নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সমাগত,মিথ্যা বিদূরিত।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১)

আমার পরিচয়,আমি মুসলিম।আমার একমাত্র পরিচয় আমি মুসলিম।আমি মুসলিম ব্যতিত আর কিছুই না।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে আফজাল গুরুর কিছু কথা এবং তাঁর জীবনের শেষ চিঠি.........

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

২০১৩ সালের ৯ ফেব্রয়ারী,সকাল ৮ টা!ভারতের তিহার কারাগারের ফাঁসির মঞ্চে পৌঁছে গেছেন আফজাল গুরু!

ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে,আফজাল গুরু জল্লাদকে উদ্দেশ্য করে বলেন,“প্রচন্ড ব্যথা পেতে পারি এমন কিছু নিশ্চয়ই তুমি করবে না।জল্লাদ চোখের পানি সামলে নিয়ে বলেন,না এমন কোন কাজ-ই করা হবে না।তখন আফজাল গুরু জল্লাদকে উদ্দেশ্য করে বলেন,‘আলবিদা’!জল্লাদও আফজাল গুরুকে ‘আলবিদা’ বলে জীবনের শেষ বারের মত বিদায় জানান”।

মূলত আফজাল গুরু ভারতে দূর্নীতি বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলে ছিলেন।২০০১ সালে ভারতের সংসদে একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।আর সেই হামলার ঘটনায় আফজাল গুরুকে প্রধান আসামী করা হয়!

তিহার কারাগারের এক কর্মকর্তা(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান,আফজাল গুরু সব সময় উৎফুল্ল ও শান্ত স্বভাবের ছিলেন।তিহার কারাগারের প্রতিটা কারারক্ষীর নাম,আফজাল গুরুর মুখস্ত ছিল!তিনি ফাঁসির মঞ্চে এগিয়ে যাবার সময়,প্রতিটা কারারক্ষীর নাম ডেকে ডেকে কুশল জিজ্ঞেস করেন এবং আলবিদা জানান।সেই কর্মকর্তা জানান,সেই দিন অধিকাংশ কারারক্ষীরাই নিজেদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন নি!

তিহার কারাগারের সেই কর্মকর্তা জানান,আফজাল গুরুর ফাঁসিসহ এই কারাগারে সর্বমোট ২৫টি ফাঁসি কার্যকর করা হয়।তার মধ্যে ১০ টি ফাঁসিতে উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছিল।“ফাঁসির মঞ্চের দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনলেই মানুষ ভয়ে কাঁপতে শুরু করে।কিন্তু হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার যে রূপকথা প্রচলিত রয়েছে,আফজাল গুরুর বেলায় ঠিক তাই-ই ঘটেছে”।

তিহার জেলের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, কোনো দুষ্ট শক্তির বিনাশ ঘটলে সবাই উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেন কিন্তু কোনো নিষ্পাপ ও ভাল হৃদয়ের মানুষ চলে গেলেই নেমে আসে বিষাদ।

আফজাল গুরুকে তিহার কারাগারের অভ্যন্তরে,কাশ্মীর মুজাহিদীন বাহিনীর নেতা শহীদ মকবুল বাটের পাশে কবর দেয়া হয়।

ফাঁসির আগে,আফজাল গুরু গোটা মুসলিম উম্মাহ এবং তাঁর পরিবারের উদ্দেশ্য ছোট্ট একটি চিঠি লিখে গিয়েছেন।

তিনি লিখেছিলেন,“আমাকে এই অবস্থানে উঠানোর জন্য আল্লাহপাককে শতকোটি কৃতজ্ঞতা জানাই।সকল বিশ্বাসীকেও আমার অভিনন্দন জানাই।কারন,আমরা সবাই একসঙ্গে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং আমাদের শেষটাও হতে হবে সত্য ও ন্যায়ের পথে।আমার পরিবারের প্রতি অনুরোধ,আমার মৃত্যুতে শোকার্ত না হয়ে,তাদের উচিত হবে আমি যে অবস্থান তৈরী অর্জন করেছি,তাকে শ্রদ্ধা করা।আল্লাহপাক তোমাদের সবচেয়ে বড় রক্ষাকর্তা ও সাহায্যদাতা।আল্লাহ হাফেজ”।(আফজাল গুরু)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কোনো দুষ্ট শক্তির বিনাশ ঘটলে সবাই উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেন কিন্তু কোনো নিষ্পাপ ও ভাল হৃদয়ের মানুষ চলে গেলেই নেমে আসে বিষাদ।

রাজনৈতিক বিবেচনায় এরকম কত ভাল মানুষ ফাসি কাষ্টে ঝুলেছে যুগে যুগে ইয়ত্তা নাই।

“ফাঁসির মঞ্চের দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনলেই মানুষ ভয়ে কাঁপতে শুরু করে।কিন্তু হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার যে রূপকথা প্রচলিত রয়েছে,আফজাল গুরুর বেলায় ঠিক তাই-ই ঘটেছে”।

মৃত্যুঞ্জয়ীর আর মৃত্যুতে ভয় কিসের???

তবে আরে ডিটেইলস দিলে ভাল হতো। শুধু দূর্নীতি বিরোধীতার জন্যই কি ফাঁসি? নাকি!!!!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৩

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।পরবর্তি দিনে ইনশা আল্লাহ ডিটেইলস লিখব।দূর্নীতিবাজরা আজও তাদের স্ববস্থানেই রয়েছেন!তাদের কোন বিচার হয় নি।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

প্রামানিক বলেছেন: কোনো দুষ্ট শক্তির বিনাশ ঘটলে সবাই উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেন কিন্তু কোনো নিষ্পাপ ও ভাল হৃদয়ের মানুষ চলে গেলেই নেমে আসে বিষাদ।

এরকম কত নিরাপরাধ মানুষ যে ফাঁসিতে মরছে তার ইয়াত্তা নাই।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৮

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: উনাকে কেন ফাঁসি দেয়া হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন । কোন মানুষকে নিশ্চয়ই বিনা কারণে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়না? যদ্দুর শুনেছিলাম বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য উনাকে ফাঁসি দেয়া হয় ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: ভাই দয়া করে নিচের কমেন্টটা পড়ুন।আশা করি উত্তর পাবেন।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

ছণ্ণ্ ছাড়া বলেছেন: লন্ডনের দি গার্ডিয়ান পত্রিকার অনলাইনে অরুন্ধতী রায়ের একটি লেখা::

শিরোনাম : দি হ্যাংগিং অফ আফজাল গুরু ইজ এ স্টেইন অন ইনডিয়ান ডেমক্রেসি (The hanging of Afzal Guru is a stain on India’s democracy)

সাবহেডিং: আফজাল গুরুর বিরুদ্ধে মামলায় বিরাট সব ত্রুট সত্ত্বেও ইনডিয়ার সব প্রতিষ্ঠান একজন কাশ্মীরি ‘টেররিস্ট’ - কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে ভূমিকা রেখেছে।


শনিবারে দিল্লিতে বসন্ত তার আগমন বার্তা ঘোষণা করেছে। তখন সূর্যের আলোতে দিল্লি ভাসছিল। আর আইন তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে গেল। ব্রেকফাস্টের একটু আগে ইনডিয়ান সরকার গোপনে আফজাল গুরুকে ফাসি দিল। ডিসেম্বর ২০০১-এ ইনডিয়ার পার্লামেন্ট ভবনের বিরুদ্ধে যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল সে বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি ছিলেন আফজাল গুরু। ফাসির পর দিল্লির তিহার জেলখানায় আফজালের মরদেহ কবর দেয়া হয়। ওই জেলে ১২ বছর যাবৎ আফজাল সলিটারি কনফাইনমেন্টে ছিলেন, অর্থাৎ তাকে একযুগ নির্জন কারাবাস করতে হয়েছিল। আফজালের স্ত্রী ও তার ছেলেকে এই ফাসির বিষয়ে খবর দেয়া হয়নি। মিডিয়াকে ইনডিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্পিড পোস্ট ও রেজিস্টার্ড পোস্টের মাধ্যমে আফজালের পরিবারকে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের ডিরেক্টর জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তিনি যেন চেক করেন আফজালের পরিবার সেটা পেয়েছে কিনা।

তার এই নির্দেশ এমন কোনো বিগ ডিল না। তার কাছে কাশ্মিরি টেররিস্টদের মধ্যে আফজালরা আরো একটি পরিবার মাত্র।

আইনের শাসন বা Rule of Law এই বিজয় উদযাপনে ইনডিয়ান জাতির মধ্যে, বিশেষত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যেমন, কংগ্রেস, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইনডিয়া (মার্কসবাদী) প্রভৃতির মধ্যে একতা দেখা গেছে যা সচরাচর দেখা যায় না। যদিও “বিলম্ব” (Delay) এবং ‘ঠিক সময়’ (Timing) বিষয়ে এদের মধ্যে কিছু মতানৈক্য ছিল। টিভি স্টুডিওগুলো থেকে সরাসরি সম্প্রচার বা লাইভ ব্রডকাস্টে “গণতন্ত্রের বিজয়” সম্পর্কে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হয়েছে। এসব সম্প্রচারে সাধারণত যে ধরনের মিকশ্চার থাকে তাই ছিল। অর্থাৎ, তীব্র আবেগের সঙ্গে মেশানো ছিল দুর্বল সব তথ্য। ফাসি হওয়ায় আনন্দ প্রকাশের জন্য দক্ষিণপন'ী হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা মিষ্টি বিতরণ করে এবং দিল্লিতে যেসব কাশিরি প্রতিবাদের জন্য সমবেত হয় তাদের পেটায়। এই সময়ে সমবেত মেয়েদের প্রতি তাদের বিশেষ নজর ছিল। আফজালের মৃত্যু হলেও টিভি স্টুডিওতে ভাষ্যকাররা এবং রাস্তায় গুন্ডারা এমনভাবে ছিল যে মনে হচ্ছিল তারা কাপুরুষ যারা দলবদ্ধ হয়ে শিকার খুজে বেড়াচ্ছে এবং নিজেদের সাহস বজায় রাখার জন্য পারস্পরিক সাহায্য চাইছে।

কারণ হয়তো তারা হৃদয়ের গভীরে জানে একটা ভয়ংকর অন্যায়ের পথে তারা যোগসাজশে কাজ করেছে।



ফ্যাক্টস কি? কি হয়েছিল ১৩ ডিসেম্বর ২০০১-এ দিল্লিতে?

ওই দিন পাচ সশস্ত্র ব্যক্তি গাড়ি চালিয়ে গেইট পেরিয়ে ইনডিয়ান পার্লামেন্টের সামনে চলে গিয়েছিল। তাদের গাড়িতে বোমা ফিট করা ছিল। তাদের চ্যালেঞ্জ করা হলে তারা গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে বেরিয়ে এসে গুলি ছুড়তে থাকে। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর আটজন এবং একজন মালি মারা যায়। এর পরে যে বন্দুকযুদ্ধ হয় তাতে ওই পাচজনই নিহত হয়।

পরবর্তী কালে আফজালকে যখন পুলিশ হাজতে নেয়া হয় তখন সে নিহতদের, মোহাম্মদ, রানা, রাজা, হামজা ও হায়দার রূপে শনাক্ত করে স্বীকারোক্তি দেয়। তবে বাধ্য হয়ে দেওয়া এই স্বীকারোক্তির বিভিন্ন বিবরণ বেরিয়েছে যার ফলে বলা মুশকিল কোন স্বীকরোক্তিটি সত্যি।

আমরা তাদের সম্পর্কে শুধু এটুকুই জানি। ওই নিহতদের পুরো নামগুলো আমরা জানি না। ওই সময়ে বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন এল কে আদভানি। তিনি একটি বিবৃতিতে বলেন, ওদের চেহারা দেখে মনে হচ্ছিল ওরা পাকিস্তানি (Looked like Pakistanis)। তার অবশ্য জানা উচিত ছিল পাকিস্তানিরা দেখতে কেমন, কেননা তার নিজেরই জন্ম হয়েছিল সিন্ধু প্রদেশে, যেটা এখন পাকিস্তানে।

হাজতে আদায় করা আফজালের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তদানীন্তন ইনডিয়ান সরকার পাকিস্তান থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনে এবং পাকিস্তানি সীমান্তে পঞ্চাশ লক্ষ সৈন্য মোতায়েন করে। দুই দেশের মধ্যে পারমানবিক যুদ্ধ বেধে যাবে এমন কথা ওঠে। ইনডিয়াতে অবস্থান রত বিদেশী এমবাসিগুলোকে তাদের স্টাফদের চলাচল বিষয়ে সতর্ক উপদেশ দেওয়া হয়। কিছু দূতাবাস তাদের কর্মচারিদের দিল্লি থেকে স্বদেশে পাঠিয়ে দেয়। পাকিস্তান ও ইনডিয়ার এই মুখোমুখি অবস্থান কয়েক মাস যাবৎ বজায় থাকে এবং এর ফলে ইনডিয়ার কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। পরে ইনডিযার সুপৃম কোটৃ আফজাল গুরুর ওই স্বীকারোক্তি নাকচ করে দেয়। সুপৃম কোট বলে ওই স্বীকারোক্তিতে “ত্রুটি” ছিল এবং “পদ্ধতিগত স্বাধীনতা লংঘিত হয়েছিল।

ওই ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল (Special Cell) দাবি করে যে তারা রহস্য উদঘাটন করেছে। এই দিল্লি পুলিশ ভ'য়া “এনকাউন্টার” হত্যাকান্ডের জন্য কুখ্যাত। টেররিস্ট রূপে যাদের সন্দেহ করা হয় তাদের “এনকাউন্টারে” মেরে ফেলা হয়। ১৫ ডিসেম্বরে দিল্লি পুলিশ দাবি করে তারা এই ঘটনার পেছনের “মাস্টারমাইন্ড”, প্রফেসর এস.এ. আর গিলানিকে দিল্লিতে এবং শওকত গুরু ও তার জ্ঞাতিভাই আফজালকে শ্রীনগর, কাশ্মিরে গ্রেফতার করেছে। তারপর তারা শওকতের স্ত্রী আফসান গুরুকে গ্রেফতার করে। ইনডিয়ান মিডিয়া অতি উৎসাহ নিয়ে পুলিশের এই বিবৃতি বিভিন্ন রূপে প্রকাশ করে। যেমন কিছু হেডলাইন ছিল, “দিল্লি ইউনিভার্সিটি লেকচারার ছিলেন সন্ত্রাসী প্ল্যানের প্রধান ব্যক্তি”, “ভার্সিটি ডন পরিচালিত করেছেন ফিদাইনদের”, “ফৃটাইমে ডন সন্ত্রাস বিষয়ে লেকচার দিতেন।” একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক জিটিভি ডিসেম্বর ১৩ নামে একটি ডকুড্রামা সম্প্রচার করে। এতে দাবি করা হয় “পুলিশের চার্জশিটের ভিত্তিতে যে সত্য” সেটা নির্ভর করে এই ডকুড্রামাটি করা হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশের চার্জ বা অভিযোগই যদি সত্য হয়, তাহলে আদালতের আর দরকার কি?

ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহার বাজপেয়ী বিজেপি নেতা আদভানি প্রকাশ্যে জিটিভি-র এই মুভির প্রশংসা করেন। মুভিটি দেখানোর বিরুদ্ধে আবেদন করা হলে সুপৃম কোট এটি প্রদর্শনের পক্ষে রায় দেয়। সুপৃম কোট বলে, বিচারকদের প্রভাবিত করতে পারবে না মিডিয়া।

কিন' এই মুভিটি প্রদর্শিত হবার মাত্র কয়েক দিন পরেই দ্রুতগতি সম্পন্ন আদালত, গিলানি, আফজাল ও শওকত গুরুকে মৃত্যুদন্ড দেয়। পরবর্তী সমযে হাই কোট গিলানি ও আফসান গুরুকে মুক্তি দেয়। সুপৃম কোট এই মুক্তির আদেশ বহাল রাখে। কিন' ৫ আগস্ট ২০০৫-এর রায়ে আফজালকে তিনটি যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং দুটি মৃত্যুদন্ড দেয়।

এই রায় বিনা বিলম্বে কার্যকরের জন্য বিজেপি ডাক দেয়। তাদের একটা স্লোগান ছিল, “দেশ আভি শরমিন্দা হ্যায়, আফজাল আবিভি জিন্দা হ্যায়” (দেশ এখনো লজ্জিত, আফজাল এখনো জীবিত)।

যেসব গুঞ্জন উঠছিলো সেগুলোকে ভোতা করার লক্ষ্যে একটি নতুন মিডিয়া ক্যামপেইন শুরু হয়। এখনকার বিজেপি এমপি চন্দন মিত্র তখন ছিলেন পাইওনিয়ার পত্রিকার সম্পাদক। তিনি লেখেন, “১৩ ডিসেম্বর ২০০১-এ পালার্মেন্ট ভবন হামলাকারী নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি তিনিই প্রথম গুলি করেন এবং ধারণা করা হয় নিহত ছয় জনের মধ্যে তিনজন মারা গিয়েছিল তার গুলিতে।”

মজার কথা এই যে, পুলিশের চার্জশিটেও আফজালের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ছিল না। সুপৃম কোটের রায়ও স্বীকার করে যে সাক্ষ্য-প্রমান সব ছিল Circumstancial (সারকমস্টানশিয়াল) অর্থাৎ, পারিপার্শ্বিক বিচারে জোরালো ইঙ্গিত বহন করলেও প্রত্যক্ষ প্রমান বহন করে না। সুপৃম কোর্ট রায় স্বীকার করে, কৃমিনাল ষড়যন্ত্র যে হয়েছে, সেটার প্রমান অধিকাংশ ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রেই পাওয়া যায় না।”

কিন' এটা বলার পরেই, সম্পূর্ণ বিপরীত সুরে, সুপৃম কোর্ট বলে, “এই ঘটনায় বহু ব্যক্তি হতাহত হয়েছে এবং পুরো জাতি শোকাহত হয়েছে। সেক্ষেত্রে সমাজের যৌথ বিবেক (Collective cnscience of society) শুধু তখনই সন'ষ্ট হবে যখন অপরাধীকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে।”



প্রশ্ন হলো, পার্লামেন্ট ভবন হামলা বিষয়ে কে আমাদের যৌথ বিবেক সৃষ্টি করেছে? পত্রপত্রিকায় যেসব সংবাদের ওপর আমরা চোখ বুলিয়েছি, সেই সব? নাকি, টিভিতে যেসব প্রোগ্রাম আমরা দেখেছি সেই সব? আইনের শাসনের বিজয় উদযাপনের আগে দেখা যাক আসলে কি হয়েছিল?

আইনের শাসনের এই বিজয়ে যারা উৎসব করছেন তারা যুক্তি দেন, ইন্ডিয়ান আদালত যে গিলানিকে মুক্তি দিয়েছে এবং আফজালকে দন্ড দিয়েছে সেটাই প্রমান করে যে বিচার প্রক্রিযা ছিল অবাধ ও ন্যায়সঙ্গত।

কিন' তাই কি?

দ্রুতগতি সম্পন্ন (ফাস্ট ট্রাক, Fast Track) আদালতে বিচারকাজ শুরু হয় মে ২০০২-এ। ১১ সেটেম্বর ২০০১ (নাইন-ইলেভেন)-এ নিউ ইয়র্কে টুইন টাওয়ার এবং ওয়াশিংটনে পেন্টাগন ভবনে যে হামলা হয়েছিল তার প্রতিক্রিয়ায় সারা বিশ্ব তখন ভুগছিল।

আমেরিকান সরকার আফগানিস্তানে তাদের “বিজয়” নিয়ে একটু আগেভাগেই নির্লজ্জ উল্লাস প্রকাশ করছিল। গুজরাট রাজ্যে হিন্দু গুন্ডাবাহিনী যে মুসলিম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তাতে সাহায্য করেছিল পুলিশ ও রাজ্য সরকার। এর সূচনা হয়েছিল ফেব্রুয়ারি ২০০২-এ এবং তখনো তা বিক্ষপ্তভাবে চলছিল। সাম্প্রদায়িক ঘৃনার বিষবাস্পে ভরে ছিল বাতাস। আর পার্লামেন্ট ভবন হামলার বিষয়ে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছিল। কৃমিনাল কেস বা ফৌজদারি মামলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে, যখন সাক্ষ্য-প্রমান উপস'াপিত হয়, সাক্ষীদের জেরা ও পাল্টা জেরা করা হয়, তখন যুক্তির ভিত্তি রচিত হয়। তারপর হাই কোর্ট ও সুপৃম কোর্টে শুধু আইন বিষয়ে তর্ক করা যায়- নতুন কোনো প্রমান উপস্থাপন করা যায় না। কিন্তু বিচারের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আফজাল কোথায় ছিলেন?

আফজাল তখন হাই সিকিউরিটি সলিটারি সেলে একা ছিলেন। তার কোনো উকিল ছিল না। আদালত দ্বারা তার পক্ষে নিযুক্ত একজন জুনিয়র উকিল একদিনও জেলখানায় যাননি।

আফজালের পক্ষে তিনি একজন সাক্ষী ও ডাকেননি। সরকার পক্ষের কোনো সাক্ষীকে পাল্টা জেরা বা ক্রসএকজামিন করেননি। এই পরিসি'তি বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলে বিচারক বলেন, তিনি অসমর্থ।



তা হলেও, বিচারের শুরু থেকেই মামলাটি কূপোকাৎ হয়ে যায়। অনেক উদাহরণই দেয়া যেতে পারে। এখানে মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হলো:

আফজালের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় দুটি আলামত ছিল একটি মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ কমপিউটার। বলা হয়েছিল, তাকে গ্রেফতারের সময়ে এ দুটো তার কাছে ছিল এবং তখনই জন্দ করা হয়। কিন্তু আদালতে তা পেশ করার সময়ে সিল করা অবস্থায় থাকা উচিত ছিল। কিন্তু কোনোটাই সিল করা ছিল না।

শুনানির সময়ে জানা যায় যে আফজালের গ্রেফতারের পর ওই ল্যাপটপের হার্ড ডিস্কে অ্যাকসেস করা হয়েছিল। সেখানে ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢোকার ভূয়া কিছু পাস, ভূয়া কিছু আইডি কার্ড যেসব “সন্ত্রাসীরা” ব্যবহার করেছিল পার্লামেন্ট ভবনে ঢোকার জন্য এবং পার্লামেন্ট ভবনের একটি জিটিভি ভিডিও ক্লিপ।

পুলিশের মতে তাহলে ওই ল্যাপটপে কি ছিল? আফজাল অন্য সব কিছু ডিলিট করে দিয়ে তার বিরুদ্ধে যেসব তথ্য ব্যবহৃত হতে পারে শুধু সেসবই রেখেছিল!

পুলিশের পক্ষে একজন সাক্ষী বলে, যে গুরুত্বপূর্ণ সিম কার্ড দ্বারা সব অভিযুক্তরা আফজালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল, সেটা সে বিক্রি করেছিল ৪ ডিসেম্বর ২০০১-এ। কিন' সরকার পক্ষের পেশ করা কল রেকর্ডে দেখা যায় এই সিম ৬ নভেম্বর ২০০১ থেকে কার্যকর হয়েছিল।

আফজালের কাছে কিভাবে পুলিশ পৌছেছিল? তারা বলে গিলানি তাদের নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আদালতের রেকর্ডে দেখা যায়, গিলানিকে ধরার আগে আফজালকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। হাইকোর্ট বলে এটা গুরুত্বপূর্ণ বৈপরীত্য (material contradiction) - কিন' এর বেশি আর কিছু করে না।

অ্যারেস্ট মেমো সই করেছিলেন দিল্লিতে গিলানির ভাই বিসমিল্লা। সিজার (Seizure) মেমো সই করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মির পুলিশের দুই সদস্য। এদের মধ্যে একজন রাজনৈতিক মতভিন্নতার কারণে আফজালকে আগেই হয়রানি করতেন।

মিথ্যা ও বানোয়াটা সাক্ষ্য প্রমাণের পাহাড় এভাবেই গড়ে তোলা হয়। আদালত এসব লক্ষ্য করেছে কিন' পুলিশকে শুধু মৃদু তিরস্কার করেছে। আর কিছু নয়।

পার্লামেন্ট ভবন হামলার রহস্য উদঘাটনে যদি কেউ সত্যই উৎসাহী হতো তাহলে তারা সব সাক্ষ্য প্রমান তন্ন তন্ন করে বিচার বিবেচনা করতো। কেউ সেটা করেনি। আর তার ফলে এই ষড়যন্ত্রের প্রকৃত অপরাধীরা শনাক্ত হবে না এবং তাদের বিষয়ে তদন্তও হবে না।

আফজালের সত্য কাহিনী ও ট্র্যাজেডি অনেক বিশাল। সেটা আদালতের রুমে সীমিত রাখা সম্ভব নয়। সত্য কাহিনীটা আমাদের নিয়ে যাবে কাশ্মির উপত্যকায় যেখানে যে কোনো মুহ'র্তে একটা পারমানবিক যুদ্ধ বেধে যেতে পারে, যে এলাকায় এখন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সৈন্য রেডি হয়ে আছে, যেখানে পঞ্চাশ লক্ষ ইনডিয়ান সৈন্য আছে। অর্থাৎ, প্রতি চার বেসামরিক ব্যক্তির জন্য এক সামরিক ব্যক্তি) শত শত আর্মি ক্যাম্প এবং এমন সব টর্চার চেম্বার যা ইরাকের আবু গ্রাইবকেও লজ্জায় ফেলে দেবে। এ সবই করা হয়েছে কাশ্মিরি জনগণেও কাছে ধর্ম নিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র পৌছে দেয়ার জন্য। ১৯৯০ থেকে কাশ্মিরে স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে আন্দোলন উগ্র রূপ নিয়েছে। ফলে ৬৮,০০০ নিহত হয়েছে, ১০,০০০ গুম হয়েছে এবং অম্ভত:পক্ষে ১০০,০০০ ব্যক্তি নির্যাতিত হয়েছে।

তবে যে হাজার হাজার মানুষ জেলে মারা গিয়েছে তাদের তুলনায় আফজাল হত্যাটি ভিন্ন। আফজালের জীবন-মৃত্যুর নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে চোখ ধাধানো দিনের আলোতে যেখানে ইনডিয়ান গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানই তাকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিতে অংশ নিয়েছে।

এখন তো আফজালের ফাসি হয়েছে। আশা করি আমাদের যৌথ বিবেক তুষ্ট হয়েছে। নাকি আমাদের পেয়ালার মাত্র অর্ধেক ভর্তি হয়েছে রক্তে?

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪২

সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা বলেছেন: তিনি লিখেছিলেন,“আমাকে এই অবস্থানে উঠানোর জন্য আল্লাহপাককে শতকোটি কৃতজ্ঞতা জানাই।সকল বিশ্বাসীকেও আমার অভিনন্দন জানাই।কারন,আমরা সবাই একসঙ্গে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং আমাদের শেষটাও হতে হবে সত্য ও ন্যায়ের পথে।আমার পরিবারের প্রতি অনুরোধ,আমার মৃত্যুতে শোকার্ত না হয়ে,তাদের উচিত হবে আমি যে অবস্থান তৈরী করেছি,তাকে শ্রদ্ধা করা।আল্লাহপাক তোমাদের সবচেয়ে বড় রক্ষাকর্তা ও সাহায্যদাতা।আল্লাহ হাফেজ”।(আফজাল গুরু)

সাহসী একজন বীরের বিদায়।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৪

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: তাঁর দেহের মৃত্যু হয়েছে কিন্তু আদর্শের নয়!

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

কিরমানী লিটন বলেছেন: "ইতিহাস তুমি কেঁদো না,আমারও কান্না আছে,
কাঁদি না-তোমারই জন্য,
তুমি ভেসে যাও পাছে..."

সত্যের জয় হবেই ...

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩২

কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা আফজাল গুরুকে
মন্দ লোকের মৃত্যুকে কেউ শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করেনা
আর মনেও রাখেনা
ইাতহাসে তাদের কোনো যায়না নেই
কিন্তু ভালো ব্যক্তির মৃত্যুর মধ্য দিয়েই তিনি অমরত্ব লাভ করেন।
তার অনন্ত আত্বার প্রশান্ত কামনা করি।


৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৫

গ্রিন জোন বলেছেন: নির্যাতীত মানুষ চিরকালই গুরুর পক্ষে থাকবে। প্রতারক ইন্ডিয়া সরকারের বিচার হয়তো এর জন্য হবে না। তবে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহীদের আগুন জ্বলতে হবে এটা নিশ্চিত।

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৬

বিপরীত বাক বলেছেন: জয় মাতা ভারত মাতা।
যাকে ছাড়া এক পা চলা যায় না সেই তো মা।। ভারত ছাড়া এক মুহুর্তে ধ্বংস হয়ে যাবে উপমহাদেশের বাকি সব কুত্তাবিলাই।।।

মাথার টুপিতে ভারত, চুলে ভারত, চোখে ভারত, ঠোটে ভারত, জিহবায় ভারত, দাঁতে ভারত, হাতে ভারত, পেটে ভারত, পাছায় ভারত, সামনে ভারত, পা' তে ভারত ------+++++œ

আর চোদনা বাঙাল করছে ভারত বিরোধিতা।।

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:১৮

কমরেড ফারুক বলেছেন: আল্লাহকে যারা ভেসেছে ভালো দুঃখ কি আর তাদের থাকতে পারে।

১২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৪৬

ধমনী বলেছেন: উনি যদি নিরপরাধ হন, তাহলে তো মরে বেঁচে গেলেন। আর যদি অপরাধী হয়ে থাকেন তাহলেও তো সাজা পেয়ে গেলেন পৃথিবীতেই, পরকালে আর এ বিষয়ে শাস্তি অবশিষ্ট রইলো না।

১৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৯

ইমদাদুল্লাহ বলেছেন: সত্যের মৃত্যু নেই

১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উনাকে কেন ফাঁসি দেয়া হয়,
নিশ্চয়ই কোন মানুষকে বিনা কারণে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়না?

১৩ ডিসেম্বর ২০০১-এ দিল্লিতে পাচ সশস্ত্র ব্যক্তি গাড়ি চালিয়ে গেইট পেরিয়ে ইনডিয়ান পার্লামেন্টে অধিবেশন চলাকালে বোমা ও মেশিনগান হামলা চালায়। তাদের গাড়িতে বোমা ফিট করা ছিল। তাদের চ্যালেঞ্জ করা হলে তারা গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে বেরিয়ে এসে গুলি ছুড়তে থাকে। দরজার কাছে পৌছলেও অল্পের জন্য ভেতরে ঢুকতে পারেনি। ঢুকতে পারলে আরেকটা "চেচনিয়া ম্যাসাকার" হয়ে যেত।
নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন নিজেদের জীবনের ঝুকি নিয়ে এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রসি আক্রমন প্রতিহত করে। নিরাপত্তা বাহিনীর ৯ জন ও ৫ জঙ্গি নিহত হয়।

পরে দির্ঘ তদন্তে হামলার অন্যতম হোতা আফজাল গুরুর নাম বেরিয়ে আসে। মিডিয়াতে তার কথাবার্তায় এঘটনায় জরিত বোঝা যায়, পুলিশের কাছে ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তি দেয়। তার ল্যাপটপের সব মুছে ফেলা হলেও হার্ড্ডিস্কের ডাটা রিকভার করে জেহাদি কন্টেটের সাথে সংসদ ভবনের নকশা ভিডিও জাল পরিচয়পত্র ও অনেক প্রমানাদি পাওয়া গেছিল। সিমকার্ড কললিষ্টে ও কনভাসসেশন রেকর্ডে তার বিরুদ্ধে মামলা আনার জন্য যতেষ্ঠ প্রমানাদি ছিল। ভারতের সকল মিডিয়াও তার বিরুদ্ধে শোচ্চার ছিল।
দির্ঘ বিচার প্রকৃয়ার মাধ্যমে আফজালকে দোষি শাব্যস্ত করে রায়ে দুটি মৃত্যুদন্ড ও তিনটি যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়।

ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসি, হত্যাকারি ও পরিকল্পনাকারি হুকুমদাতাদের প্রতি কোন অনুকম্পা সহমর্মিতা থাকতে পারেনা। থাকা উচিত নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.