নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায় সেলুকাস!! বাংলাদেশে বছরে দুই ঈদ চারদিন পালন!! এ.ও কি সম্ভব???

১৩ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮


সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন, বাংলাদেশ কুরআন ও হাদিস গবেষনা পরিষদের অতিথি বৃন্দ ও আলোচকগন।

সত্যের ছায়া: বাংলাদেশের কোন কোন জেলায় ঈদুল ফিতর ও আযহা উদযাপন হয় এক দিন আগে ও পরে। বেশ কয়েক বছর ধরেই শুরু হওয়া বিষয়টি এখন মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে, এমন কি সম্ভবত ছোঁয়াচে ব্যাধির মত খোদ রাজধানী ঢাকা শহরের দু একটি এলাকায় শাওয়াল মাসের এক তারিখ ঈদ উদযাপন না করে রমজান মাসের ২৯ বা ত্রিশ তারিখেই ওরা সকাল বেলা ঈদের নামাজ পড়ে হাস্যকর ভাবে কোলাকুলি শুরু করে দেয় । ওরা ঈদের নামাজ পড়ে বাড়ীতে এস দেখে বাড়ীর অন্য কোন সদস্য হয়তো ত্রিশ তম রোজা পালন করছে । বিষয়টি হচ্ছে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু করা এবং রোজা শেষে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন না করলে ওদের মতে কোন কিছুই শুদ্ধ হবেনা । বাংলাদেশের মানুষের ধর্মপ্রাণ হবার সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর পীর নামধারি ধর্ম ব্যবসায়ি গোষ্ঠী মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা পালন করাকে বিতর্কিত রুপ দিচ্ছে ।

6 তারিখে যেহেতু সৌদি আরবে ঈদ উদযাপিত হবে , তাই বরাবরের মত এবারও দক্ষিন চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলার ৩০ টি গ্রামে ঈদ উদযাপিত হবে । পটুয়াখালির ২২টি গ্রামের ৫০০ এর অধিক পরিবার এবং শরিয়ত পুরের ডামুড্যা উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে 6 তারিখ ঈদ উদযাপন করবে। । চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ সহ চারটি উপজেলার মট ৪০ টি গ্রামে র ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে । ফরিদপুর জেলার ভাংঙ্গা থানায়ও কয়েকটি গ্রামে ঈদ উদযাপন করা হয় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে। এর বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পীর-আক্রান্ত অনেক এলাকার শত শত পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করবে ।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনকারিদের আজকের সংখ্যাটি কিন্তু আজ থেকে দশ পনেরো বছর আগে এক দশমাংশের বেশী ছিলনা । সচেতনতার অভাবে আজ এ সমস্যা এভাবে মহামারির রূপ ধারন করেছে ।
এভাবে চলতে থাকলে, দেশে যে হারে পীর -কামেলের সংখ্যা এবং মতলববাজ অনুসারির সংখ্যা বেড়ে চলেছে অচিরেই দেশে ঈদ উদযাপনের তারিখ নিয়ে দাঙ্গা ফ্যাসাদ শুরু হওয়া বিচিত্র নয়।

ঈদ শেষে মুসুল্লিদের কোলাকোলি।

এ বিষয়ে সরকারের ধর্ম মন্ত্রনালয়ের ঘুম কবে ভাঙ্গবে ? দেশে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসার আলেম সম্প্রদায় মুখে কেন কুলুপ এঁটে আছে , চিন্তার বিষয় । কথায় কথায় ফতোয়া জারি করা ইসলামি চিন্তাবিদ , আল্লামা শায়েখ খেতাব বহনকারি ওস্তাদদের মুখেও বোধগম্য কারনেই কুলুপ এঁটে দেওয়া আছে ।
এ সমস্ত পীর কামেল নামধারি ধর্ম ব্যবসায়িরা ইসলাম ধর্ম অনুসারি বিপুল জনগোষ্ঠীর এদেশে ইসলাম ধর্মকে বিতর্কিত করে যাচ্ছে , এদের সুপথে ফিরিয়ে আনা এখন আর সহজ কাজটি নয়। সরকার যদি এখন ই উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টির সমাধান না করে তবে এমন সময় আসবে ঈদ উদযাপন নিয়ে এদশের মুসলমানরা ইরাক -ইরানের শিয়া সুন্নি বিভেদের মত অবস্থায় উপনীত হতে বেশী সময় লাগবেনা ।

সত্যের ছায়া’য় তৈরি ফটো কমেন্টস

যদিও
শরিয়ত অনুসারে চাঁদ দেখে রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করতে হবে, সৌদি আরবকে অনুসরণ বা অনুকরণ করে নয়। সবাইকে এ আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ কোরআন ও হাদিস গবেষণা ফাউন্ডেশন।
শনিবার (০৪ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘শরিয়ত মোতাবেক চাঁদ দেখে রোজা রাখুন ও ঈদ উদযাপন করুন’ শীর্ষক বিশেষ সেমিনারে এ আহ্বান জানানো হয়।
সেমিনারে বক্তারা নবী করিম (সা.) এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, প্রিয় নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো আর চাঁদ দেখে ইফতার করো, ঈদ উদযাপন করো। তোমরা একটি বা দু’টি রোজা দ্বারা রমজানের অগ্রগামী হয়ো না’।

অর্থাৎ, ২৯ শাবান চাঁদ দেখেই রমজানের রোজা শুরু করতে হবে। ওই দিন চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাসকে ৩০ দিন পূর্ণ করতে হবে। হাদিস, কোরআন ও ফেকাহ’র কিতাবগুলোতে কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে, সৌদি আরবে চাঁদ উঠলেই বাংলাদেশে রোজা ফরজ হয়ে যাবে। স্মরণ রাখতে হবে, চান্দ্র মাস ২৯ ও ৩০ দিনে হয়, ২৮ বা ৩১ দিনে হয় না। বাংলাদেশের আকাশে ২৯ শাবান বা ৩০ শাবান রমজানের চাঁদ দেখা গেলে রমজানের রোজা ফরজ হবে।
বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দিন সরকার সালেহি সেমিনারে বলেন, ‘এটা একটা জ্ঞানবহিভূর্ত প্রস্তাব। আমরা কেনো তাদের সঙ্গে মিল রেখে রোজা-ঈদ পালন করবো? হাদিসে স্পস্ট বলে দেওয়া আছে যে, চাঁদ দেখে রোজা ও ঈদ পালন করতে হবে, আমরা চাঁদ দেখেই করবো। এটাই সহি’।

সিদ্ধেশ্বরী জামে মসজিদের খতিব মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আপনারা আংশিক পালন করবেন আর বাকিগুলো করবেন না, তা তো হয় না’।
তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি রোজা আর ঈদ সৌদি আরবকে অনুসরণ করে পালন করেন, তাহলে ইফতার, সেহেরি, তারাবি সবকিছুই তারা যে সময় করেন, তখন করবেন’।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কোরআন ও হাদিস গবেষণা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি মাওলানা মো. শহীদুল্লাহ পাটোয়ারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৬


ঈদের নামাজে মুসুল্লিরা

বছরে দুই ঈদে 4 দিন পালন নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন,
(১) সৌদি আরবে ইফতার হয় আমাদের দেশে যখন রাত ১০টা । সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনকারীরা রাত ১০টায় ইফতার করেন না কেন? মাগরিব নামাজ কেন রাত ১০টায় পড়েন না ?
(২) সৌদি আরবে ফজরের ওয়াক্ত হয় তখন, যখন আমাদের দেশে সকাল ৮টা , তাহলে সকাল ৮টায় ফজর নামাজ আদায় করা হয় না কেন? ?
(৩) আমাদের দেশে যখন সকাল ৭টা বাজে তখন সৌদি আরবের সেহেরির সময়, তাহলে কি আমরা সকাল ৭টায় সেহেরি কবর?

মিডিয়ার কথা একটু বলে শেষ করি । টক শো করে প্রতিটা চ্যানেল বহু স্বঘোষিত `আতেল’ দেশবাসিকে উপহার দিয়েছে । আমরা দেশবাসী এই বিষয়টির উপর ধারাবাহিক টক শো দেখতে চাই । পীর উপদ্রুত এলাকার সরল ধর্মপ্রাণ মানুষ গুলো কে সত্য জানানো যায় এমন ব্যবস্থা টিভি চ্যানেল গুলোর করা উচিত ।
সরকারের ধর্ম মন্ত্রনালয়ের এ বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ নিয়ে এর সুরাহা করা উচিত । ইসলাম ধর্মের লোকাল এজেন্ট , বেহেশতের টিকিট বিক্রয়ের ডিলার অনেক পীর কামেল বুজুর্গ এমনকি নিজেদেরকে দেশের মুরুব্বি বলে জাহির করতে লজ্জা পায়না এমন বিজ্ঞ ব্যক্তিদের টিভিতে টক শো করতে দেওয়া হোক এ বিষয়ের উপর । দেখি উনারা কি বলেন এ ব্যপারে ।

চিরাচরিত দৃশ্য

সবাইকে সামুর তরফ থেকে অগ্রীম ঈদ মোবারক ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন, দ্রত এটার সমাধান হওয়া উচিৎ। অনেক ধন্যবাদ........

১৩ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সালাম,
............. ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ......।
সহমত পোষণ করার জন্য।

২| ১৩ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

রমিত বলেছেন: বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ । চাঁদ দেখে রোজা রাখা ও ঈদ পালন করার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু সেটা কোথায় চাঁদ দেখে, মানে কোন ভৌগলিক অবস্থানে চাঁদ দেখে? দেশ বলতে আমরা এই যুগে যা বুঝি তা হলো একটা পলিটিকাল এনটিটি। পলিটিকাল এনটিটি অনুযায়ী বিভক্ত করে বিভিন্ন এনটিটি-তে বিভিন্ন লুনার ক্যালেন্ডার পালন করা কি ঠিক? না কি সমগ্র মুসলিম জাহান-কে একটা এনটিটি ধরতে হবে? যদি তাই ধরা হয় তাহলে মুসলিম জাহান-এর যেকোন এক জায়গায় চাঁদ দেখে অথবা মুসলিম জাহান-এর ধর্মীয় কেন্দ্র মক্কা-মদীনায় চাঁদ দেখা অনুযায়ী ক্যালেন্ডার পালন করা যেতে পারে। বিষয়টি জ্ঞানী-গুণী ইসলামী চিন্তাবিদরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ফয়সালা করতে পারেন।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সালাম,
........... একটি গভীর ও গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন;
আসলে নবী করীম (স:) এর সময় ইসলাম শুধু আরবেই প্রতিষ্ঠিত ছিল। তখন আরবের এক জায়গায় চাঁদ দেখা গেলে অন্য যায়গায় ঈদ পালন করা হত। কিন্তু চার খলিফার আমলে ইসলাম বহি:বিশ্ব জয় করতে থাকে তখন ইসলাম একটি আর্ন্তজার্তিক ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় আর তখন প্রয়োজন পড়ে নতুন নতুন মাসয়ালা ও কর্মপন্থা। সেই লক্ষে চার ঈমাম বিভিন্ন দৃষ্টি কোন থেকে বিভিন্ন উত্তর দিয়েছেন কিন্তু তাদের উৎস ছিল কোরআন ও হাদীস। এখন আপনি বলতে চেয়েছেন;
দেশ বলতে আমরা এই যুগে যা বুঝি তা হলো একটা পলিটিকাল এনটিটি। পলিটিকাল এনটিটি অনুযায়ী বিভক্ত করে বিভিন্ন এনটিটি-তে বিভিন্ন লুনার ক্যালেন্ডার পালন করা কি ঠিক? না কি সমগ্র মুসলিম জাহান-কে একটা এনটিটি ধরতে হবে? যদি তাই ধরা হয় তাহলে মুসলিম জাহান-এর যেকোন এক জায়গায় চাঁদ দেখে অথবা মুসলিম জাহান-এর ধর্মীয় কেন্দ্র মক্কা-মদীনায় চাঁদ দেখা অনুযায়ী ক্যালেন্ডার পালন করা যেতে পারে

এখন কথা হলো আমরা যখন নামাজ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আদায় করতে পারছি না তখন ঈদ পালন করার প্রশ্নই আসে না। আর ইসলামে কোথাও লেখা নেই সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ পালন করতে হবে।

সময় সম্পর্কে দলিল:
সময় নিয়ে আবু হুরায়রা রাঃ বর্নিত এবং ইমাম বুখারির সংরক্ষিত বিখ্যাত হাদিস হলঃ- আল্লাহ পাকের রাসূল সাঃ বলেছেনঃ "আল্লাহ (পাক) বলেছেন, আদম সন্তানেরা সময়কে গালি দিয়ে আমাকে আঘাত করে; আমিই সময়, আমার হাতেই আছে সব কিছু, এবং আমি দিন এবং রাত্র আবর্তিত বিল্ববের কারণ" (বই ৬৫, হাদিস নাম্বার ৪৮২৬), :

হজরত ইবনে আব্বাস রা: বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, মানুষের জন্য দু’টি আশীর্বাদ রয়েছে, যা অনেকেই হারিয়ে ফেলে। এগুলো হলো ভালো কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও সময়। (বুখারি শরীফ ৮/৪২১)

পবিত্র কোরআনে এসেছে:
সময়ের কসম। মানুষ আসলে বড়ই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা নয়, যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করতে থেকেছে এবং একজন অন্যজনকে সত্য কথার ও সবর করার উপদেশ দিতে থেকেছে। (সূরা আসর : ১-৩)

তিনি আরো বলেছেন: নিশ্চয় নামাজ মুসলমানদের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফরজ করা হয়েছে (সূরা নিসা:১০৩)

উপরের দলিল থেকে বোঝা যায় যে রমজান সহ যে কোন ইবাদত সময়ের উপর নির্ভর করে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে অন্য কিছু বিবেচ্য নয়।

“আপনার প্রথম কথা হলো পলিটিক্যাল এনটিটি”
পলিটিক্যাল এনটিটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
কারণ রাসূলের সময় অনেক সাহাবা চীন দেশে এসেছিলেন ইসলাম প্রচার করতে। তখন তারা চীনের সময়ের উপর নির্ভর করে রোজা ও ঈদ পালন করতেন। (চীনের মাটিতে আজও সাহাবী আবি আক্কাস (রা:) এর কবর বিদ্যামান আছে) কারণ সেই সময় চীনে বসে খবর নেওয়া সম্ভব ছিল না, আজ সৌদির আকাশে চাঁদ উঠেছে কাল ঈদ। এ খবর চীন আসতে কয়েক মাস লেগে যেত তাহলে দুই ঈদ একসাথে পালন করতে হতো। যা কখনও সম্ভব নয়।
এখন সাহাবাদের সমস্যা না হলে আমাদের সমস্যা কোথায়?

৪| ১৩ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

সাধারন জন বলেছেন: দুই পদ্ধতি ইসলাম সম্মত, কিন্তু আসলে ইসলাম কারোর উপরে কিছু চাপিয়ে দেওয়ার নাম নয়। ইসলামে মতভেদীয় ফিকহি বিষয় গুলোতে প্রান্তিকতার চাইতে শান্তি-শৃংখলা এবং একতার জোর বেশি, আমাদের দেশীয় কিছু বক-ধার্মিক আলেম স্বীকার না করলেও সমস্ত নামকরা ফিকহবিদের মতামত এটাই।

১৩ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সালাম,

................... কথা আসলে ঠিকই বলেছেন; তবে আরো একটু গভীরভাবে চিন্তা শক্তি কাজে লাগিয়ে সর্বোত্তম পদ্ধতি বেঁছে নিবেন।
আসা করি বুঝতে পেরেছেন।

৫| ১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

রমিত বলেছেন: আমি কোন সিদ্ধান্ত দেইনি। কিছু প্রশ্ন করেছি মাত্র।
লক্ষ্য করে থাকুন, আমি 'সৌদি আরব' কথাটি পূর্বেকার মন্তব্যের কোথাও ব্যবহার করিনি। কারণ ওটাও একটা পলিটিকাল এনটিটির নাম, মোটামুটিভাবে ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। ঐ এনটিটি-র সাথে মিল রেখে কিছু করার বা না করার বিষয়ে হাদিস থাকার কথা না। আমি বলেছিলাম ইসলামের ধর্মীয় কেন্দ্র মক্কা-মদীনা-র কথা।
নামাজ পড়া ও ঈদ পালন করা এক কথা নয়। নামাজ পড়ার সময়টি সূর্যের সাথে সম্পর্কিত, আপনি ঐ মুহূর্তে যেই ভৌগলিক অবস্থানে আছে সেই অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের সূর্যের দশার উপর নির্ভরশীল (আকাশের রঙের বর্ণনাও সুস্পষ্টরূপে দেয়া আছে); পক্ষান্তরে ঈদ পালন নির্ভর করছে চন্দ্রের উপর। পুরাতনকালে যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই দুর্বল ছিলো, তখন অত্র অঞ্চলের মুফতিরা মিলে চন্দ্র-ক্যালেন্ডার ঠিক করে ঈদ ও অন্যান্য ধর্মীয় দিবস পালন করতেন। তবে হজরত উমর (রাঃ)-এর সময় ইসলামী রাষ্ট্রের সীমারেখা বৃদ্ধি পায়, তখন কেন্দ্রে চাঁদ দেখা গেলে ঘোড়া ছুটিয়ে দেয়া হতো যতদূর পর্যন্ত যাওয়া যায় সংবাদ পৌঁছে দেয়া হতো যে, আগামীকাল ঈদ (আমার জানামতে)। আর আধুনিক যুগে তো যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই সহজ, ঘোড়া ছুটানোর আর কোন প্রয়োজন নেই, মোবাইল টেলিফোন থেকে শুরু করে ইন্টারনেট পর্যন্ত অনেক কিছুর সাহায্য নিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই সংবাদ পৃথিবীর এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পাঠানো যাচ্ছে। পলিটিকাল এনটিটি অনুযায়ী নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে ঈদ পালন করবো, না কি ধর্মীয় কেন্দ্র অনুযায়ী সমগ্র মুসলিম জাহানে হারমোনি রেখে ঈদ পালন করবো? ইসলামী চিন্তাবিদ জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের কাছে আমার এই প্রশ্ন।

১৪ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সালাম,
.............. আপনি যেখানে আছেন সেখান সময় অনুযায়ী ঈদের নামাজ আদায় করুণ।
বর্তমানে, ইসলামে যে পন্ডিত রয়েছে তারা মনে হয় কখনো এক হতে পারবে না! তাদের আবার জাত আলাদা।

১৪ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনি ইফতার করেন সূর্য অস্ত যাওয়া দেখে নামাজ পড়েন সূর্য অস্ত যাওয়া ও উদিত হওয়া দেখে। সেই সময় কিন্তু সৌদি আরবের সূর্য দেখেন না দেখেন আপনার নিজ এলাকার। সুতরাং নিজ এলাকার চাঁদ দেখে ঈদ আদায় করতে আপনার সমস্যা কোথায়?

যারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ পালন করেন তারা বেশির ভাগ পীর ব্যাবসায়ীর অনুসারী। বিষয়ট আপনি হয়ত খেয়াল করেছেন। তারা এমনটি করেছে নিজ মুরিদ কে অন্যের মুরিদ থেকে আলাদা তথা সাধারণ মুসলমানদের থেকে আলাদা বুঝানোর জন্য। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

৬| ১৪ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:১৮

ডক্টর লেকটার বলেছেন: নিজের বুদ্ধিতে যেটা বুঝি তা হলো আমি যখন যেখানে আছি - তখন সেখানের চাদ দেখে সেখানের সময়সূচি অনুযায়ী নাম-রোজা করবো। এই সিম্পল ব্যাপারটা নিয়া পাবলিকের এতো পন্ডিতির কী আছে সেটা আমার মাথায় আসে না। স্টুপিডগুলা ফিনল্যান্ড নরওয়ের মতো দেশে থাইকা ২২ ঘণ্টা রোজা পাইলে ঠিকই লাইনে আসতো। সুখে আছে দেইখা ভাল্লাগে না

১৪ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সালাম,
................. ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
অল্প কথায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.