নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ কোন পথে?

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭



এক. বাংলাদেশে কোন ইসলামী হুকুমত কায়েম নেই। বাংলাদেশে কুরআনের আইন বলবৎ নেই। বাংলাদেশের কোন আইন সূরা সদস্য দ্বারা প্রণীত হয়না। আইন প্রণয়নের জন্য কোন মজলিস বসে না। এক সময় এদেশের আলেম সমাজ ফতোয়া জারী করতো কিন্তু সে ফতোয়ার এখন কোন কার্যকারীতা নেই। হাইকোর্টের পরিস্কার নির্দেশ আছে, ”ফতোয়া দেয়া যাবে কিন্তু কাউকে মানতে বাধ্য করা যাবে না।”।তবে অনেকে গলা ফাটান, বাংলাদেশ মুসলিম কান্ট্রি, বাংলাদেশে 95% মুসলমান বাস করে, এদেশে মুসলমানদের ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি বলতে চাই এগুলো ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে উদযাপন করার মত। এগুলোর কোন ভ্যালু বা মূল্য নাই। শুধু ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া।

এখন আপনি বলতে পারেন বাংলাদেশ আসলে কি? বাংলাদেশ আসলে কী তাহলে আসুন একটু বুঝে নেওয়া দরকার। একটি দেশ কে নির্দিষ্ট করে উপস্থাপন করার জন্য কয়েকটি বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে হয়-

প্রথমত,
(ক) ভূখন্ড
(খ)নির্দিষ্ট আয়তন
(গ) বহি বিশ্বের স্বীকৃতি
(ঘ) জনগণ
(ঙ) সরকার।

দ্বিতীয়ত
(ক) নির্দিষ্ট আইন/সংবিধান
(খ) মানুষের আচার-আচারণ/ধর্ম

তৃতীয়ত
(ক) উক্ত আচার-আচরণ কে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি/গ্যাজেট অথবা নোটেফিকেশন হিসেবে প্রকাশ করা।

অনেকে বলতে পারেন; বাংলাদেশের সংবিধানে তো ইসলাম কে রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, অথবা সংবিধানের শুরুতে বিসমিল্লাহ দেয়া হয়েছিলো। আরে ভাই এগুলো এডিটিং করা। এগুলো যারা দিয়েছিলেন তারা নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য দিয়ে ছিলেন। যারা এর প্রবর্তক তারা দুষ্ট লোক। এই সমস্ত লোক নিজের প্রয়োজনে রিভার্স সুইপ খেলে। মাঝে মাঝে কাভার ড্রাইভ করতেও ভুলে যান না। এই ধরণের কাজে নিজস্ব স্বার্থ কাজ করেছে বলেই তাদের কর্তৃক সংবিধানে স্বীকৃতি পাওয়া ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রভাব ফেলতে পারছেনা। তারা নিজেদে গদি রক্ষা করার জন্য এদেশের ধর্মকামী মানুষদের সাথে ব্লাক মেইল করেছে। আমাদের জানা দরকার, ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে হলে প্রচলিত বিধি ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরুপে বাতিল করে কুরআনিক বিধি বিধান জারী করতে হবে। এখন যারা বাংলাদেশ কে মুসলিম কান্ট্রি, মুসলমানদের দেশ বলছেন তারা সেই 1980 অথবা 1990 সালের ধোকা বাজিতে মজে আছে। তাদের বের হয়ে আসা জরুরী অথবা তাদের হুশ ভাঙ্গানো দায়িত্ব সরকারের।

আমরা জানি, গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র, যা 1971 সালে পাক হানাদার বাহিনীর কজ্বা থেকে এদেশের মুক্তি ও শান্তিকামী জনগণ সম্মিলিতভাবে ছিনিয়ে এনেছিল। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ কে পরিচালনা করার জন্য সংবিধান রচনা করা হয়। সেই সংবিধান বিভিন্ন সময় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। কিন্তু রাষ্ট্র মানুষের তৈরী সংবিধান দ্বারাই পরিচালিত হবে যত দিন না ধর্মীয় বা আল্লাহ্ বা ঈশ্বর প্রদত্ত সংবিধান পুনঃ প্রতিষ্ঠা না পায়। পুনঃ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা কখনো বলতে পারছিনা বাংলাদেশ একটি মুসলিম কান্ট্রি বা মুসলিম দেশ। বাংলাদেশের পরিচয় সংবিধানে স্পষ্ট করে লেখা আছে “গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ”। সুতরাং আপনি বাংলাদেশ কে অন্য নামে সংজ্ঞায়িত করছেন মানে আপনি সংবিধান লংঘন করছেন। রাষ্ট্র বা কোন ব্যক্তি চাইলে স্ব-ইচ্ছায় আপনার বিরুদ্ধে সংবিধান লংঘন করার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে বিচারের কাঠ গড়ায় দাড় করাতে পারে। সুতরাং আপনি সাবধান হউন, অথবা আগে বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম করুন তারপর বলুন বাংলাদেশ একটি মুস্লিম দেশ বা ইস্লামিক দেশ। আপনাদের বলা উচিৎ গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ জণ-গনের দেশ, এখানে জন গণের বিশ্বাস ও মর্যাদার মূল্য আছে। সংবিধানে সে অধিকার দেয়া হয়েছে। প্লিজ সংবিধান লংঘন করবেন না তাহলে আইনি ব্যবস্হা নিতে বাধ্য হব। তবে, মাঝখানে অবস্থান করে লাফানো বন্ধ করুন। আপনি যতটা না ইসলামের জন্য কাজ করছেন তারচেয়ে হাজারগুণ ইসলামের ক্ষতি করছেন। বর্তমানে আপনি দুষ্ট লোকদের কাতারে আছেন।

বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থা হলো সাংবিধানিক। সংবিধান হলো আইনের আঁতুর ঘর। এবং নব্য কোন সমস্যা মোকাবেলায় যদি কোন আইন সংশোধন কিংবা নতুন করে প্রয়োজন হয় তাহলে সে আইন সংসদের প্রণীত হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশে ইসলামী আইনের কোন প্রভাব নেই।তবে বাংলাদেশে বসবাসীকারী মানুষের বিশাল একটি অংশ ইসলাম ধর্ম অনুসারী। তারা ইসলামের এবাদত সমন্ধনীয় আইনগুলো ব্যক্তিগতভাবে পালন করে থাকে। এই এবাদত সমন্ধীয় আইনগুলোর মধ্য অন্যতম হলো.. নামাজ, রোজ, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি। অন্যান্য বিষয়গুলো তারা প্রথাগতভাবে শিখে থাকে, যেমন: কুরবানি, পর্দা, বিয়ে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এ নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। সব ব্যাথা পর্দা প্রথা নিয়ে। এই পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে তারা নতুন একটি প্রথার প্রচলন করেছেন; তা হলো প্রগতি। আচ্ছা পর্দার উদ্দেশ্য যদি নিজের ইজ্জত হেফাজত, শালীনতা বজায় এবং অন্যের কু-দৃষ্টি থেকে বাঁচা হয় তাহলে এখানে প্রগতি টেনে আনার উদ্দেশ্য কি? যদি প্রগতির অর্থ অন্য কিছু হয় তাহলে এমন প্রগতি আমাদের দরকার নেই।

দুই. বর্তমানে আমরা রাষ্ট্রীয় অপরাধের সাথে ধর্ম কে গুলিয়ে ফেলি। বিশেষ করে, ধর্ষণের বিষয়টি। দেশে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, ঘটছে, ঘটবে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর, অপমান কর এবং অপ্রত্যাশিত। মাঝে মাঝে কিছু ধর্ষণের ঘটনায় আমরা লাফালাফি করে। কেউ কেউ ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত লাফায় এবং মুখস্থ কিছু বুলি আওড়ায়, এই লাফ ও বুলি দুই ধরণের পাব্লিক দেয়।

(ক) হুজুগে ধর্মীয় গোষ্ঠী কর্তৃক প্রচারিত লাফ ও বুলি-
পর্দা না করার কারণে মেয়েটি ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে! পর্দা মেনে চললে এই অবস্থার শীকার হতো না।

এই ধরণের কথা তারা তখনি প্রচার করে যখন উঁচু মহলের বা অভিজাত শ্রেণির অথবা প্রগতি মনাদের ক্ষেত্রে ঘটে। তারা হয়ত এদের কর্মকান্ডের উপর বিরুক্ত। কারণ, তারা পূর্বে সর্ব সাধারণের উপর দাপিয়ে বেরিয়েছে। যাদের উপর দাপিয়েছে তারা ছিলো রাষ্ট্রের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাদের পেটে তখন ভাত ছিলো না। এখন তারা মোক্ষম সুযোগ পাইছে, তাই দাপানোর প্রতিক্রিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্ত করছে।

(খ) পর্দা প্রথা বিরোদী কর্তৃক লাফ ও বুলি:
অভিজাত শ্রেণির কেউ ধর্ষণের শিকার হলে তারা ভিক্টিমের সার্পোট করতে গিয়ে অহেতুক পর্দা কে টেনে আনে। তারা চিল্লা পাল্লা করে বলে বেড়ায়, কোথায় আজ পর্দা, কোথায় আজ হিজাব, এই হিজাব তো অমুক কে ধর্ষণ থেকে রক্ষা করতে পারেনি? অমুক হিজাব পড়া অবস্থায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে, অমুক নাবালিকা ধর্ষণ করা হয়েছে, তার তো হিজাব পড়া বয়স হয়নি, অমুক তো ডাকাত কর্তৃক ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে, কই এই হিজাব তো কোন কাজে দেয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি।

তাদের কথা বার্তায় মনে হয়, তারা যতটা না ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলতে আগ্রহী, তারচেয়ে বেশি আগ্রহী পর্দা বিরোধী কথা বলতে। এই দুই গ্রুপের কেউই তাদের আশে পাশে প্রতি নিয়ত যে সমস্ত নারীরা ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে, যৌন হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন অথবা হেনেস্তা হচ্ছেন তাদের পক্ষে কোন দিন কথা বলেছেন কিন সন্দেহ আছে।

এখানে দেখা যাচ্ছে, পরস্পর বিরোধী দুটি গ্রুপ কাজ করছে। তারা নিজেদের প্রচারণার পারদ তুঙ্গে রাখার জন্য ক্যাচাল সৃষ্টি করছে। এর থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

উদাহরণ স্বরুপ তাদের লাফ ও বুলি অনেকটা এরকম:
(ক) দেওয়ানবাগীর মত, কোন এক ভাষণে সে বলেছে, কুরআন মানুষ কে রক্ষা করতে পারেনা, সাদ্দামের হাতে কুরআন ছিলো, সে কুরআন সাদ্দাম কে রক্ষা করতে পারেনি!
আচ্ছা কোরআন কি কাউকে রক্ষা করতে পারে? অবশ্যই না। উত্তর হলো কুরআনের আইন মানুষ কে রক্ষা করতে পারে, নিরাপত্তা দিতে পারে, ভিক্টিম হলে ন্যায় বিচার পাওয়া সুযোগ করে দিতে পারে। যদি সে আইন সঠিকভাবে বাস্তাবায়িত হয়।

(খ) চরমুনাই চেয়ারপার্সন কোন এক বক্তৃতায় বলেছেন; তার মরহুম বাবাজান কেয়ামতের মাঠে জাহাজ ছুটাইবেন।
কিয়ামতের মাঠে নৌকা/জাহাজ চলবে কিনা পর্যন্ত। আজ শুনিনি।

দেখা যাচ্ছে এগুলো ফ্যান্টাসি। যারা এই ফ্যান্টাসি শুনে বাবাজান বাবাজান করে তারা ঘোরের মধ্যে আছে অথবা তাদের কে রাখা হয়েছে।(এখানে আমি দুটি উদাহরণ দিয়েছি মাত্র, এরকম অসংখ্য জনের অসংখ্য উদাহরণ আছে, কারো বিশ্বাসে আঘাত লাগলে ক্ষমা প্রার্থী।)

ইসলামের কোথাও বলা নেই পর্দা করলে নিশ্চিত ধর্ষণ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। শুধু ধর্ষণ প্রতিরোধের জন্য আল্লাহ্ পর্দা ফরয করেনি।আর ধর্ষণ থেকে বাঁচার জন্য পর্দার উপর নির্ভরশীল হতে বলেনি। আল্লাহ্ পর্দা কে একটি হুকুম (ফরয) হিসেবে নাযিল করেছেন যাতে শালীনতা বজায় থাকে, অন্যের কু-দৃষ্টি থেকে হেফাযত থাকা যায় এবং অন্যের কামনার রিপুকে যথা সম্ভব দমন করে রাখা যায়। ব্যভিচার প্রতিরোধে পর্দা ভূমিকা রাখে, এখানে ব্যভিচার বলতে আমরা সাধারণত বুঝি পর পুরুষের সাথে পর নারীর অবাধ মেলামেশা। এই মেলার মেশার আর ভিন্ন ভিন্ন শব্দ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যায়- বিবাহের পূর্বে মেলামেশা(লিভ টুগেদার), বিবাহের পর মেলামেশা (পরকীয়া), একে অন্যের প্রতি ক্রাশ খাওয়ার পর গোপনে মিলিত হওয়া (অভিসার), অন্যকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে মেলামেশা (সংজ্ঞা আজো ঠিক হয়নি) ইত্যাদি। আর ধর্ষণের জন্য ইসলামে আলাদা আইন, বিধান রয়েছে। ইসলামের বিধান অনুযায়ী এগুলো খারাপ এবং গহিত কাজ। যারা এই সমস্ত কাজে লিপ্ত তাদের জন্য কঠিন শাস্তি প্রাপ্য।

তিন. বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে যে ইচ্ছে করে সে চাইলে ছিঁচকে চোর হতে পারে। আর যার যোগ্যতা আছে সে চোর থেকে মাফিয়া ডন হতে পারবে। টোকাই মিজান, এরশাদ শিকদার এর প্রকৃত উদাহরণ।

অপর দিকে, এদেশের মানুষ তাদের নিজ ইচ্ছায় বা স্ব-ইচ্ছায় সব কিছু (ধর্ম পালন) করছে। স্ব-ইচ্ছা ছাড়া কেউ তাদের ধর্ম পালন করতে বাধ্য করছেনা। কেউ শর্ট পোষাক পড়লে তাকে ঢিলাঢালা পোষাক পড়তে বাধ্য করছেনা। ওড়না এখন যার ইচ্ছে সে রাখছে আর যার ইচ্ছে হচ্ছে না সে রাখছেনা। সুতরাং কেউ যদি কোন অপরাধের স্বীকার হয় তার দায়-দায়িত্ব ধর্ম বহন করবে কেন? আবার কেউ ভিক্টিম হলে তার দায় ধর্ম নিবে কেন! যারা এগুলো করবে/অহেতুক ধর্মকে দোষ দিবে বা ধর্মকে টেনে আনবে তারা দুষ্ট লোক।

অপর দিকে যারা স্ব-ইচ্ছায় ধর্মীয় বিধি-বিধান পালন করবে তাদের বিধি বিধান কে আপনি কোন অপরাধের সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না। কটাক্ষ করবেন না। সমালোচনা করবেন না। যদি আপনি এগুলো করেন তাহলে আপনিও দুষ্ট লোক।

আসুন আমরা সকল অপরাধ কে রাষ্ট্রীয় অপরাধ হিসেবে দেখি। কোন অপরাধ সংঘটিত হলে বলি, রাষ্ট্রীয় আইন না মানার কারণে বখাটে কর্তৃক অমুক নারী ধর্ষিত হয়েছে । পারিবারিক ও সামাজিক অনুশাসন না মানার ফলে মেয়েটি বখাটের বিয়ের প্রলোভনের পা দিয়েছে। অবৈধভাবে মেলামেশার ফলে তারা (মেয়ে বা ছেলে) সামাজিক কাঠামো নষ্ট করছে।

কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তার দায় সরকার নিবে, অপরাধী নিবে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জবাব দিহিতা করবে। তাহলে ভিক্টিমের বিচার পাওয়া সহজ হবে। নচেৎ আপনাদের চিল্লা-পাল্লা ভিক্টিমের বিচার পাওয়া কঠিন করে দিবে। অতএব, আমরা চাই আপনি দুষ্ট লোকদের কাতারে না যান।

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সহমত, সহমত।

যাক, আমরা তাহলে দুষ্টু লোকদের কাতারে নাই:)

বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ, এটা ইসলামিক কান্ট্রি নয়।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এটা গণ-প্রজাত ন্ত্রী বাংলাদেশ। এখানে ধর্মীয় বিধি বিধান রাষ্ট্রীয়ভাবে জারি নাই। এবাদত সম্পর্কিত কিছু বিধি বিধান মানুষ স্বেচ্ছায় পালন করেন। আর এগুলো নিয়ে কিছু মানুষ অযথা হাউকাউ করে।

ধন্যবাদ।।।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম আরবের বেদুইনদের এক করে, ইতিহাসে শক্তিশালী এক আরবী "রাজতন্ত্রের" সৃস্টি করেছিল।
ফরাসী বিপ্লবের পর থেকে রাজতন্ত্রের বিদায় শুরু হয়েছে, বিশ্বে এসেছে গণতন্ত্র।

ইসলাম ধর্ম প্রচার হয়েছিল রাজতন্ত্রে; ফলে, ইসলাম শুধু রাজতন্ত্র অবধি বুঝে। ইসলাম পালন করে, মানুষ বেহেশতে যেতে পারবেন,কিন্ত দেশ চালাতে পারবেন না; কারণ, দেশ চালনার জন্য ইসলাম থেকে শক্তিশালী লজিক মানুষ বের করেছেন।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মুসলিমদের কাছে ইসলাম একের ভিতর দুই।
এক: ধর্ম।
দুই: রাষ্ট্রীয় বিধান।

মানুষের শক্তিশালী লজিকে ভুলত্রুটি আছে বলেই মানুষ আবার ঐশ্বরিক লজিকে ফিরে যেতে চায়। এখন যেমন আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্রে রুপান্তর করা হয়েছে ঠিক তেমনি চার খলিফার পর থেকে ইসলামী শাসনতন্ত্র কে রাজতন্ত্রে পরিণত ককরছে ।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



"মানুষের শক্তিশালী লজিকে ভুলত্রুটি আছে বলেই মানুষ আবার ঐশ্বরিক লজিকে ফিরে যেতে চায়। এখন যেমন আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্রে রুপান্তর করা হয়েছে ঠিক তেমনি চার খলিফার পর থেকে ইসলামী শাসনতন্ত্র কে রাজতন্ত্রে পরিণত ককরছে । "

-অশিক্ষিত মানুষ সব সময় আগের মতো থাকতে চায়, এরা বিশ্বকে কিছু দেবে না। এক সময় ইসলাম ছিলো না, ছিলো অন্য ধর্ম; এক সময় গণতন্ত্র ছিলো না, ছিলো রাজতন্ত্র।

মুসলমানেরা ইউরোপ, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়ায় চলে যাচ্ছে জীবিকার সন্ধানে, কারণ গণতন্ত্র ইসলামের রাষ্ট্র চালনা থেকে হাজার গুণে ভালো।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনি শিক্ষার মান কি দিয়ে নির্ধারিত করেছেন কে জানে। আপনি যদি শিক্ষার মান রাষ্ট্রে ধর্মীয় প্রভাব কম থাকাকে বুঝান, গণতন্ত্রের বুলি থাকাকে বুঝান তা মাত্র দু' একটি দেশ ছাড়া সমস্ত মুস্লিম বসবাসকারী দেশে তা বিদ্যমান আছে। তাই আপনার সাথে একমত হতে পারেনি।

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, আদম (আ:) হলেন প্রথম মানব, তিনি পৃথিবীতে আগমন করার সাথে ইসলামের আগমন ঘটেছে। তিনিও একজন নবী ছিলেন। আর মুহাম্মদ (সা: ) এর মাধ্যমে বিগত একত্ববাদ ধর্মের পূর্ণতা দিয়েছেন। এখানে আপনার সাথে একমত নই।

মুসলমানরা আগে কখনো ইউরোপে রিফিউজি হয়ে যায়নি যেমনটা এখন যাচ্ছে। এই যাওয়ার পিছনে মুসলমানদের বিভ্রান্তি এবং ইউরোপ- আম্রিকার হাত রয়েছে। তারা যেদিন থেকে পুঁজিবাদ ব্যবস্হা চালু করেছে সেদিন থেকে আমেরিকা, ইউরোপ মুসলমানদের সম্পতি দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের নামে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে, নিয়েছে। সিরিয়ার যুদ্ধ আমেরিকা শুরু করেছে। সিরিয়ান বিদ্রোহীদের আমেরিকা বুঝিয়েছে তোমরা যুদ্ধে যাও আমরা তোমাদের কে বিজয়ী করব। কিন্তু তারা পুটিনের কারণে ধ রা খেয়েছে।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: চাদ্গাজী, আপনি ভুল জানেন। ইসলামে রাজতন্ত্রের বিধান নাই। সৌদি রাজতন্ত্র পুরোপুরি অবৈধ ইসলাম ধর্মনুসারে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ কে বুঝানো হচ্ছে খিলাফত মানে সৌদি গং তন্ত্র। আবার তারা একুশ শতকে এসে আইএস সৃষ্টি বুঝাচ্ছে খিলাফত মানে এইএস তন্ত্র।

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশের জনগন আইনের শাষন চায় , শরিয়া কোন অবস্থাতেই না।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ শরীয়া চাইনা, আর চাইতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। তারা চইন্দ্রপুরীর শরীয়া চায়, দেওয়ানবাগীর শরীয়া চায়, মাইজভাণ্ডারীর শরীয়া চায়, জামায়াতী শরীয়া চায়, চরমুনাই শরীয়া চায়, দেওবন্দী শরীয়া চায়, শেখ মুজিবের শরীয়া চায়, জিয়ার শরীয়া চায়। তারা একে অপর কে মরে গেলেও খিলাফতের যোগ্য মনে করবেনা। সে অর্থে আপনার বক্তব্য সঠিক।

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

জেকলেট বলেছেন: চাদগাজী সাহেব ইসলাম ধর্ম প্রচার হয়েছিল রাজতন্ত্রে এইটা কই পাইলেন??? আবার খইট্টা মোল্লদের মত কইয়েন না যে যেহেতু মোহাম্মদ (সাঃ) সারা জাহানের বাদশা তাই ইসলাম ধর্ম প্রচার হয়েছিল রাজতন্ত্রে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ইসলাম প্রথম অবস্হায় প্রচার হয়েছে এক এতিমের হাত ধরে, যিনি মেষ পালক ছিলেন, যিনি ব্যবসায়ীক কর্মচারী ছিলেন। সুতরাং এখানে রাজতন্ত্র টেনে আনা অর্থক।

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


হযরত মোহাম্মদ(স: ) জীবিত থাকাকালে উনার লোকেরা মদীনা ও মক্কার শাসনভার হাতে নেন, পরে খলীফা ওমর( রা: ) বায়েজান্টাইন সাম্রাজ্যের অংশ দখল করে, আরবী রাজতন্ত্রের শুরু করেন; ওমর(রা: ) এর সময় থেকে ইসলাম ধর্ম পালন থেকে, আরবদের কাছে রাজ্য জয়ই আসল কাজে পরিণত হয়েছিল।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: হযরত মুহাম্মদ (সাং ) সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকদের মতামতের ভিত্তিতে (চুক্তিতে) মদিনা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের সৃষ্টি করেন। চুক্তিতে সবার মতামতের ভিত্তিতে তিনি শাস নভার হাতে নেন। এখানে রাজতন্ত্র টেনে আনার কোন যুক্তি নেই। পরে মক্কার অধিবাসীরা পর পর সা র্রব ভৌমত্ব রাষ্ট্রে হাম লা করলে তিনি তা মোকাবেলা করেন। পরে সার্ব ভৌমত্ব রক্ষা এবং ভিটেমাটি বুঝে পাওয়ার জন্য মক্কা জয় করেন।

খলিফা ওমরের মূলনীতি ছিলো হয়, ইসলাম কবুল কর, না হয় আমাদের আনুগত্য মেনে নাও, অথবা ট্যাক্স দাও। যদি তাও না পারো আমাদের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হও। আর ততকালীন সম য়ের বিশ্ব এক কাতারে আনার জন্য এর চেয়ে ভাল পদ্ধতি দ্বিতীয়টা ছিলোনা। যা আজ আমেরিকা, ইউরোপ, রাশিয়া বিকৃতভাবে অনুসরণ করছে। ভিয়েত নাম যুদ্ধ, উত্তর কোরিয়া নিয়ে ম্যাওপ্যাও, ইরাকে ২০০৩ সালের আক্রমণ এগুলো ছিল ঐ নীতির বিক্ষিপ্ত অনুসরণ।।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

ক্স বলেছেন: আজকাল অনেক মেয়েরা পর্দা করে তাদের গার্জিয়ান যাতে তাদেরকে অসামাজিক কাজ করার সময়ে পাকড়াও করতে না পারে - সেই ভয়ে। কিছু মেয়ে পর্দা করে হিজাব পড়লে তাদেরকে সুন্দর লাগে দেখতে, তাই। কিছু মেয়ে আবার নিজের পরিচয় গোপন করার জন্যও পর্দার আশ্রয় নেয়। তবে গারমেন্টস এর শ্রমজীবী মেয়েরা পর্দা খুব একটা করেনা, কাজে অসুবিধা হয় বলে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: অপ ব্যব হার শুরু হইছে। আগেরকার দিনে আসামীরা পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য বোরকা পড়ে পলায়ন করতেন। আফসোস- নবাব সিরাজ উদ্দৌলা এই টেক্নিক এপ্লাই করলে জানে বেঁচে যেতেন। বাহিরের কোন সাহায্য নিয়ে রাজ্য উদ্দারের জন্য চেষ্টা চালাতে পারতেন।

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


জেকলেট বলেছেন, " চাদগাজী সাহেব ইসলাম ধর্ম প্রচার হয়েছিল রাজতন্ত্রে এইটা কই পাইলেন??? "

-৭ম শতাব্দীতে বিশ্বে সামন্তবাদ ও রাজতন্ত্র চলছিলো।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বর্তমান বিশ্বে গণতন্ত্রীয় রাজতন্ত্র চলে। আমাদের হাচু এবং ম্যাডাম জিয়া এর বাইরে নন।

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মহসিন ৩১ বলেছেন: @চাঁদগাজি; গণতন্ত্র কিভাবে উন্নত আবিস্কার হতে পারে যেখানে আজতক গণতন্ত্রে উত্তরণ শেষ হয় নাই। বৃহৎ রাষ্ট্রে যে গণতন্ত্র সেটাকে আপনি বাংলাদেশের গন্তন্ত্রের সাথে জুড়বেন কিকরে??? ইসলাম যদি না রাজতন্ত্রের গোরা পত্তন করে না দিত তাহলে কোন গন্তন্ত্রের সমর্থক হতেন আপনি ---মারকনি-র এই হজবরল বিশ্বে?

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: গণতন্ত্র একটি মতবাদ। এই মতবাদ একেক জায়গায় একেকভাবে প্রদর্শিত হয়। এর খারাপ লক্ষণ বা কু-ফল সারা বিশ্বে ঘটে চলেছে।

আর খিলাফতের বিকৃতি হলো রাজতন্তের দিকে দাবিত হওয়া। ইহাকে পারিবারিক খিলাফত বা উত্তরাধিকারী খলিফা বলা যেতে পারে।
যদিও মুহাম্মদ (সা :) আগমনের পূর্বে থেকেই খিলাফত বিদ্যমান ছিল

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মুসলিমদের কাছে ইসলাম একের ভিতর দুই।
এক: ধর্ম।
দুই: রাষ্ট্রীয় বিধান।


শুধু রাষ্ট্রীয় বিধান নয়, পরিপূর্ণ জীবনবিধান।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমি হয়ত আপনার মত ভিতরে যেতে পারেনি।।

ধন্যবাদ।

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: আমরা হব আফগান, বাংলা হবে তালেবান!!!!!! এটাই হল লেখকের কথার সারমর্ম। আর কিছু? নতুন কিছু বলেন ভাই।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: নতুন কিছু জানতে হলে আপনাকে বিটিভি দেখতে হবে, ওবায়েদুল কাদের আর রিজভীর ভাষণ মনযোগ সহকারে পড়তে হবে।

১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: দেশ ও ধর্ম আলাদা সত্তা হিসেবে টিকে থাকা উচিত। আরব দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশেরই অন্যতম প্রধান সমস্যা, সেখানে ধর্ম আর রাজনীতিকে অভিন্ন করে রাখা হয়েছে।
আচ্ছা বলেন তো, পৃথিবীর কয়টি দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম? এবং কোন কোন দেশ?
আপনি হয়তো বলবেন, রাষ্ট্রের কোন ধর্ম হয়না ধর্ম হয় ব্যক্তির।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এটা হয়ত আপনার মত। রাষ্ট্রের কোন ধর্ম হয়না, হতে পারেনা। ঠিক বলেছেন। তবে রাষ্ট্রের বিধিবিধান ধর্মীয় বিধিবিধান দ্বারা পরিচালিত হতে পারে। এই বিধিবিধান হলো আইন/ম্যানুয়াল/সংবিধান। যেমনটা গণ-তান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনা করতে লাগে। বর্তমানে কয়েক্টি দেশে নামে মাত্র খিলাফত পরিচালিত হচ্ছে, যেমন ব্রুনাই, ইরান ইত্যাদি। তবে ওখানে পরিবারতন্ত্র ক্রিয়াশীল। সৌদিতে ওহাবী খিলাফতে রাজতন্ত্র বিদ্যামান।

১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: আপনার লেখাটি খুবই মান সম্মত, উদ্ভট পাগল কিছু লোক মূল থিম বুঝতে চাইছে না হয়তো ইচ্ছেই করেই না বোঝার ভান করছে, কারণ বুঝলে তাদের অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি পড়বে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে আসতে পারছেনা। তারা জাত ও কূল রক্ষা করে চলছে।

ধন্যবাদ।।

১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: সুতরাং আপনি সাবধান হউন, অথবা আগে বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম করুন তারপর বলুন বাংলাদেশ একটি মুস্লিম দেশ বা ইস্লামিক দেশ। আপনাদের বলা উচিৎ গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ জণ-গনের দেশ, এখানে জন গণের বিশ্বাস ও মর্যাদার মূল্য আছে। সংবিধানে সে অধিকার দেয়া হয়েছে। প্লিজ সংবিধান লংঘন করবেন না তাহলে আইনি ব্যবস্হা নিতে বাধ্য হব। তবে, মাঝখানে অবস্থান করে লাফানো বন্ধ করুন। আপনি যতটা না ইসলামের জন্য কাজ করছেন তারচেয়ে হাজারগুণ ইসলামের ক্ষতি করছেন। বর্তমানে আপনি দুষ্ট লোকদের কাতারে আছেন।

পাঠক সবাই দুষ্টদের কাতারে আছেন B-)

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমি সবাইকে ম্যানশন করেনি। আমি হয়ত কঠিনভাবে আঘাত করতে চাইনি। আমি দু:খিত।

১৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

তার ছিড়া আমি বলেছেন: লেখকের উপস্থাপনাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমন্ডিত। সঠিক কথাই বলেছেন। সুন্দর বিশ্লেষণ। ধন্যবাদ।

জনাব চাঁদগাজী, ইসলাম ও ইসলামী ইতিহাস সম্পর্কে আপনার চরম অজ্ঞতা আছে। আপনি জ্ঞানী মানুষ। ইসলাম সম্পর্কে লেখাপড়া করুন, জানুন প্লিজ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

কখনো ভুলভাল কিছু বললে অবশ্যি ধরিয়ে দিবেন।

চাঁদগাজী লজিক্যালি সব কিছু বিচার বিশ্লেষণের চেষ্টা করেন।

১৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ইসলাম খুব সহজ ও খুব কঠিন একটা ধর্ম। এটাকে বলা হয়েছে পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান। বাংলাদেশে ইসলামী আইন সম্বলিত সংবিধান না থাকলেও 'ইসলাম বিরোধী' কোন আইনও বলবৎ নেই! এরকম মিশ্রণ(সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্ম ও ধর্মানুভূতি ঠিক রেখে আইন) অন্য কোন রাষ্ট্রে আছে কিনা জানা নেই। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আচার বলে ইসলামকে রাষ্ট্র বা সংবিধান থেকেও বিচ্যুত করার বা দূরে রাখার সুযোগ আপাতত নেই। যেমন ধরুন, দেশের প্রগতিশীল, নারীবাদি, বুদ্ধিজীবি (সম্ভবত প্রধানমন্ত্রীও) দের দাবী হলো সম্পত্তিতে মেয়েদের সমান ভাগ দিতে হবে। কিন্তু ইসলাম মানলে মেয়েদের অবশ্যই ছেলেদের অর্ধেক সম্পদ নিতে হবে। এমন কি ২/১ জন ছাড়া অন্য মেয়েরাও সমান দাবী করতে পারবে না বা করছেও না! এখানে সংবিধান জোর করতে পারবে না। কারণ, ইসলামী আইন মুসলিম হিসেবে আপনাকে মানতেই হবে! সংবিধান মানলে সব ধর্মের সমান অধিকারের কথা চলে আসবে। তখন রমজানের সময়সূচী পরিবর্তন করা যাবে না কিংবা ঈদের ছুটি ৩ দিন দিলে অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও তাদের উৎসবে সমান ছুটি দিতে হবে। ফলে একটা ক্যাচাল শুরু হয়ে যাবে। প্রায় সব দেশেই সংখ্যাগরিষ্ঠদের একটু অগ্রাধিকার থাকবে তার মানে এই না যে, অন্য ধর্মাবলম্বীদের অধিকার হরণ করা হবে।
হুজুর, পীর, ইসলামী দলগুলোর অনৈক্যের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মুসলিমদের। যে কারণে ইসলামী ভাবধারা বা আইন প্রয়োগেও সমস্যা হচ্ছে। এটা যারা নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে আছে তাদের দুর্বলতা। আমাদের নয়।
আপনার লেখার দ্বিতীয় ভাগে ধর্ষণ নিয়ে যা লিখেছেন তাতে সহমত। পোশাককে দায়ী করা একটা বাহানা মাত্র। কারণ, আমাদের চক্ষুকেও নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে। আর জাকির নায়েক প্রায় সময় একটা কথা বলে থাকেন, 'গো ব্যাক টু ইউর মেইন স্ক্রিপটার'। আমাদেরও কেউ অপরাধ করলে সেটার আইন ও শাস্তির দিকে নজর দিতে হবে। পোশাক বা ধর্মের দিকে নয়। ধন্যবাদ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার সুন্দর ও গঠন মূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।।

১। কিছু মানুষের অহেতুক রাষ্ট্রের সাথে জোড় করে ধর্মের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে চিল্লা পাল্লা করে আমি তাদের দিকে ইঙ্গিত করেছি।

২। আমি বলতে চেয়েছি, কোন ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে যেন অহেতুক পর্দাকে টেনে না আনি। কিংবা পর্দার কোন দোষ না দেই।

মূল পয়েন্ট ফোকাস করার জন্য ধন্যবাদ।।

১৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

ইউনিয়ন বলেছেন: বাংলাদেশে একদিক ইসলামী শরীয়াহ কায়েম হব।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার মন বাসনা পূর্ণ হউক।

১৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



চাঁদগাজী ভাই, ইসলাম এবং ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে আপনার জ্ঞান খুবই সীমিত। অজ্ঞতার কারনে ভুল-ভাল লিখছেন। জ্ঞানী ব্যক্তি হয়ে আপনার জন্য এটা শোভনীয় নয়। ইসলাম সম্পর্কে জানতে স্টাডি করুন। সঠিক কথা জেনে লিখুন, খুশি হব।

পোস্টে ধন্যবাদ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বাংলাদেশ এখন ধ্বংসের কাছাকাছি। যেকোন সময়ে প্রচলিত র রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙ্গে পড়বে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তবে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। আমরা চাই ঘুরে দাঁড়াক।।

২১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পোস্ট, মন্তব্য ও প্রতিউত্তর পড়তে ভাল লাগলো।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।

২২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

আলোর পথে বিডি বলেছেন: ইসলামকে বলা হয়েছে পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান। বাংলাদেশে ইসলামী আইন সম্বলিত সংবিধান না থাকলেও 'ইসলাম বিরোধী' আইনও
খুব বেশি নাই । রাজনৈতিক ভাবে ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ ।

ফতোয়া নিষিদ্ধ, ফতোয়া বাজি নিষিদ্ধ । মুলত আমাদের দেশে ইসলাম অনেকভাবে বিভক্ত । আলেম সমাজের উচিত পূর্ণভাবে ইসলাম জানা ,বুঝা এবং মুসলিম দের মাঝে তুলে ধরা ।

সঠিক ভাবে ইসলাম না বুঝে শরিয়া আইন এর প্রস্ন ই উঠে না | জাজাক আল্লাহ খাইরান ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সুন্দর মতামত রাখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।।

২৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

আলোর পথে বিডি বলেছেন: ইসলামকে বলা হয়েছে পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান। বাংলাদেশে ইসলামী আইন সম্বলিত সংবিধান না থাকলেও 'ইসলাম বিরোধী' আইনও
খুব বেশি নাই । রাজনৈতিক ভাবে ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ ।

ফতোয়া নিষিদ্ধ, ফতোয়া বাজি নিষিদ্ধ । মুলত আমাদের দেশে ইসলাম অনেকভাবে বিভক্ত । আলেম সমাজের উচিত পূর্ণভাবে ইসলাম জানা ,বুঝা এবং মুসলিম দের মাঝে তুলে ধরা ।

সঠিক ভাবে ইসলাম না বুঝে শরিয়া আইন এর প্রস্ন ই উঠে না | জাজাক আল্লাহ খাইরান ।

২৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান বলেছেন: ভালো লিখেছেন |

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

২৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: দারুন কিছু মন্তব্য পোস্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে,,,, ভালো লাগলো

২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে

২৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: পোস্ট, মন্তব্য ও প্রতিউত্তর পড়তে ভাল লাগলো।


মইনুল ভাইয়ের মত আমিও তাই করলাম ভাই ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জি- আপ্নাকেও ধন্যবাদ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.