নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোজা এবং ঈদ পালনে বিভ্রান্ত না হয়ে নিজ নিজ দেশে চাঁদ দেখে পালন করুন।

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭



বাংলাদেশের কোন কোন জেলায় ঈদুল ফিতর ও আযহা উদযাপন হয় এক দিন আগে ও পরে। বেশ কয়েক বছর ধরেই শুরু হওয়া বিষয়টি এখন মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে, এমন কি সম্ভবত ছোঁয়াচে ব্যাধির মত খোদ রাজধানী ঢাকা শহরের দু একটি এলাকায় শাওয়াল মাসের এক তারিখ ঈদ উদযাপন না করে রমজান মাসের ২৯ বা ত্রিশ তারিখেই ওরা সকাল বেলা ঈদের নামাজ পড়ে হাস্যকর ভাবে কোলাকুলি শুরু করে দেয় । ওরা ঈদের নামাজ পড়ে বাড়ীতে এস দেখে বাড়ীর অন্য কোন সদস্য হয়তো ত্রিশ তম রোজা পালন করছে । বিষয়টি হচ্ছে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু করা এবং রোজা শেষে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন না করলে ওদের মতে কোন কিছুই শুদ্ধ হবেনা । বাংলাদেশের মানুষের ধর্মপ্রাণ হবার সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর পীর নামধারি ধর্ম ব্যবসায়ি গোষ্ঠী মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা পালন করাকে বিতর্কিত রুপ দিচ্ছে ।

সৌদি আরবে সাথে মিল রেখে এবারও ঈদ উদযাপিত হবে - দক্ষিন চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলার ৩০ টি গ্রাম। পটুয়াখালির ২২টি গ্রামের ৫০০ এর অধিক পরিবার এবং শরিয়ত পুরের ডামুড্যা উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে ঈদ উদযাপন করবে। । চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ সহ চারটি উপজেলার মট ৪০ টি গ্রামে র ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে । ফরিদপুর জেলার ভাংঙ্গা থানায়ও কয়েকটি গ্রামে ঈদ উদযাপন করা হয় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে। এর বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পীর-আক্রান্ত অনেক এলাকার শত শত পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করবে ।

বছরে দুই ঈদে ৪ দিন পালন নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন,

(১) সৌদি আরবে ইফতার হয় আমাদের দেশে যখন রাত ১০টা । সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনকারীরা রাত ১০টায় ইফতার করেন না কেন? মাগরিব নামাজ কেন রাত ১০টায় পড়েন না ?
(২) সৌদি আরবে ফজরের ওয়াক্ত হয় তখন, যখন আমাদের দেশে সকাল ৮টা , তাহলে সকাল ৮টায় ফজর নামাজ আদায় করা হয় না কেন? ?
(৩) আমাদের দেশে যখন সকাল ৭টা বাজে তখন সৌদি আরবের সেহেরির সময়, তাহলে কি আমরা সকাল ৭টায় সেহেরি কবর?

কেন নিজ নিজ দেশে চাঁদ দেখে ঈদ করবেন:
# হাজার বছর আগে কিছু সাহাবী এবং তাবেয়ীন ভারতে এসেছেন। তারা চাইলেও চাঁদ আরবে দেখা গিয়েছে কিনা তা জানতে পারেনি। তাই তারা ভারতেই চাঁদ দেখেই ঈদ করেছেন এটা নিচ্চিত।
# রাসূলের সময় অনেক সাহাবা চীন দেশে এসেছিলেন ইসলাম প্রচার করতে। তখন তারা চীনের সময়ের উপর নির্ভর করে রোজা ও ঈদ পালন করতেন। (চীনের মাটিতে আজও সাহাবী আবি আক্কাস (রা: ) এর কবর বিদ্যামান আছে) কারণ সেই সময় চীনে বসে খবর নেওয়া সম্ভব ছিল না, আজ সৌদির আকাশে চাঁদ উঠেছে কাল ঈদ। এ খবর চীন আসতে কয়েক মাস লেগে যেত তাহলে দুই ঈদ একসাথে পালন করতে হতো। যা কখনও সম্ভব নয়।
এখন সাহাবাদের সমস্যা না হলে আমাদের সমস্যা কোথায়?
এবং রাসূল সাঃ ঐ সময় জীবিত ছিলেন। তাহলে উপরের ঘটনা রাসূল কর্তৃক রেটিফাই কৃত।

# বাংলাদেশে যারা ইসলাম প্রচার করেছেন তারা এদেশে চাঁদ দেখে রোজা, ঈদ পালন করেছেন।সকল মুসলমান এই নিয়ম পালন করেছেন। তাই তারা একসাথে সকলেই ভুল ছিলেন, এটা ভাবা বোকামী। যেমন- শাহাজালাল রাঃ, শাহা পরান রাঃ, নাসীর উদ্দোন রাঃ, কুতুবুল আউলিয়া ইত্যাদি।
সাধারণত মুসলিম বিশ্বে চাঁদ দেখেই ঈদ করে। সে হিসাবে এটাও একটা দলিল এবং রেওয়াজ, এবং সাধারণ দলিলের চেয়ে দলিলগত শুদ্ধতার বিচাররে এটা বড় রকমের দলিল। কারণ এই দলিল নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোন সুযোগ নেই।

রোজা, ঈদ এবং চাঁদ সম্পর্কে কোরআন ও হাদীস কি বলেঃ
“রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর”"
[বাকারা আয়াত ১৮৫]


অর্থাৎ, ২৯ শাবান চাঁদ দেখেই রমজানের রোজা শুরু করতে হবে। ওই দিন চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাসকে ৩০ দিন পূর্ণ করতে হবে। হাদিস, কোরআন ও ফেকাহ’র কিতাবগুলোতে কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে, সৌদি আরবে চাঁদ উঠলেই বাংলাদেশে রোজা ফরজ হয়ে যাবে। স্মরণ রাখতে হবে, চান্দ্র মাস ২৯ ও ৩০ দিনে হয়, ২৮ বা ৩১ দিনে হয় না। বাংলাদেশের আকাশে ২৯ শাবান বা ৩০ শাবান রমজানের চাঁদ দেখা গেলে রমজানের রোজা ফরজ হয়।

এছাড়াও কোরআনে বলা হয়েছে,
• “‘লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে নবচন্দ্র সমূহের ব্যাপারে। বলে দাও যে, এটি মানুষের জন্য সময় সমূহের নিরূপক ও হজ্জের জন্য সময় নির্দেশক’ ”[সূরা বাকারা আয়াত ১৮৯]

এখানে ‘নতুন চাঁদ’ না বলে ‘নতুন চাঁদ সমূহ’ বলার কারণ হ’ল এই যে, সদা সন্তরণশীল চাঁদ প্রতি মিনিটে ও সেকেন্ডে পৃথিবীর নতুন নতুন জনপদে নতুনভাবে উদিত হয়। ফলে এক চাঁদ বহু নতুন চাঁদে পরিণত হয়। এর সাথে মিল রেখেই বলা হয়েছে‘মানুষের জন্য সময় সমূহের নিরূপক’ এর একবচন অর্থ ‘সময়’ বা ‘সময় নিরূপক’। বহুবচন আনার কারণ এই যে, চাঁদ যে অঞ্চলে ওঠে, সে অঞ্চলের সময় আগের অঞ্চল থেকে পৃথক। ফলে চাঁদ যত অঞ্চলে যখনই উদয় হবে, তত অঞ্চলে তখনই তার উদয়ের সময়কাল হিসাবে গণ্য হয়।
তোমরা (রমজানের) চাঁদ দেখে রোজা শুরু করবে এবং (ঈদের) চাঁদ দেখেই রোজা ছাড়বে। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় (এবং চাঁদ দেখা না যায়) তাহলে মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করে। অর্থাত্ আকাশ পরিচ্ছন্ন না থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করত রমজানের রোজা রাখা শুরু করবে।—সহিহ বুখারি ১/২৫৬, হাদিস : ১৯০৬

ছোট বেলায় এরকম চাঁদ দেখার মজার স্মৃতি অনেকেরই আছে।



অনেকে পলিটিক্যাল এনটিটি এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির কথা বলতে পারেন। তাদের জ্ঞাতার্থে:


সৌদি থেকে যারা +৩/৪ ঘন্টা থেকে +৬/৭ ঘন্টা দূরে তাদের সৌদি আরবের চাঁদের খবর বা সাক্ষ্য পাবার জন্য রাত ১২ টা থেকে ভোর ৪টা/৫টা পর্যন্তও জেগে থাকতে হতে পারে। চাঁদ দেখার সাক্ষ্য বা খবর পাবার জন্য এভাবে জেগে থাকার কোন দলীল পাওয়া যাবে কি? আর যদি তারা তাদের বিতরের নামায না পড়ে তারাবীহের পরে পড়বে ভেবে জেগে না থেকে ঘুমিয়ে পরে এবং সৌদিতে চাঁদ না ওঠায় তাদের কাছে কেউ চাঁদ দেখার খবর না পৌঁছায় তাহলে তাদের বিতরের নামাযের সাথে সাথে ফযরের নামাযও ছুটে যাবার আশঙ্কা থাকে। আর যাদের কাছে চাঁদ দেখার খবর সেহেরীর শেষ সময়ের এক/আধ ঘন্টা আগে পৌঁছবে, তারা তারাবীহ পড়বে না সেহেরী খাবার প্রস্তুতি নেবে এ নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।

ধরা যাক,
জাপানের কোন মুসলিম সৌদির রাত ৯ টার চাঁদের খবর গ্রহন করার জন্য তাদের সময়ের রাত ৩টা পর্যন্ত জেগে থাকলো। (জাপানের সাথে সৌদির সময়ের পার্থক্য +৬ ঘন্টা) কিন্তু কোন কারনে সেদিন সৌদিতে চাঁদ দেখা গেলনা, এই খবর সে রাত ৩টা জানতে পেরে তার বিতরের নামায পড়ে ঘুমাতে গেল। এ অবস্থায় তার ফযরের নামায কাযা হবার ব্যপক আশংকা থেকে যাবে। আর পরবর্তী দিন যদি তার অফিস থাকে তাহলে সেখানেও তার দেরীতে পৌঁছা ও কর্মদক্ষতা কমে যাবার আশংকা থেকে যায়।

যেসব দেশের মুসলিমদের চাঁদের খবরের জন্য রাত ৩টা/৪টা কিংবা ভোর ৫টা পর্যন্ত জেগে থাকতে হবে তারা কি এই সময় পর্যন্ত জেগে থাকবে নাকি ঘুমিয়ে পরবে? যদি ঘুমিয়ে পড়তে বলা হয় তাহলে তারা চাঁদ দেখার খবর বা সাক্ষ্য কখন, কিভাবে গ্রহন করবে?

বি:দ্র:
আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা একটি কৃত্রিম/ইসলাম পরববর্তী সময়ে আবিস্কৃত। দেখা যায় যদি সারা পৃথিবীতে সূর্যের হিসাবে একই সাথে ঈদ করে, তাহলে যখন হাওয়াইয়ের মানুষ যে দিন ঈদ করছে, ফিজির মানুষ তার আগের দিন ঈদ করবে। কারণ, হাওয়াইয়ে যখন সোমবার, ফিজিতে তখন মংগলবার। তাইলে একসাথে ঈদ কিভাবে সম্ভব ? হাওয়ায়ের আকাশে যে সূর্য একই সূর্য একই সময় ফিজিতে কিন্তু ফিজি একদিন আগে নিজেদের ধরে আর হাওয়াই একদিন পরে ধরে। চন্দ্র হিসাব করলেও অনুরুপ হবে।


আসলে নবী করীম (স: ) এর সময় ইসলাম শুধু আরবেই প্রতিষ্ঠিত ছিল। তখন আরবের এক জায়গায় চাঁদ দেখা গেলে অন্য যায়গায় ঈদ পালন করা হত। কিন্তু চার খলিফার আমলে ইসলাম বহি:বিশ্ব জয় করতে থাকে তখন ইসলাম একটি আর্ন্তজার্তিক ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় আর তখন প্রয়োজন পড়ে নতুন নতুন মাসয়ালা ও কর্মপন্থা। সেই লক্ষে চার ঈমাম বিভিন্ন দৃষ্টি কোন থেকে বিভিন্ন উত্তর দিয়েছেন কিন্তু তাদের উৎস ছিল কোরআন ও হাদীস।

যারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ পালন করেন তারা বেশির ভাগ পীর ব্যাবসায়ীর অনুসারী। বিষয়ট হয়ত আপনারা হয়ত খেয়াল করেছেন। তারা এমনটি করেছে নিজ মুরিদ কে সাধারণ মুসলমানদের থেকে আলাদা বুঝানোর জন্য। নিজের বুজুরগি জাহির করার জন্য। আশা করি বিষয়টি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন।

এই ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীরা যদি ফিনল্যান্ড নরওয়ের মতো দেশে থাইকা ২২ ঘণ্টা রোজা পালন করত তাহলে ঠিকই লাইনে আসতো। সুখে আছে ত’ তাই ভূতে কিলায়।


এখন প্রশ্ন আসতে পারে,
পলিটিকাল এনটিটি অনুযায়ী নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে ঈদ পালন করবো, না কি ধর্মীয় কেন্দ্র অনুযায়ী সমগ্র মুসলিম জাহান একই সময়ে ঈদ পালন করবো?

পৃথিবী যেহেতু ঘূর্ণনশীল তাই নির্দিষ্ট সময়ে অর্থাৎ একই দিন রোজা রাখ এবং ঈদ পালন করা সম্ভব নয়। আর রোজা এবং ঈদ পালন করার জন্য নিয়ত, প্রস্তুতির বিষয় জড়িয়ে আছে তাই এক্ষেত্রে দিন/তারিখ/সময় নির্দিষ্ট করে দিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে এবং ধর্মীয় মূল ভাবগম্ভীর্য থেকে সরে আসবে।
তাই আপনি যে দেশে আছেন সে দেশের নিয়ম/চাঁদ দেখে রোজা এবং ঈদ পালন করুন। এটাই আপনার জন্য কুরআন এবং হাদিসের বিধান।

## কিছু তথ্য অনলাইন থেকে পেয়ে উপকৃত হয়েছি। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এবং এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত, ফতোয়া হিসেবে পালনের বাধ্যবাধকতা নেই।
ছবি: নেট থেকে।


সামহোয়্যার ব্লগের পক্ষ থেকে সকল কে অগ্রিম ঈদ মোবারক।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

রানার ব্লগ বলেছেন: যারা সৌদি আরবের সাথে মিলিয়ে রোজা বা ঈদ পালন করেন তারা নিম্নস্তরের বেকুব ও সমাজে গন্ডগোল লাগানর কীটপতঙ্গ।

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এটা সাধারণতত পীর ব্যবসায়ীদের কর্তৃক প্রবর্তিত।

২| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই এক নতুন হুজুগ ;মানুষ এত বেকুব ও হয় !
আপনার তথ্য উপাত্ত যুক্তি ভালোলাগছে ।
গত বছর আমি ৩১ রোজা করেছি ;এবার ইনশা আল্লাহ দুইটা ঈদ করব । মানে হচ্ছে যেখানে থাকি ঠিক সেই যায়গায় চাঁদ দেখা অনুযায়ী পালিত হবে ।

শুভ কামনা এবং অগ্রীম ঈদ মোবারক !

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বলেন কি আপা আপনি ৩১ রোজা করেছেন!

যা হউক, নিজ দেশের ওলামা মাশায়েখক এবং চাঁদ পর্যাবেক্ষন কমিটি চাঁদ দেখে যেদিন পালন করতে সরকারী আদেশ জারি করবেন, সেদিনই ঈদ এবং রোজা পালন করুন। সম্ভব হলে নিজে চাঁদ দেখুন। চাঁদ দেখার মধ্যে আনন্দ আছে।

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপ্নাকেও অগ্রিম ঈদ মোবারক।

৩| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

জেকলেট বলেছেন: ব্যাপারটা আপনি যেভাবে শুধু বাংলাদেশের হিসেবে সরল করেছেন, আমার মনে হয়না ব্যাপারটা এত সরল। আমি নিজেও ব্যাপারটা নিয়া ব্যাপক কনফিউজড। কারন খুব সম্ভবত সাব কন্টিনেন্ট ছাড়া সারা পৃথিবীতে সৌদির সাথে মিল রেখে রোযা এবং ঈদ করে (ইউরোপের ব্যাপারে আমি ১০০% কনফার্ম)। ওআইসি ও একে প্রমোট করছে। ব্যাপারটা তাহলে শুধু বাংলাদেশের ইস্যু নয়। আর প্রফেটের সময় যোগাযোগ ব্যাবস্থা এত আধুনিক ছিলোনা। তাই এক এলাকার খবর আরেক এলাকায় পৌছাত না এত দ্রুত। মারামারি না করে আলোচনা করা উচিত।

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমরা রোজা এবং ঈদ সৌদির একদিন পরেই করছি। এটা স্বীকৃত। ইউরোপ আমেরিকার মানুষ চাঁদ দেখে ঈদ এবং রোজা পালন করে এতে আমি ১০০ পারসেন্ট সিউর। কারণ আমেরিকা ইউরোপের মানুষ সৌদি কর্তৃক চাঁদ দেখার ঘোষণার উপর নির্ভর করে বসে থাকেনা। চাঁদ দেখার সময় হলে প্রযুক্তিরর সাহায্যে তারা নিজেরাই চাঁদ দেখে নেয়। তাদের প্রযুক্তি সৌদি থেকে আরো উন্নত।

৪| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

অর্ক বলেছেন: সব-ই সত্য, অকাট্য। ব্যাপারটা আদতেই হাস্যকর। ছোটবেলা থেকেই বিটিভির নিউজে দেখে আসছি ঈদের আগের দিন-ই বিশেষ করে কুমিল্লা চাঁদপুর অঞ্চলের কিছু জায়গায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করে বসে আছেন লোকজন। এটা বেড়েছে বললেন কেন! তাহলে তো চিন্তার-ই বিষয়। জানতাম দেশের খুব-ই নগণ্য সংখ্যক মানুষ এরকম থাকে। স্থানীয় কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তির এনিয়ে মন্তব্য শুনে বুঝেছি, নিতান্তই সহজ সরল গ্রামীণ মানুষ। এটা করে বা এরকম ভেবে তারা আনন্দ পেয়ে থাকে। আমাদের বা এই সমাজের কোনও ক্ষতি তো করছে না তারা! তবে এটা ঠিক যে ব্যাপারটা একটা অন্ধ ধর্ম বিশ্বাসের অংশ হলে, তা খারাপ। হয়তো দেখা যাবে তাদের সমাজও কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও তুলনামূলক অনগ্রসর! সেক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। তবে শুধু তাদের একদিন আগে ঈদ উদযাপন নিয়ে আমার মনে হয়, তাদের তা করতে দেয়া উচিৎ। এতে তারা নির্দোষ আনন্দ পায়। আরেকটা কথা ভেবেছিলাম এখন হয়তো এই প্রবণতা কমে এসেছে, একসময় হয়তো আর থাকবে না।কিন্তু আপনার লেখা পড়ে এর বৃদ্ধি ঘটছে জেনে চিন্তিত হয়ে পড়লাম। তবে তো নিশ্চিত এটা একটা অশুভ সংকেত। সেক্ষেত্রে আমাদের তো নীরব থাকা চলে না।

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এটা আমাদের দেশে চলে এসেছে মূলত অতিরিক্ত পীর ভক্তি এবং ব্যবসার কারণে। এই সমস্যা এক দিনে শেষ হবে না তার জন্য সময় দরকার। মানুষ শিক্ষিত এবং ধর্মীয় বিষয় অধিক জ্ঞাত হলে ও সময়/ভৌগলিক দূরত সম্পর্কে জানলে আস্তে আস্তে এ প্রবনতা কমে আসবে।

আর যারা সৌদির সাথে মিল রেখে পালন করছে তাদের কেউ বাঁধা দিচ্ছে না এবং তারা সৌহাদ্য ভাবেই পালন করছে। অনেকে হয়ত তাদের বিষয় নিয়ে অন লাইনে মতামত ব্যক্ত করছে এই যা।

ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

অতৃপ্তনয়ন বলেছেন: দারুণ ভালো লাগলো লেখটি
সুন্দর লেখে ভাই।

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

অনুপ্রাণিত হলাম। এবং

অগ্রিম ঈদ মোবারক।

৬| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

সুমন কর বলেছেন: ভালো পোস্ট। +।

অগ্রিম ঈদ মোবারক..... !:#P

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বরাবরই পাশে এবং উৎসাহ প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ।

আপ্নাকেও অগ্রিম ঈদ মোবারক।

৭| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক পুরনো একটা বিভ্রান্তিকর বিষয় নিয়ে সুন্দর আলোচনা করেছেন পোষ্টে। ভালো লাগলো পোষ্ট। প্রিয় তে রাখতেই হয়।

আপনার প্রশ্নাবলী খুব চমৎকার, আমিও সেই প্রশ্ন করি। আপনার উদাহারণ সর্বোত্তম ছিল। এর পরও তারা একদিন আগেই (আরবের সাথে) ঈদ করবেনই দেখবেন, তারা আসলে বড় মাপের মুসলমান নাকি বোকা মুসলমান তা বলার সাহস হয় না আমার। তবে তাদের ধর্মান্ধতা বুঝতে পারি আমি। এরকম অন্ধ ধর্মানুগত যে ধর্মান্তর তা কি করে বুঝাবেন তাদের!!! তারা সৌদিআরব চলে গেলেই পারে। (ব্যাপারটা আমার কাছে খুব খারাপ ও অসঙ্গতি লাগে সবসময়।)। এই বিষয়ে আমাদের কাঠ মোল্লারা কেন তৎপর হননা সেটা আমার বোধে আসে না!!

আপনার আলোচনা ভালো লাগলো। প্রিয়তে রাখলাম পোষ্টটি।

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, পাঠ ও দীর্ঘ মন্তব্য করেছেন। আপনার মন্তব্যে অনেক কিছু উঠে এসেছে।

৮| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

জেকলেট বলেছেন: পেটের দায়ে দীর্ঘদিন লন্ডনে থাকি, সবসময় দেখে আসছি রোযা,ঈদ সহ মুসলমানদের যাবতীয় ধর্মিয় কাজ সৌদিদের সাথে মিল রেখে করে। আত্বীয়, বন্ধুরা জার্মানি, ফ্রন্স, ইতালি সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকে সবাই আমরা একসাথে রোযা, ঈদ সহ সকল মুসলিম ধর্মিয় দিনগুলো একসাথে পালন করি। আরেকটা ব্যাপার ইউকেতে সরকার কখনই এই সকল ধর্মিয় ব্যাপারে নাক গলায় না, কোন চাঁদ দেখা কমটি নাই এবং বৈঠক ও হয়না। ঈদে আমরা কোন ছুটি ও ভোগ করিনা। আপনার হিসেবে ত তাহলে আমাদের রোযা এবং ঈদ কিছুই হচ্ছে না।
আর প্রযুক্তির সাথে চাদ দেখার ব্যাপার কতটুকু রিলেটেড সন্দেহ আছে। চাদ দেখতে যে প্রযুক্তি লাগে তা যেমন সৌদিদের আছে, বাংলাদেশে ও আছে, ইউরো আমেরিকাতে ও মোটামোটি একি প্রযুক্তি।
আমি আবারো বলছি আমি ব্যাপারটা নিয়ে ভালো জানিনা। তবে আমার ধারনা মুসলিম স্কলারদের মধ্যে ব্যাপারটা নিয়া আলোচনার দরকার আছে।

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সৌদিতে যেদিন চাঁদ দেখা যায় সেদিন যদি লন্ডন কিংবা অন্য কোন দেশেও দেখা যায় তাহলে সেদিন পালন করলে কোন সমস্যা নেই। আর এতে কারো আপত্তি নেই। এখানে কথা হচ্ছে যদি চাঁদ না দেখা যায় তা নিয়ে।

যদিও একই সময়ে একই দিনে একাদিক স্হানে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা নাই কিংবা থাকলে খুবই ক্ষীণ।

এখন সময় ব্যবধানের কারণে কোন মুসলমান যদি রাত তিনটা বাঁজে সেহেরি খান এবং চারটা বাজে খবর পেলেন সৌদিতে ঈদের চাঁদ দেখা গেছে তাহলে বিঙখৃলা সৃষ্টি হবে। আপনি এই প্যারাটা মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন:

ধরা যাক,
জাপানের কোন মুসলিম সৌদির রাত ৯ টার চাঁদের খবর গ্রহন করার জন্য তাদের সময়ের রাত ৩টা পর্যন্ত জেগে থাকলো। (জাপানের সাথে সৌদির সময়ের পার্থক্য +৬ ঘন্টা) কিন্তু কোন কারনে সেদিন সৌদিতে চাঁদ দেখা গেলনা, এই খবর সে রাত ৩টা জানতে পেরে তার বিতরের নামায পড়ে ঘুমাতে গেল। এ অবস্থায় তার ফযরের নামায কাযা হবার ব্যপক আশংকা থেকে যাবে। আর পরবর্তী দিন যদি তার অফিস থাকে তাহলে সেখানেও তার দেরীতে পৌঁছা ও কর্মদক্ষতা কমে যাবার আশংকা থেকে যায়।

যেসব দেশের মুসলিমদের চাঁদের খবরের জন্য রাত ৩টা/৪টা কিংবা ভোর ৫টা পর্যন্ত জেগে থাকতে হবে তারা কি এই সময় পর্যন্ত জেগে থাকবে নাকি ঘুমিয়ে পরবে? যদি ঘুমিয়ে পড়তে বলা হয় তাহলে তারা চাঁদ দেখার খবর বা সাক্ষ্য কখন, কিভাবে গ্রহন করবে?


আপনি যদি প্রযুক্তির আশ্রয় না নেন তাহলে নিজ চক্ষু দ্বারা দেখে রোজা এবং ঈদ পালন করুন। আর
আর যে সময়ে সৌদিতে চাঁদ দেখা যায় সে সময় যদি অন্য কোন দেশে দেখতে পাওয়া যায় তাহলে রোজা বা ঈদ পালনে কারো আপত্তি নেই। আর পালন করলেও কেউ কাউকে বাঁধা দিচ্ছে না।
কেউ কেউ মতামত ব্যক্ত করছে-এই যা। আমি পোষ্টে তা উল্লেখ করছি- এবং এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত, ফতোয়া হিসেবে পালনের বাধ্যবাধকতা নেই।

৯| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

বিজন রয় বলেছেন: আপনাকেও অগ্রিম শুভেচ্ছা ঈদের।

কিন্তু আমাদের বাংলাদেশীদের কোন নিজস্বতা আছে বলে আপনি মনে করেন??

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: উৎসব/ ধর্মীয় বিধি বিধানের কোন আন্তর্জাতিক সীমারেখা নেই এবং এটাকে জাতীয়বাদের সংজ্ঞা দ্বারা আবদ্ধ করা যায় না।

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপ্নাকেও অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা।

১০| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

বরিষ ধারা বলেছেন: চাঁদ দেখা এবং সে অনুযায়ী রোযা এবং ঈদ পালন করার সংস্কৃতি একটি জনপ্রিয় সংস্কৃতি এবং সহিহ বুখারী দ্বারা ভেরিফাইড। কিন্তু আমার তো মনে হহয় কেবল দেশেই নয় সারা বিশ্বে এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়েছে। ২০১৪ সালে সিডনী মুসলিম কমিউনিটিতে মারামারি লেগে গিয়েছিল দুই দিন ঈদ পালন নিয়ে। ঈদের দিনে সরকারী ছুটির দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, আগে ঠিক করতে কোনদিন ঈদ হবে! ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে কোন যুক্তিতেই সৌদিদের সাথে একই দিনে ঈদ পালনের কোন যুক্তি নেই। কিন্তু বিগত ৫/৬ বছর ধরে বিস্ময়ের সাথে তাই লক্ষ্য করে আসছি। কেবল বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের মানুষ (বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় ইসলামী স্কলারের বাস এই তিন দেশেই) কনভেশনাল চাঁদ দেখা পদ্ধতি অনুসরণ করে আসছে। একটা জঘন্য ফিতনাকে এভাবে জনপ্রিয় হতে দেখে আশঙ্কা জাগছে - ভবিষ্যতে আমাদেরকেও কি একই রাস্তায় হাঁটতে হবে?

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জেকলেট বলেছেন, তবে আমার ধারনা মুসলিম স্কলারদের মধ্যে ব্যাপারটা নিয়া আলোচনার দরকার আছে।

আমিও তাই মনে করি। সারা বিশ্বের মুসলিম স্কলারগণ বসে সর্ব সম্মত এবং সর্ব পালনীয় বিষয়ে
নির্দিষ্ট মতামত ব্যক্ত করবেন। যাতে বিভ্রান্তি দূর করা যায়। এবং এটা এখন থেকেই শুরু করা উচিৎ, কারণ তা এখনো মহামারী আকারে ছড়ায়নি।

ধন্যবাদ।

১১| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সৌদিতে যেদিন চাঁদ দেখা যায় সেদিন যদি লন্ডন কিংবা অন্য কোন দেশেও দেখা যায় তাহলে সেদিন পালন করলে কোন সমস্যা নেই। আর এতে কারো আপত্তি নেই। এখানে কথা হচ্ছে যদি চাঁদ না দেখা যায় তা নিয়ে।

যদিও একই সময়ে একই দিনে একাদিক স্হানে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা নাই কিংবা থাকলে খুবই ক্ষীণ।

এখন সময় ব্যবধানের কারণে কোন মুসলমান যদি রাত তিনটা বাঁজে সেহেরি খান এবং চারটা বাজে খবর পেলেন সৌদিতে ঈদের চাঁদ দেখা গেছে তাহলে বিঙখৃলা সৃষ্টি হবে। আপনি এই প্যারাটা মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন:

ধরা যাক,
জাপানের কোন মুসলিম সৌদির রাত ৯ টার চাঁদের খবর গ্রহন করার জন্য তাদের সময়ের রাত ৩টা পর্যন্ত জেগে থাকলো। (জাপানের সাথে সৌদির সময়ের পার্থক্য +৬ ঘন্টা) কিন্তু কোন কারনে সেদিন সৌদিতে চাঁদ দেখা গেলনা, এই খবর সে রাত ৩টা জানতে পেরে তার বিতরের নামায পড়ে ঘুমাতে গেল। এ অবস্থায় তার ফযরের নামায কাযা হবার ব্যপক আশংকা থেকে যাবে। আর পরবর্তী দিন যদি তার অফিস থাকে তাহলে সেখানেও তার দেরীতে পৌঁছা ও কর্মদক্ষতা কমে যাবার আশংকা থেকে যায়।

যেসব দেশের মুসলিমদের চাঁদের খবরের জন্য রাত ৩টা/৪টা কিংবা ভোর ৫টা পর্যন্ত জেগে থাকতে হবে তারা কি এই সময় পর্যন্ত জেগে থাকবে নাকি ঘুমিয়ে পরবে? যদি ঘুমিয়ে পড়তে বলা হয় তাহলে তারা চাঁদ দেখার খবর বা সাক্ষ্য কখন, কিভাবে গ্রহন করবে?


আপনি যদি প্রযুক্তির আশ্রয় না নেন তাহলে নিজ চক্ষু দ্বারা দেখে রোজা এবং ঈদ পালন করুন। আর
আর যে সময়ে সৌদিতে চাঁদ দেখা যায় সে সময় যদি অন্য কোন দেশে দেখতে পাওয়া যায় তাহলে রোজা বা ঈদ পালনে কারো আপত্তি নেই। আর পালন করলেও কেউ কাউকে বাঁধা দিচ্ছে না।
কেউ কেউ মতামত ব্যক্ত করছে-এই যা। আমি পোষ্টে তা উল্লেখ করছি- এবং এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত, ফতোয়া হিসেবে পালনের বাধ্যবাধকতা নেই।

১২| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

নতুন বলেছেন: ভাই আহাম্মোকেরা যৌক্তিক চিন্তা করেনা তারা বড় হুজুর কি বলেছেন সেই ভাবে চলে....

এরা বুঝতে পারবেনা।

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

তবে একটু অন্যভাবে বলতে পারতেন।

১৩| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



নিরেট মূর্খতা আর পুরোটাই খামখেয়ালীপনা ব্যতিত হাদিস বিরোধী এই ধরনের আমল করা আর কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। এই বিভ্রান্ত অজ্ঞরা রমজানের চাঁদ ওঠার এক দিন পূর্বেই রোজা রাখে। আাবার শাওয়াল মাসের চাঁদ না দেখেই, অর্থাত রোজা চলমান অবস্থায় ঈদ পালন করে।

ধর্মীয় বিষয়াদিকে কেন্দ্র করে সমাজে অন্যায়ভাবে অহেতুক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে বিভেদ এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাধে এই অথর্ব গোষ্ঠীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা গেলে এই ফিতনার মূলোতপাটন সম্ভব হতে পারে।

ধন্যবাদ, গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে আলোকপাত করায়।

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কোন কিছু কে মানুষ রেওয়াজ হিসেবে গ্রহণ করলে তা ছাড়তে কষ্ট হয়। আর পীর বিষয়টা আরো কঠিন। পীর যা বলেছেন তাই শিরোধার্য অন্য কিছু দেখার দরকার নেই।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আমি আমার দেশের চাঁদ দেখে রোজা পালন করব এবং ঈদ করব।
কেন জানি সেটা সম্ভব হয় না।
পৈতৃক সূত্রে মুসলমান ।

২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:০০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

অশ্রুকারিগর বলেছেন: ব্যাপারটা পুরাই বিভ্রান্তিকর। উভয়পক্ষের যুক্তি দেখে ওয়াইসির একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিত। উপরে মনিরা সুলতানা যেমন বলেছেন ৩১ রোযা রেখেছেন তেমনি অনেক কেস আমিও দেখেছি। যেমন কেউ রমজান মাসে শুরুতে বাংলাদেশে অবস্থান করে চাঁদ দেখে রোযা শুরু করে কিছুদিন পর ইউরোপ বা মিডলইস্টে গেলে সেদেশের চাঁদ দেখে ঈদ পালন করলে তার রোযা একটা কম হবে। আবার কেউ ওইসব দেশে রমজান শুরু করে পরে সাবকন্টিনেন্টে আসলে তার রোযা একটা বেশি হবে। অথচ, আপনি কখনোই ৩০টার বেশি রোযা রাখতে পারবেন না। কেমন হয়ে গেল না ব্যাপারটা ? আল্লাহর আইন জানি সবদেশে সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন, খেজুর দিয়ে ইফতার করাটা সুন্নত হওয়ায় আমাদের প্রথাগত দেশীয় ফল না হলেও আমরা ঠিকই ইফতারিতে খেজুর রাখি শুধু এই কারনে। নামাজ তো ৫ ওয়াক্ত সবাই পড়তেছে, তাহলে রোযার বেলায় এই কেওয়াজ কেন ?

এখন দেখতেছি শুধু আমরা বাংলাদেশিরাই নিজেদের দেশে চাঁদ দেখে রোযা রাখতেছি আর বাকি সবাই ইউরোপ, মিডলইস্ট সবাই একসাথে রোযা, ঈদ করতেছে।

২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভ্রমণজনিত অবস্হান পরিবর্তন এক জিনিষ আর নিজ দেশে অবস্হান করে রোজা এবং ঈদ পালন করা আরেক জিনিষ। তবে যারা অবসস্হান পরিবর্তন করেন তাদের এই ধরণের অবসস্হান/ পদ্ধতিগত সমস্যা দূর করার জন্য ওআইসি কিংবা অন্য কোন গ্রহণযোগ্য সংগঠন এগিয়ে আসতে পারে। তাতে ধর্ম -কর্ম পালনের জটিলতা কমবে।

নিজ দেশে চাঁদ দেখে ঈদ পালন করা শুধু বাংলাদেশে নয় অনেক দেশে পালিত হচ্ছে। তাই দলাদলি না করে এর গ্রহণযোগ্য সমাধান কাম্য। সৌদি আরবে যেদিন চাঁদ দেখা যায় সেদিন যদি অন্য দেশেও চাঁদ দেখতে পাওয়া তাহ লে এক ত্রে পালন ক রলে কেউ আপ ত্তি ক রবেনা।

২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভ্রমণজনিত অবস্হান পরিবর্তন এক জিনিষ আর নিজ দেশে অবস্হান করে রোজা এবং ঈদ পালন করা আরেক জিনিষ। তবে যারা অবসস্হান পরিবর্তন করেন তাদের এই ধরণের অবসস্হান/ পদ্ধতিগত সমস্যা দূর করার জন্য ওআইসি কিংবা অন্য কোন গ্রহণযোগ্য সংগঠন এগিয়ে আসতে পারে। তাতে ধর্ম -কর্ম পালনের জটিলতা কমবে।

নিজ দেশে চাঁদ দেখে ঈদ পালন করা শুধু বাংলাদেশে নয় অনেক দেশে পালিত হচ্ছে। তাই দলাদলি না করে এর গ্রহণযোগ্য সমাধান কাম্য। সৌদি আরবে যেদিন চাঁদ দেখা যায় সেদিন যদি অন্য দেশেও চাঁদ দেখতে পাওয়া তাহলে একত্রে পালন করলে কেউ আপত্তি করবেনা। এবং কি সৌদির সাথে বাংলাদেশে যদি একই দিন চাঁদ দেখা যায় তাহলে একই সাথে পালন করতে হবে। কারণ শরীয়তে বলা আছে চাঁদ দেখে রোজা/ঈদ পালন করো। অন্য কিছুর কথা বলা হয়নি।

১৬| ২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দারুণ এক পোষ্ট দিয়েছেন। এ ইবলিশ চক্র বাংলাদেশকে সৌদি উপনিবেশ হিসেবে দেখতে চায়। তাই সৌদি রাজাদের খুশী করতে এমন অদ্ভুত কান্ড ঘটায়। মাল কড়িও মনে হয় পায়। না হয় এমন আজগুবী কাজ কিভাবে করে? এদের কঠোর দন্ড প্রদান না করলে রাষ্ট্রের জন্য চরম অবমাননা কর এ ফিতনা দূরীভূত হবে না। এরা আমাদের দেশে বাস করে অন্যদেশের রাজাদের খুশী করতে কাজ করে। কত্তবড় নিমক হারাম ও রাষ্ট্র দ্রোহী!

২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ইসলাম কারো জমিদারি কিংবা রাজতন্ত্র রক্ষা করার জন্য আর্বিভূত হয়নি। মানুষ কে স্বতন্ত্র অথচ সংগঠনভুক্ত জীবন যাপনের জন্য ইসলামের আগমন। মানুষ কে পরিচালনার জন্য ইসলামে ম্যানুয়াল আছে, সেটি কোরআন এবং হাদিস।

সৌদির বাদশাদের বর্তমান কার্যকলাপ ইস লামী ভ্রাতৃত্ববোধের জন্য হুমকি স্বরুপ। গতবার হ জ্জের স ম য় যে দূ র্র ঘটনা ঘটে এর জন্য সৌদির এক যুব রাজ দায়ী। লেবানন ভিত্তিক পত্রিকা হেরাত লিখে যুবরাজ গাড়ি নিয়ে হজ্জ্বের কেন্দ্রস্থল এর ভিতরে প্রবেশ করলে এই অবস্হার সৃষ্টি হয়। এবার বুঝুন অবস্হা! হজ্জ্ব করতে গাড়ি লাগে নাকি সেখানে গাড়ি নিয়ে ভ্রমণে বাহির হয়েছিল। এই ঘটনায় শত শত নিরীহ হাজির মৃত্যু হয়েছিল। এর তদন্ত কিংবা বিচার কিছুই হয়নি। অনেক কে বলতে শুনেছি হজ্জে গিয়ে মড়ছে তাই সুবাহান আল্লাহ পড়ছে।

১৭| ২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

সামিয়া বলেছেন: এর সমাধান কি , ধর্ম এবং ধর্ম উৎসব নিয়ে ইদানীং নানা মত এবং নতুন নতুন রুলস বেড়েই চলছে, যে কোন উৎসব কিংবা ধর্মীয় নিয়ম নীতি তে একদল আছে বিপক্ষে থাকবেই।।
সমসাময়িক দরকারি পোস্ট। ভালো লাগলো।।

২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ফসলের চেয়ে আগাছা দ্রুত বাড়ে।

আবার ধর্মের মর্ম বাণীরর চেয়ে ফেৎনা দ্রুত ছড়ায়। আপনি চাঁদ দেখে রোজা রাখুন আর চাঁদ দেখে রোজা ছাড়ুন। এটাই ধর্মীয় বিধান।

এখন ভ্রমণ জনিত কারণে অবস্হানগত দূরত্ব সৃষ্টি হয় এবং চাঁদ দেখা নিয়ে কিংবা রোজার সংখ্যা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হলে মুসলিম বিশ্বের ইসলামী স্কলারগণ বসে এর সমাধান দিতে পারেন।

১৮| ২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: রোজা এবং ঈদ যার যার দেশের চাঁদ দেখেইতো করতে হবে। অন্যথায় এবাদত সহি ও শুদ্ধ হবেনা। যারা না জেনে তা করে থাকেন তারা ভুলের মধ্যে আছেন। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মতামত ব্যক্ত করার জন্য আপ্নাকেও ধন্যবাদ,

১৯| ২১ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


অলিখিতভাবে সৌদীরা এখানে নিজেদের প্রভাব রাখছে।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এখন সৌদিরা ইসলামের এজেন্টের ভূমিকায় আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.