নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেসবুকে আমি - রিয়াদুল রিয়াদ (শেষ রাতের আঁধার)

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার )

কিছু মানুষ অন্য মানুষকে মুগ্ধ করার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। আর কিছু মানুষের ভিতর এই ক্ষমতা কখনই আসে না। আমি দ্বিতীয় দলের মানুষ। কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু কখনই করতে পারি না। কেউ অনেক সুন্দর গান গায়, আমি শুধু শুনে যাই। কেউ অনেক সুন্দর নাচে, আমি শুধু হাত তালি দিয়ে যাই। কেউ অনেক সুন্দর লেখে, আমি শুধু ভেবে যাই, কী করে এত ভালো লেখে কেউ? আমিও লিখি। তবে তা কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু না। আমার লেখায় আমার ভালোবাসা ছাড়া কিছুই নেই। পড়াশুনা শেষ, বুটেক্স থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হয়ে চাকরি, বিয়ে, পেশা পরিবর্তন সব হয়েছে। লেখালেখির ধারাবাহিকতায় চারখানা উপন্যাস অমর একুশে বইমেলায় বেরিয়েছে। টুকরো ছায়া টুকরো মায়া (২০১৫) – সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । একা আলো বাঁকা বিষাদ (২০১৬) – সামাজিক উপন্যাস । মধ্য বৃত্ত (২০১৮) – ডিটেকটিভ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । অভিসন্ধি (২০২০) – ক্রাইম থ্রিলার । দেশটাকে ভালোবাসি অনেক। অনেক মায়া কাজ করে। মাঝে মাঝে ভাবি, সব বদলে দিতে পারতাম। স্বপ্নের মত না, বাস্তবের মত একটা দেশ গড়তে পারতাম …………………………

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) › বিস্তারিত পোস্টঃ

একা আলো বাঁকা বিষাদ এবং কিছু অপ্রয়োজনীয় লাইন

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

পৃথিবীর অদ্ভুত নিয়মের মধ্যে একটা, সব জায়গায় যে নিয়ম মেনে চলে। তুমি দুর্বল, তুমি সরে দাঁড়াও, পৃথিবী শক্তিশালীদের জন্য, ক্ষমতাবানদের দখলে। দুর্বলদের মুখ বুজে সহ্য করা মানায়, কিছু বলা মানায় না। অনেক গুলো দুর্বল মিলে শক্তিশালীর চেয়ে বেশী ক্ষমতা হতেই পারে, কিন্তু দুর্বলদের মাঝে মিলেমিশে এক হবার টান দেয়ালে পিঠ ঠেকেও আসে না।



মানুষের বেশীর ভাগ কাজই মোটামুটি একটা পরিণতি ভেবে করা। কেন যেন, না ভেবে করা কাজ গুলোই ভুল হয়ে দাঁড়ায় জীবনের। অনেক বড় বেদনার কারণ হয়ে সামনে আসে। মানুষ চাইলেই সে ভুল গুলো শুধরে নিতে পারে না। চাইলেই সে কাজ আবার পরিণতি ভেবে পুনরায় করতে পারে না।


একটা মেয়ে খুব সহজেই দুজন ছেলের মাঝে সমঝোতা করিয়ে দিতে পারে। কিন্তু দুজন মেয়ের মাঝে কখনই পারে না। বরং সমঝোতা বাদ দিয়ে উল্টা এক পক্ষ নিয়ে আরও মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করে।


চোখের পানি বড় অবাধ্য। যতই বাধ্য মানাবার চেষ্টা করা হোক, মানে না। বুকের ভিতরের মেঘ গুলোকে বৃষ্টি করে চোখ দিয়ে ঝরিয়ে দেয়। বৃষ্টি না হলে, বুকের মাঝে যে ঝড় ঝাপটা বয়ে যায়, তা সবাই সামলাতে পারে না।



একটা পুরুষ একটা নারী দেহ দেখতেই পারে, তাতে প্রতিবাদের অধিকার সমাজ দেয় নি। সমাজ কিছুটা অধিকার দিয়েছে প্রতিবাদের শুধুমাত্র নারী দেহ কোন পুরুষ স্পর্শ করলে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে নারীরা সেই কিছুটা অধিকারও আদায় করতে পারে না।



হেঁটে চলে যায় আকিম। গাছের ছায়ার নিচে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে নিতু। কিছু ভাবনা মাথার এপাশ ওপাশে ঘুরাঘুরি করে। সে ভাবনার একটা জায়গা জুড়ে জুম্মান। অন্য জায়গায় আকিম। কিন্তু জানে একটা সময় পর, একটা চিন্তা ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। মানুষের মস্তিষ্ক একই সাথে দুই চিন্তা কখনই করতে পারে না। কম প্রয়োজনীয় চিন্তাটা ছুঁড়ে ফেলে দেয়। সে ছুঁড়ে ফেলা চিন্তার মাঝেই হয়ত হারিয়ে যাচ্ছে অনেকটা ভালবাসা, খুব আপন কোন মানুষ। বুঝেই কখনও ব্যাপারটা উঠতে পারে না সে মানুষটা।



যে বনে বাঘ থাকে না, সে বনে তো শিয়াল রাজা হবেই।


মৃত্যু এমন একটা জিনিস, আমরা জানি আমি তা বরণ করব, বরণ করবে খুব কাছের মানুষটাও। তবুও আমরা ভাবতে চাই না, কখনও মনে আনতেও চাই না, কাছের মানুষটা মৃত হয়ে হারিয়ে যাবে। কিছু কল্পনাকে আমরা আটকে সাটকে রাখি, পাছে সে কল্পনা সত্যি হয়ে যায়। আটকে রেখেও লাভ হয় না, প্রিয় মানুষটা কিংবা নিজে সবারই ঐ অপ্রিয় জিনিসটা বরণ করতেই হয়।


যে মানুষ কখনও বুদ্ধির কোন কাজই করে নি, সে মানুষ এমন একটা বুদ্ধির কাজ করে খুশি হবে তাই তো স্বাভাবিক।


নানা মানুষ নানা রকম, নানা রকম তাদের দুঃখ, তাদের ভাল লাগা। মানুষ খুঁজে ফিরে সব সুখের মধ্য থেকে খুব সহজে কষ্ট গুলো বের করে আনে, আবার সে কষ্টের মাঝেই সুখ গুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। মানুষের মন কখন কিসের প্রতি টানে বলা যায় না।

স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাওয়া মানুষ গুলোর জন্য পৃথিবী খুব দুর্বিষহময়, স্বপ্ন দেখতে জানা মানুষ গুলোর জন্য তা নানা রঙের, নানা নতুন কিছুর।

রাগ খুব বাজে জিনিস, যার প্রতি রাগ, মনের সাথে যুদ্ধ করে হলেও মনকে বুঝাবার চেষ্টা করে, সে পৃথিবীর জঘন্যতম মানুষ। রাগ মানুষের মনের ভাল ভাবনা গুলোকে নষ্ট করে দেয়।

মানুষ যা চায় তা হয়ত সবসময় পায় না। আবার মাঝে মাঝে বুঝতেই পারে না, আসলেই কী দরকার তার, কী প্রয়োজন।

সহজ সরল মানুষ গুলো জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই কেমন যেন ঠকে যায়। সবাই সব এদের উপর চাপিয়ে নিজে দোষ মুক্ত হতে চায়।



প্রতিটা উপন্যাসে উপন্যাসের চরিত্র ঘিরে লেখা লাইন গুলোর বাহিরেও কিছু লাইন থাকে। সে লাইন গুলো না থাকলেও উপন্যাস চলে, মানুষ বুঝে। তবুও লিখতে গেলে কিছু অপ্রয়োজনীয় লাইন প্রয়োজনেই চলে আসে।

একা আলো বাঁকা বিষাদ আমার দ্বিতীয় প্রকাশিতব্য উপন্যাস। প্রকাশিত হবে একুশে বইমেলা ২০১৬ তে। প্রকাশনীঃ বর্ষা দুপুর।
একা আলো বাঁকা বিষাদের কিছু অপ্রয়োজনীয় লাইনই উপরের গুলো।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অনেক গুলো দুর্বল মিলে শক্তিশালীর চেয়ে বেশী ক্ষমতা হতেই পারে, কিন্তু দুর্বলদের মাঝে মিলেমিশে এক হবার টান দেয়ালে পিঠ ঠেকেও আসে না।

যে বনে বাঘ থাকে না, সে বনে তো শিয়াল রাজা হবেই।

আপনার বইয়ের জন্য শুভকামনা রইল :)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৫

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ধন্যবাদ। দোয়া করবেন। :) সামনে যেন ভাল কিছু করতে পারি আরও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.