নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরীবের জাত কূল ও সাংস্কৃতিমনাদের কালো ছাগল!!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০২



আমরা গরীব লোক। আমাদের মাঝে আর বড় লোকদের মাঝে কি কোন তফাত আছে? উত্তরে অনেকে বলবে অবশ্যই আছে। কিন্তু কেন? বড় লোক কি আমাদের জন্য কিছু করে না? করে..........

বড়লোকের দয়ায় আমাদের কাজের যোগান হচ্ছে,স্বাস্থ্যকর হোক অস্বাস্থ্যকর হোক অল্প কম যাহোক খেয়ে বেছে আছি, জীবনটা চলছে কোন রকম। জীবন আছে ঘর নেই, তাতে কি হয়েছে! বিনা চিকিতসায় কষ্ট ভোগ করছি তাতে কি হয়েছে, বেচে তো আছি, না হয় একটু বেশী কষ্ট করে। বড় লোক ত’ বেচে আছে, তারা যে বিশাল সুখে আছে এমনত নয়, তাদের পারিবারিক সমস্যা, রাজনৈতিক সমস্যা, ব্যক্তিগত দ্বন্দ বা শত্রুতা আরো কত যে তাদের সমস্যা তার অন্ত নেই। আমাদের ত’ শুধু মাত্র জীবন ধারণের মৌলিক সমস্যাগুলো বিদ্যামান। জীবন বাচানো ফরজ । বড়লোকের দয়ায় সে ফরজ আদায় হচ্ছে! তাহলে খোঁদা নিশ্চয় তাদের কে আমাদের আর্শিবাদ হিসেবে পাঠিয়েছেন! তাই আমরা গরীবেরা গরীব হয়েও দু:খ কষ্ট ভুলে বড়লোকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়। আমদের বড়লোকেরাও গর্ববোধ করেন কোটি কোটি টাকা বেতন দিয়ে গরীবদের বাচিয়ে রেখেছেন বলে? আমরা এখন চাকুরিজীবী, দাস নই। আমাদের জন্মাধিকার কি ? নাগরিক অধিকার কি ? রাজনৈতিক অধিকার কি ? ন্যায্য মজুরী কি ? ন্যুনতম মজুরী কি ? মানবাধিকার কি ? জাতিসংঘ কি ? তা আমাদের কোন কাজে আসে না। কষ্ট, অপমান, অর্ধাহার- অনাহার আর সকল সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া আমাদের নিয়তি, বড়লোকের দয়া আমাদের ভাগ্য। হাতের পাচ আংগুল যেমন সমান হয়না তেমনি গরীব বড়লোক কখনোও সমান হয়না। বড়লোক বড়লোকই থাকবে, গরীব গরীবই থাকবে।

দেশের সংবিধানে গরীবের ১টি ভোট = ১ ।
ধনীর ১টি ভোট = ১ ।

ভোটের গুরুত্ব বড়লোকদের কাছে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। অর্ধাহারী অনাহারী গরীবের ভোট যে কত তাৎপর্যপূর্ণ তা বড়লোকেরা জানেন বোঝেন। তাই সব বড়লোকের কামনা সুষ্ঠু ভোট। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমেই বৈধতা পায় বড়লোক বড়লোকই থাকবে, গরীব গরীবই থাকবে। যেহেতু সব বড়লোকের কামনা সুষ্ঠু ভোট, সেই সুষ্ঠু ভোটের সিষ্টেম নিয়ে, কিভাবে কোন পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে বড়লোকের বড়লোকের ঝগড়া বিবাদে মারা যাচ্ছে গরীব, কষ্ট ভোগ করছে গরীব। তাতে বড় লোকের কিছু যায় আসে না, তাদের কার্য হাসিল হলেই হল। গদিতে বসতে পারলেই হল। বসে চেতনার ব্যবসার করা যাবে। এক দল করবে মুক্তিযু্দ্ধের, আরেকদল করবে ধর্মের, অন্যদল করবে জাতীয়বাদী চেতনার। তাতেও গরীবের আক্ষেপ নেই, শান্তনা এই যে, যে পরিমান মারা যাচ্ছে তার দ্বিগুন তিনগুন নতুন জন্ম হচ্ছে। দেশের সুধী সুশীল সমাজ, সকল রাজনৈতিক দল ,বড়লোক ব্যবসায়ীদের জোট, মানবধিকার জোট একতরফা নির্বাচনের সমালোচনা করছেন। আলেচনার বিষয় শুধু সুষ্টু ভোটেই সীমাবদ্ধ রাখছেঁন। সব সমস্যার সমাধান অবাধ নিরেপেক্ষ নির্বাচন। সুষ্ঠ ভোটে সকল গরীবের কোনই কল্যাণ হবেনা তা সুধী সুশীল সমাজের কেহ বলছেন না। সুধী সুশীল সমাজের কেহ বলছেন না গরীবের পক্ষের রাজনৈতিক দল কোনটি ? বি এন পি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি সরাসরি বড়লোকের পক্ষের রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ গরীব ঘেষা- বড়লোক বান্ধব দল, এ কথা নির্বাচনী ইশতেহার পড়লে তা অনুমেয় করা যায়। মুলত বামপন্থীরা গরীবের পক্ষের রাজনৈতিক দল বললেও তাদের মূল উদ্দেশ্য অন্য দলের চামচামি করা।

এক শ্রেণি অভিযোগ করে, ভারত আমাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতি আগ্রাসন চালাচ্ছে। ভারতের সাংস্কৃতিক যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার নাটক সিনেমায়, মিনিটে মিনিটে পুজা আর্চনা সংগে সংগে নায়িকা সেলিব্রেটিদের বুক আর পেটের কাপড় সরিয়ে দ্রুত তালে কোমর ঘুটার প্রসার ঘটাচ্ছে যাতে গরীবেরা ধর্ম সাম্প্রদায়িকতা আর নগ্নতাতে মজে থাকে ।

এই আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার ক্ষমতা কিন্তু তাদের নেই। তারা কোন কার্যকরী পদ বাতলাতে পারছেন না। দু’একটা বিক্ষিপ্ত কথা বলছেন যা পর্যান্ত নয়। আমাদের দেশে বামপঞ্থী এবং কিছু রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি তারা নিজেকে সাংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে পরিচয় দেয়। কিন্ত বাস্তবে তারা চলে উল্টোটা। তারা রবীন্দ্র কিংবা নজরুল স্বরণ/মৃত্যু/জন্ম দিবসে কপালে বড় বড় টিপ পড়ে, সুপার সপ থেকে দামি শাড়ি আর ব্লাউজ পড়ে সাস্কৃতিকমা সেজে শহীদ মিনার কিংবা সিম্পজিয়াম অথবা কোন সেমিনারে যায়। সেখানে গিয়ে আ………আ…….. করে দু’একটা রবীন্দ্ কিংবা নজরুল সংগীত গেয়ে মৌলবাদীদের চৌদ্ধ গৌষ্ঠী উদ্ধার করে। সব সমস্যার মূল মৌলবাদীরা, দেশে আর কোন সমস্যা নেই। সেগুলো আবার মিডিয়াতে হাইলাইট করে প্রচার হয়। ফলে তাদের নাম ধাম বাড়ে, সমাজে পরিচিতি পায়। নিজেকে অস্প্রাদায়িক হিসেবে জাহির করতে চায়। কিন্তু তাদের ঘরের সন্তানরা য়ূরোপ আম্রেরিকার প্যান্ট, কোর্ট, টাই পড়ে, তাদের মোবাইলে বেজে উঠে, ধুম্বা চলে…………………. অথবা আশিক বানায়…………। এব্যাপারে কোন সময় কেউ যদি জিঙ্গেস করে তাহলে বলে, “ওরা বড় হয়েছে, ওদের স্বাধীনতা আছে নিজের পছন্দের অপছন্দের”। তাহলে ওরা আপনার থেকে কি শিক্ষা পেল? যেখানে নিজ সন্তানই আপনার কৃত্রিম শিক্ষা গ্রহন করতে পারল সেখানে অন্যের ছেলেরা কিভাবে পারবে।

এ থেকে আমাদের বেড় হয়ে আসতে হবে। তা না হলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বড় ধরণের জটিলতার সম্মুখীন হবে। তারা বুঝতে পারবেনা কোনটা আমাদের সাংস্কৃতি, কোনটা আমাদের ধর্ম, কোনটা আমাদের মুক্তিযু্দ্ধের চেতনা আর কোনটি আমাদের জাতীয়তাবাদ।

আশা করি এদেশীয় সুশীল সমাজ না হউক তরুন প্রজন্মের কেউ না কেউ এগিয়ে আসবে আমাদের কুষ্টি, সাংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ আর ধর্ম রক্ষা করতে। সেই আশায় রইলুম।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মাহিরাহি বলেছেন: মানুষকে বোকা বানাতে গেলে শেষে নিজেই বোকা বনতে হয়।

খুব বেশিদিন মানুষকে বোকা বানিয়ে রাখা অসম্ভব।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এদেশে এক শ্রেণীর আহম্মক মনে করে, এটা ১৯৯০ দশক, যা কমু পাবলিক তাই বিশ্বাস করবে।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মাহিরাহি বলেছেন: শিশুদের জন্য কাজ করছেন বলে খুব ভাল লাগল।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: নব্বইয়ের দশকে দেখতাম ইয়া ইয়া বড় বড় মিছিল হতো। কত সমর্থক! কত পাতি নেতা! । মিছিল শেষে সামান্য চানাচুর ভাজার সাথে মুড়ি নিয়ে টানাটানি, মানুষকে মাদকের মত আকর্ষণ করতো।

এখন কিন্তু মানুষ নিজের ভালোটা বুঝতে আরম্ভ করেছে(বুঝে ঊঠতে পারেনি)। সরকার দলীয় হোক কিংবা বিরোধী দলীয় সমাবেশ যাই হোক না কেন, যায় শুধু চামচা (সাথে চামচার চামচা) আর ভাড়ায় খাটা টোকাইগুলো।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আস্তে আস্তে পরিবতন হবে, তবে সময় দরকার।

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার হাসি পায় যখন দেখি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, আলী জাকের, জাফর ইকবাল এদের সন্তানেরা বাঙালী সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে গেলেও এনারা এখনো ঐ বিষয়েই আন্দোলন করেন...

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ তাদের এখন এক প্রকার ভুলে গেছে। জাতিকে দেওয়ার মত অবশিষ্ট কিছু নেই, যাত্রাপালা এখন ভালো মানুষ দেখে না, সেখানে উল্লংগ নাচ চলে, যা দেখতে দেখতে মানুষ এখন বিরক্ত।

তারা প্রযুক্তি বুঝে না, খোজ নিয়ে দেখেন, নিজের স্মাট ফোনটাও ভালো মত চালাতে পারে না। এরা নতুন প্রজন্ম কে অস্বীকার করে।

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :#) মানুষ তাদের এখন এক প্রকার ভুলে গেছে। জাতিকে দেওয়ার মত অবশিষ্ট কিছু নেই, যাত্রাপালা এখন ভালো মানুষ দেখে না, সেখানে উল্লংগ নাচ চলে, যা দেখতে দেখতে মানুষ এখন বিরক্ত।

তারা প্রযুক্তি বুঝে না, খোজ নিয়ে দেখেন, নিজের স্মাট ফোনটাও ভালো মত চালাতে পারে না। এরা নতুন প্রজন্ম কে অস্বীকার করে।

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এরা 'চেতনা' মৌলবাদী...

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমাদের দেশে যারা সাংস্কৃতির ধারক ও বাহক তাদের আগে নিজেকে অসাম্প্রাদায়িক হিসেবে হাজির করতে হয়। ছোড় প্যান্ট আর টেডি বিয়ার কোট পরে নিজেকে আধুনিক জাহির করতে হয়। মেয়েদের সমাজে যা দৃষ্টিকটু সেসব পোষাক পড়ে নিজেকে আধুনিক ও সাহসী হিসেবে তুলে ধরতে হয়- আর সর্বশেষ যা করতে হয় তাহলো গ্রুপিং, লগিং এবং দলবাজি। এত কিছু করার পর নতুন কিছু করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেন।

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ,আমি ব্লগে নতুন, আপনাদের মাঝে আশ্রয় নিয়ে অজানাকে জানতে চাই, আশা রাখি পাশে থাকবনে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পাশে থাকুন, আশা করি ব্যাপক বিনুদিত হবেন“

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১২

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, অনেক কিছু শিখলাম আপনার পোস্ট থেকে।
যাই হোক আমি ব্লগে নতুন, পাশ থাকবেন।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.