নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব মোড়লদের নতুন গেম প্লান, বলি হতে পারে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৩



2017 সালে আম্রেরিকা সহ পশ্চিমা বিশ্ব নতুন করে ফ্রন্ট লাইনে আসতে চাইবে। সেক্ষেত্রে তাদের পুরাতন গেম নতুন করে ডেভেলপড করবে । তার জন্য সবচেয়ে ভালো ভার্সন হলো ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যু। মার্কিন সিনেট ও এম্রেরিকান গেম মেকারেরা সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। কারণ ইতিমধ্যে আম্রেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব মধ্যপ্রাচ্যে তাদের শক্তি কিছুটা খর্ব করেছে। তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র সৌদি ইয়ামেনের হুতিদের উপর আকাশ থেকে বোমা ফেলতে ফেলতে ক্লান্ত। তুরস্ক লেজের উল্টোপিঠ দেখিয়েছে। ইসরাইলের দীর্ঘ দিনের শত্রু রাষ্ট্র ইরান এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। সিরিয়াতে বাশার একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ নিয়ে রাশিয়ার কেজিবীর প্রতি তাকিয়ে আছে। লেবানবি হিজবুল্লাহ তার রকেটের উন্নত ভার্সণ আনার চেষ্টা করছে। লিবিয়ায় নিজে ক্ষত বিক্ষত সেখানে আমেরিকান অনুগত সরকার নিজেকে স্টান্ডবাজি হিসেবে দাড় করাতে পারবে না। সেক্ষত্রে আমেরিকার একমাত্র ভরসা মিশর। কিন্তু মিশরের কি সেই ক্ষমতা আছে! তার অবস্থা বাংলাদেশের জামায়াতের মত। না পারে ছাড়তে না পারে ধরতে। কারণ মিশরের প্রসিডেন্ট নিজেই সৌদি ও আম্রেরিকান গুটির চালে জনগণের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গদি দখল করে বসে আছে। সে যদি আমেরিকা বা ইসরাইলের হয়ে কিছু করতে যায় তাহলে নিজ দেশের জনগণের বাধার সম্মুখীন হবে। আর জানেন তো, জনগণের মাইর বড় মাইর। এবার আসি মূল আলোচনায়-

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে কড়া প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিভিন্ন দিক থেকে তীব্র চাপ সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কোনো ভেটো দিতে সম্মত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত থাকায় ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি ১৪-০ ভোটে পাস হয়।

এ নিয়ে বিশ্ব রাজনীতি এখন সরাগরম। ইসরাইলের মাথা গরম। কারণ প্রস্তাবে বলা আছে, “এই বসতি স্থাপনের ‘কোনো আইনি বৈধতা নেই। এটি আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের শামিল।”
এই চুক্তি উপর ভিত্তি করে ইসরাইল কতটা ক্ষেপেছে তা খেপেছে, তা প্রমাণ যোগ্য, এই জন্য জাতিসংঘের চারটি অঙ্গ সংস্থা, যারা ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করে থাকে, তাদের কাছে দেয় চাঁদা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের সঙ্গে তাঁর দেশের সম্পর্ক আদ্যোপান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে, সে কথাও তিনি জানিয়েছে। এদিকে যে ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়, তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হয় বাতিল বা তা পুনর্বিবেচনার কথা তিনি ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। এদিকে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে প্রায় ৫০০ বসতি স্থাপনের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য অনুষ্ঠেয় ভোট স্থগিত করে দিয়েছে ইসরায়েলের এই সংক্রান্ত কমিটি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওবামা প্রসাশন বলেছে, অধিকৃত এলাকায় অব্যাহত ইসরায়েলি বসতির ফলে এই সীমানার ভেতর দুই রাষ্ট্রবিষয়ক জাতিসংঘ প্রস্তাব অকেজো হয়ে পড়ছে। সে কারণে ওবামা প্রশাসন অবৈধ বসতি স্থাপনা বন্ধের দাবি বারবার জানিয়ে এসেছে, কিন্তু ইসরায়েলি সরকার সে কথায় গুরুত্ব দেয়নি।

কিন্তু এ প্রস্তাব পাস হওয়ায় ভবিষ্যত মার্কিন মুল্লুকের প্রসিডেন্ট ট্রাম্প সেটিকে ভালোভাবে নেয়নি। তাই সেই, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করা পর্যন্ত ইসরায়েলকে ‘শক্ত থাকতে’ বলেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলকে ‘তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও অসম্মান’ করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রতিক্রিয়া ছিল, এ প্রস্তাবনা ‘ইসরাইলিনীতির প্রতি বিশাল আঘাত। এটি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরঙ্কুশ অবস্থান এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সবার সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ।’ ফিলিস্তিনের প্রধান আলোচক সায়েব এরেকাত বলেছেন, ‘এটি আন্তর্জাতিক আইনের বিজয়ের দিন। সভ্য ভাষা ও কূটনীতির জয়। ইসরাইলের চরমপন্থি গোষ্ঠীর পূর্ণ প্রত্যাখ্যান।’

তবে, আপাতত দৃষ্টিতে এটি ফিলিস্তিনের জন্য সু-খবর হলেও জাতিসংঙ্ঘের এই ফতোয়ায় কোন কার্যকারিতা নেই। কারণ জাতি সংঘ হলো আমাদের দেশে মুফতি-মাওলানার মত, তারা ফতোয়া দিতে পারে কিন্তু কার্যকর করার কোন এডমিনিষ্ট্রি পাওয়ার তাদের নেই, আর ইসরাইল হলে ত’ কথাই নেই।

সর্বশেষ, ১৯৭৯ সালে সর্বশেষ এ ধরনের একটি প্রস্তাব পাস করে নিরাপত্তা পরিষদ। সেটিই কার্যকারিতাও ছিল না। আর, নতুন এই প্রস্তাবনায় বাস্তবে পরিবর্তনের আসার সম্ভাবনা কম। কারণ, এটির কোনো ধারাই বাধ্যতামূলক নয়। সামনের ট্রাম্প প্রশাসনও এটি অগ্রাহ্য করে যাবে।

আবার একে ঠিক প্রতীকিও বলা যায় না। কারণ, এ প্রস্তাবনায় ফুটে উঠে ইসরাইলের বসতি স্থাপন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একযোগে নিজেদের অমত প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ফোরামে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা যে কাজ করে যাচ্ছে, তা-ও এ প্রস্তাবনার দরুন শক্তিশালী হবে।
আর, রাশিয়ার পুতিনও এটিকে কেন্দ্র করে কি চাল দেন সেটিই এখন দেখবে পুরো বিশ্ব।


যেখান থেকে উপকৃত হয়েছি:
http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=46092

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:

হুম...

ভালো বলেছেন

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ,
পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন।

শুভ কামনা জানবেন।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

নীল-সাগর বলেছেন: বাগদাদের খলিফা যখন দিগ্বিদিক দাপিয়ে বেড়িয়েছে, তখন সারা দুনিয়া তার কাছে নতজানু হয়েছিল। যখন নিরীহ গোবেচারাহয়ে হালাকু খানের সামনে দাঁড়িয়েছে, তখন তাকে বিন্দুমাত্র দয়া দেখানো হয়নি। তার সামনে একে একে তার পরিবারের সদস্যদেরকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে, তারপর তাকে কার্পেটে মুড়ে ঘোড়ার খুড়ের নিচে পিষে মারা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি-কাশ্মিরি আর রোহিঙ্গারা যতদিন নিরীহ গোবেচারা ভাব ধরবে, বিশ্ব ততদিন হালাকু খাঁ'র ভুমিকা পালন করবে - এটাই স্বাভাবিক।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: খলিফা ওমরের পর থেকে যারাই ক্ষমতা এসেছে তারা তাদের হাত রক্তে রঞ্জিত করেছে। ওসমান হত্যা কান্ড, আলীর সাথে মুয়াবিয়ার দ্বন্দ, ইয়াজিদ কর্তৃক হাসাইন ও হোসাইন হত্যা, এর পরে......................... লম্বা রক্তের ইতিহাস। সেই ইতিহাসে ছেদ টানতে গিয়ে আব্বাসীয়ারা জাব নদীর তীরে উমায়াদের রক্তের বন্যা বইয়ে দিছে। সেই রক্তের ধারা অধিকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। শেষ পর্যন্ত হালাকু খাঁ এসে বাগদাদের ফোরাত নদীতে রক্তের স্রোত ধারা তৈরি করে খলিফা শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন।

`ফিলিস্তিনি-কাশ্মিরি আর রোহিঙ্গারা যতদিন নিরীহ গোবেচারা ভাব ধরবে, বিশ্ব ততদিন হালাকু খাঁ'র ভুমিকা পালন করবে - এটাই স্বাভাবিক"

ফিলিস্তিনে হামাস লড়াই করছে। সেখানে তাদের শক্তি ও ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। কাশ্মিরে পাকিস্তানী ও আফগান মুজিহিদরা জম্মু কাশ্মমির কে স্বাধীন করার জন্য লড়াই করেছিল। সেই লড়াই এখনও কাশ্মিরের জনগণ অব্যাহত রেখেছে। ইন্ডিয়ান আর্মির কাছে তাদের ক্ষমতা সীমিত ও তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধতা আছে। রোহিঙ্গরাও মাঝে মাঝে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে কিন্তু তারা মায়ানমারের নাসাকা বাহিনীর কাছে কিছুই না। তারা যে প্রতিবাদ করছে না তা কিন্তু নয়। অর্থাৎ তাদের ক্ষমতা, সম্পদ ও জনবলের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

এই জন্য সারা বিশ্বের শান্তিকামী জনগন ও রাষ্ট্রের মাধ্যমে সংহতি স্থাপন করে এ থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু এই সমস্যা কে শুধু মুসলমানের সমস্যা হিসেবে দেখালে শান্তি অর্জিত হবে না বলে আমি মনে করি। একে মানবিক সমস্যা হিসেবে প্রচারণা চালালেই অধিক ফল পাওয়া যেতে পারে।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৩

প্রামানিক বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :-B ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ,

৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৫৩

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.