নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় যখন ব্রিটিশ কোম্পানি

২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১২

কিছু দিন পূর্বে একটি নিউজ দেখেছিলাম বাংলাদেশ থেকে কার্গোবিমান যোগে
সরাসরি পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড।

মূলত বিমান বন্দরের নিরাপত্তা বাবস্থায় ত্রুটি ধরা পরায় তারা এই বাবস্থা গ্রহন
করে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বন্দর সোনা,মাদক,নেশার বস্তুসহ অবৈধ পণ্য
পরিবহনের জন্য বিখ্যাত। এমনকি বিমানবালা,ক্রু, নিরাপত্তাকর্মী, কাস্টমসের
লোকেরা এসব পাচারের ঘটনায় জড়িত। কিছু দিন পূর্বে ইংল্যান্ড ও ইউরোপীয়
ইউনিয়ান এই বিষয়ে সতর্ক করেছিল কিন্তু কে শুনে কার কথা! সব কিছু আগের
মতই চলতে থেকে!

অতঃপর ইংল্যান্ড বাংলাদেশ থেকে কার্গোবিমান যোগে সরাসরিপণ্য পরিবহন
নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পরিশেষে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ঢাকার হজরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় ব্রিটিশ বেসরকারি
প্রতিষ্ঠান রেডলাইনকে নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দেয়। কিন্তু সমস্যা হল
এভাবে নিজেদের দেশের এতো বড় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার দায়িত্ব
অন্যদেশের হাতে তুলে দেওয়া ঠিক হল কিনা!

আর একটি বিষয় ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান আমাদের নিরাপত্তা দিবে নাকি তাদের নিজস্ব
এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিয়োজিত হবে এই বিষয়ে কে নিশ্চয়তা দিবে। সরকারকে
অস্থিতিশীল করতে তারা তাদের ক্ষমতার অপব্যাবহার করলে তার দায়িত্ব
কে নিবে?

মানছি আমাদের নিরাপত্তা বাবস্থায় হয়ত ত্রুটি ছিল কিন্তু সেই ত্রুটি জানবার পরও
কেন দূর করা হল না? বাংলাদেশের সীমান্তের কথা আর কিবা বলবো মাদক
পরিবহন আর মানুষ পাচারকারিদের জন্য স্বর্গ রাজ্য। হয়ত কিছু দিন পর এই
বিষয়ে কথা উঠবে তখন কি আবার বিদেশের কোন প্রতিষ্ঠানকে আমাদের
সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে?

পাকিস্থানের মতন অনিরাপদ দেশও কিন্তু তাদের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পারমাণবিক
অস্ত্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব অন্যদেশের হাতে তুলে দেয় নাই যদিও অ্যামেরিকা বার
বার করে নিরাপত্তা-হীনতার অজুহাত দেখিয়ে পাকিস্তানীদের পারমাণবিক অস্ত্র
নিজেদের কব্জায় নিতে চেয়েছে।

রুপপুরে বাংলাদেশ পরমানু কমিশন রাশিয়ার সহায়তায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ
উৎপাদনের পক্রিয়া শুরু করেছে। বলাতো আর যায় না কবে না সেই স্থাপনার
নিরাপত্তা দিতেও বিদেশী নিরাপত্তা বাহিনীর প্রয়োজন পড়ে কিনা?

তাহলে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রয়োজনই বা কোথায়? শুধুমাত্র শান্তি রক্ষা
মিশনে দায়িত্ব পালনের জন্য! নিজ দেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে
অহেতুক অন্যান্য যুদ্ধবিদ্ধাস্ত দেশে তারা কি'বা নিরাপত্তা দিবে?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

পথেরদাবী বলেছেন: ভালো বলেছেন..।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.