নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঔচিত্যবোধ

০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯



গরুর নিরাপত্তা দাবী আছে
মূর্তির . আছে
মানুষের . নাই।

আজব মানব সমাজে
বাস করি মোরা
মানবেরা এখানে দারুন অসহায়।

দ্বীন ইসলামের সুষ্পষ্ট ঘোষণা
মূর্তি তৈরি কিংবা উপাসনা;
অনেক বড় গর্হিত কাজ,
মহান প্রভু কভু তা করবে না ক্ষমা।
মূর্তি সরাতে গেলে
যে মুসলিমরা নামবে প্রতিবাদ মিছিলে
কেমনতর মুসলমান তারা!

অথচ ধর্ষণ খুন জুলুম হলে
মানবতার সবটুকু হারিয়ে
মূর্তির মতই থাকবে দাঁড়িয়ে
প্রতিবাদ মিছিলে নেই তারা।

গ্রীক রোমান প্রাচীন সভ্যতা
প্রাগৈতিহাসিক মনে গড়া রীতিনীতি
দেবে কী এনে সমৃদ্ধি অথবা আধুনিকতা?

তবু মানবেরা আজ মূর্তির মত
শত অন্যায় অত্যাচারে অনড় তারা।

কেবল এটুকু মনে রাখতে হবে
অন্যধর্মানুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।
তার মানে এটা নয়
নিজের ধর্মানুশাসন পদদলিত করে
পরাচার রক্ষায় অমূল্য সময় করবো অপচয় ।

মূতি ভাঙিনা , মূর্তি গড়িনা
লাশরিক স্রষ্টার করি উপাসনা;
তার আদেশ মানাতে মানবতার কল্যাণ
তার উপাসনা করতে করতে
হয় যেন মোর জীবনাবসান ;
সদা প্রাণে এই কামনা ।


ছবি নেট

মন্তব্য ৮০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কবিতায় প্রতিবাদ ভালো লাগলো। খুব সুন্দর হয়েছে কথাগুলো।

০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঔচিত্যবোধ থেকে লিখলাম । মনের ভিতর কেমন যেন একট তাড়না । সেখান থেকেই এই কবিতা।

২| ০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো করেছেন মনের তাড়না প্রকাশ করে।

শুভকামনা জানবেন সবসময়।

০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঘন ঘন পোস্ট দেয়াতে মডারেটরের মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে তারপর ‍ও দিলাম । অতীব গুরুত্বপূর্ণ মনে হল তাই। এট লিস্ট মানুিষ ভুলের পিছনে যেন না ছুটে ।

৩| ০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ঘনঘন পোষ্ট দেয়া বিরক্তিকর কিনা জানিনা। তবে অনেকেই দিনে তিন চারটিও দিচ্ছে। আমিও প্রতিদিন একটা দিতেই ভয় পাই।
তবে আপনার মতো লেখা যদি দিনে একাধিক পড়লেও ভালো লাগা লেগে থেকে।

অনেক ভালো লাগলো আপনার প্রতিউত্তর।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।

০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার কমেন্টে ভাল লাগা । আর শুভকামনা নিরন্তর। রমজান আত্নশুদ্ধির মাস । ফযিলতের মাস । এই মাসে আমলের দ্বারা মানুষ নিজে গুনাহ মাফ করাতে পারেন ।

ভাল থাকবেন সবসময় ।

৪| ০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

এম এ কাশেম বলেছেন: সমসাময়িক ও প্রাসঙ্গিক
গণ মানুষের কথা।

শুভ কামনা কবি।

০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সাধারণ মানুষ এভাবেই ভাবছে ।

অসাধারণরা নয় ।

৫| ০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: মূর্তি ভাঙ্গার যে প্রতিবাদ ছিল সেটি মূর্তি ভাঙ্গার কারণে ঘটেছে বললে ভুল হবে। মূর্তি ভাঙ্গার পূর্বের ঘটনাকে উপেক্ষা করলে ঘটনার প্রকৃত ইতিহাস বিকৃতি ঘটবে। যে অশুভ প্রভাবের কারণ মূর্তি ভাঙ্গা, সেটা যদি উপেক্ষা করা হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ অত্যন্ত বিভীষিকাময়। এখান থেকে রেহায় পাওয়া কোনো মতো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।

০১ লা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ । মূর্তি ভাঙ্গার বিরুদ্ধে কোন সাচ্চা মুসলমান প্রতিবাদ করবে না । যারা করেছে তার আলেম দেখতে হলেও ওলামায়ে ছু । তবে হ্যা মুসলমান হয়তো মূর্তি ভাঙবে না ।
ইবরাহীম আঃ মূর্তি ভেঙেছেন । আল্লাহ তায়ালা মূর্তি পছন্দ করেন না ।

৬| ০১ লা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন মুর্তি নিয়ে প্রতিবাদ করি কিন্তু মানুষের অমানুষিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করি না। সুন্দর প্রতিবাদী কবিতা।

০১ লা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্ট। নারী শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে হাসান ইমাম গংকে কখনোই দেখা গেল না । তারা বোধ হয় গর্হিত কাজ বলতে শুধু মূর্তি সরানো আর ভাঙা বুঝেন । এত অল্প বুঝা নিয়ে হাসান ইমাম গং চিতায় জ্বলবেন ভাবতে অবাক লাগে ।

৭| ০১ লা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন ++

০১ লা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।

৮| ০১ লা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

প্রথমকথা বলেছেন: খুব সুন্দর প্রতিবাদ, ভাল লাগল।

০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ প্রথম কথা ।

৯| ০১ লা জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই সময়োপযোগী প্রতিবাদী কবিতা
শুধু কথা না কবিতাটিও তার
কাব্যিক বিচারে আমার কাছে
ভাল লাগল ।
শুভেচ্ছা রইল

০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও ভাল লাগায় ধন্যবাদ নিরন্তর শুভকামনা

০২ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এটলিস্ট প্রতিবাদতো করতে পারলাম ।

ভূপেন হাজারিকার সেই গান মানুষ মানুষের জন্য বোধ হয় শুধু গাওয়া আর শোনার জন্য । কার্যত মানুষ মূর্তির জন্য, মানুষ গরুর জন্য মানুষের জন্য নয় ।

১০| ০১ লা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

কল্লোল পথিক বলেছেন:

বেশ হয়েছে।

০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ ।নিরন্তর শুভকামনা ।

১১| ০১ লা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: #সেলিম আনোয়ার 
মূর্তিপূজা বলতে আসলে কি বুঝায়?? শুধু কি পাথরের তৈরী মূর্তির সামনে বসে আরাধনা করাকেই কি মূর্তি পূজা বলে?

০২ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: স্রষ্টা বাদে অন্য কোন কিছু সেটা মানুষ মূর্তি কিংবা প্রানী হোক পাথরে কাঠের অথবা মাটির হোক তাকে ক্ষমতাবান মনে করে অর্ঘ্য দেয়া ও সেটার কাছ থেকে মঙ্গল লাভ বা ক্ষতি থেকে মুক্তি লাভের প্রত্যাশাই পূজো করা । একমাত্র আল্লাহতায়ালার উপাসনা বা ইবাদত করা যাবে ।শিরক করা অমার্জনীয় অপরাধ আমাদের ধর্মে ।

শ্রী বৃদ্ধির জন্য মূর্তি বাদে কতকিছুই তো আছে।

আর স্থাপত্যকর্ম প্রানীবাদে জড় পদার্থ বিষয়ক হলে তো ধর্মীয় দৃষ্টিতে দোষের কিছু নাই্ ।

১২| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ৮:২০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই ।

০২ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ ।নিরন্তর শুভকামনা ।

১৩| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:

"গ্রীক রোমান প্রাচীন সভ্যতা
প্রাগৈতিহাসিক মনে গড়া রীতিনীতি
দেবে কী এনে সমৃদ্ধি অথবা আধুনিকতা? "

- গ্রীকদের সিস্টেম "ডেমোক্রেসী"কে রাজনীতির মুল প্রিনসিপল হিসেবে নিয়েছে বিশ্ব। মানুষ প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্য প্রকৃতি থেকে "নলেজ" আহরণ করছেন; সেদিক থেকে গ্রীকেরা ছিল পথিকৃত।

০২ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আরবরা নৃশংস ।গ্রীক বা রোমানরা কি তা নন । এখানে মূর্তি সংস্কৃতি বিশেষ ভাবে বুঝানো হয়েছে । যা সুস্পষ্ট শয়তানের কাজে । নগ্নতার প্রচলন ভালগারিজমের প্রচলন ও বোধ হয় তারাই করেছেন । প্রকৃত গনতন্ত্রের সূচনা করেছে ইসলাম ।

১৪| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

"গরুর নিরাপত্তা দাবী আছে
মূর্তির . আছে
মানুষের . নাই। "

- মানুষের অধিকার নিয়ে বিশ্ব লড়ছে; গরুর অধিকার নিয়ে ভারতের একাশ লড়ছে; মুর্তি নিয়ে বাংলাদেশ লড়ছে; যার মাথায় যেটি দরকারী, সেটা প্রাধান্য পাচ্ছে।

০২ রা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্ট চাঁদগাজী। কমেন্টে ভাললাগা ।

১৫| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

মূর্তি আর ভাস্কর্য নিয়ে কোন পার্থক্য আছে কি সেলিম ভাই? বিখ্যাত মুস্লিম শাসক সালাউদ্দিন আইয়ুবীর কত ভাস্কর্য রয়েছে আচ্ছা এটা তবে কি?


আপনার কবিতাটি ভাল লাগ ল।

০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সকল ভাস্কর্য মূর্তি নয় কিন্তু সকল মূর্তি ভাস্কর্য । আমাদের মুসলিম শাসকদের ভাস্কর্য বা মূর্তি গড়া ইসলামে মূর্তি গড়ার পক্ষে কোন যুক্তি নয় । সম্রাট আকবর যত ভাল শাসক হন না কেন তাকে অনেক আলেম মুরতাদ বলে থাকেন । দেখতে হবে হক্কানী আলেমগন কি বলেন । আর পবিত্র কোরআনের কোথাও মূর্তির সমর্থনে কোন আয়াত নেই। ফেরাউনের দেহ স্বয়ং আল্লাহ সংরক্ষিত রেখেছেন মানুষের শিক্ষা নেবার জন্য ।খোদাদ্রোহীর শাস্তি কেমন হতে পারে তার দৃষ্টান্ত দেবার জন্য ।

১৬| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ৯:১০

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। +।

০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ নিরন্তর শুভকামনা ।

১৭| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,



ঔচিত্যবোধ নেই বলেই আমরা শত অন্যায়-অত্যাচারেও অনড় থাকি মূর্তির মত ।
ভালো লিখেছেন ।

০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বরাবরের মতেই সুন্দর কমেন্ট। অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য ্

১৮| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ভাল

০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ ।নিরন্তর শুভকামনা ।

১৯| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্ঞান প্রজ্ঞা বিবেক যখন লুপ্ত হয়- ঔচিত্যবোধ নির্বাসনে!!!

সোলাইমান আ: এর ভাস্কর্য নির্শানে জ্বিন দের সহযোগীতা নিয়েছেন তা কিন্তু কোরআনেই আছে। শিল্প, পূজ্যতা, ইবাদাত, সংষ্কৃতির পার্থক্য গুলিয়ে ফেলেছ বলেই মুসলিমরা ব্যাকফুটে আর তাদের নিয়ে খেলছে যে যার মতো সকলেই!

কবিতায় ভাল লাগা ++++

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্ট বিদ্রোহী ভৃগু । ভাল থাকবেন সবসময় এই কামনা থাকলো ।

২০| ০২ রা জুন, ২০১৭ সকাল ৮:২৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: আমারও কথা এটাই। এক মূর্তি নিয়ে কত মাতামাতি। অথচ কত জীবন্ত প্রাণের উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার চলছে, অন্যায়ভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। সুন্দর লিখেছেন সেলিম আনোয়ার ভাই।

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।

২১| ০২ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

ফ্রিটক বলেছেন: গরুর নিরাপত্তা দাবী আছে
মূর্তির . আছে
মানুষের . না। এটুকু বেশি ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ ফ্রিটক । ভাল থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা থাকলো ।

২২| ০২ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০২

তানভির আহমেদ মিরাজ বলেছেন: ভালো লাগলো

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ নিরন্তর শুভকামনা ।

২৩| ০২ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর!! সুন্দর !!!

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ । ধন্যবাদ ।

অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

২৪| ০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ৮:২১

জুন বলেছেন: আদর্শ নীতি ন্যায় এ ধরনের শব্দগুলো আর কিছুদিন পরে অভিধানে জায়গা হবে সেলিম আনোয়ার । কবিতায় ভালোলাগা রইলো ।
+

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্ট ।যথার্থ বলেছেন ।


অনেক ধন্যবাদ ।

২৫| ০৩ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০২

নীলপরি বলেছেন: প্রতিটা লাইনই ভালো লেগেছে ।

+++++++++

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ নীলপরি ।

ভাল থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা থাকলো ।

২৬| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩২

স্বতু সাঁই বলেছেন: "স্রষ্টা বাদে অন্য কোন কিছু সেটা মানুষ মূর্তি কিংবা প্রানী হোক পাথরে কাঠের অথবা মাটির হোক তাকে ক্ষমতাবান মনে করে অর্ঘ্য দেয়া ও সেটার কাছ থেকে মঙ্গল লাভ বা ক্ষতি থেকে মুক্তি লাভের প্রত্যাশাই পূজো করা ।"

স্রষ্টা বাদে অন্য কোন কিছু, পাথরের মূর্তি বাদে এই অন্য কিছুর জায়গায়, ধন সম্পদ অর্থ ক্ষমতা প্রতাপ দম্ভ অহংকার ইত্যাদিসমূহকে বসানো যায় এবং এসব হতে নিজের মুক্তি লাভর জন্য স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে এসবের উপর আস্থা স্থাপ করে অর্ঘ দান করে, তাহলে সেটা কিরূপ হবে?

০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সেগুলোও একধরণের শিরক । একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই করণেওয়ালা জাত ।অন্য কেহ কিছু করতে পারে না আল্লাহ ছাড়া । এটাই হলে দ্বীন ইসলামের খাটি ঈমান। একমাত্র রসুল সঃ তরিকায় দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি , কামিয়াবি আর সফলতা । তাঁর আগমনের পর পূর্ববর্তী নবী রাসুলের বাতানু পন্থা বাতিল হয়ে গেছে। খ্রীস্টানদের নবী ঈসা আঃ পৃথিবীতে আরেকবার আসলেও তার নবী মুহাম্মদ সাঃ অর্থাৎ আখেরি নবীর উম্মত হিসেবে তার আগমন হবে নবী হিসেবে নয়।

মনের মধ্যে থেকে শিরক দূর করতে হবে ।

২৭| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: কোরানে উল্লেখিত মূর্তিপূজক বা মূর্তিপূজা শব্দগুলো কি রূপক অর্থে ব্যবহৃত? নাকি সাধারণ অর্থে ব্যবহৃত?

০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কোর আনের বিশেষজ্ঞ নই আমি। মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ। সেটা রুপক অর্থে হোক আর সাধারণ অর্থে। সাধারণ অর্থে যারা করেন তারা তো ননমুসলিম। আর রূপক অর্থের ব্যাপারটি বিশেষ করে ধন সম্পদ ক্ষমতার পূজাও নিষিদ্ধ।

মোদ্দা কথা ইবাদত করতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহর । আর কেহ ইবাদতের যোগ্য নন। শ্রেষ্ঠত্বে বিচারে আশরাফুল মাখলুকাত হলো মানুষ । গরু সোনা দানা টাকা ক্ষমতা নয় ।মানুষ আবার কেন তার চেয়ে অযোগ্য জিনিসের পূজা করতে যাবে । মানুষ মানবতার জন্য কাজ করবে ।শ্রষ্টার ইবাদতের জন্য নিবেদিত হবে ।

২৮| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০১

স্বতু সাঁই বলেছেন: "সেগুলোও একধরণের শিরক।"

'একধরণের' শব্দ প্রয়োগে গোটা বাক্যের কথাটা সম্পূর্ণরূপে আপেক্ষিক হয়ে গেলো। ধর্ম পালনে কি আপেক্ষিকতা প্রযোজ্য?

০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সেই শিরক আর মূর্তি বানিয়ে সেটা দেবী বানিয়ে পূজো করা সমানমানের শিরক নয় ।

টাকা পয়সা ধনদওলত এগুলোতে মানুষের অগাধ আস্থা আর লোভ । মুসলিমদের মধ্যেও সেটি বিরাজমান । কে কিন্তু ঠিকই আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহার রাসুল এটি বিশ্বাস করেন ।

মূর্তিকে সে দেবী মনে করছে না ।পূজোও করছেনা ।আল্লাহকে অস্বীকার করছে না । বা মুহাম্মদ সাঃকে নবী মানছেন।
মেহনতের অভাবে দুনিয়াবী চীজ আসবাবের উপর আস্থা রয়ে গেছে । ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আলাদা ।

২৯| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

স্বতু সাঁই বলেছেন: "খ্রীস্টানদের নবী ঈসা আঃ পৃথিবীতে আরেকবার আসলেও তার নবী মুহাম্মদ সাঃ অর্থাৎ আখেরি নবীর উম্মত হিসেবে তার আগমন হবে নবী হিসেবে নয়।"

একথা কি কোরানে কোথাও উল্লেখ আছে?

০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পবিত্র কোরআনে আমি অতীব অদক্ষ। এ ব্যাপারে কোন হাক্কানী আলেমের দ্বারস্থ হতে পারেন । ব্যাপারটি এত বেশিবার ওলামাদের কাছে শুনেছি যে ওটা নিয়ে আর কোয়েরি করার প্রয়োজন বোধ করি নি।
আপনার মসজিদের ইমাম এ ব্যাপারে আপনার জানা তৃষ্ণা নিবারণে সহয়তা করতে পারবেন ।

৩০| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১১

স্বতু সাঁই বলেছেন: "শ্রেষ্ঠত্বে বিচারে আশরাফুল মাখলুকাত হলো মানুষ।"

কিন্তু অধিকাংশ মানুষের আচরণ দেখে কি তা মনে হয়? যদি না হয় তবে বাক্যের কথাটিকে কিভাবে পর্যালোচনা করবেন?

০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এর জবাব সুরা ত্বীন এ প্রশ্নের জবাব আছে । মানুষকে আল্লাহ সর্বশেষ্ঠ আকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন অথচ আমলের কারণে সর্বনিম্ন সৃষ্টিতে পরিণত হয় ।

যারা জাহান্নামে যাবেন তার কিন্তু পশু পাখিদের চেয়ে নিম্নশ্রেনীর হয়ে গেল । কারণ সেগুলো জাহান্নামে যাবে না ।

৩১| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২১

স্বতু সাঁই বলেছেন: "সেই শিরক আর মূর্তি বানিয়ে সেটা দেবী বানিয়ে পূজো করা সমানমানের শিরক নয়।কিন্তু ঠিকই আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহার রাসুল এটি বিশ্বাস করেন। মূর্তিকে সে দেবী মনে করছে না ।পূজোও করছেনা ।আল্লাহকে অস্বীকার করছে না । বা মুহাম্মদ সাঃকে নবী মানছেন।"

তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন অপবিত্র শরীর নিয়ে এবাদত করা ইসলাম অনুমোতি দেয়?

এখানে একটু বলে নিই, আপনি যদি বিরক্ত না হন তাহলে আলোচনা চালিয়ে যাবো..

০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অপবিত্র শরীর !!! যাদের আল্লাহতে বিশ্বাস নেই তাদের শরীর পবিত্র নয়।তারা আমলের যোগ্য নন। আর যাদের শরীর থেকে বীর্য বের হয়েছে তাদের শরীর নাপাক। আর অযু গোসলের মাধ্যমে শরীর পবিত্র করা হয়। অযু গোসল ছাড়া জিকিরে বাধা নাই ।কিন্তু নামায হবে না । ওযু না থাকলে রোযায় সমস্যা নেই। তাহলে কি উত্তর দিবো। নাপাক অবস্থায় মসজিদে অবস্থান নিষেধ কোর আন স্পর্শ করা নিষেধ।

৩২| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রানের আঁকুতি ফুটে উঠেছে মাত্র ক'টি লাইনে। অভিনন্দন অন্তহীন!

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ । স্বত্ব সাই সাহেবের প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা থাকলে আপনাকে উত্তর দেবার অনুরোধ করা হলো । কারণ আপনি বেশ ভাল জানেন বিশেষ করে কুর আন ও সুন্না বিষয়ে । আমার অন্তত তাই মনে হয়েছে ।

৩৩| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০১

স্বতু সাঁই বলেছেন: "ব্যাপারটি এত বেশিবার ওলামাদের কাছে শুনেছি যে ওটা নিয়ে আর কোয়েরি করার প্রয়োজন বোধ করি নি।"

তাহলে বিষয়টা এভাবে স্বীকার করে নিতে হয়, আমরা সকলেই শুনে শুনে মুসলমান। কিন্তু মুসলিম হওয়ার শর্তে কোরান সম্পূর্ণরূপে এর বিরোধীতা করে। কারণ যে আল্লাহর আদেশ পালনে অবাধ্য হবে বা নিষেধসমূহ পরিহারে ব্যর্থ হবে সে সরাসরি কাফের বলেই বিবেচিত হবে, সে কোনভাবেই মুসলিম হত্ পারবে না। যেমন দুধ ও লেবুর রস সহাবস্থানে দুধের গুণাগুণ ঠিক থাকে না ঠিক তেমনি। তাই কোরান সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ না করে সে কিভাবে মুসলিম হতে পারে? কারণ যেখানে কোরান উল্লেখ করছে মুসলমানের ঔরসজাত সন্তানও মুসলিম না। সামান্য অবাধ্যতার কারণে ইবলিস চিরজীবনের জন্য কাফের হয়ে গেলো। সেক্ষেত্রে কোরান না জেনে না বুঝে অটো মুসলিম কি হওয়া যায়? কোরানে কি এ ধরনের মুসলিম হওয়ার কোন সিস্টেমের কথা বলা আছে?

আর একটি বিষয়ে আপনাকে অবগতি করাতে চাই, যারা সচরাচর হারাম গ্রহন করে হালাল বলে ব্যাখ্যা দান করে থাকে, যারা কোরানের আয়াত পণ্য হিসাবে বেঁচা কেনা করে তাদের কাছে কোরানের সঠিক ব্যাখ্যা কি করে আশা করেন। আপনিও একজন বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা ছাত্র, কি করে আপনি নিজেকে তাদের কাছে সপে দিতে পারেন ধর্ম জানার বিষয়ে। যেখানে আমরা জেনে থাকি বাবা মার সেই সন্তানেরা যারা সাধারণ স্কুলে পড়াশুনায় সম্পূর্ণরূপে অযোগ্য হয়ে বাউণ্ডেলে জীবন থেকে রেহায় দেওয়ার উদ্দেশ্যে কোন রকম জীবিকার জন্য মাদ্রাসায় প্রেরণ করে হুজুর টাইটেল দিয়ে ইমামতির উদ্দেশ্য পাঠায়, আপনি কি আপনার চেয়ে তাকে মেধাবী বলে মনে করেন যে সে আপনার চেয়ে কোরানের গভীর অর্থ আপনাকে তারা সঠিকভাবে বুঝবে?

কোরানে আল্লাহ একটা সুন্দর উপমা দিয়েছেন, "আমি ক্ষুদ্র প্রাণী মশাকেও অযৌক্তিকভাবে সৃষ্টি করি নি।" অর্থাৎ বিশ্বাসের সীমা ততদূর লঙ্ঘন করো না যাতে যৌক্তিকতা লোপ পায়। যুক্তিহীন বিশ্বাস অমূলক ধারণা মাত্র।

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: স্বতু সাঁই বলেছেন :যেখানে আমরা জেনে থাকি বাবা মার সেই সন্তানেরা যারা সাধারণ স্কুলে পড়াশুনায় সম্পূর্ণরূপে অযোগ্য হয়ে বাউণ্ডেলে জীবন থেকে রেহায় দেওয়ার উদ্দেশ্যে কোন রকম জীবিকার জন্য মাদ্রাসায় প্রেরণ করে হুজুর টাইটেল দিয়ে ইমামতির উদ্দেশ্য পাঠায়, আপনি কি আপনার চেয়ে তাকে মেধাবী বলে মনে করেন যে সে আপনার চেয়ে কোরানের গভীর অর্থ আপনাকে তারা সঠিকভাবে বুঝবে?

এটা মেধাবী হওয়ার বিষয় নয় সুপ্রিয় ব্লগার । আবু জেহেল মেধাবী ছিলেন তাতে কি লাভ হয়েছে ।
ব্যাপারটি চর্চার । মানুষকে আল্লাহ অনেক যোগ্যতা দিয়েছেন । অপেক্ষাকৃত কম মেধা নিয়েও চর্চার মাধ্যমে জানা সম্ভব ।
যে ৬৬৬৬ আয়াতের হাফেজ অর্থাৎ কোরআনের হাফেজ তাকে আখেরাতে ৬৬৬৬ তলা বেহেশত দেয়া হবে । আমি ইরেজীতে লেখাপড়া করে নিশ্চয়ই সেই সম্মান লাভ আশা বরতে পারি না । যদিও হয়তো আমি তাদের তুলনায় মেধাবী ।

৩৪| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

স্বতু সাঁই বলেছেন: "নাপাক অবস্থায় মসজিদে অবস্থান নিষেধ কোর আন স্পর্শ করা নিষেধ।"

পাক অবস্থায় সারাজনম দালান কোঠার মসজীদে বসে থাকলে বা কোরান গ্রন্থটি বুকে চেপে ধরে থাকলেও মুসলিম হওয়া যায় না। ঠিক তেমন মৌখিকভাবে আল্লাহ বিশ্বাসের কথা বলেও মুসলিম হওয়া যায় না, শারীরিক পাপ পবিত্রতার কথা তো দূরের কথা।

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন ।

৩৫| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: "আবু জেহেল মেধাবী ছিলেন তাতে কি লাভ হয়েছে।"

আবু জেহেল একটি গোত্রের প্রধান ছিলেন, তার ক্ষেত্রে মুসলিম হওয়া না হওয়া কোন বিষয় নয়। সে যে ধর্মের বিশ্বাসী তার অনুসারীরাও সেই ধর্মের বিশ্বাসী হবে এটাই স্বাভাবিক। সে মেধাবী ছিল বলে তাকে মুসলিম হতেই হতো তার কোন যুক্তিকতা নেই। তাই এটা আমার প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর নয়। প্রশ্নকে পাশ কাটানো মাত্র।

আর দ্বিতীয় যা বোঝাতে চেয়েছেন, ৬৬৬৬ আয়াত মুখস্ত করার অর্থ এই নয় সে গোটা কোরানকে হেফজো করেছে। যদি তাই হতো তাহলে অংকশাস্ত্র না জানা মুখস্ত বিদ্যায় পারদর্শী পড়ুয়া ছাত্রও বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনার যোগ্যতা লাভ করতো। কিন্তু বাস্তবে কি তা ঘটে?

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঈমান আর আমলের মেহনত করতে হবে ।অন্যথা কোন রক্ষা নেই ।মেধা আপনাকে রক্ষা করবে না ।

আবু জাহেল রাসুলের চাচা এবং মেধাবী হওয়া সত্ত্বের আসল সত্যি উপলব্ধি করতে পারে নি । হাবশী গোলাম বেলাল রাঃ ঠিকই পেরেছেন ্ এবং সম্মানিত হয়েছেন ।

অংকশাস্ত্র মুখস্থ জানার কোন ফায়দা নাই । কোরআন মুখস্থে ফায়দা আছে, তেলাওয়াত করাতে ফায়দা আছে, অর্থ বুঝাতে ফায়দা আছে কুরআন অনুযায়ী জীবন যাপন করাতে ফায়দা আছে ।

কুরআনের সঙ্গে অন্য কোন বিদ্যার তুলনা হয় না ।

৩৬| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: "অংকশাস্ত্র মুখস্থ জানার কোন ফায়দা নাই । কোরআন মুখস্থে ফায়দা আছে, তেলাওয়াত করাতে ফায়দা আছে, অর্থ বুঝাতে ফায়দা আছে কুরআন অনুযায়ী জীবন যাপন করাতে ফায়দা আছে।"

এটা কি বললেন? এটাতো একেবারেই কোরান বিরোধী কথা হয়ে গেলো। কোরান বিজ্ঞানকে জানবার জন্যে যেখানে বার বার নির্দেশনা দান করেছে সেখানে আপনি এক বাক্যে বলে দিলেন অংকশাস্ত্র জানাতে কোন ফয়দা নাই?! আমাকেও হুদুরদের মত বলতে হচ্ছে নাউজুবিল্লাহ। অংকশাস্ত্র না জানলে বিজ্ঞান সম্পর্কে জানবেন কি কর? এতেই প্রমান হয় কোরান ভালভাবে না বুঝে না জেনে সঠিকভাবে মুসলিম হওয়া যায় না।

আর এটা হাস্যকর ব্যাপার হয়ে গেলো। কারণ অর্থ না বুঝে সাপের মন্ত্রের মত কোরান তেলাওয়াতেও কোন ফায়দা নাই। আর নাই বলে সমাজে দুর্নীতিবাজদের অনুদান দিয়ে মসজিদ মাদ্রাসাগুলো পরিচালিত হয় এবং বলা হয় সেখান থেকে নাকি ইসলাম প্রচার ও প্রসার ঘটছে। হ্যাঁ প্রচার ও প্রসার ঘটছে, তবে ইসলামের না আহাম্মক গঠনের কারখানার।

৩৭| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অংক মুখস্থ জানার লাভ কি?

৩৮| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

স্বতু সাঁই বলেছেন: যাহোক অনেক আলাপ হলো। আপনার সাথেও জানা শুনা হয়ে গেলো। সামনে আরও আলাপ হবে। তবে যা কিছুই লিখুন জেনেশুনে লিখুন, কারণ আপনার লিখা পড়ে অন্যে যেন জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আপনার লেখনী দ্বারা যেন অজ্ঞের দল না গড়ে উঠে তাহলে সেটাই কুফরী করা হবে।

৩৯| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: "অংক মুখস্থ জানার লাভ কি?"

অংক মুখস্থের কথা তো কোথাও উল্লেখ করি নি..!

৪০| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



//স্বতু সাঁই বলেছেন:

তাহলে বিষয়টা এভাবে স্বীকার করে নিতে হয়, আমরা সকলেই শুনে শুনে মুসলমান। কিন্তু মুসলিম হওয়ার শর্তে কোরান সম্পূর্ণরূপে এর বিরোধীতা করে। কারণ যে আল্লাহর আদেশ পালনে অবাধ্য হবে বা নিষেধসমূহ পরিহারে ব্যর্থ হবে সে সরাসরি কাফের বলেই বিবেচিত হবে, সে কোনভাবেই মুসলিম হত্ পারবে না। যেমন দুধ ও লেবুর রস সহাবস্থানে দুধের গুণাগুণ ঠিক থাকে না ঠিক তেমনি। তাই কোরান সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ না করে সে কিভাবে মুসলিম হতে পারে? কারণ যেখানে কোরান উল্লেখ করছে মুসলমানের ঔরসজাত সন্তানও মুসলিম না। সামান্য অবাধ্যতার কারণে ইবলিস চিরজীবনের জন্য কাফের হয়ে গেলো। সেক্ষেত্রে কোরান না জেনে না বুঝে অটো মুসলিম কি হওয়া যায়? কোরানে কি এ ধরনের মুসলিম হওয়ার কোন সিস্টেমের কথা বলা আছে?

আর একটি বিষয়ে আপনাকে অবগতি করাতে চাই, যারা সচরাচর হারাম গ্রহন করে হালাল বলে ব্যাখ্যা দান করে থাকে, যারা কোরানের আয়াত পণ্য হিসাবে বেঁচা কেনা করে তাদের কাছে কোরানের সঠিক ব্যাখ্যা কি করে আশা করেন। আপনিও একজন বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা ছাত্র, কি করে আপনি নিজেকে তাদের কাছে সপে দিতে পারেন ধর্ম জানার বিষয়ে। যেখানে আমরা জেনে থাকি বাবা মার সেই সন্তানেরা যারা সাধারণ স্কুলে পড়াশুনায় সম্পূর্ণরূপে অযোগ্য হয়ে বাউণ্ডেলে জীবন থেকে রেহায় দেওয়ার উদ্দেশ্যে কোন রকম জীবিকার জন্য মাদ্রাসায় প্রেরণ করে হুজুর টাইটেল দিয়ে ইমামতির উদ্দেশ্য পাঠায়, আপনি কি আপনার চেয়ে তাকে মেধাবী বলে মনে করেন যে সে আপনার চেয়ে কোরানের গভীর অর্থ আপনাকে তারা সঠিকভাবে বুঝবে?//


---ভাই স্বতু সাঁই, বিস্তারিত কথা বলা সময় সাপেক্ষ। আপনার বুঝার ইচ্ছে থাকলে আশা করি এটুকুই যথেষ্ট হবে। আমরা অনেক কিছুই শুনে শুনেই তো বিশ্বাস করে নিয়েছি। এই যেমন ধরুন, আমরা কখনও কি আল্লাহ পাককে দেখেছি? দেখি নি। দেখা সম্ভবও নয়। বাহ্য চোখে। এই পৃথিবীতে তাঁকে দেখা আদৌ সম্ভব নয়। তাই বলে তাঁকে কি আমরা বিশ্বাস করছি না? প্রভূ হিসেবে স্রষ্টা হিসেবে মেনে নিচ্ছি না? বিশ্ব জাহানের স্রষ্টা, মালিক তিনি- এই বিশ্বাস অন্তরে লালন করছি না? তো, এরকমই তো কত কত বিষয় রয়েছে, যেগুলো আমাদের দৃষ্টির সীমানার বাইরে থাকলেও আমাদের তা অবলীলায় মেনে নিতে হয়। ধরুন, তাপ কিংবা শীত এগুলো কি দেখা যায়? দেখা যায় না। তাই বলে এগুলোর অস্তিত্ব কি অস্বীকার করা যাবে? অনুভবে বুঝে নিতে হয় এদের উপস্থিতি অনুপস্থিতি।

আপনার বক্তব্য যদিও পরিষ্কার নয়, তদুপরি যতটুকু বুঝেছি তার আলোকেই কথা বলছি, আপনার প্রশ্ন ''তাই কোরান সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ না করে সে কিভাবে মুসলিম হতে পারে?'' মেনে নিলে প্রত্যেক মুসলিমকেই কুরআনে পাকের এক একজন গবেষক মুফাসসির হওয়া প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এটা আদৌ কোন দিনই কি সম্ভব?

আপনার বক্তব্য- ''কারণ যে আল্লাহর আদেশ পালনে অবাধ্য হবে বা নিষেধসমূহ পরিহারে ব্যর্থ হবে সে সরাসরি কাফের বলেই বিবেচিত হবে, সে কোনভাবেই মুসলিম হত্ পারবে না।'' সম্পূর্ন অমূলক। বিনয়ের সাথে জানতে চাই, কোথায় পেয়েছেন এইসব গাঁজাখোরী ফতোয়া? আপনার কথা তো স্বয়ং কুরআন বিরোধী। কারন, কেউ আল্লাহর কোন হুকুম পালনে ব্যর্থ হলেই যদি সে কাফের হয়ে যেত তাহলে তাকে নতুন করে ইসলাম গ্রহন করার কথা বলা হত। কিন্তু, আল কুরআনে আল্লাহ পাক তাওবার কথা বলেছেন। ইসলাম নবায়নের কথা বলেন নি। প্রমান দেখতে চাইলে কুরআন পাকের এরকম অসংখ্য আয়াত পাবেন। প্রমান স্বরুপ মাত্র ৩ টি আয়াত বাংলা তরজমাসহ দেয়া হল। দেখুন-

قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সূরাহ আল যুমার, আয়াত- ৫৩।

ثُمَّ إِنَّ رَبَّكَ لِلَّذِينَ عَمِلُواْ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ تَابُواْ مِن بَعْدِ ذَلِكَ وَأَصْلَحُواْ إِنَّ رَبَّكَ مِن بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ


অনন্তর যারা অজ্ঞতাবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর তওবা করে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়, আপনার পালনকর্তা এসবের পরে তাদের জন্যে অবশ্যই ক্ষমাশীল, দয়ালু। সূরাহ আননহল, আয়াত-১১৯।

وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُواْ فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُواْ أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُواْ اللّهَ فَاسْتَغْفَرُواْ لِذُنُوبِهِمْ وَمَن يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ اللّهُ وَلَمْ يُصِرُّواْ عَلَى مَا فَعَلُواْ وَهُمْ يَعْلَمُونَ

তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না। সূরাহ আলে ইমরান, আয়াত-১৩৫।

أُوْلَـئِكَ جَزَآؤُهُم مَّغْفِرَةٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَجَنَّاتٌ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَنِعْمَ أَجْرُ الْعَامِلِينَ

তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। যারা কাজ করে তাদের জন্য কতইনা চমৎকার প্রতিদান। সূরাহ আলে ইমরান, আয়াত-১৩৬।

আর এরপরে শেষের দিকে প্রদত্ত আপনার বক্তব্যও হাস্যকর এবং রীতিমত অবান্তর। বিশ্ব বিদ্যালয় পাশ করা লোক বলে কেউ যদি গর্ব করে বলে যে, ''অদ্য যে ব্যক্তি এই এলাকায় যে সরকারের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারির মাইকিং করেছে, তাকে আমি চিনি, সে একজন নিচু শ্রেনির মেথর। এই মেথর দিয়ে প্রদত্ত ঘোষনা আমি কোনভাবেই মেনে নিব না। কারন অামি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষিত এবং সম্মানিত লোক।'' বলা বাহুল্য, একথা বলা বা ধারনা করা যেমন স্রেফ বোকামী ঠিক একইভাবে, আল্লাহর বানী কে পড়ে শোনালেন, কে রাসূলের হাদিস ব্যাখ্যা করে বুঝালেন তার মর্যাদা তালাশ করা কেবলমাত্র অজ্ঞতা আর বাহানা ব্যতীত আর কিছুই নয়।

আনোয়ার ভাই,
শুধুমাত্র আপনার রিকোয়েস্ট রক্ষার্থে এতটুকু আলোচনায় এলাম। ভাল থাকবেন ভাই।

স্বতু সাঁই,
কোন কথায় কষ্ট পেয়ে থাকলে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। সত্যকে চেনার সামান্য প্রচেষ্টামাত্র। অনেক ভাল থাকবেন।

আল্লাহ পাক আমাদের মাফ করুন। হেদায়েত দান করুন। জান্নাতের রাস্তাকে আমাদের জন্য সহজ করে দিন। আমীন।

০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন নাকিব সহযোগিতা করার জন্য । আপনার জন্য নিরন্তর শুভকামনা । আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক ।

৪১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: প্রথমত আমি লেখকের উদ্দেশ্যেই বলছি, আমি অমূলকভাবে বলি যে আমরা অধিকাংশই শুনে শুনে মুসলমান। ফলে বাবা মারা গেলে ভাড়া করে হুদুর এনে বাপের জানাজা পড়াতে হয়। ধর্মের প্রতি এমনই দূর্বল বিশ্বাস যে নিজে জানাজা পড়ালে বাপ বেহেস্তে যাবে না, তাই ভাড়া করা হুদুরের দ্বারা জানাজা পড়ায়। আজ লেখকও তাই তার এই পোস্টে। লেখক কিছু মনে করবেন না, আমি আপনাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করছি না। আমাদের না জানা কথাগুলোই ব্যক্ত করছি। আসলে শুনে শুনে মুসলমান হওয়া যায় না, এটা কোরান বিরোধী। আল্লাহ কোরানের বহু আয়াতে কাফেরের সংজ্ঞা স্পষ্ট করেই ব্যক্ক করেছেন, আমি তার মধ্য থেকে এখানে কোরানের প্রারম্ভে সুরা বাকারার ৬ ও ৭নং আয়াতে কাফের সম্পর্কে আল্লাহ যা ব্যক্ত করেছেন তা উল্লেখ করছি। "(৬) নিশ্চয় যারা কাফের, তুমি তাদেরকে ভয় দেখাও বা না দেখাও তাদের পক্ষে সমান কথা, তারা ইমান আনবেই না। (৭) আল্লাহ তাদের মন ও কর্ণে রোধক স্থাপন করেছেন এবং চোখে উপরে আবরন দ্বারা ঢেকে রেখেছেন, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন সাস্তি।"
#লেখক, উপরে উল্লেখিত কোরানের দুটি আয়াতে আল্লাহ এতো সুন্দরভাবে কাফেরের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন যার পর আর কিছুই বলার থাকে না। অন্ধ বিশ্বাসে আল্লাহকে স্বীকার করলেই যে সে মুসলিম হবে, এর কোন শর্তই তিনি রাখেন নি। তাহলে আসুন আয়াত দুটি একটু বিশ্লেষণ করে দেখি। আপনি যেহেতু একজন লেখক, কবি বা সাহিত্যের অন্যন্য শাখায় লিখা লিখি করেন সেহেতু বাক্য গঠনের সকল প্রক্রিয়াগুলো আপনার ভালই জানা আছে। কিভাবে বিশেষ্য বিশেষণের ব্যবহার করা হয়, কিভাবে উপমাগুলোরে রূপকে রূপান্তর করা হয় এবং ক্রিয়ার ব্যবহার প্রত্যয়ের ব্যবহার, অব্যয়ের ব্যবহার করা হয় তা কওমী মাদ্রাসার হুদুররা না জানলেও আপনি নিশ্চয় তা জানেন ভালো করে। না জেনে নিশ্চয় কবিতা বা গল্প উপন্যাস লিখতে সাহস করেন নি। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আপনার এ বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। আসুন এবার সরাসরি বিশ্লেষণে চলে যায়।

৬নং আয়াত ব্যাখ্যার আগে ৭নং আয়াতের বিশ্লেষণ আগে করে নেই। "(৭) আল্লাহ তাদের মন ও কর্ণে রোধক স্থাপন করেছেন এবং চোখে উপরে আবরন দ্বারা ঢেকে রেখেছেন, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন সাস্তি।" এই আয়াতে আল্লাহ কিছু উপমার দ্বারা একটি রূপক দাঁড় করেছেন। নিশ্চয় পঞ্চেন্দ্রিয় সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে বলে আমি মনে করি কারণ আপনি কবিতা লিখেন। কবির পঞ্চেন্দ্রিয় সচেতন সফল কবিতা লিখতে পারেন না। পঞ্চেন্দ্রিয় দূর্বল হলে কবিতার অভ্যন্তরে উপমা ব্যবহারের দ্বারা রূপকের বন্ধন সৃষ্টি সঠিকভাবে হয় না কবিতার ভাব ও সৌন্দর্য লোপ পায়, এমন কি কবিতাকে কবিতা বলেই মনে হয় না। শুধু আনকমন শব্দের ব্যবহার আর ছন্দ মাত্রা দিয়ে কবিতা রচনা হয় না। তার চাইতে সাহিত্যের অংশ হিসেবে গদ্য অনেক ভালো।

এই আয়াতে আল্লাহ চক্ষু কর্ণ ও মন এই তিনটি উপমার দ্বারা সুন্দর রূপকের সৃষ্টি করেছেন। এখানে আরও একটু সংযোজন করছি কারণ এসব ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ হুদুররা আপনাকে দিতে পারবেন না কারণ মুখস্থ করা ছাড়া সাহিত্য রচনা কৌশল সম্পর্কে তাদের অতো ধ্যান ধারণা নেই। কিছু হাদিস ও কিছু চাপা মুখস্থ থাকলেই ওয়াজ করা যায় তাতেই হাজার হাজার টাকা কামায় করা যায়, ফলে সাহিত্যের গভীরতা নিয়ে তাদের ভাবনা নয়। কিন্তু আল্লাহ তো আর হুদুরদের মত এতো নির্বোধ না চাপাবাজী মেরে কোরানের মত একটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করবেন। তাই আল্লাহর সৃষ্টি তত্ত্বে সাহিত্যাঙ্গনে কাব্য রচনা উন্নতমানের সৃষ্টি রহস্য। তাই আল্লা বার বার কোরানে উল্লেখ করেছেন, "পারলে তোমরা কোরানের আয়াতের মত একটি আয়াত সৃষ্টি করে !" তাই তো একটি আয়াতের ব্যাখ্যা প্রদান করতে এতো কথা খরচ করতে হচ্ছে।

চক্ষু কর্ণ, নাসিকা, ত্বক ও জিহ্বা। এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়কে পঞ্চেন্দ্রিয় বা জ্ঞানেন্দ্রিয় বলে। অর্থাৎ আমরা যা জ্ঞান অর্জন করি তার সকল কিছু এই পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা আহরণ করে বিবেকের দাঁড়িপাল্লায় অঙ্কশাস্ত্রীয়ের বাটখারা দিয়ে ওজন করে সঠিক হলে তা থেকে জ্ঞান অর্জন করি। শুধু চোখে দেখলেই জ্ঞান অর্জন করে জ্ঞানী হওয়া যায় না। জ্ঞানী হতে হলে অনেক বিচক্ষন হতে হয়।

চক্ষু দ্বারা আমরা সরাসরি দেখে থাকি। কিন্তু সবসময় যে আমরা সঠিক দেখি তাও না। কারণ অনেক সময় অন্য এক ব্যক্তিকে দেখে নিজের পরিচিত জনের নাম ধরে ডাকি, এ রহিম বা করিম ইত্যাদি। কিন্তু আসলে সে রহিম বা করিম না। আলোকতরঙ্গের তারতম্যের কারণে স্নায়ুতন্ত্র মস্তিস্কে ভুল তথ্য প্রদান করায় এরূপ ভুল হয়ে থাকে। তাই চক্ষু দ্বারা সকল দর্শনই জ্ঞান এ ধারণা সঠিক না। এ জন্য চক্ষু দ্বারা দৃশ্যগ্রাহ্য বিষয়টিকে নিয়ে বিবেকের স্মরণাপন্ন হতে হয়। এরূপ কর্ণ দ্বারা শ্রবণগ্রাহ্য কোন শব্দের ক্ষেত্রেও একই। শব্দ যদিও অদৃশ্য একটা মাধ্যম, কিন্তু এর আওয়াজের বিস্তৃতি ব্যাপক বলে একই সাথে অনেকেই তা শুনতে পায়। কিন্তু নাসিকা, ত্বক ও জিহ্বা দ্বারা অনুভূতিগ্রাহ্য যে ধারণাগুলো আমরা আহরণ করি তা প্রথমে স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে মস্তিস্কে গিয়ে তা মনে আনুভূতি জাগায়। সেক্ষেত্রেও চক্ষু ও কর্ণের মত ভু হতে পারে, তাই মনকেও বিবেকের স্মরণাপন্ন হয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হয়। এজন্য আল্লাহ কোরানে শুধু মন দ্বারা ইন্দ্রিয়ের নাসিকা, ত্বক ও জিহ্বা এই তিনটি ইন্দ্রিয়কে একত্রিকরণ করে পঞ্চেন্দ্রিয় বা জ্ঞানেন্দ্রিয়কে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ চক্ষু দ্বারা দৃশ্যরস, কর্ণ দ্বারা শব্দরস, নাসিকা দ্বারা গন্ধরস, ত্বক দ্বারা স্পর্শরস এবং জিহ্বা দ্বারা রসরস গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সৃষ্টি সকল সৃষ্টির সৃষ্টিহস্যের জ্ঞান অর্জন করি। অর্থাৎ পঞ্চেন্দ্রিয় সচেতনগ্রাহ্য ব্যক্তিকেই আল্লাহ জ্ঞানী বলে উল্লেখ করতে চেয়েছেন। কিন্তু যদি কারো পঞ্চেন্দ্রিয় বা জ্ঞানেন্দ্রিয় আবরুদ্ধ বা আবরণে ঢাকা বা মোড়ানো থাকে তাদেরকে কি বলা যেতে পারে? তাদেরকে অজ্ঞ, মূর্খ, অন্ধ, বোবা, বধির ইত্যাদি শব্দ দ্বারা বিশেষায়িত করা যেতে পারে। তাই আল্লাহ ৫নং আয়াতে উল্লেখ করছেন যে কাফেরের এই পঞ্চেন্দ্রিয় বা জ্ঞানেন্দ্রিয় অবরুদ্ধ বলে এরা অজ্ঞ মূর্খ, এদের দ্বারা সৃষ্টিতত্ত্বের জ্ঞান অর্জনে সম্পূর্ণরূপে অসামর্থ। অর্থাৎ কোরানের পরিভাষায় আল্লাহ স্পষ্ট করেই উল্লেখ করছেন যে জ্ঞান অর্জনে যারা অসামর্থ অজ্ঞ মূর্খ তারাই কাফের।

এখন লেখককে আমি পিছনে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। কি করে আপনি শুনুয়া মুসলমান হয়ে নিজেকে মুসলিম বলে দাবী করবেন?

এখন আসুন, মুসলিম শব্দটি দ্বারা আল্লাহ মুসলিমের যে অন্তর্নিহীত ভাব ব্যক্ত করেছেন সেখানেও তিনি উল্লেখ করেছেন অজ্ঞ মূর্খ কখনই মুসলিম হতে পারে না। মুসলিম শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো, অনুগত। এখন প্রশ্ন হলো, কার অনুগত হতে হবে? শেখ হাসিনার? খালেদার? শফি হুদুরের? নাকি আল্লাহর? নিশ্চয় এ ক্ষেত্রে আল্লাহরই হবে। এখন অনুগত বলতে আমরা কি বঝে থাকি? প্রভূ বা স্বামীর আদেশসমূহ মান্য করা এবং নিষেধসমূহ পরিহার করে চলাকেই প্রভূ বা স্বামীর অনুগত বলে বুঝি। তাহলে আল্লাহর অনুগত হতে হলে, আল্লাহর আদেশসমূহ মান্য করতে হবে এবং নিষেধসমূহ পরিহার করে চলতে হবে। আল্লাহর এই নির্দেশনাগুলো আমরা কোথায় পাবো? নিশ্চয় তা কোরানে! অর্থাৎ কোরান অজ্ঞ বা মূর্খের দ্বারা বোঝা সম্ভব না তাই কোরান বুঝতে হলে তাকে জ্ঞানেন্দ্রিয়ে সচেতনশীল জ্ঞানী হতে হবে। এখন বলুন, মুসলিম শব্দে আল্লাহ মুসলিমের যে অন্তর্নিহীত ভাব ধরে রেখেছেন, তাতে কি আপনি শুনুয়া মুসলমানকে মুসলিম বলে স্বীকৃতি দিতে পারেন? কখনই না। মুসলিম হতে হলে অন্তত পক্ষে জেনে বুঝে কোরানের জ্ঞান আহরণ করতে হবে তবেই নিজেকে মুসলিম বলে পরিচিতি দেওয়া সম্ভব। সাপের মন্ত্র স্বরূপ কোরান আবৃতির দ্বারা নিজেকে মুসলিম বলে স্বীকৃতি প্রদান করা সম্ভব না। অর্থাৎ আল্লাহর পরিভাষায় নিকষিত মানবই হচ্ছে একমাত্র মুসলিম। মুসলিম কোন জাতি বা গোত্র নয়। মুসলিম শব্দটি দ্বারা আল্লাহ জ্ঞানী হওয়ার নির্দেশনা দান করেছেন। কিন্তু যত্রতত্রভাবে নিজেদেরকে মুসলিম বলে স্বীকৃতি দান করায়, মুসলিম জাতি হয়েছে, গোত্র হয়েছে, ফলে মুসলিম শব্দটি এমনই পচন ধরেছে যার ফলে সারাবিশ্ব এর দূর্গন্ধে দূর্গন্ধময়।

#লেখক, ভাড়াটিয়া বক্তাকে এখনই ধন্যবাদ দেওয়ার সময় আসে নি, আরও একটু অপেক্ষা করুন।

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার হাতে অনেক সময় !!

ভাল থাকুন ।

৪২| ১০ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



সেলিম আনোয়ার,
ভদ্দরলোককে শেষ পর্যন্ত সঠিক কথাটি বলতে পেরেছেন। এছাড়া আরেকটি রাস্তাও আমাদের জন্য খোলা রয়েছে। এদের হাত থেকে বাঁচতে আগ-পিছ না ভেবে সোজা জঙ্গলের দিকে যাত্রা করা।

জীবন দিয়ে দিলেও সত্য যাদের গায়ে সয় না, তাদের অবস্থা এমনই। সবকিছু বুঝেও এরা টানা হেচড়া থেকে এক চুল সরে যাবে না।

আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
ভাল থাকবেন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.