নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন স্টিফিং হকিং এর চলে যাওয়া এবং বাংলাদেশি হকিংদের আমলনামা

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০০



স্টিফিং হকিং দুনিয়া থেকে চলে গেছেন। তার আত্মা পরলোকগত হয়েছে। ইব্রাহিমী ধর্ম মতে, তার আত্মার উপর এতক্ষণে জান্নাত বা জাহান্নামের সিল পড়েছে। অন্যান্য ধর্মে আলাদা ভার্সণ থাকলেও থাকতে পারে। নাস্তিক্যবাদ অনুযায়ী হাওয়ায় মিশে গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, স্টিফিং হকিং 1948 সালের 8ই জানুয়ারী দুনিয়াতে আগমণ করেন। পরলোকগত হয়েছে আজ (14/03/2018 ইং খ্রিষ্টাব্দে)। তিনি পদার্থ বিজ্ঞানে কিছু তথ্য প্রমাণ মানুষের সামনে হাজির করেছেন। এই তথ্যগুলোর মধ্যে পেনরোজ-হকিং তথ্য অন্যতম।

তিনি যখন মহা বিশ্বের গূঢ় রহস্য উদঘাটন করার জন্য চেষ্টা করেছেন আমরা তখন মফিজ রহস্যের গূঢ় তত্ত্ব উৎঘাটনে ব্যস্ত ছিলাম। তবে বেচারার ভাগ্য খারাপ, বিরল মোটর নিউরন রোগের একটি ধরন অ্যামিওট্রপিক লেটারেল স্কেলরোসিসে (এএলএস) আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর কারণে স্নায়ুর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়ে যায়। এ রোগ হলে সাধারণত মানুষ বেশি দিন বাঁচেনা। তিনি বেঁচে ছিলেন। কথা বলতেন কম্পিউটার স্পিচ সিনথেসাইজারের মাধ্যমে। চলাফেরা করতেন হুইল চেয়ারে।

তার ভাগ্য ভালো যে, তিনি অক্সফোর্ডে জন্মেছিলেন। তিনি যদি বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণ করতেন তাহলে তার জীবন দশা কী হতো তা একবার দেখে নিই:

১। প্রথমে তিনি কোন এক মায়ের গর্ভে জন্ম গ্রহণ করতেন। তার নাম রাখা হতো মোঃ আবুল মিয়া।

২। দুই বছর বয়স পর্যন্ত তার মায়ের বুকের দুধ পান করে ভালোই চলে যেত। তৃতীয় বছরের সময় থেকে বাবার দারিদ্রতার কারণে শরীরের পুষ্টির অভাব দেখা দিত।

৩। ছয় বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হতেন, স্কুল ড্রেসের অভাবে স্যারদের নিকট নিয়মিত বকা খেতেন কিংবা তাকে দাড়িয়ে রাখ হতো।

৪। প্রাইমারী কোন রকম পাশ করতে পারলেও বাবা-মা আর্থিক দুর্গতির জন্য হাইস্কুল পর্যন্ত পড়াতে চাইতেন না। তাকে হয়ত বাসের হেল্পার, কিংবা দর্জির দোকান অথবা খেতে খামারে লাগিয়ে দিত।

৫। আর যদি কোন রকম হাইস্কুলে ভর্তি হতে পারতেন, তাহলে হাইস্কুলে অনেক কিছুর অভাব অনুভব করতেন। যেমন, সময়মত স্কুল ড্রেস না পাওয়া, বই খাতা কিনতে না পারা, পরীক্ষার ফি কিংবা মাসিক বেতন দিতে না পারা ইত্যাদি ইত্যাদি।

৬। কারো দয়ায় হয়ত এস.এস.সি'র ফরম পূরণ করে মোটিমুটি বা ভালো মানের রেজাল্ট করতেন। তারপর কলেজের ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। পাড়ার পোলাপাইন পড়িয়ে কিংবা স্থানীয় চায়ের দোকানে কাজ করে কলেজে ভর্তি হয়ে যেতেন। কলেজের ভর্তি হওয়ার পর এক সুন্দরী সহপাঠীর প্রেমে হাবুডুবু খেতেন। কিন্তু মানি ব্যাগের ওজন হালকা হওয়ার কারণে কোন দিন প্রস্তাব দিতে সাহস পেতেন না। আর যদি সাহস করে প্রস্তাব দিয়েও দিতেন তাহলে ‘ফহিন্নির পোলার আবার ভালোবাসা!” এই বলে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়া হতো।

৭। ভালোবাসার মানুষ থেকে প্রতাক্ষাত হয়ে মনে মনে মেয়েদের কে ঘৃনা করতেন। এদিক দিয়ে কলেজ শেষ করে ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার জন্য টেনশনে তার ঘুম আসতো না। এক বন্ধুর কাছ থেকে পরীক্ষার আগের রাত প্রশ্ন পেয়ে নামকরা ভার্সিটিতে চাঞ্চ পেতেন। তারপর ঢাকাতে মেস বাড়িতে আশ্রয় লাভ করে টিউশনি করে লেখাপড়া চালিয়ে নিতেন। একদা এক বড় লোকের মেয়েকে টিউশনী করতে গিয়ে তার সাথে নতুনভাবে প্রেমে জড়িয়ে পড়তেন। অত:পর বিয়ে করে নিজের একটি স্টাটাস বজায় রেখে শ্বশুড়ের টাকায় বিদেশে পাড়ি জমাতেন একটি ডিগ্রি আনার জন্য। বিদেশ থেকে ফিরে এসে দেশের একটি নামকরা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ও গবেষণায় আত্ম নিয়োগ করতেন। সেখানে সহকর্মীদের নিয়ে গবেষণায় ভালো সাফল্য পেতেন । কিছুদিন পর তিনি নতুন এক রোগেও আক্রান্ত হয়ে পড়তেন।

৮। তার শরীলে মোটর নিউরন রোগের একটি ধরন অ্যামিওট্রপিক লেটারেল স্কেলরোসিসে (এএলএস) উপস্থিতি দেখো দিলে তিনি চিৎিসায় ভালো হতে পারতেন না।

৯। ইতিমধ্যে ভালবেসে বিবাহ করা বউ তাকে ত্যাগ করে অন্য জনকে নিয়ে ঘর বাধা শুরু দিত। ফলে তিনি এক প্রকার বাধ্য হয়ে বাবা-মায়ের কাছে চলে আসতেন। তখন বাবা মা মনে করতেন, তাকে বদ জীনে আছর করেছে। সুতরাং তাকে ফকির-কবিরাজের নিকট নিয়ে যেতে হবে। সেখানে তার তাবিজ, কবজ, পানিপড়া, হু-হা চলত। ফলাফলা: লাভের কিছুই হতো না, বরংঞ্চ দরিদ্র পিতার একগুচ্ছ টাকা নষ্ট।

১০। কবিরাজ দেখানোর পরেও তার কোন উন্নতি না হওয়ার কারণে প্রথমে গ্রাম্য ডাক্তার, তার পর থানা হাসপাতাল, সেখান থেকে জেলা হাসপাতালে ডাক্তার দেখানো হতো। ডাক্তার দুই মিনিটে রোগী দেখে কিছু মুখস্থ ঔষুধ লিখে বিদায় করে দিতেন। আর কোন দিন হয়ত তিনি ভালো হতে পারতেন না। তিনি মরে যেতেন। আর যদি কোন কারণে বেঁচে যেতেন-

১১। তার বাবা প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্ধ সরকারী তহবিলের সাহায্য পাওয়ার জন্য স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি যদি চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন হতেন তাহলে তার জন্য সহায়তা পাওয়া সম্ভব হতো।

১২। তার বাবা মা যদি বিম্পির সাপোর্টার হতো তাহলে আওয়ামী আমলে তার সাহায্য পাওয়া এক প্রকার অনিশ্চিত হয়ে যেত, আবার তার বাবা-মা যদি আওয়ামী হতো তাহলে বিম্পির আমলে তার সাহায্য পাওয়ার কোন গ্যারান্টি থাকতো না।

১৩। তারপর কিছু দিন বাড়িতে কষ্টে থাকতেন। বাবা-মায়ের আদর যত্ম পেলেও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে অবহেলার স্বীকার হতেন। বাবা-মা যদি একেবারে আর্থিক নিম্নস্তরে অবস্থান করতেন তাহলে তাকে ভিক্ষাবৃত্তির কাজে লাগিয়ে দিত।

১৪। হয়ত তিনি সারা জীবন ভিক্ষাবৃতি করে কাটিয়ে দিতেন। তার জন্য দেশীয় ওয়ার্কসপে একটি হুইল চেয়ারের আদলে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য চেয়ার বানানো হতো। সেটি ঠেলা দেয়ার জন্য আরেকজন লোক থাকতো। এভাবে দুইজন মানুষের কর্ম সংস্থান হয়ে যেত। সেটিতে বসে বাংলাদেশি স্টিফিং হকিং ভিক্ষা করতেন। মাঝেমধ্যে মুখে আওড়াতেন, আল্লাহর ওয়াস্তে দান করেন। এক টাকা দান করিলে সত্তুর টাকার ছোয়াব পাওয়া যাবে।

১৫। তার বাবা-মা যদি একটু চালাক প্রকৃতির হতেন, তাহলে তাকে নিয়ে আজবগুজি কল্প-কাহিনী ছড়িয়ে দিতেন। ফলে লোকে তার নিকট আসত আসমানী-জমিনী, হাওয়াই বালামছিবত থেকে মুক্তি পেতে। এই সুযোগে তার বাবা-মা রাতারাতি টাকা উপর্জন করে বড় লোক হয়ে যেত। এবং তার মরণের পর কবরের উপর বিখ্যাত কোন মাজার গড়ে উঠলেও আশ্চার্য হওয়া কিছু থাকতো না।

১৬। তার জীবনে হয়ত জৈবিক চাহিদা মিটানোর জন্য ২য় কোন স্ত্রী জুটতো না।

১৭। তার ভাগ্য যদি সু-প্রসন্ন হতো, তাহলে প্রথমে কোন স্থানীয় পত্রিকা তাকে নিয়ে একটি রিপোর্ট করত এবং সেখানে চিকিৎসার ব্যয় মিটানোর জন্য সাহায্যের আবেদন করা হতো। সে খবর আবার সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে যেত। উপরে ক্যাপশন লেখা থাকতো ‘কেউ আমিন না লিখে যাবেন না’! মানুষ মুক্ত হস্তে আমিন লিখতো। আর যদি কপাল ভালো হতো তাহলে উক্ত খবর পড়ে কোন স-হৃদয়বান ব্যক্তি তাকে চিকিৎসা করালেও করাতে পারতো।

১৮। সর্বশেষ তিনি যদি নিজের ঐকান্তিক চেষ্টায় ভালো কিছু করার সক্ষমতা অর্জন কিংবা কর্ম করে খেতে পারতেন তাহলে বড়জোড় হানিফ সংকেতের ইত্যাদিতে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন দেখানো হতো। আমারা তা দেখে দু' হাতে করতালি দিতাম। কেয়া কসমেটিস এর সৌজনে তিনি পঁঞ্চাশ হাজার টাকা পেয়ে যেতেন। এইতো আমাদের সোনার বাংলাদেশ!

পরিশেষে, আমাদের দেশে সমস্যা আছে। সম্ভাবনাও আছে। আশা করি একদিন স্টিফিং হকিং এর চেয়ে বড় মাপের কোন বিজ্ঞানী আমরা পাব। তার আগে আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশ ঠিক করতে হবে। দেশের অন্যায়-অনাচার বন্ধ করতে হবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরী করে মেধার বিকাশিত করার সুযোগ দিতে হবে।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সময় আপনি বড্ড তাড়াহুড়া করেন। বেশ কয়েকটা বানান ভুল হয়েছে।

আর আপনার এই লেখা রম্য হিসেবে ধরে নিলাম।

দুরারোগ্য মোটর নিউরন রোগ নিয়েও হুইলচেয়ারে বসে তিনি সমগ্র মহাবিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি বলতেন – “আকাশের নক্ষত্ররাজির দিকে তাকাও, কখনো তোমার পায়ের দিকে নয়। তুমি যা দেখছ তা উপলব্ধি করার চেষ্টা কর এবং বিস্ময়াভিভূত হও যে সমগ্র বিশ্ব কেমন করে টিকে আছে"।

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ।।

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দুষ্ট লোকের মন্তব্য।।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

ইউনিয়ন বলেছেন: ফানি পোষ্ট।

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের সম্পদ আছে, মানুষ আছে। জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনাদের মগজ নেই

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের এদেশের সরকার দেশের সম্পদ লুটপাট করে পর্যায়ক্রমে আমাদের কে দারিদ্র করে রেখেছে।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আপনার এই পোস্টে মন্তব্য না করে পারলাম না। ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টের জন্য।

খুব দ্রুতই বাংলাদেশে এমন দিন আসুক যেখানে প্রতিবন্ধীরা নিজেদের মেধার পূর্ন সদ্ব্যব্যবহার করতে পারবে।

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমাদের দেশ আরো এগিয়ে যেত পারতো। দেশে চরম নৈরাজ্য আর অব্যবস্থাপনা থাকার কারণে আমরা পিছিয়ে গিয়েছি।
ধন্যবাদ।।

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এ কী লিখেছেন ভাই? সুন্দর প্রাণবন্ত লেখা। হৃদয় ছুয়ে গেল।
আশা করি একদিন স্টিফিং হকিং এর চেয়ে বড় মাপের কোন বিজ্ঞানী আমরা পাব। তার আগে আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশ ঠিক করতে হবে। দেশের অন্যায়-অনাচার বন্ধ করতে হবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরী করে মেধার বিকাশিত করার সুযোগ দিতে হবে।
সহমত।

(রাজীর নুরের চেয়ে আপনার লেখা ভাল।)

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
আমি উনাকে ভালো লোক হিসেবে জানি। ব্লগে একে অপরের কাছাকাছি ছিলাম। কোন এক পোষ্টে বা মন্তব্যে (এখন পোষ্টের নাম মনে করতে পারছিনা) জানিয়ে ছিলেন শুরুভি ভাবির (উনার স্ত্রীর) একটি বাচ্ছা মিসড ক্যারেজ হয়েছে। আমি নরমালি জানতে চেয়েছে তার চল্লিশা হয়েছে কিনা। তিনি উত্তরে জানালেন তিনি কষ্ট পেয়েছেন। আমি ক্ষমা চেয়েছি। উনি প্রতি উত্তুরে আমাকে দুষ্ট লোক বলেছেন।


রাজিব ভাই ভালো লিখেন। উনি অনেক দিন যাবৎ ব্লগে আছেন। আমি তার সাথে তুলনায় যেতে চাইনা। আর তার সাথে আমার ব্যক্তিগত ঝামেলা নেই।

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা হাসতে হাসতে শেষ। শুনেন ভায়া, যদি দেশে হকিংস জন্মাতো তাহলে তার দরিদ্র মা-বাবা তার বিকলঙ্গতার কারনে তাকে ফার্মগেটের সিড়িঁতে বসিয়ে দিতো ভিক্ষা করতে...............

হাঁ একজন নক্ষত্রের পতন!

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমাদের দেশে নানা সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে মানুষ নিজেকে মেলে ধরতে পারছেনা। সরকারগুলো মানুষের অধিকার কুক্ষিগত করে রেখেছে।

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: বাংলাদেশে হলে ভিক্ষায় নামিয়ে দিত।

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জি ঠিক বলেছেন। উনার কপালে শনির দশা থাকত।

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার চিন্তা তো দেখছি বেশ সুদূরপ্রসারী!
যাহোক, লেখাটির অন্তর্নিহিত অর্থ ধরতে পেরেছি বলে মনে হচ্ছে।
সোহানীর মন্তব্যটি ভাল লাগলো।
পোস্টে ভাল লাগা + +

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জি আপনাকে ধন্যবাদ।

আমাদের দেশে যে সমস্ত মানুষ সাধারণের বাইরে চলে যায় তাদের জীবনটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। অবশ্য এদেশে সাধারণ মানুষের জীবন ধারণ করাটাও একটি কঠিন বিষয়। বারাক ওবামার কথা চিন্তা করুন, তার পূর্ব পুরুষ এদেশে রিফিউজি হয়ে আসলে তারপক্ষে বড়জোর অফিসের পিওন হতে পারতেন। মেম্বার, চেয়ারম্যান, এম্পি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী.....! তোবা তোবা...।

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২২

আবু তালেব শেখ বলেছেন: গভীর ভাবে ভেবেছেন। আমাদেরও ভাবতে হবে

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমাদের ভাবা দরকার আছে কারণ আমরা সমাজের একটি অংশ। তবে সবচেয়ে ভালো হয় রাষ্ট্র পরিচালনাকারীরা ভাবলে।

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

সুমন কর বলেছেন: হাহাহা...........এতো তাড়াতাড়ি এসব চিন্তাও করে ফেলেছেন.......!!

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এই আর কি; কিছু একটা লিখার চেষ্টা করেছি।

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনি ঠিক বলেছেন-

কোথায় আমরা আর কোথায় ওরা।

কোথায় আকাশের তারা আর কোথায় খেড়ের পারা।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ওদের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো ওদের রাষ্ট্র ওদের কে সামাজিক সুরক্ষা দেয়। আমরা সেখানে একশো বছর পিছিয়ে আছি।

১২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

মো ফরহাদ বলেছেন: কোন লোক যদি মনে করে বাংলাদেশে হকিং এর মতো লোক নাই আমি মনে করি সে বলদ। আমাদের দেশের গলিতে গলিতে আছে হকিং। কিছু দিন পূর্বে এক লোক ভিক্ষা করার অভিনব ধারা দেখালেন টিবিতে দেখেছিলাম, এরাই স্টিফিন হকিং। কিন্তু নেই কোন প্রকার পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রিয় অনুপ্ররেরনা। কেউ ভালো কিছু করলে তাকে নিরাশ ব্যাতিত কিছুই দেয় না কেউ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বাংলাদেশে অনেক প্রতিভাধর মানুষ আছে যারা সুযোগ পেলে দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত। কিন্তু তারা পর্র যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে কিছু করতে পারছেনা। এর জন্য আমাদের রাজৈতিক, আমলতান্ত্রিক, সামাজিক সিস্টেম দায়ী।।

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মিঃ সালাউদদীন বলেছেন: প্রমানিক সাহেবের কাছে জানতে চাই : বাংলাদেশের মা বাবার প্রতি আপনার এতো হীনমন্যতা কেন ? কটা মা বাবা, তাদের বিকলাঙ্গ সন্তান কে ভিক্ষায় নামিয়ে দেয় ?

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: প্রামাণিক হয়ত হার্ডলি বলেননি। তিনি আমাদের সামাজিক অবস্হা তুলে ধরতে চেয়েছেন।

১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

মো ফরহাদ বলেছেন: জনাব আপনার লেখাটা আমার ভালো লেগেছে এফ বি তে পোষ্ট করলে আপনার কোন আপত্তি থাকিবে কিনা ???????????
প্লিজ জানাবেন।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমার কোন আপত্তি নেই।

১৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

মো ফরহাদ বলেছেন: সালাউদ্দীন সাহেব বাংলাদেশ যদি এতোই পবিত্র থাকতো তাহলে হাজার হাজার মেধা অচিরেই ধ্বংশ হয়ে যেতোনা। আর মা বাবার দোষ নয় শুধু দোষ আমাদের সমাজের। আবার এখানে অনেক কথাই আছে মা বাবা তাকে চালাতে না পারলে তো ভিক্ষার বোঝাইতো নিতে হবে তাইনা ??????????????????

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমারা আর্থিক শৃঙখলা থেকে মুক্তি পেলে অনেক অকেজো সিস্টেম থেকে মুক্তি পেতেম। কিন্তু রাষ্ট্র যন্ত্র আমাদের দরিদ্র করে রেখেছে।

১৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

মো ফরহাদ বলেছেন: যে দেশে বি সি এস এর মধ্যে কোটা ব্যবস্থা করে হাজাররো মেধাবীদের দূরে সরিয়ে বলদ দের কে ভালো ভালো পোষ্টে প্রবেশ করাচ্ছে

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কোটা ব্যবস্হার কারণে সাধারণ ছেলেরা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.