নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনানন্দ দাসের মৃত্যুদিবসে , আজ ২২ অকটোবর ১৯৫৪ সালে

২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬





মৃত্যু স্বপ্ন সংকল্প
আঁধারে হিমের আকাশের তলে
এখন জ্যোতিষ্কে কেউ নেই।
সে কারা কাদের এসে বলেঃ
এখন গভীর পবিত্র অন্ধকার;
হে আকাশ, হে কালশিল্পী, তুমি আর
সূর্য জাগিয়ো না;
মহাবিশ্বকারুকার্য, শক্তি, উৎস, সাধঃ
মহনীয় আগুনের কি উচ্ছিত সোনা?
তবুও পৃথিবী থেকে-
আমরা সৃষ্টির থেকে নিভে যাই আজঃ
আমরা সূর্যের আলো পেয়ে
তরঙ্গ কম্পনে কালো নদী
আলো নদী হয়ে যেতে চেয়ে
তবুও নগরে যুদ্ধে বাজারে বন্দরে
জেনে গেছি কারা ধন্য,
কারা স্বর্ণ প্রাধান্যের সূত্রপাত করে।

তাহাদের ইতিহাস-ধারা
ঢের আগে শুরু হয়েছিলো;
এখনি সমাপ্ত হতে পারে,
তবুও আলেয়াশিখা আজো জ্বালাতেছে
পুরাতন আলোর আঁধারে।

আমাদের জানা ছিলো কিছু;
কিছু ধ্যান ছিলো;
আমাদের উৎস-চোখে স্বপ্নছটা প্রতিভার মতো
হয়তো-বা এসে পড়েছিলো;
আমাদের আশা সাধ প্রেম ছিলো;- নক্ষত্রপথের
অন্তঃশূন্যে অন্ধ হিম আছে জেনে নিরে
তবুও তো ব্রহ্মান্ডের অপরূপ অগ্নিশিল্প জাগে;
আমাদেরো গেছিলো জাগিয়ে
পৃথিবীতে;
আমরা জেগেছি-তবু জাগাতে পারি নি;
আলো ছিলো- প্রদীপের বেষ্টনী নেই;
কাজ ছিল- শুরু হলো না তো;
হাহলে দিনের সিঁড়ি কি প্রয়োজনের?
নিঃস্বত্ব সূর্যকে নিয়ে কার তবে লাভ!
সচ্ছল শাণিত নদী, তীরে তার সারস-দম্পতি
ঐ জল ক্লান্তিহীন উৎসানল অনুভব ক’রে ভালোবাসে;
তাদের চোখের রং অনন্ত আকৃতি পায় নীলাভ আকাশে;
দিনের সূর্যের বর্ণে রাতের নক্ষত্র মিশে যায়;
তবু তারা প্রণয়কে সময়কে চিনেছে কি আজো?
প্রকৃতির সৌন্দর্যকে কে এসে চেনায়!
মারা মানুষ ঢের ক্ররতর অন্ধকূপ থেকে
অধিক আয়ত চোখে তবু ঐ অমৃতের বিশ্বকে দেখেছি;
শান্ত হয়ে স্তব্ধ হয়ে উদ্বেলিত হয়ে অনুভব ক’রে গেছি
প্রশান্তিই প্রাণরণনের সত্য শেষ কথা, তাই
চোখ বুজে নীরবে থেমেছি।
ফ্যাক্টরীর সিটি এসে ডাকে যদি,
ব্রেন কামানের শব্দ হয়,
লরিতে বোঝাই করা হিংস্র মানবিকী
অথবা অহিংস নিত্য মৃতদের ভিড়
উদ্দাম বৈভবে যদি রাজপথ ভেঙে চ’লে যায়,
ওরা যদি কালোবাজারের মোহে মাতে,
নারীমূল্যে অন্ন বিক্রি ক’রে,
মানুষের দাম যদি জল হয়, আহা,
বহমান ইতিহাস মরুকণিকার
পিপাসা মেটাতে
ওরা যদি আমাদের ডাক দিয়ে যায়-
ডাক দেবে, তবু তার আগে
আমরা ওদের হাতে রক্ত ভুল মৃত্যু হয়ে হারায়ে গিয়েছি?

জানি ঢের কথা কাজ স্পর্শ ছিলো, তবু
নগরীর ঘন্টা-রোল যদি কেঁদে ওঠে,
বন্দরে কুয়াশা বাঁশি বাজে,
আমরা মৃত্যুর হিম ঘুম থেকে তবে
কী ক’রে আবার প্রাণকম্পনলোকের নীড়ে নভে
জ্বলন্ত তিমিরগুলো আমাদের রেণুসূর্যশিখা
বুখে নিয়ে হে উড্ডীন ভয়াবহ বিশ্বশিল্পলোক,
মরণে ঘুমোতে বাধা পাব?-
নবীন নবীন জঞ্জাতকের কল্লোলের ফেনশীর্ষে ভেসে
আর একবার এসে এখানে দাঁড়াব।
যা হয়েছে- যা হতেছে- এখন যা শুভ্র সূর্য হবে
সে বিরাট অগ্নিশিল্প কবে এসে আমাদের ক্রোড়ে ক’রে লবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জীবনানন্দ দাসের মৃত্যুদিবসে তার প্রতি শ্রদ্ধা ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের জীবনে অনেক কবি ও কবিতার যাতায়াত কিন্তু কোথেকে দাস এসে জুড়ে বসল মস্তকের ভিতরে , করোটির অন্তস্থলে। কোন যাজক না কোন প্রচারক এসে আমাকে নেমন্তন্ন করেনি বা শোনায়নি কোন মহাদেবতার বানী । আমরা আসক্ত হইনি গাজা,মদ বা সিগারেটে , হয়েছি আসক্ত জীবনানন্দ দাসে । ৩০ বা ৪০ দশকের ওই আধুনিকতা এই মাইক্রোচিপ্সের যুগে অটল । এ নেশায় আক্রান্ত কোটি যুবক আর বৃদ্ধ । হয়ত বা স্বর্গে বসে রবি আর দাসে চলছে হাতাহাতি । রবি বলছে "ওরে দাস তোর কবিতার লাইন কেটে দিয়ে ছেপেছিলুম যাতে একটু টেঁসে যাস কিন্তু তুইই হয়ে গেলি সব তারুন্যের প্রেম, কিভাবে বল ওরে বরিহাইল্যা" । দাস বলে " মহাশয় খাজনা তোঁ বাকি নেই আপনার কাচারিতে, কিভাবে ওরা মজলো আমার ম্লেচ্ছদারিতে, কাচারীবিহীন দারিদ্রপীড়িত ভাড়াটে বাড়িতে" !!!!!!!

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

সেজুতি_শিপু বলেছেন: বিষন্ন জীবনানন্দ আমাদের জীবনে বোঝা- না বোঝা আনন্দ ।
অনন্ত শ্রদ্ধা।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

শাহ আজিজ বলেছেন: Abstraction এর একটা সুত্র দিয়েছেন বিষন্ন জীবনানন্দ আমাদের জীবনে বোঝা- না বোঝা আনন্দ । । আনন্দ পাওয়াটাই মুল বিষয়। কাব্য , চিত্রকলা এসবে দুর্বোধ্য বিষয়ে অনেকে অসহায় বোধ করেন । সে ক্ষেত্রে আপনার মন্তব্যটি প্রচণ্ড সাহসী।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: শেয়ার করায় আন্তরীক ভাবে ধন্যবাদ

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

তুষার কাব্য বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা প্রিয় কবির প্রতি...

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৪

খেলাঘর বলেছেন:


অনেক সুন্দর কথা ও ভাবনা রেখে গেছেন লেখাপড়া জানা বাংগালীদের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.