নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

সেলিম৮৩

সেলিম৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিকরা Educated হতে পারেন কিন্তু Wise নন

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬


কেন আপনি নাস্তিক? ধর্মকে কেন বিশ্বাস করেন না?
ডয়চে ভেলে থেকে প্রশ্নটি করা হয়েছিলো, নাস্তিক ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনকে।
তো, উনি মূলত বলতে চেয়েছিলেন যে, উনি সবগুলো ধর্মগ্রন্থ পড়েছেন, মানার জন্য নয়; জানার জন্য এবং যতই পড়েছেন ততই নাস্তিক হয়েছেন।
অার তাছাড়া ঈশ্বরের প্রমাণ এখনও কেউ নাকি দিতে পারেনি । তাই তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না।
লক্ষ্যনীয় বিষয়ঃ
মানুষ নাস্তিক হয় মূলত-
(১) নিজেকে একজন ব্যতিক্রমী হিসাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য।
(২) ধর্ম একটি নিয়ন্ত্রীত জীবনব্যবস্থার জন্য কিছু বিধিনিষেধ অারোপ করে থাকে। যেটা থেকে বেরিয়ে অাসার জন্য এই পথ খুঁজে নেয়। এবং খানিকটা রিলাক্স বোধ করে।
(৩) ধর্মকে যারা মনে করে এটা প্রাচীন যুগের কল্পকাহিনী, অাধুনিক যুগে অামরা অনেক স্মার্ট,শিক্ষিত, জ্ঞানী। মূলতঃ এরা অহংকারবোধ থেকে নাস্তিক হয়ে যায়।
(৪) অার একটা হলো, যারা বিভিন্ন নাস্তিকতা বিষয়ক বই পড়তে পড়তে; পরে নাস্তিকতার দিকে ঝুকে পড়ে। তারা মনে করে অমুক বিজ্ঞানী, তমুক বিখ্যাত লেখক, ইউরোপের অমুক দার্শনিক যখন বলেছে তখন মনে হয় সঠিক বলেছে।
মূলত যারা নাস্তিক তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে ইসলামকে অাক্রমন করা। অার এখানে হিট হলেই ইউরোপ, অামেরিকার দরজা খুলে যায়।

যেটা না বললেই নয়ঃ
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মহাবিশ্ব একটা পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র মেনেই চলছে। যার সামন্যতম ব্যত্যয় হলেই সব বিশৃংখল হয়ে যাবে অর্থাৎ ধ্বংস হয়ে যাবে এবং সাথে সাথে এটাও বিশ্বাস করেন, এই মহাবিশ্বের একটা শুরু অাছে এবং শুরুটা হয়েছে একটা মহা বিষ্ফোরনের মাধ্যামে।
অাইনস্টাইনের একটা বিখ্যাত সূত্র অাছে E=mc2. একেবারেই সংক্ষেপে বললে বলা যায়, পদার্থ যে অনু-পরমানু দিয়ে গঠিত, সেই অনুর একটি সাবঅ্যাটমিক পার্টিকেলের ভরকে যদি হঠাৎ এনার্জিতে রুপান্তরিত করা যায় তবে সেটা অবিশ্বাস্য রকম এনার্জি সৃষ্টি করতে পারে। অর্থাৎ এনার্জি হবে, অালোর যে গতি অাছে তার বর্গকে যদি ঐ সাবঅ্যাটমিক পার্টিকেলের ( প্রোটন) ভরকে দিয়ে গুন করলে যা হয়। এটা জুল(J) অাকারে প্রকাশ করা হয়। জুলটা হচ্ছে মূলত কাজ। অর্থাৎ কোনো বস্তুর উপর এক নিউটন বল প্রয়োগের ফলে যদি বস্তুটির বলের দিকে এক মিটার সরণ হয় তবে সম্পন্ন কাজের পরিমাণকে এক জুল বলে।
পারমানবিক বোমা, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যার বাস্তব প্রয়োগ ক্ষেত্র। অাইনস্টাইন সূত্রটি অাবিস্কার করা মানে এই নয় সূত্রটি অাগে ছিলোনা। উনি কি করলেন, পদার্থের ধর্মটাকে ব্যবহার করা শিখিয়ে দিলেন। এক্ষেত্রে বলা যায়, একটা ধর্মকে(পদার্থের) ডিসকভারী করে দিলেন।
পদার্থের যে ধর্ম, সেটা নিজে নিজে প্রাপ্ত হয়নি। হওয়াটাও যুক্তিযুক্ত নয়। একটা সুক্ষ নিয়ম( যেটা বিশৃংখল নয়) এমনি এমনি তৈরী হয়ে যাবে এটা হতে পারেনা; সম্ভবও নয়। এই যে স্বকীয় ধর্ম, নিয়ম এটাকে ঐ পদার্থের ভীতর সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে। এটাকে অামরা কনভার্ট, ডাইভার্ট করছি মাত্র।

একটা বিষ্ফোরণ ঘটানোর জন্য কিছু পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির দরকার হয়। এটা যদি কারো হস্তক্ষেপ ছাড়া হয় তবে সেটা বিশৃঙখল হতে বাধ্য। ধরি, চন্দ্র, সূর্য, তারকা, অামাদের পৃথিবীসহ অসংখ্য গ্রহ, উপগ্রহ একসাথে মিশে ছিলো। হঠাৎ মহা বিষ্ফোরনের মাধ্যমে এগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে গেল। শুধু ছড়িয়ে গেলনা; একটা সুশৃংখল নিয়মের মধ্যে অাবর্তিত হতে থাকলো এবং সেটা দুই এক দিনের জন্য নয়, কোটি কোটি বছর ধরে সেই নিয়ম মেনে চলছে। হস্তক্ষেপ ছাড়াই। এটা যুক্তির ভীতর পড়েনা। কেউ তার নিজ নিজ কক্ষপথ থেকে বের হতে পারছেনা কেন!!!

"মানুষ কি নিজে থেকেই সৃষ্টি হয়েছে, নাকি তারা নিজেরাই নিজেদেরকে সৃষ্টি করেছে? মানুষ কি আকাশগুলো এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছে?
না! ওদের একেবারেই কোনো জ্ঞান নেই। [আত-তুর ৫২:৩৫-৩৬]

উপরের সূত্র ধরেইঃ
অামাদের এই অতিক্ষুদ্র পৃথিবী টিকে থাকার জন্য হাজারো শর্ত মানতে হয়। এই শর্তসমূহ পারফেক্টভাবে সৃষ্টি হওয়ার কারণ কি!!!!!!

*সূর্য থেকে পৃথিবীর যে দূরত্ব, সেটা একেবারেই পারফেক্ট । দূরত্ব কম হলে অাগুনে ঝলসে যেতাম; বেশি হলে বরফে ফ্রিজ হয়ে মরে যেতাম। শুধু অামারা নই, পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী, গাছপালা এমনকি কোন জীবানুও বেঁচে থাকা সম্ভব ছিলোনা।

* চাঁদটার অবস্থানটা যদি কম বেশি হত তবে হয় প্লাবনে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেত না হলে ক্ষরায় সব শুকিয়ে যেত।

* সূর্যের অালো যদি সরাসরি পৃথিবীতে অাসতো তবে অামাদের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব ছিলোনা। বায়ুমন্ডলের স্তরগুলো ক্ষতিকর রশ্মি থেকে অামাদের প্রটেক্ট দিচ্ছে।

* পৃথিবীর যে ঘূর্ণন গতি( ঘন্টায় ১৬৭৫ কিলোমিটার) সেটা যদি ১ সেকেন্ডের জন্য ব্রেক দেয় তবে মানুষ মহাশূন্যে বুলেটের গতিতে হারিয়ে যাবে। শরীরের মাংশ হাড্ডি থেকে অালাদা হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর অভ্যান্তরে যা অাছে তা বেরিয়ে অাসবে। সাগর, নদী, গাছপালা সবকিছু উপরের দিকে উড়তে থাকবে।

* সুমুদ্রের পানি বাষ্পাকারে মহাশূণ্যে হারিয়ে যাচ্ছেনা; যাওয়ার সুযোগও নাই। একটা সঠিক উচ্চতায় জমাট বেঁধে পৃথিবীর বুকে মাটিকে সিক্ত করছে, সমস্ত গাছপালা, প্রানী পাচ্ছে তার জীবন।

* প্রকৃতির একটা ডিজাইন অাছে। প্রত্যেকটা প্রানী, গাছপালা, গাছের ফল, ফুল একটা চমৎকার ডিজাইন সমৃদ্ধ । শুধু তাই নয়; মানুষের বেঁচে থাকার জন্য এগুলো পারফেক্টভাবে তৈরী হচ্ছে। এগুলো শূন্য থেকে সৃষ্টি হওয়ার উদ্দ্যশ্যে কি থাকতে পারে!!

* পৃথিবীর একটা নিদিষ্ট অভিকর্ষজ ত্বরণ অাছে যেটা না থাকলে অামারা পৃথিবীর বুকে চরাফেলা করতে পারতাম না। কোন জলযান সুমুদ্রে চলতে পারতোনা। হয়তো অামরা ভেসে বেড়াতাম।

একটা বিষয় লক্ষ্য করি-
মানুষের দেহ থেকে মাংস অালাদা করলে একটা স্ট্রাকচার অামরা পাই। সহজে একে অামরা কংকাল বলি। উক্ত স্ট্রাকচার কোন অটো মেড প্রকল্পে সৃষ্টি হয়েছিলো এটা নাস্তিকদের জানার বিষয় নয়। উনাদের বিষয়টা হলো বানরের স্টাকচার থেকে পরবর্তিতে মানুষের স্টাকচারে বিবর্তিত হয়েছে। একটা বিষয় হলো, স্ট্রাকচারের ভীতর যতগুলো অঙ্গ অাছে সেই অঙ্গের কার্যপদ্ধতি, সমস্যা সৃষ্টি হওয়া , সমস্যার সমাধানকল্পে মানুষ অনেক গবেষণা করছে অনবরত। কিন্তু নাস্তিকরা বলতে পারেনা, এই ডাইমনেশনে সেটিং হওয়ার উদ্দেশ্যটা কি? কেনইবা এগুলো এত সুক্ষ এবং সুনিয়ন্ত্রিত হলো। এবং এই অঙ্গগুলি এক একটা নিদিষ্ট কাজ করে চলেছে কেন? তারা শুধু নিয়ম বলতে পারে কিন্তু নিয়ম এবং নিয়ম পালন করার নিয়ামকের উৎপত্তি সম্পর্কে না জানার ভান করে বসে থাকে।
মানুষের স্টাকচারে হাতের অাংগুলে তিনটি, কব্জিতে একটি, কনুইয়ে একটি, বডির সাথে একটি পুরা হাতের একটি, কোমরে একটি, হাডুতে একটি, ঘাড়ে মুভমেন্টের জন্য, পায়ের অাংগুলে কব্জা লাগানোর উদ্দ্যেশ্য কি? মেরুদন্ডের হাড়গুলো ছোট ছোট অংশ জোড়া কেন? এগুলোর একটি ডাইমেনশন কম বা বেশি হলে মানুষ স্বাভাবিক জীবন অস্বাভাবিক হতো।
মানুষের মস্তিষ্ক, চোখ, কান, নাক, হৃদপিন্ড, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, পাকস্থলি একটি জটিল এবং সুশৃখংলভাবে কাজ করে চলেছে ঠিক যন্ত্রের ন্যায়। এটা কোন পরিকল্পনাবিহীন সেটিং নয়। হওয়া সম্ভবও নয়। এগুলো কিভাবে সৃষ্টি হলো; তার কোন উত্তর নাস্তিকদের নিকট নাই। তারা খুব বেশি দূর হলে বলতে পারেন, এগুলো বিবর্তনের ফল। তার জন্য অাবার তারা নিজেদের বানরের বংশ হিসাবে পরিচয় দেন। সামান্যতম লজ্ঝা তাদের ভীতর কাজ করেনা।
মূল কথা, পুরো মহাবিশ্ব এবং অামরা যারা মানুষ এগুলো একটা মহাপরিকল্পনার ফল। শৃংখলা কখনো এমনি এমনি সৃষ্টি হয়না। মূলতঃ নাস্তিকদের অন্তর অাছে কিন্তু অন্তরটা অালোকিত নয়। এরা Educated কিন্তু Wise নয়।
যেদিন এরা ল্যবরেটিতে ঈশ্বর/অাল্লাহ প্রমাণ করতে পারবে সেদিন এরা বিশ্বাস করবে। নাউযুবিল্লাহ।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: নাস্তিকেরা বেশি জানে বলেই নাস্তিক হওয়ার সাহস পেয়েছে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: পন্ডিত মাঝিকে খুব জ্ঞান দিচ্ছে,
পন্ডিত: চাঁদ কেন উঠে-ডোবে?
মাঝি: জানিনা।
পন্ডিত: নদীতে জোয়ার ভাটা কেন হয়?
মাঝি: জানিনা।
পন্ডিত: তোর জীবন ১২ অানাই মিছে।
হঠাৎ নদীতে খুব ঝড় উঠেছে।
মাঝি: সাতার জানেন তো পন্ডিত মশাই?
পন্ডিত: জানিনা।
মাঝি: তাহলে অাপনার ১৬ অানাই মিছে। কেননা,এখন ডুবে মরতে হবে।

(ষোল অানা মিছে-কবিতার মূল বিষয়)

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: অসাধারণ উপস্থাপনা ও সুন্দর লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

সেলিম৮৩ বলেছেন: মৃর্ত্যু একদিন অাসবেই; সুতরাং ভুলের ভীতর, রঙ্গিন চশমা পরিহিত হয়ে জীবন যাপন করাটা নিজেকে নিজে ঠকানো। ধন্যবাদ অাপনাকে।

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

কাদা মাটি জল বলেছেন: মুমিন মাত্রই যে ছাগল, সেটা প্রমাণ করবার জন্য ধন্যবাদ :)
আপনার ধর্ম নিজের পাছায় ঢুকায় নিজেরে দুচেন, আমাদের দুচার টাইম নাই :)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: কাদা-মাটি, অাপনি একদিন কাদামাটিতেই মিশে যাবেন। অাপনার কমেন্টেসে কি প্রমাণ করে সেটা পাঠকেই ভালো বলতে পারবে। যুক্তিকে যুক্তি দিয়ে খন্ডাতে হয়; গালি দিয়ে নয়। 'মুমিন মাত্রই যে ছাগল' এই কথাটা বলার ভীতর শুধু অাপনার ভীতরের যন্ত্রণাটাই শুধু ফুটে উঠেছে এবং হীনতা, দীনতাই ফুটে উঠেছে।
মাথা ঠান্ডা রাখুন। যুক্তিপূর্ণ কথা বলুন। গালিবাজরা কখনো সভ্য সমাজে বসবাস করার অধিকার রাখেনা। এগুলো সমাজের ময়লা-অাবর্জনার মত পরিবেশ দূষন করে।

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

খাঁজা বাবা বলেছেন: সব এটেনশান নেয়ার ধান্দা
ইউরোপ আমেরিকার নাস্তিকগন ও কি ইসলাম নিয়ে রিসার্স করেন নাকি ক্রিশ্চিয়ানিজম নিয়ে?

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: হতে পারে অাবার নাও পারে।
ইসলাম ধর্ম নিয়ে রিসার্স করে মানুষ নাস্তিক হয়না। নাস্তিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ধর্মের ভুল ধরার চেষ্টা চালায়। পৃথিবীতে ইসলামকে নিয়ে যত সমালোচনা নাস্তিকরা করে থাকে তার ১% অন্য ধর্ম নিয়ে করেনা। এর কারণ মনে হয় অাপনাকে ব্যখ্যা করে বোঝানোর দরকার হবেনা।

৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: B:-)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

সেলিম৮৩ বলেছেন: কমেন্ট খুব শর্টকাট। ;)

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ সেলিম 83- জনাব, আপনার জন্য মধ্যযুগের বিখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী ও দার্শনিক ইবনে সিনা (Avicena ) (জন্ম-980 খ্রিঃ) একটি quote পেশ করলাম -

" The world is divided into-
men who have wit and no religion and
men who have religion and no wit. "

(পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে -
একদল বুদ্ধিমান কিন্তু ধর্মহীন,
অন্যদল ধার্মিক কিন্তু বুদ্ধিহীন । )

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: ইবনে সিনা ছোট বেলাতেই কুরআনে হাফিজ হন। তিনি কুরআনের সুরার ব্যাখ্যা নিয়ে ৫টি পুস্তিকা লিখেন, এর মাঝে একটি ছিল ‘নবীত্বের প্রমাণ’ শিরোনামে। তিনি যুক্তিবিদ্যা দিয়ে কুরআনের ব্যখ্যাও দিয়েছিলেন।

‘আল বুরহান আল সিদ্দিকিন’ নামে একটি যুক্তির সাহায্যে তিনি ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করে তৎকালীন সময়ে স্রষ্টায় অবিশ্বাসীদের দাঁত ভাঙা জবাব দিয়েছিলেন।

৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

পলাশবাবা বলেছেন: নাস্তিকরা Educated তবে I am GPA 5 টাইপ Educated।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

সেলিম৮৩ বলেছেন: GPA ফাইভ অাসে একাডেমিক পুস্তক থেকে। বুঝতে হবে। অাপনার জীবনে অারো ভালো অর্জন করুন এই দোয়া করি।

৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

হাবিব বলেছেন: শিরোনাম দেখেই মন ভরে গেল.........

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। অাপনি অামার ব্লগ জগতে একটি পরিচিত মুখ।

৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: আমাদের দেশের নাস্তিক বলতে যা বোঝায় সেটা হল ইসলাম বিরুদ্ধ থাকা। ওদের সমস্যা ইসলামেই। তবে আমার কথা হল সৃষ্টিকর্তা মানলাম। এবং সেই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ হতে হবে তার ভিত্তি কী? মানলাম সবকিছু নিয়মে চলছে এবং এক আছেন নিয়ন্ত্রণ করছে সেটা আল্লাহ হোক বা ভগবান হোক কেউ একজন আছে এতটুকু বিশ্বাস করলে তাকে কোন পর্যায়ে ফেলা যাবে? সে কী আস্তিক নাকি নাস্তিক। কেউ যদি বিশ্বাস করে সৃষ্টিকর্তা আছে এবং সে যদি কোন ধর্মমত অনুসরণ করতে ইচ্ছুক না হয়, তাহলে তার অবস্থান কী? এবং অবস্থান ইসলাম অনুসারে ব্যাখ্যা না দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যাখ্যা দিন।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

সেলিম৮৩ বলেছেন: সোজা কথা, সৃষ্টিকর্তা একজন অাছেন শুধু এটা বিশ্বাস কোন বিশ্বাস নয়। সৃষ্টিকর্তা অাপনাকে সৃষ্টি করে পথ দেখাবেন না সেটা হয়না। তার জন্যই ধর্মীও বিধান। সৃষ্টি কর্তা আছেন আবার ধর্ম মানবেন না এটা দ্বিমূখী বক্তব্য। কেউ একজন অাছেন এমন ধারণা সংশয়ের সৃষ্টি করে। এটা কোন বিশ্বাসের পর্যায়ে পড়ে না। সুতরাং সে অবশ্যই অবিশ্বাসী।

১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

আরোহী আশা বলেছেন: নাস্তিকরা চিরকালই অজ্ঞ

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: জ্ঞানহীন। X(

১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমার পোস্ট খেয়ে দিয়েছিলো কিছু লোক। আজো দেখতেছি গালি দেয় একজন। যাই হোক।।

সত্য চীরদিন সত্য। আমরা কোন বান্দরের জাত ভাই নই।


আমরা মানুষ। আর আমাদের এই দুনিয়ার ইশ্বর আছেন একজন। একজন না হলে এমন শান্ত থাকতোনা।



আরা বিশ্বাস করেনা না করুক। তারা তাদের কর্মের ফল পাবে। আমরা আমাদের। শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে, আমাদের হাতে,মুখে কেউ যেনো কষ্ট না পায়।। কেউ যেনো আঘাত প্রাপ্ত না হয়।।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

সেলিম৮৩ বলেছেন: ঠিক কথাটিই বলেছেন।
কিছু অাবর্জনা সমাজে থাকবেই। গালিই এদের সম্বল। যােহাক, সত্য চিরদিনই সত্য। মিথ্যা ভুলন্ঠিত হতে বাধ্য।
সময় এদের সব জবাব দিয়ে দিবে। এরা নাদান, মূর্খ।

১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: আজকের যুগে নাস্তিকের অপর নামই হল ইসলামবিদ্বেষী।
যদি ও আমি কারণটা ঠিক বুঝে উটতে পারি না।
অনেককেই দেখেছি তারা নিজেকে নাস্তিক বলে পরিচয় দেওয়াটা স্মার্টনেস মনে করে।

যাই হোক এত সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

সেলিম৮৩ বলেছেন: অাপনি ঠিকই বলেছেন। তাদের চোখ অাছে কিন্তু দেখেনা। অন্তর অাছে অনুভব করেনা। তাদের কান অাছে কিন্তু শ্রবণ করেনা।

১৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

প্রামানিক বলেছেন: ধর্ম সম্পর্কে বেশি জানলে নাস্তিক হয় না ধর্ম সম্পর্কে কম জানলে এবং নেগেটিভ চিন্তা করলে নাস্তিক হয়।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

সেলিম৮৩ বলেছেন: জ্বি, তাই।
এদের মগজটা বিকৃত। জরিপ দেখুন, পৃথিবীর সবচাইতে বেশি মানসিক রোগী অামেরিকায়।

১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

পলাশবাবা বলেছেন: বাকপ্রবাস কে নিরপেক্ষ ব্যাখ্যা দেয়ার একটু চেষ্টা করি।

ধরেন ভাই আপনি একটা চাকরি করেন যেখানে নিয়ম হচ্ছে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত অফিস টাইম।
এখন আপনি অফিস আছে মানেন, বস আছে মানে, সেলারি মানেন। শুধু মানেন না অফিস টাইম। আপনি সকাল ১০ টায় অফিস যান ৪ টায় ব্যাক করেন। আপনে বলেন আপনার বস বা অফিস কি মানবে? স্বাভাবিক বস/অফিস মানবে না। আপনি চাকরি করবেন, স্যালারি নিবেন কিন্তু নিয়ম মানবেন না , সেটা কিভাবে হবে? আপনি মালিক হলে কি করবেন।
আপনি যে অফিস আছে মানেন, বস আছে মানেন তা প্রতিফলিত হবে আপনি অফিস আর বসের প্রতি অনুগত কি না। আর আনুগত্য প্রকাশ পাবে যখন আপনি অফিসের নিয়ম কানুন মানবেন।

সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ হতে হবে ব্যাপার টা এমন না। আমারা মসুলমান রা সৃষ্টিকর্তাকে আল্লাহ বলে ডাকি। এর ব্যাসিস হল কুরআন শরীফ। এখনে সৃষ্টিকর্তা আমাদের শিখিয়েছেন উনাকে আল্লাহ বলে ডাকতে। মোট ৯৯ টি নামে আমরা সৃষ্টিকর্তাকে ডাকি। এর সবগুলোই উনার শেখানো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

সেলিম৮৩ বলেছেন: ভালো বলেছেন, অাসলে পরিপূর্নভাবে ইসলামে প্রবেশ করতে হবে। এখানে নিজের ইচ্ছা মত চলার কোন সুেযাগ নেই।

১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

কাদা মাটি জল বলেছেন: ধর্মান্ধ শুকরের দলের ঘোত ঘোত ঘোত।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: মনে হয়না কোন ভদ্র ঘরের ছেলে। মুখের ভাষা যার এত দূর্ঘন্ধময়; না জানি অন্তরটা কত দূর্ঘন্ধময়।

১৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

পবন সরকার বলেছেন: নাস্তিকের চেয়ে হিরো আলম অনেক ভালো ও তাও আল্লাহকে বিশ্বাস করে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.