নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়নাবাজি (ভেলকিবাজি’র ছবি ব্লগ ও কিছু কথা)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৩

০১।



গত ০৭ অক্টোবর ২০১৬ইং তারিখে ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলে দেখতে গিয়ে ছিলাম আয়নাবাজি। হলের সামনে যেতেই চোখ পড়ল কর্তৃব্যরত দুই ব্যাক্তির উপর।

০২।



হলে সামনে টানানো রয়েছে পরিচ্ছন্ন বিশাল ছবির ব্যানার। যা নব্বই দশকের কথা মনে করে দেয়।

০৩।



টিকিট কাউন্টারে দাড়িয়ে টিকিট সংগ্রহে বেশি সুবিধা করতে না পেরে ভিতরে প্রবেশ করলাম। সেখানেও দেখলাম মানুষের জটলা। লোকজন কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে ‘ব্লাক মেইল’ থেকে টিকিট কাটছে।

০৪।



অনেক কষ্টে পঞ্চাশ টাকার টিকিট ৭০ টাকা দিয়ে কিনলাম। টিকিটে শীতাতপ চার্জ কেটে নেওয়া থাকলেও ভিতরে সিলিং ফ্যানের শব্দ ছবি দেখার সময় এক্্রটা ফ্লেভার যোগ করেছে।

০৫।

হলে প্রবেশের সময় মানুষের দীর্ঘ সাড়ি দেখে মনে হয়েছে ‘ ঢালিউডের যৌবনে পূর্ণ জোয়ার লেগেছে’।

০৬।



চলিতেছে আয়নাবাজি।

০৭।




নবাগত নায়িকা হিসেবে নাবিলা অভিনয়টা খারাপ করেনি।

০৮।

ছবির মধ্য খানে ‘intermission’ এর সময় বাহিরে আসলাম একটু শরীরে হাওয়া লাগাতে তখন এই জিনিষটা চোখে পড়ল। এটি মনে করিয়ে দেয় “আমাদের অতীত ঐতিহ্য’ কথা।

০৯।



ছবি শেষ! কিন্তু রেখে আসতে হলো “আয়না কে” তবে মনের মধ্যে যে আয়নার ছবি এঁকেছি তা আমার সাথেই আছে।

১০।



আয়নাবাজি ছবির একটি পোষ্টার।

রিভিউঃ

কাহিনী সংক্ষেপঃ শরাফত করিম আয়না (চঞ্চল চৌধুরী) –সাধারণ অভিনয় শিক্ষক আর পার্টটাইম জাহাজের কুকের ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকা এক অপরাধী ! তবে অপরাধের জগতে তার বিচরণ হল অন্য দাগী অপরাধীদের হয়ে জেল খাটা- অন্যের হাঁটাচলা থেকে অঙ্গভঙ্গি সুনিপুণভাবে অনুকরণ করতে পারা মানে তার অভিনয়গুণই এক্ষেত্রে তার বড় যোগ্যতা। এই চলচ্চিত্রে সে ছয়টি চরিত্রে অভিনয় করেছে। ছয়টি চরিত্রের প্রতিটি আলাদা। সাধারণের চোখ ফাঁকি দিতে পারলেও এক হতাশাগ্রস্ত ক্রাইম রিপোর্টার (পার্থ বড়ুয়া) সত্য উদ্ঘাটনের জন্য আয়না-র পিছু নেয়, এদিকে পাড়ায় নতুন আসা ভাড়াটিয়া হৃদির (মাসুমা রহমান নাবিলা) সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে আয়নার। একসঙ্গে বাচ্চাদের নাটক শেখাতে গিয়ে একে অন্যের প্রেমে পড়ে যায় তারা। হৃদির প্রতি ভালোবাসার টানে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায় আয়না।

এরমধ্যেই ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসির আদেশ হয় আয়নার। এখন কে বাঁচাবে আয়নাকে? আয়না কি মরে যাবে নাকি তার ভেলকিবাজির জাদুতে বের হয়ে আসবে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে? এমনই এক রহস্যময় ও উত্তেজনায় মোড়া গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘আয়নাবাজি’ ছবিটি। শেষ পযন্ত কি হল আয়নার পরিণতি- তা জানতে হলে দর্শকদের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষ করতে হয়।


চরিত্র ব্যবচ্ছেদ: ‘আয়নাবাজি’র প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরি। আয়নাবাজি’তে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় মনে করিয়ে দেবে জনি ডেপের ‘চরিত্র-নির্ভর’ সিনেমাগুলোর কথা; যেখানে চরিত্রের গভীরে এতোটাই ডুবে যান তিনি, যে দেখে বোঝার উপায় থাকেনা ডেপ আসলে অভিনয় করছেন!

চঞ্চল চৌধুরীর বিপরীতে নাবিলার অভিনয় ছিল বেশ সাবলীল ও স্বতঃস্ফূর্ত। রোমান্টিক সিনে দু’জনের রসায়ন, বিশেষ করে চুম্বন দৃশ্যে নাবিলার অভিনয় ছিল সাহসী।

সাংবাদিক চরিত্রে পার্থ বড়ুয়ার অভিনয়ও ছিল বিশ্বাসযোগ্য। একরোখা, মদ্যপ ও বিষন্ন এক সাংবাদিকের চরিত্র সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।

দুশ্চরিত্র ব্যবসায়ীর চরিত্রে লুৎফর রহমান জর্জ এর চরিত্র নজর কড়েছে সবার। এছাড়া কমেডি চরিত্রে জামিলের অভিনয় ও স্টুডিও মালিকের চরিত্রে গাউসুল আজম শাওন ছিল বেশ মানানসই। অতিথি চরিত্রে পর্দায় আরেফিন শুভকে দেখে দর্শকের জোড় করতালি বুঝিয়ে দিয়েছে তিনি সকলের কতটা প্রিয়! মোট কথা কারও অভিনয়ই অতিরঞ্জিত মনে হয়নি বরং চরিত্রের প্রয়োজনে প্রত্যেকের অভিনয়ই ছিল যথাযথ।

অধমের মন্তব্য: দর্শক মাতাতে হলে যে যৌনউত্তেজনায় ভরপুর ‘আইটেম গান’ রাখতে হয়- এ কথাকে পুরোপুরি মিথ্যা প্রমাণ করলো ‘আয়নাবাজি’র গান। পাশের দেশের দাদাদের অনুকরণে উত্তেজক নাচ-গান নির্ভর ছবি না বানিয়েও দেশের নিজস্ব ঢঙ্গে পুরোদমে থ্রিলারধর্মী সিনেমা বানানো সম্ভব তা আয়নাবাজি না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না।

হলের পরিবেশ: আমাদের দেশে হলের পরিবেশ আরো সুন্দর করতে হবে। আনন্দ সিনেমা হলের চেয়ার যে অবস্থা বসলে মনে হবে ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে রিমান্ড দিচ্ছে। ভিতরকার ওয়ালে শ্যাওলা পড়ে আছে। মনে হতে পারে কোন হন্টেট প্লেসে আছি। মেঝে অপরিস্কার ও নোরাং। টিকেটের কালোবাজিরি কপালে দু:চিন্তার ভাঁজ পড়বে। এতো কিছুর মধ্যেও ভালো সিনেমার টানে দর্শকের উপচে পড়া ভিড় মনের মধ্যে আশা জাগিয়ে তুলবে। আবার শুরু হতে যাচ্ছে পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখার যুগ শুরু।

সর্বশেষ রাজনৈতিক মারপঁ্যাচঃ এখন আমরা বলতেই পারি- “এ ধরণের ছবি জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল”।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি রিভিউ অংশটি আরো কিছুটা পরিমার্জন করুন। কেননা, আপনার রিভিউ অনেকটা স্পয়লার টাইপ হয়েছে। ফলে যিনি এই ছবিটি এখনও হলে গিয়ে দেখেন নি, তিনি পূর্ন মজা পাবেন না। আশা করি দ্রুত এই পরিবর্তনটি সম্পাদন করবেন।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কাল্পনিক ভালোবাসা,

আপনার কল্পনার জগৎ সত্যিই বিচিত্র! আমার রিভিউ স্পাইরাল (ফাইল) আকারে হয়েছে! শুনে আমি’ত অবাক, ১০৮ (একশত আট ওয়ার্ডের) কাহিনী সংক্ষেপটি পুরো ছবির প্লাটফর্ম তুলে ধরেছে জেনে নিজেকে কেমন জানি ওজনদার মানুষ মনে হয়! কেননা তিন ঘন্টা দৈর্ঘের ছবির কাহিনী আমি মাত্র ১০৮ আট শব্দে তুলে ধরতে পেরেছি। এটাই কম কিসে? আমাকে একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন।

তারপরও আপনাকে দ্বিতীয়বার ধন্যবাদ জানাচ্ছি- বিষয়টি আপনার নজরে এসেছে বলে। সময় ও সুযোগ পেলে সংশোধন করে দিব- ইন-শা-আল্লাহ্ ।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:০৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
রিভিউটা স্পয়লার যুক্ত মনে হল।

অনেকটাই ফাঁস করে দিলেন।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভাই রক্তিম দিগন্ত, আমার মনে হয়না এটি স্পাইরাল হয়েছে। এটা বড়জোড় হ্যান্ড নোট হতে পারে। যে ছবিতে রয়েছে প্রতিটি পড়তে পড়তে রহস্য সেখানে অল্প কথায় স্পাইরাল হওয়াটা যুক্তি যুক্ত না।


এই ছবি কয়েক বারও যদি গাটের টাকা খরচ করে দেখে তাহলে তার টাকা গচ্ছা যাবে না বলে আমার মনে হয়। আর এখানে সামান্য বর্ণনা মাত্র।

মন্তব্য ঘরে- ““পাশের দেশের দাদাদের অনুকরণে উত্তেজক নাচ-গান নির্ভর ছবি না বানিয়েও দেশের নিজস্ব ঢঙ্গে পুরোদমে থ্রিলারধর্মী সিনেমা বানানো সম্ভব তা আয়নাবাজি না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না।””

এই কথাটুকু অনেকের গায়ে জ্বালা ধরতে পারে। কারণ দাদাদের সমালোচনা অনেকের আবার সহ্য হয় না।

আমার মনে হয় আপনি সেই দলের কেউ না।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.