নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেসবুকে আমি - রিয়াদুল রিয়াদ (শেষ রাতের আঁধার)

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার )

কিছু মানুষ অন্য মানুষকে মুগ্ধ করার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। আর কিছু মানুষের ভিতর এই ক্ষমতা কখনই আসে না। আমি দ্বিতীয় দলের মানুষ। কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু কখনই করতে পারি না। কেউ অনেক সুন্দর গান গায়, আমি শুধু শুনে যাই। কেউ অনেক সুন্দর নাচে, আমি শুধু হাত তালি দিয়ে যাই। কেউ অনেক সুন্দর লেখে, আমি শুধু ভেবে যাই, কী করে এত ভালো লেখে কেউ? আমিও লিখি। তবে তা কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু না। আমার লেখায় আমার ভালোবাসা ছাড়া কিছুই নেই। পড়াশুনা শেষ, বুটেক্স থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হয়ে চাকরি, বিয়ে, পেশা পরিবর্তন সব হয়েছে। লেখালেখির ধারাবাহিকতায় চারখানা উপন্যাস অমর একুশে বইমেলায় বেরিয়েছে। টুকরো ছায়া টুকরো মায়া (২০১৫) – সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । একা আলো বাঁকা বিষাদ (২০১৬) – সামাজিক উপন্যাস । মধ্য বৃত্ত (২০১৮) – ডিটেকটিভ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । অভিসন্ধি (২০২০) – ক্রাইম থ্রিলার । দেশটাকে ভালোবাসি অনেক। অনেক মায়া কাজ করে। মাঝে মাঝে ভাবি, সব বদলে দিতে পারতাম। স্বপ্নের মত না, বাস্তবের মত একটা দেশ গড়তে পারতাম …………………………

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: পাপ দ্বন্দ্ব

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২২


১.৩
"আমার বোনের ধর্ষণের বিচার চাই।"
একা একটা ছেলে শিরদাঁড়া উঁচু করে প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গেল। কেউ পাশে ছিল না। কেউ না। ধর্ষিত মেয়েটার তেমন কোনো পরিচয় নেই। একজন পতিতার ধর্ষণকে কেউ গুরুত্ব সহকারে নেয় নি। কেউ মিছিল করেনি, স্লোগান দেয় নি। পতিতা মেয়েটা ধর্ষিত হয়েছে, এ খবর শুনে আর কারও মাঝে প্রতিবাদ করার চিন্তা আসেনি৷ বরং পত্রিকায় এ খবর ছাপার পর, বেশির ভাগই নাক ছিটকেছে, "বেশ্যা মেয়ে ধর্ষণ হয় কী করে? টাকা পয়সায় বনিবনা হয় নি, বলে দিয়েছে ধর্ষণ!" বলে।

শামীম তবু একা এসে রাস্তার পাশে দাঁড়াল। দুই দিনের মাথায় অনেকেই জমে গেল আশেপাশে। দাঁড়াল ধর্ষণের প্রতিবাদে।
এর মাঝে হুট করে শামীমকে পুলিশে গ্রেফার করাটা দারুণ সরব করে তুলেছে দেশবাসীকে। একটা মানুষ ধর্ষণের প্রতিবাদ করেই কেন গ্রেফতার হবে? সব প্রতিবাদী মুখ বন্ধ করে দেবার যোগাড় করতে চেয়েছে পুলিশ। মানুষ তা মেনে নেয় নি। শামীমের গ্রেফতারের পর রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছে আরও শ'খানেক মানুষ, "আমিও ধর্ষণের প্রতিবাদ করছি, আমায় গ্রেফতার করো।" প্ল্যাকার্ড হাতে।

পুলিশের অভিযোগ শামীমকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাকে খুন করেছে, কেন করেছে, কবে করেছে, সে প্রশ্নের উত্তর পুলিশ দেয় নি। উত্তর নেই হয়ত তাদের কাছে। ধর্ষণের প্রতিবাদ দমিয়ে দেবার জন্যই এই গ্রেফতার, তা বুঝতে বাকি নেই সাধারণ জনগণের। পুলিশের কাছে যখন জানতে চাওয়া হয়েছে, "কাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার শামীম?"
পুলিশ বলেছে, "সব জানানো হবে।"
গল্প ফাঁদার পায়তারা মানুষ বুঝতে পারে। সাধারণ মানুষও তা বুঝতে পারছে। পতিতা মেয়েটার বর্ণনা অনুযায়ী, ধর্ষক টাকা পয়সা ওয়ালা। গাড়িতে তুলে নিয়ে এই কাজ করেছে। ক্ষমতাবানের পক্ষে পুলিশ অবস্থান নিচ্ছে, আর কিছুই না। এই ধর্ষণের বিচার হবে না৷ শামীমের মত প্রতিবাদী কেউ বিনা দোষে শাস্তি পাবে।

১.২
মনিরের সাথে আজ প্রথম দেখা হবার কথা অর্পার। ঘন্টা দেড়েক দাঁড়িয়ে আছে, অথচ কোন খবর নেই মনিরের। একবার কল রিসিভ করে বলল, "আসছি। কাছাকাছি আমি।"
এরপর থেকে কলও ধরছে না, কোন খবরও পাচ্ছে না। একটু দূরে দাঁড়ানো ছেলেগুলো আজেবাজে কথা বলে যাচ্ছে। কুৎসিত ইঙ্গিত করে যাচ্ছে। এতো মানুষের ভিড়েও নিজেকে বড় একা লাগছে অর্পার, লাগছে অসহায়। নীল রঙের শাড়িটা আজ প্রথম পরেছে শুধু মনিরের সাথে দেখা করবে বলেই। ফেসবুকের পরিচয়ে দেখা করতে আসাটা নিজের কাছেই এখন বোকামি লাগছে। এতোটা বোকা কেন অর্পা? এভাবে এখানে আর দাঁড়িয়ে থাকার আর কোন মানেই হয় না। হনহন করে হাঁটতে শুরু করল। ভুলেও আর কখনও মনিরের কল ধরবে না, কথা বলবে না, যোগাযোগ করবে না অর্পা - এটাই শেষ সিদ্ধান্ত।

মনিরের লাশ পড়ে আছে রাস্তার পাশে। কিছুক্ষণ আগেই একটা বাইক এসে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল। ছিটকে পনেরো বিশ হাত দূরে গিয়ে পড়ল শরীরটা। মাথা সোজা গিয়ে আঘাত করল রাস্তার ডিভাইডারে। ওখানেই শেষ৷ দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ কিছু বুঝে উঠবার আগেই সাই করে বাইকটা চলে গেল। আটকানো সম্ভব হলো না।
এম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে নেয়া হলো। ঘোষণা করল মনিরকে মৃত হিসাবে।
অর্পা সে খবর জানল না। অর্পা অভিমান জমিয়ে বসে রইল। মনিরকে ভুলে যাওয়া দরকার, মাথার ভিতর থেকে তাড়িয়ে দেয়া জরুরী।

১.১
"তুমি অকারণে আমার সাথে এমন করতে পারো না।"
ফোনের ওপাশ থেকে শামীম কথাগুলো বলে, অর্পা থাকে চুপ করে। এক জিনিস এতোবার করে বলবার কোন ইচ্ছা অর্পার নেই।
শামীম আবার গলায় জোর এনে বলে, "কথা বলো না কেন? উত্তর দাও আমার কথার।"
অর্পা ছোট করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে৷ শান্তস্বরে বলে যায়, "আস্তে কথা বলো শামীম। আমি অনেকবার বলেছি, আমার সাথে চিল্লাপাল্লা করে কথা বলবে না।"
"তোমার যা ইচ্ছা হবে, তাই করবে। আর আমি চুপ করে বসে থাকব?"
"আমি তোমাকে সোজা সাপ্টা জানিয়ে দিয়েছি শামীম, তোমার সাথে আমি আর সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছি না। তুমি এরপরও জোর কেন করছ?"

শামীম রেগে যায়। রাগে কাঁপতে কাঁপতে বলে, "আমার কিন্তু প্রচন্ড রাগ লাগছে। তুমি আমাকে ক্লিয়ারলি বলো, কী চাচ্ছ?"
অর্পা আরও শান্ত গলায় বলে, "আমি তোমাকে নিয়ে টায়ার্ড। আমি তোমার সাথে সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছি না। রাখি আমি। আর কল দিও না প্লিজ।"

অর্পা কেটে দেয় ফোন। শামীম অনবরত করে যায় কল। ধরে না অর্পা। শামীমের কথায় কথায় খবরদারি ভালো লাগে না অর্পার। একটা সম্পর্কে সম্মান থাকবে, প্রতিটা ব্যাপারে বোঝাপড়া থাকবে। অর্পা আর শামীমের সম্পর্কে এই ব্যাপারটাগুলোর ছিটেফোঁটাও নেই। কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, কার সাথে কথা বলছে সব কিছুর খবর দিতে হবে শামীমকে। এই ব্যাপারটাকে সম্পর্ক বলে না। কোনভাবেই না।

গত কয়েকদিন ধরে মনিরের সাথে কথা হচ্ছে। মনির ছেলেটা এমন নয়। প্রতিটা কথাকে গুরুত্ব দেয়, মনযোগ দিয়ে শোনে, কোন ব্যাপারে করতে চায় না খবরদারি। আজ দেখা হবার কথা মনিরের সাথে। একটা নীল শাড়ি পরে যাচ্ছে মনিরের সাথে দেখা করতে। এই ঘটনা শামীম জানে না। সব কিছু কেন শামীমকে জানাতে হবে? জানাবার কোন মানেই হয় না।

মনির হেঁটে চলে রাস্তার পাশ দিয়ে। দেখা হবে আজ অর্পার সাথে। প্রথম দেখা। হাতে করে নিয়ে যাচ্ছে এক তোড়া গোলাপ, পরনে পাঞ্জাবি। হাতিরঝিলে এসে যখন রাস্তা পার হবে, কোথা থেকে হুট করে প্রচন্ড স্পিডে এক বাইক এসে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল মনিরকে। ছিটকে পড়ল গিয়ে ডিভাইডারের উপর। ফুলের তোড়াটা গিয়ে পড়ল রাস্তার মাঝ বরাবর। অন্য এক গাড়ি এসে পিষে দিয়ে গেল ফুলের তোড়া। শেষ নিঃশ্বাস ছাড়ার আগে শুধু এইটুকুই খেয়াল করতে পারল।

১.৪
মনিরের দুর্ঘটনার দিন সন্ধ্যে বেলা হঠাৎ করে শামীম নামের এক ছেলে রাস্তার পাশে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে গেল। এক পতিতা মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, অপরাধী কে খুঁজে পাওয়া যায় নি। তবে নিজের গাড়ি আছে যেহেতু তার মানে ভাল অবস্থা সম্পন্ন কেউ হবে। দুইদিনের মাথায় শামীমের সাথে জুটে গিয়েছিল আরও অনেকে। এর মাঝ থেকে শামীমকে গ্রেফতার করে আনাটা খুব ঝামেলার কাজ ছিল পুলিশের জন্য। সাধারণ জনতা প্রায় ছিনিয়েই নিয়ে গিয়েছিল শামীমকে।

মনিরের যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে তার পাশেই এক সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, দুর্ঘটনার চিত্র। আরও কয়েকটা ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করার পর নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে ঐ বাইকের চালক ছিল শামীম। বেপরোয়া গতিতে চালাবার সময় মনিরকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।
শামীম ছেলেটা ধুরন্ধর। এক্সিডেন্টের ঘটনা ঘটিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গিয়েছে ধর্ষণের বিচার চাওয়ার জন্য। সাধারণ মানুষের সহানুভূতি আদায় করে নিল, সবার কাছে হিরো হয়ে গেল।

অর্পার সাথে ঝগড়ার ঘটনার পর মাথা গরম করে বেপরোয়া বাইক চালাচ্ছিল শামীম। সে বাইকের নিচেই পড়ল মনির।

যে গাড়িতে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে পতিতা মেয়েটাকে, তার মালিক থাকে দেশের বাইরে। যে অল্প বয়স্ক ছেলেটা তার বাসা আর গাড়ি দেখাশুনা করত, ও মাঝে মাঝেই তার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যেত। ঘুরে বেড়াত এখানে ওখানে। রাস্তার পাশে মেয়েটাকে দেখে, টাকা দিয়ে বলল গাড়িতে উঠতে। মেয়েটার কোন ইচ্ছে ছিল না, বাড়ি ফেরার ছিল তাড়া। 'না' ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেনি ছেলেটা। জোর করে গাড়িতে তুলে নিল। সব শেষে, রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেল।

পত্রিকায় মনির ও শামীমের ছবি ছাপা হয়েছে। অর্পা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে তা দেখে। মনিরের ব্যাপারে একটা কথাও শামীমকে জানায় নি অর্পা। শামীম কীভাবে মনিরের খোঁজ পেল? ব্যাপারটাকে কাকতালীয় মানতে নারাজ অর্পা।

সে পত্রিকার পাতা ধর্ষিতা মেয়েটার হাতেও গিয়েছে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে পতিতা মেয়েটা নিশ্চিত করেছে মেয়েটার ধর্ষক মনির। মনির ওর মালিকের গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে রাস্তার পাশ থেকে তুলে মেয়েটাকে ধর্ষণ করেছে।

আমি তোমার কাছে ভালো, আমার কিছু পাপ আছে। তুমি তার কাছে বিশুদ্ধ কেউ, তোমার কিছু পাপ আছে। সে আমার কাছে নির্দোষ, তার কিছু পাপ আছে। এই পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষই কারও গল্পে নায়ক, আবার কারও গল্পে খল। মানব মন পৃথিবীর জটিলতম জিনিস। এই মনের ভালো মন্দের হিসাব বুঝতে পারা দায়।

রিয়াদুল রিয়াদ

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: অসাধারণ দাদা...
এই পৃথিবীতে আমরা সবাই পাপী,
নিজের পাপ না মেপে, অন্যের পাপ মাপি...

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: এবং পাপ পূণ্যের জটিল হিসাবেই আমরা বেঁচে থাকি।

ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: পাপ কখনো করেনা মাপ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আর পাপ ছাড়া মানুষ নেই।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০০

বিজন রয় বলেছেন: এত ঘন ঘন পোস্ট না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রতিদিন পোস্ট না দেওয়াই ভালো।

এখানে অনেকের লেখা পড়তে হয়।
একজন বেশি পোস্ট দিলে লেখা মন দিয়ে পড়া সম্ভব হয় না।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২০

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়। আপনার মতামতটা অবশ্যই মাথায় রাখলাম।

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখায় বাস্তবতা আছে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ধন্যবাদ , নিয়মিত পাঠক এবং লেখক।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯

মোগল সম্রাট বলেছেন:



লেখা চলুক। সাথে আছি।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৪

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ধন্যবাদ। লিখে যাচ্ছি।

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৪

ছোট সাহেব বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৫

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.