নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐতিহাসিক সমঝোতায় ইরান ও ৬ বিশ্বশক্তি

১৫ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩

অবশেষে ইরানের পরমাণু ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দীর্ঘ ২ বছরের আলোচনার সফল সমাপ্তি হল একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির মাধ্যমে।
আশা করা হচ্ছে চুক্তিটিতে উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা পেয়েছে। পরমাণু চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের দৃশ্যপট পাল্টে দিতে পারে বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি।

এ চুক্তির আওতায় ইরানের বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচিকে মেনে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ইরানের পরমাণু জ্বালানী চক্র সংরক্ষণের অধিকারও মেনে নেয়া হয়েছে। ইরানের ওপর আরোপিত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সব অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।
এ চুক্তির আওতায় ইরানের কোনো পরমাণু স্থাপনা তুলে নেয়া বা বন্ধ করে দেয়া হবে না। এ ছাড়া, ইরানের সব পরমাণু গবেষণা অব্যাহত থাকবে। অত্যাধুনিক আইআর-৬ এবং আইআর-৮'সহ সব ধরণের সেন্ট্রিফিউজের উন্নয়ন তৎপরতাও অব্যাহত থাকবে।এ ছাড়া, ইরানের ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।

অবশ্য আপাতত এ সংক্রান্ত কিছু বিধি-নিষেধ থাকলেও পাঁচ বছরের মধ্যে তাও পুরোপুরি তুলে নেয়া হবে। চু্ক্তি অনুযায়ী বিদেশি ব্যাংকগুলোতে জব্দ করা ১০,০০০ কোটি ডলার অবমুক্ত করা হবে। ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সিবিআই, শিপিং লাইন্স, ন্যাশনাল ইরানিয়ান ওয়েল কোম্পানি বা এনআইওসি'সহ অন্য ৮০০ সংস্থা এবং ব্যক্তির ওপর থেকেও সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।
ইরানের কর্মকর্তারা একে ভালো চুক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে সব পরাশক্তিই এই চুক্তির প্রশংসা করেছে। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, চুক্তি অনুসারে ইরানের সব সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন জাতিসংঘের পরিদর্শকরা। এই চুক্তি ইরানের সাথে অন্য দেশগুলর একটি আস্থার সম্পর্ক তৈরি করবে। বলতে গেলে একটি যুদ্ধাবস্থার অবসান ঘটিয়েছে চুক্তিটি।এই চুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইরানের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।


তবে চুক্তির বিরোধী সৌদি-ইসরাইলি লবি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এই চুক্তি হওয়ায় কেননা এখন থেকে মদ্ধপ্রাচের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে ইরান মর্যাদা পাবে যা প্রকৃত পক্ষে সৌদি ও ইসরাইলি প্রভাব কমিয়ে দিবে। ইউরোপের জ্বালানি তেলের বাজার পুনরুদ্ধার করবে ইরান। সেক্ষেত্রে সৌদি তেলের বাজার সঙ্কুচিত হয়ে পড়বে, যা তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভাবে দুর্বল করে দিবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


দরকার ছিল আয়াতোল্লার বাচ্ছাদের বোমা বানাতে দেয়া; বোমা বানায়ে উঠানে বাস্ট করতো বাস্টার্ডগুলো; পুরো আরবদেশে ইসলামী সিভিলওয়ার লাগায়েছে আয়াতোল্লার ফানাটিকেরা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.