নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সমাগত,মিথ্যা বিদূরিত।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১)

আমার পরিচয়,আমি মুসলিম।আমার একমাত্র পরিচয় আমি মুসলিম।আমি মুসলিম ব্যতিত আর কিছুই না।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরাঈলী জনগনের হাতে ইসরাঈলী খুন!অতঃপর...........

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১১

গত কয়েকদিন ধরেই ফিলিস্তিনী মুক্তিকামী জনতা এবং অবৈধ দখলদার ইসরাঈলীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে!আর এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ জন ফিলিস্তিনি শাহাদত বরন করেছেন।

চলতি সপ্তাতে, দক্ষিন ইসরাঈলের ইরিত্রিয়ান এক ইহুদী যুবককে ভুল বশত, ফিলিস্তিনি মনে করে হত্যা করেছে ইসরাঈলীরা!এই যুবকের নাম হাফটম জারহুম।ইসরাঈলী জনগন তাকে ফিলিস্তিনী যোদ্ধা মনে করে,গনপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে।(আলহামদুলিল্লাহ)

একটি ঘটনা মনে পড়ে যায়!৬০ দশক এর সময়কার ঘটনা।তখন মিশরে উস্তাদ সাইয়্যেদ কুতুবকে ফাঁসি দিয়ে শহীদ করা হয়েছে।আর তার ছোট ভাই মুহাম্মাদ কুতুব এবং ছোট বোন হামিদা কুতুবকে মিশরের একটি কারাগারে বন্দি রাখা হয়।

মিশরের ইসলামপন্থিদেরকে মানষিকভাবে দুর্বল করতে, তৎকালীন মিশরীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শারাওয়ী জুমা নতুন একটি আইন করেন।ইসলামপন্থিরা কেউ কারো সঙ্গে দেখা করতে পারবে না।আর বাহির থেকে কোন ধরনের খাবার অথবা ফলমূল গ্রহন করা তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

এর কয়েক বছর পর মুহাম্মাদ কুতুব জেল কতৃপক্ষের কাছে,বোনের সঙ্গে দেখা করবার অনুমতি চেয়ে দরখাস্ত লিখেন।তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শারাওয়ী জুমা জবাবে বলেন,“জীবিত অথবা মৃত,কোন অবস্থাতেই তোমার বোনেক দেখতে পারবে না”।

এক বছর পর,হঠাৎ করে মিশরের সরকার পরিবর্তন হয়।আর সরকার পরিবর্তনের ফলে,মুহাম্মাদ কুতুব এবং বোন হামিদা কুতুব নিজেদেরকে কয়েদ মুক্ত রূপে আবিষ্কার করেন।আর পূর্ববর্তি সরকারের সকলকে জেলে বন্দি করা হয়।

জেলে বন্দি থাকাবস্থায় একদিন শারাওয়ী জুমা এর স্ত্রী তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন।প্রহরী জুমার স্ত্রীকে তল্লাশী করে এবং তার কাছে কিছু ফল ও খাবার পায়।প্রহরী তাকে প্রশ্ন করে, এগুলো কার জন্য নিয়েছেন?তখন জুমার স্ত্রী বলেন,আমার স্বামী শারাওয়ী জুমার জন্য এই সামান্য ফল এবং খাবার এনেছি।তখন প্রহরী মুচকি হেসে বলেন,কয়েদিদের জন্য যেকোন ধরনের খাবার অথবা ফল দেয়া নিষিদ্ধ!

পরের জন্য গর্ত খঁড়লে সেগর্তে নিজেকেই পড়তে হয়।আর জালিমকে নিজের জুলুমের আগুনেই জ্বলে মরতে হবে।আর আল্লাহপাক সে কথা কুরআনে ষ্পষ্ট করে বলেছেন এবং ইহুদীসহ জালেমদের সাবধান হতে বলেছেন।

“অতঃপর তোমারই পরষ্পর খুনাখনি করছ এবং তোমাদের একদলকে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করছ।তাদের বিরুদ্ধে পাপ ও অন্যায়ের মাধ্যমে আক্রমন করছ।আর যদি তারাই কারো বন্দি হয়ে তোমাদের কাছে আসে,তবে বিনিময় নিয়ে তাদের মুক্ত করছ।অথচ তাদের বহিষ্কার করাও তোমাদের জন্য অবৈধ।তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দাংশ বিশ্বাস কর আর কিয়দাংশ অবিশ্বাস কর?যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দুর্গতি ছাড়া তাদের আর কোন পথ নেই।কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে।আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্ম সম্পর্কে বেখবর নন”।[সূরা বাকারা-৮৫]

জুলুমকারীরা কখনো বিজয়ী হতে পারেনি,কখনো পারবেও না।সবশেষে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনীদেরই জয় হবে, ইনশা আল্লাহ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২১

মজির বংশ সামু বলেছেন: পোস্টটি পড়ে মজা পাইলাম, এ রকম আরও পোস্ট করার অনুরোদ রইল। আমার মাথায় কিছু নাই গোবর ছড়া, পড়তে পারি মাগার লিখতে পারিনা।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৭

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: চেষ্ঠা করেন আর আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন,দেখবেন পারবেন ইনশা আল্লাহ।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

বিপরীত বাক বলেছেন: কিন্তু রঙ্গলীলার বঙ্গদেশে সব উল্টো ঘটে।।


এখানে যুগে যুগে জুলুমকারি দের বিজয়ী হতে দেখলাম।। এমন কি জুলুমকারির সন্তানদেরও আল্লাহ পুরস্কৃত করেন এদেশে।।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: জুলুমকারীরা কখনো বিজয়ী হতে পারেনি,কখনো পারবেও না।সবশেষে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনীদেরই জয় হবে, ইনশা আল্লাহ।
ইন শা আল্লাহ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.