নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইজতেমা নিয়ে আমার স্মৃতিচারণ ও দু\' চারটি কথা।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮



মানুষ আলোচনায় আসতে চায়। কেউ কর্ম করে আবার কেউ কু-কর্ম করে। আবার কেউ কেউ প্রথম অবস্থায় কর্ম করে আলোচনায় আসলে পরবর্তীতে বিভিন্ন বিতর্কিতমূলক কর্মকান্ড করে আলোচনায় থাকতে চান। এক্ষেত্রে তার প্রধান টার্গেট পূর্বেকার ব্রান্ড ভ্যালু ও বিভিন্নভাবে অনুসারিত সাধারণ মানুষ। আর মিডিয়া তো আছেই। যিনি এই কাজটি করেন তার কাছে ইহা খারাপের একটি ভালো দিক মনে হয়! বলতে ছিলাম বর্তমানে ইজতেমার কারণে আলোচনায় থাকা মাওলানা সাদ কান্ধলভীর কথা।

এই লোকের প্রতি হয়ত তার বাপ দাদার কারণে তাব্লিগ জামায়াতের লোকজনের আলাদা শ্রদ্ধা ভক্তি আছে, আর থাকাটা স্বাভাবিক। আমাদের উপ মহাদেশের কিছু রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সাধক পরিবারের প্রতি মানুষের আলাদা শ্রদ্ধা ভক্তি নতুন কিছু নয়। তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কিছু বিতর্কিতমূলক কর্মকান্ড করে পার পেলেও ধর্মীয় ক্ষেত্রে মানুষ ছাড় দিতে একেবারেই নারাজ। কেননা ধর্ম স্বয়ং ঈশ্বর ও বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত।

আমি কখনো তাবলিগ জামায়াত ও ইজতেমায় সাংগঠনিকভাবে যায়নি। তবে মধ্যখানে কয়েক বছর উত্তরাতে জব করার কারণে আখেরী মোনাজাতের দিন আব্দুল্লাহপুর বাসস্টান্ডের কাছে গিয়ে অংশ নিতাম । সেখানকার লাখো মানুষের এক্ই সাথে খোদার কাছে পাপ মোচনের আর্জি জানিয়ে কান্নাকাটি করার দৃশ্যটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগত। ইজতেমার কারণে অত্যন্ত কিছু সৃষ্টিকর্তা ভুলেমনা মানুষ একদিন হলেও তার কাছে স্যারেন্ডার করছে, এটাইবা কম কিসের।

ইজতেমার সাংগঠনিক কর্মপন্থা সম্পর্কে আমি বেশি কিছু জানিনা। তবে আমাদের বাড়ি বাজারের খুব কাছে হওয়ার কারণে দেখতাম, জামে মসজিদে কিছু দিন পর পর তাব্লিগ জামায়াতের লোকজন আসত। এদের মধ্যে বেশিরভাগ থাকতেন মুরুব্বি গোছের লোকজন এবং কিছু তরুণ বয়সের পোলাপান। বিশেষ করে সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেয়া ছেলেরা। আমরা যখন বিকাল বেলা মাঠে খেলা করতাম তখন তাব্লিগ জামায়াতের লোকজন মাঠে প্রবেশ করে আমাদের কে ডেকে একত্র করতেন। তারপর আল্লাহ্ আমাদের কেন পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন- এই সম্পর্কে বয়ান করতেন, এবং সর্বশেষ করতেন কবরের আযাব সম্পর্কে। বয়ান করা শেষ হলে আমাদের কে মাগরিবের নামাজের দাওয়াত দিতেন। আমরা মাগরিবের নামাজ পড়তে যেতাম। নামাজের মধ্যে ইমাম সাহেবের সালাম ফিরানো শেষ হলে একজন মুরুব্বি সাথে সাথে উঠে দাড়িয়ে যেতেন এবং বলতেন;
একটি জরুরী এলার্ম, বাকী নামাজ বাদ, দ্বীন ও দুনিয়া সম্পর্কে বয়ান হবে। আমরা সব ভাই বসি, বসলে বহুত ফয়দা হবে”।
নামাজ শেষ হলে একজন শুভ্র ও সাদা দাড়িওয়ালা হুজুর কিতাব নিয়ে বসতেন। আমরা সবাই সিরিয়াল ধরে খুব মনোযোগ সহকারে হুজুরের বয়ান শুনতাম। বয়ান শেষ হলে হুজুর ইশার নামাজের জন্য সবাইকে দাওয়াত দিয়ে বয়ান শেষ করতেন। এই অবস্হায়ও বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ ফাঁকি মারতেন, তাদের কে জিঙ্গেস করলে বলত; লুঙ্গি বা প্যান্ট ভালো না তাই যায়নি। আবার কখনো বলত, মুতিয়া পানি লইনি তাই যাইনি। চিল্লার শেষের দিন ইজতেমায় আগত আমীর সাহেব স্থানীয় মুসুল্লিদের নিয়ে কয়েকটি সংগঠন করতেন, যাতে তাদের ন্যায় তারা তাব্লিগ জামায়াতে বের হন।

একবার মালোশিয়া থেকে একটি তাব্লিগ জামায়াতের দল আসল আমাদের মসজিদে। সকালবেলা তাদের একজন গেল চাউল কিনতে। কিন্তু বেচারা তাদের ভাষায় চাউল চাইতে ছিল কিন্তু দোকারদার কিছুই বুঝতে পারছিলনা। হাত ও মুখ দিয়ে ইশারা করে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তৎক্ষণে কিছু মানুষের জটলা লেগে গেল। আমি মুখ দিয়ে রাইস বলার পর আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরল। আমি তাকে বললাম রাইসের বাংলা শব্দ চাউল। তিনি বার বার চাউল শব্দটি উচ্চরণ করে আত্মস্থ করতে লাগলেন। অত:পর সেই দোকান থেকে মুদি দোকান গিয়ে তাকে চাউল কিনে দিয়ে ছিলাম।

ইজতেমা নিয়ে অনেকে অনেকভাবে সমালোচনা করে থাকেন, এটা ভালো দিক। অত বড় একটি সংগঠন স্বাভাবিক ভাবেই তাদের দোষত্রুটি থাকবে। যারা ইজতেমায় যান বা তাব্লিগ করেন তারা ইসলামের কোন ফরয অস্বীকার করে না, কোন সুন্নত অস্বীকার করে না, ওয়াজিব ও নফল কে অস্বীকার করেন না। কিন্তু মানুষ যা করে তাহলো তাদের পঠিত কিতাব ও সাংগঠনিক কাঠামোর কিছু ভুলত্রুটির সমালোচনা। এই কাঠামোর দোষ ত্রুটি সংশোধনে মানুষের গঠনমূলক সমালোচনা কাম্য। তবে আরেকটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, কিছু মানুষ তাব্লিগ জামায়াত ও ইজতেমা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন যা একেবারেই গ্রহনযোগ্য নয়।

তাই আসুন, গঠনমূলক সমালোচনা করি এবং অপপ্রচার কে না বলি।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: পোষ্টে কিছু বানান লক্ষণীয়!
তারপরো + দিলাম
পোষ্টে একই লেখা দুবার এসেছে!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
অনেক দিন পর লিখতে বসলাম।

আশা করি টাইপো ঠিক হয়ে যাবে।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মীয় ব্যাপারে মানুষ সহনশীল হওয়ার কথা; কিন্তু আসলে তা ঘটছে না; ভারতীয় মওলানাকে নাকি সন্মেলনে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না?

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভারতীয় মাওলানা তার দলীয় লোকদের বিশ্বাসে ইট মেরেছেন। তাই তাকে ছাড় দেয়ার কথা না।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ইজতেমাকে আমি দেখি ধর্মীয় পর্যটন হিসাবে। অন্ততঃ এই উপলক্ষ্যে কিছু বিদেশী মানুষ তো বাংলাদেশে আসে। নইলে কে বাংলাদেশে আসতে চায়।

তাই যে কোন মূল্যে ইজতেমাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এটা আমার দাবি।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ইজতেমার ধর্মীয় ব্রান্ড ভ্যালু সম্পর্কে আমি কিছু বলব না। তবে ইহার মাধ্যমে মানুষের কমিউনিটি রক্ষা হচ্ছে।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) ভাই, লেখাটা খুব ভালো লাগলো | নাইন ইলেভেনের পর আমেরিকার প্রশাসন ইসলামকে জানতে যে কতগুলো উদ্যোগ নিয়েছিল তার একটা ছিল তাবলীগ জামাত সম্পর্কে জানা | সেই চেষ্টা হিসেবেই আমেরিকান এম্বাসি আমাদের দেশেও তাবলীগ জামাতের কিছু শীর্ষস্থানীয় লোকদের সাথে আলোচনা করেছিল | তাদের সাথে আলোচনার পর আমেরিকান এম্বাসি এতোই সন্তুষ্ঠু হয়েছিল যে তারপর থেকে তাবলীগ জামাতের একটি গ্রূপকে তারা প্রতিবছরই আমেরিকায় আমন্ত্রণ করে আসছে ইসলামের কথা বলতে | আমি এই ঘটনা শুনেছিলাম বাংলাদেশ সরকারের এক খুব উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে (উনি এখন সরকারের পূর্ণ সচিব) | তাবলীগ জামাতের এপ্প্রচার মইধ্যে কিছু ভুল ত্রুটি থাকতে পারে কিন্তু এটা নিয়ে ইদানিং হঠাৎ করে এমন ঢালাও সমালোচনা কেন হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না |

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: প্রথমত আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

ইসলাম ও মুসলমান নিয়ে এম্নিতেই সারা বিশ্বে প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েছে। তারমধ্যে নিজেদের ছোটখাটো মতবিরোধ নিয়ে ঝামেলা করলে ইস্লামের ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছুই হবেনা।

এখানে যারা যায় তারা নিজেদের টাকায় যায়। সেখানে গিয়ে কেউ চাঁদাবাজি, ভন্ডামি লুচ্চামি, চুরি ডাকাতি করেনা। সবার কোন না কোন উদ্দেশ্য আছে, কেউ যায় সূরা কিরাত জানতে, কেউ যায় এবাদতে মন বসাতে কেউ আবার নামাজের দাওয়াত দিতে এবং কেউ কেউ কৌতূল ও অভিজ্ঞতা অর্জণ করার জন্য। এমনকি কেউ যদি ভ্রমণ করতেও যায় তাহলে কার বাপের কি? নিজের টাকা খরচ করে যাচ্ছে।

বৃদ্ধদের জন্য ইহা অতি গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এখানে সবাই এক সাথে থাকে এবং নিজেদের মধ্যে অনেক কিছু শেয়ার করে।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০২

মুকতাফী বলেছেন: আমি কখনো ইজতেমায় যাই নি। তারা সঠিক পথে আছে কি না আল্লাহই ভালো জানেন।
কিন্তু তাদের নিজস্ব ঝামেলাকে কেন্দ্র করে তারা মানুষের রাস্তা আটকে রাখতে পারেন না। ভালো মুসলমান কখনো অন্যকে কষ্ট দেয় না।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভালো মন্দ আল্লাহ বিচার করেন


মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে। তার উপর অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তি নিশ্চয় মানুষ অধিকতর কষ্ট ভোগ করেছে। অনেক মানুষ পায়ে গন্তব্যে পৌছেছে। এজন্য তাদের উচিৎ ছিল মানুষের কাছে ক্ষ মা চাওয়া।

মন্দের ভালো হলো কোন ভাংচুর, আগুনবাজী বা বোমাবাজি ঘটেনি।

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০১

তারেক ফাহিম বলেছেন: বিশ্লেষন ভালো লাগল।

গঠনমুলক সমালোচনার পক্ষে অামিও মত প্রকাশ করছি।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

ইসলামী দাওয়াতি কার্যক্রম নিয়ে মত বিরোধ অনেক। আমাদের দেখতে হবে যারা ইস্লামের দাওয়াত দিচ্ছেন তারা মৌলিক ( ফর‍য, ওয়াজিব, সুন্নত) কোন কিছুর ব্যত্যয় ঘটাচ্ছেন কিনা এবং কোরান সুন্নাহ বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত আছেন কিনা। যদি না থাকেন তাহললে তাদের ছোটখাটো ভুল গুলো নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করব।

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: সঠিক ভাবে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন। ++

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কোন দল, ব্যক্তির মধ্যে মৌলিক কাঠামো ঠিক থাকলে তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা যায়।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ইজতেমায় না গেলেও কয়েকবার তাবলীগ জামাতে গিয়েছি। বিষয়টা খারাপ লাগে নি।
মওলানা খারাপ কিছু বলেছেন মনে হয় নি। কাঠমোল্লাদের আঁতে ঘা লাগার যথেষ্ট কারণ আছে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আছে তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন থাকলেও তাদের কে ভ্রান্ত বলা যাবেনা। কেননা তারা ইসলামের মৌলিক কোন কিছুকে অস্বীকার করছেন না।

ধন্যবাদ।

৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২২

জাহিদ অনিক বলেছেন:

ইজতেমা নিয়ে আমার একান্ত ব্যক্তিগত কথা হচ্ছে, লাখ লাখ মুসুল্লী এখানে আসে। তাদের থাকা খাওয়া সেনিটেসনের কোন তাল ঠিক নেই। প্রশাসন বা সরকার যদি পারে সব ভালো করে দায়িত্ব নিক, নাহলে অন্য দেশে দিয়ে দিক এই দায়ভার।
সৌদিরা যদি হজ্ব বানিজ্য করতে পারে বাংলাদেশ কেন পারে না !

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সরকার ইজতেমা কে ডিজিটাইলেসন করলে এবং বিশ্বব্যাপী দাওয়াতি কার্যক্রমের প্রচারণা ঘটালে ইজতেমায় আরো অধিক সংখ্যক বিদেশী মেহমানের আগমন সম্ভব।

এট যদি মালোশিয়া কিংবা অন্য কোন ভালো মুসলিম দেশ আয়োজন করত তাহলে এনিয়ে তাদের সু-বিশাল পরিকল্পণা থাকত। তারা উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্হা, সু-বিশাল মাঠ, উন্নত অযু ও গোসলখানা, ভালো আবাসিক ব্যবস্হা, আধুনিক পাঠাগার, লাইব্রেরী, ইসলামি ক্যালিগ্রাফি, ইজতেমা নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণী ইত্যাদির ব্যবস্হা করতেন। আমাদের দেশের মানুষ সেখানে ওয়াজ মাহফিলে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হইতেন।

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন: তাবলীগ জামাত যদি বলত যে দাওয়াত হল ইসলামের একটি কাজ, যা সবার করা অবশ্যই উচিত। কিন্তু তারা যখন বলছে দাওয়াতই হল একমাত্র কাজ তখনই মূল সমস্যা। আমি কি বুঝাতে চাইছি নিশ্চই বুঝতে পারছেন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তাদের মতবাদ নিয়ে মতানৈক্য থাকতে পারে। সেগুলোর গঠন মূলক আলোচনা করা যেতে পারে। আমি সেই বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করেছি।

১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট সেবা দেয়ার নামে চলছে হরিলুট আর সরকারী টাকার শ্রাদ্ধ। সরকারী টাকা যে কত সস্তা তা এখানে একবার না গেলে কেউ বুঝতে পারবে না। তাদের দেশের প্রতি দরদ দেখে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম।


প্রায় বছর দুয়েক আগে অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রবাসী জনগণকে আরো বেশী করে পাসপোর্ট সেবা দেয়ার আব্দার করে দূতাবাসে খোলায় হয় পৃথক পাসপোর্ট বিভাগ। সেখানে বরাদ্দ করা হয় প্রায় ৩০ কোটি টাকা। দূতাবাসে পর্যাপ্ত জনবল থাকার পরও পাসপোর্ট বিভাগে ঢাকা থেকে আনা হয় প্রশাসন ক্যাডার থেকে এক জন সিনিয়ার সহকারী সচিব যিনি কিনা এখানে প্রথম সচিব নামে পরিচিত। সেই সাথে ঢাকা থেকে পাঠানো হয় আরো চার জন পদস্থ কর্মচারী। ফলে দূতাবাসে অতিরিক্তি জন বল হিসাবে যোগ হয় আরো ৫ জন। সরকারের খরচ বেড়ে যায় কোটি কোটি টাকা।

এছাড়া ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রায় প্রতি মাসেই কর্মকর্তারা নানা ছল ছুতোয় মালয়েশিয়া সফর করছেন। বিদেশ সফরের সময় কর্মকর্তারা নিয়মিত বেতন ভাতার বাইরেও প্রতিদিন প্রায় ৩০০ মার্কিন ডলার করে ভাতা নেন সরকারের কোষাগার থেকে। ফলে শ্বেতহস্তী পোষতে সরকারকে গুণতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

জানা গেছে, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের বড় কর্তারাই নন, প্রায় সময়ই সেখান থেকে ১০/১৫ জন কর্মচারী বিশেষ সেবা দেয়ার নাম করে মালয়েশিয়া সফর করেন। প্রতিবার সফরে তারা ১ মাস বা তার চেয়েও বেশী সময় কাটান। ফলে তাদের পেছনে নিয়মিত বেতন ভাতা ছাড়াও ডলারে ভাতা দিতে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে।

চলতি মাসে ঢাকার আগারগাঁও থেকে সেবার দেয়ার নাম করে আবার পাঠানো হয়েছে ২৫ জন কর্মচারী আর ২ জন কর্মকর্তা।তারা নাকি ২ মাস ধরে প্রবাসী জনগণকে সেবা প্রদান করবে।
এদিকে তারা পাসপোর্ট অফিসে সেবা দেয়ার নাম করে রাষ্ট্রের টাকার শ্রাদ্ধ করে চলেছেন। কারণ এই মুহূর্তে প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়মিত বেতন ভাতা দেয়া ছাড়াও তাদেরকে প্রতিদিন জন প্রতি ২/৩ শত মার্কিন ডলার করে বিদেশ ভাতা দিতে হচ্ছে। যা আসছে গরীব দেশের গরীব মানুষের জন্য বরাদ্দ করা বাজেট থেকে। এর বিনিময়ে সাধারণ মানুষ কি পাবে। লাভের মধ্যে লাভ হবে এই সব কর্মকর্তা কর্মচারী সরকারী টাকায় বিদেশে ঘুরবে আর শপিং করে লাগেজ ভর্তি করবে। খুব্ই আনন্দের বিষয়।

সেবা দেয়ার নাম করে এতো মানুষ এক সাথে মালয়েশিয়াতে আসার কোন রেকর্ড নেই বলে জানা গেছে। কারণ দূতাবাসে এক সাথে এতো গুলো মানুষ কাজ করার মতো কোন জায়গা, মেশিন বা অবকাঠামোগত কোন সুযোগই নেই।

এ ব্যাপারে ভালো জানেন এমন এক জন সাবেক সরকারী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে জানা গেছে যে, পৃথিবীর অনেক দেশের দূতাবাসে মোট স্টাফ সংখ্যাএ ৩০ জন হয় না।অথচ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসে জনগণের টাকার শ্রা্দ্ধ আর হরিলুটের জন্য নানান রাজনৈতিক তদবির করে তাদেরকে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে যে অফিসে থেকে পাঠানো হয়েছে সেই অফিসের কাজ কর্ম কি করে চলে এটাও একটা বিরাট প্রশ্ন। কারণ কোন একটি অফিস থেকে এক সাথে ২৫/৩০ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ২ মাসের জন্য বিদেশে চলে গেলে সেই অফিসটি কি ভাবে চলে।

এই লুটপাট আর সরকারী টাকার শ্রাদ্ধ দেখার মতো কোন লোক নেই বাংলাদেশে?

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনি যেটা বর্ণনা করেছেন সেটা সামান্যা উদাহরণ। এদেশে এরচেয়ে বড় কিছু ঘটে।

১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমতঃ, ধন্যবাদ জানাচ্ছি একটা সময়োপযোগী লেখা পোস্ট করার জন্য। অল্প কথায় মোটামুটি যৌক্তিকভাবে বক্তব্য পেশ করতে পেরেছেন। কিছু প্রতিমন্তব্যেও সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তাবলীগ জামাতের মুসল্লীদেরকে দেখেছি সাধারণতঃ সহজ সরল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তাদের এ্যাপ্রোচটাও নিরীহ প্রকৃ্তির হয়ে থাকে। তারা দাওয়াত দেন বয়ান শোনার, একসাথে জামাতে তাদের সাথে কয়েক ওয়াক্ত নামাজ পড়ার (এবং পরবর্তীতে সে অভ্যেস চালু রাখার) এবং রাসুলের (সাঃ) সুন্নত অনুযায়ী ভাল কিছু সামাজিক আচরণ পালন করার। একাজগুলো করতে গিয়ে অধুনা তাদের অনেক কটু কথা শুনতে হয়, হেনস্থা হতে হয়, কখনো কখনো লোকজন তাদেরকে অত্যন্ত রূঢ়ভাবে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু এতে তারা মাইন্ড করেন না। তারা হাসিমুখে অনুরোধ করে যেতেই থাকেন। তাদের শৃঙ্খলা বড় শক্ত হয়ে থাকে। দলনেতাকে তারা সর্বতোভাবে মান্য করেন। সাধারণতঃ মাসজিদ ব্যাবস্থাপনার অধীনে তারা থাকার আশ্রয় নিয়ে থাকেন, আশ্রয়স্থলে তাদের খাওয়া দাওয়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ তারা নিজেরাই যৌথভাবে পালন করে থাকেন। তাবলীগরত অবস্থায় তাদেরকে কোন ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত তরক করতে দেখা যায় না।
সবকিছুতেই বাড়াবাড়ি যেমন পরিত্যাজ্য, তাবলীগেও তেমনি। অনেককে দেখেছি, ঘর সংসার পরিবার ফেলে রেখে দীর্ঘদিন ধরে তারা তাবলীগ করে বেড়ান। তাদের ধারণা, পরিবারকে তারা আল্লাহ'র হাওলায় রেখে এসেছেন, আল্লাহ তা'লাই তাদেরকে দেখভাল করবেন। কিন্তু আল্লাহতা'লা বলেছেন, নামায শেষে তোমরা জীবিকার সন্ধানে মাসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়।
সম্প্রতি যারা তাবলীগের নাম করে অগণিত নিরীহ জনগণকে, স্কুলের বাচ্চা বাচ্চা ছাত্র ছাত্রীদেরকে, অসুস্থ রোগীদেরকে পথে আটকিয়ে রেখে অমানুষিক শারীরিক এবং মানসিক পীড়া দিয়েছেন, তারা আমার মনে হয় গুনাহ'র কাজ করেছেন। আল্লাহই ভাল জানেন!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তারা রোড ব্লক করে অবিশ্যি গুনাহের কাজ করেছেন।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।।

১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মানুষ না জেনে তাবলিগ নিয়ে সমালোচনা করে।

অথচ সারা বিশ্বে দ্বীনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে একমাত্র এই সংগঠনটি কারো কাছে চাঁদা, টাকা, অনুদান না নিয়ে।

আমি নিজেও সময় লাগিয়েছি কিছুদিন তাবলীগে।

আল্লাহ্ সবাইকে হেদায়েদ দান করুন।

সুন্দর পোস্টের জন্য শুভকামনা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ,
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.