নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানভির জুমার

সব সময় সব জায়গায় সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে।

তানভির জুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরকাল দেখা যায়না, স্রষ্টাকে দেখা যায়না, অনুভব করা যায়না বলে কি তাতে বিশ্বাস করা যাবে না?

২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মাতৃগর্ভে জমজ দুই শিশুর মধ্যে কথা হচ্ছে-
প্রথমজন দ্বিতীয়জনকে জিজ্ঞেস করলো,- 'তুমি কি প্রসব পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস করো?'
দ্বিতীয়জন বললো,- 'অবশ্যই করি। নিশ্চয় প্রসব পরবর্তী জীবন বলে কিছু আছে।হয়তো প্রসব পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতির জন্যই আজ আমরা এখানে।

প্রথমজন বললো,- 'আরে বোকা! প্রসব পরবর্তী জীবন বলে কিছুই নেই। তোমার সেই কাল্পনিক জগত কেমন হতে পারে বলোতো দেখি?'
দ্বিতীয়জন বললো,- 'আমি ঠিক জানিনা।তবে হতে পারে সেখানে এখানের(মাতৃগর্ভ) তুলনায় আলো অনেক বেশি হবে। হতে পারে সেখানে আমরা আমাদের পা দিয়ে হাঁটতে পারবো। আমাদের মুখ দিয়ে নিজেরাই খাদ্য গ্রহন করতে পারবো। হয়তো সেই জগতে আমাদের অন্যান্য ইন্দ্রিয় থাকবে যা আমরা এখন কল্পনা করতে পারছিনা।'

প্রথমজন বললো,- 'এটা নিছক কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়।পা দিয়ে হাঁটাহাঁটি? অসম্ভব। মুখ দিয়ে খাদ্য গ্রহন? অলিক কল্পনা। আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় পুষ্টি আসে এই নাড়ির মাধ্যমে।কিন্ত নাড়ির এই স্বল্প দৈর্ঘ্য কখনোই প্রসব পরবর্তী জীবনের পক্ষে যুক্তি হতে পারেনা। প্রসব পরবর্তী জীবন বলে আদৌ কিছু নেই।এটা বাতুলতা।'
দ্বিতীয়জন বললো,- 'আমি মনে করি প্রসব পরবর্তী জীবন বলে কিছু আছে এবং সেটা এই মাতৃগর্ভের জীবনের চেয়ে ভিন্ন।হতে পারে সেখানে বাঁচার জন্যে আমাদের এই নাড়ির দরকার হবেনা।'

প্রথমজন উত্তর দিলো,- ' প্রসব পরবর্তী জীবন বলে যদি কিছু থেকে থাকে,তাহলে সেই জীবন থেকে কখনো কেউ এই জীবনে ফেরত আসেনা কেনো? আসলে প্রসবের পরের জীবন বলতে কিছুই নেই।প্রসব হচ্ছে জীবনের শেষ। এরপর আর কিছু নেই।আছে কেবল অন্ধকার আর শুন্যতা।'
'আমি ঠিক জানিনা।'- দ্বিতীয়জন বললো।
সে আরো বললো,- 'হতে পারে সে জগতে আমাদের সাথে আমাদের মায়ের দেখা হবে। মা হয়তো সে জগতে আমাদের দেখাশুনা করবেন।'

প্রথমজন হাসতে লাগলো, আর বললো,- ' মা? তুমি 'মা' তে বিশ্বাস করো? এটা সত্যিই হাস্যকর! যদি মা বলে কেউ থেকে থাকে,তাহলে সে এখন কোথায়?'
দ্বিতীয়জন বললো,- 'সে আমাদের চারপাশে বিরাজমান। সে আমাদের ঘিরে আছে।আমরা তার মাঝে বেঁচে আছি। তাকে ছাড়া এই জগত অসম্ভব।এই পৃথিবী অসম্ভব।'
-
প্রথমজন বললো,- 'যেহেতু আমরা মা বলে কাউকে দেখিনা,অনুভব করিনা।সুতরাং, এর যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা এই যে, আসলে মা বলে কেউ নেই।'
দ্বিতীয়জন মুচকি হেসে বললো,- 'মাঝে মাঝে যখন তুমি নীরব থাকো, তখন মনোযোগ সহকারে যদি খেয়াল করো তাহলে তুমি তার উপস্থিতি টের পাবে।তুমি তার কন্ঠ শুনতে পাবে।বুঝতে পারবে তিনি তার দরদভরা মধুর কন্ঠে উপর থেকে আমাদের ডাকছেন।'
Collected,

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



মাতৃগর্ভে ২ শিশুর কথা বলতে পারা মানে, আপনার ভাবনাশক্তিতে সমস্যা আছে!

২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫

তানভির জুমার বলেছেন: ইংরেজীতে Metaphor বলে একটা শব্দ আছে ঐটার বাংলা অর্থ আপনার জানার কথা।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

অক্পটে বলেছেন: এই ধরনের লেখা এটাই প্রথম পড়লাম। ভাল লাগল।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৪

দংশন বলেছেন: If God did not exist it would be necessary to invent Him. But all nature cries aloud that He does exist. by Voltaire

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৮

জ্যাকেল বলেছেন: এই কাল্পনিক ব্যাপারটা কিছু মানুষের অস্বস্তির কারণ হইবে। কারন এই পৃথিবীর পরে আমাদের আরো দেখার বাকি আছে এইটা বিশ্বাস করার মত সেন্স এদের আল্লাহ দান করে নাই কিংবা এদের কপালে হিদায়াত হয়ত নাই। এরা মিথ্যার ওপর দাড়িয়ে এমন কিছু জিনিস দেখতেছে যা অস্থায়ী, সহজেই ভাঙিয়া পড়িবে।
এই মহাবিশ্বের বয়স কমসে কম হইলে ১৪০০ কোটি বছর আর আমাদের সর্বোচ্চ ৮০ বৎসর পর্যন্ত বাঁচা সম্ভব। এত ঠুনকো বয়সের পরে কিভাবে সত্য খোদার সন্ধান এরা করে না, এত বে আকলামি করে আমার ভাবতেও অবাক লাগে।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: ইংরেজীতে Metaphor বলে একটা শব্দ আছে ঐটার বাংলা অর্থ আপনার জানার কথা।

-আপনি মেটাফোর দুনিয়াতে আছেন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৮

তানভির জুমার বলেছেন: কে মেটাফোর দুনিয়াতে আছে সেটা সময়ই বলে দিবে। আল্লাহ যখন কারো অন্তরে মোহর লাগিয়ে দেন, সিল মেরে দেন তখন সে অন্তর সেসব জিনিসকে ভালোবাসতে অপারগ হয়ে পড়ে যেগুলো তার ভালোবাসার কথা ছিল। যেসব বিষয় ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য তারা সেগুলো ঘৃণা করে।

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষ কোনো চূড়ান্ত সিদ্বান্ত পৌঁছাতে হলে ব্রেইন খাটাতে হয়। মাতৃগর্ভে শিশুর এই রকম চিন্তা ভাবনা করার মত ব্রেইন থাকে না। ঐ অবস্থা আর পরবর্তীতে বিদ্যাবুদ্ধি অর্জনের অবস্থা এক নয়।
ধরুন আপনি গ্যাভিটি সম্পর্কে খুঁটিনাটি সবই জানেন তখন আপনার ভাবনা হবে একরকম তেমনি আপনি কখনো গ্যাভিটি কথাটিই শুনেননি তখন আপনি এই নিয়ে ভাবনাই করবেন না সিদ্ধান্ত আসা তো অনেক পরের ব্যাপার।
তাই মাতৃগর্ভের অবস্থার সাথে জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত অবস্থার সাথে তুলনা দেওয়াই সঠিক নয়।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২১

তানভির জুমার বলেছেন: বাস্তবিক কোন মাতৃগর্ভের শিশুর কথা বলা হয়নি এখানে।

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অবশ্যই বিশ্বাস করা যায়,যেমন আমরা ভুতে বিশ্বাস করি না দেখেই।

৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৭

দংশন বলেছেন: এই বিশ্বাস পুজি করেই একদল মানুষ বাড়ী গাড়ী নারী সবই পাচ্ছে অনেকগুলা করে। আর কিছু মানুষ কিছুই পাচ্ছেনা। শুধু ধর্মের আফিম দ্বারা নেশাগ্রস্থ হচ্ছে। যারা পাচ্ছে তাদেরকে দোষারোপ করেও লাভ নাই তারা তাদের লাভটা বুঝে পাচ্ছে আমার আপনার মত কমবুদ্ধি সম্পন্ন লোকের বিশ্বাসকে পুজি করে। বিশ্বাস করেন ভাল কথা এটাকে নিয়ে মার্ক্টিং না করাই ভাল। বিশ্বাসের জন্য মার্ক রাখা উচিৎ ১০ আর কর্মের জন্য রাখা উচিৎ ৯০। কিন্তু বাস্তবে ঠিক এর উল্টোটা। এই অতি বিশ্বাসীদেরকে নিয়ে সবাই ব্যাবসা করবে এমনকি নাস্তিকেরাও।

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এত বিশাল সর্বশক্তিমান, অতচ নিজের একক ও অদ্বিতীয় ব্যাপারটিতে সবচেয়ে বেশী স্পর্শকাতর। গদি হারানোর ভয়ে সারাক্ষন আতঙ্কিত!
যে সামান্য সন্দেহ করবে সে ই নাস্তিক, কঠিন সাজা।
সব গোনাহের মাফ আছে শিরিকির মাফ নেই।
সব ধর্মেই শিরিকি (গদি হারানো ভয়) সবচেয়ে মারাত্নক অপরাধ। এজন্য প্রত্যেকের দুই কাধে ফেরেস্তা দিয়ে পাহারা
কোটি গ্যালাক্সির একটি গ্যালাক্সির ধুলি কনা সমান পৃথিবীর এক সামান্য বান্দা ওনার একক ও অদ্বিতীয় ব্যাপারটিতে অস্তিত্ব নিয়ে সামান্য সন্দেহ করলে (শিরিকি) বা কথিত শরিক চেষ্টা করলে উনি মারত্নক ভাবে অস্থির হয়ে যান, নিজ হাতে শাস্তি না দিয়ে কিছু বান্দার হাতে চাপাতি ধরিয়ে দিয়ে ধাওয়া করতে, কোপাতে বলেন। নতুবা জুকারকে রিপোর্ট করতে বলেন। হাস্যকর।

আমি তো নাস্তিক হতে চাই না। এখনো আংশিক নামাজ পরা মোসলমান।
আমি মনে করি 'যদি থাকেন' শৃষ্টিকর্তা একজন অসীম শক্তিশালী, তিনি আমাদের জ্ঞ্যন দিবেন।
ওনার এককত্ব বা অস্তিত্ব নিয়ে কেউ সন্দেহ করলে অস্থির হওয়ার কিছু নেই। কেউ সন্দেহ করলে বরং তাকে বিদ্য বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করবেন একজন বান্দার মন্তব্যে কোন রিএকশান করার কথা না, বিশাল অস্তিত্ব কারনে।
কিন্তু শিরিকিতেই তার সবচেয়ে ভয়।
শর্বশক্তিমান অতচ শুধু নিজের প্রশংসা চায়, এত প্রসংসা চাওয়ার কি আছ?
রাজা বাদশা বা ছেচড়া এরশাদ হাসিনার মত শুধু প্রসংসা চাওয়া। কথায় কথায় প্রসংসা করতে হবে, জিকির বন্দনা করতে হবে। কেন?

আসলে ওনার নামে প্রসংসা চায়, অদৃশ্ব ঈশ্বরের এবাদত চায় কিছু ধুর্ত মানুষ।
যারা যুগে যুগে বিভিন্ন ধর্ম বানিয়ে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তলোয়ার বন্দুক নিয়ে এলাকা দখল করে পার্থিব ক্ষমতা অর্থ হাতিয়ে নিতে চায়। শুধু ইসলাম না সব ধর্মেই।
ধন্যবাদ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৯

তানভির জুমার বলেছেন: আপনি চাইলে ড্যানিয়েল হাকিকাতজু এর ইউটিউবে কিছু এপিসোড দেখতে পারনে। আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন আশা করি।

১০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপানার পোষ্টের শুরুটাই ভুল ভাবনার মাঝ দিয়ে শুরু হয়েছে; আপনার ভাবনাশক্তি খুবই সীমিত।

১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: রুপকথার দুনিয়া থেকে বের হয়ে আসুন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৪

তানভির জুমার বলেছেন: রুপকথার দুনিয়া নয়, এটাই আসল দুনিয়া। নিজের ভাবনা শক্তি বাড়ান। পৃথীবি নিয়ে চিন্তা করুন। ১) বিদ্যমান পৃথিবীতে আমরা যতো জিনিস দেখি তা পুরো পৃথিবীর মাত্র ৪% (চার ভাগ)। বাকি ৯৬% আমরা দেখি না। বিজ্ঞানের ভাষায় একে Dark Matter বা অদৃশ্য বিষয় বলা হয়। শুধু পৃথিবীরই প্রায় পুরোটা যদি Dark Matter হতে পারে, তাহলে সামান্য ৪ (চার) পয়েন্ট বাড়িয়ে পরকাল কেন ১০০% Dark Matter হতে পারবে না? ২) আল্লাহ যে নাই, এইটা প্রমান করতে পেরেছেন? ৩) প্রাণ (আত্তা) কি? প্রাণ (আত্তা) বলতে কি কিছু আছে,যদি না থাকে তাহলে প্রানি মৃত্যু বরণ করে কেন? ৪) পৃথিবীর কোন কিছুই যদি নিজে নিজে অস্তিত্বে না আসতে পারে তাহলে এত সুন্দর-সু-শৃংখল পৃথিবী কোন স্রষ্টার হাত ছাড়াই অস্তিত্বে আসছে ঐটা কি পাগলে বিশ্বাস করবে? ৫) পৃথিবীতে মানুষ উদেশ্যহীনভাবে আসে আবার উদেশ্যহীনভাবেই চলে যায়?

১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাস্তবিক কোন মাতৃগর্ভের শিশুর কথা বলা হয়নি এখানে। একটা অবাস্তবিক বিষয় দিয়ে বাস্তবিক বিষয়কে জাস্টিফাই করা কি সঠিক? যে বিষয়টি কখনো ঘটেইনি বা ঘটার সম্ভবনাও নেই সেটা দিয়ে উদাহরন না টানাই সঠিক কাজ।

১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার ভাবনা শক্তি নিশ্চয়ই উন্নত। তাহলে আপনি রুপকথার দুনিয়ায় পরে আছেন কেন?

১৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দারুন উপমা দিয়ে বিষয়টা বুঝানো হয়েছে।

আল্লাহকে অবিশ্বাসের কোন কারণ নেই।

১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৮

রানার ব্লগ বলেছেন: হাস্যকর গল্প ফেদে বসেছেন!!

১৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৫৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: আমি স্বপ্নে দেখছি যে পরকালে আফ্রিকার গড বুঙ্গা বুঙ্গা গদা নিয়ে খাড়ায়ে আছে, বাইচ্ছা বাইচ্ছা শান্তির ধর্মের অনুসারীদের মাথায় বাড়ি দিয়ে আগুনে ফেলে দিচ্ছে। ওহ অলমাইটি সবজান্তা বুঙ্গা বুঙ্গা, আমাদের বাচাও, পোস্টদাতাকে হেদায়েত দান করো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.