নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সমাগত,মিথ্যা বিদূরিত।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১)

আমার পরিচয়,আমি মুসলিম।আমার একমাত্র পরিচয় আমি মুসলিম।আমি মুসলিম ব্যতিত আর কিছুই না।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়ের মুখে কলঙ্ক দিয়ে ফায়দা নিতে,দুনিয়ার যতো মজা!

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

ছোটবেলা থেকেই রাখাল বালকের গল্প শুনে আসছি।আজ বড় বেলাতেও সেই গল্পটাই বার বার মনে পড়ছে!কিংবা কোথাও কোথাও সেই গল্পের মর্মার্থ এর সঙ্গে, সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছি।অথবা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাকে রাখাল বালকের সঙ্গে তুলনা যোগ্য বলে মনে হচ্ছে!

“এক গ্রামে এক দুষ্টু রাখাল ছিল।মানুষকে বিরক্ত করতে সে খুবই মজা পেত।একদিন সে চিৎকার করে বলল,বাঁচাও!বাঁচাও!বাঘ এসছে।গ্রামের লোকজন লাঠিশোঠা নিয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেলে,রাখার বালক হেসে খুন!কারন সেটাও ছিল তার দুষ্টুমিরই একটা অংশ!এরপর আর একদিন সত্যি সত্যি বাঘ,রাখাল বালককে আক্রমন করল।সেই দিনও সে নিজেকে বাঁচানোর আকুতি নিয়ে চিৎকার করেছিল।কিন্তু সেই দিন আর কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি”।

ঠিক সেই অবস্থাটাই আজ বাংলাদেশে হয়েছে।বিরোধী দলকে দমনের জন্য দালাল মিডিয়া লেলিয়ে দিয়ে,প্রচার করা হল“বিরোধী দল জঙ্গি কর্মকান্ড পরিচালনা করছে”।আর সেই কথাকে প্রমান করতে নিজেরা পরিকল্পনা করে চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালাল।সেই সময়ে চট্রগ্রাম এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমাসহ বেশ কয়েকজন যুবলীগ কর্মী গ্রেফতার হয়েছিলেন।
কিন্তু বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র প্রমানের কাজ, আরও অনেক আগে থেকেই কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে।২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জেএমবি সারাদেশে সিরিজ বোমা চালিয়ে, দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র প্রমানে একধাপ এগিয়ে গেল।আর জেএমবির নেতৃত্তদানকারী বাংলা ভাই ছিলেন,বর্তমান সরকারদলীয় দলের কেন্দ্রীয় নেতার ভগ্নিপতি।

বেশ কিছুদিন আগে,প্রথম আলো পত্রিকার একটি বিজ্ঞাপন বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল!বিজ্ঞাপনটির স্লোগান ছিল,“দেশটা কি মা না?মা কে সম্মান করতে শিখুন” ।অথচ এই প্রথম আলো তখন এমন রিপোর্ট করতেছিল,তারা বাংলার আকাশে ন্যাটোর হেলিকপ্টার উড়িয়ে আর বঙ্গোপসাগরে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বহনকারী জাহাজ না দেখে ক্ষ্যান্ত হবেন না।কিন্তু তাদের সেই প্রচেষ্ঠাকে পন্ড করে দিয়েছিলেন,তৎকালীন র্যাব সদস্য কর্নেল গুলজার।কর্নেল গুলজার নিজে নেতৃত্ত দিয়ে সেদিন জেএমবির জঙ্গিবাদের মূলউৎপাটন করেছিলেন।বাংলা ভাই,আতাউর রহমান সানী এবং শায়িক আব্দুল রহমানদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে ছিলেন।আর সেই ফলস্রুতিতে বিডিআর বিদ্রোহের সময় কর্নেল গুলজারকে তার প্রাপ্য পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়।বিডিআর বিদ্রোহের সময়,জাহাঙ্গীর কবির নানকের একটি ফোনলাপ প্রকাশিত হয়েছিল।আর সেই ফোনালাপে কর্নেল গুলজারের প্রতি তার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এর প্রমান পাওয়া যায়।আর সেই ক্ষোভের কারনে,কর্নেল গুলজারের লাশটিকে সবচেয়ে বিভৎস অবস্থায় খুজে পাওয়া যায়।

সেই চারদলীয় সরকারের আমলে জঙ্গিবাদের ধোঁয়া তোলা হল।আর সেই সময়ের দোষটা সরকারের উপরই চাঁপানো হয়েছিল।সর্বশেষ সরকার পতন আন্দোলনকে জঙ্গিবাদের সাথে তুলনা করা হল।মাননীয় সরকার প্রধানতো সারাদিন জঙ্গি জঙ্গি বলে তজবি জপেন!এমনকি জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে বক্তৃতা প্রদান করতে গিয়েও, জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গ টেনে আনেন।আর আজ যখন বাংলাদেশে ঘোষনা দিয়ে জঙ্গি কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে,তখন সরকার প্রধান বলেন,“দেশে কোন জঙ্গি নেই”।অথচ এই কথাটাই গত ১৪ বছর ধরে তারা অস্বীকার করে আসছেন।দেশ প্রধান ভেবেছেন,হুমকি ধামকি দিয়ে দেশ পরিচালনা করছি!অতএব বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূতদের একটা ধমক দিয়েই দেখা যাক!তিনি বললেন,দুইটা খুন হয়েছে বলেই রেড এলার্ট জারি করতে হবে”।

সম্মানিত বঙ্গবন্ধু কন্যা!বিদেশীরা আপনার হুমকির বিপরীতে হুমকি দিবে না।কারন তারা শিষ্ঠাচারের প্রকৃত চর্চা করেত জানে।আপনার ধমকের বদলে,আজ একের পর এক পোশাক খাতের অর্ডার বাতিল হয়ে যাচ্ছে।বিদেশী বায়াররা একের পর এক প্রোগ্রাম বাতিল করছেন।সোনাগাঁও হোটেল আর হোটেল ওয়েষ্টিন এ যে সব বায়াররা রুম বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন,তারা সব বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন।আপনি তাদেরকে মুখে হুমকি দিয়েছেন।আর তারা আপনাকে কর্মে হুমকি দিয়েছে।প্রতিবছর আপনার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেখান।সেখানে প্রতিনিয়ত রিজার্ভ বাড়ছে!রিজার্ভ কেন বাড়ে,তা কি আপনার বুঝে নেই?দেশে বিনোয়োগ নেই বলেই আজ বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে অলস সময় কাটাচ্ছে!

জঙ্গিবাদের ধোঁয়া তুলে ধরাশায়ী করতে গিয়ে,সরকার এবার নিজেই ধরাশায়ী হয়ে গেলেন।কথায় আছে,“পরের জন্য ফাঁদ খুঁড়লে,সে ফাঁদে নিজেকেই পড়তে হয়”।

নিজের বাবার মৃত্যুতে দেশের মানুষ কাঁদেনি,সেজন্য আপনি প্রতিশোধ নিবেন বলে ওয়াদা করেছিলেন।সেই প্রতিশোধ কি আপনি ১২ বছর ক্ষমতায় থেকেও নিতে পারেন নি?এবার দেশের দিকে একটু তাকান।দেশটাকে মায়ের মত করে সম্মান করতে শিখুন।দেশটাকে মায়ের আদলে যত্ন করে গড়ে তুলুন।উন্নয়নের জোয়ারে দেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এটাকে শুধু মুখের বুলি না করে,বাস্তবে পরিনত করুন।উন্নয়নকে বিলবোর্ডে সীমাবদ্ধ না রেখে,কর্মের মাধ্যমে জানান দিন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

কমরেড মাহমুদ বলেছেন: আজব এক দেশে বাস করছি। পার মাতাল গুলোকে বেছে বেছে সরকার চালানোর কাজে লাগানো হয়েছে

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭

বিপরীত বাক বলেছেন: এগুলো মাতাল হলে আগের গুলো কি ছিল? সাওতাল?

এদের এসব কাজের ভিত্তি তৈরী করেছিল আগের আমলের (২০০১-২০০৬) সাওতালেরা।। ঐ সাওতাল ( হাওয়া) গুলারে আগে ধরে ধরে ফাঁসি তে ঝোলান।। সিকুয়েন্স অনুসারে পরের গুলো এমনিতেই চলে আসবে।।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

Shahjahan Ali বলেছেন: ভাল লিখেছেন। মাননীয়া সরকার প্রধান এখন সেই চেষ্টা করলেই হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.