নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাতকন্যা বর্ষা এলে

২০ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২৯



সাতকন্যা কোথায় থাকো ?
ধুত্তোরি ছাই— তোমাদের বর্ষাকাশে পাচ্ছি নাতো।

আগে তো বর্ষা এলে জুড়ে দিতে রূপকথার মায়াকান্না
অঘোর বর্ষণে সিক্ত হতো রিক্ত ভুমি
পথঘাট সয়লাব হতো নব জলধারা বুকে
নিত্য যেন তার সন্ধি হতো নদীর সাথে- সরোবরে
পা পিছলে ঢাকনাছাড়া ম্যনহোলে পড়ে দূর্ঘটনা বিড়ম্বনা
সেসব কথা স্মৃতির বাক্স ঘেটে— টেনে তো আর আনছিনা
গুমোট আকাশ—থমথম
রিমিঝিম বৃষ্টিতে পা পিছলে আলুর দম
ওগো বর্ষা মেয়ে বলো লুকোলে কোথায় গিয়ে?
সূর্যটার চোখ রাঙানি তাই
ভ্যাবসা গরম ঘর্মাক্ত দেহ—কেমন নিদারুন লাগে!
কোথায় গেলো বৃষ্টিভেজা সাতটি দিন।
প্রথম প্রথম বর্ষা এলে,
নাকি হারাধনের ধনের মতো— মনভুলা মনের মতো
হারিয়ে গেল বেদনা বাড়িয়ে দিল বুকে
সাতকন্যা ফিরে আয়—বৃষ্টির রিমঝিম নূপুর পায়
আলস্য সব অবহেলে...

আমার মন আজ পরীর সাথে
প্রজাপতির পাখায় চড়ে ভিজতে চায় গো ভিজিতে চায়
সুখের মত বর্ষায় আমাদের এই পঁই পঁই ভালোবাসা
কাব্য করে নাইতে চায় গো নাইতে চায়।

ধুত্তোরি ছাই— কোথায় থাকো
সাতকন্যারা আড়লে থেকো না আর
স্মৃতি হয়ে ডেকোনা আর; ফিরে এসো— প্রগাঢ় বাস্তবতায়...
নাইবোগো আমার দু'জন—পাখির কূজন বনবিহারে
আমি শুধু তোমায় চাই ....দু'জন ভেজাবো গা
বৃষ্টির নবধারা জলে


মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সাতকন্যারা লিখলেন আবার বললেন দুইজনে ভিজবেন ক্যামনে কি

২০ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি

সাতকন্যা বৃষ্টিময় সাতদিন আর ভিজবো প্রিয়তমাকে সাথে নিয়ে । এই দুজন মানুষ । আর সাতজন অমানুষ মানে বৃষ্টিমুখর দিন। আগে বর্ষা এলে আমার মনে গুনতাম প্রথম সাত দিনে কয়দিন বৃষ্টি হলো???

২| ২০ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: দারুন সুন্দর। দারুন সুন্দর।

২০ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।

৩| ২০ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: বর্ষার বর্ষা মেয়েকে খোজার চেষ্টা করছেন কবিতায়,কবির ভাবনার জুড়ি নেই।

৪| ২০ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





সাত ভাই চম্পা জাগোরে
জাগোরে
ঘুম ঘুম কাটেনা ঘুমেরই
ঘোরে
একটি পারুল বোন আমি
তোমার
আমি সকাল সাঁঝে শত
কাজের মাঝে
তোমায় ডেকে ডেকে সারা
দাও সাড়া গো সাড়া

লতা মাঙ্গেশকারের এই গানটি আপনার জন্য উপহার সেলিম ভাই।




৫| ২০ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রচন্ড অস্বস্তিকার গরমের মধ্যে এক ঝলক ঠান্ডা বাতাসের মতো ভালো লাগা কবিতা।

শুভকামনা প্রিয় কবি ভাইকে।

৬| ২১ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:০৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: যেহারে গরম পড়ছে, একটানা একদিনের বৃষ্টির খুবই প্রয়োজন।পরিবেশ কিছুটা হলেও শীতল হবে ।

৭| ২১ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৩০

কালো যাদুকর বলেছেন: ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন। আগে সাতকন্যার বৃষ্টি ছিল। কোথা থেকে এটা এসেছে জানি না, তবে বর্ষার সবচেয়ে বেশী যে যে দিনে বৃষ্টি (পর পর হতে হবে) পড়ত, সে দিন গুলাকে সাতকন্যার বৃষ্টি বলা হত।
কোথায় গেল সে সুদিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.