নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুরেশ্বর দরবার শরীফের আস্তানায় অভিযান (একদিন)!!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১০


বিগত ২৪ ও ২৫ শে ফাল্গুন ১৪২০ বাংলা মহান সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা সাইয়েদুল আরেফীন, ফারুকশ্ সায়েখীন, কুতুবুল এরশাদ, গাউসুল আজম, পীরানে পীর দস্তগীর হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী আহম্মদ আলী ওরফে বাবা জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী ক্বেবলা ক্বা’বা (রহঃ) এর বাৎসরিক উরস শরীফে তার রওজা মোবারকের সামনে!!!


রওজা শরীফঃ হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সাইয়েদ আহম্মদে আলী ওরফে বাব জানশরীফ শাহ্ সূরশ্বেরী (রহঃ) নড়িয়া, শরীয়তপুর ।


উরস শরীফে আগত ভক্তবৃন্দের একাংশ।


রওজা শরীফঃ হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সাইয়েদ জালাল নূরী (রহঃ) নড়িয়া , শরীয়তপুর ।


ওজা শরীফঃ হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সাইয়েদ আবদুল হাই ওরফে বাবা নূর শাহ্ (রহঃ) নড়িয়া , শরীয়তপুর ।


দায়রা শরীফ

হযরত সুরেশ্বরী কিবলা (রঃ) ”দ্বায়রায়ে আহমদিয়া” নামে একটি দ্বায়রা শরীফ স্থাপন করেন। এ দ্বায়রা শরীফের অভ্যন্তরে একটি কোঠায় পাঁচটি আসন সংরক্ষিত আছে। এ পাঁচটি আসনের মধ্যে একটি বাদশাহী তখতের যা সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত রাসুলে করিম (সঃ), হযরত মুসা (আঃ), হযরত ঈশা (আঃ), হযরত দাউদ (আঃ) এর রূহানীর সথে সম্পর্ক যুক্ত। বাকী চারটি আসন হযরত বড় পীর গাউছে আযম মাহবুবে সোবহানী শায়েখ আব্দুল কাদের জেলানী (রঃ), খাজায়ে খাজেগাঁ গরীবে নেওয়াজ মঈনুদ্দিন চিশতী (রঃ), হযরত শেখ আহম্মদ সেরহিন্দী মোজাদ্দেদী আল-ফেসানী (রঃ) রূহানীর সাথে সম্পর্ক যুক্ত। এ ছাড়াও হুজুরা শরীফের সাথে সুলতানে বেলায়েত বাবা শাহ্ জালাল ইয়ামেনী (রঃ) ও হযরত শাহ্ বদীউদ্দিন মাদার (রঃ) ও হযরত বু-আলী শাহ্ কলন্দর পানিপথি (রঃ) এর রূহানীর সাথে সম্পর্ক বিদ্যমান। পাক পঞ্জাতন পাকের সাথেও হুজুরা শরীফের একটি বিশেষ রহানী সম্পর্ক বিদ্যমান।


আস্তানা শরীফঃ হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সাইয়েদ আলম নূরী আল্ সুরেশ্বরী






হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সাইয়েদ জালাল নূরী (রহঃ) এর মুরিদ ও পুত্র হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী সাইয়েদ আলম নূরী আল্ সুরেশ্বরী, মোন্তাজিমে গদীনশীন, মহান সুরেশ্বর দরবার শরীফ, সভাপতিঃ আশিক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ।


লাকী-ভিখারী খাওন। অনেকে মনের বাসনা পূরণ করার জন্য এই খাওন/তবারক/নজরানা খেয়ে থাকে। উরসের শেষ দিন এই বিশেষ আয়োজন সম্পন্ন হয়। যা রাস্তায় দুধারে হয়ে থাকে, লম্বায় প্রায় দশ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত এবং প্রত্যেকের জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
আমি কিন্তু মনের বাসনাপূর্ণ করার জন্য খেতে বসেনি ফাও পাইলাম তাই একটু খেয়ে নিলাম।
বি:দ্র: এই দরবার শরীফের কর্মকান্ড নিয়ে দেশের আলেম সমাজের আপত্তি আছে।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: এই সমস্ত দরবার শরীফ, মাজার শরীফ, খানকায় শরীফ সব বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া উচিত।
সরকারের উচিত বাংলাদেশে যত ওলী-অাউলিয়ার কবর কেন্দ্রীক মাজার অাছে সেগুলো শুধুমাত্র কবরটিকে রেখে বাকি সব ধ্বংস করা।
এবং কবরটি যাতে কেউ জেয়ারত করতে পারে তার জন্য একটি ব্যবস্থা করা।
এ ছাড়া বাকী সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া উচিত।
মারত্বক শিরিক হয় এই কবরকে কেন্দ্র করে। এবং ব্যবসা তো অাছেই।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: লেছেন: আমিও আপনার সাথে একমত। তবে এখানে কথা আছে-

সরকার যেমন ধর্মের নামে রাজনীতি বন্ধ করতে যাচ্ছে ঠিক তেমনি ধর্মের নামে যাতে ব্যবসা করতে না পারে সেদিক নজর দিতে হবে।
এ জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় আইন পাশ করতে হতে পারে।

আপনি যেভাবে বলেছেন, তাতে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
সরকার সেদিক যাবে না বলে মনে হয়।

সবার আগে আমাদের গণ-সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: এদেশে একমাত্র "স্টার জলসা" অার "জি বাংলা" বন্ধ করলেই সমস্যা হবে।
অার কোন ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই।
টিভি-মিডিয়া ঠিক যেভাবে ইসলামের নামে জঙ্গী কার্যক্রমকে তুলে ধরছে এবং প্রাকটিকালি এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করছে, ঠিক এভাবে মিডিয়ায় মাত্র কয়কেটি প্রতিবেদন দিলে এবং নরম্যাল পেনিসিলিন দিলে সব মাজার ব্যবসা, দরবার ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়বে।
কিন্তু সর্সের ভিতর যদি ভূত থাকে তবে ভুত তাড়াবেন কি করে?

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কি আউলা জাওলা মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্যের পর এই পোষ্টটি সামু কর্তৃপক্ষ প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এবার বুঝুন ঠেলা!!

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: সামু অনেক ট্যালেন্টডেন্ট ।
সো, নো অ্যকসেপ্ট ইউর ভয়ভীতি।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: নারে ভাই ভীতু হইনি। পোষ্টটি এডিটিং করে আবারও (সরাসরি প্রকাশিত হবে) আপলোড করলাম।
সামু কর্তৃপক্ষ বড় জোড় না হয় একাউন্ট ব্লক করে দিবে! তাতে কিছু যায় আসে না। কেননা এর আগেও আমার কিছু একাউন্ট ব্লক (ব্যান) করে দিয়েছে

ভালো থাকবেন।
পরিশেষে সামুর দীর্ঘায়ূ কামনা করি।

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

সেলিম৮৩ বলেছেন: সত্যের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
অন্যায় কে অন্যায় অার ন্যায় কে ন্যায় বলার মানুষিক মনোবল সবার থাকেনা।
তারপরও প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে একটা
সীমাবদ্ধতা অাছে। তার বাইরে গেলেই সমূহ বিপদের সম্ভাবনা থাকবেই।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এসব দেখতে আমার খুব ভালোলাগে, কোন একদিন যাবো

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সময় পাইলে ঘুর আসবেন। দাওয়াত রইলো।

যোগাযোগ: দরবারে আউলিয়া সুরেশ্বর দরবার শরীফ, নড়িয়া, শরীয়তপুর।

ঢাকা হতে লঞ্চ যোগে পবিত্র সুরেশ্বর দরবার শরীফ যাতায়াত

লঞ্চের সময় সূচী

ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রত্যাহ সকাল ৭.০০ মিনিট

ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রত্যাহ সকাল ৭.৩০ মিনিট

ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রত্যাহ দুপুর ১.০০ মিনিট

ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রত্যাহ রাত ১০.০০ মিনিট

ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রত্যাহ রাত ১০.৩০ মিনিট

সময় লাগে ৪ থেকে ৪.৩০ ঘন্টা

ঢাকা থেকে সড়ক পথে পবিত্র সুরেশ্বর দরবার শরীফ যাতায়াত

গুলিস্থান/যাত্রাবাড়ি/বাবুবাজার/বাড্ডা/উত্তরা বিভিন্ন স্থান হতে বাস যোগে মাওয়া ঘাট। মাওয়া ঘাট হতে লঞ্চ/টলার/ফেরি/স্পীড বোট যোগে মাঝিরঘাট নেমে বাস/বেবী/টেম্পু মারফত পবিত্র সুরেশ্বর দরবার শরীফ পৌছা যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, নিজস্ব পরিবহনে (কার/জিপ) ঢাকা থেকে মাওয়া ফেরি পার হয়ে সরাসরি পবিত্র সুরেশ্বর দরবার শরীফ যাতায়াত আরো সহজ।

মাওয়াঘাট হতে মাঝিরঘাট ফেরী চলাচলের সময় সূচী :

মাওয়া ফেরিঘাট থেকে প্রত্যাহ সকাল ১০.০০ মিনিট

মাওয়া ফেরিঘাট থেকে প্রত্যাহ দুপুর ১২.০০ মিনিট

মাওয়া ফেরিঘাট থেকে প্রত্যাহ বিকাল ০৫.০০ মিনিট

মাঝিরঘাট হতে মাওয়াঘাট ফেরী চলাচলের সময় সূচী :

মাঝিরঘাট ফেরিঘাট থেকে প্রত্যাহ সকাল ০৯.০০ মিনিট

মাঝিরঘাট ফেরিঘাট থেকে প্রত্যাহ দুপুর ০২.০০ মিনিট

মাঝিরঘাট ফেরিঘাট থেকে প্রত্যাহ রাত ১০.০০ মিনিট

নারায়নগঞ্জ হতে লঞ্চ যোগে পবিত্র সুরেশ্বর দরবার শরীফ যাতায়াত

লঞ্চের সময় সূচী

নারায়নগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রত্যাহ বেলা ২.০০ মিনিট

নারায়নগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রত্যাহ রাত ১০.০০মিনিট

সময় লাগে ৪.০০ ঘন্টা

চাঁদপুর হতে লঞ্চ যোগে পবিত্র সুরেশ্বর দরবার শরীফ যাতায়াত

লঞ্চের সময় সূচী

চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রত্যাহ বেলা ২.০০ মিনিট

(সময় লাগে ২.০০ ঘন্টা)

এছাড়া ও নিজস্ব তত্ত্বাবধানে দিনের বেলায় টলার ভাড়া করে দরবার শরীফে যাওয়া যায়।

দেশের দক্ষিন অঞ্চল থেকে সড়ক পথে শরিয়তপুর হয়ে বাস/নিজস্ব পরিবহনে সরাসরি পবিত্র সুরেশ্বর দরবার শরীফ যাতায়াত সম্ভব।

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনি খুবই সহজ করে দিলেন ওখানের যাতায়াত

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

আহলান বলেছেন: মাজার গুলো সংরক্ষণ করে মাজার ব্যবসাকে সংগায়িত করে ভন্ডামি বন্ধ করা উচিৎ ..

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: হক কথা বলেছেন।

বিজ্ঞানের এই চরম উন্নতির যুগে মানুষ এতো বেক্যাল হয় কিভাবে বুঝে আসছেনা।

মানুষ মরে গেলে তার কিছুই অবশিষ্ট থাকে শুধু ভালো কাজ ছাড়া। আর মৃত মানুষের পক্ষে কোন কিছুই করা সম্ভব নয়। সে’ত নিজেউ মৃত। তাহলে সে আরেকজনকে বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবে কিভাবে? যদি সে পারত তাহলে সে নিজেই আর জীবিত হয়ে ফিরে আসত!
যা কখনো সম্ভব না।

আর এই জিনিষটুকুই এদেশের আবাল মানুষরা ‍বুঝে না।

হায়রে.. আবাল জনগণ। আমার মত অধমের বুঝে আসলেও তোদের কেন আসেনা?

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

ফারিছ হামদিহ বলেছেন: ""এ দ্বায়রা শরীফের অভ্যন্তরে একটি কোঠায় পাঁচটি আসন সংরক্ষিত আছে। এ পাঁচটি আসনের মধ্যে একটি বাদশাহী তখতের যা সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত রাসুলে করিম (সঃ), হযরত মুসা (আঃ), হযরত ঈশা (আঃ), হযরত দাউদ (আঃ) এর রূহানীর সথে সম্পর্ক যুক্ত। বাকী চারটি আসন হযরত বড় পীর গাউছে আযম মাহবুবে সোবহানী শায়েখ আব্দুল কাদের জেলানী (রঃ), খাজায়ে খাজেগাঁ গরীবে নেওয়াজ মঈনুদ্দিন চিশতী (রঃ), হযরত শেখ আহম্মদ সেরহিন্দী মোজাদ্দেদী আল-ফেসানী (রঃ) রূহানীর সাথে সম্পর্ক যুক্ত। ""

হাজির নাজির এর কত বড় শিরকি বিশ্বাস। জাহেল মূর্খ না হলে কেউ এসব বিশ্বাস করে। মাথায় গু ছাড়া কিছুই নাই। মোহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব এর মত একজন দরকার এইদেশে যে এই সমস্ত মাজার গুলা ধ্বংস করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিবে।সউদি আরব যদি বাঙ্গালীর দেশ হত তাইলে , নবি,সাহাবি তাবেঈ দের লক্ষ লক্ষ মাজার বানিয়ে দেশ ভরে ফেলত। প্রত্যেক পরিবারের ভাগে একটা করে মাজার পরত।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: খাঁটি কথা বলেছেন।

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

হানিফঢাকা বলেছেন: সাইয়েদুল আরেফীন, ফারুকশ্ সায়েখীন, কুতুবুল এরশাদ, গাউসুল আজম, পীরানে পীর দস্তগীর হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী আহম্মদ আলী ওরফে বাবা জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী ক্বেবলা ক্বা’বা (রহ:)- এর বাংলা কি একটু বলবেন?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সাইয়েদুল আরেফীণ- নবীর বংশ হতে প্রাপ্ত খাস লোক,

ফারুকশ সায়েখীন- ফারুকস (সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী) এখানে হয়ত হযরত উমর (রা:) এর সাথে সম্পর্কযুক্ত বলা হয়েছে।

সায়েখ- বিশেষ প্লাষ অজ্ঞ= বিশেষজ্ঞ (যেমন শায়খুল হাদীস অমুক)

গাউসুল আজম= এখানে ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত ওলী মঈন উদ্দিন চিশতী (রা:) এর সাথে সম্পর্কযুক্ত বলা হয়েছে।

পীরানে পীর দস্তগীর- এটা বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রা:) এর উপাধি, এখানে মূলত তার সাথে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

মাওলানা শাহ্ সূফী-
মাওলানা= আমাদের প্রভু
শাহ্ সূফী= শাহ্ বংশের সূফিতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ।

আহম্মদ আলী ওরফে বাবা জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী ক্বেবলা ক্বা’বা (রহ:)- এর বাংলা কি একটু বলবেন?

আম্মদ আলী ওরফে বাব জানশরীফ= উক্ত মাজার শরীফের প্রতিষ্ঠার নাম।
সুরেশ্বরী= শরীয়তপুরের একটি এলাকার নাম- সুরেশ্বরী/সূয়োরের চর।
ক্বেবলা ক্বাবা= অন্তরের মধ্যস্থলকে বুঝায়। (সাধারণ মানুষ কাবা ঘর কে বুঝে থাকে।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শর্টকাট মুসলিম যতদিন থাকবে ততদিন এসব মাজারও থাকবে...

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সহমত

১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লিখাটি পড়লাম বেশ মনযোগ দিয়ে । উনারা সত্য খাটি পীর বুযুর্গ হলেও হতে পারেন , তা একমাত্র আলালাহ তায়ালাই ভাল জানেন । তবে এ সমস্ত পীড় মাসায়েকদের লম্বা নাম দেখে আমার মনে কয়েকটা প্রশ্ন সবসমই জাগে । তাহল নামগুলি কার দেয়া , বাপ দাদার দেয়া নাম , নীজের দেয়া নাম , নাকি সাগরেদদের দেয়া নাম । শুনে এসেছি জীবনের শুরুতেই নাম দিয়ে আকিকা দিতে হয়, যে নামে আকিকা হয় তাই তার নামে আইডি হয় আমল নামার জন্য । যে নামে আকিকা দেয়া হয় আমার ধারনা সেটা এত লম্বা থাকেনা । পরবর্তীতে দেয়া নামগুলিতে কোন আকিককা দেয়া নাহলে আগেরটাই বলবত থাকে বলে ধারণা । তার মানে পরবর্তী নামগুলী আকিকা বিহীন । তার ঐ সমস্ত নব ধারনকৃত নামের পর আমল করা হলে সেগুলি তার আইডি খুঁজে পাবে কিনা তা নিয়ে আছে কিছু ভাবনা । আকিকা বিহীন নামের আইডি খুঁজে না পেলে ওরসের সময় তাদের নামের উপরে যে প্রসংসা গীত গাওয়া হয় তার ফলাফল লিখার জন্য নামের আইডি খুঁজে পাবেনা বলেই ধারনা, সবই হয়ত যেতে পারে বিফলে । হয়তবা আমার ধারনা ভুলও হতে পারে । উপযুক্ত কোন ব্যখ্যা পেলে বুঝে নিব সেই ভাবে । ধন্যবাদ এ বিষয়ে ভাবনার নিমিত্ত এ রকম একটি পোস্ট দেয়ার জন্য ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: লেছেন: দরবার শরীফটি আমাদের নিজ এলাকায় সে হিসেবে আমি তাদের পূর্ব পুরুষ আলেমদার ও ইসলামী বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তারা মানুষ কে হেদায়য়েত দান করতেন। কিন্তু ধর্ম ব্যবসা করতেন না। বর্তমানে যারা আছেন তারা তাদের পূর্ব পুরুষের অর্জিত সুনাম কে পুঁজি করে ব্যবসা করেছেন। এটা আমি আমার পোষ্টে-
বি:দ্র: এই দরবার শরীফের কর্মকান্ড নিয়ে দেশের আলেম সমাজের আপত্তি আছে। উল্লেখ করেছি।

এবার আসি মূল কথায়;
একটি শিশু যখন জন্ম গ্রহন করে তখন সে কি হবে তা তাদের পিতা মাতা কেউ জানেন না। কারণ সে হতে পারে ডাক্তা, ইঞ্জিনিয়ার, কিংবা বিজ্ঞানী এমনকি টাউট বাটপার হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই তাদের নাম জন্মের পর পর খাস হওয়ার প্রশ্নই আসে না। একটি শিশু যখন জন্ম গ্রহন করে তখন তাদের সুন্দর নাম রাখা হয় এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সাইয়েদুল আরেফীন, ফারুকশ্ সায়েখীন, কুতুবুল এরশাদ, গাউসুল আজম, পীরানে পীর দস্তগীর হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী আহম্মদ আলী ওরফে বাবা জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী ক্বেবলা ক্বা’বা (রহঃ) এর মানে এটা এক প্রকার ভাওতাবাজি। এটা সাধারণত নামের সাথে সম্পর্কিত ব্যাক্তি কোন মাহফিল বা জলসায় উপস্থিত হওয়ার সময় কৌশলে উপস্থাপক কর্তৃক প্রচার করে থাকেন। পরবর্তী
তে তাদের মুরিদান সেই নাম নিয়ে নিজের ক্লব কে নূরে তাজাল্লিতে আলোকিত করেন।

আবার অনেকে নিজের নামের উপাধি মহান আল্লাহ্ কর্তৃক প্রদত্ত বলে প্রচারণা চালিয়ে থাকেন। উদাহরণ স্বরুপ: আওয়ামী পীর দেয়ানবাগী।

এখন আসা যাক নিজের নামের বাড়তি বিশ্লেষণ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে:

আমাদের দেশে শিশুর জন্মের পর নাম রাখা নিয়ে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা দেখা যায়। দাদা এক নাম রাখলে নানা অন্য একটা নাম পছন্দ করেন। বাবা-মা শিশুকে এক নামে ডাকে। খালারা বা ফুফুরা আবার ভিন্ন নামে ডাকে। এভাবে একটা বিড়ম্বনা প্রায়শঃ দেখা যায়। এ ব্যাপারে শাইখ বাকর আবু যায়দ বলেন, “নাম রাখা নিয়ে পিতা-মাতার মাঝে বিরোধ দেখা দিলে শিশুর পিতাই নাম রাখার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
“তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত।”[সূরা আহযাব ৩৩:৫]
শিশুর পিতার অনুমোদন সাপেক্ষে আত্মীয়স্বজন বা অপর কোনো ব্যক্তি শিশুর নাম রাখতে পারেন। তবে যে নামটি শিশুর জন্য পছন্দ করা হয় সে নামে শিশুকে ডাকা উচিত। আর বিরোধ দেখা দিলে পিতাই পাবেন অগ্রাধিকার।

যেসব নামের মধ্যে আত্মস্তুতি আছে সেসব নাম রাখা মাকরুহ। যেমন, মুবারক (বরকতময়) যেন সে ব্যক্তি নিজে দাবী করছেন যে তিনি বরকতময়, হতে পারে প্রকৃত অবস্থা সম্পূর্ণ উল্টো। অনুরূপভাবে,
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলা সাহাবীর নাম বার্‌রা (পূন্যবতী) থেকে পরিবর্তন করে তার নাম দেন যয়নব। এবং বলেন: “তোমরা আত্মস্তুতি করো না। আল্লাহই জানেন কে পূন্যবান ( সহীহ মুসলিম, হাদিস নং - ২১৪২।)
এই ধরণের বিশেষনে বিষোয়িত নাম রাখা মাকরুহ।

১২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দরবার শরীফটি আমাদের নিজ এলাকায় সে হিসেবে আমি তাদের পূর্ব পুরুষ আলেমদার ও ইসলামী বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তারা মানুষ কে হেদায়য়েত দান করতেন। কিন্তু ধর্ম ব্যবসা করতেন না। বর্তমানে যারা আছেন তারা তাদের পূর্ব পুরুষের অর্জিত সুনাম কে পুঁজি করে ব্যবসা করেছেন। এটা আমি আমার পোষ্টে-
বি:দ্র: এই দরবার শরীফের কর্মকান্ড নিয়ে দেশের আলেম সমাজের আপত্তি আছে। উল্লেখ করেছি।

এবার আসি মূল কথায়;
একটি শিশু যখন জন্ম গ্রহন করে তখন সে কি হবে তা তাদের পিতা মাতা কেউ জানেন না। কারণ সে হতে পারে ডাক্তা, ইঞ্জিনিয়ার, কিংবা বিজ্ঞানী এমনকি টাউট বাটপার হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই তাদের নাম জন্মের পর পর খাস হওয়ার প্রশ্নই আসে না। একটি শিশু যখন জন্ম গ্রহন করে তখন তাদের সুন্দর নাম রাখা হয় এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সাইয়েদুল আরেফীন, ফারুকশ্ সায়েখীন, কুতুবুল এরশাদ, গাউসুল আজম, পীরানে পীর দস্তগীর হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী আহম্মদ আলী ওরফে বাবা জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী ক্বেবলা ক্বা’বা (রহঃ) এর মানে এটা এক প্রকার ভাওতাবাজি। এটা সাধারণত নামের সাথে সম্পর্কিত ব্যাক্তি কোন মাহফিল বা জলসায় উপস্থিত হওয়ার সময় কৌশলে উপস্থাপক কর্তৃক প্রচার করে থাকেন। পরবর্তী
তে তাদের মুরিদান সেই নাম নিয়ে নিজের ক্লব কে নূরে তাজাল্লিতে আলোকিত করেন।

আবার অনেকে নিজের নামের উপাধি মহান আল্লাহ্ কর্তৃক প্রদত্ত বলে প্রচারণা চালিয়ে থাকেন। উদাহরণ স্বরুপ: আওয়ামী পীর দেয়ানবাগী।

এখন আসা যাক নিজের নামের বাড়তি বিশ্লেষণ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে:

আমাদের দেশে শিশুর জন্মের পর নাম রাখা নিয়ে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা দেখা যায়। দাদা এক নাম রাখলে নানা অন্য একটা নাম পছন্দ করেন। বাবা-মা শিশুকে এক নামে ডাকে। খালারা বা ফুফুরা আবার ভিন্ন নামে ডাকে। এভাবে একটা বিড়ম্বনা প্রায়শঃ দেখা যায়। এ ব্যাপারে শাইখ বাকর আবু যায়দ বলেন, “নাম রাখা নিয়ে পিতা-মাতার মাঝে বিরোধ দেখা দিলে শিশুর পিতাই নাম রাখার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
“তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত।”[সূরা আহযাব ৩৩:৫]
শিশুর পিতার অনুমোদন সাপেক্ষে আত্মীয়স্বজন বা অপর কোনো ব্যক্তি শিশুর নাম রাখতে পারেন। তবে যে নামটি শিশুর জন্য পছন্দ করা হয় সে নামে শিশুকে ডাকা উচিত। আর বিরোধ দেখা দিলে পিতাই পাবেন অগ্রাধিকার।



যেসব নামের মধ্যে আত্মস্তুতি আছে সেসব নাম রাখা মাকরুহ। যেমন, মুবারক (বরকতময়) যেন সে ব্যক্তি নিজে দাবী করছেন যে তিনি বরকতময়, হতে পারে প্রকৃত অবস্থা সম্পূর্ণ উল্টো। অনুরূপভাবে,
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলা সাহাবীর নাম বার্‌রা (পূন্যবতী) থেকে পরিবর্তন করে তার নাম দেন যয়নব। এবং বলেন: “তোমরা আত্মস্তুতি করো না। আল্লাহই জানেন কে পূন্যবান ( সহীহ মুসলিম, হাদিস নং - ২১৪২।)
এই ধরণের বিশেষনে বিষোয়িত নাম রাখা মাকরুহ।


১৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বিস্তারিত সুন্দর প্রতি মন্তব্যের জন্য । অনেক মুল্যবান ও তথ্য মুলক বিষয় জানা গেল । কোন এক জনের কির্তি কলাপের জন্য তার অনেক প্রসংসাই হতে । সে প্রসংসা লিখতে গেলে পৃষ্টার পর ভরে যেতে পারে , তাই বলে সেই প্রসংসাগুলি নামের সাথে জুরে বাপ মার দেয়া সুন্দর নামটিকে অহেতুক লম্বা করা হলে এটা দেখতেও অসুন্দর লাগে । যাহোক এটা নীজ নীজ অভিরুচী , উনারা অআর উনার ভক্তরা যত পারুন নাম লাগান তাদের মুল নামের সাথে । এর ভাল মন্দের বিহিত অাল্লাই করবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ,
ভালো থাকবেন দিবানিশি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.