নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইএস/আইএসাইএল সন্ত্রাসী সম্পর্কে কিছু তথ্য

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৭

আইএস/আইএসাইএল সন্ত্রাসীদের উৎপত্তি হয়েছিল সিরিয়া থেকে বাসার আল-আসাদকে উৎখাত করার জন্য। সেখানে প্রায় ৩ বছর সিরিয়ান বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে এই সন্ত্রাসী গোষ্টিটি যা এখনও চলছে। জি সি সি এর অন্তর্গত সৌদি-আরব, কুয়েত,আরব-আমিরাত এছাড়াও ফ্রান্স, তুরস্কসহ ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি অ্যামেরিকা,অস্ট্রেলিয়া এসময় ফ্রেন্ডস অফ সিরিয়ার নামে এদের সহায়তা দিতে শুরু করে। এক্ষেত্রে তারা তুরস্কে সন্ত্রাসীদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য সামরিক প্রশিক্ষক পাঠায়, আর্থিক সুবিধা, আস্ত্র, জিবানু অস্ত্র, ভারী অস্ত্রের বদবস্ত করে, এমনকি এসব দেশ থেকে বেকার যুবকদের ১৫০০ ডলার মাসিক বেতনে এই মিশনে যুক্ত করা হয়। কিন্তু রাশিয়া আর চীনের বাঁধায় নিজেরা সামরিক অভিযানে যেতে পারে না। সিরিয়া সরকার ইরান, রাশিয়া আর হিজবুল্লাহদের সহায়তায় এই সন্ত্রাসীদের দমন করে। প্রায় ২ লক্ষের বেশী মানুষ মারা যায় এই সংঘাতে।

বর্তমানে আইএস/আইএসাইএল সন্ত্রাসীরা সিরিয়াতে তেমন সুবিধা করতে না পেরে ইরাকে ঢুকে পরে। ইরাকে ঢুকেও তাদের বর্বরতা শুরু করে দেয়।এমনকি ইরাকের ২য় বৃহত্তর শহর মসুল দখল নেয় তারা ইরাকি জেনারেলদের হাত করে প্রায় বিনা যুদ্ধে। এর পর একে একে এরা ইরাকের তেল ক্ষেত্রগুলোর দখল নিতে শুরু করে। যা তাদের আর্থিক সাক্ষমতা অনেক গুন বাড়িয়ে দেয়। কিছুদিন পর ইসলামী রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা ঘোষণার মাধ্যমে নওমুসলিমদের বিভ্রান্ত করে তাদের দলের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে। এদিকে অ্যামেরিকা ইরাকে তাদের প্রভাব বজায় রাখার জন্য লোক দেখানও বিমান হামলা শুরু করলে এই সন্ত্রাসীরা আমেরিকান নাগরিক সহ খ্রিস্টান ও অন্য ধর্মের অনুসারীদেরও হত্যা করতে শুরু করে, যা পশ্চিমা বিশ্বের জন্যও হুমকির কারন হয়ে দেখা দেয়। এই মুহূর্তে আইএস/আইএসাইএল সন্ত্রাসীদের দমনের জন্য তাদের জন্মদাতা শক্তিরাই কৌশল নির্ধারণে বেস্ত হয়ে পরেছে যেহেতু এই সন্ত্রাসীরা এখন তাদের লাগামের বাহিরে চলে গিয়েছে। হয়ত কিছু দিনের মধ্যে আইএস /আইএসাইএল সন্ত্রাসীদের দমন সম্ভব হবে কিন্তু 2 টি দেশের প্রায় 20 লক্ষ মানুষ যে হতাহতের শিকার হল বা হচ্ছে তার দায়ভার কি কেউ নিবে ? নাকি নতুন কোন সংঘাতে অস্ত্র ব্যাবসায়িদের এই ঘৃণ্য ব্যাবসায় আরও অনেক প্রান অকালে ঝরে যাবে?????

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

ইজাজআহমেদ বলেছেন: শান্তির ধর্ম ইসলামের নামে এ কি অশান্তি শুরু করেছে মৌলবাদী মুসলমান নামধারী সন্ত্রাসীরা! ইসলাম, মসলিম এই নামগুলি শুনলেই মানুষ এখন ভয় পায়। সারা বিশ্বেই এখন ইসলামকে একটি সন্ত্রাসী ধর্ম আখ্যা দেওয়া ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং তাদের কান্ড দেখে ওদের অপপ্রচারেরও ভাল জবাব দেওয়ার সুযোগ কমে যাচ্চে। অথচ আমরা জানি যে ইসলাম কত শান্তির একটি ধর্ম এবং সুফিবাদের সময় মুসলমানেরাও কত শান্তিপ্রীয় জাতি হিসাবে পরিগনীত ছিল। ভাই অতিরিক্ত কিছুই ভাল না। আমাদের ইসলামি রাষ্ট্রের প্রয়োজন নাই। ইসলামী রাষ্ট্র ছাড়াই কিন্তু আমরা মুসলমান আছি এবং থাকব। দয়া করে ঐ অতি উত্তেজনাকর পথ বাদ দিয়ে তোমরা আমাদের কাকরাইল মসজিদ ভিত্তিক যে তবলিগ জামাত আছে তাদেরকে অনুসরন করে শান্তিপ্রিয় ইসলামের পথে আস। আমি আবারো বলি অত ভাল কিন্তু ভাল নয়। এভাবে ইসলামের শেষ সর্বনাশটুকু কর না প্লীজ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ইসরায়েল, সৌদি-আরব, কুয়েত,আরব-আমিরাত, ফ্রান্স, তুরস্কসহ ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি, অ্যামেরিকা,অস্ট্রেলিয়া এদের সহায়তা দিচ্ছে।
সুতরাং এদের উদ্দেশ্য পরিস্কারভাবে মুসলিমদের ক্ষতিগ্রস্ত করা।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

বহ্নি শিখা বলেছেন: কাফের শয়তান নিপাত যাক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.