নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাশ্চাত্যের এডিটিং করা জঙ্গিববাদ এবং তা মোকাবেলায় আমাদের করণীয়।।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২৬



বর্তমানে জঙ্গি ও জঙ্গিবাদ সবচেয়ে আলোচিত দুটি শব্দ। কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা ঘটনা ঘটলে যে শব্দটি সবার আগে চলে আসে তার নাম জঙ্গি বা জঙ্গিবাদ। যখন ট্রাম্প কিংবা পুতিনের মুখে ধারাবাহিক বিরতি দিয়ে বার বার জঙ্গি শব্দটি উচ্চারিত হয় তখন ‍বুঝতে হবে জঙ্গি শব্দের আলাদা আলাদা ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। তবে জঙ্গি শব্দটি ব্যাপক প্রচারে জুনিয়র বুশের অবদান সব চাইতে বেশি। টুইন টাওয়ার হামলার পর সারা বিশ্বে জঙ্গি শব্দটি গড়ে মুসলমানদের উপর ব্যবহার হতে থাকেন। জঙ্গিবাদ প্রচারে বিলেতি টনি ব্লেয়ার কে বাদ দিলে প্রচারের অবদান অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। এখানে বলে রাখা ভাল, ‘জঙ্গি শব্দটি পশ্চিমাদের কর্তৃক মুসলমানদের জন্য খাস (নির্দিষ্ট) হয়ে গেছে।

একেক জন কর্তৃক জঙ্গি শব্দটি একেকভাবে ব্যবহৃত হলেও আমার কাছে যেটা মনে হয় তাহলো-‘যারা নিরহ জনগণের উপর হামলা চালিয়ে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে তারাই জঙ্গি”। এই জঙ্গি রাষ্ট্রের কোন ধর্মকামী হতে পারে অথবা নাস্তিকও হতে পারে এমন কি রাষ্ট্র নিজেও জঙ্গির কাতারে নাম লিখাতে পারে। রাষ্ট্রকে নাম লিখানোর পিছনে সরকার ড্রাইভারের কাজ করে।

এবার জঙ্গি শব্দটির একটু পোষ্ট মডেম করতে চাই।
জঙ্গি শব্দের ইংরেজী প্রতি শব্দ হলো Terrorist (সন্ত্রাসী)। আর জঙ্গিবাদের ইংরেজী প্রতি শব্দ হলো Militancy. সহজ বাংলায় বলতে গেলে জঙ্গী অর্থ যোদ্ধা বা জিহাদী।

কিন্তু অভিধানে ভিন্ন কথা বলা আছে। যেমন ইউকিপিডিয়াতে,
The English word militant is both an adjective and a noun, and is generally used to mean vigorously active, combative and aggressive, especially in support of a cause, as in "militant reformers.
(জঙ্গিবাদ শব্দটি ইংরেজী বিশেষ্য বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এবং ইহা সাধারণত জোরালো সক্রিয়, আক্রমণাত্মক এবং আক্রমণাত্মক কারণ সমর্থন অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, আর সে অর্থে ইহা "জঙ্গি বাদ” হিসেবে চিহ্নিত।)

অক্সফোড ডিকসনারীতে-
The use of confrontational or violent methods in support of a political or social cause.
‘there are signs of growing militancy among workers’
(একটি রাজনৈতিক বা সামাজিক কারণ সমর্থনে বা মুখোমুখি অবস্থানে (সহিংস) জঙ্গিবাদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
যেমন, শ্রমিকদের মধ্যে জঙ্গিবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে '

মারিয়াম ডিক্সনারীতে প্রায় একই ধরণের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। উপরে কিন্তু কোথাও জঙ্গিবাদের সমর্থণ হিসেবে মুসলমানদের নাম উল্লেখ নেই। বা কোন সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কথা বলা নেই। সে গোষ্ঠী হতে পারে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ কিংবা খ্রিষ্টান কিংবা নাস্তিক কিংবা কোন রাষ্ট্র।

জঙ্গিবাদ বলতে সাধারণত যারা প্রচলিত অস্ত্র কিংবা মারানাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে সাধারণ মানুষ কে হতাহত করে তাদের কে বুঝানো হয়। অথব যারা বল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায় অথবা প্রচলিত মতবাদ কে উপরে ফেলে নিজেদের মতবাদ কে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাদের কে ইঙ্গিত করা হয়। প্রাচীন কালে ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে হানাহানি ঘটলে তখন কিন্তু জঙ্গি শব্দটি ব্যবহৃত হয়নি; যেমনটা এখন ব্যবহার করা হয়।
প্রথম সুসংগঠিত জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিতি পায় ইহুদিদের সংগঠন হাগানাহ।

যখন টেরিওরিষ্ট বা টেরিজম বলা হয় তখন মানুষ এক মনে খারাপ বা খারাপ কাজকে অথবা সহিংস কাজ হিসেবে বুঝে নেয়। কিন্তু যখন জঙ্গিবাদ (Militancy.) বলা হবে তখন মানুষ দ্বিধায় পড়ে এবং জঙ্গিবাদ বলার পিছনে কারণ খুঁজতে থাকে। এই কারণ খুঁজা অযৌক্তিক নয়। কারণ বর্তমানে জঙ্গি বা জঙ্গিবাদ প্রতিপক্ষ কে দমন করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে। এই দমন করা রাষ্ট্র কর্তৃক বিরোধী দল হতে পারে কিংবা শক্তিশালী রাষ্ট্র কর্তৃক অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাষ্ট্রও হতে পারে, অথবা দীর্ঘ দিন ধরে দখল দারিত্বের স্বীকার হওয়া কোন ভূখন্ডের মানুষদের ক্ষেত্রেও আরোপিত শব্দ হতে পারে।

এখন প্রশ্ন আসে জঙ্গিবাদ আসলে মুসলমানদের নাম আগে চলে আসে কেন? উত্তর সহজ। মানুষ একদিকে যেমন চরম উন্নতীর শিখরে পৌঁছেছে, অপর দিকে তাদের ভিতরে জাতি বিদ্বেষ, পরস্পর ঘৃণা, মানুষে মানুষে চরম দ্বন্দ, ধর্মীয় রেশারেশি চরম মাত্রায় প্রকাশ পাচ্ছে। তাছাড়া ভূ-খন্ডগত দ্বন্দ, রেসিজম (বর্ণবাদ), অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণেও মানুষ পরস্পরের প্রতি সহিংস হচ্ছে। অন্য দিকে বৈশিক রাষ্ট্রগত পরস্পর প্রতিযোগিতাও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। অন্যান্য জাতি কর্তৃক এই হিংসার শিকার প্রধানত মুসলমানরাই বেশি হচ্ছে। তারা (আধিপত্য বাধীরা) মুসলমানদের উপর চালানো হিংসাত্মক কার্যকলাপকে জায়েজ করার জন্য একটি এডিটিং করা নির্দিষ্ট ছক এঁকেছে।সেই ছকে মুসলমানরা জঙ্গি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। এখানে আমি দেখাব জঙ্গিবাদ প্রচারে কোন কোন প্রভাবক ভূমিকা রাখে-


ধর্মগত- (ক) সমস্ত মুসলমান চিন্তা করে তারা একটি উম্মাহ। (খ) সমস্ত ইহুদিরা নিজেদের কে একটি ইউনিটি হিসেবে দেখে (গ) খ্রিস্টানরাও নিজেদের কে একই ছাতার অংশ মনে করে অর্থাৎ তারা কমিউনিটি। বৌদ্ধরাও একই। হিন্দুরা বাদ যাওয়ার কথা না। অর্থাৎ বিশ্বে বড় বড় ধর্ম অনুসারী একে অপরের সাথে মনস্তাত্বিক দ্বন্ধে লিপ্ত আছে। এমনো দেখা গেছে একই রাষ্ট্রে বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্মালম্ভাদীর মাঝে চরম ধর্ম বিদ্বেষ কাজ করে। সহিংস ঘটনার শত শত নজির আছে। ভারতে এরকম অনেক ঘটনার ফলে অনেক প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যান্য দেশেও ঘটছে। ইউরোপ আমেরিকা কিংবা লন্ডনে ধর্মগত মনস্তাত্বিক বিরোধ প্রবল আকারে ধারণ করছে। বিগত দিনে এনিয়ে ক্রুসেডও হয়েছে।

ভূ-খন্ডগত- ইউরোপিয়ানদের সাথে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষের চেতন ও অবচেতন রুপে মনস্তাত্বিক দ্বন্দ বিরাজ করছে। তেমনি এশিয়ার সাথে আফ্রিকার, আফ্রিকার সাথে আমেরিকার, আমেরিকার সাথে অস্টোলিয়ার জাতিভুক্ত মানুষদের একটা মনস্তাত্বিক দ্বন্ধ বিদ্যমান। ফলে-

বর্ণবাদ- বর্ণবাদী কারণেও মানুষদের মধ্যে এক ধরণের মনসতাত্বিক বিরোধ কাজ করে। এক্ষত্রে শ্বেতাঙ্গ- আর কৃষ্ণাঙ্গ বিরোধ প্রকৃত উদাহরণ। আমেরিকায় এ সমস্যা প্রকট।

ধনতান্ত্রিক বৈশ্বিক ব্যবস্থা- ধনবাদী বৈশ্বিক ব্যবস্থার কারণে মানুষের মধ্যে হিংসার বীজ বপন করছে। গরীব-ধনীদের মাঝে বিরাট পার্থক্যের কারণে মানুষের মাঝে মনসত্বাত্বিক দ্বন্দ সৃষ্টি হচ্ছে।



সাম্রজ্যবাদ- সাম্রজ্যবাদের কারণে অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাষ্ট্র সমূহের জনগণের মধ্যে বড় রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আক্রমণাত্মক আচরণ প্রকাশ করতে উৎসাহ যোগাচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে ভারত, আমেরিকা ইস্রাইল বিরোধী মনোভাব উল্লেখ করার মত, কিংবা মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের হিংসাত্মক কার্যকলাপের কারণে মানুষের মনে যে ঘৃণা জন্মেছে সেটিও দেখার মত।

মানবতার ফেরি: সাধারণত ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো নিজেধের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরণের সহিংস কাজ করে থাকে। তাদের এই সহিংস কাজ কে অনেক সময় লোক দেখানো মানবতা বলে প্রচার চালোনা হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন একই ধরণের আচরণ করতে চেষ্টা করে তখন তাদের কে সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী বা জঙ্গি হিসেবে প্রচারণা চালায়। এতে সংশ্লিষ্ট দেশের মানুষদের মাঝে আক্রমণকারী দেশের প্রতি ঘৃণার বিষবাষ্প ছড়ায়।

দখল দারিত্বঃ যেখানে দখল দারিত্ব আছে সেখানে মানুষের স্বাধীনতার পাওয়ার আকাঙ্খা কাজ করে। দখল দারিত্বের স্বীকার হওয়া কিংবা অবরুদ্ধ হওয়া মানুষ যখন স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য মুভমেন্ট (সংগ্রাম) করে তখন দখলদার রাষ্ট্র কর্তৃক সংগ্রামী মানুষদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে। যেমন 1971 সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিদের দৃষ্টিতে আমরা জঙ্গি ছিলাম! ইস্রারাইলীদের দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনের মুক্তকামী জনগণ জঙ্গি, ভারতের দৃষ্টিতে কাস্মিরের ‍মুক্তিকামী জনগণ জঙ্গী! ফিলিপাইনের চোখে মিন্দানাউ অধিবাসীরা জঙ্গি। তুরস্কের কাছে পিকিকে বা ওয়াইজিপি কিংবা কুর্দিরা জঙ্গি, অথবা চেচেনরা রাশিয়ার নিকট জঙ্গি। দখলদার রাষ্ট্র কর্তৃক এই ধরণের বালখিল্য ট্যাগের কারণে স্বাধীনতাকামী মানুষদের মাঝে দখলদার রাষ্ট্রের প্রতি চরম বিদ্বেষ উদয় হয়। তারা জঙ্গি কে ভিন্ন অর্থে বা স্বাধীন তা অর্থে দেখে।


বিরোধীদের দমনে- অনুন্নত কিংবা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে সরকার কর্তৃক বিরোধী দল দমনে মাঝেমধ্যে কোন রকম বাছ বিচার না করেই জঙ্গিবাদ শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে জঙ্গিবাদ সম্পর্কে মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে।

নব্য-আস্তিক নাস্তিক প্রচারণার দ্বন্দ: বর্তমানে আরেকটি সমস্যা প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। তাহলো নব্য নাস্তিকবাদের প্রচারণা। এই প্রচারণা চালাতে গিয়ে নাস্তিক্যবাদীরা ধর্মকামীদের বিশ্বাসে চাবুক মারছে। ফলে নাস্তিক্যবাদীদের প্রতি ধর্মকামীদের বিদ্বেষ বাড়ছে।

আটা বা ময়দা বা পাউটার যখন কেরাম বোর্ডে যায় তখন তার নাম হয়ে যায় বিট। জঙ্গিবাদ শব্দটি কখনো মুক্তিকামী বা কখনো দেশ প্রেমিক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। যেমন আফগানিস্তানে তালেবান বা আল কায়েদা যখন আমেরিকার কজ্বায় ছিলো তখন তারা স্বাধীনতা কামী বা দেশ প্রেমিক হিসেবে মিডিয়ায় প্রচারণা পেয়েছিলো। অন্যদিকে যথন তালেবান কিংবা আল কায়েদা আমেরিকার হাত থেকে ফসকে গেলো তখন তারা হয়ে গেল জঙ্গি। অর্থাৎ এখানে জঙ্গি শব্দটি দুটি প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত না হয়ে একটি প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে জাতী রাষ্ট্রগুলো তাদের সুবিধামত জঙ্গি শব্দটি ব্যবহার করেছে। এতে জঙ্গিবাদ নিয়ে মানুষ মনে হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

2য় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের (রাশিয়ার) মধ্যে দীর্ঘ দিন কোল্ড ওয়ার বা ঠান্ডা যুদ্ধ চলছিলো। কিন্তু নব্বই দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটলে বিশ্ব নেতৃত্বে আমেরিকা এককভাবে ফ্রন্ট লাইনে চলে আসে। তারা বিশ্বে একক মাতাব্বরি চালালে এক নায়কতান্ত্রিক কিছু দেশের সাথে চরম বিরোধ শুরু হয়। এই বিরোধে আমেরিকা সহ পাশ্চাত্য রাষ্ট্র সমূহ এগিয়ে থাকতে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের জিগির শুরু করে। এলক্ষে তার প্রচার মিডিয়াকে কাজে লাগান। অন্য দিকে যারা এক নায়কতান্ত্রিক ছিলো তারা পিছিয়ে পড়ে যান। কেননা তখন তারা প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্বে প্রচারাভিযানে পিছিয়ে ছিলো। কার্যত তাদের বড় রকমের শেল্টার দেওয়ার তেমন কেউ ছিলোনা। অন্যদিকে এক নায়কতান্ত্রিক সরকারের যেমন দোষ আছে ঠিক তেমনি গুনও আছে। আবার গণতন্ত্রেরও দোষ গুন উভয় আছে। কিন্তু প্রচার অভিযানের কারণে স্বাভাবিকভাবেই গণতন্ত্রের বুলি মানুষদের মনে গেঁথে যায়। তারা গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখেন। তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় পরবর্তীতে বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহে, আমেরিকা কর্তৃক পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

এভাবে একে একে যখন আমেরিকার ছোট ছোট রাষ্ট্রগত প্রতিদ্বন্দী শক্তিগুলো শেষ হতে থাকে তখন তারা ধর্মগত প্রতিষ্ঠিত শক্তি নিঃশেষ করতে তৎপর হয়ে উঠে। এই ধর্মগত শক্তির মধ্যে ইসলাম ধর্মলম্ভীদের তারা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে তাদের গণতন্ত্রের মত আরেকটি বুলি প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজন দেখা দেয়। সেই বুলির নাম হলো ‘জঙ্গিবাদ’। এই জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা এবং প্রচারণায় আমেরিকা ইস্রাইলসহ পাশ্চাত্য দেশ সমূহ তাদের শক্তিশালী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াকে কাজে লাগায়। তাদের দেখা দেখি আমাদের মত রাষ্ট্রের মিডিয়াগুলো ব্যাপক তাৎপর্য না বুঝে সেটি লুপে নেয়। ফলে ইসলাম ও মুসলমানদের পিছনে জঙ্গিবাদ শব্দটি গেঁথে যায়। এখানে লক্ষণীয় যে, এই সমস্ত মিডিয়া কিন্তু মায়ানমার কে জঙ্গি রাষ্ট্র বলছেনা, ইস্রাইল কে জঙ্গিরাষ্ট্র বলছেনা, কিংবা ভারত কে জঙি হিসেবে উপস্হাপন করছেনা। তারা জঙ্গি’র কাছাকাছি আরেকটি শব্দ ব্যবহার করে সেটি হলো দখলদার। এবার বুঝুন।


পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি জঙ্গিবাদের প্রচারণার শিকার মধ্যপ্রাচ্য। আল কায়েদা, আইএস সহ পশ্চিমা বিশ্ব যাদের কে জঙ্গি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করিয়েছে কিংবা পৃথিবীতে পরিচয় করে দিয়েছে তারা কিন্তু এই পশ্চিমা বিশ্বেরই সৃষ্টি। সিরিয়ার আইএসের উত্থানের পিছনে ইস্রাইল-আমেরিকার হাত আছে। এই সম্পর্কে অনেক স্পষ্ট প্রমাণ ও তথ্য আছে। সুতরাংং ঘটনা সম্পৃক্তকারী হিসেবে মুসলমানরা ঘাড়ে দায় নিলেও গডফাদার হিসেবে আমেরিকা, ইউরোপ, ইস্রাইলের সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে হবে।


পরিশেষে, যারা সাধারণ মানুষদের উপর হামলা করে রক্তারক্তি ঘটাচ্ছে তাদের সু-পথে ফিরে আসতে হবে। জঙ্গিবাদের প্রচার মোকাবেলায় আনাদের কে আরো সজাগ থাকতে হবে। অশুভ শক্তির বিলোপ ঘটিয়ে পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।

ছবি: গুগল।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

শাহ আজিজ বলেছেন: এম বি এস'র মার্কিন সফরে নিশ্চিত করা গেছে প্রচলিত আরব জঙ্গিদের দিন শেষ । সাল্মানের বিপরীত রাজপুত্ররা কোন পরিকল্পনা নিলে নতুন কেউ জন্ম নেবে । মোট কথা জঙ্গিবাদের নিস্পত্তি হচ্ছে না।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জঙ্গিবাদের নিষ্পত্তি হলে পৃথিবীর মানুষের জন্য মঙ্গল কর হতো। কিন্তু আমেরিকা, ইস্রাইল সৌদ গংরা জঙ্গিবাদ নিষ্পত্তি করতে দিবেনা। সৌদিদের ইয়ামেনে বোমা মেরে নিরীহ মানুষ হত্যা করা বন্ধ করতে হবে।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া),




ভালো লেখা ।
পৃথিবীতে শান্তি ফিরুক আর না ফিরুক , এই এডিটিং করা জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করতে হবে একসাথে ।



০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভালো লিখতে পারি কিনা তা জানিনা, কিন্তু আপনাদের মন্তব্যে সত্যি উৎসাহবোধ করি।

জঙ্গিবাদের গোড়া চিহ্নিত করে তার মূল সমূলে উৎখাত করতে হবে। তা না হলে সাধারণের রক্ত ঝড়বে।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: জঙ্গিবাদ সারা দুনিয়ার জন্য এখন একটা আতঙ্কের নাম, এখন সবাই এক সাথে জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করতে হবে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমেরিকা-ইস্রাইল কর্তৃক সৃষ্ট দানব এখন নেতিয়ে পড়লেও তারা নতুন কোন দানব সৃষ্টি করে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। আমাদের সাবধান হতে হবে।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এডিটিং করা জঙ্গীবাদ এখন পুরো পৃথিবীর জন্যই বিষফোঁড়া। সবাই মিলে এর মূলোৎপাটন করতে হবে। ইসলামেও জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ইসলাম নিরস্ত্র মানুষের উপর হামলা সমর্থন করেনা। আইএস আম্রিকার সৃষ্টি। অস্ত্র সরবরাহকারী ইস্রাইল।

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


জংগীবাদের মুল কারণ অর্থনৈ্তিক ও শিক্ষার অভাব; বিশ্ব সেইদিকে সমাধান খুঁজছে না এখনো

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে তার ৯৯ পারসেন্ট শিক্ষিত। আইএসের বিদেশী যোদ্ধারা ছিল উচ্চ শিক্ষিত। আর তাদের প্রত্যেকে ছিল ধনী পরিবারের সন্তান।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

ইনাম আহমদ বলেছেন: আপনার মতে, মুসলিম দেশগুলোতে ক্রমাগত বাড়তে থাকা চরমপন্থা, সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ এগুলো সব পাশ্চাত্যের 'এডিট' করা? এর পেছনে মুসলিম সমাজের অাভ্যন্তরীন কোনও ত্রুটি নেই???

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মুসলমানদের রাজনৈতিক কোন্দল আমিরে মোয়াবিয়া (রা.) শুরু করেন। সেই শুরুর পর বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মগত শুদ্ধাচার নিয়ে দ্বন্দ শুরু হয়। ফলে খারিজি, শিয়া, সুন্নি, রাফেয়ী প্রভূতি গ্রুপ সৃষ্টি হয়। এই গ্রুপ থাকার কারণে পাশ্চাত্যের ছক বাস্তবায়ন করা সহজ হচ্ছে। জঙ্গিবাদের দায় মুসলমমান এড়িয়ে যেতে পারেনা। তবে জঙ্গিবাদে মুসলমানরা পাশ্চাত্য থেকে বেশি শিকার হয়েছে।

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত মনে হয় জঙ্গিবাদ(পাশ্চাত্যের সঙ্গানুযায়ী) কমবে না। তবে ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে হয়তো আবার অন্য কোন দেশে(ইয়েমেন, মায়ানমার) মুসলিমদের নিয়ে সমস্যা হবে। তখন আবার হামলা হবে। আবার বলা হবে জঙ্গি। ওদিকে সৌদি আরবের সংস্কার অনেক কট্টরপন্থীর পছন্দ না হলে তারাও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়তে পারে...

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বিশ্বে অস্হিরতা তৈরী করে রাখতে আমেরিকা, পশ্চিমা বিশ্ব নতুন নতুন চক্রান্ত পাকায়। অনুন্নত দেশ সাথে সাথে বুঝতে পারেনা। তবে পঞ্চাশ কিংবা একশো বছর পর কোন কারণে নথি প্রকাশ পেলে তা বেড়িয়ে আসে। মধ্যপ্রাচ্যে এরা অস্হিরতা তৈরী করে রেখেছে অস্ত্র ব্যবসার জন্য, তেল, ফেল কিছুনা। তাদের সূত্র হলো আমাদের কাছে তেল বিক্রি করে ডলার নাও, সে ডলার দিয়ে আমাদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনো। তাহলে তেল পাব, ডলারও ফেরত পাবো, সাথে ব্যবসা হবে।

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১১

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: আপনার লেখাটির খুব ভাল লাগল।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দেশে প্রচুর পরিমাণ বেকার ছেলে আছে, যারা নতুন কিছুতে করতে মরিয়া। কিন্তু তারা যদি কাজ না পায় তাহলে আমাদের কে খারাপ কিছু হাতছানি দিবে।

আপনার গতিবিধি সন্দেহজনক :P

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।।

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫২

প্রামানিক বলেছেন: অতি উৎসাহী কিছু মুসলমান আর পশ্চিমাদের বাড়াবাড়ির কারণে আজ পুরো মুসলিম সমাজ বিপদে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এই বিপদের কারণ অত্যন্ত শক্ত। বিপদ সৃষ্টকারী গড ফাদারদের আসল মুখ প্রকাশিত না হলে সামনে আরো খারাপি অপেক্ষা করবে।

ধন্যবাদ।।

১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আগা থেকে গোঁড়া পর্যন্ত আলোচনা করেছেন।
রাষ্ট্রকে নাম লিখানোর পিছনে সরকার ড্রাইভারের কাজ করে,,,,,,,,আমাদের সরকারও জংগী জংগী বলে ভালো সাজতে চাই পশ্চিমাদের কাছে। আশংকা করছিলাম হিতে বিপরীত না হয়ে যায়।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সরকার যা কিছু করছে তার উপর জনগণ পূর্ণ নজর রাখছে। তাছাড়া সরকার ধূয়াসা সৃষ্টি করে রেখেছে। কখনো বলছে দেশে জঙ্গি নাই, আবার কিছুক্ষণ পর জঙ্গি হত্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে!

জঙিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের এখনি গাইড লাইন ঠিক করতে হবে।

১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আফগানিস্তানে ১০১ শিশু হত্যার খবরটি কি বানোয়াট? আমি কয়েকটি দৈনিকে আজকে খুঁজলাম কিন্তু পেলাম না এমন কোনো খবর চোখে পড়েনি। তাহলে ফেসবুকে এতো লেখার ভিত্তি কী?

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: খবর সত্য। আমেরিকা অনুগত সরকার ছোট ছোট বাচ্ছাদের মেরে বলছে জঙ্গিদের মেরেছি। কত বড় কসাই।

১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩০

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো লিখাটা। ভাইরে যে ভাবে ইউজ করে শব্দটি সেভাবেই তার পরিপূরক হয়ে উঠে। আর সাথে মিডিয়া!!! যেভাবে খাওয়াবে সেভাবে খাবো আমরা...............

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মিডিয়া এখন আমাদের কে অনেক কিছু গিলাচ্ছে। তারা আমাদের প্রত্যহ জীবনের গাইড লাইন ঠিক করে দিচ্ছে। এতে বড় বড় জাতি রাষ্ট্র সমূহ বেনিফিশায়ারী হলেও আমরা ঠকছি।

১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: আপনার গতিবিধি সন্দেহজনক

ভাই আপনার কেন এমন মনে হল?

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার সাথে ফান করেছি। মন্তব্যে ফানের হিপ্রে প্রদর্শিত হচ্ছে। ভুল বুঝবেনা না।

ধন্যবাদ।।

১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০০

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: ভুল বোঝার কোন প্রশ্নই আসে না। আপনার লেখা আমার ভাল লাগে গত দুই বছর ধরে ব্লগে আছি, আপনাদের অনেকের লেখা সত্যি মান-সম্মত।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।।

১৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

ক্স বলেছেন: রাজীব নূর, খবরটি ১০০% সত্যি। কিন্তু কোন পত্রিকায় কেন খবরটি দেখেননি, জানতে হলে ঘুরে আসুন আমার ব্লগ পেইজে
কেন পত্রিকায় আসেনি

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ। আমাদের দেশেও দুই একটি জাতীয় নিউজে দিয়েছে

[link|এখানে দেখুন।

১৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: খবর সত্য। আমেরিকা অনুগত সরকার ছোট ছোট বাচ্ছাদের মেরে বলছে জঙ্গিদের মেরেছি। কত বড় কসাই।

আমাদের দেশের কোনো পত্রপত্রিকায় আসে নাই নিউজ টা।
আল জাজিরাতে এসেছে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমাদের দেশে 'দৈনিক ইত্তেফাকে' নিউজটা পরপর দুইদিন দিছে। ১১ নং মন্তব্যের উত্তরে ক্লিক করুন।

অথবা এখানে ক্লিক করুন

১৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

ইউনিয়ন বলেছেন: nice post.

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ

১৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এইসব অনর্থক যুদ্ধের পিছে যা খরচ হয় সেগুলা অনেক ভালো কাজে ব্যয় করা যেত।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কিন্তু মোড়লদের সে কথা কে বুঝাবে।

১৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

শূন্যনীড় বলেছেন: পোষ্টটি অনেক বড় হলেও খুব দরকারি বর্তমান বিশ্বে
ভালো লাগলো আপনার পরামর্শ গুলো।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বর্তমান বিশ্বে ধর্ম কর্ম বড় কোন সমস্যা না। সমস্যা হলো পুঁজিবাদ আর ক্ষমতার দ্বন্দ।

২০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৫৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধর্মের প্রতি সহনশীলতা, দিকটির মূল্যায়ন কিভাবে করছেন?
(জানতে চাই)
আমার মনে হয় পরিকল্পিত ভাবে ধর্মকে আঘাত করে মানুষের
মানসিক ভারসাম্য নস্ট করার প্রচেষ্টা আগেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বর্তমানে ধর্ম কোন বড় ফ্যাক্ট হতে পারেনা। ফ্যাক্ট হচ্ছে পুঁজিবাদ, বিশ্ব মোড়লদের ন্যকামিপনা। এক ধর্মের মানুষ আরেক ধর্মের প্রতি হুমকি নয়। হুমকি হচ্ছে উগ্রবাদীতা। কম বেশি প্রত্যেক ধর্মে একটি উগ্রবাদী গ্রুপ আছে যারা বিপরীত ধর্মকামীদের সহ্য করতে পারেনা। এটা তৃতীয় বিশ্বে যেমন আছে উন্নত বিশ্বেও ঠিক আছে। কিন্তু সাধারণ ধর্মকামীরা পরস্পরের প্রতি সহনশীল।

তবে বর্তমানে আরেকটি সমস্যা প্রকট আকার দেখা দিয়েছে। সেটি হলো নাস্তিক-আস্তিক দ্বন্দ।

২১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:০৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আগের মন্তব্যে, "আমার মনে হয়" হবে।
দুঃখিত :)

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জি, বুঝতে পেরেছি।

২২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

নতুন বলেছেন: আমেরিকা তার সম্রাজ্যের অাধিপত্তি বজায় রাখতে এই জঙ্গী আইডিয়া বেশি ব্যবহার করতেছে।

কিন্তু মুসলিমরাও কিন্তু এই রকমের জিহাদী আইডিয়াকে পছন্দ করে তাই মিডিয়াও সেটা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারছে।

মানুষ হত্যা কখনোই কেউ সমথ`ন করতে পারেনা। কিন্তু অনেক মুসলিমও কিন্তু বিধমীদের হত্যা করা হলে খুশি প্রকাশ করে।

উদাহরন:: ড: জাফর ইকবালের উপরে হামলার সমথ`নে হাজার কমেন্ট পাবেন ফেসবুক/পত্রিকার নিউজের মন্তব্যের ঘরে।

মুসলিম বিশ্বের উচিত হবে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে মিডিয়াতে আরো জোরালো মত রাখা এবং মিথ্যা গুলির বিরুদ্ধে প্রচার করা।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ইসলাম অনুসারীরা এখন বেশিরভাগ বিক্ষিপ্তভাবে আছে। তারা বেনিয়াদের চক্রান্ত মোকাবেলা করার জন্য সঠিক কর্মপন্থা ঠিক করতে পারছেনা। তাদের কেন্দ্রীয় দিক নির্দেশনা নেই। ফলে তারা বিভিন্ন প্রচারণার চেতন অবচেতন মনে পা দিচ্ছে।

জাফর ইকবাল ইসলামের জন্য কোন সমস্যা না। বিভিন্ন যুগে এরকম জাফর ইকবাল এসেছে এবং আসতে থাকবে। কিন্তু ইস্লাম ইসলামের জায়গায় বহাল থাকবে। কেননা ইসলামের ম্যানুয়াল (কুরান) কেউ কখনো পরিবর্তণ করতে পারবেনা।

অনলাইনে যারা জাফর ইকবাল স্যারেএ হামলা নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছে তারা জাফর ইকবাল বা এই ধরণের ব্যক্তিদের নিয়ে হতাশায় ভোগেন। জাফর স্যারেরা যখন বিপদে পড়েন তখন তাদের হতাশা ব্যক্ত করেন। তবে জাফর স্যারদের মানুষের মনে কোন রকম হতাশা তৈরী না করাই উত্তম।

স্যারদের উচিৎ হবে মানুষদের শিক্ষা দীক্ষা নিয়ে কথা বলা, মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে কথা বলা। মানুষ সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হলে নিজে থেকেই চেতনাধারী হবে, প্রগতিশীল হবে। তখন আর স্যারদের মানুষ কে হতাশায় ফেলতে হবেনা। মানুষ নিজে থেকেই স্যারদের স্যালুট দিবে।

২৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। বিশ্বের সমস্যা গুলো ঘাটাঘাটি করলে দেখা যাবে পুজিবাদের কোন না কোন ভূমিকা আছেই। মানুষ যাতে এইসব শয়তান লোকদের দোষ দিতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন বাহানা সৃষ্টি করে দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে রাখে। আর ভিক্টিম হই আমরা সাধারণ মানুষ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পুঁজিবাদীরা বিভিন্ন রকম টোপ দিচ্ছে। আমরা না বুঝে সেই টোপ গিলছি। তাই আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

২৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আলোচনাটি ভাল লেগেছে। + +

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: উৎসাহ প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.