নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামীলীগ এবং বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে আমার হাইব্রিড ভাবনা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২



বাঙালি এক হলে মহা বিপ্লব ঘটাতে পারে, একটি নতুন দেশ সৃষ্টি করতে পারে, জাতিকে নতুন করে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করতে পারে, যার সাক্ষী ১৯৭১ সাল, যা প্রত্যক্ষ করেছে সারা বিশ্ব। আমরা কথায় কথায় বলি, আমাদের সবার এক থাকতে হবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কেউ কি বাঙালি জাতিকে এক করতে পেরেছেন?

বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালে জাতির অধিকাংশ মানুষ কে এক ছাতায় এক কাতারে দাড় করাতে পেরেছিলেন। আবার বঙ্গবন্ধু মরার পর জাতি বহুভাগে বিভক্ত হয়ে এখন হানাহানিতে লিপ্ত রয়েছে। জাতির এই বিভক্তি হওয়ার ফলে যা লাভ হয়েছে তার ষোল আনা আওয়ামীলীগ ঘরে তুলেছে! অন্যরা যে যেভাবে পেরেছেন সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।

আওয়ামীলীগ এবং বঙ্গবন্ধু যদিও একে অপরের সাথে সম্পর্কিত কিন্তু ব্যাপক অর্থে উভয়েই আলাদা প্যাটার্ন বহন করে।৭৫ পরবর্তী আওয়ামীলীগ নেতারা বঙ্গবন্ধুর গায়ে দলীয় ট্যাগ লাগাতে উৎসাহবোধ করেছেন অথচ তাকে যদি দলীয়করণ না করে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দিতেন এবং সে অনুযায়ী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেন তাহলে আজ বঙ্গুবন্ধু কে নিয়ে দলীয় বিভাজনের রেখা টানা সম্ভব হত না বলে আমি বিশ্বাস করি।

আচ্ছা এই দেশে আওয়ামীলীগের বাহিরে অন্য কোন দল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, স্লোগান ধারণ করে কি? উত্তর যদি না হয় তাহলে এই বিভাজন সৃষ্টির পেছনে আওয়ামীলীগের দায়ভায় কোন অংশে কম নয়।

অনেকে মনে হতে পারে আওয়ামীলীগ দলটি বেঁচে না থাকলে বঙ্গবন্ধুর নামে যে 'জিগির' (জয়গান) চালু আছে তা আর চালু থাকত না!


এই ধারণা সঠিক নয়। ইতিহাসের যারা নায়ক তাদের কেউ আড়াল করতে পারেনা। এখানে আওয়ামীলীগ কে টেনে আনার অর্থ হলো আওয়ামীলীগ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ভুমিকা বা প্রভাব কে দলীয়ভাবে সীমিতকরণের কারণে। আওয়ামীলীগ হয়ত বঙ্গবন্ধুর নামে দলীয় জয়গান (জিগির) চালু রেখেছে দলের স্বার্থের জন্য, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আদিষ্ট হওয়ার জন্য। কিন্তু তারা যদি ক্ষমতার বাহিরে যায় তখন এই জিগিরের কি হবে? তখন রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক দিবস পালিত হবে কিংবা জন্ম দিবস (শিশু দিবস)? উত্তর অবশ্যি না।
কেন হবেনা?
কারণ ক্ষমতার পালা বদলের কারণে রাষ্ট্রের সুর চেঞ্জ হয়ে যায়! এবং বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে রাষ্ট্রীয় কর্রমসূচিতে ভাটা পড়ে। এর অবশ্যি কারণ আছে, আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধু কে জাতীয় করণ না করে দলীয়করণ করে বড় ধরনের বেনিফিশায়ী হচ্ছে। অন্যরা যেহেতু সেটি পারছেনা তাই তারা করতে যাবে কেন! তাহলে আওয়ামীলীগের এই দলীয় জয়গানের কি দরকার আছে? আর দলীয় জয়য়গান করতে গিয়ে অন্য কে কেন দূরে ঠেলে দিচ্ছে?

আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দল পরিচালনা করুক তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু যারা আওয়ামীলীগ করেনা তাদের কে রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বলাতে আমাদের আপত্তি আছে। বা এইরুপ বলা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? আমরা জানি, দল একটি চলমান প্রক্রিয়া। তার সাফল্য নির্ভর করে কি ধরণের কর্ম কান্ডের উপর দল পরিচালিত হচ্ছে এবং জনগণ সেটা কিভাবে নিচ্ছে তার উপর । কিন্তু ব্যক্তির আদর্শের ক্ষেত্রে এরুপ দায়দায়িত্ব নেই। ব্যক্তি মারা গেলে তার আদর্শ বিমূর্ত রুপ ধারণ করে।

আচ্ছা, ১৯৭১ সালে কত পারসেন্ট মানুষ রাজাকার ছিল? বড় জোড় ১ পারসেন্ট। এখন কত পারসেন্ট মানুষ আওয়ামীলীগ করে, বঙ্গুবন্ধুর নামে দলীয় চেতনা ধারণ করে, বড় জোড় ৩০-৩৫ পারসেন্ট (অনুমান)। আওয়ামীলীগের দৃষ্টিতে বাকী মানুষগুলো কি রাজাকার!

আর রাজাকার হলে একাত্তরের পর এত রাজাকারের সৃষ্টি হয় কি করে?

রাজাকার একটি খাস শব্দ, ইহা ১৯৭১ সালে যারা গুম, খুন, হত্যা, রাহাজানি, ধর্ষণ ইত্যাদি করেছে বা সমর্থন করেছে তাদের সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু আওয়ামী যে অর্থে রাজাকার শব্দ ব্যবহার করে তা খাস নয়, বারোয়ারি!

একাত্তর সালের রাজাকার খুব নগন্য সংখ্যক বেঁচে থাকতে পারে। আর থাকলেও তারা আত্মগোপনে আছে। এই রাজাকারদের বিপরীতে দেশে একটি শ্রেণির খুবই দাপট পরিলক্ষিত হচ্ছে, তারা হচ্ছে 'দালাল'! এই দালালরা এক পারসেন্ট এর কম কিন্তু তারা বহু শ্রেনিতে বিভক্ত। দালালদের আবার একেক জনের একেক ফাদার আছে, এই ফাদারদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে তারা দেশের, দেশের মানুষের এবং কি তাদের কর্মকান্ড খোদ বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যায়। তারা (দালালরা) যতটা না আওয়ামীলীগ জন্য ক্ষতিকর তার চেয়ে বেশি ক্ষতিকর দেশ, জাতি এবং বঙ্গবন্ধুরর জন্য।



তবে এখানে লক্ষনীয় বিষয় হলো, একাত্তরে রাজাকারেরা যেখানে ধর্ম কচলাত সেখানে বর্তমান দাললরা বিভিন্ন 'চেতনা', আদর্শ, ভুজংভাজাং, হম্বিতম্বা, কচলায়।

এই দালালদের কতক আবার সুচীল(সুশীল) ভেক ধারণ করে আছে। এদের প্রচারণার গ্রাফ মাঝে মাঝে পরিবর্তন হয়। যখন যে দল ক্ষমতায় যায় তখন সে দলের সুচিলরা মিডিয়াতে কান জ্বালাপোড়া করে। এই সমস্ত সুচিলদের দৌরাত্বে সাধারণ মানুষদের ত্রাহিত্রাহি অবস্হা। আমি হলফ করে বলতে পারি, বাংলাদেশে যদি বাস দু্র্ঘটনা কবলিত হয়ে একজন মানুষ মারা যায়, সেখানে হাজার দুয়েক মানুষ জড়ো হয় কিন্তু এই সমস্ত ভেকধারী সুচিলরা রাস্তায় মড়ে পড়ে থাকলেও একমাত্র মিডিয়া ছাড়া সাধারণ মানুষ তাদের দেখে দৌড়ে পালাবে।

পরিশেষে, তোরা সব দালালরা আগে মানুষ হও, মানুষ হয়ে একক হও। কেননা তোদের বাহিরে আরেকটি শ্রেণি আছে, তারা হলো সর্ব সাধারণ শ্রেণি। তোরা মানুষ হলে এই শ্রেণীরা একটু শান্তিতে থাকতে পারবে।

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: ব্রেকিং নিউজঃ
সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন সামহোয়্যারইন ব্লগের সম্মানিত মডারেটর "কাল্পনিক ভালোবাসা"


আজ সকাল ১১ টায় ল্যাব এইডে তিনি নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন) কিছুদিন ধরে তিনি চিকন গুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ল্যাব এইডে ভর্তি হন।
গতকাল সন্ধ্যায় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আজ সকালে ডাক্তার তাকে া৳ত ঘোষণা করেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফ্রন্ট পেইজে যেতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: আমার আরেকটা নিক আছে এখানে । তাই আমার এই নিক টা ডিলিট করে দিতে চাই। । কিন্তু মেইল করতে পারছি না , মেইল ব্লক । এখন সামুর কাছ থেকে ব্যান খাওয়ার জন্য এই প্রচেস্টা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার মন্তব্য এই পোষ্টের সাথে সম্পর্কিত না।
[email protected] এ মেইল করুন।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

প্রোলার্ড বলেছেন: বাঙালি এক হলে মহা বিপ্লব ঘটাতে পারে,

0 এই লাইনটা পড়ে আর এগুতে সাহস পাচ্ছি না । বাঙ্গালীকে নিয়ে কবি গুরু রবি ঠাকুরের সেই বিখ্যাত উক্তি মাথায় রেখে কি এই কথা বলছেন ? রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করলো বাংলাদেশী বাঙ্গালীরা আর এখানে বাঙ্গালী বলে ক্রিডিট টা তো দাদাবাুদেরকেও দেওয়া হয়


এই মহা বিপ্লব ঘটাতে পারদর্শী বাঙ্গালীরা গত ৪৫ বছরে ছোটখাট একটা বিপ্লব ঘটাতে পারলে বাংলাদেশের লোকজনদের আর অন্যের বাড়িতে গিয়ে ঝিগিরি করতে হত না।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:

আমাদের মূল সম স্যা এই জায়গায়।

কোলকাতা বাঙালিদের চেয়ে আমাদের বাংলাদেশি বাঙালিদের গৌরব করার মত অনেক বিষয় এগিয়ে। আমরা যেখানে জাতিগতভাবে রাষ্ট্রীয় ভূখন্ড অর্জন করেছি তারা সেটা পারেনি। তারা আমাদেরটা নিয়ে গর্ব করতে পারে।

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

ধুতরার ফুল বলেছেন: সুন্দর আলোচনা

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো চিন্তা ভাবনা বসত করছে আপনার মনের ভিতর ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: উৎসাহ মূলক মন্তব্য।

পাঠ ও মন্তব্যে উৎসাহ প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: মেইল করলেও যাচ্ছে না।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তাহলে বাদ দেন। যেটা সেফ আছে সেই আইডি দিয়ে ব্লগিং চালিয়ে যান।

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেবকে হত্যা করার পর জাতি বড় ২ ভাগে বিভক্ত হয়েছে; যেসব বাংগালী বাংলাদেশ চাহেনি( তারা বিশ্বস করতো যে পাকিস্তান ধর্মীয় দেশ, ইহা থেকে আলাদা হওয়া ভুল) তারা জিয়াকে সাপোর্ট করে।

এরপর মানুষকে এক করার চেস্টা না করে, আলাদা রেখে শাসন করছে বিএনপি-জামাত ও আও্য়ামী লীগ, জাপা; এরা দেশকে কলোনীর মত চালায়ে লাভবান হয়েছে

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দেশ কলোনিয়েল সিষ্টেমে পরিচালিত হচ্ছে- একমত।

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


"কোলকাতা বাঙালিদের চেয়ে আমাদের বাংলাদেশি বাঙালিদের গৌরব করার মত অনেক বিষয় এগিয়ে। আমরা যেখানে জাতিগতভাবে রাষ্ট্রীয় ভূখন্ড অর্জন করেছি তারা সেটা পারেনি। তারা আমাদেরটা নিয়ে গর্ব করতে পারে। "

-কলিকাতার বাংগালীরা কি বলেছিল যে, তারা আলাদা দেশ চায়?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
কলিকাতার বাংগালীরা কি বলেছিল যে, তারা আলাদা দেশ চায়?-

কোন জাতির মধ্যে নিদিষ্ট ভূখণ্ডগত ধারণা না থাকলে সে জাতি চিন্তা-চেতনায় মননে এবং গৌরবে পিছিয়ে থাকে। এবং সেই জাতির মধ্যে জাতিগত স্বত্ত্বা ক্রমান্বয়ে বিলুপ্ত হতে থাকে। কোলাকাতা বাঙ্গালী বলতে বহি:বিশ্বে প্রথমত ইন্ডিয়ান হিসেবে চিনে থাকে। আমাদের সেরুপ হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: রাজনীতি নিয়ে আলোচনা ছেড়ে দিয়েছি।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তার পরিবর্তে আমাদের নতুন নতুন ছড়া/কবিতা উপহার দেন। তাতে আমরা নতুন কিছু শিক্ষতে পারব।

১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: এসব আলোচনা করে কোন লাভ নেই। আগে বাঙালী হোন, সব সমস্যার সমাধান ঘটবে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বলেন কি ভাই! লাভ তো কিছু আছেই। এই যে, আপনি একটা সাজেশন দিলেন।

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পাঠ ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

অর্ক বলেছেন: 'আওয়ামীলীগ না করলে সবাই রাজাকার!' এরকম উদ্ভট কথা কেউ কি কখনও বলেছেন কোথাও! আমার মনে হয় তারা বোঝাতে চায় যে, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামীলীগের অবস্থান ইত্যাদি ঐতিহাসিক সত্যকে যারা স্বীকার করতে চায় না, তারা রাজাকার, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ভাবাদর্শে বিশ্বাসী। আপনি, আমি চাইলে আমরাও আলাদা দল করে রাজনীতি করতে পারি। আপনার অনেক কথাট সাথেই একমত। আমাদের মধ্যে অতীত নিয়ে অহেতুক বাকবিতণ্ডা করার একটা ভুল প্রবণতা আছে। তাকানো উচিৎ সামনে। ভবিষ্যৎ নিয়ে হোক আলোচনা, তর্কবিতর্ক।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমার মনে হয় তারা বোঝাতে চায় যে, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামীলীগের অবস্থান ইত্যাদি ঐতিহাসিক সত্যকে যারা স্বীকার করতে চায় না, তারা রাজাকার, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ভাবাদর্শে বিশ্বাসী।

যারা রাজাকার তারাই একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ কে অস্বীকার করে। কারণ আমাদের কাছে যেটা মুক্তিযুদ্ধ ছিল, রাজাকারদের নিকট সেটা মুক্তিযুদ্ধ নয়- এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। আর এই রাজাকারদের সংখ্যা খুবই নগন্য।

মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব দিয়েছিল, যদিও অন্য কয়েকটি ছোট দল সে সময়য় যুদ্ধ করেছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ কোন দলীয় যুদ্ধ ছিল না সেটা ছিল গণযুদ্ধ, সেখানে অনেকের ভূমিকা আছে। অপ্রিয় হলেও সত্য, আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের একা পেমেন্ট নিতে মরিয়া! আওয়ামীলীগ এই জন্য নতুন একটি স্লোগান ধরছে, স্বাধীন তার পক্ষের শক্তি এবং বিপক্ষের শক্তি। এই স্লোগানটি আওয়ামীলীগ এজমালি ব্যবহার করছে। এটা নিয়ে আপনি একটু ঘাটাঘাটি করলে বুঝতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকাকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

সেজন্য অন্যরা রাজনৈতিক পজিশন ধরে রাখার জন্য নতুন নতুন তত্ত্ব হাজির করছে। এতে জাতি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। যা হতাশা জনক।

আর এই সুযোগটা রাজাকারের কাজে লাগাচ্ছে।

১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বঙ্গবন্ধু হঠাৎ মারা না গেলে এত ক্যাচাল হতো না। তখন শোক দিবসও পালন করা লাগতো না। তবে এটাও বাস্তব সত্য আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় না আসলে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এত মাতামাতিও হতো না। কারণ, মৃত্যুর সময় উনার জনপ্রিয়তা এমনিতেই তলানীতে ঠেকেছিল। আর আওয়ামী লীগেরই বড় একটা অংশ তাদের নিজের নেতার মৃত্যুর পর মোশতাক সরকারের আনুগত্য মেনে নিয়েছিল। তখন যদি মোশতাক কন্টিনিউ করতো (এখনকার শেখ হাসিনার মত) তাহলে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্যবসা শুরু হতো না। বঙ্গবন্ধু হত্যার শিকার না হলে যুদ্ধ পূর্ববর্তী ভূমিকা নিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকতেন। এত বড় মহীরুহ হতে পারতেন কিনা সন্দেহ আছে আমার।
অন্যদিকে এটাও বলা যেতে পারে যদি বাকশাল টিকে যেত আর সুশাসন থাকতো তাহলে উনি হয়তো আবার হারানো জনপ্রিয়তা ফিরে পেতেন। আর উনাকে নিয়ে বিভক্তির কোন সুযোগ থাকতো না...

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তখন ববঙ্গবন্ধু দুই ভাবে মূল্যায়িত হতেন।

এক. স্বাধীনতার আগেরকার সময়ে
দুই. স্বাধীনতার পরে শাসনকাল সময়ে।

গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্হায় দল চেঞ্জ হয়, সেটা দু'দিন আগে কিংবা পরে। এখন কথা হলো, আওয়ামীলীগ ক্ষমতা হারলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধু কে যেভাবে উপস্হাপন করা হয়েছে সেটা থাকবে কিনা।
আর না থাকলে সেটার কারণ কি বলে আপনি মনে করেন?

১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই লেখাটা চাঁদগাজী সাহেবের মতো হয়েছে। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম চাঁদগাজী সাহেব'ই লিখেছেন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ঘটনার সাথে বাস্তবতার মিল থাকলে মানুষের চিন্তা চেতনায় কিছু প্যাটার্ন মিলে যেতে পারে। হয়ত সেরকম কিছু হবে।

১৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আওয়ামী লীগ গেলে ক্ষমতায় আসবে বি এন পি। বাস্তবতা হলো অন্য দলের কাছে বঙ্গবন্ধুর সম্মানের ব্যপারে 'যদি' , 'কিন্তু' আছে। ২০০১ সালে বি এন পি ক্ষমতায় আসার পর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধু আর জিয়াউর রহমানকে। ঐ বছর আর কাউকে স্বাধীনতা পুরস্তার দেয়া হয়নি তাঁদের প্রতি সম্মান রেখে। আমার স্পষ্ট মনে আছে কোন এক টিভি ভাষণে খালেদা জিয়া শেখ মুজিবুরকে শ্রদ্ধা করেছিলেন (জাতির জনক বলেননি বোধহয়)। এগুলো ছিল চেষ্টা (হতে পারে লোক দেখানো)। এর আগের টার্মেই আওয়ামী লীগ নোটে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপিয়েছিল। আর টিভিতে তেতো করে দিয়েছিল উনার ভাষণ আর বাণী প্রচার করে করে। যদিও আওয়ামী লীগ ঐ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে জিয়াকে, মুজিবের সাথে একই কাতারে রাখার কারণে। এরপর আবার বদরুদ্দৌজা চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারতের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন নিরপেক্ষতার জন্য। পরে আর যাননি। তখন খালেদা জিয়া বা বি এন পি এটা নিয়ে ইস্যু না করলেই ভালো হত। পরবর্তীতে জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক না বলার কারণে বি এন পি'র পক্ষ থেকে সমালোচনার প্রেক্ষিতে তো উনি পদত্যাগই করলেন।
জিয়া বাই চান্স মুক্তিযোদ্ধা, পাকিস্তানের চর, যুদ্ধ করেননি, বঙ্গবন্ধুর খুনী - এসব কথা ৯৬-০১ এর আওয়ামী লীগ বলেনি। বলেছে ২০০৮ এর আওয়ামী লীগ। এগুলো বি এন পি কে বাধ্য করে বঙ্গবন্ধুকে খারাপ বলতে। আমার মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় খালেদা জিয়াকে বলতে জন্মদিন পালন না করার ঘোষণা দিন ঐ দিনে(বলেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে) আর শোক দিবসটা চালু রাখার ঘোষণা দেন। আর কিছু লাগবে না। মুজিব বন্দনার দরকার নেই। এই একদিন উনার প্রাপ্য। আর আওয়ামী লীগ যদি জিয়াকে নিয়ে নতুন বানানো কথাগুলো না বলে তাহলে অনেকটাই ঠিক থাকবে উনার সম্মান।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনেকগুলো সত্য উঠে এসেছে;

মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, জিয়া এগুলো রাজনৈতিক প্লাটফর্মে ব্যবহার করার কারণে দেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নতুন প্রজন্ম বিভ্রান্ত হচ্ছে। এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

১৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এর কারণ আওয়ামী লীগ। তারা তাদের ছাড়া বাকী সবাইকে গণ্য করে না। তারা একক সম্পত্তি মনে করে মুক্তিযুদ্ধকে। 'রাজাকার' ইস্যু বঙ্গবন্ধুই সমাপ্ত করে দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ এটাকে নিয়ে এখনও ব্যবসা করে...

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: রাজাকার একটি খাস শব্দ, ইহা ১৯৭১ সালে যারা গুম, খুন, হত্যা, রাহাজানি, ধর্ষণ ইত্যাদি করেছে বা সমর্থন করেছে তাদের সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু আওয়ামী যে অর্থে রাজাকার শব্দ ব্যবহার করে তা খাস নয়, বারোয়ারি!


কিন্তু দু:খের বিষয় হলো,
আওয়ামীলীগ 'রাজাকার' শব্দটি রাজনৈতিক হাতিয়া হিসেবে ব্যবহার করে। তারা এটা বুঝাতে চায়, আওয়ামীলীগের যারা বিরোধিতা করে তারাই রাজাকার!

১৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্য তেতো!

সত্য আ্ওয়ামীলীগ মানতে চায়না বলেই অনেক সমস্যা!



০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আওয়ামীলীগ কে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ইত্যাদি নিয়ে দলীয় বিষয়ের উর্দ্ধে উঠে আসতে হবে। তা না হলে বির্তক কমবেনা।

মন্তব্য রাখার জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: আমার সাজেশনে বাঙালী হতে পারবেন না। বাঙালী হওয়া খুব কঠিন। কারণ বাপ দাদা চৌদ্দ গুষ্টির দেওয়া আরবী অক্ষরে একটা নাম পেয়েছেন। সেটা তো আর বদল করতে পারবেন না। পারলে ছেলে মেয়ের নাম বাংলায় রাখুন। যদি রাখতে পারেন তাহলে ভাববেন কিঞ্চিৎ বাঙালী হতে পেরেছেন।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: নাম দিয়ে মানুষ চিনা যায় না। কর্মেই হোক আমাদের পরিচয়।

১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১২

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রথমত কোলকাতায় আর বাংগালী নেই। যা আছে তা হোল মিশ্র জাতি । এরা অর্ধেক হিন্দি কিয়দংশ ইংলিশ সামান্য বাংলায় কথা বলে, কালচারের ব্যাপারেও তেমনি। শুধু মাত্র যে দু ঘর বাঙ্গালী ঐতিহ্য ধরে আছে তাদের পুরোভাগই এই বাংলাদেশ থেকে কোন এক সময় চলে গেছেন। তারা তাদের বাঙ্গালীয়ান ছাড়েননি, চিন্তা চেতনায় তারা পুরপুরি বাঙ্গালী, কিন্তু এদের সংখ্যা দিনে দিনে কমছে।

বঙ্গবন্ধু কে আওমিলিগ রাষ্ট্রীয়করন না করে দলীয়করন করার ফলেই এই বিপত্তি। তার অনাহেতু মৃত্যু ও আমি মনে করি দলীয়করণের প্রভাবে হয়েছে।

উল্যেখিত ১ % রাজাকারদের আমরাই ডাল পালা গজিয়ে বিসাল আকার ধারন করতে সহয়তা করছি বলেই এদের সংখ্যা বেশি লাগছে এটা জাতি হিসেবে আমাদের অপমানের লজ্জার।

বাঙ্গালী জাতি সমষ্টিগত ভাবে পারেনা এমন কোন কাজ নাই এটা যেমন সত্য তেমনি সত্য বাঙ্গালী জাতির ভুলে যাওার এক বিরল রোগ আছে। মিথ্যা ও গাল্গপ্প প্রিয়তাও এক ধরনের সমস্যা আমাদের আছে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কোলকাতায় বাংগালী বলতে আমরা সাধারণত ভারতীয়দের বুঝি। কোলকাতার এই নম বাবুরা এক সময় জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞায় দু'টানায় পরে আস্তে আস্তে নিজেদের থেকে দূরে সরে যাবে। তখন বাঙালি আর বাংলাদেশ বলতে যা বুঝাবে আমাদের রক্ত দিয়ে কেনা এই সোনার বাংলাকেই বুঝাবে।

২০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

স্বতু সাঁই বলেছেন: তাহলে নাম রাখে কেন? গুণি মুহাম্মদের নাম না বললে তার কর্ম কিভাবে সামনে আসবে? বঙ্গবন্ধু বা মুজিবর না বলতে তার কর্ম কিভাবে সামনে আসবে?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ প্রথমত নিজের নাম নিজে রাখতে পারে না। বাবা-মা বা অন্যেরা রাখেন। মানুষের ছোট অবস্হায় যে নামে ডাকা হয় সাধারণতত সে নাম প্রতিষ্ঠা পায়। আর্যারা এদেশে আসার পর মানুষ তাদের নিকট থেকে অনেক কিছু গ্রহণ করেছে। আমাদের দেশে মুসলিম নামগুলো ঠিক তাই। এটা মানুষের সম-সাময়িক ভাবনা। যুগের প্রয়োজনে অনেক নাম জন প্রিয়তা হারায়। আদি বাংলা নামের অর্থ খুঁজতে গেলে তা সাংস্কত এর মধ্যে পরবে এবং কিছুটা হিন্দির দোষে দুষ্ট হবে। সময়ের প্রয়োজনেই নাম জনপ্রিয়তা পায়।

মানুষ যে নাম ডেকে এবং যে নাম শুনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং যে নামের সুন্দর অর্থ আছে সে নাম রাখা উচিৎ। সেটা হউক বাংলা, সাংস্কৃত কিংবা উর্দু।

আপনার নামের স্হায়িত্ব পাবে আপনার কর্মের উপর।

এদেশে মুজিব, জিয়া, নামে অনেক নাম আছে। আমরা যখন ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে যখন মুজিব নামটি উচ্চারণ করি তখন মুজিব বলতে আমরা বঙ্গবন্ধু কে বুঝি। কই আমরা তখন আমাদের আশে পাশে থাকা হাজারো মুজিব কে বুঝি না।

আবার মির জাফর নিশ্চয় বাংলা নাম ছিল না। কিন্তু মির জাফর নাম শুনলেই আমাদের ঘিনা চলে আসে।

আরবি নামগুলো এদেশের মানুষের প্রয়োজনে গ্রহণ করেছিল। তৎকালীন নব্য রুপান্তর মুসলিমরা
ধর্মগত আলাদা বুঝাতে এবং হিন্দুদের অভিশপ্ত জাতপ্রথা থেকে বাঁচতে আরবি নাম কে সাদরে গ্রহণ করেছিল, যাতে দূরে কোথাও গেলে জাত প্রথার যাতার নিচে পিষ্ঠ না হতে হয়।

ইহুদিদের বিভিন্ন নাম আছে, তাদের নামে আরবী, হিব্রু এবং ইংরেজির প্রভাব আছে। তাই বলে ইহুদি জাতিদের জাতীয়তাবাদ বিলুপ্তি হয়নি। জাতীয়তাবাদে নামের প্রভাব খুব ই ক্ষীণ।

২১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

স্বতু সাঁই বলেছেন: আমি নিজের নাম রাখতে বলি না, বলেছি সন্তানের নাম রাখতে। আপনি বর্তমান বাংলার কথা বলেন। নাম ছাড়া কোনকিছুর অস্তত্ব নেই। আল্লাহ না বললে আল্লাহর অস্তিত্ব বোঝা যায় না। আমার নিমের প্রয়োজন, আমি যদি তিতা চায় তাহলে কেউ চিরতা এনে দেবে। নিম আর চিরতা এক নয়। ইহুদীকে ফরমালিন দিয়ে জিয়ে রাখা হচ্ছে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
মানুষ যে নাম ডেকে এবং যে নাম শুনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং যে নামের সুন্দর অর্থ আছে সে নাম রাখা উচিৎ। সেটা হউক বাংলা, সাংস্কৃত কিংবা উর্দু।

আমি নিজে ভারতীয় হয়ে সন্তানের নাম যতই গৌড়চন্দ্র রাখিনা কেন সন্তান বেলা শেষে নিজেকে ভারতীয় হিসেবেই দেখবে।

আগে দাদা পায়ের নিচে মাটি রাখেন, কোলকাতাকে দিল্লীরর অধীন থেকে মুক্ত করে নিজেদের পরিচয়ের ভিত্তি মজবুত করেন, তারপর না হয় নামের কথা চিন্তা করা যাবে। ভারত যেমন ইন্ডিয়া হয়েছে তেমনি কোলকাতাকে রামনগর রেখে বাঙালি জাতীয়ববাদের চেতনা বিকশিত করবেন।

নিজস্ব ভূখন্ডের অভাবে অনেক জাতির গৌরব, নাম, নিজস্বতা ইত্যাদি কালের গর্বে হারিয়ে গেছে।

২২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: সন্তানের নাম বাংলায় রাখতে যদি এতো ভয় আর অজুহাত থাকে তাহলে বাঙালীর বাঙালীপনা শিখবেন কবে? তাই তো বলেছিলাম, আগে সন্তানের নামটা বাংলায় রাখুন, তবে কিঞ্চিৎ বাঙালী হয়েছেন বলে নিজেকে মনে করতে পারবেন। বিষয়টা এতোক্ষনে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন। কারণ অজুহাত দিয়ে বা বিষয়কে পাশকাটানো যুক্তি দেখিয়ে কোন লাভ নেই। বাঙালী হতে হলে কোন এক জায়গা থেকে আপনাকে শুরু করতে হবে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমরা নামে বাঙালি নয়, কাজে বাঙালি। আমরা হাতে চুড়ি পরে দিল্লীর অধীনতা মেনে নেওয়া মত বাঙালি নয়,
বাংলাদেশিরা বাঙালিত্ব রক্ষার জন্য যুগে যুগে আন্দোলন করেছে, রক্ত দিয়েছে, বেশি দূর যেতে হবেনা, এখানে বারো ভূঁইয়াদের কথা উল্লেখ করছি।
নম বাবুদের বিদেশী দোসর ইংরেজদের তারিয়ে বাঙালি রক্ষার আন্দোলন শুরু করেছি , ৫১ তে বাংলা ভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সে আন্দোলন চলমান রেখেছি। ৭১ রে পাখিদের থাবা থেকে মুক্ত হয়ে বাঙালিয়াত্বের চূড়ান্ত রুপ দিয়েছি। সেই রুপ ধরে রাখার জন্য বাঙালি জাতি যাতে দিল্লীর কব্জায় পুনরায় না যেতে পারে সেজন্য স্বজাতি রক্ষার আন্দোলন পুরাদমে চালু রেখেছি।

বাঙালি কখনো দিল্লীরর অধীনতা মেনে নেয়নি আর নিবেও না। আপনাদের মত রামচন্দ্র নাম রেখে দিল্লির কর্তা বাবুদের জি-হুজুর গোলামী করার মত বদ অভ্যাস বাংলাদেশিদের নেই। এই জন্যি বাঙালি আর বাংলাদেশি দুটি ভিন্ন অর্থ বহন করে। সেটা অনেকের মন্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে।

২৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

সনেট কবি বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন সত্যের ছায়ায়
সত্য হয় পরিদৃষ্ট সহমত তাই।
দেশ প্রিয় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ
এককালে ছিল বেশ এখন তা’ নেই।
বিভাজনে জনগন বহুত্তে বিভক্ত
সকলেরে এক করা জাতির মঙ্গল।
এ সময় সে প্রত্যাশা অনেক কঠিন
সে রকম নেতা নেই এখানে এখন।

সকলেই মনকথা করেছে প্রকাশ
একমত সকলেই ঐক্যের বেলায়,
জনতার ইচ্ছা হেথা উপেক্ষিত থাকে।
জানিনা কি হবে শেষে এ দেশে জানি না
তবে চাই সকলের বোধদয় হোক
সকল প্রচেষ্টা হোক জাতির কল্যাণে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার কবিতায় চির কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম।

উৎসাহ প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: বাঙালী যদি বাংলাদেশী পরিচয় দিয়ে বাঙালী হতে পারতো তাহলে, ব্রিটিশ ইংলেণ্ডি বলে জানান দিতো। হা হা হা.. এতোক্ষনে আপনি আপনার পরিচিতি দিয়ে হাসালেন।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার মতে বাংলাদেশিরা বাঙালি নয়!

আপ্নিও এতক্ষণে খোলস থেকে বের হয়ে এসেছেন।

কি জানিরে... বাপু... একটা জাতির প্রত্যেক সদস্য কে নাম দিয়ে তার আইডেন্টিফাই করতে হবে! এমন তথ্য কই থেইক্কা পাইছেন কে জানে।

জাতি হলো সমষ্টি বাচক শব্দ, ব্যক্তি বিশেষের নাম দিয়ে জাতির পরিসীমা কে নির্দিষ্ট করা যায় না।


এমন চিন্তা-চেতনা তাদের পক্ষেই সম্ভব যারা ঢাকাকে স্ব-নির্ভর দেখতে চাইনি, ঢাকাকে গোলাম হিসেবে দেখতে চেয়েছে।

২৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: স্বতু সাঁই,

আপ্নারা যার কাছে মুরিদ হয়েছেন সেই দিল্লি ফরমালিনে জিইয়ে রাখা ঈসরাইলের কাছে মুরিদ হয়ে বসে আছে। সেটা হয়ত আপনি বুঝতে চাইবেন না।

২৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: তোরা সব দালালরা আগে মানুষ হও, মানুষ হয়ে একক হও।................ আপাতত এদেশে সেটা সম্ভব নয়।

কারণ যারা দেশ চালায় তারা সব করাপ্টেড।

এক নম্বর মন্তব্যটি মুছে দিন।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ,

পাঠ ও মূল্যবান মতামত প্রদান করার জন্য।

১নং মন্তব্য মুছে দিয়েছি।

২৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

বিজন রয় বলেছেন: ধন্যবাদ ছায়া।

আমি অবাক হয়েছি এমন কমেন্টস দেখে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আসলে মন্তব্যটি আমাকে ভালভাবে বুজা উচিৎ ছিল। নিজে বুঝতে পারেনি বলে দু:খিত।
আপ্নাকেও ধন্যবাদ একটি মন্দ কাজকে দেখিয়ে দেয়ার জন্য।

২৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

স্বতু সাঁই বলেছেন: কারে কি কয়। যারা বাংলাকে আরব হওয়ার স্বপ্ন দেখে, তারা দিল্লির আতঙ্কে ভুগে। দিল্লীর যদি এতই মাথা ব্যথা হতো তাহলে পাঁচ মিনিট সময় লাগবে বাংলাদেশকে তার করায়ত্ব করতে। আগে রাজনীতি ভালো করে বুঝেন তারপরে এসব বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা কইরেন। সস্তা আলাপে রাজনীতি চলে না।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: রেন্ডিয়া রোমারি সীমান্ত দখল করতে এসে বুঝে ছিল এদেশের দামাল ছেলেদের তেজ। রোমারির ইতিহাস যদি ভুলে যান তাহলে রেন্ডিয়ার আর্মি/বিএসএফ কে জিঙেগস করেন রোমারি কি? এবং কিভাবে কচু কাটা হয়েছে ও কতক্ষণ লেগেছে আক্রমণের নিশানা খুঁজে পেতে?

শিয়ালের চাক সাত কুড়ি হলেও তা মানুষ গণায় ধরে না।

২৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



স্বতু সাঁই বলেছেন: কারে কি কয়। যারা বাংলাকে আরব হওয়ার স্বপ্ন দেখে, তারা দিল্লির আতঙ্কে ভুগে। দিল্লীর যদি এতই মাথা ব্যথা হতো তাহলে পাঁচ মিনিট সময় লাগবে বাংলাদেশকে তার করায়ত্ব করতে। আগে রাজনীতি ভালো করে বুঝেন তারপরে এসব বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা কইরেন। সস্তা আলাপে রাজনীতি চলে না।

-স্বতু সাঁই,
পাঁচ মিনিট! সময়টা মনে হয় বেশি কইহালচুইন। মিনিট দুয়েকের বেশি কি লাগতে পারে? যে সাইজের দ্যাশ হ্যাগোর! বাপরে বাপ, ইউর গুরুকা দ্যাশ, চীনের সামান্য চোখ রাঙানিতে আরব সাগরে পানি বৃদ্ধির ঘটনা ঘটে যায়! মুতের ঠেলায়!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

স্বতু সাঁই বলেছেন: নিয়াজী এমএজি ওসমানীর কাছে আত্মসমর্পন করে নি, করেছিলো আরোরার কাছে। সেদিন যদি দিল্লী মনে করতো দেশটা তাদের তাহলে আজ আরবের বীর্যে গড়া বাঙালীরা দিল্লীর অধীনেই থাকতো, আর অঙ্গরাষ্ট্র হিসেবে আঙ্গুল চুষতো। আসলে আরব বীর্য ষড়যন্ত্রকারী আর বেইমানীর ডিএনএ বিদ্যমান তাই তাদের বীর্য দিয়েই পয়দা হয়েছিলো মীর্জাফর। যেসব বাঙালীদের মধ্যে আরবের বীর্যের ডিএনএ বিদ্যমান তারা তো কৃতজ্ঞতা বুঝবে না, ইন্দিরা সম্মান দেখিয়ে মুজিবের হাতে বাংলাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলো।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: নিয়াজী এমএজি ওসমানীর কাছে আত্মসমর্পন করেনি, কারণ, নিয়াজি ছিল ছাগলের তিন নম্বর বাচ্ছা। নিয়াজি জানত পাখিদের নাকানিচোবানি খাইতে নয়মাস লেগেছিল, আর রেন্ডিয়ার আর্মিদের খাইতে লাগত মাত্র নয়দিন। আর যদি সত্যি স ত্যি রেন্ডিয়ার সাথে মুক্তি বাহিনীর লেগে যেত তাহ লে রেন্ডিয়া লেজ গুটাতে সময়য় পাইত না। তার নমুনা সীমান্তে আমাদের সীমান্ত রক্ষীর সাথে ভারতীয় কা-পুরুষদের সংঘটিত বিভিন্ন যুদ্ধে দেখা যায়। প্রত্যেকটি সীমান্ত যুদ্ধে রেন্ডিয়া বাহিনী যে হারে লেজগুটাইছে তাতে তাদের মর্দামির নমুনা নতুন করে পাওয়া গেছে।

আর ঐ যে একাত্তরে এখানে এসেছিল যুদ্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে যখন বিজয় নিচ্চিত ছিল। তাদের আসার উদ্দেশ্য ছিল লুটপাট করা এবং সেটি করে তারা চলে গিয়েছে।

কোলকাতার নম বাবুরা যে দিল্লীর কর্তাদের নতুন ডিএনএ এর নতুন ভাসর্ন এইটা আপনার চামচামিতে বোঝা যায়।
চামচামিততে যায় রে.. চেনা কে কোথাকার ডিএনএ।

৩১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

স্বতু সাঁই বলেছেন: বাংলাদেশের সিমান্ত রক্ষীরা কতো দক্ষতা ও বাহাদুর তা বোঝা যায় সিমান্তে বাঙালাদের হত্যায় এতো পতাকা মিটিং করে কিছুই করতে পারে না।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দুই চার জন গরু পাচারকারী কে গুলি করে মারার মধ্যে ভারতীয়দদের বাহাদুরি লুকিয়ে আছে! খিক.....।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.