নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তর্ক বিতর্কের অন্তরালে ঈদে-মিলাদুন্নবী

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

সবাইকে প্রথমে পবিত্র ঈদে-মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা জানাই। অতঃপর ঈদে-মিলাদুন্নবী পালন করা-নাকরা বিষয়ক একটি পোস্ট দিলাম। আশাকরি তর্ক করবার ইচ্ছা থাকলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

বর্তমানে নিজের জন্মদিন পালন করতে কাহারও বাঁধে না। তখন বিদাতের প্রশ্নও আসে না কিন্তু যখন দিনটি হয় সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর জন্মদিন তখন কথিত মুসলিম (নামধারী, পড়ুন ওহাবী অথবা সালাফি যাদের কাজই হল মসুলমানদের ভেতর বিভেদ তৈরি করা) তাদের মুখ থেকে একটি কথা শোনা যায় বেদাত!! মজার লাগে এদের কাজ কর্ম দেখতে।

অমুক নেতা, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বিবাহ বার্ষিকী, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সারাবছর ধরে চলে আসছে। আসলে এই সময়ে বিদাত কোথায় যায় এটাই আমার প্রশ্ন। এমনকি আজকের দিনে খ্রিস্টানদের যখন উৎসব করতে দেখছি কই তখন এসব ফতোয়াবাজ বিদাতিদের তো দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এসব কথিত নবী প্রেমিকরা আবার কথায় কথায় হাদিস হাদিস করে আর মিলাদ কে হারাম বলে আবার মরার পর ৩ দিন থেকে চল্লিশা মৃত্যুবার্ষিকী কোনটাই বাদ রাখে না। দুদিন পর-পর সৌদি থেকে নতুন নতুন ফতোয়া নাজিল হয় আর কাওমি পন্থী আলেমরা মাইক নিয়ে এসব নিয়ে প্রচারনা চালায় কিন্তু একটি বারও ভেবে দেখে না কি করছি কেন করছি সত্যি কথা হল ছোট বেলা থেকে এরা বুঝে শুধু হুজুর বলেছেন কিন্তু হুজুর রাও কখনও এদের চিন্তা বা যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করেন নাই বা করতেও দেন নাই। ফলাফল তালেবান, বকোহারাম,
আল-কায়েদা, আইএস।

আসলে একটি বিশেষ দিন আসলে ওই দিন সম্পর্কে অনেক আলোচনা হয়, অনেক কিছু জানা যায়। কিন্তু এভাবে যদি আস্তে আস্তে সব পবিত্র দিন গুলোকে এক একটি কারন দেখিয়ে দূর করে দেওয়া যায় তবে আর কেউ এসব দিন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী থাকবে না। হয়ত একসময় বলা হতে পারে নামাজ রোজা বলে কিছু নাই, হজ্জের ইতিহাস ভুল ভাবে লেখা হবে আর সেটাই অনেকে মেনে নেবে। এক কথায় অনেক বড় ধরনের চক্রান্ত চলছে ইসলাম নিয়ে।

আসলে লিখতে বসলে অনেক কথাই লেখা যায়। তবে সময়ের অভাবে এতটুকু দিয়েই শেষ করলাম নিজের জন্মদিন আমি পালন করি সুতরাং সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষটির(যাকে সৃষ্টি না করলে পৃথিবী- ই সৃষ্টি হত না) জন্মদিন পালন করা আমার কাছে খারাপ কিছুই নয় বরং পবিত্র দায়িত্ব।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

কালীদাস বলেছেন: আপনের বয়স কত? আর বেদায়াত জিনিষটা কি সেইটা কি আপনার ক্লিয়ার আইডিয়া আছে?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ভাই আপনার সাথে তর্ক করবার সামর্থ্য সম্ভাবত আমার নেই তবে এতো টুকু বলি আজ বড় দিন । বড় দিন মানে কি যেন যদি জানাতেন একটু সুবিধে হত। আর ফেসবুক খুলেই বড় দিনের শুভেচ্ছা পাচ্ছি কিন্তু সেই ছোট বেলা থেকে স্কুল কলেজে মহানবীর জন্মদিন-আর মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবে মিলাদুন্নবী পালন করতাম যা কিনা ২০১২ সালের পর থেকে বন্ধ দেখছি তবে সরস্বতী পূজার উৎসব আজও চলছে। আইএস এর জন্ম হয়েছে সম্ভাবত ২০১২-২০১৩ সালের দিকে।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
বালাগাল উলা বেকামালিহী
কাশাফাদ্দুজা বেজামালিহী
হাসুনাত জামিও খেসালিহী
সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহী!!!

ঈদ ই মিলাদ্দুন্নবী সা: এর ফয়েজ ও বরকাত সকলরে নসিব হোক।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: আমিন

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আসুন দেখি কী বলা যায়?

১.অমুক নেতা, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বিবাহ বার্ষিকী, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সারাবছর ধরে চলে আসছে। আসলে এই সময়ে বিদাত কোথায় যায় এটাই আমার প্রশ্ন।
----আপনি ধর্মকে রাজনীতি-সমাজ থেকে আলাদা রাখতে চান । নবী একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, তাকে নিয়ে যা করবেন সেটা আপনার দেশজ রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতির আলোকে করলে সেটা স্ববিরোধিতা হবে । ধর্ম থাকবে ধর্মের জায়গায়, আপানার গায়ে হলুদ থাকবে গায়ে হলুদের জায়গায় । দুটোকে এক যুক্তিতে আনা যায়না।

২. এমনকি আজকের দিনে খ্রিস্টানদের যখন উৎসব করতে দেখছি কই তখন এসব ফতোয়াবাজ বিদাতিদের তো দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
---সূরা কাফেরুনের যুক্তি যখন দেন আপনার ধর্ম আপনার কাছে, তার ধর্ম তার কাছে । এখানে খ্রিস্টানরা কী করবে না করবে সেখানে মুসলিমদের কোন যুক্তিতেই হস্তক্ষেপ করার কিছু নাই । এটাকে বিদাত বলেনা। একটু পড়া লেখা করুন ।

৩. এসব কথিত নবী প্রেমিকরা আবার কথায় কথায় হাদিস হাদিস করে আর মিলাদ কে হারাম বলে আবার মরার পর ৩ দিন থেকে চল্লিশা মৃত্যুবার্ষিকী কোনটাই বাদ রাখে না।

---বাংলাদেশে চল্লিশা হয়, বাকি ৫৬ টা মুসলিম অধ্যুষিত দেশের খবর নিয়েছেন? সাধারণ মানুষ কী করে সেটা কখনও ধর্মের মাপকাঠি হয়ে যায়না। ধর্মের নিজস্ব কাঠামো, পরিষ্কার নির্দেশনা আছে। সৌদীতে মুর্তি বানালেই, সেটা হালাল হয়ে যায়না।

৪. এরা বুঝে শুধু হুজুর বলেছেন কিন্তু হুজুর রাও কখনও এদের চিন্তা বা যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করেন নাই বা করতেও দেন নাই। ফলাফল তালেবান, বকোহারাম, আল-কায়েদা, আইএস।
---আসলে বুশ-ডোনাল্ড ট্রাম্পদের মনমানসিকতা থেকে আপনারা দূরে নন । আল-কায়দার আল ভাড়া করে নামের সামনে বসালেই শাহরিয়ার আল কায়েদা হয়ে যায়না। সারা জীবন কোরআন হাদীস অধ্যয়ণ করে যারা আলেম হয়েছেন, তাদেরকে ঢালাও ভাবে ঘৃণা করার উতসটা ভিন্ন জায়গায় ।

আট বছর বিদেশে থাকার সুবাদে ৫০ টা দেশের মুসলিম দেখেছি । ইসলাম ধর্মটা ঢাকা টু খুলনার মত ছোটনা, এর ব্যাপক পরিব্যপ্তি আছে । বিশ্ব ঘুরে সেটা জানার শেখার আমন্ত্রণ জানাই ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে আপনি ৪ টা পয়েন্ট ধরে মন্তব্য করতে চেষ্টা করেছেন দেখে। কিন্তু সমস্যা কি জানেন?? আপনি ৫০ টি দেশে ঘুরে বাংলাদেশ কেই ভুলে গেছেন। আপনি এখন নিজেকে যতই আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলেম বলে দাবী করেন না কেন আপনার অরিজিন কিন্তু বাংলাদেশ। অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট বুঝতে হবে। প্রথমে আপনি বিদাত শব্দটি উচ্চারণ করেছেন ভালো লাগলো শুনে। আচ্ছা আপনি নিজে কি বিদাত মুক্ত?? ব্লগ ফেসবুক, মোবাইল এসব কি বিদাত নয়!! আরে আমি তো ভুলেই গিয়েছি আপনি তো আবার ৮ বছরে ৫০ টি দেশে ঘুরেছেন! নিশ্চয় উটের পীঠে করে নয়।
আবার শুরু করলেন বিদাত নিয়ে! আর কিছু বলবো বিদাত বিষয়ক !! তবে আপনার পরিচিতি কাজ কি এসব জানার তীব্র আগ্রহ পোষণ করছি। যাই হোক পড়াশোনা সম্পর্কে কি আর বলবো ছোট বেলা থেকেই পড়তে একবারের অনিহা কাজ করে আমার ভেতর। লেখাপড়া আমার সব থেকে বড় শত্রু তবে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনাও প্রতি আমারও আগ্রহ আছে। আইএস/সৌদি আরবের ফতোয়াবাজদের আর আপনার মধ্যে একটি মজার মিল কোথায় জানেন? আইএস/সৌদি অহাবি ফতোয়াবাজরা মুসলিমদের নিজেদের আকিদা শেখায় আর আপনিও তাই। আইএস/সৌদি মুসলিমদের ওপর হামলা করে আর আপনি ও এসব সমর্থন করেন। আরও একটি মজার বিষয় বিধর্মী ইহুদীদের বিরুদ্ধে আইএস বা সৌদি মুফতিরা কখনো ফতোয়া দেয় না যেমনটা আপনি সমর্থন করছেন তাদের। কিন্তু আমি বলছি যেটা চলছে চলুক না সেটা নতুন করে চাপিয়ে দেওয়ার কি হল আর বিষয়টি দ্বারা কারও তো আর অপকার হচ্ছে না। আর কিছু দোয়া দুরুদ, মোনাজাত করে মানুষ যদি খুশি থাকে তাহলে আপনাদের গাত্রদাহ হয় কেন?
যদিও ৩ নম্বরের উত্তর দেওয়া হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই তার পরও একটু লিখি তবে হাতে সময় কম নাহলে অনেক রেফারেন্স দিতে পারতাম। সাধারণ মানুষ কী করে সেটা কখনও ধর্মের মাপকাঠি হয়ে যায়না। ধর্মের নিজস্ব কাঠামো, পরিষ্কার নির্দেশনা আছে। দারুন একটি বিষয় আপনি অবতারনা করেছেন। কিন্তু কথা হল যেখানে কোরআন আছে , মহানবী (সঃ) এক আল্লাহের বানী প্রচার করেছেন সেখানে ভিন্ন ভিন্ন মতের সৃষ্টি হল কেন শিয়া সুন্নি আহাম্মেদি, হুথি, অহাবি, হানাফি, সাফি, হাম্বলি এসব আসলো কেন? আর একটি বিষয় হল সবাইকে এক মনে করতে আমি পছন্দ করি আলাদা নয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে অাঁকড়ে ধরো; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হবে না।' (সূরা আলে ইমরান : ১০৩)
মহান আল্লাহ্‌ যেখানে সবাইকে এক হতে বলছে সেখানে আপনি আইএস আর অহাবি সালাফিদের মতন বিচ্ছিন্নতা কামনা করছেন কেন? আমরা কেউ ভুলের উর্ধে নই। কিন্তু তাই বলে বিভেদ তৈরি করবেন কেন? বুশ-ডোনাল্ড ট্রাম্পদ কিন্তু মুসলিমদের ওপর হামলা করেছে শিয়া/সুন্নিদের ওপর নয়। কথায় কথায় আকিদা আর বিদাত নতুন নতুন মন মতন ফতোয়া জারি এসবের প্রচার আর সমর্থন ঠিক নয়। ইসলাম শান্তির ধর্ম একে আইএসের ধর্ম বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করবেন না।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: পাগলের প্রলাপ না বকে টু দি পয়েন্টে আসুন ।

আপনি ৫০ টি দেশে ঘুরে বাংলাদেশ কেই ভুলে গেছেন।
---এখানে ধর্ম নিয়ে কথা হচ্ছিল, বাংলাদেশের সংস্কৃতি নিয়ে নয়
আচ্ছা আপনি নিজে কি বিদাত মুক্ত?? ব্লগ ফেসবুক, মোবাইল এসব কি বিদাত নয়!!

---তর্কের খাতিরে কুতর্ক করছেন, খুব সংকীর্ণভাবে । আপনি আল-শাহরিয়ার মুসলিম বলে কাফেরের তৈরি ব্লগ ব্যবহার করতে পারেন না জাতীয় যুক্তি ব্লগে বহু পুরনো । সাইকেলের কোন ধর্ম আছে? বিমানের? মোবাইলের? চিরুনি? আয়নায়? ধর্মের রিচ্যুয়াল নিয়ে কথা হচ্ছে, কেচি-পাথর-কাগজের ধর্ম নিয়ে না । রিচ্যুয়াল এর অর্থ বুঝেন?

আইএস/সৌদি মুসলিমদের ওপর হামলা করে আর আপনি ও এসব সমর্থন করেন।
---মিলাদ পছন্দ না হলেই আইসিস? সরলীকরণের ফতোয়াবাজিটা তো আপনিই করছেন। সৌদী পছন্দ না হলে যান না কায়রোর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পড়ালেখা করে আসুন । বাংলাদেশের কুয়োতে বসে নিজের বুদ্ধিমত ফতোয়া ফলালে তো চলবেনা । আমার মনে হয়, আন্তর্জিতিক রাজনীতি নিয়েও পড়ালেখা নেই, যা শিখেছেন কয়েকটা চটকদার বাংলা অনলাইন পেইজ পড়ে।

কিন্তু আমি বলছি যেটা চলছে চলুক না সেটা নতুন করে চাপিয়ে দেওয়ার কি হল আর বিষয়টি দ্বারা কারও তো আর অপকার হচ্ছে না।
---পুরো তর্ক এড়িয়ে এখন দেখি নাকের সর্দি টেনে কথা বলছেন । মুসলিমদের ওহাবী বনাম সুফিতে বিভক্ত করার বাঙালি ষড়যন্ত্রটা সেক্যুলারদের । আমার ব্লগের মত ব্লগ সাইটে লেখা হয় মীর নিসার আলী তিতুমীর ওহাবী ছিলেন, হাজি শরীয়তুল্লাহ ওহাবী ছীলেন, কাজেই তাদের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন পরিত্যাজ্য। আবারও বলি পয়লা বৈশাখের জায়গায় পয়লা বৈশাখ করুন, আর ধর্মের জায়গায় ধর্ম। দেশজ বা স্থানীয় সংস্কৃতি দিয়ে ধর্মকে বদলাতে যাবেন না ।

আর কিছু দোয়া দুরুদ, মোনাজাত করে মানুষ যদি খুশি থাকে তাহলে আপনাদের গাত্রদাহ হয় কেন?
---তিন রাকাত মাগরিব যদি চার রাকাত পড়ি সমস্যা আছে?

কম না হলে অনেক রেফারেন্স দিতে পারতাম।
---বাংলাবাজার থেকে কেনা বাংলা বইয়ের রেফারেন্স?

সাধারণ মানুষ কী করে সেটা কখনও ধর্মের মাপকাঠি হয়ে যায়না। ধর্মের নিজস্ব কাঠামো, পরিষ্কার নির্দেশনা আছে। দারুন একটি বিষয় আপনি অবতারনা করেছেন। কিন্তু কথা হল যেখানে কোরআন আছে , মহানবী (সঃ) এক আল্লাহের বানী প্রচার করেছেন সেখানে ভিন্ন ভিন্ন মতের সৃষ্টি হল কেন শিয়া সুন্নি আহাম্মেদি, হুথি, অহাবি, হানাফি, সাফি, হাম্বলি এসব আসলো কেন?
---এটা বুঝবার জন্য অধ্যাপনা লাগে, গবেষণা লাগে, পড়াশোনা লাগে । আপনার সেটা আছে? সময় দিয়েছেন এসবের পিছনে? যদি না থাকে যার আছে তাদের শরণাপন্ন হোন । তা না করে, হুজুর মানেই আইসিস, কাওমি মানে সন্ত্রাসী এসব করে বিদ্বেষ ছড়ালেন, শিখলেন না কিছু।

আর একটি বিষয় হল সবাইকে এক মনে করতে আমি পছন্দ করি আলাদা নয়।
---আহমেদিদের ইতিহাস দিয়েই পড়ালেখা শুরু করেন, কেন তারা মক্কায় হজ্জ করতে অস্বীকার করে --ইসলামের ৫ স্তম্ভের কয়েকটা মানেইনা । সর্দি টেনে টেনে সব এক সব এক বললে তো হয়না। এখনই বলবেন আমি আহমেদিয়াদের বোমা মেরে খতম করতে চাই । যার মন যেমন!

মহান আল্লাহ্‌ যেখানে সবাইকে এক হতে বলছে সেখানে আপনি আইএস আর অহাবি সালাফিদের মতন বিচ্ছিন্নতা কামনা করছেন কেন?
---এক হবার জন্য তো ১৯৭১ এর রাজাকাররা চেষ্টা করেছিল। সেটার বিরুদ্ধে যুদ্ধকে কী বিচ্ছিন্নতা বলভেন? আপনি সুফিবাদে বিশ্বাসী? করেন । ওহাবী সৌদীদের দেশে হজ্জে না গেলেও চলবে আপনার । আপনি সুফিবাদী বলে তারা আপনার হজ্জ আটকে দিবেনা, ইরানিদের আটকায়নি, কেউ মুসলিম বলে দাবি করলে তাকে আটকায়না হজ্জ করা থেকে ।

বুশ-ডোনাল্ড ট্রাম্পদ কিন্তু মুসলিমদের ওপর হামলা করেছে শিয়া/সুন্নিদের ওপর নয়।
---আপনি মিলাদের বিশ্বাস করেনা এসব সকল জীবকে ওহাবী+সালাফি=আইসিস বানিয়ে নরকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।সরলীকরণের ধারাটা ট্রাম্পের মতই । ধর্ম তো এত ঠুনকোনা ।

কথায় কথায় আকিদা আর বিদাত নতুন নতুন মন মতন ফতোয়া জারি এসবের প্রচার আর সমর্থন ঠিক নয়।
----মন মত ফতোয়া কে দিল আমি? নতুন ফতোয়া এটা? পৃথিবীর সকল সুন্নি আলেম একমত যে আহমেদিয়ারা মুসলিম নন । বাহাইরা মুসলিম নন । তার মানে কী তাদের বোমা মারা কথা বলা হচ্ছে? উপমহাদেশের ২ জন শীর্ষস্থানীয় সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমের নাম বলতে পারবেনা? যদি রেফারেন্স দিতে পারি, যদি আলেমদের ব্যাপারে নূন্যতম শ্রদ্ধাবোধ থেকে থাকে।

ইসলাম শান্তির ধর্ম একে আইএসের ধর্ম বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করবেন না।
---জন্মদিনকে ঈদ বলাতে আপত্তি জানানো = আইসিস? আওয়ামীলীগকে অপছন্দ করা = রাজাকার? ৯ বছর ধরে ব্লগ করি এখানে এমন নিচুমানের যুক্তি দেখিনাই । বয়সের দোষ, লেখাপড়া করুন, ঠিক হয়ে যাবে দোআ করি । আর শান্তি ধর্ম কথাটা বড্ড ক্লিশে হয়ে গেছে, কেউ ওটা খায়না। নতুন কিছু থাকলে বলুন ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সমস্যা কি জানেন ?? জেনারেশন গ্যাপ আমি বা আমাদের বয়সী ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যতটা সাবলীল বা সহজে সব কিছুর জোট খুলতে পছন্দ করি কিন্তু আপনাদের মতন প্রাচীন ধ্যান ধারনার মানুষগুলো আসলে তেমনটা নয় আপনারা একটি প্রবাদই জানেন, "বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার।" তবে আপনার যুক্তিতে এটি পরিস্কার আপনি সৌদিপন্থী হিসেবে নিজেকে গর্বে গর্বিত বোধ করছেন ভালোই। আমার আপত্তি নাই। আপনি রিচুয়াল এর ওপর সুন্দর একটি বই লিখে ফেলুন আমি অবশ্যই পড়বো।
নামাজ আর রোজারকে আপনি ফরজ থেকে নামিয়ে নফলের নিচে স্থান দিতে চাইছেন দারুন। হুথি রা শিয়া পন্থি তাই সৌদি আরব কিন্তু ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে যেন ইয়েমেন সুন্নি পন্থী থাকে। মূল বিষয় হল নিজেদের মতামত অন্যের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া। বিদাত আকিদা এসব একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির অন্তর্ভুক্তদের শেষ অস্ত্র। দিন শেষে একটি বিষয়ে একমত হবেন নিশ্চই মহানবীর(সঃ) সাহাবীদের হাতেই ওসমান আর কারবালার ঘটনা ঘটেছিল। তুরস্ক কুর্দি মুসলিমদের ওপর হামলা করে আইএসের ওপর নয়।

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪০

রোহিঙ্গা বলেছেন: আমি অবাক হয়ে গেলাম। ছয়ই জানুয়ারীর সাথে ইসলামের শত্রুতার কোন সূত্র খুঁজে পেলাম না।
"আরে ব্যাটা, হিজরী তারিখ কত সেটা জানিস?"
"নাহ। আরবি ক্যালেন্ডার শুধু রমযান মাস ছাড়া ফলো করা হয়না।"
অকপটে সত্য স্বীকার করে নিলাম।
"পনেরই রবিউল আউয়াল।"
"ও আচ্ছা।"
"ও আচ্ছা মানে? এখনও বুঝতে পারছিস না?"
"না।"
"বারই রবিউল আউয়াল যে ঈদে মিলাদুন্নবী গেল, সেটাও যদি তোকে ধরিয়ে দিতে হয়, তাহলে এইসব সত্যান্বেষী-ফত্যান্বেশীতে লিখালিখি বন্ধ করে দে, বুঝলি?"
কথাটিতে বিরাট একটা খোঁচা বিদ্যমান, বুকে এসে বিঁধে।
নড়েচড়ে বললাম, "বারই রবিউল আউয়াল গেছেতো এত উতলা হচ্ছিস কেন?"
বন্ধু তাজ্জব হয়ে চোয়াল ঝুলিয়ে বলল, "এত বরকতময় একটা দিন চলে গেল, কোন ইবাদত বন্দেগী করতে পারলাম না, আর তোর মনে কোন আফসোস হচ্ছে না?"
হেসে বললাম, "তুই যদি বুঝতে পারতি ঐ দিনে 'ইবাদত' না করায় তুই যে পরিমাণ সোয়াব কামিয়েছিস, তাহলে তুই আফসোস করতি কেন আরও আগে অ্যামেরিকায় এলি না!"
বন্ধু জানে ফালতু কথা বলার অভ্যাস আমার নেই। সে ভুরু কুঁচকে বলল, "মানে?"
হেসে বললাম, "আমাকে আগে তুই বল, বারই রবিউল আউয়াল তোরা কী সেলিব্রেট করিস?"
"নবীজির(সঃ) জন্মদিন অফকোর্স!"
"নবীজির (সঃ) জন্মদিন যে বারই রবিউল আউয়াল, এই কথা তোকে কে বলেছে?"
"পুরা দুনিয়া জানে। তারা সবাই কী ভুল?"
"আমাদের দেশে ক্ষমতায় যখন যে আসে, তার দলের স্বার্থের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচিত হয়, দেশের কোটি কোটি অন্ধ সমর্থক চুপচাপ তা মেনে নেয়, তার মানে কী সেসব এডিটেড ইতিহাস ১০০% সঠিক? নবীজির(সঃ) জন্মদিন নিয়ে যত ইসলামিক এবং হিস্টোরিকাল রেফারেন্স আছে, সবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দূর্বলতম রেফারেন্স হচ্ছে এই 'বারই রবিউল আউয়াল' তারিখ, এইটা জানিস?"
"পন্ডিতি ফলাতে আসিস না।"
যদিও বন্ধুর গলায় একদমই জোর নেই। ও জানে আমার কাছে তথ্য আছে, প্রমাণও আছে।
গলা পরিষ্কার করে বলতে শুরু করলাম, "ইসলামে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় দুইটি রেফারেন্সকে, এক আল্লাহর বাণী কুরআন। আল্লাহ যা বলেন তাই মেনে নিতে হবে। এবং দুই, নবীজির(সঃ) মুখের বাণী বা সহীহ হাদিস। কথা হচ্ছে, আল্লাহ বা নবীজি(সঃ) কখনও কোথাও কী বলেছেন যে তাঁর জন্মদিন বারই রবিউল আউয়াল?"
"লক্ষ লক্ষ হাদিস আছে, আমার কী সব জানা আছে নাকি? নিশ্চই কোথাও বলেছেন, নাহলে এত এত স্কলাররা এই তারিখকে কেন ফলো করবে?"
"না, তিনি এমন কোথাও বলেননি যে তাঁর জন্ম বারই রবিউল আউয়াল তারিখে হয়েছে। তবে তিনি এইটা স্পষ্ট বলেছেন যে তাঁর জন্ম সোমবারে হয়েছে। কারণ সোমবারে তাঁর জন্মদিন বলেই তিনি প্রতি সপ্তাহে এই দিনে রোযা রাখতেন।"
"আর বলতে চাইছিস ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের সালটাও ভুল?"
"হিজরী ক্যালেন্ডারের আগে আরবে কোন ক্যালেন্ডার চালু ছিল না। তাঁরা মহা গুরুত্বপূর্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তারিখ নির্ধারণ করতো। যেমন ধর, তিন বছর আগে ক্ষরা হয়েছিল, তাহলে আজকের দিন রেফার করতে গেলে তারা বলতো 'ক্ষরার তিনবছর পরের পনেরই রবিউল আউয়াল।' এর দুই তিন বছর পর আরেকটা কোন বড় ঘটনা ঘটলে সেটাকে ঘিরে আবার নতুন ক্যালেন্ডার চালু হতো। সেই হিসেবে নবীজির (সঃ) জন্ম year of the elephant এ, মানে যে বছর আবরাহা হাতি নিয়ে কাবা ঘর আক্রমণ করেছিল, তাঁর জন্ম সেই একই বছর। তাঁর সমসাময়িক লোকজনের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই জন্মসনটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। হিস্টোরিক্যালি যা ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ। তবে এই সনটাও একদম ১০০% নিশ্চিত না। আল্লাহ ভাল জানেন।"
"তাহলে বারই রবিউল আউয়ালটা এলো কী করে?"
"ইবন ইসহাকের নাম শুনেছিস? তিনিই প্রথম নবীজির(সঃ) জীবনী সবচেয়ে সাকসেসফুলি রচনা করেন। তাও নবীজির(সঃ) জন্মের প্রায় দুইশো বছর পরে লেখা। তিনিই প্রথম লিখেছিলেন, নবীজির (সঃ) জন্ম বারই রবিউল আউয়াল, সোমবার। মজার কথা হচ্ছে, তিনি কোথাও উল্লেখ করেননি এই তথ্য তিনি কোথায় পেলেন। এখন যদি সমসাময়িক কালে রচিত আরেকটি জীবনী গ্রন্থ আমরা ঘাটাঘাটি করি, যা লিখেছিলেন তাবাকাত ইবন সা'আদ, তিনি বলেছেন, 'নবীজির(সঃ) জন্ম সোমবারে হয়েছে, কেউ বলেন তারিখটি ছিল ১০ম রবিউল আউয়াল, আবার কেউ বলেন ২রা রবিউল আউয়াল।' ১০ম রবিউল আউয়ালের পক্ষে ইবনে আব্বাসও সাক্ষ্য দেন। কেউ সাক্ষী দেন ৮ম রবিউল আউয়ালে জন্মেছেন। কেউ ২০শে রবিউল আউয়ালেরও কথা বলেছেন। কিন্তু এতো সূত্রের একটাও কিন্তু ১২ই রবিউল আউয়ালের কথা বলেনা। ১২ই রবিউল আউয়াল জনপ্রিয় হয়েছে মিডিয়েভাল পিরিয়ডে এবং এর কারণ একমাত্র ইবন ইসহাক। নব্বই ভাগেরও বেশি সিরাত (নবীজির(সঃ) জীবনী) লেখক ইবন ইসহাকের লেখাকেই কপি পেস্ট করে থাকেন। তিনি যা বলেছেন, তাই সবাই চোখ বন্ধ করে মেনে নেন। কোন খোঁজ নেয়ারও প্রয়োজন মনে করেননা। সেখান থেকেই আমরা এখন এই দিনটা পালন করি। হয়তোবা তারিখটা সঠিক, হয়তোবা ভুল, আল্লাহ ভাল জানেন। তবে এই দিনটির আলাদা কোনই গুরুত্ব নেই, এইটা নিশ্চিত। কারণ গুরুত্ব থাকলে নবীজি (সঃ) নিজেই নিশ্চিত করতেন আমরা যেন তা পালন করি। যেমনটা তিনি দুই ঈদের তারিখ নিশ্চিত করে গেছেন।"
দীর্ঘ বক্তৃতা অত্যন্ত ধৈর্য্যের সাথে শোনার পর বন্ধু বলল, "আচ্ছা, নাহয় মেনে নিলাম তারিখটা সঠিক না, কিন্তু এই দিনটিতে নবীজিকে (সঃ) স্মরণ করে দোয়া দুরুদ পড়লে অথবা এক্সট্রা নফল ইবাদত করলেতো দোষের কিছু নেই।"
"ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাবার অভ্যাসটা মানুষের কখনই গেল না। ভাইরে, তুই কী নবীজির(সঃ) থেকে, খলিফাদের চেয়ে, তাঁর সাহাবীদের চেয়ে বেশি ধর্ম বুঝিস? যদি তাঁরা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন না করে থাকেন, তবে তোর এত কিসের ঠ্যাকা পড়েছে আগ বাড়িয়ে মাতবরি দেখাবার?"
"অসুবিধার কী আছে?"
"অবশ্যই অসুবিধার আছে। নবীজিকে(সঃ) পৃথিবীতে পাঠানোই হয়েছিল যাতে তিনি যেন ইবাদতের সব মাধ্যম এবং তরিকা সম্পর্কে আমাদের সবাইকে অবহিত করেন। তিনি সেটা করেওছেন। তিনি জীবিত থাকাবস্থাতেই আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন ইসলাম ধর্মকে পূর্ণতা দেয়া হয়ে গেছে, এরমধ্যে নতুন কিছু সংযোজন অথবা বিয়োজন করা যাবেনা। করলে আল্লাহকে অপমান করা হবে, তাঁর নবীকে(সঃ) অপমান করা হবে। এই অপরাধের শাস্তি জাহান্নাম!"
"বলিস কী! সারা বিশ্বে যেভাবে বিপুল সমারোহে কোটি কোটি মানুষ ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করেন, সবাই তাহলে জাহান্নামে যাবে?"
"সবাই জানেনা বলেই করে। সবাইকে জানানো আমাদের সবার দায়িত্ব। কিন্তু কেউ যদি জানার পরেও ফাজলামি করে, তবে সেটার জন্য সে নিজে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবে। নবীজির (সঃ) জন্মদিন পালন করা ইসলামে ফরয না, তবে কেউ যদি তাঁর জন্মদিন 'উদযাপন' করতেই চায়, তবে তাঁকে নবীজির (সঃ) দেখানো রাস্তাতেই পালন করা উচিৎ - প্রতি সোমবার রোযা রাখা। আর তারচেয়েও বড় কথা হচ্ছে, নবীজিকে (সঃ) সম্মান দেয়ার বেস্ট উপায় হচ্ছে, তাঁর শেখানো আদর্শ মেনে চলা। বছরের একটা দিন আমরা তাঁর কথা স্মরণ করে নামাজ পড়ে কান্নাকাটি করে গোস্ত পরোটা খাবো, আর বছরের বাকি তিনশো চৌষট্টিদিন ত্যাদড়ামি করে বেড়াবো, এইটাতো কোন কাজের কথা না। তাই না?"
বন্ধু চুপচাপ হয়ে আছে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, "কী হলো? বুঝতে পারিস নাই, নাকি আরও বুঝাতে হবে?"
সে বিরবির করে বলল, "তাহলে আমার বাপদাদারা এতদিন যা পালন করে এসেছে, সব ভুল ছিল?"
গলার স্বর শান্ত করে বললাম, "তাঁরা মানুষ, ভুল করার জন্যই তাঁদের সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহও সেটা জানেন। তিনি পরম করুণাময়। আমাদের এখন এইটা make sure করতে হবে যাতে আমাদের পরবর্তী জেনারেশন কখনও আমাদের ভুল নিয়ে চিন্তায় না পড়ে। বাকি আল্লাহ ভরসা।"
বন্ধু স্মিত হাসি হাসলো।
তাঁর মন হালকা করতেই বললাম, "এখনও কী ইচ্ছা করছে নাকি কাফের নাসারার দেশ ছেড়ে স্বদেশ পাড়ি দেবার?"
রসিকতায় সে হেসে দিল।
তার কাঁধে হাত রেখে বললাম, "একদিন দেশে ফেরার ইচ্ছাতো আমাদের সবারই আছে। বিদেশে থেকে দেশে চলমান অসঙ্গতিগুলো আইডেন্টিফাই করে নেই, সেসব সমাধানের পথ শিখে ফেলি - তারপর আর তোকে বলতে হবেনা, আমিই তোকে এসে বলবো, 'অনেক হলো বন্ধু, এবার বাড়ি চলো!' আমরা না ফিরলে দেশকে বদলাবেটা কে?"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.