নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিম্ন আয়ের মানুষের কেমন কাটবে এবারের ঈদ!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫



কৃষকঃ এখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে কৃষকরা। ফলন ফলিয়েও উৎপাদন খরচ তুলতে না পাড়ার কারণে কপালে হাত এবং মাথায় দু:শ্চিতা ভর করেছে। তারা ফসল ফলালেও তাদের ঘরে ভাত নেই। ৫০ টাকা কেজি চাউল কিনতে হচ্ছে। অপর দিকে কিস্তির টাকার জন্য এনজিও এর লোকেরা সকাল সন্ধ্যা বাড়ির উপর এসে টহল দেয়। তাই সময়ে সময়ে লুকিয়ে থাকতে হয়। ঈদের পরিবারের জন্য তেমন কেনাকাটা হবে না। পুরান লুঙ্গি, পুরাতন জামা গায়ে ঈদের নামাজ পড়ে বাড়িতে শুয়ে বসে কটিয়ে দিবে। ঘরের মহিলা সামান্য সুজি- সেমাই রান্না করে সার্মথ্যবানদের দেয়া কুরবানির গোস্তের জন্য অপেক্ষা করবে। কর্তা ছোট ছেলেকে সার্ট কিনে দিতে পারলেও প্যান্ট কিনে দিতে পারবেনা। বড় ছেলে পুরাতন জামা লন্ডি করে পড়বে। এবং কর্তা একমাত্র মেয়েকে বলবেন, রোজার ঈদেরটা দিয়ে চালিয়ে দাও। অনেক পরিবারের সন্তানেরা বাবার আর্থিক দুর্গতি দেখে চুপসে যাবে, কিন্তু দু’একটি পরিবারের সন্তানেরা বুঝতে চাইবে না। তারা মনঃক্ষু্ন্ন হয়ে বিদেশী ড্রেসের জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিবে।
উত্তর বঙ্গের কৃষকের কথা না বলাই ভালো; কারণ সেখানে বন্যা চলছে। দয়া করে তাদের বাস্তব অবস্থা বুঝে নিবেন।

জেলেঃ জেলেদের আর্থিক অবস্থা করুণ। তারা দারিদ্রপীড়িত। জেলেরা সাধারণত নদীর পাড়ে বসবাস করে। এখন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই বুঝতেই পারছেন তাদের অবস্থা কি হতে পারে! নদীতে আগের মত মাছ পাওয়া যায়না। অপর দিকে মহাজনের দেনা কাঁধে নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার মত স্বার্থপর তারা নয়। সরকার মাঝে মধ্যে জেলেদের জন্য কার্ড বরাদ্ধ দিলেও সেগুলো জেলেরা পায়না! সরকার দলীয় বড় লাটের তোলে সেগুলো খায়। জেলেদের ঘরে ঈদ আনন্দ বলতে; পরিবারের লোকদের সাথে দু’চারদিন অবসর সময় কাঠানো।



মুচিঃ এই পেশার লোকজন সমাজের খুবই নিচু শ্রেণির। ঈদ আসলে তাদের মুখে হাসি হাসি ভাব লেগে থাকে। দু’চার পঁয়সা বাড়তি ইনকাম হয়। তখন তাদের দেখলে ভালো লাগে। সামান্য কয়টা টাকার বিণিময়ে ছেড়া ফাঁটা জোতা/সু- সেলাই বা পালিশ করে দেন। এতে যাদের নতুন জোতা কেনার সামর্থ থাকেনা তাদের মুখে হাসি ফুটে উঠে। অন্যের মুখে হাসি ফোটানো এক ধরণের ঈদ।


লন্ডি বা ধোপাঃ এই পেশার লোকজন সমাজে খুবই অবহেলিত এবং তাদের উপর সারা বছর চাপ থাকে। ঈদ আসলে চাপের পরিমাণ তিন গুণ বেড়ে যায়। কিন্তু তাদের ভাগ্য পরিবর্তন কোন দিন হয়না। ঈদের আগে তাদের কর্ম ব্যস্ততা দেখলে ভালো লাগে। বাড়তি কিছু ইনকাম হয়। তারা গরীব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির আনন্দের ভাগিদার। কারণ; তাদের হাতেই গরীব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির পুরাতন কাপড় নতুন জীবন পায়।বর্তমানে গ্লোবালইজেন এবং ধণতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থা কায়েম হওয়ার কারণে অনেক স্বাবলম্ভী মানুষ এ পেশায়/ব্যবসায় নাম লিখাচ্ছেন। তারা সুপারসপ বা বড় বড় মার্কেটে কর্মাশিয়াল লন্ড্রি বা ধোপাখানা গড়ে তুলেছেন।



ড্রাইভার/হেল্পারঃ নিম্ম মধ্যবিত্ত শ্রেণির। সারা বছর মালিকের তেল, গ্যাস এবং রিপেয়ারিং খরচের দু’চার টাকা মারতে চেষ্টা করেন। অনেক সময় ধরা পড়লে চাকুরি চলে যায়। ফাঁক পাইলে মালিক পক্ষকে না জানিয়ে খেপ মারে। ঈদ আসলে তাদের শ্রেণি ভিত্তিক ইনকাম হয়। সবচেয়ে ভালো ইনকাম করে বাস ড্রাইভার। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গাড়ি চালকরা বেশি সুবিধা করতে পারেন না। তারা মালিকের বোনাসের দিকে চেয়ে থাকেন। প্রাইভেট ড্রাইভারদের ঈদ তেমন সুখের হয়না, কারণ; মালিকপক্ষ ছুটি না দিলে পরিবার পরিজন রেখে ঈদ করতে হয়। এখানে পাব্লিক পরিবহন সেক্টরের ভাইদের প্রতি অনুরোধ থাকল, তারা যেন মানুষকে ঠেকিয়ে বা জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করেন।



কামাড়ঃ ঈদ আসলে কামাড় সম্প্রাদায়ে পেশি অতিরিক্ত আফ এন্ড ডাইন করার ফলে ফুলে উঠে। তারা সারা বছর এই সময়ের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। ঈদে পশু জবাইয়ে বা কুরবানিতে তাদের অবদান আছে। তারা প্রতিটি ছুড়ি -চাকু, চাপাতিতে চক চকে ধাড় দেন।


আয়া,মালি,পিয়ন,ক্লিনারঃ এই শ্রেণির লোকরা সারা বছর বসের ঝাড়ির উপরে থাকেন। বসদের ঝাড়ি শুনলে মনে হবে, দেশে নব্য দাস প্রথা চালু হইছে। তারা হলো দাস আর বসরা প্রভু। কিন্তু ঈদ আসলে বসদের হাত থেকে দু’চারশো টাকা খসতে চায়না। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কে দু’চারশ টাকা বখশিস দিতে এই সমস্ত লাটদের দেহ থেকে জান ছুটে যায়, কলিজা শুকিয়ে কাঠ হয় যায়। তবে অনেকে শাড়ি অথবা লুঙ্গি দেন। আমার মতে শাড়ি অথবা লুঙ্গি না দিয়ে নগদ টাকা দিলে তারা বেশি উপকৃত হবেন। কেননা, সেই টাকা দিয়ে পরিবারের অন্য লোকদের জন্য কিছু কিনে দিয়ে খুঁশি করতে পারবেন।


বেসরকারী চাকুরিজীবীঃ যে সামান্য কয়টা টাকা বেতন পান তা দিয়ে বাকি মাসগুলো কোন রকম পার করলেও ঈদ আসলে তাদের নানা রকম হিসাব কষতে কষতে ঘাম ছুঁটে যায় । বেতন ও বোনাসের টাকা হিসাব করে প্রতিটি ক্ষেত্রে পাই টু পাই খরচ করেন। কিন্তু শেষমেষ নিজের জন্য কিছু কিনতে পারেন না, পকেট খালি হয়ে যায়। এজন্য তাদের আফসোস নেই বরং পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মুখে হাসি দেখলে নিজের ঈদ ষোলআনা পূরণ হয়ে যায়।


সরকারী চাকরঃ এই শ্রেণির লোকদের ঈদ উপরে বর্ণিত লোকদের চাইতে ভালো কাটে। তারা মোটামুটি ভাগ্যবান। স্বাধীনতার ‍সু-ফল তারা বারো আনা ভোগ করছে।

নার্স বা সেবিকাঃ এরা ঈদ কাটায় কোন রকমে। ঈদ আসলে ছুটির জন্য বসদের পাছে পাছে ঘুরেন। কিন্তু বস অটল; কিছুতেই ছুটি দিবেন না। বসদের এক কথা ‘মানব সেবাই ধর্ম’- এ সেবা পালন করতে পারলে বড় রকমের ঈদ উদযাপন হয। কিন্ত এই নীতির বাক্য ডাক্তারদের থেকে তাদের জন্য বেশি প্রযোজ্য হয়। অধিকাংশ ডাক্তারা ছুরি চাকু চালিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা কামিয়ে পরিবার পরিজনদের সাথে মোচে ঈদ করতে চলে যান।

বাবুর্চীঃ ঈদ আসলে তাদের হোম ওয়ার্ক এবং ফিল্ড প্রাকটিসের পরিমান বেড়ে যায়। ঈদ কেন্দ্রিক এবং ঈদ পরবর্তী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের চাহিদা বাড়ে। সারা দিন খেটে খুঁটে সামান্য কিছু টাকা আয় করতে পারেন। পেশাদার বাবুর্চিরা এই সময় ব্যস্তত সময় পার করবে।


সাংবাদিকঃ সাংবাদিক ভাইদের ঈদের আগে এবং পরবর্তীতে কাটবে গাবতলী, বাবু বাজার, সদরঘাট, মহাখালী, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক, দেশের বিভিন্ন পশুর হাট, ঈদগাহ ময়দান, বিরোধী দলীয় নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ঈদ সৌজন্য মূলক সাক্ষাৎকার প্রচার করে।



মেসের খালাঃ এই শ্রেণির খালারা ঢাকা শহরের অভাগা পোলাপাইনের সুখ দুঃখের সঙ্গী। তারা সারা বছর কথায় কথায় চোখ রাঙ্গানি দিলেও ঈদ আসলে ব্যাচেলরদের সাথে ভালো ব্যবহার শুরু করে দেন। রান্না বান্নায় অমৃত স্বাদ আনতে চেষ্টা করে। তখন তাদের রান্না করা খাবার খেয়ে মনে হতে পারে রেডিসন কিংবা সেরাটনের কাছাকাছি মানের কিছু খাচ্ছি। হঠাৎ এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হলো, সামান্য কিছু বোনাস এবং একটি শাড়ি কাপড় পাওয়া। মেসের খালাদের ঈদ পরিবার নিয়ে তত একটা ভালো কাটেনা, কারণ; তাদের শরীলেও নিন্মবৃত্তের একটি ট্যাগ লেগে আছে।



গৃহকর্মী: বা কাজের লোকঃ এই সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। শুধু একটাই চাওয়া- আর কোন আদম সন্তান কে যেন গৃহকর্মী বা বাসার কাজের লোক না হতে হয়।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সমস্যা গুলোর সুন্দর উপস্থাপন করতে পেরেছেন। ভালো লাগলো পোষ্ট ।

এভাবের ঈদ আসলে অনেকটাই সাদামাটা কাটবে বুঝাই যাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে।

আল্লাহ্ সবাইকে খুশি রাখুক

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,

এই ঈদে সামর্থ্য অনুযায়ী সকলে হাসি খুশি কাটাক- এই কামনা থাকল।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পাঠ ও প্রতিক্রিয়ার জন্য আপ্নাকেও অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সাহাদাৎ ভাই নিচু বলতে কি বোঝাতে চেয়েছেন ?
একজন মানুষ, ধনী কিংবা গরীব, ছোট অথবা বড় হতে পারে কিন্তু অনুভূতি প্রত্যেকের সমান।
গরীব কিন্তু নিচু নয়। আপনি আপনার লেখায় যে সব পেশাজীবীদের কথা লিখেছেন তারা কাজ করে
জীবিকা নির্বাহ করে। তাই তারা নিচু শ্রেণির নয় কোন ভাবেই।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,

এখানে নিচু বলতে ছোট পেশায় যে সমস্ত লোক কাজ করে (এখানে সামাজিক অবস্হান) তাদের কে বুঝানো হয়েছে। কাউকে ছোট করার উদ্দেশ্য ছিলনা।
মানুষ হিসেবে সকলল মানুষ সমান।

শ্রেণি স্বার্থে আঘাত লাগলে দু:খিত।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

এস ওয়াই গ্লোবাল এলটিডি বলেছেন: পোস্টটি পড়ে অনেক ভাল লাগল । শুভ কামনা রইল নতুন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। আশা রাখি নতুন বিষয় নিয়ে পোষ্ট করব।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


জেলে ও কৃষকের এনজিও ঋণগুলো এনজিও থেকে সরকারের কিনে নেয়া উচিত; তারপর, সেই ঋণগুলোকে গ্রামীন ব্যাংক, কিংবা ইসলামী ব্যাংকের একাউন্টে নিলে কৃষক ও জেলে কিছুটা স্বস্তিতে ফিরে যেতে পারবে।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সুন্দর চিন্তা ধারা। এরকম করলে গরীবের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক হবে।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

ওমেরা বলেছেন: আল্লাহ সবার সহায় হন, ঈদের দিনটা সবাই খুশীতে পালন করুক । ধন্যবাদ সুন্দর লিখার জন্য ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আল্লাহ যেন সামর্থ অনুযায়ী সকল মানুষ কে সুন্দর ভাবে ঈদ করার তৌফিক দান করেন- আমিন।।।

ধন্যবাদ।

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে উচু আর নিচু শ্রেণীর জাত ভেদাভেদ কোন নতুন ঘটনা নয়। সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্ম বিশ্বাসই এই জাত ভেদাভেদের উৎস। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়েও জাত প্রথার বাইরে যেতে পারেনি ভারতের এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের হিসারে সবলবাস গ্রামের।সেই গ্রামের সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার ছাত্রীদের প্রতি সপ্তাহে একদিন শৌচাগার পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন।তবে তার এই নির্দেশ স্কুলের সকল ছাত্রীর জন্য ছিল না।নির্দেশটি সীমাবদ্ধ ছিল স্কুলের নিচু জাতের হিন্দু ছাত্রীদের মধ্যে।
ছাত্রীরা অভিযোগ করলে প্রধান শিক্ষক তাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের ডাক দিয়েছেন। সারা দেশে সাফাই কার্যত্রম শুরু হয়েছে।এই কার্যক্রমের অংশ স্বরূপ তাদেরও শৌচাগার পরিষ্কার করতে হবে।
কি অবাক কাণ্ড ! এমন মহান কাজ উচু শ্রেণীর হিন্দুরা নয় করবে শুধু নিচু জাতের হিন্দুরা !
পরে ঐ সকল ছাত্রীদের অভিভাবকরা এবং পঞ্চায়েত প্রধান এই বর্ণবৈষম্যমূলক নির্দেশের কারণ জানতে গেলে প্রধান শিক্ষক স্কুলের দারোয়ান ডেকে তাদেরকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।

জাত প্রথার গণ্ডি পেরুতে পারে নাই বাংলাদেশও। খুলনার কাওরা সম্প্রদায়, নিচু জাত বলে ডাক্তাররা তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে চায় না। কাওরা সম্প্রদায়। খুলনায় কাওরা সম্প্রদায়ের মূল পেশা হলো শুকরের পাল চরানো। শুকরের পাল চরাতে হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। মাঠে মাঠে শুকর চরানোই তাদের কাজ। আঞ্চলিকভাবে এদেরকে ‘শুকর রাখাল’ বলে।
শুকরের সাথেই এদের রাত্রি যাপন করতে হয়। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে তাদের থাকতে হয়। এ সব রাখালদের বেতন খুবই সামান্য। প্রতি মাসে ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা। এক বছরের চুক্তিতে তাদেরকে কাজে যেতে হয়। মালিক তাদেরকে খাওয়া ছাড়া বছরে ৪টি মাত্র লুঙ্গি ও ৪টি গামছা দিয়ে থাকে। এদিকে মাস শেষে বেতনের সামান্য টাকার জন্য বাড়ীতে পরিবার পরিজনেরা অপেক্ষায় থাকে। মালিক বাড়িতে এসে টাকা দিয়ে যায়। এই সামান্য টাকায় ভাত, কাপড় কোনটাই হয় না। দিনের পর দিন তাদের অর্ধাহারে, অনাহারে থাকতে হয়। পেট ভরে বাচ্চাদের মুখে খাবার দিতেই পারে না তো লেখাপড়া শেখাবে কিভাবে? এ অভাবের সংসার থেকে আট দশ বছর বয়স হলে ছেলেদের চলে যেতে হয় শুকরের পাল চরাতে আর মেয়েদের জন্য করা হয় বিয়ের বন্দোবস্ত।
শুকর পালন ছাড়া তারা আর কোন কাজ করতে জানে না বলে বংশের ধারাবাহিকতায় পরিবারের সবাই শুকরের পাল চরায়। কাওরা সম্প্রদায়ের মতো ডোম, মুচি, জেলে, কুলি, বেশ্যা, সমাজে ঘৃণিত অস্পৃশ্য।

সুতরাং নিচু শ্রেণি আর গরীব কখনোই সমার্থক নয়।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ফিরে এসে মন্তব্য রেখেছেন এবং সুন্দর মতামত ব্যক্ত করেছেন।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে মানানসই এবং যুতসই শব্দ হতে পারে 'নিম্ন আয়ের মানুষ'। তাই সংশোধন করে দিচ্ছি।

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৬

হানিফঢাকা বলেছেন: সবইত বললেন, কসাই্য়ের ব্যপারে কিছু বললেন না?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ঈদে কসাই থেকে সবচেয়ে চামে, দশ টাকার কসাই শ' টাকা বিকায়। অথচ পোষ্টে কসাইদের বর্ণনা নেই! এটা আসলে মানা যায়না।

ভুল হয়ে গেছে ভাই, ক্ষমা চাই।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তবে কসাই নিন্ম আয়ের মানুষ, সুযোগে দু'চার টাকা বাড়তি কামিয়ে নেয় -এই যা।

৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২২

মানিজার বলেছেন: সবচাআইতে খারাপ ঈদ কাটে ঘরের কাম কাজ করা মাইনশের ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন।
ঈদের সারা দিন মনিবের কাম কাজ করতে করতে সময় যায়গা। অথচ সেই সময়টা পরিবারবর্গ এর সাথে কাটাতে পারলে ঈদ আনন্দ দায়ক হয়।

১০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সমস্যা গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। খুব ভালো পোষ্ট।
তবে সমস্যাই আছে কিন্তু দেশে কোনো সমাধান কি হবেনা!?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: উন্নত বিশ্বের তুলনায় আমাদের দেশে গরীবের ভাগ্যন্নোয়ন খুব ধীর গতিতে হচ্ছে। খুব সহযে এই অবস্হার পরিবর্তন ঘটবেনা।
হাসিনা-খালেদার সরকার দুর্ণীতি করে আমাদের পিছনে রেখেছে।

১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪১

প্রামানিক বলেছেন: বাস্তবতায় বিভিন্ন পেশার লোকদের জীবন, জীবিকা এবং ঈদ নিয়ে সুন্দর উপস্থাপনা। ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ,
আপ্নারা ব্লগে এসে মন্তব্য রাখলে অনুপ্রাণিত হয়।

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

মিরোরডডল বলেছেন: So true! nice writing

৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: thanks

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

বর্ষন হোমস বলেছেন:
আপনি অনেক শ্রেণী পেশার মানুষের এই ঈদের অবস্থান তুলে ধরেছেন খুবই সুন্দুর ভাবে।পড়ে মন খারাপই লাগে।নির্মম বাস্তবতা মেনে নিতে হয়।
এখানে আরেক শ্রেণী পেশার মানুষের কথা তুলে ধরতে পারতেন।সেটা হচ্ছে পুলিশ।তারা তাদের আপনজন দের সাথে কখনওই ঈদ করতে পারে না।ঈদের ছুটি পাওয়ার বদলে তাদের কাজ আরো বৃদ্ধি পায়।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পেশাদারিত্ব

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: বেসরকারি চাকুরিজীবিদের ইদ এই স্তবকে আপনার ছবিখানা ফিট খেয়েছে। :-B

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমি তাদের একজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.