নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সমাগত,মিথ্যা বিদূরিত।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১)

আমার পরিচয়,আমি মুসলিম।আমার একমাত্র পরিচয় আমি মুসলিম।আমি মুসলিম ব্যতিত আর কিছুই না।

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতির পাকা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভিড়ে, জনগন বধিরের ভূমিকায় অভিনয় করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে.....................

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

অনেক আগে একটা গল্প শুনেছিলাম। এক বনে এক অত্যাচারি বাঘ ছিল। আর সেই বনে ছিল একটি মেষশাবক। বাঘ হঠাৎ একদিন ঘোষনা দিল, সেই মেষ শাবক তার সঙ্গে বেয়াদবি করেছে! আর সেই বেয়াদবির শাস্তিস্বরূপ তাকে আমি আমার দুপুরের খাবার হিসেবে গ্রহণ করব। বনের অন্য প্রাণীরা প্রশ্ন করল , সে কি বেয়াদবি করেছে? বাঘ বলল, গত বছর সে আমার খাবার পানি ঘোলা করে দিয়েছিল! বনের প্রাণীরা বলল, গত বছর তো সেই মেষশাবকের জন্মই হয়নি। বাঘ তখন চিন্তা করে বলল, তাহলে ওর বাবা হয়তো আমার পানি ঘোলা করেছে। আর ওর বাবার অপরাধের কারণেই আমি খাব।

আজকে সারাদেশের পুলিশবাহিনীকে হুকুম দেয়া হয়েছে, জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার কর। তাদের অপরাধ, তারা নাকি আই এস অথবা জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু কিছুদিন আগে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বললেন, বাংলাদেশে কোন আইএস জঙ্গি নেই। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লিংক
তারপরও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে! তারা নাকি অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে, সেই আশংকা থেকেই অগ্রীম গণগ্রেফতার চালানো হচ্ছে! আর যুক্তি হিসেবে দেখানো হচ্ছে, বিগত কয়েক বছরে তত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু এবং পক্ষপাতহীন নির্বাচনের দাবিতে সাধারণ জনগনের আন্দোলন কে! সেই আন্দোলনের জের ধরেই নাকি গ্রেফতার করা হচ্ছে। অবস্থাটা এমনই যেন যেন, পূর্বের জন্মের পাপের বোঝা(!)

প্রধানমন্ত্রীর বগুড়া সফর উপলক্ষে কয়েকদিন আগে সেখানে চলল, পাইকারী হারে গ্রেফতার ।বগুড়ায় একই দিনে ৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের অধিকাংশদেরকেই ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।এখানে ক্লিক করুন

এর মধ্যে রংপুরে বিএনপি-জামায়াতের ১১ জনসহ ৯২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিনাজপুরে বিএনপি-জামায়াতের দুইজনসহ বিভিন্ন মামলার ৪৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া কুষ্টিয়ায় ৩৪, লক্ষ্মীপুরে ২৩, ঠাকুরগাঁয়ে ২০, লালমনিরহাটে ১৪, ফেনীতে ১২, মানিকগঞ্জে ১২ এবং ঝিনাইদহে ৭ জন গ্রেফতার করেছে।এখানে ক্লিক করুন

আর গতমাসে দুই বিদেশী হত্যাকান্ডের পর ২৪ ঘন্টায় ২৩৪০ জন। হত্যাকান্ডের পরই দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টনক নড়ে। এই ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২০টি অন্য অস্ত্র, ৩৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ১১টি ককটেল ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।অভিযানের সময় অস্ত্র মামলার আসামি ৯ জন, সাজাপ্রাপ্ত ৪০ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। আর প্রায় ১৬০০ জনের বেশিকে জামায়াত শিবিরের এর বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।এখানে ক্লিক করুন।



সারা দেশে পুলিশের ধরপাকড় অভিযান চলছেই। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরাই পুলিশের এ গ্রেফতার অভিযানের শিকার। বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি-জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীসহ ৬০২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম : গত ৯দিনে আটক হয়েছে ১২ শতাধিক নেতাকর্মী। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ময়মনসিংহে ১৬৪, সিরাজগঞ্জে ৩৩, নেত্রকোনায় ১০, সাতক্ষীরায় ৫০, পিরোজপুরে ৪৫, জয়পুরহাটে ২৯, মেহেরপুরে ১৫ ও চট্টগ্রামে ১৭ জন রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলাতে চলছে পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান। অভিযানে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী থেকে সন্দেহভাজন লোকজন কেউ বাদ পড়ছে না। তবে আটককৃত বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ। চলতি নভেম্বর মাসে ৯ দিনে জেলার ১৪ উপজেলা এবং মহানগরীর ১২ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে অন্তত ১২ শ ব্যাক্তিকে। এ মধ্যে জেলাতে ৯ দিনে আটক হয়েছে ১০৪৮ জন। মহানগরীতে আটক হয়েছে প্রায় দেড়শ জনের মত। এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করুন

আর এসব গ্রেফতারের আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং পৌরসভা নির্বাচন কে কেন্দ্র করেও হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গরুর পালের মত জেলখানা নামক খোয়াড়ে ঠোকানো হচ্ছে। আর এভাবেই নাকি সুষ্ঠু গনতান্ত্রের চর্চা করছেন, গনতন্ত্রের মানসকন্যা খ্যাত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! মুখে গনতন্ত্র মনে স্বৈরাচার হলে যা অবস্থা হয়। কয়েকদিন আগে মিয়ানমারের নির্বাচনে অংসানসুচির বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন বার্তা পাঠালেন। বললেন, গনতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। আর এদিকে নিজেই আবার দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরন করে ১৫৩ জনকে বিনো ভোটে জয়ী করে দেন! তখন এই গনতান্ত্রিক বুলি কোথায় থাকে।

সবই এখন অভিনয়। শেক্সপিয়র বলেছিলেন,“পৃথিবীটা একটি বৃহত্তম নাটকের মঞ্চ । এখানে আমরা সবাই যে যার মত করে অভিনয় করছি । এখানে আমরা সবাই দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রী”। একজন দাবি করছেন তিনি গনতন্ত্রের মানস কন্যা। আর আমরা গনতন্ত্র এবং নাগরিক অধিকার ফিরে পাবার সাহসী দাবিদার। আমরা দু’জনেই পাক্কা অভিনেতা অথবা অভিনেত্রী। আমাদের মধ্যকার পার্থক্যশুধু এতোটুকুই তিনি জুলুমবাজ আর আমি জুলুমসহ্যকারী। কিন্তু তিনিও গনতন্ত্র ফিরিয়ে দিচ্ছেন না আর আমিও গনতন্ত্রকে ফিরে পাবার জোর দাবি কিংবা অদম্য আন্দোলন করছি না। আমরা যার যার অবস্থান থেকে সাহসী যোদ্ধার অভিনয় করে চলেছি। আর এতসব পাকা অভিনেতা- অভিনেত্রীদের ভিড়ে সাধারণ জনগন বধিরের ভূমিকায় অভিনয় করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: বিপজ্জনক অবস্হা!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: হুমমম

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১১

ক খ বলেছেন: হু

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০২

শাহমুন নাকীব ফারাবী (১) বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.