নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুজুগে মুসলমানদের আকর্ষনীয় অফার! ** শর্ত প্রযোজ্য**

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

প্রায়ই ফেসবুক, টুইটার, ইমো ইত্যাদি থেকে ম্যাসেজ আসে। এই ম্যাসেজগুলো আসে পরিচিত জনদের কাছ থেকেই।


ম্যাসেজের ভাষা আলাদা আলাদা হলেও মূল বিষয় এক, তা হল- কালেমা প্রচার এবং তার সাথে রয়েছে বিশেষ পুরুস্কার প্রাপ্তি। যেমন:- মনের আশা পূর্ণ, ভালো খবর পাওয়া, নিজের ভালোবাসা পূর্ণ করা ইত্যাদি ইত্যাদি। এরকম কয়েকটি ম্যাসেজের স্ক্রিন শর্ট এখানে দেওয়া হলো যেগুলো আমাকে পাঠানো হয়েছে। ভাবতে অবাক লাগে এই ম্যাসেজ গপ্পরে পড়েছে উচ্চ শিক্ষিত লোক থেকে শুরু করে ঘরের গৃহ বধূরা পর্যন্ত ।



সাধারণত এই ধরণের প্রোগ্রামের যারা প্রোগান্ডা চালান তারা আমাদের মা-বোনদের সহজ সরল মন কে টার্গেট করে কর্ম সাধন করে থাকেন। কেননা, আমাদের দেশের মহিলারা অত্যান্ত ধর্মের বিষয়ে সেনসেটিভ। এবং তারা ধর্মের যেকোন বিষয় কে সহজে গ্রহন করতে রাজি থাকে।


এখন সময় এসেছে এই ধর্মের বিষয়ে মা-বোনদের সচেতন করার। তা না হলে এই ধরণের প্রচরণা যে কোন সময় মহামারি আকার ধারণ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।



একজন মাদ্রাস পড়ুয়া মেয়ের থেকে এই ধরণের ম্যাসেজ পেয়ে আমি’ত অবাক। হায় আল্লাহ্ এই কোন দেশে বাস করি।


ধর্ম এমন এক জিনিষ যা মানুষের আবেগের চরম বহি:প্রকাশের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এই ধরণের ম্যাসেজের প্রতি উত্তর দিতে দিতে আমি হয়রান। এখন পরিচিত জনের অনেকে আমার ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে সন্দেহ করে। আমি এখানে কয়েক জনেরটা উল্লেখ করছি। বাট প্রাইভেসির কারণে অন্যগুলো দিতে পারলাম না।

এখন আসি আসল কথায় । এই ম্যাসেজ পড়লে কয়েকটি বিষয় চোখে পড়ে-

১। এই ম্যাসেজ অন্য জন কে পাঠাতে হবে।
২। পাঠালে অবশ্যেই খুশির সংবাদ পাবে।
৩। এর মাধ্যমে কালেমার প্রচার হয়।
৪। না পাঠালে দু:খের সংবাদ পাওয়া যাবে।
৫। এখানে কয় জনকে পাঠাতে হবে তার সংখ্যা দেওয়া থাকে।
৬। কয় দিনের মধ্য রেজাল্ট পাওয়া যাবে তারও সংখ্যা নির্দিষ্ট করে লেখা থাকে।
৭। সংবাদগুলো মোটামুটি এরকম: খুশির সংবাদ, মনের আশাপূর্ণ, দু:খের সংবাদ ইত্যাদি ইত্যাদি।

এবার আসা যাক ধর্মগ্রন্থ এ বিষয়ে কি বলে-

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের মনে অবশ্যই এই ধারণা জন্মানো উচিত যে, যখন আল্লাহ্‌ কোন প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন তখন তিনি তা পূরণ করেই থাকেন, আর প্রতিশ্রুতি পূরণ করাই আল্লাহ্‌র সুন্নাহ।
“আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহ প্রতিশ্রুতির খেলাফ করেন না।” [সূরা ঝুমার ২০]
এবং আরেকটি আয়াতে তিনি বলছেন,
“সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহর ওয়াদা যথার্থ। তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়”। [লুকমান ৯ ]

কাজেই যখন কাউকে দেখা যায় যে সে দাবী করছে তার জীবনে আল্লাহ্‌র দেয়া ওয়াদা কার্যকর হয়নি, কিংবা আল্লাহর প্রতিশ্রুত সাহায্য এসে পৌঁছায়নি কিংবা ভবিষ্যতেও যদি না এসে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য অনুচিত কাজ হল আল্লাহ্‌র দেয়া ওয়াদার প্রতি সন্দেহ করা, আর উচিত কাজ হল তার নিজের ঈমানের প্রতি সন্দেহ পোষণ করা। এই সমসস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার নিজের কারণে , কারণ যদি কেউ আল্লাহ্‌র প্রতি সত্যবাদী থাকে তাহলে আল্লাহও তার প্রতি সত্যবাদী থাকেন, আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুত ওয়াদায় কোন সমস্যা নেই, সমস্যা আমাদের ঈমানে।

মুমিনদের জন্যে আল্লাহর পক্ষ হতে ২৫টি প্রতিশ্রুতি :

১ম প্রতিশ্রুতি
জান্নাত

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

“আর হে নবী (সাঃ), যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে, তখনই তারা বলবে, এতো অবিকল সে ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম। বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে। এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে”। [সূরা বাকারাহ ২৫]

২য় প্রতিশ্রুতি
পথ চলার আলো

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন, “যেদিন আপনি দেখবেন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদেরকে, তাদের সম্মুখ ভাগে ও ডানপার্শ্বে তাদের জ্যোতি ছুটোছুটি করবে বলা হবেঃ আজ তোমাদের জন্যে সুসংবাদ জান্নাতের, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত, তাতে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই মহাসাফল্য”। [সূরা হাদীদ ৫৭:১২]


৩য় প্রতিশ্রুতি
আল্লাহ আপনার সাথে থাকবেন

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,
“…জেনে রেখ আল্লাহ রয়েছেন ঈমানদারদের সাথে।.”
[সূরা আনফাল ১৯]

৪র্থ প্রতিশ্রুতি
আল্লাহ্‌র পক্ষ হতে উদারতা,দয়া ও করুণা - ফযল

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

“…আর আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল”। [আলে ইমরান ১৫২]

৫ম প্রতিশ্রুতি
আল্লাহ্‌র পক্ষ হতে সুরক্ষা ও বন্ধুত্ব

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরো বলছেন,
“মানুষদের মধ্যে যারা ইব্রাহীমের অনুসরণ করেছিল, তারা, আর এই নবী এবং যারা এ নবীর প্রতি ঈমান এনেছে তারা ইব্রাহীমের ঘনিষ্ঠতম-আর আল্লাহ হচ্ছেন মুমিনদের বন্ধু”।
[আলে ইমরান ৬৮]

৬ষ্ঠ প্রতিশ্রুতি
আল্লাহর পক্ষ হতে করুণা- রহমত

“যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদেরকে তাদের পালনকর্তা স্বীয় রহমতে দাখিল করবেন।
এটাই প্রকাশ্য সাফল্য”। [সূরা জাশিয়া ৩০]

৭ম প্রতিশ্রুতি
বিজয়

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরো বলছেন,

“আমি সাহায্য করব রসূলগণকে ও মুমিনগণকে পার্থিব জীবনে ও সাক্ষীদের দন্ডায়মান হওয়ার দিবসে”।
[সূরা গাফির ৫১]


৮ম প্রতিশ্রুতি
আল্লাহ মন্দকে মুছে দিবেন

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

“আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদের মন্দ কাজ গুলো মিটিয়ে দেব
এবং তাদেরকে কর্মের উৎকৃষ্টতর প্রতিদান দেব”।
[আল আনকাবুত ৭]

৯ম প্রতিশ্রুতি
তাদের জন্যে ভালোবাসা

“যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদেরকে দয়াময় আল্লাহ ভালবাসা দেবেন”।
[মারিয়াম ৯৬]


১০ম প্রতিশ্রুতি
কোন প্রচেষ্টা বৃথা যাবে না

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

“যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কার নষ্ট করি না”।
[কাহফ ৩০]


১১শ প্রতিশ্রুতি
শয়তান হতে সুরক্ষা

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

“তার (শয়তানের) আধিপত্য চলে না তাদের উপর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আপন পালন কর্তার উপর ভরসা রাখে”। [নাহল ৯৯]


প্রতিশ্রুতি-১২
অবিচলতা ও দৃঢ়তা

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

“আল্লাহ তা’আলা মুমিনদেরকে মজবুত বাক্য দ্বারা মজবুত করেন। পার্থিবজীবনে এবং পরকালে। এবং আল্লাহ জালেমদেরকে পথভ্রষ্ট করেন। আল্লাহ যা ইচ্ছা, তা করেন”। [ইবরাহীম ২৭]



প্রতিশ্রুতি-১৩
একটি শুভ সমাপ্তি

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

· “যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ এবং মনোরম প্রত্যাবর্তণস্থল”।
[সূরা রাদ ২৯]

প্রতিশ্রুতি-১৪
আল্লাহ আপনাকে পরিত্রাণ করবেন, রক্ষা করবেন

· “অতঃপর আমি বাঁচিয়ে নেই নিজের রসূলগণকে এবং তাদেরকে যারা ঈমান এনেছে এমনিভাবে।
ঈমানদারদের বাঁচিয়ে নেয়া আমার দায়িত্বও বটে”।

· [সূরা ইউনুস ১০৩]

প্রতিশ্রুতি-১৫
হেদায়াত-পথ চলার নির্দেশনা

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

· “অবশ্য যেসব লোক ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তাদেরকে হেদায়েত দান করবেন তাদের পালনকর্তা, তাদের ঈমানের মাধ্যমে। এমন সুসময় কানন-কুঞ্জের প্রতি যার তলদেশে প্রবাহিত হয় প্রস্রবণসমূহ”।
[সূরা ইউনুস১০:৯]


প্রতিশ্রুতি-১৬
বারাকাহ-বরকত

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

· “আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং পরহেযগারী অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের প্রতি আসমানী ও পার্থিব নেয়ামত সমূহ উম্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি তাদের কৃতকর্মের বদলাতে”।[আরাফ ৯৬]



প্রতিশ্রুতি-১৭
শান্তি এবং নিরাপত্তা

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

· “যারা ঈমান আনে এবং স্বীয় বিশ্বাসকে শেরেকীর সাথে মিশ্রিত করে না, তাদের জন্যেই শান্তি এবং তারাই পথগামী।” [সূরা আনয়াম ৮২]




প্রতিশ্রুতি-১৮
ক্ষমা-মাগফিরাত

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

· “যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহান প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন”। [সূরা মায়িদা ৯]



প্রতিশ্রুতি-১৯
আল্লাহ তাদেরকে পূর্ণ মূল্য প্রদান করবেন

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

“পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে। তাদের প্রাপ্য পরিপুর্ণভাবে দেয়া হবে। আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না।” [আলে ইমরান ৫৭]


প্রতিশ্রুতি-২০
কোন ভয় নেই, কোন অবসাদ নেই

আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

· “নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎকাজ করেছে, নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান করেছে, তাদের জন্যে তাদের পুরষ্কার তাদের পালনকর্তার কছে রয়েছে। তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।”
[সূরা বাকারাহ ২৭৭]


প্রতিশ্রুতি -২১
অন্ধকার হতে আলোতে আনয়ন

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

· “যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।”[সূরা বাকারাহ ২৫৭]



প্রতিশ্রুতি -২২
আল্লাহ্‌ কখনোই কাফিরদেরকে মুসলমানদের উপর জয়ী হতে দেবেন না

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

· “এবং কিছুতেই আল্লাহ কাফেরদেরকে মুসলমানদের উপর বিজয় দান করবেন না।” [নিসা ১৪১]


প্রতিশ্রুতি -২৩
সুরক্ষা

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

· “আল্লাহ মুমিনদের থেকে শত্রুদেরকে হটিয়ে দেবেন। আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না”।
[সূরা হাজ্জ ৩৮]


প্রতিশ্রুতি-২৪
একটি সুন্দর জীবন-হায়াতে তাইয়্যেবা

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

· “যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত”। [নাহল ৯৭]


প্রতিশ্রুতি-২৫
দুনিয়াতে কতৃত্ব দান-তামকিন

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন,

· “তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসনকর্তৃত্বদান করেছেন তাদের পূর্ববতীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে,যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার এবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে,তারাই অবাধ্য”। [সূরা নূর ৫৫]


এখন কি বুঝলেন ম্যাসেজের যে প্রতিশ্রুতির কথা বলা হচ্ছে তা আমল যোগ্য নয়। মূল কথা হলো আল্লাহ্ মুমিনদের সৎকর্মের জন্য পরকালে পুরুস্কার দিবেন দুনিয়াতে নয়।

বাস্তবতা হলো কোন ব্যাক্তি যদি এই ম্যাসেজ ২০ অথবা ৩০ জন কে পাঠিয়ে খুশির সংবাদ না পান তাহলে তার ঈমানের ঘাটতি দেখা দিবে। ফলে যারা এই বিষয়টিকে ভাইরাল করেছেন তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হবে।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:০৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: খুবই চমৎকার একটি লেখা ! আল্লাহর কর্তৃক যে 25টি প্রতিশ্রুতির কথা আপনি লিখেছেন তার অধিকাংশেরই প্রাপ্তির পূর্বশর্ত হচ্ছে ঈমান এবং সৎ কার্য ! লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে প্রচুর ধর্মপ্রাণ (!0 ব্যক্তিই এই দুটি মূলশর্ত পালন না করে অনুসংগিক শর্তসমূহ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন - অথবা বলা চলে এই দুটি মূলশর্তকে কৌশলে পাশ কাটিয়ে যান ! কারণ আল্লাহর প্রতি ঈমান যাদের অবিচল তারা যত দুঃখ কষ্টই পান না কেন কখনো আল্লাহর প্রতি ঈমান হারিয়ে সহজ সরল পথ বাদ দিয়ে অন্যায় বা অসৎ পথের আশ্রয় নেন না ! সত্যিকারের ঈমানদাররা শত অভাব অনটনেও সৎপথে চলা থেকে বিচ্যুত হন না এবং আন্তরিকভাবে নিজের সাধ্য অনুযায়ী সৎকার্যে করে থাকেন ! তবে চরম অপ্রিয় হলেও সত্য এই ধরণের প্রকৃত ধর্মভীরু লোকের সংখ্যা বর্তমানে দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে !

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ দিতেই হয় কারণ আপনি সত্য কথা বলেছেন। বর্তমান সময়ে সত্য কথা বলার লোক দিন দিন কমে যাচ্ছে ।

ভালো থাকবেন দিবা নিশি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.