নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্বিনের মসজিদ! ইতিহাস ও ঐতিহ্য

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯



প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী বাংলাদেশে অনেকগুলো জ্বিনের মসজিদ আছে। তার মধ্যে লক্ষীপুরের রায়পুর শহরের দেনায়েতপুরে জ্বিনের মসজিদ বিখ্যাত।আজ আপনাদের সাথে আরেকটি জ্বিনের মসজিদের পরিচয় করিয়ে দিব। সেটি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে অবস্থিত।

এই মসজিদটিকে এলাকাবাসী ‘জ্বীনের মসজিদ’ নামে চিনে থাকে। নামকরণের ক্ষেত্রে জ্বীনতাত্ত্বিক কারণও রয়েছে। শোনা যায়, মসজিদটি কোন মানুষের নকশায় শ্রমিকের ঘামে গড়ে ওঠেনি। অলৌকিকভাবে একরাতের মধ্যে গড়ে উঠেছে মসজিদটি। তাই স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছে ‘জ্বীনের মসজিদ’। এই মসজিদ কে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে রয়েছে নানা কাহিনী।



প্রচলিত ধারণা, আনুমানিক দুইশ’ বছর আগে কোন এক রাতে অলৌকিকভাবে গড়ে ওঠে একটি মসজিদ। আগের দিন পর্যন্ত যেখানে ছিল অথৈ পানি। একরাতের মধ্যে পানির ভিতর মাটি ফেলে কারুকার্যখঁচিত একটি মসজিদ নির্মাণ করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই এটা জ্বীনের কাজ।

স্থানীয় প্রবীণরা দাবি করেন, সম্ভবত দুইশ’ বছর আগে একরাতে জ্বীনেরা এ মসজিদের কাজ শুরু করে। ভোররাতের দিকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির একজন মাছ ধরতে গেলে জ্বীনেরা সেখান থেকে চলে যায়। এজন্য কিছু কাজ অসমাপ্ত থেকে যায়। এখন পর্যন্ত সেভাবেই আছে।

মসজিদটি নির্মিত হওয়ার পর প্রায় ৫০-৬০ বছর কেউ সেখানে নামাজ পড়তে যাননি। কারণ তার আশেপাশে তেমন বসতি ছিল না। যে দু’একটা ঘর ছিল, তারা ভয়ে মসজিদের কাছে যেত না। পরে বসতি বাড়ার সাথে সাথে কিছু মানুষ নামাজ পড়তে যেতে থাকে। তখন নামাজের সময় কিছু অপরিচিত মানুষ অংশগ্রহণ করতো বলে কথিত রয়েছে। প্রায় একশ’ বছর পর মসজিদের কিছুটা সংস্কার করা হয়। তবে ছাদের ওপর ওঠার সাহস এখনো কেউ দেখাননি। সেখানকার সব ধর্মের মানুষ এই মসজিদটিকে অত্যান্ত শ্রদ্ধা এবং তাদের ঐতিহ্য হিসেবে দেখে থাকে।



পাঁচ কাঠা জমির ওপর স্থাপিত চতুর্ভূজ আকৃতির মসজিদটি এক গম্বুজবিশিষ্ট। মসজিদের ভেতরে নামাজের জন্য তিনটি কাতার বা লাইন দাঁড়াতে পারে। প্রতি লাইনে কমপক্ষে দশজন দাঁড়াতে পারে। মসজিদে এখনো নির্দিষ্ট কোন ইমাম নেই। বা কেউ মসজিদের অভ্যন্তরে অবস্থান করে না। একা একা কেউ নামাজও পড়তে আসেন না। বিশেষ করে জোহর ও এশার নামাজ পড়তে এখনো ভয় পান মুসল্লিরা। বর্তামানে অনেক কৌতুহলী মানুষ মসজিদটিকে দেখতে আসে।তাই মসজিদ কে ঘিরে জ্বিন তাত্বিক ভয় অনেকটা কেটে গেছে।

প্রাচীন এই মসজিদটি দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে।



সড়ক পথঃ জেলা শহর থেকে ১৬কিমি দুরুত্বে সড়গ পথে গোসইরহাট উপজেলা সদর যাওয়া যায় । ঢাকা থেকে সড়ক পথে জাজিরা মাঝিরঘাট হয়ে নদী পথে মাওয়া ঘাট এবং মাওয়া ঘাট থেকে সড়ক পথে গোসাইরহাট যাওয়া যায়। সেখান থেকে রিক্সা, মটর সাইকেল, ভ্যান, ভটবটি কিংবা নসিমনে নাগেরপাড়া শিবপুর গ্রামে যেতে পারবেন।
নৌ পথঃ ঢাকা যাতায়াতের ক্ষেত্রে গোসইরহাট থেকে ঢাকার দুরুত্ব ১৪০ কিমি । সদরঘাট থেকে গোসাইরহাট লঞ্চে যেতে পারেন। প্রতি দিন সকল 8 টায় এবং রাত্রে 10:00 টায় গোসাইরহাটের উদ্দেশ্যে আওলাদ, স্বর্ণদ্বীপ, যুবরাজ ইত্যাদি ছেড়ে যায়। ভাড়া 170 টাকা থেকে 190 টাকা পর্যন্ত।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় জানা হলো।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। পড়ে মন্তব্য করার জন্য

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

আহলান বলেছেন: চট্টগ্রাম শহরে ও ঝিনাইদহ জেলাতেও এমন মসজিদের কথা শোনা যায় ....

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: থাকতে পারে, বাংলাদেশে এমন অনেক মসজিদ আছে যেগুলো সাথে যেগুলোর সাথে মানুষ এখনো পরিচিত হয়নি।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: জ্বিনের মসজিদ বা গাইবী মসজিদ সম্পর্কে অনেক কথা শোনা যায় । সত্য মিথ্যা জানিনা।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সত্য মিথ্যা যা হউক মানুষের বিশ্বাস বেঁচে থাকুক হাজার বছর।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

মুশশাররাফ হোসেন সৈকত বলেছেন: বিশ্বাস যত দ্রুত ধ্বংস হবে, মানবজাতির তত মঙ্গল।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: অবিশ্বাস যত বাড়তে থাকবে হানাহানি তত বৃদ্ধি পাবে।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।

আশা করি ভালো আছেন ভালো থাকবেন দিবা নিশি।

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

ক্লে ডল বলেছেন: এদেশে এরকম অনেক মসজিদ, দিঘি নিয়ে কাহিনী প্রচলিত আছে।

সব ধর্মের মানুষ শ্রদ্ধা করে জেনে ভাল লাগল।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সব ধর্মের উপসনার পবিত্রতা রক্ষা করা এবং সম্নান করা সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন দিবা নিশি।

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৪

আতাশ ভাই বলেছেন: বাংলাদেশে এই রকম নাকি আরও অনেক আছে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: থাকতে পারে। রায়পুর, লক্ষীপুরে যে মসজিদ রয়েছে তা বিখ্যাত।

৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৩

শিশির আহমেদ শিশির বলেছেন: তথ্যবহুল
পোস্ট।
শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, ধর্য্য সহকারে পড়ে মন্তব্য করার জন্য

১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

ডাঃ নাসির বলেছেন: আসলে সেটা কতখানি বাস্তব। আমরা জানি জ্বীন আছে তাই বলে জ্বীনেরা মসজিদ বানাতে পারে সেটা আশচর্য ব্যপার। ধন্যবাদ

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আসলে যেসব মসজিদ জ্বীনের তৈরি বলে দেশে প্রচলিত রয়েছে তার কোন ঐতিহাসি ভিত্তি নেই। এগুলো সব লোকমুখে প্রচলিত কাহিনী বা বিশ্বাস। এখন এ কাহিনী বা মিথগুলো টিকে থাকবে পরবর্তী প্রজন্ম কিভাবে নিবে তার উপর।

ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৪

জহুরুল০০৭ বলেছেন: মানুষ আল্লার ঘরে ঢুকতে ভয় পাচ্ছে তথাকথিত জ্বীনের ভয়ে, তারমানে আল্লার প্রতি মানুষের বিশ্বাস যে কত দুর্বল সেটা এখান থেকেই বোঝা যায়। কিছু মানুষ কাল্পনিক এইসব গল্প সাজিয়ে মানুষের মনে রহস্য সৃষ্টি করতে চায় যার মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে অলৌকিক কিছু প্রচার করলে এখানে মানুষ আসবে দান খয়রাত মানত করতে আর ভণ্ডদের তাকার থলিটা দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে উঠবে।
এই তথাকথিত জ্বীনদের যদি এতই ক্ষমতা থাকে তাহলে পদ্মা সেতু বানিয়ে দিক না, একদিনে না হলেও এক মাসে বানাক, দেখি কোন জ্বীনের বাদশা তারা।
তারপর এই যে মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে - জ্বীন সাহেবরা খুঁজে বের করুক না এইসব গুম হওয়া মানুষগুলোকে। গুমকারীর গোমর ফাঁস হয়ে যাক।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার কথা কিছুটা তিঁতে হলেও বাস্তবা আছে।

জ্বিনদের খেয়ে দেয়ে কোন কাজ নেই তারা পদ্মা সেতু করে দিবে। গুম হওয়া মানুষ খোঁজ দিবে।

তারা যদি এতো কিছুই পারত তাহলে সিরিয়া সমস্যার সমাধান করে দিত, ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধান করে দিত।

[““ তারমানে আল্লার প্রতি মানুষের বিশ্বাস যে কত দুর্বল সেটা এখান থেকেই বোঝা যায়। কিছু মানুষ কাল্পনিক এইসব গল্প সাজিয়ে মানুষের মনে রহস্য সৃষ্টি করতে চায় যার মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে অলৌকিক কিছু প্রচার করলে এখানে মানুষ আসবে দান খয়রাত মানত করতে আর ভণ্ডদের তাকার থলিটা দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে উঠবে। ””]

আসলে আপনি বিষয়টি ভালোভাবে খেয়াল করেন নি, এখানে কোন ব্যক্তির কথা বলা হয়নি বলা হয়েছে মসজিদের কথা। সুতরা ব্যবসার প্রশ্নই আসে না।
মসজিদটি প্রায় ২০০ শত বছর পুরানো। সেটি তখন যেভাবে ছিল এখন সেভাবেই আছে। আর মসজিদের কোন পরিচালনা কমিটিও নেই। তার কোন উন্নয়ন প্রয়োজন হয়না। তাই ব্যয় করারও কোন খাত নেই। আশা করি বুঝতে পারছেন।

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

মাদিহা মৌ বলেছেন: এরকম আরো অনেক শুনেছি।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এখন বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যাপার

১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

জুন বলেছেন: এমন কত মিথ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেশের আনাচে কানাচে। ভালোলাগলো পড়তে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ,

১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০১

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: //লক্ষীপুরের রায়পুর শহরের দেনায়েতপুরে জ্বিনের মসজিদ বিখ্যাত// এটা বাড়ীর কাছেই। যাওয়া হয়ে উঠেনি এখনো। যেতে হবে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সত্য/মিথ্যা যা হউক মসজিদগুলো কিন্তু অনেক পরাতন। তাই স্থাপত্যকলা হিসেবে দেখতে পারেন।

১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২২

নতুন বিশ্লেষক বলেছেন: লক্ষীপুরের রায়পুর শহরের দেনায়েতপুরে জ্বিনের মসজিদ বিখ্যাত। (মসজিদটি আামার বাড়ির পাশে)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: লক্ষীপুরের রায়পুর শহরের দেনায়েতপুরে জ্বিনের মসজিদ বিখ্যাত। (মসজিদটি আামার বাড়ির পাশে)

ত’ আপনার কি মনে হয় মানুষের মাঝে যে মিথ গড়ে উঠেছে তা সহজে মুছবে?

১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

নকীব মাহমুদ বলেছেন: আমাদের শরীয়তপুরে এরকম একটা মসজিদ আছে জানতাম নাতো! যাক আপনার মাধ্যমে জানা হলো। ধন্যবাদ!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এখন সময় করে একদিন ঘুরে আসবেন।

যেতে হবে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে।

১৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এমন মিথ অনেক আছে। তবে মসজিদ গুলোর সংরক্ষনে সবার এগিয়ে আসা উচিত। লেখাটা পড়তে নিজের রুমেই ভয় লাগছিল।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বিজ্ঞানের চরম যুগে বাস করেও ভয় পাচ্ছেন।

১৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

ওয়াহিদ আবির বলেছেন: আপনি গিয়েছিলেন তাই না ?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মসজিদটি আমার উপজেলায় অবস্থিত মানে আমার এলাকায়।

১৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০৩

দিনাজপুরিয়া বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট। আমি কি এটা আমার ফেসবুক ওয়ালে পোষ্ট করতে পারি?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: অবশ্যই করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোন প্রকার তথ্য বিকৃতি যেন না হয়।

২০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: জ্বীন জাতি যে মসজিদ বানাতে পারে তা আমরা জানি - সোলায়মান (আ) এর নির্দেশে তারা মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনা তৈরী করত, ডুবুরির কাজ করত, এটা কোরআনে বর্ণিত আছে।

তবে এই মসজিদটি যে সত্যিই জ্বীনদের তৈরী তার কোন প্রমান নাই।
আবার প্রমান নাই বলেই যে জ্বীন সংক্রান্ত ধারণা একেবারে মিথ্যা তাও বলা যায় না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ হল এই স্থাপনা ও এর নামে প্রচলিত বিশ্বাস কেন্দ্রিক কোন ব্যাবসায়ীক ধান্দাবাজী না থাকা। যদি কোন ব্যাক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে এই গল্প তৈরী করত তাহলে সে নিশ্চয়ই তা থেকে ফায়দা উঠানোর চেস্টা করত। দুইশ বছর আগে যখন কোন জনবসতিই ছিল না তখন কে এবং কেন এই প্রচারনা চালাতে যাবে??

আর জ্বীনদের দিয়ে পদ্মা সেতু বানানোর চিন্তা যদি করতে হয় তাহলে সোলায়মান(আ) এরমত নবী লাগবে - কি বলেন??

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এই মসজিদ মানুষের তৈরী হলো প্রতিষ্ঠাতার নাম থাকত। অথবা কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের তত্ত্বাধানে এটি পরিচালিত হত।

কিন্তু এটি প্রতিষ্ঠার কোন ইতিহাস পাওয়া যায় না। আর দু’শ বছর পূর্বে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মুসলমান ছিল হাতে গণা নগন্য। তারা ছিল অত্যান্ত দরিদ্র। তাদের পক্ষে এ ধরণের মসজিদ নির্মাণ করা সম্ভব না। কারণ এ ধরণের মসজিদ তৈরী করতে হলো অধিক টাকা এবং প্রতিপত্তি থাকতে হয়। কিন্তু মুসলমানদের এটি ছিল না। সে সময় অত্র এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘোষদের অতি দাপট ছিল। এছাড়াও অনেক েঐতিহাসি হিন্দু ব্যক্তিত্ব এখানে জন্ম গ্রহন করেছে, তাদের মধ্যে-

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কালী প্রসন্নঘোষ, সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যোগেশচন্দ্র ঘোষের জন্মস্থান। বাংলারবিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী গীতা দত্তের পিতৃভূমি।

এখানকার ডেপুটি বাড়ি বিখ্যাত।রায় বাহাদুর অভয় চরণ দাস, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃতকালাপানি ভোগকারী পুলিন বিহারী দাস, বৈজ্ঞানিক গোপাল চন্দ্র ভট্রাচার্য সহএখানে জন্মগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তাদের কর্মকান্ডের জন্য সুখ্যাতিঅর্জন করেছেন।


কবি গোবিন্দ রায় ও তার ভ্রাতা বঙ্গবিখ্যাত ঢাকা জজকোর্টের উকিল আনন্দ চন্দ্র রায় এর জন্মস্থান।

মশুরাঃমহামহোপাধ্যায় তারিনী চরণ শিরোমনীর জন্মস্থান।

এতেই বুঝতে পারছেন এখানকার হিন্দুগণ অত্যান্ত দাপট ছিল। কিন্তু দেশ ভাগের সময় অনেক হিন্দু পরিবার এখান থেকে চলে যায়। পরে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মুসলিম পরিবার এসে বসতি গড়ে তোলে। ফলে বুঝা যাচ্ছে যে এটি তৎকালীন মুসলমান দ্বারা নির্মাণ প্রায় অসম্ভব ছিল। (সত্য মিথ্যা অনুমান নির্ভর)।

“““ আর জ্বীনদের দিয়ে পদ্মা সেতু বানানোর চিন্তা যদি করতে হয় তাহলে সোলায়মান(আ) এরমত নবী লাগবে - কি বলেন? “”

এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো নবী সোলাইমান জ্বিন জাতি ব্যবহার করেছেন মানব কল্যাণে আর এখনকার ইসলামী বিশেষ + অজ্ঞ = বিশেষজ্ঞরা জ্বিন জাতিকে ব্যবহার করে ঝাড় ফুঁক দেওয়ার জন্য। সুতরাং বর্তমানে জ্বিন জাতি দ্বারা পদ্মা সেতু কেন একটি মসজিদের পিলার বানানো সম্ভব নয়।

তবে নবী সোলাইমান ভিন্ন কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.