চরম ক্ষমাশীল। ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহিম' অর্থাৎ “ইয়া আল্লাহ্! আমি নিজের উপর অধিক যুলুম করেছি"।
এই জুলুমের জন্য তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। অামিন।

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৪০

কবি এবং হিমু বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো লেখাটি পড়ে।মহান আল্লাহ পাক আমাদের হেদায়ত দিবেন সেই আশা রইলো।আশা করি আগামীতে আর ও সুন্দর সুন্দর লেখা পাবো।সমালোচনা থাকবেই,যুগে যুগে মুনাফেক আর মুশরিকদের জন্ম হয়েছে আর হবেই যারা মহান আল্লাহকে নিয়ে তামাশা করে।ইতিহাস প্রমান দেয় তাদের পরিনতি কি হয়েছিল।আর তাই সমালোচনাকে দূরে ঠেলে আগামীতে আরও ভাল ভাল লেখা লিখবেন।মহান আল্লাহ আপনাকে সেই তৌফিক দান করবেন,আমিন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেক ব্যধিগ্রস্থ লোকের ভীড়ে অাপনি একজন সুস্থ মনের মানুষ । অাপনার জন্য দোয়া রইলো।

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধরুন ( শুধু ধরুন কেন এমনটা হয় রয়েছে তার প্রমান ভুরি ভুরি ) একজন মানব সন্তান ভুমিস্ট হল , সে জন্ম হতেই বিকলাঙগ ( অন্ধ বধির , বোবা , শারিরিক ও মানসিক বিকলাঙ্গ ) বুঝলাম এটা তার জন্মদাতা মা বাবার কর্মফল । তারা মর্মে মর্মে অনুভব করবে তাদের কর্মফল কেমন হতে পারে । তারা হয়তবা অনুতপ্ত হবে , আল্লার কাছে তাদের কৃত কর্মের জন্য মাফ চাইবে, করুনাময় আল্লাহ তাদেরকে মাফ করেতেও পারেন কিংবা শাস্তিও দিতে পারেন। তাদের কি হবে সেটা আমরা বলতে পারিনা ।

এখন ধরুন বাচ্চা জন্মের সাথে সাথে কিংবা কিছুদিন পরে বাচ্চার বাবা মা দুজনেই হলেন গত ( এমন অনেক হয়েছেও ) , বাচ্চাটা বেচে আছে কোন মতে । সেতো জানতেও পারলনা কোন অপরাধে তার এত বড় আজাব, তার চলাফেরা সব কিছুতেই কষ্ট , নীজে যদি এরকম অবস্থায় পরে না থাকেন তাহলে তো বুঝতেই পারবেননা কষ্টটা কত ও কি রকম । বাচ্চাটার মানসিক বিকলাঙ্গতার জন্য বুঝতেও পারবেনা এর জন্য দীর্ঘদিন দুনিয়াবী আজাব ভোগ করে মৃত্যুর পর সে পাবে মহাসুখ। ইহকাল পরকাল সন্পর্কে সে কিছু জানতে বা বুঝতেও পারবেনা তার শারিরিক ও মানসিক বিকলাঙ্গতার জন্য । তবে যে কয়দিন সে বেচে থাকবে জীবন হবে তার দর্বিসহ , সে যদি বুঝতে পারত কিছু তার কারণ, তা হলেও হয়ত পেতো সে কিছু শান্তনা । এখন তার বিকলাঙ্গতার জন্য কিছুই সে বুঝলনা পেলো শুধু যাতনা। এ বিষয়ে আপনাদের কি ব্যাখ্যা বিশ্লেষন ও বিবেচনা জানতে পারলে কিছু ঘুচতো মনোবেদনা ।
ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয়ে আলোচনার সুত্রপাত করার জন্য ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

সেলিম৮৩ বলেছেন: ধরুন, অাপনি ক্লাস ফাইভে পড়েন; এখন পরীক্ষার হলে অাপনাকে কি সিক্স এর প্রশ্ন দেয়া হবে। পরকালে অাপনার জানা এবং মানা উভয়টাই দেখা হবে। অাপনার দ্বীন সম্পর্কে জানার সুযোগ কম ছিলো ইচ্ছা থাকার পরও; ব্যাস, পরকালীন হিসা্বটা অাপনার জন্য অাল্লাহপাক সহজ করে দিতে পারেন। এখানে মানসিক বিকলাঙ্গতা বলতে অাপনি যেটা বুঝাচ্ছেন সেটা পাগলের পর্যায়েই পড়ে। ইসলাম,ইহকাল, পরকাল, অাযাব,গজব ইত্যাদী টোটাল যদি সে না বুঝে তবে সে পাগল হিসাবেই অাখ্যায়িত হবে। কেননা, একদম গো মূর্খ , নিজের নাম পর্যন্ত লিখতে পারেনা; সে কিন্তু মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছে, অাল্লাহকে ভয় করছে। অাবার, বড় ডিগ্রীধারী লোকেরা অনেক সময় পশ্চিম দিকে ফিরে মনের ভুলেও অাছাড় খায়না। এখন মানসিক বিকলাঙ্গতা এবং এই কষ্টের দরুণ অাল্লাপাক যদি তাকে মাফ করে বেহেস্তে নিয়ে যান তবে সেখানে প্রশ্ন থাকতে পারেনা। এখানে সে না বুঝলেও সমস্যা নেই। কেননা, তার বোঝার ক্ষমতা অাল্লাহ দেননি। সুতরাং তার পুরস্কারটা অাল্লাহ ইচ্ছা করলে দিতে পারেন।
মুল কথা, দুনিয়ার কোন কষ্ট পরকালীন কষ্টের তুলনায় নিতান্তই ক্ষুদ্র। অাবার দুনিয়ার যত কড় সুখই হোকনা কেন; পরকালীন সুখের তুলনায় তা কিছুই না।
সুতরাং গভীরভাবে বিষয়টা বুঝতে হবে। অাপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২৭

বাবাজান বলেছেন: ডাঃ এম এ আলী, ও বাফু রাম সাফুরে, ও অন্যান্য যারা হুদাই চুল প্যাচাইতেছিস, তাদের বলছিঃ
মানুষ যিনি বানাইছেন, তিনিই মানুষের মালিক, আর বিকলাঙ্গ সন্তান জন্ম হয় কেনো.? তার কারন রয়েগেছে কিতাবে, এখানে পিতা মাতার দুষের কারনে এমন সন্তান তারা পায়, উভয়ে মরে গেলে, এমন হয়না, যদিও হয় তবে হাজারে ১টা আর তা হলেও সেই বিকলাঙ্গের মানুষটি পড়ে থাকলে, তাকেই কোনো মানুষ পালতে থাকে, অথবা সেও মরে যায়, এমন অবস্থায়, এই বাচ্চাটি পরকালে বেহেস্তে যাবে কারন সে পাপ করেনি, এবং ভালোও করেনি, তাহলে সে কোথা যাবে...? ইছলাম বলেছে কেউ ভালো করেও জান্নাতে যেতে পারবেনা, ইছলাম প্রবর্তক যিনি তিনিও বলেন আমিও জান্নাতে যেতে পারবোনা, আল্লাহর অনুগ্রহ ছাড়া, তবে ভালো কাজের দ্বারা আশা করা যায়, যে জান্নাতে যাওয়া যাবে, তবে শেষ কথা হলো আল্লাহর দয়া,সবচেয়ে বড়, আর কস্ট মানুষ করবে, করে করতে হবেই, যে চাইবে কস্ট করতে তারও হবে যে চাইবেনা তারও হবে, দুনিয়ার কস্ট আখেরাতের তুলনায় যত্ সামান্য
আর মানুষ যখন, তখন ধংশ ও মৃত্যু আছেই,।
আর আখেরাতের সুখ প্রকৃত বা আসল সুখ আর আখেরাতের দুঃখ প্রকৃত দুঃখ বা আসল দুঃখ ।

এবার মিস্টার বাফু রাম সাপুরের উত্তরটি দিচ্ছি,
যদিও লেখক যথাযথ উত্তর দিয়েছে,,
যে ধর্ষন করে সে নিজে অত্যাচারী, আর যাকে করে সে অত্যাচারিত, আর এর জন্য পুরস্কার পাবে কি পাবেনা সে কথা ভিন্ন, আসল কথা হলোঃ যে ধর্ষন করলো সে শাস্তি পাবেই, আর যাকে করলো সে পুরস্কার পাবেই, কথাটিকে এই ভাবে নেয়া যাবেনা বরং এটাতো পরের কথা, আর এর মানে এই নয় যে ধর্ষন করা পাপ নয়, কোনো নারী যদি ধর্ষনের জন্য নিজেই নিজেকে মেলে ধরে তবে উভয়ে শাস্তি পাবে, এবং নারী যদি ইছলামের নীয়ম লঙ্গন করে তখন সে ধর্ষন হয়, এতেও সম্পূর্ণ দূষ ঐ নারী আর পুরুষের, তারা উভয়ে শাস্তি পাবে।
এখন যদি জুর পূর্বক কোনো নারীকে ধর্ষন করা হয়, তাহলে এজন্য তুই দায়ী কারন তুই এটা করলি কেনো..? সেজন্য তুই শাস্তি পাবি আর নারীটি শাস্তিতি পাবেনা, শাস্তি পাওয়ার যোগ্য তুই, তুর সামনে যদি তুর মাকে কেউ ধর্ষন করে তবে তুর কেমন লাগবে...? তুর সামনে তুর বোনকে কেউ ধর্ষন করলে কেমন লাগবে..?
তাই সব দূষ তুর তুই কেনো এমন কাজ করলি, আর তাই তুই শাস্তি পাবি, কঠিন শাস্তি চামরাটা চাক চাক করে কেটে তাতে লবন ও মরিচের গুড়া মিশিয়ে, তুকে শাস্তি দেওয়া হবে, পুরুষাঙ্গে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে অথবা, পুরুষাঙ্গে রট দিয়ে পেটানো হবে, বার্ বার্ শাস্তি দিয়ে মৃত প্রায় করে, বারে বারে শাস্তি দিতেই হবে, তাহলে বুঝেনি, কেউ বা কোনো সতি নারী চাইবেনা তাকে পর পুরুষ কোনোদিন যা খুশি তাই করুক, সে ভালো কাজের প্রতিদান পাবে ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

সেলিম৮৩ বলেছেন: ভাই বুঝছি, মেজাজটা একটু বেশি খারাপ হয়ে গেছে। অাসলে এই ছাগুদের উলটপালট কথা শুনলে মেজাজ খারাপ হবার কথা। অাপনার যুক্তিগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু রাগটা একটু বেশিই ঝেড়েছেন। ভালো থাকুন, অার এই নাস্তিকদের গলাবাজি বন্ধ করার জন্য কলমকে হাতিয়াত হিসাবে ব্যবহার করুন। কেননা, কলমের ধার তলোয়ারের থেকে বেশি। ধন্যবাদ।

১২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

নতুন নকিব বলেছেন:


গুরুত্বপূর্ন পোস্ট।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.