নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সমাগত,মিথ্যা বিদূরিত।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১)

আমার পরিচয়,আমি মুসলিম।আমার একমাত্র পরিচয় আমি মুসলিম।আমি মুসলিম ব্যতিত আর কিছুই না।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফিয়া সিদ্দিকীর আম্মা থেকে শহীদ মুজাহিদ ভাইয়ের আম্মা............।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

মার্কিন প্রসিকিউটরঃ মাননীয় আদালত!কাঠগড়ায় হুইল চেয়্যারে যে নারীকে আপনি দেখতে পাচ্ছেন,সে আমেরিকার নিরাপত্তার (জুলুম নীতির) জন্য অনেক বড় হুমকি। তাই আমেরিকার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে, তাকে কোন ধরনের জেল সুবিধা না দিয়ে, আপনি কঠোর শাস্তি প্রদান করুন।

মার্কিন জজঃ আমেরিকার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে,আফিয়া সিদ্দিকী নামের এই মুসলিম নারীকে ৮৬ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হল(!)
.
.
রায় ঘোষনার পর আফিয়া সিদ্দিকীর আম্মা বলেছিলেন,“এতদিন আমি খুবই অসুস্থ ছিলাম। বিছানা থেকে উঠতে পারছিলাম না। কিন্তু আমার মেয়ের বিচারের রায় শুনে আমি যেন নতুন জীবন পেয়েছি। যদি বিচারকরা মনে করে থাকে যে আফিয়ার পরিবারের জন্য আজকের দিনটি একটি অন্ধকার দিন,তার আম্মা রায় শুনে অজ্ঞান হয়ে যাবে,তবে তারা জেনে রাখুক আজকের চেয়ে খুশির দিন আমার জীবনে আর আসেনি। আল্লাহপাক এক আফিয়ার পরিবর্তে আমাকে হাজারটি পুত্র সন্তান দিয়েছেন। যারা প্রতিদিন আমাকে সাহায্য করার জন্য আমার দুয়ারে অপেক্ষা করেন”।(আল্লাহু আকবার)

সবশেষে তিনি বলেন,“একজন মু’মিনের লক্ষন এটাই যে সে আল্লাহ ছাড়া আর কারও সামনে মাথা নত করে না। যেইদন আমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে কোনো সৃষ্ট জীব অথবা বস্তুর করুনা ভিক্ষা করব,সেই দিন আমরা ধব্বংস হয়ে যাবো”।[সূত্রঃ প্রাচীর,পৃঃ৮১]

২০০৬ সালের আজকের এই দিনে মোজাহিদুল ইসলাম ভাইকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে শহীদ করার পর,শহীদের আম্মা মাহমুদা মানসুরী মুন্নী বলেছিলেন,“আজকে আমি দারুন ভাবে গর্বিত”।(বোন,আফিয়া সিদ্দিকীর আম্মার সঙ্গে কি আশ্চর্য জনক মিল)

সেই দিন ২৮ অক্টোবর, মোফাজ্জল হোসেন মায়া কিংবা আজকের সরকার প্রধান যে বক্তব্য রেখেছিলেন,তার অন্তর্নিহিত অর্থ মার্কিন প্রসিকিউট এর বক্তব্য থেকে ভিন্ন কিছু ছিল না। তাদের কথা ছিল,“জামায়াত শিবিরের এই ছেলেরা আমাদের লুটপাট করে খাওয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তাদেরকে লগি বৈঠা দিয়ে হত্যা কর।সব জুলুমবাজের একই নীতি!

নিউরো সার্জন আফিয়া সিদ্দিকী এবং বিবিএ এর ছাত্র মোজাহিদুল ইসলামরা আমাদেরকে স্মরন করিয়ে দেয় রাসূল (সাঃ) এর সেই কথাকে,“যে ব্যক্তি দুনিয়াকে মহব্বত করে, সে তার আখেরাতকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।আর যে ব্যক্তি আখেরাতকে মহব্বত করে সে নিজের দুনিয়াকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।তাই ক্ষনস্থায়ীর পরিবর্তে চিরস্থায়ীকে গ্রহন কর”।[মুসনাদে আহমদ ও বায়হাকী]

আর আল্লাহপাক বলেছেন,“জান্নাতের এই সে ঘর আমি তাদের জন্য বানিয়েছি যারা দুনিয়ার জীবনে শ্রেষ্ঠত্ব ও বিশৃংখলা চায় না”।[সূরা ক্বাসাসঃ৮৩]

সবশেষে কবির ভাষায় বলতে চাই,

“জীবনের সব স্বপ্নকে কিনেছে ওরা খুবই অল্পদামে,
হাসিমুখে দিয়েছে প্রান বিলিয়ে মহান প্রভুর নামে”।

ইসলামের জন্য জীবন দানকারী সকল ভাইও বোনকে আল্লাহপাক শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২১

উচ্ছল বলেছেন: আল্লাহ তাঁদের কবুল করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.