নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কুল বয়দের ভালোবাসা এবং একটি অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান হওয়া!!

১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪



তখন আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি। কিছুটা বোকা টাইপের ছিলাম বিধায় পরিবারের সবাই একটু আদর বেশি দেখাত। যদিও এই আদর কে আমি মাঝে মাঝে করুণা ভাবতাম। কিন্তু মা-বাবা আমার জন্য অতিরিক্ত চিন্তা করত। এর অবশ্য কারণ আছে। স্কুলে গিয়ে সামনের বেঞ্চে বসলে বজ্জাত খালাত ভাই জহিরুল আমাকে উঠিয়ে পিছনের বেঞ্চে বসাত। আমি কিছু বলতে পারতাম না। আমি তাকে এক প্রকার ভয় পেতাম। সে আমার বিরুদ্ধে স্কুলে বিভিন্ন কূটকৌশল চালত। খালাত ভাই হিসেবে এটা আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল।
এক দিন শিখা নামের এক মেয়ের বই-খাতা গোপনে চুরি করে আমার ব্যাগে লুকিয়ে রেখেছে। যখন এনিয়ে স্যারদের কাছে বিচার গেল তখন স্যার হাতে বেত ঘুরাতে ঘুরাতে সবার ব্যাগ চেক করতে লাগলেন। আমরা সবাই ক্রাকডাউনের মধ্যে পড়ে গেলাম। এই ক্রাকডাইনের ভিতরেও জহিরুলের মুখে হাসি হাসি ভাব। একে একে সবার ব্যাগ তল্লাশি করা হল কিন্তু বই পাওয়া গেল না, সবার শেষে আমার পালা। ব্যাগের জিপার খুলতেই স্যারের চক্ষু কপালে উঠল। তিনি চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিন্তু হাতের বেতটা আমার দিকে ঘুরে ঘুরে ফেনা তুলছে। আমার ভয়ে ধম ছাড়া হওয়ার উপক্রম। আমি শুধু একবার শিখার দিকে তাকালাম। তার মুখ কালো হয়ে গেছে। সে এমনটা আশা করেনি। কিন্তু তার ভয় আমার মাইর খাওয়ার জন্য। আমার চোখ বুঝে রইল কিছুক্ষণ বেতের প্রহার সহ্য করার জন্য। ঠাস ঠাস কয়েটি আওয়াজ হল। কিছুক্ষণ পর চোখ খুলে আবিস্কার করি প্রহার আমার পিঠ নয় বেঞ্চের উপর পড়েছে। শিখা হাঁফ ছেড়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। স্কুল ছুটির পর বাড়ি যাচ্ছি। শিখা আমার পাশাপাশি হাঁটছে। আমি লজ্জায় মুখ লুকালাম। কিছুক্ষণ পর শিখা মুখ খুলল;

-সত্যি তুই বই চুরি করেছিস?
- না। বিশ্বাস কর আমি চুরি করিনি।
- তাহলে তোর ব্যাগে বই খাতা গেল কেমনে?
- আমি জানি না।
- বল্লেই কি হলো। বই ত’ ব্যাগের মধ্যে পাওয়া গেছে। চোর হাতে নাতে ধরা পড়েছে।
- ব্যাগে রেখে বাহিরে যাওয়ার সময় হয়ত কেউ রেখেছে। আমি জানি না কে করেছে?
-কিন্তু আমি জানি।
-কে?
- তোর খালাত ভাই জহিরুল!

নাম শুনে আমার ক্রোধের সীমা ছাড়িয়ে গেল। সে আমার খালাত ভাই না, সে আমার শত্রু! তাকে এর শাস্তি পেতে হবে। আমি রাগে গজ গজ করে পুন:রায় স্কুলের দিকে হাটা শুরু করলান জহিরুল কে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য। শিখা আমার পিছন দিয়ে হাত টেনে ধরল, তারপর বলল, সে এতক্ষণে বাড়ি চলে গেছে। আমি দ্বিতীয় বার নিজেকে বোকা হিসেবে আবিস্কার করলাম!

সে থেকে জহিরুল কে আমি এড়িয়ে চলতাম। কিন্তু সে সেঁধে সেঁধে আমার সাথে কথা বলত।

জহিরুল শিখার পিছনে ঘুরঘুর করে ঘুরত কিন্তু লেখা পড়ায় তুলণামূলক একটু খারাপ এবং অতিরিক্ত দুষ্টামির কারণে শিখা তাকে পাত্তা দিত না। তারপরেও সে শিখার সাথে অনবরত ভাব জমাবার চেষ্টা করত। এ বিষয়টা শিখা ভালভাবে মেনে নিতে পারেনি তাই জহিরুল কে উচিত শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে শিখা আমার সাথে তার বই চেঞ্চ করল। আমি প্রথম অবস্হায় রাজি ছিলাম না। কিন্তু পূর্বের বই চোরের কাহিনী বাড়িতে মা-বাবাকে বলে দিবে হুমকি দেয়ার পর আমি রাজি হলাম। আমার কাছে শিখার বই দেখে জহিরুলের ভিতর দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল। সে নতুন ফন্দি আটল। স্যারদের রুমের সামনে যে বড় কড়াই গাছ রয়েছে তাতে বড় করে লিখল S+S (শিখা + সাহু)
পরদিন ক্লাস টাইমের কিছুক্ষণ আগে তার সাঙ্গপাঙ্গ সহ সেটিকে ঘিরে ধরে হাসাহাসি করছে যাতে স্যারের নজর আসে। স্যার তাদের কে ক্লাসে ডাকলেন কিন্তু তারা স্যার কে ডেকে নিয়ে খোদাই করা প্লাস সহ অক্ষর দুটি দেখাল। স্যার কিছু একটা আন্তাজ করে বললেন, ক্লাসের পর বিচার হবে, এখন ক্লাসে চল। আমি সারা ক্লাসে ভয়ে ভয়ে ছিলাম। শিখা কে অতিরিক্ত চিন্তিত মনে হইছে। ক্লাস শেষে স্যার রুম থেকে বের হয়ে আনোয়ার নামের একজন কে ডেকে নিয়ে কি জানি জিঙেস করলেন। তারপর আবার ক্লাসে প্রবেশ করে বিচার কাজ আরম্ভ করলেন। আমাকে প্রশ্ন করলেন;

- তুমি কি একাজ করেছে?
- না স্যার।
- তাহলে কে করেছে?
- আমি জানি না স্যার।
- তোমরা কি জান?
জহিরুল হাত উঠিয়ে বলল,
- আমি জানি স্যার, সাহু করেছে। আমি, আনোয়ার আর মুনির দেখেছে।
- আনোয়ার, মনিরুল ঘটনা কি সত্যি?
- না স্যার, জহিরুল একাজ করেছে।
স্যার জায়গা থেকে উঠে গিয়ে জহিরুলের পিঠে টাস টাস কয়েকটা বাড়ি দিলেন। আমি মনে মনে বললাম, উচিত শিক্ষা হইছে। শিখা মুচকি হাসছে যেন এটা তার পাওনা।

এ ঘটনার পর শিখার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করলাম। তার মধ্যে চাঞ্চল্য ভাব আসলো। সে আগের থেকে বেশি করে আমার সাথে আবেগ জনিত ভাষায় কথা বলে, কথার মাঝে হাসি আর এক ধরণের টান ও চাউনি লুকিয়ে রাখে। স্কুল থেকে ফেরা এবং আসার পথে আমার জন্য অপেক্ষা করে। আমার মনও তার প্রতি এক ধরণের আকর্ষণবোধ শুরু করছে। তার হাতে মেহেদী দিয়ে লিখেছে (S+S)। সে মাঝে মাঝে তাদের গাছের পাকা বড়ুই নিয়ে আসত আমাকে খাওয়ানোর জন্য।

আরেক দিনের ঘটনা, শিখার বড় বোনের ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে, আয়োজন ছোট তাই সবাই কে দাওয়াত দেয়া সম্ভব না। শুধু মাত্র তার কাছের দুই বান্ধবীকে ও আমাকে দাওয়াত করেছে। পরে যখন বড় করে অনুষ্ঠান করবে সবাই কে দাওয়াত দিবে। যথারীতি বিয়েতে হাজির হলাম। শিখা আমাদের তিন জনের জন্য তিনটি মিষ্টি নিয়ে আসল খাওয়ার জন্য। আমার সাথে মেয়ে দুটি হাতে মিষ্টি নিয়ে মুখে দিল। আমি শিখাকে বল্লাম, তুই খাবি না। আমার কথা শেষ হতে না হতেই সে মিষ্টির অর্ধেক মুখে দিয়ে বাকী অর্ধেক হাতে ধরিয়ে দিল আমাকে খাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি খেতে পার ছিলাম না। ছোটকালে আমি কারো মুখের কোন কিছু খেতে পারতাম না, ঘিন ঘিন লাগত। মিষ্টি হাতে নিয়ে আমি দু'টানায় পড়ে গেছি। শেষ পর্যন্ত শিখার মুখের দিকে তাকিয়ে এবং সামাজিকতা রক্ষা করতে মুখে দিয়ে না চিবিয়ে অনেক কষ্টে পেটে চালান করলাম।

সেই থেকে শিখার নামের মেয়ের প্রতি আলাদা টান অনুভব করতে লাগলাম। কথা বার্তায় স্মার্ট এবং চাল চলনে পরিবর্তন হতে লাগল। সবাই আমার পরিবর্তন লক্ষ্য করল। মা কিছু একটা ধরতে পেরে ছিলেন। স্কুল গ্রীষ্মের ছুটি হলে শিখা তার মামার বাড়ি চাঁদপুর বেড়াতে যায়। আমি আমার নানু বাড়িতে চলে আসি। শিখার মামা বাড়ি বেড়াতে গেলে এক বিলেত ফেরত ছেলে শিখাকে পছন্দ করে এবং তার মামার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। তার মামা সানন্দে রাজি হয়ে যায়, কারণ্ এই ছেলের সাথে আত্মীয় হলে মামার লাভ, সামনে ইলেকশনে দাড়ালে ভোট ব্যাংক বাড়বে। শিখার ফ্যামিলি পর পর দুই বিয়েতে রাজি ছিল না। কিন্তু বোন ও ভগ্নিপতির পীড়াপীড়িতে রাজি হয়ে যায়।

গ্রীষ্মের ছুটি শেষ। মামা বাড়িতে হই হুল্লুর করে দিনগুলো ভালোই কাটছে। বাড়ি ফিরে আসার জন্য ট্রলারে করে এসে নদীর ঘাটে নামলাম। নেমে অনতি দূরে দেখলাম একটি ছোট লঞ্চ দ্রুত চলে যাচ্ছে। ঘাটপাড়ে অনেক মানুষের জটলা। তার মধ্যে শিখার আত্মীয় স্বজন কে দেখলাম বাড়ি দিকে হাঁটা শুরু করছে। ঘটনা কি জিঙ্গেস করার জন্য এদিক ওদিক তাকালাম। ঘাটের অল্প দূরে যেখানটায় নদী বাঁক নিয়েছে সেখানে জহিরুল দাঁড়িয়ে আছে। আস্তে আস্তে তার কাছে গেলাম। ঘটনা জিঙেস করার পর সে আমার দিকে কিছুক্ষণ এক নজর তাকিয়া থাকল। তার পর আমার গালে আওয়াজ করে একটি থাপ্পর বসিয়ে বলল, তোর জন্য পারিনি। আমি 'থ' হয়ে গেলাম। চোখ উঠিয়ে খালাত ভাইয়ে তাকালাম। খালাত ভাই আমার দিকে তাকিয়ে পানির মত নরম হয়ে গেল। আমার ডান হাতটি কিছুটা উচিয়ে ধরে বলল, আমারে যত ইচ্ছা হয় মার, তোকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আমি হাত ছাড়িয়ে তাকে মারতে উদ্যত হলাম। তার মুখের দিকে তাকিয়ে মায়া এসে গেল, বল্লাম খালাত কি হয়েছে? সে বলল, লঞ্চ করে শিখার বরযাত্রী যাচ্ছে। কথাটি শুনে আসল কষ্ট টের পেলাম। দুই ভাই দুই ভাই কে জড়িয়ে ধরলাম। তারপর লঞ্চের দিকে তাকিয়ে থাকলাম যতদূর পর্যন্ত চোখ যায়।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

অরফিয়াস বলেছেন: লঞ্চ করে শিখার বরযাত্রী যাচ্ছে। কথাটি শুনে আসল কষ্ট টের পেলাম। দুই ভাই দুই ভাই কে জড়িয়ে ধরলাম

শিখা ভালা কাজ করছে!!! তা না হলে তো দুই ভাইয়ের শত্রুতা ঘুচতো না!:)

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করেছেন।

গল্পের প্যাটার্ন অনুযায়ী এই শত্রুতার শেষ হওয়ার কথা না।
দুই ভাই সমান শক্তিধর হলে বিষয়টা রক্তারক্তি পর্যন্ত গড়াতে পারত। সমাজে এ ধরণের ঘটনা অহরহ ঘটছে। কিশোর পোলাপাইন গ্যাং স্টার গ্রুপ গড়ে তুলেছে।

এ বিষয়টি (গ্যাং স্টার গড়ে তোলা) নিয়ে সমাজ বিজ্ঞানী এবং রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের এখনি কাজ শুরু করা দরকার। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয় মূল্যবোধ গড়ে তুলতে পারলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার হার কিছুটা রোধ করা যেত।

২| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

ওমেরা বলেছেন: ভালই হয়েছে ,শিখা চলে গেল ভাইয়া ভাইয়া মিল হল , গল্প শেষ হল । ধন্যবাদ ।

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভাল'ত হয়েছে কিন্তু দুই ভাইয়ের অন্ততরে যে রক্তক্ষরণ হয়েছে সেটিও দেখতে হবে।

মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

শুভ কামনা জানবেন।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

সারাফাত রাজ বলেছেন: অসাধারণ এক প্রেমের গল্প পাঠ করলাম। :)

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অনুভূতি জানিয়েছেন।


শ্রদ্ধা এবং শুভ কামনা জানবেন।

৪| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর প্রেম কাহিনী। চমৎকার লেগেছে সেই সংগে ফিরে গিয়েছিলাম ২৫ বছর পূর্বের বয়সে।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আসলে আমাদের প্রাইমারী এবং হাইস্কুল লাইফে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা পরবর্তীতে নষ্টালিজম করে দেয়। মনে হয় এইত সেদিনের ঘটনা।

শুভ কামনা জানবেন।

৫| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

শূন্যনীড় বলেছেন: ভালো লাগলো গল্প। স্কুল জীবন মনে করিয়ে দেয়ায় ধন্যবাদ সত্য ভাই।

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সময়ের ব্যবধানে মানুষ বর্তমান কে পিছনে ফেলে আসে। এই ফেলে আসার দিন গুলোর কথা ভেবে মানুষ নষ্টালিজম হয়।

মন্তব্য করার জন্য ধন্য শূন্যনীড় ভাইয়া।

৬| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লেগেছে আপনার প্রেমের গল্প।

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,

সব সময় পাশে এবং অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য।

শুভ কামনা জানবেন।

৭| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো গল্প। স্কুল জীবনে এরকম হয়। সেটা শত্রুতার নয় ,অভিমান আর দুষ্টুমিতে ভরা থাকে ,আংশিক হিংসা তো থাকেই। আবার মিটেও যায় তাড়াতাড়ি অধিকাংশ ব্যাপারেই। সেসময় যে মায়া মমতা উদার্যতা থাকে তা পরে একসময়ে এসে আমরা হারিয়ে ফেলি। তাই জীবনে অনেক ঘটনা মনে দাগ কেটে যায় ছোট সময় কারো উপর রাগ হলে কিংবা মারামারি হলেও তার সাথে কথা বলার জন্য মনে সবসময় একটা আগ্রহ থেকেই যেতো। মানুষ বড় হলে ,বয়স বাড়লে আত্মমর্যাদা বাড়ে বোধের বিশালতা পায়, ভালো এমনই হওয়া উচিৎ। কিন্তু অনেকেই আমরা আত্ম অহংকারী হয়ে যাই , এখানেই সমাধানের পথ হারিয়ে যায়। ক্ষমার পরিবর্তে বাড়ে হিংসা। এতেই সমাজের বিপত্তি বাড়তেই থাকে প্রতিযোগিতামূলকভাবে। | আপনার গল্প পড়ে আমি স্কুল জীবন থেকে ঘুরে এলাম, জানিনা এতগুলো অপ্রাসঙ্গিক কথা কেন বলে গেলাম। ভুল হলে ক্ষমা করবেন ভাই |

গল্প ভালো লিখেছেন ভাই। উদ্দেশ্যে , লেখনিতে মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
শুভকামনা জানবেন।

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:১২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,
আপনি গল্পের বিশ্লেষণ করে গেছেন। ছোট বর্ণানা দিলেন।

আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

শুভ কামনা জানবেন।

৮| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আল্লাহ যা করে তা মানুষের মঙ্গলের জন্যই করেন।

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সুজন ভাই আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হই। আড্ডা পোষ্টে আপনার মন্তব্যগুলো খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ি। মন্তব্য করার সময় পাইলে আপনাদের আড্ডাতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করলাম।

সব কিছুর উপরে একজন আছেন। তিনি ভাল মন্দ বিচার করে সঠিক ফয়সালা দেন।

আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক।

৯| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) ,




ভালো লিখেছেন । স্কুল জীবনে অনেকেরই এধরনের অভিজ্ঞতা আছে মনে হয় ।

উপরে সহব্লগার "নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন" স্কুল বয়সে অমন শত্রু-মিত্র খেলার সুন্দর উপসংহার টেনেছেন । তার মন্তব্য ও ভালো লাগলো ।

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্যে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হলাম।

শৈশবে স্কুল লাইফে এই ধরণের ঘটনা সবার কম বেশি ঘটত। সেটা বর্তমানের গ্যাং স্টার পর্রযন্ত গড়াত না। যারা ৯০ দশকে হাইস্কুল কিংবা কলেজে পড়েছে তারা বিষয়টা ভাল বলতে পারবেন।

কিন্তু বর্তমানে কিশোররা এই ধরণের ঘটনায় গ্যাং স্টার গড়ে তোলে রক্তারক্তি ঘটাচ্ছে। পত্রিকায় মাঝে খবর আসে।

ইহাকে এখনি আমলে নিয়ে সমাজ বিজ্ঞানীদের করণীয় ঠিক করতে হবে যাতে কিশোরা হিংস্র না হয়।

১০| ১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

সানহিমেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন, শেষ পর্যন্ত আকর্ষণ ছিলো।

১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ পড়েছন এবং মতামত জানিয়েছেন।

শুভ কামনা জানবেন।

১১| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:৩৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখন আর সেই দিন নাই। এখন স্কুলের প্রেমও ভয়ংকর হয়ে যায়। মাত্রাতিরিক্ত বাংলা, হিন্দী নাটক, সিনেমা দেখে সবাই সিরিয়াসলি প্রেম করে বা করতে চায়। কিছুদিন আগেই তো দুইটি সনামধন্য কলেজের ছাত্র ছাত্রীর প্রেম নিবেদন করার ভিডিও বের হয়েছিল...

১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:০০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,

আপনি মন্তব্যে উপসংহার টেনেছেন। বর্তমান সময়ে কিশোরা এই সমস্ত ঘটনায় জড়িয়ে খুন খারাপিতে মেতে উঠছে যা হতাশা জনক।

শুভ কামনা জানবেন।

১২| ১৭ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাক, যদি গল্প না হয়ে থাকে, আপনার ও জহিরুলের কস্ট টুকু অনুধাবন করছি; আরেকটি ব্যাপার, যে ঘটনাগুলো আপনার সাথে ঘটেছে, আপনি যেভাবে ঘটনাগুলোর সাথে জড়িত হয়েছেন ইত্যাদি , এগুলোতে আপনার ভুমিকা ৫ম শ্রেনীর লেভেলের হয়েছে।

১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:১২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আসলে এ গল্পের ধারা বর্ণনায় মনে হতে পারে আমার জীবনের সাথে সম্পর্কিত। স্কুল বয়দের ভালবাসা নিয়ে এর আগে আমি আরেকটি গল্প লিখে ছিলাম।

দুই ভাইয়ের কষ্ট বুঝার জন্য ধন্যবাদ।

আপনি আমাকে গল্পে ৫ম শ্রেণি উল্লেখ করেছেন, আসলে তখন তার চেয়েও নিচু লেভেলে ছিলাম। আমার অবস্হান ছিল চতুর্থ শ্রেণি।

স্কুল বয়দের নিয়ে আমার আগের গল্প

১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:১৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

সাদাত সায়েম বলেছেন: কোথাও একটা ভুল হয়েছে, ঠিক করুন

১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনি বলার পর একাধিক টাইপো নজরে এসেছে।

১৪| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

জগতারন বলেছেন:
এ ঘটনার পর শিখার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করলাম। তার মধ্যে চাঞ্চল্য ভাব আসলো। সে আগের থেকে বেশি করে আমার সাথে আবেগ জনিত ভাষায় কথা বলে, কথার মাঝে হাসি আর এক ধরণের টান ও চাউনি লুকিয়ে রাখে। স্কুল থেকে ফেরা এবং আসার পথে আমার জন্য অপেক্ষা করে। আমার মনও তার প্রতি এক ধরণের আকর্ষণবোধ শুরু করছে। তার হাতে মেহেদী দিয়ে লিখেছে (S+S)। সে মাঝে মাঝে তাদের গাছের পাকা বড়ুই নিয়ে আসত আমাকে খাওয়ানোর জন্য।

গল্পের উপাদান গুলো খুবই বাস্তব ও জাপিত জীবন থেকে নেওয়া বলে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয়।
জানিনা এটা আপনার অতিত জাপিত জীবনের অভিজ্ঞতা কিনা। তবে আপনার লিখা আজকের এই গল্পটি আমার খুব ভালো লাগল।
অভিন্দন জানাচ্ছি ও এ রকম আরো লিখা আশা করি আপনার কাছ থেকে।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ দীর্ঘ মন্তব্য করেছেন।

আমি যখন গল্পটি লিখি তখন ভাবিনি এত মানুষে পড়বে। ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

শুভ কামনা জানবেন।

১৫| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

জেন রসি বলেছেন: একই হতাশাবোধ বা না পাওয়ার আক্ষেপ মানুষকে মাঝেমাঝে শত্রু থেকে বন্ধু বানিয়ে ফেলে! বিশেষ করে রাজনীতিতে এমন ব্যাপার প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়। ;)

সাবলীল লেখা। পড়ে আরাম পেয়েছি।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনি জটিল সমীকরণ মিলাইছেন ত', এমনটা আগে ভাবিনি।

পাঠ ও মন্তব্যের জন ধন্যবাদ।

১৬| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মুগ্ধতা রেখে গেলাম।

১৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ,

শুভ কামনা জানবেন।

১৭| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

সুমন কর বলেছেন: অনেক দিন পর, আপনার লেখা পড়লাম। মজা পেলাম।

১৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:১০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আমাকে মনে রেখেছেন সেজন্য আরেকবার ধন্যবাদ।

পড়ে অনুভূতি জানিয়েছেন সেজন্য শুভ কামনা জানবেন।

১৮| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৩৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: আহারে বেচারা। স্কুল জীবনের বেশিরভাগ প্রেমের পরিণতি এমনই হয়। পড়তে ভালো লাগল।

১৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:১৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

পড়ে মতামত জানিয়েছেন।

আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম

১৯| ১৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

হাফিজ রাহমান বলেছেন: স্মৃতিচারণটা বেশ মধুর হলো। তবে শিরোনাম ছোট হলে আবেদন বৃদ্ধি পাবে বলে মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.