নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতি আমায় ক্ষমা করে দিস; ব্লগার উদাস পথিক থেকে ধার করা !

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩



ব্লগার উদাস পথিক। উনি এতো উদাস কেন বুঝলাম। কিন্তু তার লেখা পড়ে মনে হল তিনি পাশের বাড়ি দাদা আর পশ্চিমা লর্ডদের ব্যাপারে কেন জানি সিরিয়াস। তার কিছু নমুনা তার স্টাটাস থেকে এখানে ধার করা হলোঃ

চলচিত্র সম্পর্কে তার সিরিয়াসনেস:
৯০% সিনেমাতে পাত্র-পাত্রীরা সব ধনকুবের। চোখ ধাঁধানো বাড়ি, গাড়ির মালিক। পত্র-পাত্রিরা অভিনয় করছে জিন্স আর গেঞ্জি পরে, অনেকের বেশ ভূষা, চুলের ছাট অত্যন্ত হাস্যকর। এসব হাস্যকর বেশ-ভূষা পরিহিত তথাকথিত ধনকুবেরদের সুখ-দু:খ আমাদের সত্তর ভাগ দরিদ্র মানুষের জীবনকে প্রতিফলিত করতে পারছে না।

সাহিত্য সম্পর্কে তার পঁ্যাচালঃ

আরও কিছু অপ্রচলিত শব্দকে প্রচলিত করা হচ্ছে যেমন- জান্নাত, কবর, পানি,দোয়া শব্দগুলোর স্থলে স্বর্গ, সমাধী, জল, আর্শীবাদ। আগামীতে হয়ত বা এরা রুহের মাগফিরাতকে আত্মার সদগতি, নামাজকে উপাসনা, রোজাকে উপবাস, হজকে তীর্থযাত্রা বলবে। এরা সালামের পরিবর্তে সুপ্রভাত, Good morning বলতে আত্মতৃপ্তিবোধ করেন।

ডিজুস জেনারেশন সম্পর্কে তার হতাশাঃ

আমাদের সন্তানরা মজে যাচ্ছে কোজআপ ওয়ানে, লাঙ্ চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতায়, প্রথম আলো-মেরিল তারকা জরিপ কিংবা ডিজুস উদ্দাম উচ্ছৃঙ্খল উল্লাসে। এ যুবসমাজ মঞ্চে ওঠে গান গায় 'সূর্যদয়ে তুমি.. সূর্যাস্তে তুমি' বা 'আমি বাংলায় গান গাই...' আর মোবাইল ফোন বা MP3, MP4 এ বেজে ওঠে আশিক বানায়া... বা ধুম্মা চলে...।

তার আরও মন্তব্যঃ
চে-গুয়েবারার ছবি কিংবা দু'তিনটা পদ্য সংবলিত টি-শার্টেই যৌবনের প্রানশক্তি নয়। জাতীয় কবি এই ঘুণে ধরা যৌবনের জয়গান গাননি। গাই গরু শিং ভাঙলেই যেমন বাছুর হতে পারে না, এ সব উগ্র সাজে তথাকথিত যোদ্ধা সেজেও যোদ্ধা হওয়া যায় না। তথাকথিত আধুনিক সভ্যতার এসব 'বাই প্রোডাক্টে' ইদানিং ছেয়ে গেছে আমাদের অলি-গলি, হ্রাস পাচ্ছে যুব সমাজের জাতীয় চেতনা শক্তি।

বিজ্ঞাপন, ম্যাগাজিন ও কার্ডে অশ্লীলতা নিয়ে যা ভাবেন:
পুরুষের মুখের ক্রিমের বিজ্ঞাপনেও নারী মডেল, কনডমের বিজ্ঞাপনের ভাষা, জন্মবিরতীকরণ ট্যাবলেট, পারফিউম ইত্যাদি বিজ্ঞাপনের দৃশ্য এবং ভাষাসমূহ আমাদের সুস্থ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।




রেডিও টেলিভিশনে বিদেশী সাংস্কৃতির প্রভাব সম্পর্কে তার মন্তব্য:
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় যে অবস্থা পরিলতি হয় তাতে অনুষ্ঠানের মূল বিষয়ের চেয়ে উপস্থাপিকার ঢঙই মনে হয় মূখ্য। এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অবমাননা করা হচ্ছে আমাদের প্রিয় মাতৃভাষাকে। অনুষ্ঠান শুরুই হচ্ছে Hi, Hello viewers, good morning, good evening ইত্যাদির মাধ্যমে। ইংরেজ ফ্যাশনে 'র' কে 'ড়' আর 'ল' কে 'লো' বলে। তা হলে আমাদের স্বাতন্ত্র্যতা থাকলো কোথায় ?

সঙ্গীত ও লোককাহিনী নিয়ে তিনি যা ভাবেন:
আগেকার দিনে বেহুলা-লীন্দর, কমলার বনবাস কিংবা আলেমতি প্রেমকুমারের যে যাত্রাগান পালাগান হতো এবং গ্রাম বাংলায় মানুষ রাতবর প্রাণ ভরে উপভোগ করতো, তাও এখন আর দেখা যায় না। এখন যুবক-যুবতীদের প্রেমকাহিনী ছাড়া গান রচনা চিন্তা করতে পারে না। গানের ভাষাও কর্কশ, উচ্চ শব্দের কারণে বুঝাও যায় না গায়ক কি বলছেন।


শটকার্ট পোশাক-পরিচ্ছদের উপর তিনি বিরুক্তঃ

আমাদের মেয়েদের অনেকেই স্বল্পবসনকে আধুনিক জীবনের নমুনা বলে ভুল করে । এমনকি পশ্চিমা সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণের ফলে তারা একদিকে যেমন আধুনিক জীবনের অচিন পাখিকে ধরতে পারে না, তেমনি দেশীয় সংস্কৃতির সাথেও নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে না । ফলে তারা একটি দোদুল্যমান অবস্থায় পতিত হয় এবং অবশেষে জীবন হয়ে পড়ে ল্যহীন ও হতাশাপূর্ণ।


উৎসবের উপর দাদা কালচারে তিনি মহা বিরুক্ত:

আমাদের সংস্কৃতির উপর আর এক ভয়ংকর থাবা পড়েছে যা গ্রাস করেছে সম্ভাবনাময় তরুণ্যকে। থার্টি ফার্স্ট নাইট, ভ্যালেন্টাইন ডে, প্রভৃতি বিজাতীয় সংস্কৃতি তরুণ-তরুণীদের গ্রাস করেছে, তাদের সুকুমার বৃত্তিকে করেছে কলুষিত। বাঙালির পয়লা বৈশাখ, পয়লা ফাল্গুন তরুণ-তরুণীদের এতটা আলোড়িত করতে পারছে না। যা ছিল সুস্থ, যা ছিল সুন্দর, যা ছিল চিরন্তন- সেসব মূল্যবোধের রক্তে সর্বনাশা মহামারির বীজ ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। মানসিক গোলামীর কারনেই ইকবাল-নজরূলকে মাথার উপর থেকে সরিয়ে রবীন্দ্রনাথকে মাথার ওপর বসানো হয়। মঙ্গল প্রদীপ, শিখা অনির্বাণ প্রভৃতি কালচার আমদানী করা হচ্ছে। জাতীয় সংস্কৃতিতে মনসার গান, শিবের গাজন, ঢাকের বাদ্য, কাঁসার ঘন্টা, শঙ্খ, উলুধ্বনি প্রভৃতিকে আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গীভূত করা হচ্ছে। পথে পথে মূর্তি নির্মাণ করে মসজিদ নগরীর গৌরব ম্লান করা হচ্ছে। ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদের বা সংস্কৃতির কথা বলে এক শ্রেণীর মানুষ এদশের শিল্প সংস্কৃতিতে আর্য-মুম্বাইয়া মডেলে ব্যভিচারী শিল্প-সংস্কৃতিতে রূপান্তরিত করতে চাইছে। এদেশের বেশীরভাগ সাহিত্য, নাটক, চলচ্চিত্র, পেন্টিং-এ সেঙ্ এবং ভায়োলেন্সের প্রকট বিস্তার তারই প্রমাণ।

অপসংস্কৃতির শত শত মিসাইল এসে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিক চেতনা বিশ্বাসকে চুরমার করে দিচ্ছে। অপসংস্কৃতির তুফান আমাদের রাজনীতিবিদ, অধ্যাপক, ছাত্র, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী মহলকে হিপ্নোটাইজড করে জাতীয় বেঈমানের কাতারে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ভাষা এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের একতরফা যুদ্ধের হাতে দেশকে সঁপে দিয়ে দেশ বাচাঁনোর রাজনৈতিক সমাধান খুঁজা ঠিক নয়। তাই আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা সময়ের দাবী।

পরিশেষে অধমের মন্তব্য: আগে এই সমস্যাটা এখনকার মতো এতো প্রকট ছিল না। বর্তমান সময়ে ছেলে মেয়েদের কে আধুনিক ও প্রগতিশীল করতে গিয়ে আমরা সমাজে নানা ধরণের উপসর্গ আমদানি করছি। তার মধ্যে সাংস্কৃতির আগ্রাসন অন্যতম।
তারা এই কাজ এতো সহজে করতে পারত না যদি না এদেশেীয় কিছু লেজ কাটা দালাল তাদের কে দু’হাত ভরে সাহায্য করত। তারা প্রথমে আমাদের দেশের মিডিয়াকে তাদের হাতের কজ্বায় নিল। তারপর বুকের উপর কাপড় তুলে রঙ্গিন আলোতে উদ্মম নাচে আমাদের তরুণ প্রজন্ম কে আত্মভোলা করে তাদের সাংস্কৃতীর নীল বিষ আমাদের প্রজন্মের উপর ধীরে ধীরে প্রয়োগ করতে লাগল। বর্তমান সময়ে তার ফল আমরা হাতে নাতে পাচ্ছি।
এদেশের ছেলে/ মেয়েগুলো প্রথমে এনালগ (বাঙালি) ছিল। তারপর হলো আধুনিক (ভারতীয় সাংস্কৃতির আগ্রাসন), তারপর ডিজিটাল (ইউরোপীয়কালচার), তারপর ৩জি, অত:পর ৪জি তে কনভার্ট হচ্ছে।
ভবিষ্যতে দেশ কোন অবস্থানে গিয়ে দাঁড়ায় তা সময়ে বলে দিবে।

শুধু এটুকু বলতে পারি আমাদের ছেলে/মেয়েগুলো বর্তমানে ৪জি থেকে আগেরকার এনালগ (বাঙালি) হাজারগুণ ভালোছিল।

তথ্য সূত্রঃ Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সুমন কর বলেছেন: মজা পেলাম... =p~

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বাহ আপনি পারেনও বটে! জাতির এই সময়ে আপনার মুখে হাসি!

ভালো থাকবেন দিবানিশি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.