নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন রাজকণ্যা আমিরা ও সাধারণ কন্যা মালাক আল-সেহরি!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০



“আমরা খাইলে মাপ আর আপনেরা খাইলে পাপ”
এই নীতিতে চলে সৌদি রাজতন্ত্র। সেখানকার প্রিন্সদের বিলাসিতা আর নারীর সঙ্গম প্রিয়তার খ্যাতি বিশ্ব জোরা। অভিযোগ আছে বিগত হজ্জ্বের সময় যে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে তার জন্য এক সৌদি প্রিন্স দায়ী। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর হজ্জ চলাকালীন সময়ে পদদলনের ঠিক আগ মর্হুর্তে হজ্জ্বের অনুষ্ঠানে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করে ছিলেন এক সৌদি প্রিন্স। যার ফলে কমপক্ষে ৭১৭ জন হাজি নিহত ও ৮৬৩ জন হাজি আহত হন।লেবানন ভিত্তিক আরবি দৈনিক আদ-দিয়ার একটি রিপোর্টে প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের গাড়িবহরের আগমন দায়ী করা হয়েছে। পবিত্র হজ্জ্ব পালনেও তাদের গাড়ি বিলাসিতা দেখাতে হবে। এবার বুঝুন অবস্থা।




এবার আসা যাক তাদের নারী প্রীতির কথা; তারা বাংলাদেশ সহ অনুন্নত দেশ থেকে পানির দামে গৃহকর্মী নিয়োগ দেয়। পরে নিয়োগপাওয়া গৃহকর্মীদের সাথে যৌনদাসীর মত আচরণ করে। সেখান থেকে পালিয়ে আসার সৌভাগ্য খোদা সবাইকে দেন না। যারা আসেন তারা বিভিন্ন রকম হয়রানী শিকার হওয়ার পর আসেন। বিস্তারিত জানার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: Click This Link


এবার আসা যাক মূল টপিকে:

টুইটারে পর্দা ছাড়া ছবি পোস্ট করার দায় সৌদি আরবের এক তরুণীকে গ্রেফতার করেছে রাজধানী রিয়াদের পুলিশ।
কিন্তু সৌদি কৃর্তৃপক্ষ তরুণীটির নাম প্রকাশ করতে রাজি নয়। কারণ এতে তার খ্যাতি বাড়তে পাড়ে এবং তাকে অনুসরণ করে অনেকে মূল প্রথা ভাঙ্গার ট্রেনে সামিল হতে পারেন। তার আইকণ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এই আশংঙ্কা অমূলক নয়। কারণ তাদের এক রাজকন্যা পর্দা ছেড়ে প্রকাশ্যে এসে মিডিয়াতে হইচই ফেলে দিয়েছেন।

তরুণীটির অপরাধ গত মাসে রাস্তায় রক্তের কেউ না এমন একজন পুরুষের সাথে প্রকাশ্যে গল্প করা এবং রাজধানী রিয়াদের একটি জনপ্রিয় ক্যাফের সামনে পর্দা ছাড়া ছবি তুলে তা টুইটারে পোস্ট করেছেন।

কর্তৃপক্ষ মেয়েটির নাম প্রকাশ না করলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে ২০ বছর বয়সী মেয়েটির নাম জানা গেছে। তার নাম হলো মালাক আল-সেহরি।

টুইটারে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মালাক ফ্রোরাল ড্রেসের সঙ্গে কালো কোট ও রোদচশমা পরে দাড়িয়ে আছেন। আর এই ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র বিতর্কের মধ্যে পড়ে সে।

মালাক যে ধরনের কাজ করেছেন তাতে ওই দেশের আইন ভঙ্গ করা হয়েছে। কিন্তু আমার কথা হল এই আইন কি সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে? এর উত্তর অবশ্যই না!

কারণ, এর আগে-
রাজকুমারী আমিরা বিন তায়িলের গোঁড়ামির বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ আলোচিত। সৌদি আরবের মহিলাদের পরিধেয় ঢিলেঢালা পোশাক ‘আবায়াসে’র বিরুদ্ধে প্রথম যে কয়েক জন নারী প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন, আমিরা তাদের অন্যতম।
কট্টর রক্ষনশীল বর্বর সৌদি সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবশ্য স্রেফ পোশাকের মাধ্যমেই চ্যালেঞ্জ জানালেন সাহসি আমিরা।
মহিলাদের কালো বোরখা বিভৎস পোশাক ‘আবায়াসে’র বিরুদ্ধে প্রথম যে কয় জন সৌদি নারী প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন, আমিরা তাদের অন্যতম আলোচিত নারী, কারণ সে সৌদি রাজকুমারী ।



কোন সৌদি নারী একা চলাফেরা করার অধিকার নেই। ড্রাইভিং অনুমতি পায় না। সেদেশে্র নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিষিদ্ধ। সেখানে আমিরা পুরুষের লাল চোখকে অগ্রাহ্য করে সৌদি আরবের রাস্তায় তীব্র গতিতে গাড়ি চালিয়েও সেদেশের আইনকে আগ্রাহ্য করেছেন।
এতে রাজকণ্যা আমিরার একটা চুল ছিঁড়তে না পারলেও মালাক হয়েছেন গ্রেফতার।
রাজকণ্যা আমিরার তিঁলকে জুটছে ‘সাহসী’ তকমা হাতে পুরুস্কার।
আর মালাক এর তিলকে দু:শ্চিন্তার ভাঁজ আর হাতে হ্যান্ডক্যাপ।
সবশেষে আশায় রইলাম, মালাকের পক্ষে রাজকন্যা আমিরা দাঁড়ায় কিনা।



সূত্র: Click This Link

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

নীল_অপরাজিতা বলেছেন: আন্তর্জাতিক আদালতে এই সমস্ত বর্বর,অসভ্য, সৌদি প্রিন্সদের সাস্তি হওয়া উচিত। বিশেষত তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। একজন নারী যদি নিজ থেকে ইসলাম অনুসরন না করতে চায়, তাকে জোর করে পালন করতে বাধ্য করাটা ইসলামের জন্যই বা কতটা সন্মানের? কাউকে গ্রেফতার করে,সাস্তি দিয়ে ইসলাম পালন করতে বাধ্য করার চেষ্টা করাটা কতটা অমানবিক আচরন, এটা উপলব্ধি করার মত জ্ঞানও কি তাদের নেই? দেশের সব নারীকে জোর করে বাধ্যতামূলক ভাবে বেহেসতে পাঠানোর দায়িত্ব কি ইসলাম তাদেরকে দিয়েছে?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

আমরা চাই সকল অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হউক। সে রাজপুত্র হউক আর সাধারণ নাগরিক হউক। আর সেখানে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা হউক।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবশেষে আশায় রইলাম, মালাকের পক্ষে রাজকন্যা আমিরা দাঁড়ায় কিনা !!!!!

যদিও দূরাশা তবুও অপেক্ষা!!!

বর্বর সউদ গং ধ্বংস হোক।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:

বর্তমান পরিস্থিতিতে মালাকের পক্ষে রাজকন্যা আমিরা দাঁড়ানো উচিত। কারণ সে একই পথের পথিক।

ধন্যবাদ, মন্তব্য করার জন্য।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

নতুন বলেছেন: পরিবত`ন আসবে... এক পযন্ম পরেই সৌদিতে অনেক বড় পরিবত`ন আসবে।

এখন অনেক সৌদি নারীরা দেশে পদা` করে কিন্তু দেশের বাইরে গেলে তারা পশ্চিমা পোষাক পরে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমরা চাই প্রত্যেক মানুষ তার শালীনতা বজায় রাখুক, সে পুরুষ হউক আর নারী হউক। সেটা পর্দা করে হউক আর সমাজ স্বীকৃত যে কোন পোষাক হউক। কেননা কোরআনে পর্দা জন্য নারী পুরুষ উভয়ের জন্য হুকুম এসেছে। কিন্তু সৌদি আরবে প্রিন্স সহ অন্যান্যরা তাদের দেশের আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। তারা একদিকে নারীদের কে চেপে ধরছে অন্য দিকে নিজেরা ব্যাভিচারসহ নানা রকম নারী সংঘটিত অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। সেখানে অভিজাত শেখদের কোন অপরাধের বিচার ঠিক মত হয় না। যুবরাজদের ত’ একেবারেই না। যা দু’একটা হয় তা হলো তাদের মধ্যে যখন শাসন ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ এসে তখন তাদের পূর্বের কৃতকর্মের জন্য নতুন করে সাজা দেয়।

পরিশেষে,
আমরা মুসলমান হিসেবে সৌদি আরবে যেন আইনের শাসন সমানভাবে কার্যকর হই সেটাই প্রত্যাশা করছি। কারণ মক্কা ও মদিনা আমাদের ভিতর আবেগ কাজ করে, ভালোবাসা কাজ করে।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: স্যালুট টু মালাক আল-সেহরি। আর এসব প্রিন্স নামক ভোগবিলাসীদের জনসম্মুখে দিগম্বর করে কানে ধরিয়ে দাঁড় করে রাখা দরকার।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ““আর এসব প্রিন্স নামক ভোগবিলাসীদের জনসম্মুখে দিগম্বর করে কানে ধরিয়ে দাঁড় করে রাখা দরকার।””

আমরা চাই প্রত্যেক নাগরিকের সমঅধিকার ও প্রত্যেকের কৃতকর্মের বিচার যেন সঠিকভাবে পালন হয়। সে প্রিন্স হউক আর বেদুইন হউক অথবা শেখ।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫২

কালীদাস বলেছেন: প্রিন্সেসরে দেইখ্যা আরবদের সব হিপোক্রেসি মাফ কইরা দিলাম। আই ফল ইন লাভ উইথ হার :>

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ““প্রিন্সেসরে দেইখ্যা আরবদের সব হিপোক্রেসি মাফ কইরা দিলাম।””

তাই নাকি?

কিন্তু প্রিন্সরা তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে সাধারণ জীবন যাপন করলেই হল।

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রিন্সেসও খুব একটা ভালো নেই। মিডিয়াতে সোচ্চার হওয়ার কারণে প্রিন্স তালালের সাথে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। যত বড় বড় কথা বলেন দেশের বাইরে গিয়ে। সরকার যদি জনগণকে ভালো রাখে তাহলে জনগণের উচিত আইন কানুন মেনে নেয়া। ২/১ জন ব্যতিক্রমী কাজ করলে শাস্তি পেতেই হবে। কারণ, সংখ্যাগরিষ্ঠ নারীরা এখনো সরকারের আইনকে শ্রদ্ধা করে। হয়তো বলবেন, শাস্তির কারণে। একটা দেশকে শান্তিতে রাখতে হলে শাস্তিরও দরকার আছে বৈকি!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমার বিষয়বস্তু ছিল প্রিন্সদের ভোগ বিলাস একজন সাধারণ নারীর কৃতকর্ম ও গৃহকর্মীদের উপর সৌদি শেখদের যৌন নির্যাতন নিয়ে।
সৌদি আরবের আইন নিয়ে আমি কোন কথা বলতে চাই না। কারণ সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।

মুসলমান হিসেবে আমাদের চাওয়া- সৌদি আরবে আইন সকলের জন্য সমানভাবে কার্যকর হউক। সেটা কোরআনিক আইন হউক বা প্রচলিত আইন হউক তাতে আমাদের কোন আপত্তি থাকার কথা না।
সেখানে অভিজাত শেখ কিংবা প্রিন্স বা প্রিন্সেসরা কোন অপরাধ করলে সেই অপরাধের তদন্ত বা বিচার হওয়ার তেমন কোন নজির নেই। যা দু’একটা হয় তা হলো তাদের মধ্যে যখন শাসন ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ এসে তখন তাদের পূর্বের কৃতকর্মের জন্য নতুন করে সাজা দেয়।
আমরা দেখতে চাই রাজকণ্যা আমিরা’র মত মালাকা পার পেয়ে যায় কিনা। যদি পার পায় সেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা নেই। যদি মালাকা’র বিচার করা হয় তাহলেও আইনের শাসন নেই। কারণ বিচার করতে হলে দু’জন কে একসাথে করতে হবে। যা সৌদি আরবে সম্ভব না।

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

বিজন রয় বলেছেন: জীবন যেখানে যেমন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ``জীবন যেখানে যেমন"

আমিও তাই মনে করি- জীবন যেখানে যেমন সেখানে সেভাবেই চলতে হয়। তবে এই চলা যেন সমানভাবে হয়।
তা না হলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
আইনের অবজ্ঞা হয়।
যা আমাদের কাম্য নয়।

৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪২

আহা রুবন বলেছেন: আমাদের গ্রামাঞ্চলে একটা কথা প্রচলিত 'বাবুর পাদে গন্ধ নাই'। রাজকন্যার বেলায় মাপ!

৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: কালীদাস বলেছেন: প্রিন্সেসরে দেইখ্যা আরবদের সব হিপোক্রেসি মাফ কইরা দিলাম। আই ফল ইন লাভ উইথ হার :< :) :) :)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: : ““প্রিন্সেসরে দেইখ্যা আরবদের সব হিপোক্রেসি মাফ কইরা দিলাম।””

তাই নাকি?

কিন্তু প্রিন্সরা তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে সাধারণ জীবন যাপন করলেই হল।

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



কমেন্ট ৬ এর জবাবের অংশ বিশেষ প্রসঙ্গে দু'টি কথা-

শাহাদাত ভাই,
আপনি না সত্যের ছায়া! তো, সত্যের ছায়ার কাছ থেকে এই রকম একটা কথা কেমন যেন বেখাপ্পা ঠেকলো। ঠিক বুঝে আসলো না ভাই- "মুসলমান হিসেবে আমাদের চাওয়া- সৌদি আরবে আইন সকলের জন্য সমানভাবে কার্যকর হউক। সেটা কোরআনিক আইন হউক বা প্রচলিত আইন হউক তাতে আমাদের কোন আপত্তি থাকার কথা না।"

কুরআনের অাইন পৃথিবীর কোথাও, কোন দেশেই যদি না থাকে তবু মুসলিম হিসেবে আমার মনের কুঠুরীতে যে ছোট্ট রাজ্যের অবস্থিতি সেখানে চির দিন এই আকাঙ্খা গুমরে মরতে থাকবে। তাই মুসলিম হিসেবে আমাদের আপত্তি থাকার কথা নেই বলে আপনি কিভাবে এটাকে ছেড়ে দিতে পারেন?

অন্য দেশ বলে কথা। ভিনদেশি হিসেবে সৌদির আইন কানূনে আমাদের মতামত চলে না- এটা ঠিক। আমরা মতামত দিতেও যাই না, দিতে চাইও না। কিন্তু তাই বলে তাদের যাচ্ছে তাই করার ওপেন পারমিশনও দিতে পারি না। অন্তর থেকে যেমন নয়, মৌখিকও নয়।

পৃথিবীর অপর প্রান্তে, একেবারে আটলান্টিকের ঐ পাড়ের সর্বশেষ বিন্দুতে যদি একটি অঘটন ঘটে যায়, সেটাকে যেমন আমাদের ঘৃনা করতে অভ্যস্ত হতে হবে; তেমনি নিজের ঘরের কেউ ভাল কাজ করলে তাকেও উপযুক্ত কৃতজ্ঞতা জানানোর মানসিকতা থাকা উচিত।

আপনার পরিশ্রমলব্দ অনেক মন্তব্যই দেখি। কী-বোর্ডে ঝড় তোলা যাকে বলে আরকি! উপভোগ করি দারুন! আপনি পারেনও।

ধন্যবাদ,

ভালো থাকবেন নিরন্তর।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার মন্তব্য ৩৬০ ডিগ্রি এঙ্গেলে না হয়ে ১৮০ ডিগ্রি এঙ্গেলে হয়েছে।

নিশ্চয় আপনি চান না, যেখানে কোরআনের আইন প্রচলিত আছে সেখানে এই আইন অসমভাবে প্রয়োগ করা হউক। আপনার চাওয়া থাকতে পারে আইন যেন সমানভাবে কার্যকর করা হউক।

আবার যেখানে প্রচলিত আইন (যেমন, বাংলাদেশ) বিদ্যামান সেখানে সবার চাওয়া থাকে আইনের সম প্রয়োগ। এটা সবার চাওয়া। এবং যদি বাংলাদেশে কোরআনের আইন প্রচলিত থাকত তাহলে সবাই আশা করত যেন এই আইন সমানভাবে প্রয়োগ করা হয়।
কিন্তু যদি আইন সম ভাবে প্রয়োগ করা না হয় তাহলে মানুষ ন্যায় বিচার পায় না। একদল আইন কে তোয়াক্কা করে না অন্য দল আইনের অপব্যবহারে বিদ্ধ হয়।

সৌদি আরবে যেটা ঘটে সেখানে একদিকে কোরআনের আইন চলে অন্য দিকে সৌদি শেখ বা প্রিন্সেসরা অথবা প্রিন্সরা আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান।

আমাদের দেশ থেকে গরীব মা বোন রা সৌদি আরবে যান গৃহকর্মী হয়ে কাজ করতে কিন্ত সেখানে তারা শেখদের যৌন নির্যাতনের শিকার হন এই ব্যাপারটা আপনি কিভাবে দেখবেন!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমরা চাই প্রত্যেক মানুষ তার শালীনতা বজায় রাখুক, সে পুরুষ হউক আর নারী হউক। সেটা পর্দা করে হউক আর সমাজ স্বীকৃত যে কোন পোষাক হউক। কেননা কোরআনে পর্দা জন্য নারী পুরুষ উভয়ের জন্য হুকুম এসেছে। কিন্তু সৌদি আরবে প্রিন্স সহ অন্যান্যরা তাদের দেশের আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। তারা একদিকে নারীদের কে চেপে ধরছে অন্য দিকে নিজেরা ব্যাভিচারসহ নানা রকম নারী সংঘটিত অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। সেখানে অভিজাত শেখদের কোন অপরাধের বিচার ঠিক মত হয় না। যুবরাজদের ত’ একেবারেই না। যা দু’একটা হয় তা হলো তাদের মধ্যে যখন শাসন ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ এসে তখন তাদের পূর্বের কৃতকর্মের জন্য নতুন করে সাজা দেয়।

পরিশেষে,
আমরা মুসলমান হিসেবে সৌদি আরবে যেন আইনের শাসন সমানভাবে কার্যকর হই সেটাই প্রত্যাশা করছি। কারণ মক্কা ও মদিনা আমাদের ভিতর আবেগ কাজ করে, ভালোবাসা কাজ করে।

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



শাহাদাত ভাই, এই পোস্টে আপনার অনেক বিষয়ের সাথেই আমার সহমত। যেমন- আপনি যেটা চেয়েছেন, সমান অধিকার মানে, উঁচু নিচু সকলের ক্ষেত্রে আইনের সঠিক সাবলিল প্রয়োগ। এ বিষয়ের সাথে আমি সম্পূর্ন একমত।

আমাদের দেশসহ তৃতীয় বিশ্বের গরিব অনেক দেশ থেকেই গৃহপরিচারিকার কাজে মহিলাদের সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশে যেতে দেখা যায়। যারা নিজের মা-বোনকে, নিজের মেয়েকে, নিজের অবলা সরলা মহিলা আত্মীয়কে অর্থের লালসায় অন্যের হাতে তুলে দেয়, ভিনদেশের অচেনা অজানা পরিবেশে অজ্ঞাত চরিত্রের লোকদের হাতে তুলে দেয়- এদেরকে জগতের নিকৃষ্টতম ইতর প্রানী ভাবতেও কষ্ট হয়।

আর, বিদেশী আশ্রয়দাতা বাড়িওয়ালা যারা নিজেদের এই জাতীয় অভাবী অসহায় মেয়েদের জীবন যৌবনের মালিক ভেবে শারিরীক, মানসিকসহ নানান ছলা-কলায় এদের উপর অত্যাচার উপচার চালাতে দ্বিধাবোধ করেন না- এগুলোর মধ্যে আর চতুষ্পদ পশুর মধ্যে পার্থক্য বলতে কেবল দু'টি পায়েরই অভাব রয়েছে বলে মনে হয়।

ভাল থাকবেন।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ,

ফিরে এসেছেন এবং মন্তব্য করেছেন।

১২| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৪

নাজ রিটার্নস বলেছেন: ভাল লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.