নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যের ছায়া\'র ফিরে আসা এবং বাংলাদেশ থেকে সাংস্কৃতিমনাদের কালো ছাগল তাড়ানোর ঝাড়ফুক দেয়া!!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬



পাকিস্তানিরা আমাদের বিরুদ্ধে দী+র+ঘ দিন সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়েছে। তারা কার্যক্ষেত্রে পরাজিত হয়ে রণ ভঙ্গ দিয়ে পালালেও তাদের অনুশারীরা সেটি চালু করতে মরিয়া। তারা বর্তমানে নেতিয়ে পড়লেও যে কোন সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।

এই সময়ে আমাদের আরেক দলের সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। সেটি হল প্রজন্ম রক্ষার যুদ্ধ। যাদের বিরুদ্ধে বর্তমানে যুদ্ধে আবতীর্ণ হয়েছি তারা সমাজের একটা বিশাল অংশ কে সু-শিক্ষার বাহিরে রেখে পাশ্চত্যের তথা কথিত প্রগতিশীল কে আমদানি করে আমাদের সাংস্কৃতিকে পাশ কাটিয়ে বর্তমান প্রজন্মের উপর জোড় করে চাপিয়ে দিতে মরিয়া।

আবার, এক শ্রেণি অভিযোগ করে, ভারত, আম্রিকা আমাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতি আগ্রাসন চালাচ্ছে।আম্রিকা ভারতের সাংস্কৃতিক যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার নাটক, সিনেমা, একশন মুভি, ৩জি স্টাইল, ফ্যাশন, বিলাসিতা, যৌনচার, মিনিটে মিনিটে পুজা আর্চনা সংগে সংগে নায়িকা সেলিব্রেটিদের বুক আর পেটের কাপড় সরিয়ে দ্রুত তালে কোমর ঘুটার প্রসার ঘটানো, যাতে গরীবেরা ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা আর নগ্নতাতে মজে থাকে ।

এই আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার ক্ষমতা কিন্তু যারা অভিযোগ করছে তাদের নেই। তারা কোন কার্যকরী পদ বাতলাতে পারছেন না। দু’একটা বিক্ষিপ্ত কথা বলছেন যা পর্যান্ত নয়।

আমাদের দেশে বামপঞ্থী, লেলিনবাদী, মার্কসবাদী এবং কিছু রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি, কিছু সু-চীল সমাজ তারা নিজেকে সাংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে পরিচয় দেয়। কিন্ত বাস্তবে তারা চলে উল্টোটা। তারা রবীন্দ্র কিংবা নজরুল স্বরণ/মৃত্যু/জন্ম দিবসে কপালে বড় বড় টিপ পড়ে, সুপার সপ থেকে দামি শাড়ি আর ব্লাউজ পড়ে সাস্কৃতিকমা সেজে শহীদ মিনার কিংবা সিম্পজিয়াম অথবা কোন সেমিনারে যায়। সেখানে গিয়ে আ………আ…….. করে দু’একটা রবীন্দ্ কিংবা নজরুল সংগীত গেয়ে মৌলবাদীদের চৌদ্ধ গৌষ্ঠী উদ্ধার করে। সব সমস্যার মূল মৌলবাদীরা, দেশে আর কোন সমস্যা নেই। সেগুলো আবার মিডিয়াতে হাইলাইট করে প্রচার হয়। ফলে তাদের নাম ধাম বাড়ে, সমাজে পরিচিতি পায়। নিজেকে অস্প্রাদায়িক হিসেবে জাহির করতে চায়। কিন্তু তাদের ঘরের সন্তানরা য়ূরোপ আম্রেরিকার প্যান্ট, কোর্ট, টাই পড়ে, তাদের মোবাইলে বেজে উঠে, ধুম্বা চলে…………………. অথবা আশিক বানায়…………কিংবা, জাস্টিন বিবার রিহানা, সারিকা বা মাইকেল জ্যাকস নের কোন সূর বা কন্ঠ এব্যাপারে কোন সময় কেউ যদি জিঙ্গেস করে তাহলে বলে, “ওরা বড় হয়েছে, ওদের স্বাধীনতা আছে নিজের পছন্দের অপছন্দের”। তাহলে ওরা আপনার থেকে কি শিক্ষা পেল? যেখানে নিজ সন্তানই আপনার কৃত্রিম শিক্ষা গ্রহন করতে পারল না সেখানে অন্যের ছেলেরা কিভাবে পারবে।

নব্য আরেক দল আছে, তারা তাদের কে দেশে সাংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে পরিচয় দিতে হলে তাদের নিজেকে অসাম্প্রাদায়িক হিসেবে জাহির করতে হয়। ছোট প্যান্ট আর টেডি বিয়ার কোট পরে নিজেকে আধুনিক হিসেবে হাজির করতে হয়। মেয়েদের সমাজে যা দৃষ্টিকটু সেসব পোষাক পড়ে নিজেকে আধুনিক ও সাহসী হিসেবে তুলে ধরতে হয়, আর সর্বশেষ যা করতে হয় তাহলো গ্রুপিং, লগিং এবং দলবাজি।

তারা এত কিছু করার পর নতুন কিছু করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। তখন আর জাতিকে দেওয়ার মত তাদের অবশিষ্ট কিছু থাকে না।


অন্য আরেক গ্রপ আছে, যাত্রাপালার কথা জোড়ে শোড়ে প্রচার করে, কিন্তু যাত্রাপালা এখন ভালো মানুষ দেখে না, সেগুলো নিম্ন আয়ের মানুষের সস্তা বিনোদন হয়ে গেছে। সেখানে উল্লংগ নাচ চলে, যা দেখতে দেখতে মানুষ এখন বিরক্ত।

যারা যাত্রাপালাকে নিচে নামাইছে, তারা প্রযুক্তি বুঝে না, খোজ নিয়ে দেখবেন, নিজের স্মাট ফোনটাও ভালো মত চালাতে পারে না। এরা নতুন প্রজন্ম ও যুগটাকে অস্বীকার করে।

এ থেকে আমাদের বেড় হয়ে আসতে হবে। তা না হলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বড় ধরণের জটিলতার সম্মুখীন হবে। তারা বুঝতে পারবেনা কোনটা আমাদের সাংস্কৃতি, কোনটা আমাদের ধর্ম, কোনটা আমাদের মুক্তিযু্দ্ধের চেতনা আর কোনটি আমাদের জাতীয়তাবাদ। এখন সময় হয়েছে সাংস্কৃতির গাইড লাইন ঠিক করে তাকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা, সেটি করতে প্রযুক্তি সাহায্য নিতে হবে, সকল মানুষের সু-শিক্ষা নিচ্ছিত করতে হবে। আগে মানুষের মৌলিক অভাব পূরণ করতে হবে তাহলে মানুষ নিজে থেকে আধুনিক ও সাংস্কৃতিকমনা হবে, কাউকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে না।

আশা করি তরুন প্রজন্মের কেউ না কেউ এগিয়ে আসবে আমাদের কুষ্টি, সাংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ আর ধর্ম রক্ষা করতে। সেই আশায় রইলুম।

(বি:দ্র: টাইপ জনিত ভুলত্রুটি'র জন্য দু:খিত)

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

সুমন কর বলেছেন: এখন সময় হয়েছে সাংস্কৃতির গাইড লাইন ঠিক করে তাকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা, সেটি করতে প্রযুক্তি সাহায্য নিতে হবে, সকল মানুষের সু-শিক্ষা নিচ্ছিত করতে হবে। আগে মানুষের মৌলিক অভাব পূরণ করতে হবে তাহলে মানুষ নিজে থেকে আধুনিক ও সাংস্কৃতিক মনা হবে, কাউকে জোড় করে চাপিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে না। -- চমৎকার লিখেছেন।

ভালো লাগা রইলো।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এখন হ য ব র ল অবস্হার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সমাজে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এর থেকে পরিত্রান পেতে কেউ সঠিক গাইড দিচ্ছে না। যে যার মত বয়ান দিয়েই খালাস। রাষ্ট্র এ ব্যাপারে কেন জানি উদাস।

ধন্যবাদ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমরা একটা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই সমস্যা য়ূরোপে শিল্প বিপ্লবের সময় হয়েছিল। আমাদেরটা হল প্রযুক্তি এবং অপ সাংস্কৃতির আগ্রাসনের কুফল। এখন দেখার বিষয়- সমাজ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী এবং থিম ট্যাংকারা এর থেকে মুক্তির কোন পথ দেখান।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় লেখা আছে; "প্রকৃতি শুন্যতাকে ঘৃণা করে"। ভাল কিছুর অভাব থাকলে খারাপ তার জায়গা নেবে এটাই নিয়ম। আপনার লেখায় কিছুটা যুক্তি আছে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আম রা এখন সমষ্ঠিগত ক্রাইসিসে ভুগছি। এর থেকে পরিত্রান পেতে কেউ সঠিক গাইড লাইন নিয়ে এগিয়ে আসছে না। রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ও সমাজ বিজ্ঞানীরা আশার আলো দেখাতে পারছেন না। আগে ভাই বোন কালচার ছিল এখন তার পরিবর্তে সেভেন এইট পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা দোস বন্ধু কাল চারে আসক্ত হয়ে পড়ছে। তারা গ্যাং স্টার গ্রুপ গড়ে তোলে নিজেরা খুন খারাপিতে মেতে উঠছে। মাঝে মাঝে পোষা কুকুর দিয়ে একজন আরেক জনকে হত্যা করে। তাদের হাত থেকে পরিবারের মা বাবারা রেহাই পাচ্ছে না। এর থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: 8-| দেশ এখন হ য ব র ল অবস্হার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সমাজে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এর থেকে পরিত্রান পেতে কেউ সঠিক গাইড দিচ্ছে না। যে যার মত বয়ান দিয়েই খালাস। রাষ্ট্র এ ব্যাপারে কেন জানি উদাস।

ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



খুবই সময়োপযোগী একটি প্রবন্ধ । মনযোগ দিয়ে পাঠ করলাম । দেশের সাংস্কৃতিক মুল্যবোধোর বিভিন্ন দিক গুলি খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে । কিভাবে কোন পন্থায় কাদের পৃষ্ঠ পোষকতায় অতি সুক্ষভাবে সাংস্কৃতিক জগতে এক ধরণের মিশ্র অপসংস্কৃতির বিকাশ এক শ্রণীর মাঝে ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করছে তা অতি সুন্দরভাবে উঠে এসেছে লিখাটিতে যেমনটি দেখা যায়-

আম্রিকা ভারতের সাংস্কৃতিক যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার নাটক, সিনেমা, একশন মুভি, ৩জি স্টাইল, ফ্যাশন, বিলাশিতা, যৌনচার, মিনিটে মিনিটে পুজা আর্চনা সংগে সংগে নায়িকা সেলিব্রেটিদের বুক আর পেটের কাপড় সরিয়ে দ্রুত তালে কোমর ঘুটার প্রসার ঘটানো, যাতে গরীবেরা ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা আর নগ্নতাতে মজে থাকে ।

লিখকের এই বক্তব্যটি বিশষভাবে প্রনিধানযোগ্য সকলের কাছে -
এখন সময় হয়েছে সাংস্কৃতির গাইড লাইন ঠিক করে তাকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা, সেটি করতে প্রযুক্তি সাহায্য নিতে হবে, সকল মানুষের সু-শিক্ষা নিচ্ছিত করতে হবে। আগে মানুষের মৌলিক অভাব পূরণ করতে হবে তা হলে মানুষ নিজে থেকে আধুনিক ও সাংস্কৃতিক মনা হবে, কাউকে জোড় করে চাপিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে না।

একথা ভুললে চলবেনা আমাদের নীজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অতি সমৃদ্ধ, তবে তা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপশক্তির মাধ্যমে হয়েছে অবহেলিত ও কারো কারো হাতে পড়ে অত্যন্ত সচেতনভাবে হয়েছে বিকৃত , উদাহরন অনেক রয়েছে এ পোস্টের লিখাতেই ।
তাই সময় হয়েছে একটি সাংস্কৃতির গাইড লাইন ঠিক করে , আমাদের ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি মুল্যায়ন করে তার থেকে ভাল ভাল নির্যাসটুকু বের করে নিয়ে প্রয়োজনে তাতে আধুনিক রুচীশীল প্রযুক্তি ( প্রযুক্তি বলতে শুধু টেকনিক্যল বিষয় নয় এর সাথে যুক্ত হবে একটি সংস্কৃতিকে কিভাবে আধুনিক রুচীসন্মত কলাকৌশল প্রয়োগে সময়ের সাথে তাল রেখে যুগপযোগী করা যায়)

লিখকের সাথে সুর মিলিয়ে বলা যায় আধুনিক তরুন প্রজন্ম এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারে তাদের মেধায় পরিপুর্ণ উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা ও বাংলার চিরায়িত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলিকে তাদের মাঝে গর্বের বিষয় হিসাবে ধারণ করে ।

ধন্যবাদ, এই মুল্যবান লিখাটিকে নেয়া হল প্রিয়তে এর আরো বহুল প্রয়োগের নিমিত্তে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ,
অনেক সুন্দর গঠন মূলক মন্তব্য করেছেন। আপনার মন্তব্য মানে পোষ্টের বিশ্লেষণ। প্রতিটি ব্লগে আপনার মন্তব্যগুলো মনযোগ দিয়ে পড়ি। পড়লে পোষ্ট সম্পর্কে ভাল আইডিয়া পাওয়া যায়।

আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

খোলা মনের কথা বলেছেন: আপনার লেখাগুলো সময় উপযোগী। ভাল লাগলো আবার লাগলো না। আপনি "র" আর "ড়" বর্ণের ব্যবহার গুলো জগাখেচুড়ী করে ফেলেছেন। বানানের দিকে মন দিবেন আশা করে....

ছাগল তারানোর (তাড়ানো) ঝাড়ফুক দেয়া!!
প্রজন্মের উপর জোড় (জোর) করে চাপিয়ে দিতে মড়িয়া (মরিয়া)।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই খোলা মনের কথা, বিষয়টি নজরে এনেছেন।

বাংলা ক্লাসে 'র' এবং 'ড়' ব্যবহার নিয়ে স্যারদের অনেক বকা খেয়েছি। আপনি সহ ব্লগার হয়ে স্যারদের কাজ করলেন।

আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সত্যের ছায়া বলেই মনে হল।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এখনো হতে পারিনি, চেষ্টারত আছি।

ধন্যবাদ।

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) ,




বক্তব্য বুঝতে পেরেছি কিন্তু লেখাটা অসংলগ্ন মনে হলো ।
যেমন এখানটাতে ---- অথবা আশিক বানায়…………কিংবা, জাস্টিন বিবার রিহানা, সারিকা বা মাইকেল জ্যাকস নের কোন সূর বা কন্ঠ এব্যাপারে কোন সময় কেউ যদি জিঙ্গেস করে তাহলে বলে, “ওরা বড় হয়েছে, ওদের স্বাধীনতা আছে নিজের পছন্দের অপছন্দের”। তাহলে ওরা আপনার থেকে কি শিক্ষা পেল? যেখানে নিজ সন্তানই আপনার কৃত্রিম শিক্ষা গ্রহন করতে পারল না সেখানে অন্যের ছেলেরা কিভাবে পারবে।
এখানে কি বলতে চেয়েছেন তা পরিষ্কার নয় ।

আবার ---
অন্য আরেক গ্রপ আছে, যাত্রাপালার কথা জোড়ে শোড়ে প্রচার করে, কিন্তু যাত্রাপালা এখন ভালো মানুষ দেখে না, সেগুলো নিম্ন আয়ের মানুষের সস্তা বিনোদন হয়ে গেছে। সেখানে উল্লংগ নাচ চলে, যা দেখতে দেখতে মানুষ এখন বিরক্ত।

যারা যাত্রাপালাকে নিচে নামাইছে, তারা প্রযুক্তি বুঝে না, খোজ নিয়ে দেখবেন, নিজের স্মাট ফোনটাও ভালো মত চালাতে পারে না। এরা নতুন প্রজন্ম ও যুগটাকে অস্বীকার করে।


এখানের বক্তব্যও গরমিল মনে হয় । যাত্রাপালা আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গ । এই সংস্কৃতিকেই ধারন করতে বলেছেন । তাহলে এই লাইনের ব্যাখ্যা কি -------------- কিন্তু যাত্রাপালা এখন ভালো মানুষ দেখে না, সেগুলো নিম্ন আয়ের মানুষের সস্তা বিনোদন হয়ে গেছে।
আর নিম্ন আয়ের মানুষেরা, যারা স্মাট ফোন কিনে চালায় (ভালো মত চালাতে না পারলেও।) তারা মনে হয় নতুন প্রজন্ম ও যুগটাকেই অনুসরণ করে । তাহলে তারা কি করে নতুন প্রজন্ম ও যুগটাকে অস্বীকার করে ???

তবুও বলবো, শুদ্ধ চেতনার জন্যে সোচ্চার হতে চেয়েছেন ; সেটুকু ভালো লাগলো ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: #:-S ধন্যবাদ, আপনার গঠনমূলক মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

আপনার মন্তব্যের জের ধরে বলি-
আমি এখানে কাউকে ব্যক্তি বিশেষ উল্লেখ করিনি। আমি একটি গোষ্ঠী কে বুঝিয়েছে। যারা নিজেদের কে সাংস্কৃতির প্রতিনিধি ভাবে অথচ তাদের ঘরে দেশীয় সাংস্কৃতির চর্চা নেই। এই সমস্ত লোক অন্যের অনুকরণীয় হতে পারে না।

যাত্রাপালা আমাদের গ্রাম বাংলার সাংস্কৃতির অংশ। যাত্রাপালা এক সময় সব বয়সী মানুষদের দেখার উপযোগী ছিল। কিন্তু সময়ের প্রেক্ষিতে এর মান উন্নয়ন না করার ফলে দর্শক হারাতে থাকে। দর্শক কে যাত্রামুখী করার জন্য এর সাথে সংসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উলঙ্গ নাচের ব্যবস্হা করলেন। ফলে যাত্রাপালা তার জৌলুস হারিয়ে গায়ে কলঙ্ক লেপন করে। কিন্তু যাত্রাপালাকে যুগোপযোগীকরণের ব্যবস্থা করা হলে এখন সব বয়সী মানুষ যাত্রাপালা দেখতে যাবে। যারা এর আধুনিকায়ন করবে তারা প্রযুক্তি ও জ্ঞান বিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ। আমি সেটা বুঝাতে চাইছি। এখানে নিন্ম আয়ের মানুষদের সমালোচনা করা হয়নি।

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: একটি শিক্ষিত জাতি তার সকল ভালোমন্দের বিষয়গুলো নানানভাবে বিচার করে ভালোটাকে রাখার চেষ্টা করে। যদিও বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক অাগ্রাসনে অনেকসময় তা পেরে উঠা মুশকিল। তবে অামাদের চরম ব্যর্থতা হচ্ছে স্বাধীনতার প্রায় পাঁচ যুগ পরেও অামরা শিক্ষিত জাতির তকমাটা গায়ে লাগাতে পারলাম না। তাই এখানে নানান রকম অসামঞ্জস্য থাকবে এটাই নিয়তি।

আর আমরাও অামাদের নেতা নির্বাচিত করি সেইসব লোকদের যাদের একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরির মানসিকতা কিংবা সদিচ্ছাই নেই।

কিছুটা অগোছালো লেখা হলেও ভালো লেগেছে ভাবনাটুকু।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দেশে যখন দলবাজী প্রাধান্য পাবে তখন মেধার অবমূল্যায়ন ঘটবে। স্বাবাধীতার ৪৫ বছর পর সেটা ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলছে। সাংস্কৃতি মানে কপালে লাল টিপ আর মৌলবাদীদের চোদ্ধগোষ্ঠী উদ্ধার করা নয়,তাদের আরো সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। প্রচলিত শিল্পটাকে যুগোপযোগী করতে তাদের কে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে তারা অবহেলিত হবে। সরকার বা জনগণ তাদের সহযোগিতা করতে পারে মাত্র।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাতির শিক্ষিত অংশ এগুলো ভাবার সুযোগ পাচ্ছে; বড় আংশ, এই ধরণের ভাবনা চিন্তা করার অবস্হানে নেই।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: 8-| ধন্যবাদ,

আপনি এক লাইনের মন্তব্যে পাঁচ লাইনের কথা বলেছেন।

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: তারা কার্যক্ষেত্রে পরাজিত হয়ে রণ ভঙ্গ দিয়ে পালালেও তাদের অনুশারীরা সেটি চালু করতে মরিয়া`তারা কার্যক্ষেত্রে পরাজিত হয়ে রণ ভঙ্গ দিয়ে পালালেও তাদের অনুশারীরা সেটি চালু করতে মরিয়া''
যোগ্যতা এম একটি শক্তি তা ইভল হোক বা গুড হোক তা শত বাধা পেরিয়েও সম্মুখে আসবে। আপনার যদি এম যোগ্যতা (তা হোক কালচার, শিক্ষা, অর্থনীতি) তাহলে অন্যর দিকে তাকানোর সময় আপনার থাকবে না সকলেই আপনার দিকেই আসবে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: নিরাশ হয়েন না সামনে এর থেকে ভাল বিনুদন আসছে, শুধু সাথে থাকুন।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ৥ডঃ এম এ আলী ‘তাই সময় হয়েছে একটি সাংস্কৃতির গাইড লাইন ঠিক করে , আমাদের ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি মুল্যায়ন করে তার থেকে ভাল ভাল নির্যাসটুকু বের করে নিয়ে প্রয়োজনে তাতে আধুনিক রুচীশীল প্রযুক্তি ( প্রযুক্তি বলতে শুধু টেকনিক্যল বিষয় নয় এর সাথে যুক্ত হবে একটি সংস্কৃতিকে কিভাবে আধুনিক রুচীসন্মত কলাকৌশল প্রয়োগে সময়ের সাথে তাল রেখে যুগপযোগী করা যায়)’

ভাই মন্তব্যটি ভাল লাগল তবে এই ধরনের লেখা, প্রবন্ধ, বক্তৃতা সমগ্র পৃথিবীর মানুষইতো প্রায় ২৩০ বছর ধরে দিয়ে আসছে তবে কই যতটুকু জানি এত কোন পরিবর্তনই হয়নি। বরং বর্তমান যে পথে পরিবর্তন হচ্ছে সেই পথেই যাচ্ছে। আমার মনে হয় এই দিকেই আরো যাবে বা চলবে..........। কিন্তু .............।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কিন্তু ভালো কিছুও এবং হয় মানুষ পজিটিভ চিন্তাভাবনা করে পৃথিবীর রং পৃথিবীটাকে বদলে দিচ্ছে।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা অগোছালো। আমিও আহমেদ জী এস সাহেবের মত কনফিউজড। তবে মূল বক্তব্য অনুধাবন করা গেছে এবং তা সমর্থন যোগ্য।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমি কনফিউজড, লেখাটাকে কিছুটা অগোছালো আছে। লেখাটা কয়েক বার রিড করে তারপর আপ্লোড দিলে আরো একটু গোছালো হতে পারত।

মূল বিষয়টি বুঝার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একটা ব্যাপার কি সচেতন ভাবে এড়িয়ে গেলেন? দৃষ্টিকটু হেজাব।

ধার্মিক নামধারিরা নিজেরা পশ্চিমা কোট-টাই কিন্তু কিন্তু বউকে আরবীয় লেবাস।
এক বিয়ের অনুষ্ঠানে হায় আল্লা! কি দেখলাম!!
সবাই হেজাবী, বর-কনের ফ্যামেলী উচ্চশিক্ষিত, দাড়ি নেই। মোল্লা না মোটেই। এরপরও কনেও মুখ ঢাকা হেজাবী, বরের বলিউড কষ্টিউম। শিশুরাও হেজাবী। সুধু তাই না। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক ফ্লোর, পৃথক লিফট! পরিবার নিয়ে যারা এসেছেন তারাও, শিশু ভাইবোনরাও আলাদা হতে বাধ্য হল। দেশে কোন কালচার শুরু হল?
এধরনের অন্ধকার অনুষ্ঠান দিন দিন বাড়ছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমার অনেক দিনের সখ এমটা দেখার, আপনি দেখেছেন, সেদিক দিয়ে আপনি ভাগ্যমান।

আল্লাহর কসম, আমি যদি এ রকম কিছু, ”নিজে কোর্ট টাই পড়ে অথচ বউকে আরবীয় জোব্বা পড়ায়’ তাহলে এতক্ষণে কিবোর্ডে ঝড় তুলতাম।

আপনি মন্তব্য করে দায়িত্ব এড়িয়ে গেলেন।

১৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৫

ANIKAT KAMAL বলেছেন: এগু‌লো লিখ‌তে পারা সৃ‌ষ্টিকর্তার অা‌শির্বাদ ধন্যবাদ

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১১

উন্মাদ পথিক বলেছেন: সময়োপযোগী এবং মানসম্মত লেখা ভাইয়া।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.