নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

সেলিম৮৩

সেলিম৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবিশ্বাসীদের ধারণা মহান অাল্লাহর চেয়ে কে বেশি জানে!!!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৪



তারা বলে,' অামরা অস্থিতে পরিণত ও চূর্ণবিচুর্ণ হলেও কি নতুন সৃষ্টিরুপে পুনুরুত্থিত হবো? বলো, তোমরা যদি হয়ে যাও পাথর অথবা লৌহ, অথবা এমন কিছু যা তোমাদের ধারণায় খুবেই কঠিন; তারা বলবে, কে অামাদের পুনুরুত্থিত করবে? বলঃ তিনিই যিনি তোমাদের প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন; অতঃপর তারা তোমাদের সামনে মাথা নাড়বে ও বলবেঃ ওটা কবে? বলোঃ হবে সম্ভবতঃ শীগ্রই।( সুরা বাণী ইসরাইল, অায়াত-৪৯,৫০,৫১)

মহান রাব্বুল অালামিন কাফিরদের/অবিশ্বাসীদের মনস্তাত্তিক ধারণা তুলে ধরছেন। মানুষ মৃর্ত্যুর পর কেয়ামতের ময়দানে অাবার তাদের জীবিত করা হবে; কোন ভাবেই এটা তাদের বুঝে অাসেনা। তারা মনে করে, অস্থি এবং মাটি হয়ে যাওয়ার পর কিভাবে অাবার অামাদের তৈরী করা হবে?
এটা শুধু তখনকার সন্দেহ নয়; যুগে যুগে এমন চিন্তাধারা অাজ অবধি অবিশ্বাসীদের চিন্তাচেতনায় লালন করে অাছে।

একজন মানুষ যদি এটুকু চিন্তা করে যে, সে একদিন একেবারেই অস্তিত্বহীন ছিলো। একফোটা পানি ( যেটা পাক নয়) থেকে তাকে একটি সংরক্ষানাগারে রেখে ,সুগঠিত করে পূর্নাঙ্গ মানুষ রুপে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। সেটা কোন ক্ষমতায়? কার ঈশারায়? কার হুকুমে? দুনিয়ায় মানব শিশু অাগমনের পূর্বে তার খাদ্যের ব্যবস্থা মায়ের পেটের জরায়ুর সাথে সংযুক্ত নাড়ীর মাধ্যমে দেয়া হয়। শুধূ তাই নয় অক্সিজেন সরবরাহ, খানিকটা ফ্লুইড থাকে যার উপর মানব শিশু ভাসমান অবস্থায় থাকে; যেন সহজে কোন অাঘাত বাইরে থেকে তার শরীরে না লাগে। কোন রোগ জীবানু সহজে বাচ্চাকে অাক্রান্ত করতে পারেনা।
বাচ্চা দুনিয়ায় অাগমনের সাথে সাথে তার খাদ্যের প্রথম লাইনটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মহান রাব্বুল অালামিন কত মহান!! তিনি দ্বীতিয় খাদ্যের সংযোগ তার মায়ের বুকের দুধের ব্যবস্থা করে দেন। অাল্লাহপাক এতটাই মহান যে, শিশুর জন্মগ্রহণ করার পর শিশুর কোন দাঁত দেননা। কেননা, তাহলে মা বুকের দুধ খাওয়াতে কষ্ট পাবে।
অবিশ্বাসী/কাফিররা মূলত এমন একটা ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত যেখান থেকে অাল্লাহপাক কখনই তাদেরকে পথ দেখাবেন না। এগুলোর অন্তর মোহরকৃত। অার অাল্লাপাক তাদের শুধু বিভ্রান্তই করেন। তারা বিভ্রান্ত হয়েই দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। অাল্লাহপাক তাদের দুনিয়ায় অবকাশ যাপনের জন্য সামান্য সময় দিয়েছেন।

মানুষ কি মনে করে যে, অামি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করতে পারবোনা ? বস্তুত অামি ওর অঙ্গুলীর অগ্রভাগ পূর্নবিন্যাস্ত করতে সক্ষম। (সুরা কিয়ামাহ-অায়াত-৫ এবং ৬)

দেখুন অন্য অায়াতে অাল্লাহপাক কি বলছেন, মানুষ কি মনে করে তাকে নিরর্থক ছেড়ে দেয়া হবে? সে কি স্থলিত শুক্রবিন্দু ছিলোনা? (সুরা কিয়ামাহ-অায়াত-৩৬ এবং ৩৭).

একটি মানুষ সে যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করে, সে কেন পৃথিবীর অন্য সব প্রানীর উপর প্রভাব বিস্তার করে সমগ্র পৃথিবী রাজত্ব করতে পারছে? দুনিয়ার সমস্ত কিছু কেন মানুষের খেদমতে নিয়োজিত? প্রকৃতি কেন তাকে অালো-বাতাস, হাজারো ফল-ফলাদী ছাড়া অসংখ্য নিয়ামত দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে? কেন সে দুনিয়ায় অাসলো? কে তাকে পাঠালো? তার উদ্দেশ্য বা কি? তাহলে অবশ্যই সে অবিশ্বাসী হতে পারেনা।



মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

আরোগ্য বলেছেন: নাস্তিকরা বিজ্ঞানের পূজা করে যা আজকে এক কথা বলে, কালকে এক কথা বলে। ইসলাম চিরসত্য। এসব কত নাস্তিক কালের স্রোতে হারিয়ে গেছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০২

সেলিম৮৩ বলেছেন: বিজ্ঞান যত উন্নত হবে ইসলাম বোঝা তত সহজ হবে। জ্বি, কালের প্রবাহে বহু নাস্তিক বিলিন হয়ে গেছে।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৫

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: ধন্যবাদ।ইব্‌রাহীম আই কে..

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২০

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: কোথা থেকে?

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জন্মান্তরের কি সরাসরি উল্লেখ! তোমাকে পুন:জনম নিতে হবে। তোমার কর্মফল ভোগ করতে!

অথচ বললেই অনেক বলে এটা হিন্দুদের কথা! আমি বলি সত্যের কথা। সত্য সব যুগে সবকালে মৌলিক বিষয়ে সব সময় একই ছিল। কিয়ামাত এর যে বর্ণনা কোরআনে এসেছে এবং পুনরায় জন্ম দেয়ার আয়াত গুলো গভীর ভাবে ভাবলেই পা্ওয়া য়ায়
এই সত্য।

জন্মচক্র নিত্য। অনন্ত। যতক্ষননা কেউ তার আমল দিয়ে মুক্তি নিতে পারবে। চক্রাবর্তনেই ঘুরপাক খেতে হবে। ইল্লিনে বা সিজ্জীনে!

আপনি কি বলেন?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: কোরঅানের পরকাল সম্পর্কিত অায়াতগুলো একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, এগুলোর ভেতর সন্দেহ থাকার মত কোন ভাষা নেই।
বিদ্রোহী ভৃগু @যতক্ষননা কেউ তার আমল দিয়ে মুক্তি নিতে পারবে। চক্রাবর্তনেই ঘুরপাক খেতে হবে। ইল্লিনে বা সিজ্জীনে!
জ্বি, একমত। তবে কেউ সিজ্জীনে যেতে চাইনা।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: ভাল লাগল। ভাল হয়েছে।++

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

সেলিম৮৩ বলেছেন: অাল্লাহপাক অাপনার মঙ্গল করুন।

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর। নাস্তিকেরা জবাব দিক।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

সেলিম৮৩ বলেছেন: নাস্তিকদের অাছে শুধু গালি। ইনটেলেকচুয়াল অার্গুমেন্ট গুলার কোন জবাব তাদের নিকট নেই। বিজ্ঞান দিয়ে সব প্রমাণ করতে চায়। একটা মশা তৈরী করার ক্ষমতা পৃথিবীর সব বৈজ্ঞানিক মিলে চেষ্টা চালালে কি সম্ভব হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.