নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

সেলিম৮৩

সেলিম৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবী নিয়ে অস্থির ভাবনা!!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬


'চাঁদগাজী' ব্লগে বেশ পরিচিত বলে মনে হয়। রাজনীতি নিয়ে অস্থির পোষ্ট এবং ধর্ম নিয়ে বিকালাঙ্গ মন্তব্য উনাকে হয়তো বেশি পরিচিত করেছে। ব্লগে অামার প্রথম পোষ্টে উনার প্রথম মন্তব্যে আমি বুঝতে পেরেছিলাম, উনি কোরঅান এবং কোরঅানে বর্ণিত কেয়ামত, হাশর, পরকাল, কবরের অাযাব, বেহেস্ত, দোযখ রুপকথার গল্প হিসাবেই মনে করেন। তারপর থেকেই উনাকে বেশ মনে রেখেছি।
তবে একটা ব্যতিক্রম বিষয় হলো, উনার এই অবিশ্বাসের ধরণটা এমনই টেকনিক্যাল যে সহজে উনাকে কেউ অানসেটিসফাই করে কথা বলতে পারেনা।
'পৃথিবী ধ্বংষের অনেক আগেই কিছু প্রজন্ম মঙ্গল গ্রহে, কিছু শনির এক চাঁদে, আরো একদলকে দুরের এক নক্ষত্রের গ্রহে বসতি ব্যবস্থা করে মানব প্রজন্মকে কোটি কোটি বছর টিকিয়ে রাখা হবে'।
এই মন্তব্য করার জন্য উনি এক ব্লগারকে বাচ্চা ছেলে বলেছেন।
দেখি, চাঁদগাজী যাদেরকে গুরু বলে মানেন তারা কি বলেছেন।
'পৃথিবী বড়জোর অারো ৩০০০ হাজার বছর টিকে থাকতে পারে। পৃথিবী ধ্বংসের অাগে অামাদের মহাকাশের অন্য কোথাও বসবাসের চিন্তা করতে হবে-স্টিফেন হকিং।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সর্বোচ্চ ২০৫০ সালের ভীতর মঙ্গলে বসতি স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এবং সেটা সম্ভব বলে জোরালো মত দিয়েছেন।
এখন কোনটা সঠিক? চাঁদগাজী না উনার গুরুরা?
অাসুন একটু অস্থির কথা বলিঃ

পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে, কোন জাতি দেখেনি। পৃথিবী ধ্বংস হবে, ইহা কেউ দেখবেনা@ চাদঁগাজী।
এখানে দ্বিতীয় লাইনটি একেবারেই অনুমান প্রসূত। কেননা, পৃথিবী যেভাবেই ধ্বংস হোক; হতে পারে সেটা সংকোচন( বিজ্ঞান বলছে), হতে পারে মহাপ্রলয়( কেয়ামত)। মানুষ ডায়নোসরের মত বিলুপ্তি হবার পর পৃথিবী ধ্বংস হবে এটা অনুমাননির্ভর জ্ঞান।

হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর। নিশ্চয় কিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ঙ্কর ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা দেখবে সেদিন প্রত্যেক স্তন্য দানকারিনী আপন দুগ্ধপোষ্য শিশুকে ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভধারিণী তার গর্ভপাত করে ফেলবে, তুমি দেখবে মানুষকে মাতাল সদৃশ, অথচ তারা মাতাল নয়। তবে আল্লাহর আযাবই কঠিন। (সূরা হজ, আয়াত ১-২)

যখন আসমান বিদীর্ণ হবে। আর যখন নক্ষত্রগুলো ঝরে পড়বে। আর যখন সমুদ্রগুলোকে একাকার করা হবে। আর যখন কবরগুলো উন্মোচিত হবে। তখন প্রত্যেকে জানতে পারবে, সে যা আগে পাঠিয়েছে এবং যা পিছনে রেখে গেছে। (সূরা ইনফিতার, আয়াত ১-৫)


তোমাদেরকে যা কিছুর ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই ঘটবে। যখন তারকারাজি আলোহীন হবে, আর আকাশ বিদীর্ণ হবে, আর যখন পাহাড়গুলি চূর্ণবিচূর্ণ হবে, আর যখন রাসূলদেরকে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত করা হবে; কান দিনের জন্য এসব স্থগিত করা হয়েছিল? বিচার দিনের জন্য। আর কিসে তোমাকে জানাবে বিচার দিবস কি? মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের দুর্ভোগ! (সূরা আল মুরসালাত, আয়াত ৭-১৫)

বোঝা গেল, পৃথিবী যখন ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে তখন পৃথিবীতে মানুষের বসবাস থাকবে। এবং এই মহাপ্রলয়ে তাদের মৃর্ত্যু ঘটবে। এবং শুধু পৃথিবী নয়, পুরো মহাবিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে।
অাল্লাহপাক এই মহাবিশ্বকে মাদুরের মত গুটিয়ে নিবেন বলে ঘোষনা করেছেন। অার এটাকেই বিজ্ঞানীরা হয়তো বলছেন, মহা সংকোচন।
এখন যারা পৃথিবীর বাইরে যেয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের চিন্তা করছেন তারা সেটা কোনদিন করতে পারবেন না। কেননা, অন্যান্য গ্রহের তাপমাত্রা, অাবহাওয়া,
অক্সিজেন, খাদ্যের যোগান এটা মানুষের স্থায়ীভাবে বসবাসের উপযোগী করা স্বপ্ন থাকলেও বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভব। যদিও নাসা অাশার অালো দেখাচ্ছেন।
অবশ্য তারা পৃথিবী সদৃশ অনেকগুলো গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। কিন্তু সেটা সৌরজগতের এতটাই বাইরে যে সেকানে অালোর গতিতে পৌছাতে কয়েকশত বছর লেগে যেতে পারে।

পৃথিবী, সূর্য, অন্যান্য নক্ষত্র, উপগ্রহ, গ্যালাক্সি এগুলো কোন বৈজ্ঞানিকের গবেষণার ফসল নয়। তারা কোটি কোটি কিলোমিটার এমনকি কোটি অালোকবর্ষ দূর থেকে এগুলো পর্যবেক্ষণ, গবেষণা, এবং অনেক ক্ষেত্রে অান্দাজ অনুমানের ভিত্তিতেই কথা বলছেন।
হ্যা, বৈজ্ঞানিকরা বলছেন অারো ২ থেকে ১ বিলিয়ন বছর সূর্য অালো দেয়ার মত জ্বালানী অাছে। কিন্তু তার মানে কি এই যে, তার অাগে সূর্য নিভে যাওয়ার সম্ভবনা নেই।
মূলত, বৈজ্ঞানিকদের ধারণা অনুযায়ী অামাদের এই দৃশ্যমান ইউনিভার্স পাড়ি জমাতে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন অালোকবর্ষ লেগে যেতে পারে। (অালোর গতিতে লক্ষ্ কোটি বছর পথের দূরত্ব) সেখানে অামাদের এই পৃথিবী অস্তিত্বহীন ছাড়া কিছুই নয়।
সুতরাং এরকম অগণিত ইউনিভার্স( অসংখ্য ইউনিভার্স থাকতে পারে বলে বৈজ্ঞানিকদের ধারণা ) যিনি সৃষ্টি করেছেন তার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে অামাদের বাগাড়ম্বন কতখানি ন্যায় সঙ্গত বা যুক্তিসঙ্গত বা অামাদের কতটুকু যোগ্যতা অাছে সেটা বিবেচনার বিষয় নয় কি?

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

অনুভূতির অন্তরা বলেছেন: চাঁদগাজী সাহের উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

সেলিম৮৩ বলেছেন: মানুষের ক্ষমতা, জ্ঞান অতি সামান্য। মহাবিশ্ব তো অনেক দূরের বিষয়।

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

নতুন-আলো বলেছেন: সবার জ্ঞান সমান হয় না। যারা কুরআন দিয়ে কথা বলে তারাই সত্য বলে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: মিথ্যা সত্যের নিকট পরাজিত হবেই। এটাই চিরসত্য।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

হাসান রাজু বলেছেন: আসলে উনার কথা গুলো এতো সিরিয়াসলি নিতে নেই। উনার পোস্টের লাইন লাইন টু লাইন আপনি ব্যাখ্যা করতে পারেন, সহমত বা দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। সহমত পোষণ করলে উনি এক লাইন লিখে দিয়ে প্রতিউত্তর করবেন। দ্বিমত পোষণ করলে রেগে গিয়ে বাচ্চা, জ্ঞানহীন, যুক্তিহীন, অবুঝ বলে এড়িয়ে যাবেন নয়ত অপ্রাসঙ্গিক একটা লাইন লিখে দিবেন।
হ্যাঁ উনার সাথে ম্যাও প্যাঁও করতে মজাই লাগে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: যারা জ্ঞান বিলি করে সত্য এড়িয়ে যায় তাদের নিয়ে কথা বলাটা যুক্তিসঙ্গত।

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: !!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

সেলিম৮৩ বলেছেন: !!@ ভাই অামি গায়েবী খবর জানিনা। :(

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

নিউজপ্রিন্ট বলেছেন: সেলিম মিয়া ও হাসান রাজু মিয়া আপনারা মানষিক ভাবে মারাত্বক ভাবে অসুস্থ হয়ে আছেন আপনাদের জায়গা সুস্থ সমাজে না, যদিও আপনারা সুস্থ সমাজে বিচরন করছেন ।

সমাজের ভালো যদি চান তাহলে মানষিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করান, আপনাদের এ্যাকাউন্ট নাম্বার ব্লগে দিন - দান খয়রাত আমিও করি ।

ব্লগে আপনাদের লেখা সবাই দেখছেন এবং ছিঃ ছিঃ করছেন ।

সামহোয়ারইনব্লগে এতোই দুর্দিন যে সেলিম মিয়া আর হাসান রাজু মিয়া ও ব্লগার,
আর নতুন, নতুন নকিব, নতুন আলো - ব্লগার উদাসি স্বপ্নের সাথে কুরআন নিয়ে কপচাবেন - এজিদের/ইয়াজিদের ধর্ম কি? - উদাসি স্বপ্নকে জিগ্যাসা করবেন ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: অাপনাদের সমস্যা অামরা জানি। যারা প্রকৃত ব্লগার তারা কখনো ইসলামের প্রতি এলার্জিতে ভােগেনা। অাপনি রাস্তা রেখে জঙ্গলে ঢুকলেন কেন? অাপনি প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলুন।
অাপনাদের মত ইসলাম ফোবিয়ায় অাক্রান্ত লোকদের জন্য বাংলাদেশে অারো কয়েত হাজার সাইকিয়াস্টিস প্রয়োজন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: নিউজপ্রিন্ট @ অাপনার মুড এস্টেবলাইজিং প্রয়োজন। ব্লগ বুঝতে হলে নূন্যতম সাইন্সের জ্ঞান থাকতে হবে। যেটা চাঁদগাজীর অাছে। অাপনি ভাই কেটে পড়ুন।

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ তার লব্ধ জ্ঞানের আলোকে নিজেদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন, কত লাখ বছর মানবজাতি পৃথিবীতে আছেন: পৃথিবী সৃষ্টির প্রথমদিকে, যখন বেশী গরম ছিলো তখন মানুষ ছিলো না; যখন নিশ্বাস নেয়ার মতো বাতাস ছিলো না, (অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন অনুপাত ভিন্ন ছিল) তখন মানুষ ছিলো না; এখন মানুষ আছে!

মানুষের উৎপাদন ব্যবস্হা পানি, বাতাস, খাদ্যকে বিষাক্ত করছে, এর ফলে ক্যান্সার হচ্ছে, অন্য ব্যাধি হচ্ছে। খাবার, বাতাস, পানি, দুষিত হওয়ার কারনে মানুষের প্রজনন কমে আসবে। এক সময় মানুষ কমতে থাকবে। ফলে, আগামী মিলিয়ন বছরের আগে মানব জাতি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

কিন্তু ইউনিভার্সের মডেল অনুযায়ী, সুর্য ও পৃথিবী থাকার কথা; যদিও পৃথিবী থেকে পানি বাস্পীভুত হয়ে যাবে, ইহা মংগলের মত প্রানীহীন হয়ে যাবে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

সেলিম৮৩ বলেছেন: মানুষ তার নিজস্ব সৃষ্ট কারণে নানাবিধ সমস্যায় পড়বে এটাই স্বাভাবিক। এই পৃথিবী থেকে মানুষ সেদিন বিলীন হয়ে যাবে যেদিন মহাপ্রলয় সংগঠিত হবে। মহাপ্রলয় বা কেয়ামতের পূর্বে মানুষ একেবারেই বিলীন হবেনা। টিকে থাকার জন্য তারা সেইরকম প্রযুক্তি, চিকিৎসা ব্যবস্থা সৃষ্টি করে ফেলবে। এগুলো শুধু ধারণা মাত্র।

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার বোল্ড করা প্যারাগুলোর ২য় প্যারায় বলেছেন, "যখন আসমান বির্দীণ হবে। আর নক্ষত্রগুলো ঝরে পড়বে"।

-আমাদের সৌর জগতে "একটি মাত্র নক্ষত্র আছে, উহা সুর্য"; নক্ষত্রগুলো ঝরে পড়বে মানে কি? নক্ষত্রগুলো কি গাছের ফুল নাকি? ইউনিভার্সের মডেল থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, সৌর জগত ধ্বংস হলে, তাতে নিকটবর্তী "নক্ষত্রগুলোর" কোন অসুবিধা হবে না, সবগুলো ফুলের মত ঝরে পড়বে না।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

সেলিম৮৩ বলেছেন: আপনি তো মিয়া এখনো ডিমের কুসুমের মধ্যে বসবাস করছেন। সূর্য একটি তৃতীয় প্রজন্মের নক্ষত্র। এটা আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দু। আপনি হয়তো বুঝতে ভুল করছেন। পুরো বিশ্বব্যবস্থা সেদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। মহাবিশ্বের তুলনায় আমাদের সৌরজগত তো সাহারা মরুভুমির এক টুকরা বালি মাত্র। এখানে আকাশ বিদির্ন হবে। আল্লাহ যেদিন শুধু এক পিস বালু ধ্বংস করবেন না। তার সৃষ্ট এই পুরা ইউনিভার্স ধ্বংস করে দিবেন। এত ক্ষুদ্র চিন্তা নিয়ে বাস করেন কিভাবে?

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

নয়া পাঠক বলেছেন: নিশ্চয় অবিশ্বাসীদের চোখে ও কানে এমন এক সীলমোহর দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া আছে, যে তারা শুধুমাত্র সেই সীলমোহর ছাড়া আর কিছুই দেখতে পায় না। তাদের চিন্তাশক্তি এমনভাবে নিদিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, তারা মুক্ত বা স্বাধীনভাবে নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করার মত ভাগ্যবান না। তাদের নিয়ে / তাদের সাথে এ সকল বিষয়ে তর্ক করা শুধুই একটা অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
একজন মুক্তচিন্তার মানুষ যদি তার পারিপার্শ্বিক ও মহাজাগতিক বিভিন্ন বিষয়াবলী নিয়ে একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখে তাহলেই তারা এক অদৃশ্য বন্ধন, অদৃশ্য সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সম্পর্কে অবশ্যই উপলব্ধি করতে পারেন। কিন্তু তারা (দৃষ্টি/চিন্তা সীলকৃত) মানুষেরা তা কখনই পারবেন না, যতক্ষণ না আল্লাহ তাদের এ বেড়ী খুলে না দেন। বারবার তাদের চিন্তা/দৃষ্টি ঘুরে ফিরে একটা নির্দিষ্ট বৃত্তে বন্দি থাকবে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: আপনি একটি চমৎকার উপাস্থাপনা করেছেন। এদের চিন্তাশক্তি অত্যান্ত সংকীর্ণ। মি. চাঁদগাজী পড়ে আছেন আমাদের এই অতি ক্ষুদ্র সৌরজগত নিয়ে। যেখানে আল্লাহপাক কোরআনে কেয়ামতের বিষয়ে ঘোষণা করছেন সমগ্র মহাবিশ্ব নিয়ে। নক্ষত্র খসে পড়বে এবং আকাশ বিদির্ণ হবে। এটা আমাদের সৌরজগতের বাইরে। উনি বুঝতে ভুল করছেন।

৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্ম নিয়ে আমি "কোন পোষ্ট দিই না", এবং "ধর্মীয় ব্যাপারে আমি মন্তব্য করি না"। পৃথিবী ধ্বংসের ব্যাপারে ব্যাখ্যাসহ আমি সর্বশেষ যেই পোষ্টটি দিয়েছি, উহা "মানুষের লব্ধজ্ঞানের ভিত্তিতে"

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সেলিম৮৩ বলেছেন: আপনার জ্ঞানের পরিসীমা আমাদের সৌরজগত পর্যন্তই বিদ্যমান। সুতরাং এখানে কিছু বলার নেই।

১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার বোল্ড করা প্যারাগুলোর ২য় প্যারায় বলেছেন, "যখন আসমান বির্দীণ হবে। আর নক্ষত্রগুলো ঝরে পড়বে"।

-আমাদের সৌর জগতে "একটি মাত্র নক্ষত্র আছে, উহা সুর্য"; নক্ষত্রগুলো ঝরে পড়বে মানে কি? নক্ষত্রগুলো কি গাছের ফুল নাকি? ইউনিভার্সের মডেল থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, সৌর জগত ধ্বংস হলে, তাতে নিকটবর্তী "নক্ষত্রগুলোর" কোন অসুবিধা হবে না, সবগুলো ফুলের মত ঝরে পড়বে না

এখানে তিনি আসলেই ভুল লিখেছেন এখানে নক্ষত্র হবে না হবে উল্কাপিন্ড।

চাঁদগাজী সাহেব আপনি যা বলতে চেয়েছেন তা অনেকে বোঝেনি এবং এতে শুধু তাদের দোষ না আপনার দোষ আছে কারণ আপনি লেখার মধ্যে তাদের বোঝাতে পারেননি। আপনার লেখাটার মধ্যে কেমন যেতে রাগান্বিত রাগান্বিত ভাব আছে তাই হয়তো অনেকে সমালোচনা করছে। আমার এ বিষয়ে কোন অভিযোগ নেই আমি পৃথিবীর সৃষ্টি ও ধ্বংস নিয়ে আলোচিত অনেক বই পড়েছি এবং সেইগুলোর মধ্যে অনেক স্থানে অনেক মতামত ভিন্ন আছে। আপনি হয়তো আপনার লেখায় সেই অন্য থিউরিলজিস্টদের থিউরি অবলম্বন করেছেন। কোনটাই ভুল নয় শুধু মানুষের বুঝতে হয়। আর যেহেতু পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক এবং অনেক স্থানে বৈজ্ঞানিক থিউরি কাজ করে তাই এটা নিয়ে সম্পূর্ণভাবে কিছু বলা সম্ভব না।

পৃথিবী যখন ধ্বংস হবে তখন এর আসল প্রমাণ পাওয়া যাবে যে কী সত্য। যেহেতু আমি মুসলিম তাই পবিত্র কুরআনের বাণীকেই আমি বিশ্বাস করি। অনেক বিজ্ঞান এই তথ্যভান্ডার থেকে জ্যোতির্বিদ্যার ব্যাখ্যা দিছে তাই একে বিশ্বাস করাই উত্তম।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

সেলিম৮৩ বলেছেন: সজিব আহমেদ আরিয়ান @ কোরআনের একটি তাফসিরে কোথাও উল্কা লেখা নেই। যেদিন বিশ্বব্যবস্থা ধ্বংস হবে সেদিন আমরা যে নক্ষত্র দেখি (সৌরজগতের বাইরে) সেগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। কেননা, মহাকাশকে নক্ষত্র দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। আপনি মনে হয় ব্যক্তগিত ধারণা থেকে উল্কা শব্দটি লিখেছেন। প্রমান থাকলে পেশ করুন। পৃথিবী নয় পুরা মহাবিশ্ব একমাত্র কোরআনে বর্নিত বর্ননা অনুযায়ী ধ্বংস হবে।

১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


@সজিব আহমেদ আরিয়ান,
আপনি বলেছেন, " এখানে তিনি (মানে ব্লগার সেলিম৮৩ ) আসলেই ভুল লিখেছেন..."

-এই ধরণের পোষ্টে ব্লগার সেলিম৮৩ যদি ভুল লিখেন, ভুল বলেন, পোষ্টের কি কোন মুল্য আছে? যিনি কোনটা নক্ষত্র, কোনটা কি বুঝেন না, তিনি এই ধরণের পোষ্ট প্রসব করলে কিভাবে চলবে?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

সেলিম৮৩ বলেছেন: সূর্য একটি তৃতীয় প্রজন্মের বামন নক্ষত্র। এটা অন্য কোন গোত্রের নয়। এখানে মহ্কাশে যে নক্ষত্র আমরা দেখি কোরআনে বলা হয়েছে সেই নক্ষত্রের কথা। এখন যদি আপনার মত ডিমের কুসুমের ভীতর থেকে চিন্তা করেন তবে সৌরমন্ডলের বাইরে যেতে পারবেনা না। আর আল্লাহপাক কেয়ামতের দিন একপিস বালু ধ্বংস করার জন্য এই মহাবিশ্ব তৈরী করে নাই।

১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনার পোষ্টে আমি অনেক ভুল দেখেছি, ব্লগার সজিব আহমেদ আরিয়ানও একটা ভুল পেয়েছেন; আসলে, ইউনিভার্স সম্পর্কে আপনার সম্যক ধরণা নেই।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: সজিব সাহেব ভুল ধরেন নাই। উনি ব্যক্তিগত ধারণা থেকে কথা বলছেন বলে মনে হয়। আপনিও সুযোগ বুঝে ভুলের পেছনে ছুটছেন। ইউনিভার্স ধ্বংস হলে আপনার নক্ষত্র কি আকাশে টিকে থাকবে? উটা তো ইউনিভার্সের একটা অংশ।

১৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের মহাবিশ্বের অনেকগুলো নক্ষত্র আছে, এই নক্ষত্র গুলির জীবনাবসান প্রক্রিয়া বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করছেন। সে নক্ষত্র গুলিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হওয়া গ্রহগুলোর যে পরিনিতি হয়, আমাদের নক্ষত্রের জীবনাবসান হলে তার গ্রহ হিসেবে পৃথিবীরও সে পরিণতি হবে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

সেলিম৮৩ বলেছেন: অামাদের এই মহাকাশে অসংখ্য সৌরজগত থাকতে পারে। সুতরাং মহাপ্রলয়ের দিন এই পুরো ব্যবস্থা ধ্বংষ হয়ে যাবে। অাপনি ঠিকই বলেছেন।

১৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ সেলিম 83- জনাব, পৃথিবী-টৃথিবী নিয়ে আপাতত চিন্তা বাদ দিন। এই সব জটিল চিন্তা-ভাবনা আপনাদের মত মুমিনদের জন্য নয়।

টঙ্গীর ময়দান দখল নিয়ে জিহাদ চলছে ।

যে কোন একপক্ষের হয়ে জিহাদে নেমে পড়ুন।

আখেরে বহুত ফায়দা হাসিল হবে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

সেলিম৮৩ বলেছেন: মুমিনরাই মহাপ্রলয় নিয়ে বেশি চিন্তা করে। কেননা, কোরআনে এই মহাবিশ্ব ধ্বংস নিয়ে বারবার মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। আর একারনেই তারা জীবনকে সেইভাবে গঠন করে। আপনারা শুধু চিন্তা করুন-
দুনিয়াটা মস্ত বড়-খাও দাও ফুর্তি করো।

১৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "কেননা, মহাকাশকে নক্ষত্র দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। "

-মহাকাশ বিয়ে বাড়ি নয় যে, ইলেকট্রিক বাতি জ্বালায়ে 'সজ্জিত করা হয়েছে'; একটা 'নক্ষত্র' থেকে অন্য নক্ষত্রের দুরত্ব ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন মাইল; ফলে, একটা ধ্বংস হলে, অন্যটার ধ্বংস হওয়ার কোন কারণ নেই!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: সারারাত রামায়ণ পড়ে সকালে বলে, সীতা কার মা?

বাপু, যত 'নক্ষত্র' থাকুক আর যত দূর থাকুক এটা মহাবিশ্বের বাইরে নয়।সেদিন বিশ্বব্যবস্থা ধ্বংস হবে। আপনি একটা নিয়ে চিন্তা করছেন কেন?

১৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেবন, "আপনিও সুযোগ বুঝে ভুলের পেছনে ছুটছেন। ইউনিভার্স ধ্বংস হলে আপনার নক্ষত্র কি আকাশে টিকে থাকবে? উটা তো ইউনিভার্সের একটা অংশ। "

-ইউনিভার্সে "সেলেষ্টিয়েল বডি ধ্ংস হয়েছে, আরো হবে, সাথে সাথে নতুন বডি সৃষ্টি হবে"; ইউনিভার্স এসব পরিবর্তনের মাঝে ছিল, ও থাকবে; "ইউনিভার্সের ধ্বংস" বলতে কিছু নেই; ইউনিভার্সে আছে "পরিবর্তন"।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন, কেননা, এই মহাবিশ্বকে নতুনরুপে সৃষ্টি করা হবে বলে আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন। এটাই হয়তো আপনি পরিবর্তন বলছেন।
মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগে এমন ছিলোনা; ধ্বংসের পর আবার নতুন এক রুপ দেয়া হবে। মানুষকে তার কর্মফলের হিসাব অনুযায়ী যথাযথ স্থানে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আপনিও সেই হিসাব থেকে বাদ যাবেননা। এখন যতই ফালাফালি করেন; ধরা আপানাকে দিতেই হবে।

১৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

রসায়ন বলেছেন: মহাকাশ নিয়ে আমার ব্লগে অনেক পোস্ট আছে । পড়ে দেখতে পারেন । চাইলে ইন্টারনেট ঘেঁটেও দেখতে পারেন । পুরো তারকারাজি একযোগে শেষ হয়ে যাবে এমনটা ঘটা কখনোই সম্ভব না , আপনি কোথায় পেলেন এসব ?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

সেলিম৮৩ বলেছেন: পুরো তারকারাজি একযোগে শেষ হয়ে যাবে এমনটা ঘটা কখনোই সম্ভব না@রসায়ন যিনি মহাবিশ্ব সৃস্টি করতে পারেন; তিনি অবশ্যই ধ্বংস করতে পারেন। আপনার পদার্থবিদ্যা এখনো ডার্ক মেটারের/এনার্জি ব্যখ্যা করতে পারনি।আপনি কি একটু ব্যখ্যা দিবেন?

১৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি যতটুকু জানেন, সেটুকু তুলে ধরেছেন; এখন পাঠকেরা আপনাকে ফিডব্যাক দেবেন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সেলিম৮৩ বলেছেন: বিজ্ঞান যতটুকু জানে ততটুকু বলতে পারবে। এর বাইরে কিছু বলতে পারবেনা।
কেয়ামত সেটা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি। আপনার অবিশ্বাসের এখানে কোন মূল্য নেই।

১৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "কেয়ামত সেটা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি। আপনার অবিশ্বাসের এখানে কোন মূল্য নেই। "

-আমার পোষ্টে আমি "কেয়ামত" সম্পর্কে কিছুই বলিনি; ফলে, অবিশ্বাস, বা বিশ্বাসের প্রশ্ন আসছে কেন? আপনারা কি লেখেন, কি বলেন, আগামাথা থাকে না।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

সেলিম৮৩ বলেছেন: যেটা কেয়ামত সেটাই মহাপ্রলয়, সেটাই ধ্বংস। কিয়ামত হচ্ছে যাবতীয় সৃষ্ট বস্তুর সর্বশেষ পরিণতি অর্থাৎ নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার নাম। অালোচনা সেটা নিয়েই হচ্ছে।
অাপনি না বুঝলে সেটা অাপনার ব্যর্থতা।

২০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৩

নজসু বলেছেন:



পোষ্ট আর কমেন্টগুলো পাঠ করে গেলাম।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০১

সেলিম৮৩ বলেছেন: পাঠ করলেন কিন্তু কিছু বললেন না । এটা কি হয়!!

২১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫১

কানিজ রিনা বলেছেন: ব্লগে চাঁদগাজীর পোষ্ট বেশী আসে রাজনীতি
নিয়ে। তবে খালেদা বিরোধী চাঁদগাজী ম্যাও
প্যাও পোষ্টে প্যাও প্যাও ভালই জমে।
হা হা হা হাসান রাজুর তিন নং মন্তব্যে
একমত।
আসলে কি জানেন? বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল
কিন্তু কোরআন অপরিবর্তিত সব সময়।
এইত মাত্র কয়দিন আগে কিমজংউন ও
ট্রাম্প যেভাভাবে এটোমিক এটেম নিয়েছিল
তাতে বিশ্ববাসী প্রকম্পন উঠেছিল এটোমিক
বোমে পৃথিবীর মানুষ শুধু নয় পুরা জীব
সৃষ্টি ধ্বংস হবে। এই হোল বিজ্ঞানের পুতুল
খেলার অজ্ঞানতা।
হ্যা আমরা বিজ্ঞানের প্রযুক্তি অনেক অনেক
সুবিধা ভোগ করছি ঠিকই কিন্তু আবার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তেও দাড়িয়ে আছি।
এখন বলা যেতে পারে সবার মস্তিস্ক সমান
ভাবে সৃষ্টি না অর্থাৎ সবার জ্ঞান পরিধিও
সমান না তাই বিজ্ঞান প্রযুক্তির একক ধারনা
সমান নয়।
কোনও বিজ্ঞানী যদি একটি বেদানা ভেঙে
বেদানার কোশ গুল আর পুনরায় জোড়া
দিতে না পারে তখনই তার পরাজয়। সে
যদি ভাবে এটা এমনি এমনি সৃষ্টি হয়েছে
তখন সে নাস্তিক। কারন তার আল্লাহ্কে
বুঝার জ্ঞানপরিধি নাই।
প্রকৃতির সকল সৃষ্টি আল্লাহর কারুকার্জ
একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায় আল্লাহ্
কত মহান। আর আমরা মানুষ আল্লাহর
মেহমান, একটি আম যখন ছুলে খাই
আমের চামরাটা কেন ছিল? আমি কি
মেহমান আমটা আমার জন্যই চামড়া দিয়ে
ঢেকে দেওয়া ছিল শুধু মাত্র এই টুকু জ্ঞান
পরিধি থাকা দরকার। আর যারা জ্ঞানী
তারাই আল্লাহকে বিশ্বাস করেন।
পৃথিবীতে নিকৃষ্ট জ্ঞানী আর উৎকৃষ্ট জ্ঞানীর
বিবেধ অনেক অনেক। উৎকৃষ্ট জ্ঞানী বেশী
তর্কে জড়ায় না।
তবে আমার বিশ্বস উৎকৃষ্ট আর নিকৃষ্ট প্রায়
অর্ধেক অর্ধেক তাইতো বেহেস্ত দোজক
প্রায় অর্ধেক অর্ধেক।
অনেক দিন আগে রাবেয়া রহিমে একটি
পোষ্ট ধর্ম নিয়ে তর্কে চাঁদগাজী বেশ পর্যুদস্ত
হয়েছিল। ব্লগার রাবেয়া রহিমের ব্লগে ঢুকে
দেখতে পারেন। আসলে ধর্ম নিয়ে তর্কে
জড়ানো ঠিকনা মহান জ্ঞানীরা কখনও
তর্ক করেন না। অসংখ্য ধন্যবাদ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১১

সেলিম৮৩ বলেছেন: বিজ্ঞান অনেক কিছুই পারে আবার একটা বাবুই পাখির বাসা বানাতে পারেনা।
কানিজ রিনা@ আপনি আম ,বেদানার উদাহরণ দিয়েছেন। বেশ চমৎকার। প্রকৃতির নিজস্ব কোন ইনটেলেকচুয়াল ফ্যাক্ট নেই যে সে বেদানা, আঙ্গুর, আম, জাম, লিচু, আপেল সৃষ্টি করে ফেলবে। এগুলো মাথাহীন বলদদের চিন্তাভাবনা। ধণ্যবাদ আপনাকে।

২২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "কেয়ামত সেটা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি। আপনার অবিশ্বাসের এখানে কোন মূল্য নেই। "

সৃষ্টিকর্তার যদি কঠিন কঠিন প্রতিশ্রুতি থেকে থাকে, উনি জ্ঞানীদের সেগুলো জানতে দেবেন।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১

সেলিম৮৩ বলেছেন: যারা জ্ঞানী তারা মানেন যে আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। আর আল্লাহপাক সেটা কোরআনে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। জ্ঞানীরা সেটা জানছেন এবং সেই মত জীবন গড়ছেন। দুনিয়ার জীবনটাকে পরকালীন জীবনের চেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া যাবেনা।

২৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের জায়গায় এবং ধর্মকে ধর্মের জায়গায় থাকতে দিন | বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে এবং ধর্ম দিয়ে বিজ্ঞানকে তুলনা করার মতো সময় এখনো আসে নাই | বিজ্ঞান এখনো মানুষের শতভাগ সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম হয় নি, সেখানেই ধর্মের বিশালতার পরিচয় | ধর্ম হচ্ছে গভীর বিশ্বাস যা মানুষকে প্রশস্তি দান করে এবং নির্ভার থাকতে সহায়তা দান করে | আবার বিজ্ঞান ধর্মের গন্ডির বাইরে বেরিয়ে ভিন্নধর্মী চিন্তা চেতনার ক্ষেত্র তৈরী করে এবং বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন আবিষ্কারের জন্য প্রনোদিত করে | বিজ্ঞানীদের যদি ধর্মের অনুশাসনে বেঁধে রাখার চেষ্টা করা হয় তবে তারা নতুন নতুন আবিষ্কারের ঝুঁকি নিতে পারবেন না - সবাই গ্যালিলিওর মতো প্রচন্ড সাহসী নন | ধর্ম এবং বিজ্ঞানকে মুখোমুখি না করে যার যার মতো চলতে দেয়াই হবে মানব জাতির জন্য মঙ্গলদায়ক |

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: বিজ্ঞানের যত উন্নত হবে ইসলাম বোঝা তত সহজ হবে। বিজ্ঞানের যতটুকু সক্ষমতা ততটুকু বলতে পারবে এর বাইরের ব্যখ্যা তাদের নিকট নেই। এজন্যই ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান পঙ্গু। অার বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ।

২৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১৪

মহসিন ৩১ বলেছেন: মানুষের ক্ষমতা সামান্য; এটা কেউই সাধারণত বলে না; কিন্তু মানুষের জ্ঞান সামান্য এটা প্রায় সবাই এবং সবসময়েই বলছে।

"মানুষ তো তার চাহিদার উপরই আর তাইতেই তো সে ঠিক ঠিক সেটুকুই জ্ঞানী।অর্থাৎ পরিপূর্ণ জ্ঞানী যে কোন মানুষই"। তাহলে তো মানুষকে-- সে সামান্য জ্ঞান রাখে-- এটা বলাটা সঠিক না। সে আসলেই চক্ষুষ্মান, জ্ঞানবান--- নিরক্ষর হলেও চলবে।

প্রশ্ন উঠতে পারে-- তাহলে এত এত জ্ঞানের যে তৃষ্ণা, এটা তাহলে কি ধরনের অজ্ঞতা !!

উত্তর টা এমন হওয়া সম্ভব; যে 'বিভিন্ন মহল' যখন 'বিভিন্ন মহল'কে প্রশ্ন করে থাকে সেটাই আসলে তার বা তাদের জ্ঞানের আসল ও প্রকৃত দৌড়।

মানুষ যদি রাসায়নিক ক্রিয়া বিক্রিয়ার মিথস্ক্রিয়া না হত তাহলে তখন শুধু ভৌত বিষয়ের প্রাধান্যের ভয় তো থাকতোই।
অনেকেই মনে করেন যে মানুষের আত্মা সত্যি আছে। আর সেটা অবশ্যই "এই" ব্রহ্মাণ্ডে ভ্রমন করে থাকতে পারবে। ভৌতবিজ্ঞানকে তখন আস্কারা না দিলেও চলবে। কোয়ান্টাম ফিজিক্স এখন এরকমই ধারনা দেয়।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: কোয়ান্টাম ফিজিক্স সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে প্রতিষ্ঠিত করে। মানব মস্তিষ্ক এগুলো ধারণ করে বিধায় তারা এগুলোর উর্ধে চিন্তাভাবনা করতে পারে।

২৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

হাবিব বলেছেন: ভাবনার কি শেষ আছে........? অনেকেই দেখি নিজেদের মন গড়া ব্যখ্যা করেন

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

সেলিম৮৩ বলেছেন: ভাবনার শেষ নেই ঠিক। কিন্তু মনগড়া ব্যাখা দেয়া ঠিক নয়।

২৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আলোচিত ও সমালোচিত হওয়ার অনেক পথ খোলা আছে যে যেটা গ্রহণ করে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

সেলিম৮৩ বলেছেন: জ্বি, অাপনি সঠিক বলেছেন। তবে, একটা সাধারন ধারণা থেকেও মানুষ বিশ্বাসী হয়; অবিশ্বাসী হয়না।

২৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১

মহসিন ৩১ বলেছেন: ভাবনারা থাকবে; শালীনতার মধ্যে ভাবনাকেও থাকতে হচ্ছে। উদ্ভট কিছুর মানে হচ্ছে বিপর্যয়, কিংবা এর থেকে পরিত্রান। সমস্য কখন কখন ভয়াবহ হয় (হতে পারে) এটা তো কেউই জানে না।----- এটাই আসল মনগড়া।

জিবন যেমন ক্ষয়িষ্ণু ঠিক সেরকম ভাবে দেখলে আবার নুতন নূতনও। এই প্রকৃতি একই রকম হয়ে এই মহাবিশ্বের সর্বত্র আছে বলে মনে করাটা খুব একটা সাধারন চিন্তা নয় !!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: একটু ভাবনার ডানা মেলালে হাজারো প্রশ্ন মাথায় এসে যায়। যদি স্বপ্নে থাকেন তাহলে এগুলো অাড়াল হয়ে যাবে। সমস্যা এখানেই।

২৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

হাসান রাজু বলেছেন: Big Bang Theory মতে এই মহাবিশ্ব একটি বিন্দুতে ঘনিভূত ছিল। এক মহাবিষ্ফোরণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও সুচনা হয় যার আকৃতি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। জ্যোতির্বিদরা নিশ্চিত করেছেন যে, গ্যালাক্সিরা একে অপর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে।

সূরাঃ আয-যারিয়াত , আয়াত ৪৭
আমি আকাশ নির্মাণ করেছি আমার (নিজ) ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই মহা সম্প্রসারণকারী।



সূরাঃ আল-আম্বিয়া , আয়াত ৩০
অবিশ্বাসীরা কি (ভেবে) দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী একসঙ্গে মিলিত ছিল; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিয়েছি এবং প্রত্যেকটি সজীব বস্তুকে পানি হতে সৃষ্টি করেছি; তবুও কি ওরা বিশ্বাস করবে না?


এখন কথা হ্ল- মহাবিশ্ব ধ্বংস হবে কি করে? বিজ্ঞানীরা এর তিনটি উপায় বাৎলেছেন। ক) এভাবে সম্প্রসারণ হতেই থাকবে,।এর শেষ নেই। খ) সম্প্রসারিত হতে হতে এক সময় ধ্বংস হয়ে যাবে। গ) আর হল, singularity তে আবারো মহাবিশ্বের ফিরে আসা। উৎপত্তির সেই বিন্দুতে মহাবিশ্বের কেন্দ্রীভূত হওয়াটাকে বিজ্ঞানীরা বলেন singularity।
তৃতীয়টিকে সত্য ধরলে কোরআন বলে-
সূরাঃ আল-আম্বিয়া, আয়াত ১০৪
সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে নেব,যেমন গুটানো হয় লিখিত কাগজপত্র। যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম,সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। আমার ওয়াদা নিশ্চিত,আমাকে তা পূর্ণ করতেই হবে


আশাকরি কিছুটা ক্লিয়ার করতে পেরেছি। অবিশ্বাসীদের একটা প্রশ্ন থাকে, দুদিন পর এই থিউরি বদলে গেলে কি হবে? তখন কি কোরআন মিথ্যে হয়ে যাবে।? আমি তাকে বলব, আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক ভাবে এমন কোন পরিক্ষিত সত্য কি আছে যা, কোরআনে ভুল ভাবে লেখা আছে? ধন্যবাদ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

সেলিম৮৩ বলেছেন: অাপনি অতি সংক্ষেপে বিষয়টি ক্লিয়ার করেছেন। বিজ্ঞান কখনো কোরঅানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। কোরঅান যেটা বলছে বিজ্ঞান তার কিছু প্রমাণ করতে পেরেছে। যেগুলো প্রমাণ করতে পারেনি সেগুলো হয়তো বিজ্ঞান যখন অারো উন্নত হবে তখন পারবে। হয়তো কিছু কখনই পারবেনা। তার মানে এই নয় কোরঅান ভুল বলেছে। বিজ্ঞান যে সব কিছু ব্যাখ্যা করতে পারবে সেটা ভাবা সঠিক নয়। কেননা, কোরঅান এসেছে অাল্রাহর তরফ থেকে। অার মানুষ সেই অাল্লাহরই সৃষ্টি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.