নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সমাগত,মিথ্যা বিদূরিত।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১)

আমার পরিচয়,আমি মুসলিম।আমার একমাত্র পরিচয় আমি মুসলিম।আমি মুসলিম ব্যতিত আর কিছুই না।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে ইসলাম আজ নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬


৭ এবং ৯ বছর বয়সী আমার দুজন চাচাতো ভাই আছে! আধুনিক ভাষায় যাকে বলে কাজিন। তারা দুজনেই একই স্কুলে পড়ে এবং সব সময় একই সঙ্গে যাতায়াত করে। মজার বিষয় হল, যে ভাইটি বয়সে বড় সে লম্বার দিক থেকে ছোট ভাইয়ের থেকে খাট! কোন নতুন মানুষ যদি তাদের কে প্রশ্ন করে, তোমাদের মধ্যে কে বড় আর কে ছোট? তখন বয়সে বড় ভাইটা জবাবে বলে, আমি বয়সে বড়। আর ও লম্বায় বড়! জবাব দাঁড়াল, আমার কেউ ছোট বড় নই!

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে দুটি আন্দোলন মাথা চাড়া দিযে উঠেছিল! এক, শাহবাগের আন্দোলন। আর দ্বিতীয়ত,শাপলা চত্বরের হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন। দুটি আন্দোলনই আজ বিলুপ্তি প্রায় অবস্থা! অথচ দুটি আন্দোলনের নেতারা আজ অবধি নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের গুনগান গাইছে! কেউ বলছে, আমরা বিরিয়ানী খাওয়া, গাঁজা খাওয়া এবং টাকা ছিটিয়ে লোক জমানোতে শ্রেষ্ঠ। আর কেউবা বলছে, আমরা টাকায় নয় জনশক্তির দিকে থেকে শ্রেষ্ঠ! ফলাফল দাঁড়াল কেউই ছোট নয়। অথচ দুটি আন্দোলই আজ বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বহীন হয়ে গেছে!

“রানা প্লাজা” এখন একটি ইতিহাসের নাম। রানা প্লাজা নামক এই ভবনটি ছিল ৮ তলা! ১ম চারতলায় ছিল ব্যাংক, পিজ্জার দোকান সহ বিভিন্ন সদৃশ্য দোকানপাট। ভবনটি যতোটই সৌন্দয্য এবং জৌলস নিয়ে অবস্থান করুক না কেন, একটা সময় এসে তাকে তার স্বাভাবিক পরিনতি বরন করতে হল। আর এটাই তো হবার কথা ছিল! কারন ভবনটি একটি পুকুরের উপর নির্মিত ছিল! আর ভবনের ভিত্তিটাও ছিল নড়বড়ে! যার কারনে ভবনটির ধ্বংস হওয়াটা ছিল মাত্র সময়ের ব্যপার। তাই তো বলা হয়, ভিত্তিই শক্তি।

আর হেফাজতে ইসলামের ভিত্তিটাই ছিল সবচেয়ে দুর্বল! যার কারনে তার ভাগ্যেও রানার প্লাজার পরিনতি ঘটেছে! ভিত্তি ছাড়াই একটি আন্দোলনকে রাতারাতি দাঁড় করানো গেলেও সেখান থেকে সফলতার আশা করাটা দিবা স্বপ্নই বলতে হবে।

আর বাংলার আপামোর ইসলামপ্রিয় জনতা, এই দিবাস্বপ্নকেই সবচেয়ে বেশি গ্রহনযোগ্য করে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল! তাদের ভাবনায় ছিল সেই ১৯৪১ সাল থেকে জামায়াতের যাত্রা শুরু হলেও আজ অবধি তারা ক্ষমতায় যেতে পারেনি! তাই মানুষ আবেগতাড়িত হয়ে ভেবেছিল,এই স্লো জামায়াতের দ্বারা কিচ্ছু হবে না! কিন্তু এক রাতের মাঝে হেফাজত ইসলামের আন্দোলন ভেঙ্গে যাওয়া প্রমান করে যে, শুধুমাত্র জনসমর্থন নয়। সুসংগঠিত নেতৃত্ব এবং কাঠামোই পারে একটি বিপ্লব ঘটাতে। যার জলজ্যান্ত উদাহারন,তুরষ্কের নিও অটোম্যান রিসব তাইয়্যেব এরদোগান এবং তার দল একে পার্টি! যারা হাজারো নির্যাতন এবং বাধা স্বত্তেও সুসংগঠিত নেতৃত্বদ্বারা আজ দেশের ক্ষমতায় আসীন হয়েছে! আর সে কারনেই বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম সৎ নেতৃত্ব এবং যোগ্য জনশক্তির সমন্বয় করে ইসলামীক বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে! আর যার কারনে শত নির্যাতন স্বত্তেও জামায়াতের ভিত আজও অটল এবং নির্ভয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেই সাথে জামায়াত শত বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আপন গতিতে।

২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে,জয়ের থিসিস নামে একটি লিফলেট গোটা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। জয়ের থিসিসে ছিল,“বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে মৌলবাদীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেনাবাহিনীতে ঢোকানোর জন্য মাদ্রাসা গুলোতে প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে। বিগত সময়গুলোর চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে বোরকা বিক্রির হার ৫০০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা নির্বাচনে জয়লাভ করে, এই ইসলামীকরন প্রতিহত করব”। সেই বক্তব্যের বাস্তবায়ন আজ গোটা বাংলাদেশ জুড়ে হচ্ছে। প্রথমে ক্ষমতায় এসেই তারা সেনাবাহিনীকে মৌলবাদী মুক্ত করবার এজেন্ডা হাতে নিল! বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়ে হত্যা করা হল ৫৪ জন মৌলবাদী সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন।

হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন পরবর্তি সময়ে মাদ্রাসা শিক্ষা এবং মাদ্রাসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপর চালানো হয়েছে,‘প্ল্যানেড টর্চার! তার অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবরে চট্টগ্রামের জামিয়াতুল আল ইসলামিয়া লালখান বাজার মাদ্রাসায় বোমা বিষ্ফোরন নাটক সাজিয়ে গ্রেফতার করা হল মুফতি হারুনকে! অথচ সেটি প্রকৃত অর্থে ছিল আইপিএস বিষ্ফোরন! কিন্তু কথায় আছে, মোল্লা দ্রুত হাটলেও দোষ। আবার ধীরে হাটলেও দোষ। মোল্লা দ্রুত হাটলে লোকে বলে, হয়তো দাওয়াত আছে! আর ধীরে হাটলে লোকে বলে, মোল্লার খাওয়া বেশি হয়ে গেছে! তেমনি মাদ্রাসায় সামান্য চিকা মরলেও সেখানেই জঙ্গিবাদের গন্ধ খুজে পান, আমাদের পুলিশবাবুরা! আর সেই গন্ধ শুকে, গোটা বাংলাদেশ জুড়ে দাঁড়ি টুপি ওয়ালাদের গ্রেফতার করা শুরু করেন। আজ এক আসামীতে কোর্টে আনা হল! জানতে পারলাম, গত রাতে তাদের ছাত্রাবাসে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০ জনকে গ্রেফতার করেছিল! সবাইকে ছেড়ে দিলেও শুধু তাকে ছাড়া হয়নি! কারন হিসেবে তার মুখে রয়েছে সামান্য দাঁড়ি। আর সেই দাঁড়ি দেখে পুলিশরা তাকে জঙ্গির দলে সাব্যস্ত করে কোর্টে চালান রে দিল। আর এছাড়াও আজ জাতীয় ভাবে মাদ্রসাকে নিযে ষড়যন্ত্র চলছে! মেধা তালিকায় স্থান পাবার পরও আজ বিসিএস এর ভাইভাতে পাশ দেখানো হচ্ছে না। একটাই কারন মাদ্রাসার ছাত্র। সেনাবাহিনীতে কোন মাদ্রাসার ছাত্র চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবে না। আর এ বছর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলামীক ষ্টাডিজ বিষয় ছাড়া আর কোন বিষয়েই ভর্তি হতে পারবেন না মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা! এ যেন মাদ্রাসা শিক্ষাকে পুরোদমে ধ্বংস করবারই অপচেষ্ঠা!

আজকের শাসন কর্তারা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের শুধু মিলাদের আসরেই দেখতে চান! যাদের একমাত্র কাজ হবে, নবজাতকের জন্ম হলে তার কানে আযান দিয়ে আসা। কেউ মারা গেলে তাকে গোসল দিয়ে,জানাযা পড়িয়ে কবর দিয়ে আসা! আর সময়মত আযান দিয়ে মুসল্লিদের নিয়ে নামায পড়া! এছাড়া আর কোন কাজেই তারা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দেখতে রাজি নন।

আজ এখান থেকে প্রতিয়মান হয়ে,এ প্রতিরোধ ইসলামের বিরুদ্ধে। এ নিষেধাজ্ঞা পুরো ইসলামের উপরে। এ শর্ত আরোপন পুরো ইসলামকে বলায়বদ্ধ করবার জঘন্য ষড়যন্ত্রেরই অংশ!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৫

হুবাস্ট্যাঙ্ক বলেছেন: মনে করে দেখেন তো আপনি নিজে কি ইসলাম পালন করছেন?...বা আপনার উপর যাদের হক তারা কি পালন করছে?... কিংবা আপনার বাসার কাজের মানুষ যে আছে তার অবস্থা কি ?...বাংলাদেশ নিয়া চিন্তা করার আগে ঘরের চিন্তা করেন। নিজের আশপাশ টা যদি আমরা বদলায় তাহলে অনেক খানি বাংলাদেশ বদলে যাবে। অযথা অন্যের উপর দোয চাপানোর তো কোন মানে নাই।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

উচ্ছল বলেছেন: ভালই লিখেছেন।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৪

বিপরীত বাক বলেছেন: বাংলাদেশে আর কোনবিষয়েই আন্দোলন গড়ে উঠবে না।। কারণ আন্দোলনের জন্যে চাই দৃঢ় ও নির্মোহ মানসিকতা।। পুরো জাতিরই আজ লোভী মন।। সবাই লুটপাটের চিন্তায় থাকে।। সর্টকাটে বড়লোক হওয়ার ধান্দায় থাকে।।

পুরো জাতিটার নৈতিক মেরুদন্ড স্থায়ী ভাবে ভেঙে গেছে।। কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। কারণ বিশ্বাস করার মত মানুষের আকাল।। সবাই তার পাশের ও সাথের লোকজনের টা মেরে খাওয়ার ধান্দায় থাকে।।

পুরো জাতি টা আপাদমস্তক পঁচে গেছে।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.