নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধ, রাজাকার ও ব্রেইন গেম!

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪



তালহা।
ছেলেটির বয়স আট বছর চলছে। একটু দুষ্ট প্রকৃতির। টিভির প্রতি মাত্রাতিরিক্ত নেশা।এই নেশা তার মায়ের কাছ থেকে পেয়েছ। তার মা স্টার জলসা, জি-বাংলা তে সারাক্ষণ মগ্ন থাকে। বাবা অফিস থেকে এসে ডায়নিং রুমে একা একা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। একদিন তালহার মা’র সাথে এ বিষয় নিয়ে তার বাবার কথা কাটাকাটি হয়। বাবা জিদ করে আরেকটা টেলিভিশন ঘরে সেট করেন।তারপর থেকে বাবা আর তালহা একসাথে বসে খেলা দেখে, মুভি দেখে মাঝে মাঝে কার্টুনও দেখে। তালহার প্রিয় খেলোয়ার মাহ: রিয়াদ।

একদিন তালহা ও তার বাবা একটা নতুন কোন মুভি দেখছে। মুভির এক পর্যায়ে দেখা গেল একটি বাচ্চা প্রচুর কান্না করছে, সাথে একটা হৃদয় নিংড়ানো আবেগময় ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। আশে পাশে কিছু উর্দিপরা লোক জানোয়ারের মত অঙ্গভঙ্গি করছে । বাচ্চার কান্নাটা তালহার হৃদয়কে স্পর্শ করে গেল। অবচেতন মন খুজে ফিরছে কি কারনে এই বাচ্চাটা কান্না করছে ?! কিছুক্ষন পর দেখা গেল ঐ বাচ্চার বাবা-মাকে কেহ গুলি করে বা বোম ব্লাস্টের মাধ্যমে মেরে ফেলেছে। অত:পর অবচেতন মনে সেই গুলি করা ব্যক্তি বা বোম ব্লাস্ট করা ব্যক্তির প্রতি তৈরি হল একরাশ ঘৃণা ও রাগ। আরো কিছুক্ষন পর সেই ঘাতকের চেহারা দেখতে পেলে তালহা। মাথায় টুপি ও সৌদি রুমাল, মুখভর্তি দাড়ি, পরনে পাঞ্জাবি পায়জামা ... । তালহার কচি মনে সেই টুপি ও সৌদি রুমাল, মুখভর্তি দাড়ি, পাঞ্জাবি পায়জামার প্রতি একটা ঘৃণা ও বিদ্ধেষ সৃষ্টি হয়ে গেছে। । যেটা দেখতে অনেকটা তালহার আরবী শিক্ষকের মত। যে প্রতি দিন এসে নূরানী কায়দা শিখিয়ে যান। তারপর তালহা তার বাবাকে প্রশ্ন করল:
আব্বু আমার আরবী টিচারের মত দেখতে লোকটা এত খারাপ কেন?
হারামী।
কিন্তু আমার স্যার যে অনেক ভালো মানুষ।
তোর স্যার ভালো মানুষ সেটা আমি জানি কিন্তু টিভিতে দেখানো লোকটা খারাপ।
কেন বাবা?
তারা আমাদের দেশের অনেক শিশু, মহিলা ও সাধারণ নিরীহ মানুষে টিভিতে দেখানো পন্থায় মেরেছে।
কেন?
সে অনেক ঘটনা। তুমি আস্তে আস্তে বড় হতে থাক আর আমি এসব কিছু কিছু বলতে থাকব।বাকিটা তুমি নিজেই জেনে যাবে।
তাহলে আজকে কিছু বল না প্লিজ।
তাহলে শোন, 1952…………, 1969………….. 1970………………… 1971…………………….. এভাবে তালহার বাবা কিছু কিছু ঘটনা বলতে থাকে যাতে তালহার কচি মন সহজে বুঝতে পারে।
বলা শেষ হলে তালহা আবার প্রশ্ন করে, কিন্তু টিভিতে দেখানো খারাপ লোকটা পাঞ্জাবী-পায়জামা ও টুপি পরিহিত ছিল। এগুলো পড়ে আমিও ত, আরবী পড়ি, তোমার সাথে শুক্রবারে জু’মা পড়ি, এগুলো কি খারাপ লোকের পোষাক?
না বাবা এগুলো ভালো লোকেরও পোষাক। এগুলো ভালো মানুষেও পড়ে।
কিন্তু টিভিতে দেখানো লোকটা?
সে খারাপ মানুষ। সে জামাইত্যা।
কি বাবা?
জামাইত্যা।
জামাইত্যা কি খারাপ মানুষ।
হ; বাবা। জামাইত্যা খারাপ মানুষ। জানোয়ার, বদ, হারামী, রাজাকার, এগুলি তুই বুঝবি না।
আসলে ঠিক তাই তালহা এতসব প্যাঁচগোজ বুঝে না। শুধু এটুকু বুঝে পাঞ্জাবী-পায়জামা ও টুপি কিছু খারাপ মানুষেও পড়ে আবার তার বাবা ও তার মত ভালো মানুষেও পড়ে। আর যেটুকু বুঝতে পারে জামাইত্যা মানে খারাপ মানুষ জানোয়ার, বদ, হারামী, রাজাকার……………………..





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.