নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সমাগত,মিথ্যা বিদূরিত।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১)

আমার পরিচয়,আমি মুসলিম।আমার একমাত্র পরিচয় আমি মুসলিম।আমি মুসলিম ব্যতিত আর কিছুই না।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ পর্যন্ত হয়তো পুরো দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েই, দেশের সেবাকারীদের বেতন ভাতা প্রদান করতে হবে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

ঘটনাঃ১
বেশ কয়েকদিন আগে,বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার থেকে ফিরতেছিলাম!এক রাজনৈতিক নেতার ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলাম।ফেরার সময় কম বয়সী এক রিক্সাওয়ালাকে পেলাম!দরদাম করতে গিয়ে,ছেলেটার বাক্য উচ্চারন এবং মাজ্রিত আচরন দেখে মনে হলো সে শিক্ষিত।কিছুদূর যাওয়ার পর ওকে প্রশ্ন করলাম,তুমি কি পড়াশুনা কর?সে হ্যাঁ সূচক উত্তর দিল।তারপর নিজে থেকেই বলল,সে ইন্টার ফাষ্ট ইয়্যারে পড়ে।দিনের বেলা কলেজ আর পড়াশুনা করি।আর সন্ধ্যা থেকে মাঝরাত পর্যন্ত রিক্সা চালাই।তাকে প্রশ্ন করলাম,তোমার আব্বা কিংবা বড় ভাই নেই?সে জবাবে বলল,আমিই সবার বড়।আব্বা অনেক আগেই মারা গেছে।আর গ্রামে মা আর ছোট বোন আছে।আমি রিক্সা চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে,নিজের পড়াশুনার খরচ চালাই আর বাকিটা গ্রামে পাঠিয়ে দেই।তখন মনে মনে ভাবি,হয়তো এই ছেলেটার মাঝে লুকিয়ে আছে নতুন কোন আতিউর রহমান।

ঘটনাঃ২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রের সঙ্গে কথা হচ্ছিল!অজানা এক কারনে তিনি শেষে পর্যন্ত পড়াশুনা শেষ করেন নি।অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা না দিয়েই বাসায় চলে আসেন!ব্যক্তিগত খাতিরে আমি তার পড়াশুনা শেষ না করার কারন জানতে চেয়েছিলাম।তিনি বললেন,তোমাকে একটা গল্প বলি!

ধর,“তুমি একটি নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছো!এখন তোমাকে নৌকায় করে নদী পাড়ি দিতে হবে!নদীর পাড়ে অনেকগুলো নৌকা বাঁধা আছে।আর সেই নৌকাগুলোর মাঝে একটি পাল তোলা নৌকা!আর সেটি রেপিং কাগজ কিংবা রঙ্গচঙ্গে মোড়ানো।এক কথায় দৃষ্টিনন্দন।সেই নৌকার মাঝি নিজে এসে তোমার হাত ধরে নৌকায় বসালো!তখন স্বাভাবিক কারনেই সেই মাঝির নৌকায় আরোহন করতে তোমার ভাল লাগবে!কিন্তু নৌকা যখন মাঝ নদীতে পৌছে গেল,তখন তুমি বুঝতে পারলা নৌকার তলা ফুঁটা!তখন তোমার নৌকার সৌন্দর্য আর চোখে পড়বে না।মাঝির অমায়িক ব্যবহার তোমার মানস পটে ভেসে উঠবে না।তখন সব কিছু বাদ দিয়ে,তোমার মানস পটে জীবনের সৌন্দর্য ভেসে উঠবে।তখন জীবন বাঁচানোর জন্য নৌকা থেকে লাফ দিয়ে তোমাকে তীরে উঠতে হবে”।

ঠিক এমন একটি অবস্থার কারনে আমি পড়াশুনা বাদ দিয়ে চলে এসেছি।তিনি বললেন,ভার্সিটিতে যাওয়ার পর কিছু বড় ভাই আমাকে আপন করে নিলেন।তাদের সাহচর্যে হলে সিটও পেয়ে গেলাম!সেই বড় ভাইয়েরা আমাকে একটি শোষন মুক্ত সমাজের সম্পন্ন দেখাতো।দেখাতো বিপ্লবী হবার স্বপ্ন।তখন আমার মানস পটে জেগে উঠতো চে গুয়েভারা কিংবা ফিদেল ক্যাষ্ট্রো হবার অদম্য ইচ্ছা।কিন্তু কয়েকদিন পর আমি সব বুঝতে পারলাম।আসলে তারা যে,এসব শোষন মুক্ত সমাজের স্বপ্ন আর বিপ্লবী হবার ইচ্ছা আমাদের মনে জাগ্যত করত,তা প্রকৃত অর্থে ছিল সৌন্দর্য মন্ডিত তলা ফুঁটা নৌকার মত।এসব বুলি দিয়ে আমাদের কে ভুলিয়ে ভালিয়ে রাজনীতিতে আনবে তারপর নিজেদের ফায়দা হাসিল করবে।পরবর্তিতে এই নেতারাই দেশের বড় বড় সরকারী কর্মকর্তা!আমরা হবো তাদের চামচা!সেই অভিমানে আমিও ফিরে এসেছি।

তেমনি আজকে রাজনৈতিক নেতা ব্যাক্তিরা আমাদেরকে নতুন একটি দেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছে!যেখানে থাকবে না কোন শোষন,নিপীড়ন কিংবা অবিচার!কিন্তু সেই রাজনৈতিক নেতা ব্যাক্তিরা শুধু নিজেদের আখের গোছানো নিয়েই ব্যস্ত।একদল হারানো ক্ষমতাকে ফিরে পাবার জন্য দেশকে বিকিয়ে দিচ্ছে!আর একদল ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য দেশকে বিকিয়ে দিচ্ছে!মাঝখান থেকে দুজনেই বলছে,আমরা দেশের মানুষের জন্য করছি!কিন্তু দেশের মানুষের পেটে নাই ভাত!

সরকার প্রধান প্রায় বলেন,তিনি দেশের মানুষের সেবায় নিজের জীবনটাকেও বিরিয়ে দিতে প্রস্তূত!কিন্তু সেই দেশের মানুষ যখন রাতে ঘুমানোর জন্য নিরাপদ আশ্রয় পায় না!তাদের শেষ ঠিকানা হয় রাস্তার ফুটপাত অথবা পার্কের বেঞ্চ,তখন তাকে সেবাই বলতে হয়।আর এই দেশ সেবার বিনিময়ে আপনাদের বেতন রাতারাতি কয়েকগুন বেড়ে যায়!দেশের মানুষের ভ্যাটের টাকায় পিচঢালা রাজপথ তৈরী হয়!আর আপনারা মানুষের সেবার নামকরে সে রাস্তায় ট্যাক্স ফ্রী গাড়ি হাকিয়ে বেড়ান!
দেশের শিক্ষিত তরুনরা যখন বেকারত্বের অভিশাপে নুয়ে পড়ে আত্নহত্যা করে,তখন দেশের সেবাকারীরা দেশের টাকায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে বডি চেকআপ এ যায়!দেশের তরুনরা পড়াশুনার সুযোগ পায় না,আর দেশ সেবার সুযোগ সন্ধানী নেত্রীর নাতনি বিদেশে পড়তে গিয়ে পত্রিকার শিরোনাম হন!

গত তিনমাসে বিনিয়োগ যেখানে নেই বললেই চলে,সেখানে যেহারে দেশ সেবকরা নিজেদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করছেন,শেষ পর্যন্ত হয়তো পুরো দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েই দেশের সেবাকারীদের বেতন ভাতা প্রদান করতে হবে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কিন্তু কি করার আছে!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: নিজের বিবেককে সে প্রশ্ন করুন!

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

আব্দুল্লাহ রিফাত বলেছেন: এক দম ঠিক কথা বলেছেন ফারাবী ভাই।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

চলন বিল বলেছেন: আওয়ামি মুক্ত বাংলাদেশ খুব প্রয়োজন। আমি এমন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখি যেখানে আওয়ামি ছাত্রলীগ গুন্ডা সন্ত্রাসি চাঁদাবাজ থাকবে না, এমন হওয়া কি একেবারেই অসম্ভব?

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: কেন অসম্ভব!তবে এই কামনাটা নতুন একটি সহিংসতার জন্ম দিবে মাত্র!আর কিছু না!

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

মামুন্‌ বলেছেন: ডদেশএর কাজ যারা করে তাদেরকে বেতন দেয়ার প্রয়োজন কি? বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার থেকে ভরপেট চব্য চোষ্য খেয়ে এসে রিকশায় চড়ে বাতাস খেতে খেতে কত কিছু চিন্তা করা যায় তায়না?
যে ছেলে রিকশা চালায়ে পড়াশোনা করে টাকে ছোট করতে খুব ভালো লাগে? আওয়ামীলীগের সৃষ্ট দেশে ফ্রী পাইয়া আর কি বলার আছে? আওয়ামি ছাত্রলীগ গুন্ডা সন্ত্রাসি চাঁদাবাজের বদলে রগকাটা শিবির বাহিনী নাহলে আর চলছেনা, গায়ে জ্বালা ধরে যায়।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: জনাব,আক্রমন করতে চান ভাল কথা!তবে যৌক্তিক কারন দেখিয়ে ব্যাক্তিগত আক্রমন করুন।বিবেক থাকলে যেকোন অবস্থান থেকেই চিন্তা করা যায়!জনাব,মূর্খ আর আর ছাগলরা না বুঝেই ম্যাঁ ম্যাঁ করে।আশা করিিআপনি সেই শ্রেনীভূক্ত কেউ নন!

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

বিপরীত বাক বলেছেন: আহা বেচারী দেশসেবক রা অনেক গরীব।। দু' বেলা পেট পুরে খেতে পারে না।। একটু নাহয় বেতন বাড়িয়েছে নিজেদের! তাতে ক্ষেপার কি আছে।।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: হা হা হা!ভাল বলেছেন।

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৮

হানিফঢাকা বলেছেন: সরকারি চাকুরিজীবিদের বেতন বাড়ানো দরকার ছিল। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় যে পদ্ধতিতে বা যে ভাবে এটা করা হয়েছে তা নিয়ে। এটা সত্য যারা পজিশনে নিচের দিকে আছেন তাদের জন্য এটা জরুরী ছিল, কিন্তু সবার জন্য না। তার পরেও সবার জন্য বাড়ানো হলেও এভাবে গণহারে বেতন ডাবল করে দেওয়াটা কতটা যুক্তি যুক্ত তা প্রশ্নের দাবী রাখে। সরকার ব্যলেন্সড ওয়ে তে এটা করতে পারত। যারা নিচের দিকে ছিল তাদের বেতন বেশি বাড়িয়ে, উপরের দিকে কম বাড়ালেই হত। এখন মানুষ প্রশ্ন করে সরকারি চাকুরেদের বেতন ডাবল করলে আমাদের সমস্যা কি? সমস্যা হচ্ছে আমরা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বাইরে না। প্রথমেই একটা ভুল ধারনা ভাঙতে হবে যে সব বেসরকারি চাকুরীজীবী অপেক্ষাকৃত বেশি বেতন পায়। অনেক বেসরকারি চাকুরীজীবী আছে তারা অনেক কম বেতনে চাকুরি করে। এখন এই সরকারি চাকুরিজিবীদের বেতন ডাবল করার ফলে সামগ্রিক ভাবে অর্থনীতিতে যে প্রভাবটা পড়বে, তার সরাসরি শিকার হবেন এই কম বেতনে চাকরি করা বেসরকারি চাকুরিজিবীরা। অর্থনীতিতে এই নেতিবাচক প্রভাব কম বেতনের সরকারি চাকুরীজীবীরা হয়ত তাদের বর্ধিত বেতন দ্বারা ওভারকাম করেও কিছু স্বাচ্ছল্যের মুখ দেখবে (যা আমি মনে করি তাদের জন্য সত্যিকার বেনিফিট খুব বেশি হবে না) কিন্তু কম বেতনের বেসরকারি চাকুরীজীবীরা এই নেতিবাচক প্রভাব থেকে কিভাবে বাচবে তাই হল প্রশ্ন। তাদের বেতন যদি না বারে তবে আমার মনে হয় তাদের জীবনধারার উপর নেতিবাচক প্রভাব আসবে এবং তাদের কে তাদের জীবনধারা আরও নিচের দিকে পরিবর্তন করতে হবে।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৪২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সরকার প্রধান প্রায় বলেন,তিনি দেশের মানুষের সেবায় নিজের জীবনটাকেও বিলিয়ে দিতে প্রস্তূত!
শুধু চেয়ারটা ছাড়তে প্রস্তুত নন।
দেশ বিক্রির আর বাকীটা আছে কি?

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩০

সজা১২৩ বলেছেন: হানিফ ঢাকা ভাইয়ের মন্তব্যটা অনেক সুন্দর। তবে বিশ্লেষনটা আরো সহজতর (অল্প শিক্ষিতদের উপযোগি করে) ও সংক্ষিপ্ত আকারে একটি নতুন পোষ্ট দিলে ভাল হয়-যেটা জনসচেতনতায় ফেসবুকে শেয়ার করা যেতে পারে।

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

সজিব হাওলাদার বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।But What can we do?

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: ভালোই বলেছেন ।এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দরকার দেশপ্রেম ।কিন্তূ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই জানেনা দেশপ্রেম কি ?

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ভালো বলেছেন।

১২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

বিপরীত বাক বলেছেন: বেসরকারী গুলোর একটু উষ্ঠা খাওয়ার দরকার অাছে।। বহুত ফুটানি দেখিয়েছে। এখন ফুটানির দিন শেষ হতে যাচ্ছে তাই কুই কুই কেউ কেউ করা শুরু করেছে।

অাজকে এই বেতন বাড়ানোর সামাজিক প্রভাবের কথা বলছেন তা তখন খেয়াল ছিল না যখন একটা লো গ্রেড স্টুডেন্ট খালি হাচড়ে পাচড়ে এমবিএ করে গ্রামীন ফোনে করে চাকরি পায়। অার কোথায় চাকরি জিজ্ঞেস করলে বলতো জিপি.. হুমম. জিপি তে্ । বেতন কত জিজ্ঞেস করলে বলতো উমম অ্যারাউন্ড ফিফটি।। ইয়া ।।ইয়া । কোথা য় যাচ্ছিস বলতো ওহহো অাই হ্যাভ ৃএ রুটিন টু প্লে লন টেনিস।

অার যে জিজ্ঞেস করতো সে ভাবতো কতই না রুটলেস স্টুডেন্ট ছিল। এইচ এস সি তে হাচড়ে পাচড়ে দেখাদেখি করে মার্কস তুলে ডিইউ এর সব শেষেরবিষয়তে কোনমতে চান্স পেয়েছিল। অার এখন ,, দীর্ঘশ্বাস।।।

বলবেন যে সবাই তো অার জিপি তে চাকরি করে না । অার অামি বলি অাপনি কি জানেন কতগুলো সরকারি চাকরি অাছে যেখানে এক পয়সা ঘুষ নেই,, উল্টো অারও বেতনের টাকাই দিতে হয় বদলি ঠেকানোর জন্যে।।
কতগুলো সরকারি চাকরি অাছে যাতে সারা বছর ডিউটি করতে হয়। সাপ্তাহিক বন্ধতো নাই অাবার সরকারি বন্ধতেও ডিউটি করায়।

এদের কাছে এই বেতন বৃদ্ধি নবজীবন নিয়ে এসেছে। মাথা টা উচু করে দিয়েছে। তাতেই এত হিংসে হচ্ছে??

১৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনির্বচিত সরকারেরা এমনই হয়.. তলা ফুটা নৌকার মতো রঙচঙে কিন্তু অকাজের্

স্বৈরাচারিতার প্রতিবাদে সরকারী কর্মচারীরা যাতে যুক্ত না হয় ..(যুক্ত হওয়া মখা তো তাদেরই ইতিহাস) নিজেদের অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় থাকাকে টিকিয়ে রাখতে যে বেতন বৃদ্ধির মতো হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে -তাতে ১৬-১৮ লাখ লোক না হয় উপকৃত হল.. আর সরকারও সাময়িক টিকে গেল.. আখেরে কি হবে?

বাকী ১৭ কোটি ৭৪ লাখ লৌকের কি হবে?????

এই অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধির কু-ফল দ্রব্যমূল্যে ঘোড়াকে যে পাগল করবে তার লাগাম দেবে কে? বাড়ী ভাড়া বৃদ্ধি সহ জীবন যাপনের সকল ক্ষেত্রে যে বৈষম্যের জন্ম দিল এর রেশ সহজে শেষ হবে না!!!

১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

বিপরীত বাক বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনির্বচিত সরকারেরা এমনই হয়.. তলা ফুটা নৌকার মতো রঙচঙে কিন্তু অকাজের্

স্বৈরাচারিতার প্রতিবাদে সরকারী কর্মচারীরা যাতে যুক্ত না হয় ........... ক্ষমতায় থাকাকে টিকিয়ে রাখতে যে বেতন বৃদ্ধির মতো হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে -তাতে ১৬-১৮ লাখ লোক না হয় উপকৃত হল.. আর সরকারও সাময়িক টিকে গেল.. আখেরে কি হবে?


জনাব বিদ্রোহী ভাই,, অাপনি বাংলাদেশে থাকেন না বলে মনে হচ্ছে। অথবা বাঙালী চেনেন না। এদের ইতিহাস সম্বন্ধেও ধারণা কম।

সরকারী চাকুরি করেছেনও বলে মনে হয় না।

নাম বলছি না তবে একটা প্রতিষ্ঠানের ঢাকা অফিসে হেড একজন জামাত। এমপ্লয়িদের ৬০% বিএনপি জামাত মাইন্ডের। প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের বেশিরভাগ মার্কা মারা বিরোধীদলীয়্‌ শুধু বেতন বাড়িয়ে বা টাকা পয়সা দিয়ে যদি বাঙালা দের বিশ্বাস অর্জন করা যেত তাহলে হাওয়া ভবনের লোকজন বিপদের সময় তারেকের পাশে দাড়ালো না কেন? হাওয়া ভবনের জোড়ে যারা চাকরি পেয়েছে তারা বেশিরভাগ কেন তারেকরে বাপ মা তুলে গালি দেয়? গত বিএনপি অামলের ইতিহাস টা একটু পড়ে দেখিয়েন।। এইতো কদিন অাগেই পত্রিকায় বেরিয়েছিল যে খালেদা যাদের যাদের টাকা পয়সার মালিক করেছিল তারা কিভাবে ২০০৭ সালে খালেদা তারেক কে সরানোর জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছিল !!!! যাদেরকে মা বেটা টেনে এনে ক্ষমতার লোভনীয় পোস্টে বসিয়েছিল তারা কিভাবে মা বেটা দুজনের পশ্চাৎদেশে লাত্থি মারার জন্যে উদগ্রীব ছিল।

অাপনি বাংলা ইতিহাস জানেন না। বাঙালি চেনেন না। বোঝেন ও না।
অার ব্লগে এসেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষন করতে??

অার অাপনার ধারণা খালি বেতন বাড়াতে ১৭ লাখ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী হাসিনা বিরুদ্ধে কিছু বলবে নাা !!

হাস্যকর।
তাহলে সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর সিবিএ নির্বাচনে বা পেশাজীবি প্রতিস্ঠানে জাতীয়তাবাদী প‌্যানেল এত বিপুল ভোটে কি জিতে কিভাবে? হাওয়া ভবন থেকে উইড়া উইড়া ভোট পাইছিল নাকি?

১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

মামুন্‌ বলেছেন: যৌক্তিক কথা শুন্তে চাইলে বলি, এখন একজন রিকশাওয়ালা ঠিকমত রিকশা চালালে তার পচিশ হাজার টাকা income হয়।
আর একজন প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তার বেতন এগার হাজার বেসিকে সর্বচ্চ আঠার- উনিশ হাজার টাকা যে কিনা বিশ বছর ধরে
পরিবার কিংবা আত্মীয় স্বজনের গলগ্রহ হয়ে পড়াশোনা শেষ করে। স্কুলে একটা গল্প পড়ছিলাম একটা কুকুরের কয়টা ঠেং এর সমান একটা
সরকারী চাকুরের বেতন। এগুলো মনে হয় লেখক কোনদিন পড়েননি।
যারা যুক্তি বোঝেনা তাদের যৌক্তিক কথা বোঝানোর বিড়ম্বনা নেয়ার কিছু নাই,
তথাকথিত নিরবাচিত সরকার হলে এত কথা বলার জন্য এখানে অনেকের দাত চড়ায়া ফালাই দিত,
লেখকের reply দেখে আবারো বলি রিকশা চালানোর কাজকে ছোট করে
দেখার কিছু নাই। অন্তত সরকারী চাকরী করার চাইতে তো ভালো বলে মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.