নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবি ঠাকুরের প্রেমময় জীবন

২৩ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩৪





প্রেমের গতি বিচিত্র। প্রেম বয়স, জাত-পাত, স্থান, কাল, পাত্র, ধর্ম্ম কিছু মানে না। দুটি হৃদয় কোন কিছু বিচার না করে কখন একে অন্যের নিকটে এসে যায় আমরা বুঝতে পারিনা । যখন বুঝতে পারি তখন দুজনের মধ্যে একটা ভালোলাগা বা প্রীতির সম্পর্কের জন্ম নেয় এবং এই সম্পর্ক প্রেমে পরিনত হয়। দুটি হৃদয়ের কি রসায়নে এটা ঘটে তা দুর্ভেদ্য। কিন্তু অনেকের জ়ীবনেই , অনেকসময় এটা ঘটে থাকে। এটা স্বাভাবিক।
“তরুন” হৃদয়বান পুরুষদের, বয়স যাই হোক না কেন, হৃদয়ে প্রেম জাগতে বাধা নেই। অন্যদিকে প্রেমিকার বয়স কোনদিন পুরুষের প্রেম নিবেদনে বাধা হয়নি। তাইতো দেখা যায় – পঞ্চাসৌর্দ্ধ পুরুষ ,কন্যার সমবয়সী নারীর সাথে , এমনকি নাৎনীর বয়সী কিশোরীর সাথেও প্রেমের জালে জড়িয়ে পড়ে। রবীন্দ্রনাথ তাই লিখেছেন –
” প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে।
কে কোথা ধরা পড়ে কে জানে —“
রবীন্দ্রনাথ তাঁর নিজের জ়ীবনের উপলব্ধি থেকেই হয়ত একথা লিখেছেন কারন রবীন্দ্রনাথ একাধিকবার প্রেমে পড়েছেন । সেই দিক থেকে তাঁর কিশোরী রাণুর প্রেমে পড়াটা একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা । এটাই এখানে তুলে ধরতে চাই।
রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য মহাশয় এই অসমবয়সী সম্পর্কের উপর সম্প্রতি তিনি তাঁর একটি লেখায় আলোকপাত করেছেন । আমি কোনরকম অতিরঞ্জিত বা পরিবর্তিত না করে তাঁর লেখা থেকে বিষয়টি নিম্নে উদ্ধৃত করলাম।
“অসমবয়সী রানু ও রবীন্দ্রনাথের মধ্যে এক আশ্চর্য অন্তরঙ্গ নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ১৯১৭ থেকে ১৯২৫ সাল পর্যন্ত। শিল্পপতির পুত্র বীরেন্দ্রের সঙ্গে বিবাহ স্থির হয়ে গেলে রানু-রবীন্দ্রের দীর্ঘ আট বছরের প্রীতি- ভালবাসার মধুর পরিণত সম্পর্কটি ছিন্ন হয়ে যায়। এই সময় সুন্দরী রানুর বয়স উনীশ। ১৯১৭-তে পরস্পরের পত্রবিনিময়ের মাধ্যমে যখন দুজনের অনির্বচনীয় একটি সম্পর্কের ভিত্তিভূমি রচিত হচ্ছিল তখন রানুর বয়স এগারো, আর সেই সময় নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রবীন্দ্রনাথের বয়স ছাপ্পান্ন। চিঠির পর চিঠিতে ‘ভারী দুষ্টু’ রবীন্দ্রনাথকে চুম্বনের পর চুম্বন দিতে দিতে ‘প্রিয় রবিবাবু’ কে রানু বলে, “কেও জিজ্ঞাসা করলে বলবেন আপনার বয়স ‘সাতাশ’।” উত্তরে রবীন্দ্রনাথ কৌতুক করে বলেন , “আমার ভয় হয় পাছে লোকে সাতাশ শুনতে সাতাশি শুনে বসে। …….তুমি যদি রাজি থাক তাহলে আমি আর একটা বছর কমিয়ে বলতে পারি। কেন না ছাব্বিশ বললে ওর থেকে আর ভুল করবার ভাবনা থাকবে না।”
পঞ্জিকার হিসাবে তাঁর বয়স পঞ্চান্ন ষাট বাষট্টি যাই হক, যৌবনের অধিকার বয়ষের মাপকাঠিতে বিচার্য নয়। তাঁর বাষট্টি বছর বয়সেও দেহসৌষ্ঠবে ও গঠনে তিনি ছিলেন অতুলনীয় রূপবান। এডওয়ার্ড টমসনকে কবি নিজেই সেই সময় বলছেন, ‘আমি সেদিন পর্যন্ত ষাট বৎসরের পূর্ণ যৌবন ভোগ করছিলুম’।
শিলং পাহাড়ের পথে যে রবীন্দ্রনাথকে দিনের পর দিন সপ্তদশী রাণুর সঙ্গে সহাস্যে ভ্রমনরত দেখা গিয়েছে কিম্বা কলকাতার রঙ্গমঞ্চে “বিসর্জন” অভিনয়ে অপর্নারূপী রাণুর বিপরীতে জয়সিং’হের ভূমিকায় যে রবীন্দ্রনাথকে পাওয়া গেল, পঞ্জিকার হিসেবে বাষট্টি হলেও যৌবনের দীপ্তিতে তাঁকে ছাব্বিশ-ই মনে হয়েছিল সেদিন সকলের। রাণু যে এই চিরযুবা রবীরন্দ্রনাথের শুধু ভ্রমনসঙ্গীই হয়েছিলেন তা নয়; কবির একান্ত মনের সঙ্গীতরূপেও ছিলেন দীর্ঘ আট বছর। রাণুর যৌবনের শ্রেষ্ঠ বসন্তের দিনগুলি শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে তাঁকে ভালবেসেই কেটে গিয়েছিল। উভয়ের প্রতি উভয়ের ভালবাসায় কোন অস্পষ্টতা ছিল না। কিন্তু এই সম্পর্ক উভয়ের মধ্যে কতটা নৈকট্য এনে দেয় তা বলা কঠিন। অষ্টাদশী রাণুকে রবীন্দ্রনাথ লিখছেন : ” বিধাতা আমাকে অনেকটা পরিমানে একলা করে দিয়েছেন। কিন্তু তুমি হটাৎ এসে আমার সেই জীবনের জটিলতার একান্তে যে বাসাটি বেঁধেছ, তাতে আমাকে আনন্দ দিয়েছে। হয়তো আমার কর্মে আমার সাধনায় এই জিনিসটির বিশেষ প্রয়োজন ছিল, তাই আমার বিধাতা এই রসটুকু আমাকে জুটিয়ে দিয়েছেন। “
রবীন্দ্রনাথ তো তাঁর কর্মের প্রেরনা ষোড়শী সপ্তদশী অষ্টাদশীর কাছ থেকে দিনের পর দিন বছরের পর বছর পেয়েছেন; কিন্তু সেই নারীর কি তার যৌবনের একমাত্র পুরুষ ‘সাতাশ’ বয়সী কবির কাছ থেকে পাওয়ার মতো কোনও আকাঙ্ক্ষাই নেই? কবির দিক থেকেও কখনওই কি প্রকৃতির আহ্বান সংকল্পকে লংঘিত করতে পারে না ? অষ্টাদশী রাণু রবীন্দ্রনাথকে প্রশ্ন করেছে-“আমি আপনার কে?” নিজেই বলেছে , “আমি আপনার বন্ধুও নই।” তবে কে? রাণুর উত্তর – ” আর কেউ জানবেও না।” এই চিঠিতেই রাণু মনের কপাট খুলে লিখে ফেলেছে – “আমি কাউকেই বিয়ে করব না – আপনার সঙ্গে ত বিয়ে হয়ে গেছে।…..আমার সমস্ত শরীর ছেয়ে সে আদর আমার মনকে ভরে দিয়েছিল।……. সেই SECRETটুকুতে ত কারুর অধিকার নেই।” শেষপর্যন্ত রাণু বিবাহে সন্মত হয় ও এই চিঠির সাত মাস পরে রাণু-বীরেন্দ্রের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের ক’দিন পুর্বে রাণুকে ১৫৯ সংখ্যক পত্রে রবীন্দ্রনাথ “তুমি” স্থলে “তুই” সম্বোধন করে উভয়ের সম্পর্কের পূর্ব রেশটুকু ছিন্ন করে ফেলতে চাইলেন। বাহ্যত ছিন্ন করতে চাইলেও রবীন্দ্রনাথ কল্পনায় হয়ত ভেবেছিলেন বীরেন্দ্রের স্ত্রীর মনের আকাশে রবির আলোটুকু বুঝি উজ্জ্বল হয়েই থাকবে। ১৯২৩-এ রাণু ছিলেন, ১৯২৭-এ রাণুবিহীন শিলং কবির ভালো লাগলো না- “এ আর এক শিলং”।
লেখক লিখছেন – ১৯২৮ এ দক্ষিনভারতে বসে কবি লিখতে শুরু করলেন শিলং পাহাড়ের পটভুমিতে অমিত-লাবন্যর প্রনয়োপন্যাস “শেষের কবিতা “। ………. ‘শেষের কবিতা’ রচনার বছর তিনেক পুর্বেই কবির জীবনমঞ্চে অভিনীত হয়ে গিয়েছিল শেষের কবিতার পালা – যার নায়িকা “শ্রীমতি রাণু সুন্দরী দেবী” এবং যার নায়ক স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।
বিবাহোত্তর জীবনে রাণু “লেডি রাণু মুখার্জ্জী” নামে খ্যাত।
সংগৃহীত





রবীন্দ্র রচনাবলী - শেষের কবিতা পেজের সৌজন্যে

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


নারীর হৃদয়ে ঘড়ি থাকে না

২৩ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: তবে ঘণ্টা থাকে , বাজিয়ে দেবার জন্য -----------

২| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শেষের অংশটুকু পড়ে মনে হচ্ছিল - এ দেখি 'শেষের কবিতা'র কাহিনি। এবং শেষমেষ আপনার সংগৃহীত লেখায় সেটাই বোঝা গেল, 'শেষের কবিতা'য় এক অসমবয়সী জুটি রাণু-রবি প্রেমোপখ্যান লুকিয়ে আছে।

প্রেম মানে না কোনো বাঁধা, প্রেম বয়সও চিনে না।

সুন্দর সংগ্রহ।

এই তরতাজা ছবিগুলো কোথায় পেতে পারি শাহ আজিজ ভাই? আমার কাছে রবীন্দ্রনাথের অনেক ছবিই আছে, কিন্তু রেজ্যুলেশন এত উজ্জ্বল না।

২৩ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: এটা আমার পছন্দের পেজ থেকে শেষের কবিতার অংশ জুড়ে দিয়েছে । এখানে আমার কৃতিত্ব নেই । ছবি ওখানেই দেওয়া আছে , ফেসবুকে শেষের কবিতা পেজে ।

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫

অক্পটে বলেছেন: একজন রবীন্দ্রের এমন একজন রানু ছিল বলেই বোধ হয় আমরা শেষের কবিতা পেয়েছিলাম। লেখাটি দারুণ লাগল।

২৩ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শাহ আজিজ বলেছেন: লেখা কার জানিনা তবে শেষের কবিতা নামক পেজের মেম্বার আমি , লেখা ওখান থেকেই নেয়া।

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'শেষের কবিতা'র পেছনের কাব্যগাঁথা জানা হলো।

২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমিও জানতাম না । পেজটা খুব উপকার করে আমার , আর আমি করি আপনাদের।

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪২

কল্পদ্রুম বলেছেন: ছবির ভদ্রলোককে দূর থেকে অনেকটা রবীন্দ্রনাথের মতোই লাগে।

২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: :`>

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০১

এমেরিকা বলেছেন: এইবার আশা করি আয়েশা (রা) এর বিবাহের বয়েস নিয়ে নারী অধিকার কর্মী (!) দের চুলকানির অবসান হবে। রবী ঠাকুরের আত্মজা প্রমীলা বেদীর বিয়েও ১০ বছর বয়েসে হয়েছিল।

২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৮

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , আসল জায়গায় হাত দিয়েছেন ।

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কবিদের জীবন বইয়ের পাতার মত পড়লেই জানা যায়

২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৯

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , বটে

৮| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪২

আরইউ বলেছেন: ঠাকুর বাবু আর রানুর সম্পর্ক ঠিক প্রেমিক-প্রেমিকার ছিল না গুরু মাশায় আর তার মহা ভক্তের ছিল বলা মুশকিল। তিনি নিজেই বলেছেন রানুকে নিয়ে যা রটেছে তার মাঝে সত্যতার লেশ মাত্র নেই; “রানুর চরিত্রে কলংকের রেখামাত্র পরে নাই“; তার ছেলে শমি (নামটা ঠিক করে মনে পরছেনা এখন; শায়মা রবীন্দ্র ভক্ত, উনি হয়ত জানবেন) বেঁচে থাকলে তার সাথে রানুর বিয়ে দিতেন। আবার রানু বলেছেন তার বিয়ে যখন ঠিক হলো, তিনি যখন শান্তিনিকেতন ছেড়ে যাবেন, তখন ঠাকুর বাবু “সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে, ফুলডোরে বাঁধা ঝুলনা। সেই স্মৃতিটুকু কভু খনে খনে যেন জাগে মনে, ভুলোনা।“

ঠাকুর বাবু রানুর সরলতায় মুগ্ধ ছিলেন। রানু ঠাকুর বাবুর ব্যক্তিত্ব আর সৃষ্টিশীলতায় ডুবে ছিলেন। এই গুরু আর শিষ্যের সম্পর্ক শুধু গুরু-শিষ্যের ছিলোনা হয়ত। কিন্তু, এর কোন তথাকথিক নাম (যেমন প্রেম) ছিল কিনা আজ তা আজ এত বছর পর তা খুঁজে বের করা হয়ত সম্ভব নয়। সব সম্পর্কের নাম হয়না আর সব প্রেম শুধু প্রেম নয়, হয়ত প্রেমের চেয়েও বড় কিছু। অথবা, খুব সাধারণ প্রেমই!

২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫১

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ সঠিক তথ্যের জন্য ।

৯| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪৪

আরইউ বলেছেন: বাক্য সম্পুর্ন হয়নি ১ম প্যারায়ঃ

আবার রানু বলেছেন তার বিয়ে যখন ঠিক হলো, তিনি যখন শান্তিনিকেতন ছেড়ে যাবেন, তখন ঠাকুর বাবু “সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে, ফুলডোরে বাঁধা ঝুলনা। সেই স্মৃতিটুকু কভু খনে খনে যেন জাগে মনে, ভুলোন... ...“ গানটি লিখেছিলেন।

২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: প্রদায়ক যেমনটি দিয়েছেন আমি ঠিক তাই তুলে দিয়েছি । ছবির পুরুষ , মহিলা লুক অ্যালাইক , আসল রবি বাবু নন কারন আমি ৪০ বছর আগে রানু দেবী ও রবি বাবুর ছবি শান্তিনিকেতনেই দেখেছি ।

১০| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:০৬

আরইউ বলেছেন: তাতো অবশ্যই, ছবিগুলো কোন নাটক বা এ জাতিয় কিছুর হবে। সুনীলের “রানু ও ভানু“ না পড়ে থাকলে পড়ে দেখতে পারেন। শতভাগ ইতিহাস নয়, তবে জানার মত অনেক কিছু আছে।

ভালো থাকুন।

২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: সুনিলের বইই আমাদের পুরাতন ইতিহাসের উৎস , সেই ৮৬ সালে পিকিঙ্গে শুরু ।

১১| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৫০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রবি ঠাকুর ছিলেন বিশ্ব প্রেমিক।

২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০০

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , কোন জায়গায় না প্রেম করছে !!

১২| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আরইউ এর চমৎকার মন্তব্যটা (৮ নং) পড়ে মুগ্ধ হ'লাম। তিনি যেমনটি বলেছেন, আমিও তেমনটি আশা করি যে, এ ব্যাপারে 'রবীন্দ্র ভক্ত শায়মা' হয়তো আরও কিছুটা আলোকপাত করতে পারবেন।
কবিগুরুকে নিয়ে আলোচনা চলছে, চলুক। ভাল লাগছে।

২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:২৫

শাহ আজিজ বলেছেন: শায়মা পুরো উগরে দিয়েছে তার প্রান মন-----------------------

১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগেই বিয়ে করিয়ে দেয়া উচিত ছিল দুই জনকে। হুমায়ূন আহমেদ তাহলে অন্তত এতো সমালোচিত হতেন না।

২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের বিভক্ত সমাজে হুমায়ুন মহা উপদ্রব পিছিয়ে থাকা আকামদের জন্য । বিয়েই কি সকল সমাধান ? আমার একদম মনে হয় না ।

১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০৮

স্প্যানকড বলেছেন: রবি বাবু সেইরম মাল ! ভালো থাকুন গুরুদেব !

২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩১

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , জমিদারী থেকে শান্তিনিকেতন গড়া আর লেখালেখি সাথে প্রেম - এতো মানুষের জীবনের স্বাভাবিক গ্রামার ।

১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২৮

শায়মা বলেছেন: কদিন ধরে মানে বেশ কিছুদিন ধরে মহা বিজি হয়ে পড়তে হয়েছে..... তাই আমার প্রাণের সামুতে একটু উঁকি দেবার উপায়টুকুও পাচ্ছি না। :( কি কি কাজ শুনলে মানুষ তার বেশিভাগটাই বলবে ইজি কাজে বিজি। কিন্তু আমার মহানন্দময় কর্মকান্ড যার কাছেই ইজি কাজ হোক না কেনো আমার কাছে মহার্ঘ্য। আমি শুধুই আজকাল ৬ ঘন্টা ঘুমাই। মরে গেলে তো শুধু ঘুমাতেই হবে তাই যত পারি জেগে থাকি আর কি। কত কাজ বাকি!!!!!!!!!!

যাইহোক এর ফাঁকে আমার নাম ধরে ডাকাডাকি...... আর কি চোখ বুঁজে থাকা যায়!!

আরইউ ভাইয়া নাম ধরে ডাকাডাকি করতেই ঘুম ভেঙ্গে উঠতে হলো। সাথে আবর দেখি খায়রুলভাইয়াও। যাইহোক আর ইউ ভাইয়ার জন্য আগে গান গেয়ে নেই......
তুমি ডাক দিয়েছো কোন সকালে কেউ তা জানে না .....
আমার মন যে কাঁদে , আপন মনে কেউ তা মানেনা..... * ভাইয়া কোথায় কোন নিকে যে লুকায় থাকো। আমি কিন্তু সত্যিই তোমাকে মিস করি ভাইয়ামনি......আজও তো আমাকে চেনালেই না তোমাকে .... :(




খলিলভাইয়া আমাকে এক সময় নাম দিয়েছিলো শায়েমান্দ্রনাথ শায়মা নাকি রবীন্দ্রনাথ শায়মাও মনে হয়। হা হা হা কিন্তু আমি এত শত জানিনা যা আর ইউ ভাইয়া জানে মানে হাজার হোক আমাদের গবেষক ভাইয়া তুমি। আমি শুধু তাহার গান জানি। যেন আমার জন্যই লিখে গেছিলেন রবিঠাকুর। ভাইয়া আজ কদিন ধরে ছবি আঁকতে আঁকতে আঁকতে আঁকতে আমি শেষ। আর কানে ছিলো কর্ডলেস হেডফোনে রবিঠাকুরের নষ্টনীড় আর কাদম্বরী দেবীর সুইসাইড নোট.....আবার শেষের কবিতাও.......

ভাইয়া সেই নষ্ট নীড় শুনে আমি কাল রাতে কাঁদতে কাঁদতে কাঁদতে ......... :P

আসলেও কিন্তু সত্যি কথা। এক ফোটাও মিছা কথা না ভাইয়ামনি।


যাইহোক শেষের কবিতা, নষ্টনীড় বা কাদম্বরী দেবীর সুইসাইড নোট শুনতে শুনতে শুনতে শুনতে আমার এই বুড়িকালে এসে মনে হলো .......

রবিঠাকুর সারাটাজীবন ভালোবাসা কারে কয় তাহার উত্তর আসলেই পাননি...... বা যা পেয়েছে তা সুতীব্র হলেও মোরে আরও আরও আরও দাও প্রাণ...... এই আঁকুতিতে তার শেষ খুঁজে পাননি........

আর এমন যার মনে প্রেমে ভরা...... আবগে ভরা ........ সে ৭০ কেনো ১০০ বা ২০০ বছরেও প্রেমিকই থাকে। যেমন আজও রয়ে গেছেন এ যুগের লাবন্য কিংবা রানুর হৃদয়েও।

আমি জানিনা তার দুই ছেলের কোনটার সাথে বিয়ে দিতে চেয়েছিলো রানুকে। তবে সমীন্দ্রনাথের সাথেই হবে মনে হয়.....


আহা ছেলেকে বিয়ে দিতে চাইলেও কি বলে দিতে হবে ছেলের বয়স থাকলে রবিঠাকুর নিজেই.......

যাইহোক আহা আহা .......

নতুন করে প্রাণে বাঁজিছে আজকে ........ রানুর জন্য রবিঠাকুরের

তখন আমার বেলা নাহি
বহিবো একাকী বিরহের ভার ......
বাঁধিনু যে রাখি পরানে তোমার
সে রাখি খুলো না খুলো না
ভুলো না ভুলো না ভুলো না .........


আহা রবিঠাকুর ...... :(

আর ইউ ভাইয়া তুমিও আমাদেরকে ভুলো না ........

২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩৬

শাহ আজিজ বলেছেন: তোমার আর ইউ ভাইয়াকে রি ডাইরেক্ট করে দিলাম ।




কবি গুরু আমাদের হৃদয়ে প্রেম জাগিয়ে গেছে ------------- অনন্তকাল

১৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪৮

সোহানী বলেছেন: কবিদের ব্যাপার স্যাপারই আলাদা। থাক না এমন কিছু, শুধু শুধু ইতিহাস পাতিহাস খুঁজতে নাই যাই।

২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৯

শাহ আজিজ বলেছেন: তবুও নির্বোধ জেদি আমরা শুধু খুজতেই থাকি

১৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০১

আরইউ বলেছেন: @খায়রুল, অশেষ ধন্যবাদ!

@শায়মা, আশা করি ব্যস্ততা কমেছে বা কমছে।
আপনার রবীন্দ্রভক্তির কথা কে না জানে। সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই যদি আপনাকে কোন নাম দিয়ে থাকেন তবে আমি নিশ্চিৎ সেই নামের যোগ্য আপনি। সোনাবীজ নিজে ব্লগার হিসেবে -- এবং সন্দেহ নেই ব্যক্তি জীবনেও -- একজন রত্ন আর তাই ওনার রত্ন চিনতে ভুল হবার কথা নয়।

ঠাকুর বাবু আমার নিত্যদিনের সংগীত সংগী হয়ত নয়, হয়ত প্রতিদিন তাঁকে শোনা হয়না, কিন্তু তিনি আমার প্রানের মানুষ তা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। কথা নেই বার্তা নেই হয়ত দেখা যায় নিজের মনে গুনগুন করে "যখন পরবে না মোর পায়ের চিহ্ন..." বা "আমার বেলা যে যায় সাঁঝ বেলাতে.." গেয়ে উঠি; অথবা, হয়ত নিজেই আবৃত্তি করি "ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোট এ তরী...।" কন্ঠ কিন্নর না হতে পারে আমার, তাতে কবিতা বা গানের আবেগে কোন ঘাটতি পরেনা।

ঠাকুর বাবুর জীবন আমাকে তাঁকে জানার সুযোগ হয়েছে প্রথম যখন তখন থেকেই মুগ্ধ করেছে। তাঁর জমিদারী আর বৈষয়িক সচ্ছলতাটাই লোকের চোখে পরে আগে, তার জীবনের ভালোবাসার দৈন্যতাটা নয়। কৈশরে/তারুণ্যে তাঁর প্রিয় বন্ধু, পাঠক, সমালোচক (হয়ত ভালোবাসার মানুষ) ভাবীকে হারানোর যে বেদনা তা থেকে তিনি কখনো বের হতে পেরেছিলেন কিনা আমি জানিনা। আপত দৃষ্ঠিতে তাঁর স্ত্রী যতদিন জীবিত ছিলেন তাঁদের সুখের সংসার ছিল বলেই মনে হয়েছে। কিন্তু, তাঁর স্ত্রীতো খুব বেশিদিন বাঁচেননি! আর যেহেতু তিনি প্রথাগত হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন না, তাঁর জন্য নিজের সমাজের বাইরে গিয়ে কারো সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানোটা সহজ ছিলনা। জীবণের একটা দীর্ঘ সময় তিনি একা কাটিয়েছেন; নিজের যে ইমেজ, প্রভাব, প্রতিপত্তি তা থেকে বের হয়ে সাধারণ মানুষ হয়ে উঠতে পারেননি, সাধারণ মানুষের মত কাউকে ভালোবাসতে পারেননি।

ঠাকুর বাবুর জীবনের মুদ্রার ওপিঠটা আমাকে ভাবায় যেখানে আমার মতে তিনি নিতান্তই অসহায়, সাধারণ নারীর প্রতি ভালোবাসা স্বীকার করতে বা সধারণের ভালোবাসা গ্রহন করতে অপারগ। মানুষ অদ্ভুত, জীবন খুব আনফেয়ার; প্রতিটি মানুষ নিজের কাছে নিজে বড় নিঃসংগ।

মন্তব্য বড় হয়ে গেছে! আগামী বছরখানেক আর না মন্তব্য করলেও হবে।

২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১২

শাহ আজিজ বলেছেন: আমার কাছে মাঝে মধ্যেই মনে হয়েছে ঠাকুর পো বিধবা না হলে কবিগুরু হতেন না বা শান্তিনিকেতনও এতো যত্নে গড়ে উঠতে পারত না । আপনাদের কি মনে হয় । অভাব থেকেই সৃষ্টি ।

১৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৩৫

আরইউ বলেছেন: বলা কঠিন, শাহ!

মৃণালিনী দেবীর মৃত্যু হয় ১৯০২ এর শেষের দিকে। ততদিনে ঠাকুর বাবু কিন্ত লেখক/কবি/সাহিত্যিক হিসেবে নিজের জাঁত চিনিয়ে ফেলেছেন। জীবনে ঘটা প্রতিটি ঘটনার একটা ফ্লো অন ইফেক্ট আছে কিন্তু মৃণালিনী দেবীর মৃত্যু রবীন্দ্রনাথকে আজকের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ করেছে বলাটা আবেগী অপযুক্তি হবে সম্ভবত!

২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪৭

শাহ আজিজ বলেছেন: মানি আপনার মতামতকে । আমি স্রেফ আমার সন্দেহটার কথা বললাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.