নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুরস্ক থেকে বাংলাদেশ, শিখার আছে অনেক কিছু।

১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩



পৃথিবীর পরিবতন ঘটেছে। এখন চাইলেও সিএ বা মোসাদ বা অন্য কোন গোয়েন্দা সংস্থ্যা কোন জাতির নেতা/নেত্রীর প্রতি একটি গুলি তাক করে রাথতে পারে না।
আবার চাইলেও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা তাদের কর্মকান্ড স্বাচ্ছন্দে চালিয়ে যেতে পারে না, এর বড় উদারহন এই বাঙালায় আছে- এইত সেদিন রেন্ডিয়ায় বসে চট্টলার এক বিম্পি নেতা ইহুদি গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদের’ নিকট গোপন আলোচনা করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। মোসাদ একটি বেঙ্কল, তারা ভেবেছিল এটা আরব রাজ্য খুব সহজেই সব কিছু ছিঁড়ে ফেলতে পারবে। না তারা কিছু ছিঁড়তে পারেনি। তারা ধরা খেয়েছে। অত:পর লজ্জায় মুখ লুকাতে চেয়েছে। মোসাদের ওয়েব সাইটে ইতিহাস বিভাগে লিখা থাকে ‘ইতিহাস লিখি না ইতিহাস তৈরি করি”। এখন সময় এসেছে তাদের ইতিহাস সম্পাদনা করার।


ছবি: ফাইল ফটো।

সম্প্রতি তুরস্কে কিছু সেনা সদস্য বিদ্রহ করে সেনা অভুত্থান ঘটাতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা ব্যার্থ হয়েছে। যদি তারা সফল হত?
তাহলে বিশ্ব মিডিয়ায় বর্তমানের চেয়ে বেশি হইচই হত। তারা এরদুগানের কর্মকান্ড নিয়ে বিষাক্ত তীর ছুঁড়ে মারত বাণের পর বাণ। প্রশ্ন বিদ্ধ করত তাদের রাজনীতিতে ইসলামের প্রবেশ নিয়ে। যেমনটি হয়ে ছিল মিসরে (মিসরের সামরিক প্রধান সিসি ক্ষমতা দখল করে মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রসিডেন্ট মুরসিকে আটক করে তাকে জেল, জরিমানা দিয়ে কারা অভ্যন্তরীণ করে রেখেছে। এর পিছনে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের নিরব সমর্থন আছে। আর সৌদি আরব এর পিছনে অক্সিজেন যুগিয়েছে।)। কিন্তু তুরস্কে তেমনটি ঘটেনি। সেদিন দিয়ে এরদুগান সরকার ও একেপি ভাগ্যমান। জনগন তাদের সাথে আছে।
আর তেমনটি ঘটলে-

বাংলাদেশ অনেক দুষ্ট লোক স্বপ্ন দেখত ঢাকার রাজপথেও সেনাবাহিনীর ট্যাংক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আর সেনা বাহিনীর কিছু অতি উচ্চ বিলাসী অফিসার রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করার জন্য ছক কাটার ব্যার্থ চেষ্টা করতেন। (আমার ধারণা এ ধরণের অফিসার এখন আর এই বাঙালায় সেনা বাহিনীর নেই।)।
আবার অনেকে (দেশি-বিদেশী সংস্থা) সেনা বাহিনীকে গোপনে সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যেত। কেননা এর আগেও বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর অভুত্থান-

১৫ই আগষ্ট,
৩রা নভেম্বর,
৭ই নভেম্বর,
১৯৭৭-১৯৮০ সালের সামরিক অভ্যুত্থান সমূহ,
১৯৮১ সালের সামরিক অভ্যুত্থান,
১৯৮২ সালের সামরিক অভ্যুত্থান,
পরবর্তী অভ্যুত্থান চেষ্টা সমূহ
পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এ. এস. এম. নাসিম এক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেন। কিন্তু তা ব্যর্থ হয় জেনারেল ইমামুজ্জামান বীর বিক্রম এর প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকার কারনে।
এছাড়াও 2007 এর এক এগারোর কথা সবার জানা আছে।

সেই সময়কার দেশি বিদেশী সংস্থার ভূমিকার কথা এদেশের মানুষ কোন দিন ভুলতে পারবেনা।

তবে,
আমরা সাধারণ জনগণ আশা রাখি আমাদের গর্ব সেনা বাহিনী আগের চাইতে এখন আর পরিণত ও চৌকস। তারা ব্যারাক থেকে বের হয়ে জনগণের উঠানে গিয়ে পা’ মাড়াবে না। বিশ্বব্যাপী যে সুনাম ও গৌরব অর্জণ করেছে তা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে কলঙ্কিত করবে না।

শেষ কথা.
আমাদের দেশে সমস্যা আছে। এই সমস্যার সমাধান জনগণই করবে। এক্ষেত্রে উর্দি পরা লোকদের মাথা গামানোর দরকার নেই।
সরকার কে বিরোধী মত প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। গণতন্ত্র চর্চার জন্য বাঙালার মাঠ-ঘাট কে আরো প্রসস্ত করতে হবে।

সন্দেহ,
আমাদের সমস্যা নিয়ে মার্কিনিদের কৃত্রিম দৌড় যাপ দেখে বাংলাদেশের জনগণের মনে কিঞ্চিত সন্দেহ দানা বাঁধছে।

এই সন্দেহ মার্কিনিদের দূর করতে হবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

কুতুব কবির বলেছেন: আমরা সাধারণ জনগণ আশা রাখি আমাদের গর্ব সেনা বাহিনী আগের চাইতে এখন আর পরিণত ও চৌকস। তারা ব্যারাক থেকে বের হয়ে জনগণের উঠানে গিয়ে পা’ মাড়াবে না

বিপদটা বাঁধবে তখন যদি জনগণের ঊঠানে পা না রেখে অন্য কোথাও পা দিতে চেষ্টা করেন ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

SwornoLota বলেছেন: আমাদের সমস্যা নিয়ে মার্কিন দৌড় ঝাঁপ গুলো এক প্রকার সুযোগ সন্ধানী পদক্ষেপ, তাই না?
দক্ষিণ এশিয়াতে একটা উপনিবেশ চাই তাদের, -এরকম বলছিলেন একজন।

১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ‘তাই’।
---‘সহমত’
------------- ভালো থাকুন।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: মার্কিনিদের কৃত্রিম দৌড় যাপ দেখে বাংলাদেশের জনগণের মনে কিঞ্চিত সন্দেহ দানা বাঁধছে। এই সন্দেহ মার্কিনিদের দূর করতে হবে।

মার্কিনীদের তো আর খেয়ে কাজ নেই বাংলাদেশের মানুষের মনের সন্দেহ দুর করতে যাবে। তাদের যখন প্রয়োজন পড়বে তারা হাজার দশেক আমেরিকান ভিসা বাংলাদেশীদের দিয়ে দিলে বাংলাদেশের মানুষের মনের সন্দেহ তো দুর হবেই সাথে সাথে এদেশের মানুষ সহ দুর হয়ে যাবে।
কথায় কথায় ইন্ডিয়া আমেরিকা ইজরায়েল এর পিন্ডি না চটকিয়ে নিজেদের ঘর নিজেদেরই সামলানো উত্তম, যেটা তুর্কি জনগন করে দেখিয়েছে।

১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: হ. হে... হে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.