নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধূমপানের সাতকাহন এবং তামাক জাতীয় দ্রব্যে মালী\'য় বাজেটে অতিরিক্ত কর আরোপ।।।

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪



আমি সিগারেট খাইনা। হলফ করে বলতে পারি কেউ কখনো খাইতে দেখেনি। কিন্তু আমার পরিচিত লিষ্টে অনেকে আছেন যারা সিগারেট খান। আমাদের দেশে সিগারেট যারা খায় তাদের অনেক আদব, কায়দা নিয়ম-কানুন লপ্ত করতে হয়। বলতে পারেন, এগুলো তাদের শেখা বাধ্যতামূলক। এই যেমন: বড়দের সামনে ছোটরা খায়না। অপর পক্ষে বড়রা কিন্তু ঠিকই ছোটদের সামনে খায়। অর্থাৎ সিগারেট খাওয়ার ব্যাপক স্বাধীনতা অর্জণ করতে হলে বয়স বাড়া বাঞ্ছনীয়। এমনো ফ্যামিলি আছে যারা বাপ-পুত্র দু'জনেই সিগারেট খায় এবং এই বিষয়টা তারা উভয়েই জানে কিন্তু খাওয়ার সময় যে যার পথে থাকেন। স্কুল,কলেজ এবং ভার্সিটি পড়ুয়া অনেক ছেলে মেয়ে আছে যারা সিগারেট খায় কিন্তু তাদের কোন নিজস্ব ইনকাম নেই, তারা বাপের থেকে টাকা এনে সিগারেটে আগুন দেয়। বাবাও বিষয়টি জানেন কিন্তু এই জানার বিষয়টি নিজেরর মধ্যে লুকিয়ে রাখেন। এখানে দেখা যাচ্ছে যে, সন্তানের সিগারেট খাওয়া বাবার কাছে অনিচ্ছাবশত আত্মস্বীকৃত।

ছোটরা প্রথম প্রথম সিগারেট ফুঁকলে আর অভিভাবকরা তা দেখে ফেললে তারা মনে করেরে এটা সন্তান বখে যাওয়ার প্রথম ধাপ!

অনেকের সিগারেটের হাতেখড়ি হয় বাবার পকেট থেকে দু'চারটা চুরি করে খাওয়ার পর। আর সিগারেট যারা খায় তারা খাওয়ার সময় লেভেল মেনটেইন করে চলেন। আপনি নতুন কোন এলাকায় যাবেন এবং সেখানে একটি সার্কেল তৈরি করতে চান তাহলে আপনার জন্য সিগারেট সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।

ধূমপান করার প্রথম অবস্হায় বা শিক্ষানবিশককালীন সময়ে সহপাঠীরা সম্পূর্ণ ফ্রিতে খেতে দেন। কিন্তু খাওয়া শেষ হলে তখন এই অফারের টাইম শেষ হয়ে যায়! বলতে পারেন এটা স্মোকার কর্তৃক এক ধরণের মার্কেটিং!


দুজন স্মুকারের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্পর্ক গড়ে উঠে তত তাড়াতাড়ি কিন্তু দু'জন সাধারণ মানুষের মধ্যে গড়ে উঠেনা। স্মোকারের সম্পর্ক শুরু হয় "ভাই ম্যাচ আছে" এই কথা বলে আর সম্পর্ক গাঢ় হয় আগুণ বিণিময়ের মধ্য দিয়ে। স্মোকারদের মধ্যে কে কত দামি সিগারেট খান তা দিয়ে তাদের মধ্যে স্টাটাস নির্ধারিত হয়।

অনেক মেয়ের ধারণা ছেলেরা প্রেমে ছ্যাকা খাইলে সিগারেট খায়! আসলে এই কথার ঐতিহাসিক কোন ভিত্তি নাই। এটি ছেলে সম্পর্কে মেয়েদের কু-সংস্কার। বর্তমানে অনেক মেয়ে বিশ্বাস করে ছেলেরা সিগারেট খেলে স্মার্টনেস বাড়ে! এগুলো ফালতু কথা, এগুলো সিগারেট কোম্পানির প্রচারণার ফল।

একটি কলা কম্বিকালেও দুই তিন জন ছেলে ভাগ করে খাবেনা না কিন্তু একটি সিগারেট দুই তিন জনে অনায়সে শেয়ার করে টানেন।

ফ্রেন্ডদের মধ্যে অনেকে সিগারেট খায় হয়ত দু'একজন সিগারেট খায়না। তবে সবাই যখন মিলিত হয় তখন স্মোকারা আরাম করে সিগারেট ফুঁকতে থাকেন। আর যে দু' চারিজন খায়না তারা চেয়ে চেয়ে দেখেন। এযেন চরম বৈষম্য! তয় মাঝেমধ্যে নন স্মোকারদের প্রতি স্মোকারদের করুণা করতে দেখা যায় হাতে দু'চারটি চকলেট ধরিয়ে দিয়ে।।

অনেকে বলে থাকেন ছেলেরা দুখ কষ্ট ভুলার জন্য সিগারেট ফুঁকেন এবং তাদের প্রতিটি টানের মাধ্যমে সুখলাভ করেন, কেউ কেউ আত্মভোলাও হন এবং ধূয়া ছাড়ার মাধ্যমে কষ্টকে বিদায় জানাতে চেষ্টা করেন।

একদিন উত্তরায় দিয়াবাড়ি গেছিলাম ঘুরতে। সাথে আমার স্ত্রী আছে। এক পর্যায়ে একটি সুন্দর এবং স্মার্ট মেয়ে এসে বলল, হ্যাভ এনি ম্যাচ? আমি তার কথা কিছুই বুঝেনি। ক্রিকেটের ম্যাচ, নাকি তার সাথে আমার বা অন্য কারো ম্যাচ বা ম্যাচিং এর কথা বলছেনা কিনা কে জানে! আমি শুধু "নো"... বলে দায়িত্ব শেষ করেছি। পরে ফেরার পথে মেয়েটিকে দেখলাম নির্লুপ্ত ভঙ্গিতে সিগারেট টানছে।

সিগারেট খাওয়ার মধ্যেও আর্ট বা শিল্প আছে। সবাই একই স্টাইলে টানলেও সিগারেট ধরার মধ্যে কিছুটা বৈচিত্র আছে। অনেকে ধূয়া ছাড়ার সময় বিভিন্ন কসরত দেখান। নাক এবং মুখ দিয়ে ধূয়া ছাড়ার সময়- ধূয়া দিয়ে বিভিন্ন বিমূর্ত ছবি আঁকেন।


ধর্মীয় নেতা ছাড়া বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়ক বা ঐতিহাসিক লিডারগণ ধূমপায়ী ছিলেন। এ তালিকায় আমাদের বঙ্গবন্ধুও আছেন! অনেক ঐতিহাসিক লেখক, নাট্যকার এবং গল্পকার সিগারেট ফুঁকতেন। তাদের লেখায় সেগুলোর বিভিন্ন আঙ্গিকে উল্লেখ আছে। তারা আকারে ইঙ্গিতে বুঝাতে চেয়েছেন সিগারেট খাওয়া তেমন ক্ষতিকর কোন বিষয় নয়। পুরুষদের অনেক ক্ষেত্রে সিগারেট খাওয়া জায়েজ!

সিগারেট এমন একটা পন্য যার লেভেলে সরকারী আদেশে কোম্পানি কর্তৃক ক্ষতিকর দিকটা উল্লেখ থাকে। আমরা তা জেনেও খাই! এবং সরকার তা জেনেও লাইসেন্স দেয়!

টিভিতে একই সাথে বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃক সিগারেট পন্যের প্রচার এবং একই সাথে বিভিন্ন মানব সম্পদ উন্নয়ন সংস্হা বা দাতব্য সংস্হা কর্তৃক সচেতনতমুলক বিজ্ঞাপন চলতে থাকে অর্থাৎ এক্ষেত্রে নিউটনের তৃতীয় সূত্র মেনে চলে!

এদেশে এরকম অনেক নজির আছে, যেখানে ঘুষ হিসেবে অফিসার কে সিগারেট দিতে হয়েছে।

ফ্রন্ট লাইনে সাধারণ সৈনিকরা সিনিয়র অফিসারদের সামনে সিগারেট টানতে পারেন অর্থাৎ এখানে লেভেল ভাঙ্গা জায়েজ!
জর্দা, গুল, এবং সিগারেট একই সমগোত্রীয় (তামাক জাতীয়) হলেও যারা শুধু পান খায় অথচ সিগারেট খায়না তারা এই ব্যাপারটা মানতে নারাজ। তাদের যুক্তি হলো সিগারেট আগুন দিয়ে খায় আর পান চিবিয়ে। যেহেতু আগুন দিয়ে খায় তাই সেটি শয়তানের কাজ! এবং এটি জাহান্নামিদের প্রতীক! জর্দ্দা খোরদের এই যুক্তি খণ্ডানোর জন্য স্মোকারা নতুন একটি স্লোগান আবিষ্কার করছে, "আমরা খাইলে পাপ, আর হুজুরা খাইলে মাপ!"

প্রতেক বছর বাজেট ঘোষণা হয়, নতুন বছরের বাজেটে তামাক জাতীয় দ্রব্যের উপর অতিরিক্ত সারচার্জ বা কর আরোপ করা হয়! এবিষয়ে পত্র পত্রিকা বা পাব্লিক রি-এ্যাকশন অনেকটা নিরব থাকে। এনিয়ে নন স্মোকারা মনে মনে কিঞ্চিৎ খুশিও হন। এখানে খুশি হওয়ার কিছু নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় কোন পণ্যের দাম বাড়া মানে পরিবারের উপর অতিরিক্ত চাপ বাড়া। সিগারেট দাম বাড়ছে মানে এই নয় যে বাড়ির কর্তার বেতন বাড়বে। আর বেতন না বাড়লে যে টাকা বেতন পায় সে টাকার মধ্যেই ধূম পানের খরচ মেন্টেইন করতে হয়। তামাক জাতীয় পন্যের দাম বাড়ার কারণে কেউ ধূমপান কমিয়ে দিয়েছে বা ছেড়ে দিয়েছে এমন কোন নজির পৃথিবীতে নেই। সব ধূমপায়ী এক হয়ে যদি জোড়ালো দাবি তোলে বা শাহবাগে জমায়েত হয় তাহলে সরকার মহোদয় দাম বাড়াবে তো দূরের কথা, দাম কমাতে বাধ্য। এরকম হলে মাল সাহেব দাম বাড়ানোর জন্য দু' হাত জোড় করে ক্ষমা চাইবেন। ভবিষ্যৎে এমন হবেনা বলেও ওয়াদা করবেন। ধূমপায়ীরা এক হয়ে যদি আন্দোলন করেন তাহলে যেকোনো সময় সরকার পতন ঘটানো সম্ভব!

পরিশেষে, ধূমপান থেকে দূরে থাকুন, ধূমপান স্বাস্হ্যের জন্য ক্ষতিকর, এবং শিশুদের সামনে কখনো ধূমপান করবেন না।
সর্তকতা: মেয়েরা গর্ভাবস্হায় ধূম পান করবেন না।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথার কিছু মারপ্যাচ আছে !
কাঠ মিস্ত্রীরা যেখানে সেগুন কাঠ
সেখানে হাত রেখে বলে আল্লাহর কসম
এটা সেগুন কাঠ! বিশ্বাস না করে উপায় নাই
কারন আল্লাহর কসক কেটে বলেছে!

আমি সিগারেট খাইনা, হলফ করে বলতে পারি কেউ খেতে দেখনি!!
জনাব, কেউ কোনদিন সিগারেট খেতে পারেনা, এটা হলফ করে বলার দরকার নাই,
তবে আমি আমার ছোট ভাইকে খাওয়াইয়া ছিলাম সিগারেট, কি প্রক্রিয়ায় তা হয়তো
বলার প্রয়োজন নাই।

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: হাহা... ভাই। জবানে কইতেছি আমি সিগারেট খাইনা। তবে মাল কর্তৃক তামাক জাতীয় পণ্যে অতিরিক্ত কর আরোপ মেনে নিতে পারছিনা। যারা স্মোকার তারা কেউ না কেউ আমাদের ভাই, পিতা, আত্মীয় স্বজন। যেখানে মাল নিজে পান, জর্দ্দা খান সেখানে তার ব্যাপারটা বুঝা উচিৎ।

২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৭

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: এহেন সূক্ষ্ম খোঁচায় কিঞ্চিৎ বিনোদিত হইলেও তেব্র প্রতিবাদ জানাইতেছি.......সমস্ত ধূমসেবীরা এক হইলে আপনাদের মত ধূমবিদ্বেষীরা লুঙ্গী গুটাইয়া পালাইবার সুযোগ পাইবেন না......তথাপি শলাকাপ্রেমীরা আপনাদের বহিষ্কার করে নাই- কারণ দুনিয়াবী ভ্রাতৃপ্রেম তাহাদিগের মধ্যেই প্রবল আর তাহারা ইহার মর্ম শলাকায় শলাকায় বুঝিয়া থাকেন =p~

.......তাদের অনেক আদব, কায়দা নিয়ম-কানুন লপ্ত করতে হয়
খুবই সত্যি কথা......প্রথম প্রথম খেতে গিয়ে সবাই ভুল করে- সে যত তুচ্ছই হোক না কেন কিংবা "সেবক/সেবিকা" যত মডার্ন জেনারেশনই হোক না কেন! প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ভুলেরও বিবর্তন ঘটে হয়তো :P........আর আদব-কায়দা রক্ষা করতে গিয়ে খোরদের কত ধূমায়িত শলাকা যে চোখের জলে অকস্মাৎ অকপটে বিসর্জন দিতে হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই- এমনও হয়েছে যে দোকানে বসে ভাতিজা মাত্র সুখটান দিয়েছে, অমনি মুরুব্বিও এসে ভাতিজাকে দেখেও ঠিকই পিছনে দাঁড়িয়ে ধূম্রশলাকায় ডুবে গেছে- মুরুব্বিও ত্যাঁদড় কম না- সব বুঝেও নিজেরটা ফেলেনি কিন্তু ভাতিজা বেচারা অল্প রোজগারের টাকার বিনোদনটা পায়ে পিষে ফেলেছে!!.......আবার বিড়ির মায়ায় উল্টো আদবের জলাঞ্জলি দিয়েছে এমন 'জানেমান'ও ইতিহাসে আছে :D

...... ছেলেরা দুখ কষ্ট ভুলার জন্য সিগারেট ফুঁকেন.......ধূয়া ছাড়ার মাধ্যমে কষ্টকে বিদায় জানাতে চেষ্টা করেন
বলেছে আপনাকে! দু:খ-কষ্টের কি আর খেয়েদেয়ে কোন কাজ নেই যে সারাক্ষণ ধূমপ্রেমীদের জড়িয়ে ধরে রাখে? X(( ........এটা একটা আর্ট- মানুষ দু:খেও ভোলার জন্য খায়- খুশিতেও সেলিব্রেশনের জন্য খায়!!

"আমরা খাইলে পাপ, আর হুজুরা খাইলে মাপ!"
এই নির্মম বাস্তবতাটা জানতাম না..........বিড়িখোর জিন্দাবাদ, জর্দাখোর মুর্দাবাদ :D

পরিশেষে আমিও বলি ধূম্রপান ক্ষতিকর- পরিবেশের জন্য, অধূমপায়ীদের জন্য, ফসলি জমির জন্য......এটা বর্জনীয় ;) ........আর পোষ্টে ধূমায়িত শুভেচ্ছা থাকল- শলাকার না- গরম দুধ চা'র =p~

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: নন স্মোকার পুরুষদের উচিৎ স্মোকার পুরুষদের সন্মান জানানো। আর মেয়েরা উল্টোটা করবে। ভাই আপনাকে সালাম, দয়া করে লুঙ্গী খুলতে যাবেন না। সংখ্যালঘু নির্যাতন করবেন না। আমার মনে হয় প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে ধূমপায়ীদের সংখ্যা অধিক। তবে ধূমপায়ীদের মধ্যে আদব কায়দা প্রতিষ্ঠিত না হলে এতোদিন নিজেরা নিজেরা মারামারি করে তারা শেষ হয়ে যাওয়ার পথে থাকত। এতে নন স্মোকারদের লাভ হত। একজন মানুষ কে ধূমপান করা অবস্হায় সবচেয়ে বেশি সুখী দেখা যায় আবার সবচেয়ে বেশি দুখীও। ধূমপান নিয়ে হুজুরা ম্যাওপ্যাও করলেও জোড়ালো কোন ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। তারা সময়ে অসয়ে কিছু ম্যাও প্যাও করেন এই যা।

ধন্যবাদ।

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

কিশোর মাইনু বলেছেন: স্মোকার না হয়েও আপনি যেভাবে ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন এবং ফুটিয়ে তুলেছেন,এই উপলক্ষ্যে আপনাকে ১প্যাকেট মালবোরো পুরস্কার দেওয়া হোক।সরি,আপনি তো খান না,তাহলে?!?!?
আইচ্ছা,সমস্য নাই,৪/৫টা সেন্টার ফ্রেশ দিতাছি।

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: স্মোকারদের কষ্ট আমরা বুঝি, সেই জন্যে এই পোষ্টের অবতারণা। আপনার সেন্টার ফ্রেশ পেয়ে খুশি খুশি লাগতেছে। এই নেন এক প্যাকেট আকিজ বিড়ি, একটা সুখ টান দেন।

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) ,



ঠিকই ধূমপানের সাতকাহন হয়েছে ।

তামাক জাতীয় জিনিষের উপর ট্যাক্স তো বাড়বেই । শত দাম বাড়ার পরেও তামাক সেবনকারীর সংখ্যা আজ পর্যন্ত কিন্তু কমেনি বরং কয়েকগুন বেড়েছে । অন্য কোথাও না থাকলেও এই ব্যাপারে মাল সাহেবের মাথায় যে ঘিলু আছে তা স্পষ্ট । কারন এখাতে সরকারের লুটেপুটে খাবার জন্যে বেশি বেশি কর আদায়কৃত টাকার অনিঃশেষিত একটি সোর্স আছে । এটা কখনও বাড়বে বই কমবেনা । :) লে হালুয়া ................... :-P

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সরকার ভালো করে জানে তামাকে কর বসালে কোন প্রতিক্রিয়া হবে না। আর প্রতিক্রিয়া হলেই বা কি! সরকার কোন ক্রিয়ার ধারধারেনা। তাদের চাই টাকা, সেটি যেভাবেই হউক।

কোন কিছুর উপর (সেটা যা হউক না কেন) কর আরোপ করলে সেটা জনগণকেই বহন করতে হয়। এর সামগ্রিক প্রভাব সাধারণ জনগণের উপর পড়ে।

ছবি দেইখা মনে হইতেছে কাক্কুও মাঝেমধ্যে টানটুন দেয়।।

৫| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: ধূমপান খুবই খারাপ জিনিস। ৮ বছর হল ত্যাগ করেছি। কিন্তু এখনো দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে যায় যে - " সিগারেট খেয়েছি আর সেটা বৌ জানতে পেরে গেছে।"

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সিগারেট খাওয়া ক্ষতিকর, সেটা আর্থিক কিংবা শারীরিক উভয়েই।
ভাইজান বউয়ের ডরে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন! তয় ভাবীজান কিছু কইছিলো নাকি? মানে টর্চার, ইয়ে মানে খুন্তির ছ্যাকাট্যাকা।

সিগারেট ছাড়ার জন্য ধন্যবাদ।। এই নেন আপনার জন্য ললীপপ। ইফতারের পরে প্রাণ ভরে টানবেন।।

৬| ০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভাই, সিগ্রেটখোর না হয়েও এক্কেবারে পার্ফেক্ট ছবি এঁকেছেন। বুঝতে পার্ছি আপনার খুব কাছের বন্ধুরা বিড়ি খায়। আমিও আপ্নের দলেই আছি। ওই য চকোলেট/লজেন্স ধরিয়ে দেওয়ার যে কথা লিখেছেন, এইডা পইড়া হাস্তে হাস্তে খুন! আিমি প্রতিনিয়ত এই থেরাপির শিকার হই =p~

অট: কাইলক্যা আর আইজকা সামুতে যে কয়খান মারাত্মক লেখা পর্লাম, সব পয়সা উশুল।
ভালো থাইকেন।

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সিগারেট খোড়দের সমাজে কেউ সেভাবে খারাপ চোখে দেখেনা। তারা সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছে। এটা তাদের বিশাল অগ্রগতি! তবে তাদের কে ডিজলাইক করার মত অনেক পাব্লিক আছে যেমনটা নুসরাত ফারিয়ার পাটাকা গানের মত।

৭| ০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: গুল, বিড়ি, সিগারেট এরকম তামাক জাতীয় পণ্যের উপর কর বৃদ্ধি হলো শতভাগ নিরাপদ। কারণ এসবের খোররা নাখোশ হলেও সেবন কমাবে না, আবার সরকারের পকেটও ভারী হবে। এই করের টাকা দিয়ে হয়তো কোনো মন্ত্রী আবার আকাশে নৌকা ভাসাবে।

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে। কিন্তু সামগ্রিক ক্ষেত্রে এর প্রভাব পরিবার এবং অর্থনীতিতে পড়ে। বিষয়টা আপনার ভালো জানার কথা।

৮| ০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: ছোটরা বড়দের সামনে ধুমপান করলে কি হয়?

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমি ভালোভাবে জানিনা। তবে মনে হয় মাইন্ড করেন।

৯| ০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

হাঙ্গামা বলেছেন: কালকে সিগারেট ১২ টাকা দিয়া কিনা খাইছি।
শালার দেশ, বাজেটে কিছুর দাম বাড়ূক বা না বাড়ূক, সিগারেটের দাম বাড়ে ১ টাকা কইরা। তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা প্রকাশ করি এজন্য।
শুধু গত বছর বাড়ে নাই।

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এদেশে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা অনেক পকেট কমিটি থাকলেও সিগারেট খোর কমিটি নেই! যা দুঃখজনক। আপনি চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামী সিগারেটখোর লীগ বা বাংলাদেশ সিগারেটখোর দল গঠন করতে পারেন। যদি তাও নারেন হাঙ্গামা লাগিয়ে দেন।

১০| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সিগারেটের মুল্য বৃদ্ধির কারনে কেউ সিগারেট ছাড়ে না। তারা তখন কম দামী ব্রান্ড বেছে নেয়। যত কম দামী সিগারেট তত স্বাস্থ্য ঝুকি। সিগারেটের মুল্য বৃদ্ধির আরেক অর্থ মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুকিতে ঠেলে দেয়া।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সরকারের দরকার টাকা। কে মরলো আর কে বাচলো সরকারের দেখার টাইম নাই।

১১| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার একটাই বাজে অভ্যাস। সিগারেট খাই। তবে কম খাই। সারাদিনে মাত্র ৮ টা। এর জন্য নিজের কাছে নিজের খারাপ লাগে।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সারাদিনে মাত্র ৮ টা।
মাত্র ৮টা খান। আপনার আরো বেশি খাওয়া উচিৎ। জর্দ্দা, গুল খেয়ে দেখতে পারেন।

১২| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

হাঙ্গামা বলেছেন: লেখক বলেছেন: এদেশে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা অনেক পকেট কমিটি থাকলেও সিগারেট খোর কমিটি নেই! যা দুঃখজনক। আপনি চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামী সিগারেটখোর লীগ বা বাংলাদেশ সিগারেটখোর দল গঠন করতে পারেন। যদি তাও নারেন হাঙ্গামা লাগিয়ে দেন।

না রে ভাই, আমি অত খোরের দলে না।
প্রতিদিন সময় পাইলে ১/২ টা সিগারেট খাই, ইচ্ছা না হইলে খাই না।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তাইলে তো ভালোই। আপনি চাইলে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিতে পারেন।

১৩| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো পোষ্ট দিলেন প্রিয় শাহাদাৎ ভাই। আমার এক কলিগ একবার কর্মস্থলে ধুমপান বন্ধ করতে না পেরে কেউ ধুমপান করলে শুকনো লঙ্কা ধরাতো। শেষমেষ বিড়ি / সিগারেট ধরানো বন্ধ হয়ে গেল। আপনার লজেন্সের গাঁধিগিরি প্রস্তাবও বেশ। পাশাপাশি আমিও আপনার দলে। এগিয়ে চলুন, সঙ্গে আছি।

অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পাঠ ও প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

১৪| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্রতি বছর বাজেটের নামে বিড়ির দাম বাড়লেও কয়জন বিড়ি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দাম বাড়ার কারণে কেউ বিড়ি খাওয়া ছেড়ে দেয়না। সরকারের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি।

১৫| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

শামচুল হক বলেছেন: আমিও সিগারেট খাই না
কানাডার জঙ্গলে এক রাত দ্বিতীয় পর্ব দেয়া আছে সময় করে পড়বেন।

১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ।।

১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাজেটে কর আরোপের কারণে কখনো মানুষ তামাক সেবন থেকে পিছু হটে না। হয় ব্যবহার কিছুটা কমিয়ে দেয়, না হয় বাড়তি খরচ যোগানোর জন্য অন্য পন্থা অবলম্বন করে।
ছবি দেইখা মনে হইতেছে কাক্কুও মাঝেমধ্যে টানটুন দেয় - হা হা হা!!! :)
ধুমপান বিরোধী পোস্ট, তাই জনসচেতনতামূলক পোস্ট। লাইক + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.