নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আমি

শহীদুল মিশু

আমার আমি কে নিজে ই খুজে পাই না

শহীদুল মিশু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কে ইসলাম যা বলছে

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানুষের জীবন বাস্তবতার গুরুত্বপূর্ণ এক দিক। আজকে যে বিশ্ব এতটা এগিয়ে গেছে, তার মূলে রয়েছে সমাজ বিকাশের নতুন চিন্তা। এই চিন্তার বিকাশে বাধা ঘটলে সমাজ ও সভ্যতার অগ্রগতি হতো না। সভ্যতা বিকাশের ক্ষেত্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার আলাদা একটি গুরুত্ব রয়েছে। ইসলাম ভিন্ন মতকে কখনো অবজ্ঞার চোখে দেখেনি। শুধু বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নয়, মানব-তৎপরতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে, এমনকি ধর্মের ব্যাপারেও কোনো বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়নি ইসলাম ধর্মে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে করিমের সূরা বাকারায় বলা হয়েছে, 'ধর্মের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই' (আয়াত ২৫৬)। এর পরেই বলা হয়েছে, 'সত্য অসত্য থেকে এত স্পষ্ট যে, সত্য অনুধাবন করেই মানুষ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হবে' এটাই তো একটা অসাধারণ মুক্তচিন্তা ও বাকস্বাধীনতার বড় প্রমাণ। মানুষের জীবনে সত্যের সন্ধান এবং বাকস্বাধীনতার গুরুত্ব অপরিসীম। মানবজন্মের সার্থকতা নিজের পছন্দমতো জীবনযাপনের মধ্যে; অন্যের নির্ধারণ করে দেওয়া গণ্ডির মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে নেওয়া নয়। ইসলামও এ বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেছে। কোরআনে বলা হয়েছে, তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম আর আমাদের জন্য আমাদের ধর্ম [কাফিরুন]। জীবনের স্বাদ পেতে হলে মানুষকে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে, যার জন্য প্রয়োজন মতামত এবং দর্শনের মুক্ত প্রকাশের নিশ্চয়তা। আর এ কারণেই ইসলাম মানুষকে এ সুযোগটি করে দিয়েছে। কারণ মানুষ প্রকৃতগতভাবেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চায়। এই স্বাধীনতায় যে কোনো হস্তক্ষেপ এই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে এবং মানবজীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তবে মতপ্রকাশের নামে ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্নমতাবলম্বীদের কোনোভাবেই হেয়প্রতিপন্ন করা যাবে না। কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া যাবে না। ইসলামে মানবাধিকারের পরিধি রচিত হয়েছে একটি শক্তিশালী নীতির ওপর। যে দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই সেখানে নেই সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন। ইসলাম এখানে বিশ্বাস করে ও বাকস্বাধীনতার অধিকার, ভাবা ও বলার অধিকার বাস্তবায়ন করে বলেই ধর্মীয় স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করে, কারও একাত্দবাদ বুঝে না এলেও তার সাধারণ ও ধর্মীয় নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করতে বলে। অতএব, ইসলাম বলে না যে, 'কালেমা না পড়লে কতল করে দাও' বরং ইসলাম তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের হুকুম দিয়েছে মুসলিমদের ওপর। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় যারা মতপ্রকাশের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে তাদের ক্ষেত্রে কোরআনের ভাষ্য কি? কোরআন এ ক্ষেত্রে বলে, 'যখন তারা (মুসলমানরা) খারাপ কথা শোনে, তারা সেখান থেকে সরে যায় এবং বলে, 'আমার জন্য আমার কর্ম এবং তোমার জন্য তোমার কর্ম। তোমার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক; আমরা সত্যবিমুখদের সংসর্গে আসতে চাই না।' ----------------------মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.