নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৩ বছর পর নির্বাচন! জনগণ কি পারবে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬



বিষয়ঃ আলাওলপুর ও কুচাইপট্টি ইউপি নির্বাচনে কারচুপি ও প্রতিকার!!
সত্যের ছায়া: আগেই বলে রাখা ভাল, এই লেখাটি আমার জন্য খুবই অস্বস্তিকর । এই কাজগুলো আলাওলপুর ও কুচাইপট্টি ইউপি নির্বাচনে করা হবে কিনা তা আমি নিশ্চিত নয়। না হওয়ার সম্ভাবনা 99%। হওয়ার সম্ভাবনা 1%। যদি এই 1% সত্য হওয়া তাহলে কি হতে পারে। জানতে হলে নিচের বিশ্লেষণটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন:

মনে রাখবেন, নির্বাচনে জিতার জন্য অনেক কৌশলই করা হয় , সেগুলো যথার্থভাবে প্রয়োগ করতে না পারলে পরজয় অনিবার্য তার সাথে জামানত বায়জাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা 100%।

এখানে যে কৌশলগুলোর কথা আমি বলব , সেগুলো এখন আগের মতো গনব্যবহার করা সম্ভব না । কারন স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স আর জাতীয় পরিচয়পত্রের কারনে এখন কারচুপি করা অনেক কষ্টকর হয় । তবে নিশ্চয়ই যারা জনগণের উপর ভরসা না করে প্রার্থী হয়েছেন তারা নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করে সেগুলো প্রয়োগের চেষ্টা করেন। সুতরাং আলাওলপুর ও কুচাইপট্টিতে প্রচলিত কিছু কারচুপির কৌশল ( সেগুলো প্রয়োগ করা হবে না বলে আমি নিশ্চিত) জানিয়ে দিচ্ছি , যাতে বুঝতে পারেন নির্বাচন সহজ বিষয় নয় । নির্বাচনে কারচুপি করতে হলে মাথায় গিলু লাগবে, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে হাত করা লাগে। জনগণ এক্ষেত্রে কোন ফ্যাক্টর নয়। তবে কোন কারণে কৌশল মিসটেক হয়ে গেলে পরাজয় অনিবার্য।




*** ভোটের আগের ৪৮ ঘন্টা : এটাকে কালরাত্রির সাথে তুলনা করা যায় । এই সময়ে অনেক প্রার্থীর ভাগ্য উলটপালট হয়ে যায় । খুব সতর্ক থাকতে হয়, খুব ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি নজর রাখতে হয়। সব এলাকায় কর্মীদেরকে সতর্ক করে দিতে হয় যাতে করে কোথাও কালোটাকা ছড়ানোর কোন সুযোগ না আসে । নিজের দূর্গগুলোকে দূর্ভেদ্য করে নিতে হয় , সার্বক্ষনিক নজদারি রাখতে হবে এলাকায় যাতে করে কারো সন্দেহজনক গতিবিধি দেখা গেলেই সেটাকে চ্যালেঞ্জ করা যায় । গ্রাম এলাকায় গাড়ি আর মোটরসাইকেল কম , তাই নজরদারি করাটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। আলাওলপুর ও কুচাইপট্টি সেটি করা অত্যান্ত সহজ কারণ দুটি ইউনিয়নই দুর্গম ও চরাঞ্চলে অবস্থিত।
আজকাল গায়ের জোরে কেন্দ্র দখলের মতো বড় জালিয়াতি অতি উৎসাহে করতে দেখা গেছে , কিন্তু অনেক সুক্ষ কৌশলেও কারচুপি করা যায় সেগুলো সরকার দলীয় থেকে যারা নমিনেশন পান তারা বুঝতে অক্ষম। তারা ভাবে নির্বাচন কমিশন আর প্রশাসন তাদের কে জোড় করে জিতিয়ে দিবেন!

আসুন কিছু সুক্ষ কারচুপির কৌশল যা আলাওলপুর ও কুচাইপট্টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রয়োগ করেও ব্যর্থ হবে । যার ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে করা সম্ভব হবে- ইন-শা-আল্লাহ্।

১. ভোটকেন্দ্র সিস্টেম করে ব্যালট পেপার বাইরে নিয়ে আসা :
সাধারনত আগে থেকে নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে খবর নেয়া হয় কোন এলাকায় কোন অফিসার কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন ।
তারপর তাকে আগে থেকেই ম্যানেজ করে ফেলা হয় । তারপর ভোটের দিন স্বাক্ষরিত ব্যালট পেপারের কয়েকটি বই কৌশলে বাইরে নিয়ে আসা হয় । সেখানে দেখে দেখে মুড়িতে অনুপস্থিত ভোটারদের তালিকানুযায়ী নামগুলো বসিয়ে দিয়ে ব্যালট কাটা হয় । তারপর যখন দলীয় ভোটাররা ভোট দিতে যায় , তারা এই ব্যালটগুলো সাথে করে কয়েকটি করে নিয়ে যায় । নিজের ব্যালট বাক্সে ঢুকানোর সময় বাকীগুলোই একই সাথে বুথ থেকে ভাঁজ করে হাতে নিয়ে আসে এবং বাক্সে ঢুকিয়ে দেয় ।
এভাবে যদি ২০ জন কর্মীকে কাজে লাগানো যায় , তাহলে ১০০ ভোট বাড়িয়ে নেয়া যায় ।
অন্যদিকে ব্যালট বইয়ের মুড়ি আবার এক সুযোগে অফিসারের কাছে দিয়ে আসা হয়। এতে করে ভোট গননার সময় ব্যালট বইয়ের হিসাব আর ব্যালটের হিসাব মিলে যায় , কিন্তু ফাকতালে ভোট পায় কারচুপি করা প্রার্থী ।
সাধারনত ছোট এবং দুর্গম ভোটকেন্দ্রে যেখানে প্রার্থীর সমর্থন বেশি সেই কেন্দ্রগুলোতে এমন কৌশল খাটানো হয় , কিন্তু আলাওলপুর ও কুচাইপট্টিতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারবে না কারণ জনগণ ও আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি থাকবে সে দিকটার প্রতি।
২. ভোট স্লো(ধীরে) করে দেয়া :
প্রার্থীর জন্য যে কেন্দ্রগুলো বৈরী , যেগুলোতে প্রতিপক্ষের বেশি ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা তেমন কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহনকে কৌশলে বাধাগ্রস্থ করা হয় ।
প্রথমেই "ম্যানেজ করে " ভোট বুথ কমিয়ে দেয়া হয় । বুথ কম থাকায় ভোটাররা এমনিতেই বেশি সময় লাইনে দাড়াতে বাধ্য হয় ।
তারপর ভোট গ্রহনকে ধীর করার জন্য বেয়াড়া এজেন্ট বসানো হয় । এরা সবাইকে চ্যালেঞ্জ করে । ধরা যাক আ: রহিম মিয়া নামের একজন ভোটার ভোট দিতে গেলেন । সেখানে এজেন্ট বলবে যে ইনি রহিম মিয়া না । রহিম মিয়াকে তখন বলতে হবে অবশ্যই তিনি রহিম মিয়া । তারপর রহিম মিয়াকে চেনে এমন লোককে সামনে আনতে হবে অথবা অন্য কোন পরিচয় হাজির করতে হবে । এভাবে প্রতি ভোটের ক্ষেত্রে সময় নষ্ট করা হয় ।
ওদিকে দীর্ঘ লাইন দেখে অনেক ভোটার ( বিশেষ করে মহিলা ভোটার)বিরক্ত হয়ে বাড়ি চলে যায় । অনেকে লাইনে দাড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি চলে যায় । বয়স্ক ভোটারদেরকে আনা হয় না এই ঝামেলার মাঝে ।
জাতীয় পরিচয়পত্র চালু হওয়ায় এভাবে স্লো করে দেয়ার হার অনেক কমে গেছে । তারপরও ‘জোড় যার মুল্লুক তার’ বলে একটা কথা আছে। কিন্তু উপরোক্ত নির্বাচন এই কৌশল খাটিয়েও লাভ হবে না। কারণ ভোটারগন সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্র উপস্থিত হয়ে ভোট প্রদান করবে। তারা কোন রকম ঝামেলা মনে করবেনা।
ভোট স্লো করে দেয়ার আরেকটি কৌশল হচ্ছে খামোখাই অস্থিরতা তৈরী করা । কেন্দ্র পাহারা দেয় যে পুলিশ আর আনসার , এরা সাধারনত আগের রাতেই কেন্দ্রে এসে পৌছে । তাদেরকে রাতের মাঝে ম্যানেজ করা হয় ।
এদের কাজ হচ্ছে কিছুক্ষন পর পর লাঠি চার্জ করা আর হুইসেল বাজিয়ে তেড়ে আসা। দেখে মনে হবে , আহা , কতো শান্তি শৃংখলাই না রক্ষা করা হচ্ছে , আসলে কিন্তু ভোট স্লো হয়ে যাচ্ছে।
শোরগোল আর লাঠিচার্জ দেখলে মহিলা আর বৃদ্ধ ভোটাররা নিজেরা তো আসেই না, বাড়ির ছেলেপিলেদের নিরাপদ করতে বাড়ি ডেকে নিয়ে যায় ।
এতে করে প্রতিপক্ষের অবস্থান শক্ত এমন কেন্দ্রগুলোতে প্রত্যাশিত মাত্রায় ভোট পায় না । এখানে দেখা যাচেছ 31 তারিখের নির্বাচনে এই কৌশল ও বুমেরাং হবে আশা করা যায়।

৩. গুজব ছড়ানো: অনেক সময় গুজব ছড়ানো হয় অমুক প্রার্থী নির্বাচনে হেরে যাবেন বলে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছেন। এই গুজব ছড়ানোর ফলো অনেক সময় কর্মী ও সমর্থকরা নিরাশ হয়ে নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে চলে আসে। এই গুজবে আলাওলপুর ও কুচাইপট্টির জনগণের কান দেওয়া দরকার নাই। বরং তারা নিজেরা প্রার্থীর প্রতিনিধি হয়ে নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন।

৪. প্রতিপক্ষের প্রার্থীকে মারধর করা: এটা সাধারণত করা মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য। বহিরাগত সন্ত্রাসী/স্থানীয় সন্ত্রাসী বায়না করে বা লেলিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষের প্রার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এক্ষেত্রে যাদের ক্ষমতা বেশি তারে এই পদ্ধতির ব্যাপারে আধিক আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে।এটা্ যাতে করতে নার পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি থাকবে(আশা করা যায়)।সুতরাং এখানেও দেখা যাচ্ছে যে এই পদ্ধতি ব্যর্থ হবে।
৫. প্রতিপক্ষের প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করা: এক্ষেত্রে হঠাৎ কোন ভূতুরে অভিযোগ এনে পুলিশ দিয়ে প্রতিপক্ষের প্রার্থীকে গ্রেফতার করে হয়রানি করা হয়। ফলে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিজের পক্ষে চলে আসে। এবং কারচুপি করতে অনেক সহজ হয়। কিন্তু আলাওলপুর ও কুচাইপট্টিতে এরকম করা হবে না। বরং সব প্রার্থীকে নিরাপপ্তা দিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

৬. জোড় করে স্বাক্ষর আদায়: কেন্দ্রের ফল প্রকাশ হওয়ার আগেই প্রতিপক্ষের এজেন্ট থেকে জোড় করে স্বাক্ষর আদায় করে নেওয়া হয় যে অমুক প্রার্থী এত এত ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছে আর অমুক প্রার্থী ফেল করেছে। ফলে নির্বাচনে কারচুপি করতে আর কোন বাঁধা থাকে না। এক্ষেত্রে আলাওলপুর ও কুচাইপট্টিতে হবে উল্টোটা বরং এজেন্টদের শক্তিশালী ও সাহসী মনোভাবের কারণে কারচুপি করার বা অন্য কোন অপসন থাকবেনা।
৭. কেন্দ্রে প্রতিপক্ষের এজেন্টদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো: কিছু কিছু ক্ষেত্রে এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কারচুপি করা হয়। কিন্তু নির্বাচনে এজেন্ট হিসেবে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে তারা যেন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মত মনমানসিকতা নিয়েই দায়িত্ব পালন করতে পারে সেদিক খেয়াল রাখতে হবে।

৮। কেন্দ্র দখল: এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকে ক্ষমতাবানরা। তারা কেন্দ্র দখল করে গণহারে সিল মারতে থাকে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (স্টাইক ফোর্স) আসার সাথে সাথে সড়ে পরে। ফলাফল যা হওয়ার আগেই হয়ে গেছে। পরে আফসোস করার কিছু থাকে না। তাই কেন্দ্র যাতে কেউ দখল করতে না পারে সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলার ও জনগনের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। নির্বাচনে জেতার এই কৌশল শুরুতেই মার খেয়ে যাবে। বরং কেন্দ্র দখল করতে গিয়ে উল্টো ক্ষমতাসীন বা অন্য যে কেউ জনগন ও আইনশৃঙ্খলার রোষানলে পড়বে এবং অনেকের শরীর ব্যাথার চিকিৎসাও নিতে হতে পারে।

৯. কল্পিত সাহায্য: সবশেষে এই সাহায্যের জন্য অপেক্ষায় থাকবে। যেন অলৌকিক কিছু এসে অযোগ্য প্রার্থীকে আবার জাগিয়ে তুলবে। এক্ষেত্রে আল্লাহ্, খোদা, পীর - ফাখরার নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। এ ধাপে এসে বাবা শাহ্জালাল কিংবা শামপুরী অথবা গোলাপশাহ্ এর নামে গরু খাসী মান্নত করলে অবাক করার কিছু থাকবে না। এটা যে কেউ করতে পারে। এরুপ পদ্ধতি অনেকটা নিরাপদ কিংবা বিফলে যাওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯৯%! প্রায়ই ক্ষেত্রে ১০০%।

১০. সংবাদ সম্নলন: সর্বশেষ ধাপ হল এটি। যখন পরাজয় নিশ্চিত তথন নির্বাচন থেকে মুখ ঢাকতে এটি করা হয়। এটি যে কেউ করতে পারে--- দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিরোধী নেত্রী পর্যন্ত। মেম্বার- চেয়ারম্যানরা করলে দোষ কোথায়। তারা হয়ত দু’একটি প্রিন্ট/ ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে বলবে ভোট সুষ্ঠ হয়নি!প্রতিপক্ষ প্রার্থী প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট ডাকাতি করেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে, এটি করলে নির্বাচনে তেমন কিছু যায় আসে না। যে জিতার সে জিতবেই। শুধু লাভ সংবাদিকদের, তারা পাবলিশ করার মত কিছু পেয়ে যাবে।



******* এরকম প্রায় ডজনখানেক পদ্ধতি আছে , যেগুলো প্রকাশ্যে আলাওলপুর ও কুচাইপ্িট্ট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রয়োগ করা হতে পারে সেটা হয়ত লেখা ঠিক হবে না । আর কি কি হতে তা প্রার্থী নিজ থেকে বোঝা উচিত! না বোঝতে পারলে তিনি প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য।
একটা ইনফো ...দেই । মনে রাখবেন , বোকারা জাল ভোট মারে প্রথম দুই ঘন্টায় ,বুদ্ধিমানরা মারে দুপুরে ।

(জ্ঞাতব্যঃ শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ও আলাওলপুর ইউনিয়নে সর্বশেষ ২০০৩ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রায় ৯ বছর পর ২০১১ সালের ১২ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ওই বছরের ২৬ এপ্রিল সারা দেশের সাথে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর পরে ৩ মে পাশ্ববর্তী চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার হাইমচর ইউনিয়ন ও নীলকোমল ইউনিয়নের সাথে সীমানা জটিলতা দেখিয়ে আলাওলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বেপারী এবং কুচাইপট্টি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার মুন্সী বাদী হয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ৩ মাসের জন্য উল্লেখিত ওই দুই ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন। পরে ইসি ১১ জুন ভোটগ্রহণের কয়েক ঘন্টা আগে নির্বাচন স্থগিত করে চিঠি পাঠায়। এরপর আলাওলপুরের ওসমান বেপারী ও কুচাইপট্টির মাহবুব হোসেন সোহেল বেপারী ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ওই দুই ইউনিয়নে নির্বাচনের জন্য পুনরায় তফসিল ঘোষণার জন্য আপিল করেন।
তাদের আপিলের ভিত্তিতে উল্লেখিত ওই দুই ইউনিয়নে কেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না মর্মে উচ্চ আদালত ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন। কিন্তু এ রুলের নিষ্পত্তি না হওয়ায় এ বছর অনুষ্ঠিত ৬ ধাপের নির্বাচনে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। স্থগিত হওয়া ইউনিয়ন গুলুতে ৩১ অক্টোবর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আনন্দতো এসব ইউনিয়নের ভোটার ও প্রার্থীরা।

পোষ্টটি লেখার কারণঃ উক্ত নির্বাচেন এক বন্ধুর বাপ (বাবা) নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন। আবার আরেক বন্ধু নিজেই প্রার্থী হয়েছেন। তারা উভয়েই আলাদা আলাদাভাবে এই বিষয়ে ম্যাসেঞ্জারে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার জন্য। পরামর্শের কিছু অংশ এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরিশেষে, আলাওপুর ও কুচাইপট্ট বাসীর পক্ষ থেকে থেকে সুষ্ঠ নির্বাচন আয়োজনের জন্য স্থানীয় প্রসাশন ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
*** বিষয়টি বাধ্যবাধকতা রয়েছে***

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



চেয়ারম্যান মানে চোর সৃস্টি করা, ঐ পদটি বাতিল করে, ইউনিয়নে সরকারী এডমিনিস্ট্রেটর দেয়ার দরকার।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: "চেয়ারম্যান মানে চোর সৃস্টি করা, ঐ পদটি বাতিল করে, ইউনিয়নে সরকারী এডমিনিস্ট্রেটর দেয়ার দরকার।"

চেয়াম্যানদের পাছে গালি দিলেও অভাবীও দুস্থ মহিলারা তাদের পিছনে ভিড়তে পারে বাট এডমিনিস্ট্রেটরদের হাতে ক্ষমতা দিলে তাদের কাছে সাধারণ জনগণ বিশেষ করে গরীব ও অসহায় মানুষ কাছেও ভিড়তে পারবে না।

আর,

এদেশে যত দুর্ণীতি আর ঘুষ বাণিজ্য হয় সবগুলোই সব সরকারের আমলারা করে থাকে। তার চেয়ে চেয়ারম্যান দু’চার বস্তা গম-চাউল মেরে খাচ্ছে খাউক না। তারা’ত দুর্ণীতি করে চল্লিশ হাজার টাকা বিদেশে পাঠাতে পারবেনা। হলমার্ক আকাম ঘটাতে পারবে না। সোনালী ব্যাংকের সোনা চুরি করতে পারবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.