নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরান আসলে কেমন??

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩০

গত তিন বছরে আমি তিনবার ইরান সফর করি। প্রত্যেকবারই যাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনের শীর্ষস্থানীয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) প্রতিনিধিদলের নেতা হিসেবে। প্রথমবার যাই ২০১৩ সালে, ইরানের প্রেসিডেন্ট তখন আহমাদিনেজাদ। এরপর যাই ২০১৪ ও ২০১৫ সালে, যখন ইরান শাসন করছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রুহানি।
তিনবারের সফরকালে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে আমাদের দেখা সাক্ষাৎ হয় ব্যবসায়ী নেতা, তরুণ উদ্যোক্তা, ধর্মীয় নেতা, ছাত্র, শিল্পী এবং একেবারে সাধারণ মানুষ। আমরা তাদের দেখা পাই এবং কথা বলি বিভিন্ন মার্কেটে ও রাস্তায়।

আমাদের সফরগুলো ছিল নানা কারণে ব্যতিক্রমী। ইরানে ইসলামি বিপ্লব হয় ১৯৭৯ সালে এবং পরের বছর জিম্মিসঙ্কট। একদল ইরানি ছাত্র তখন তেহরানে মার্কিন দূতাবাস দখল ও দূতাবাস কর্মী ও কর্মকর্তাদের জিম্মি করে। ওই ঘটনার পর দু’দেশের সম্পর্কে শীতলতা নেমে আসে। এ অবস্থায় আমরাই হই প্রথম মার্কিন নাগরিক, ওই সঙ্কটের পর যাদেরকে সেই দূতাবাস ভবনে যেতে দেয়া হয়। এ ছাড়া ইসলামি বিপ্লব ও জিম্মি সঙ্কটের পর আমরাই প্রথম মার্কিনি, যারা একজন ইরানি মন্ত্রীর সাক্ষাৎ লাভে সমর্থ হয়।

এসবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তবে তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে, এই তিনবারের সফরে ইরান সম্বন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে প্রচলিত অনেকগুলো মিথ বা কল্পকথা, যা আমরাও বিশ্বাস করতাম, সেসব ভেঙে যায়। আমরা ভাবতাম, ইরানিদের সম্বন্ধে সবকিছুই আমাদের জানা। এরকম ভাবার কারণও আছে। আর্গো, হোমল্যান্ড ও মাইরিয়াদ এবং অন্যান্য মিডিয়া বিরতিহীনভাবে প্রচার করতে করতে আমাদের মনে এ ধারণা বদ্ধমূলভাবে পুঁতে দিয়েছে যে, ইরানি মানেই ‘ভয়ঙ্কর’।

কিন্তু তিন-তিনবারের ইরান সফর আমার ওই ধারণাকে পাল্টে দিয়েছে। স্বীকার করছি, দেশটিতে অনেক জটিল-কুটিল ব্যাপার আছে। কিন্তু পাশাপাশি এমন অনেক কিছু আছে, যা আমেরিকান ও পশ্চিমা দুনিয়ার অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়। নিচে ইরান সম্বন্ধে এরকম কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা তুলে ধরা হলো। আমি মনে করি, এসব ভুল ধারণার অবসান হওয়া উচিত।


পশ্চিমা অবরোধ ইরানের শ্বাসরুদ্ধ করতে পেরেছে
পাশ্চাত্যে এরকম একটি ভুল ধারণা ব্যাপকভাবে প্রচলিত যে, পশ্চিমা অবরোধ ইরানকে একেবারে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে এবং অবরোধের ফলে দেশটি প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই কি? আমি এখন আর সেরকম মনে করতে পারি না। পশ্চিমা অবরোধ ইরানের গলা টিপে ধরেছে বটে, কিন্তু তার শ্বাসরোধ করতে পারেনি। তার শ্বাসপ্রশ্বাস পুরোপুরি না হলেও মোটামুটি স্বাভাবিক।
এটা সত্যি এবং আমি নিজেও দেখেছি, অবরোধের কারণে ইরানের বেশ কিছু প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে কিংবা তার গতি শ্লথ হয়ে গেছে। যেমন, তেহরানে অনেকগুলো নির্মাণাধীন ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে আছে। অর্থনৈতিক অবরোধ এবং সুইফট সিস্টেম বন্ধ হওয়ার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশটির তেল, পেট্রোকেমিক্যাল ও বৃহদায়তন বাণিজ্যের ওপর।

কিন্তু এসব সত্ত্বেও থেমে যায়নি ইরান। তারা পথ বের করে এগিয়ে গেছে। যেমন, তারা পণ্যবিনিময় বাণিজ্য করেছে, যেসব পণ্য ও সেবা আমদানির ক্ষেত্রে অবরোধ শিথিল করা হয়েছে তার সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। এ ছাড়া ছিল ‘ফ্লাইং মানি’ বা স্যুটকেসভর্তি নগদ অর্থ। এ অর্থ দিয়ে ইরানিরা ৬৫ লাখ আইফোনের মালিক হয়েছে এবং অনেক রকম পশ্চিমা পণ্য কিনেছে। এগুলো এসেছে দুবাই, ইস্তাম্বুল ও অন্যান্য স্থান হয়ে। ফলে ইরান নামের এই দেশটিতে অত্যন্ত অভিজাত ও বিশ্বমানের দোকানপাট ও শপিংমলের কোনো কমতি নেই। রাজধানী তেহরানের বেলায় কথাটি আরো সত্য। এই কসমোপলিটন নগরীটি বিশ্বমানের রেস্তোরাঁ, প্রশস্ত রাজপথ, সমকালীন শিল্পজাদুঘর ও গ্যালারিতে পূর্ণ।

একবার আমরা তেহরানে মঁ ব্লাঁ স্টোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাই। সেখানে দেখি অ্যাপল পণ্য বিক্রয়ের অনেকগুলো দোকান এবং হরেক রকম বিলবোর্ড। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাপল কেয়ারের মতো সেবা দেয়ার জন্য একটি কোম্পানিও আছে।

ইরানে তৈরি হচ্ছে ইরান মল নামে একটি বাণিজ্যকেন্দ্র। চালু হলে এটি হবে বিশ্বের বৃহত্তম শপিংমল। ইতোমধ্যেই এতে এক শ’ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়ে গেছে। এই অর্থের পুরোটাই এসেছে দেশীয় উৎস থেকে। মলটির নির্মাণকাজ শেষ করতে আরো কয়েক শ’ কোটি ডলার লাগবে।

ইরানের তরুণ জনগোষ্ঠীকে আমরা কাছ থেকে দেখেছি। তাদের পরনে পশ্চিমা পোশাক, তাতে লাগানো আছে মার্কিন লোগো। এরা মার্কিন সঙ্গীত ও সংস্কৃতির ভক্ত। তাদের অনেকে মার্কিন সঙ্গীত পরিবেশনেও দক্ষ।

ইরানের বৃহৎ কোম্পানিগুলোর বেশ কিছুর মালিক সেদেশের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী। কাজেই পশ্চিমা অবরোধ প্রত্যাহার হলে তারাও লাভবান হবে। কেননা এতে দেশের দরজা খুলে যাবে এবং তৈরি হবে বৃহত্তর বাজারে প্রবেশের সুযোগ।


বিশ্বে কী ঘটছে, জানে না ইরানিরা
ইরান সম্বন্ধে পাশ্চাত্যে এটিও একটি বহুল প্রচলিত ধারণা। আমরা দেখেছি, ইরানে ফিল্টার ও সেন্সরশিপ আছে বটে, তবে তা তেমন কাজ করে না। ফেসবুক ও টুইটারের মতো কিছু ওয়েবসাইটকে ঠেকাতে সরকার ফিল্টারিং বা ব্লকিং করে ঠিকই, তবে ব্যবহারকারীরা ভিপিএন (ভারচুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কস) ব্যবহার করে ওসব ওয়েবসাইটে ঠিকই ঢুকে যায়। এভাবে বেশির ভাগ ইরানিই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, আমেকিরান টিভিতে সিনেমা দেখে, খবর ও গান শোনে। আমেরিকান ব্র্যান্ড পরিধানের কথা তো আগেই বলেছি।

ইরানের দেড় কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। এটা আমার কথা নয়, একটি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপমন্ত্রী স্বয়ং এ কথা বলেছেন। কথাটি অবিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। কারণ একবার আমরা একজন গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহর সাক্ষাতে গেলে কথায় কথায় ফেসবুক-টুইটার প্রসঙ্গ ওঠে। আয়াতুল্লাহ জানান যে, তিনি ফেসবুক ব্যবহার করেন না। কারণ তাকে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়। তবে তার ছেলেমেয়েরা ফেসবুক ব্যবহার করে।

আমেরিকা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাসিভ ওপেন অনলাইন কোর্স ইরানে সুলভ। ফলে কোনো অসুবিধা নেই সারা বিশ্বের সাথে যুক্ত থাকার প্রযুক্তি শিখতে ও প্রয়োগ করতে। সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি পাশ্চাত্যের চোখে পড়ে না তা হলো, ইরানে শিক্ষিতের হার ৯৮ শতাংশ। দেশটির স্কুলগুলোতে ইংরেজি ব্যাপকভাবে পড়ানো হয়। বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) অনেকেই পিএইচডি ডিগ্রিধারী। ইরানে যেসব সিইওর সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছে, তারা প্রায় সবাই পিএইচডি ডিগ্রিধারী।


প্রযুক্তিবিদ্যায় পিছিয়ে ইরানিরা
পাশ্চাত্যে এ ধারণাটি কিভাবে তৈরি হলো, আমার মাথায় আসে না। যে দেশকে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযুক্ত করে এবং সেই অভিযোগে আরোপ করে অর্থনৈতিক অবরোধ, সেই দেশের মানুষ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পিছিয়ে?
আমরা এ ক্ষেত্রে স্টাক্সনেট ভাইরাসের কথা মনে করতে পারি। এই কম্পিউটার ভাইরাসটি ইরানের পরমাণু সেন্ট্রিফিউজ ধ্বংস করে দিলে ইরান সরকারে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তবে আতঙ্কিত হয়ে বসে থাকেনি তারা, বরং সফটওয়্যার উদ্ভাবনে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির মতো বৃহৎ না হলেও ইরানে এরকম অনেকগুলো সরকারি-বেসরকারি প্রযুক্তিকেন্দ্র আছে। এগুলো চালায় দেশটির তরুণ প্রজন্ম। এখানে বলে রাখি, ইরানের দুই-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীর বয়স ৩৫-এর কম। তারা ইসলামি বিপ্লব দেখেনি, জিম্মিসঙ্কটও না। তারাই এসব প্রযুক্তি কেন্দ্র চালায়। তরুণ প্রযুক্তি-উদ্যোক্তাদের সাথে নিয়ে আমরা পরিদর্শন করি অ্যাভাটেক। এটি একটি বেসরকারি প্রযুক্তিকেন্দ্র। তারা শুধু প্রযুক্তি শেখায় না, প্রযুক্তিক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগও করে। আমরা ইসফাহান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পার্কও দেখতে যাই। ইরানে সরকারি বা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোগে যে ৩২টি প্রযুক্তিকেন্দ্র আছে, এটি তার একটি।


সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতাহীন নারী
ইরান সম্পর্কে যে ধারণাটি পশ্চিমারা বিনাবাক্য ব্যয়ে গ্রহণ করবে, সেটি হলো, ইরানি নারীরা হচ্ছে নিপীড়িত। না সমাজে, না অর্থনীতিতে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। এটা সবার জানা কথা যে, ইরানে নারীদের মাথায় ওড়না পরতে হয়। তবে আগে ওড়না দিয়ে পুরো মাথা ঢেকে রাখতে হতো, এখন হয় না বা নারীরা করে না। আমরা দেখেছি, ইরানি নারীদের মাথার অর্ধেকটা খোলা, যাতে তাদের উজ্জ্বল রঙমাখা চুল দেখা যাচ্ছে। আর ওড়না? সেটা এখন তাদের ফ্যাশনের অংশ।

ইসফাহান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পার্কে একদল ইরানি নারীর সাথে আমাদের দেখা হয়। তারা জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছে। এই কোম্পানি ইরানের সবচেয়ে বড় দু’টি শহরের বাস কোম্পানিগুলোর কাছে যানবাহন চলাচল ও নিয়ন্ত্রণবিষয়ক তথ্য সরবরাহ করে।

এবার আরেক তরুণীর কথা বলি। তিনি মার্কিন ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস গ্রুপের মতো একটি ‘ইরানি গ্রুপ’ তৈরি করেছেন। যেহেতু তিনি একজন তরুণী, তাই শুরুর দিকে ব্যবসাসংক্রান্ত বৈঠকগুলোতে তাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়া হতো না। অনন্যোপায় তরুণী এবার তার বাবার শরণাপন্ন হলেন। তার বাবা ওই কোম্পানির ম্যানেজার, যে কোম্পানিতে পাঁচ শ’ লোক কাজ করে। তরুণী তার বাবাকে চাপাচাপি করলেন যেন তিনি মেয়ের সাথে এক দিন বৈঠকে যোগ দেন। তা-ই হলো। মেয়েটির বাবা বললেন, ‘আমি ইন্টারনেটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করছি। আমার মেয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত আপনাদের জানাবে।’

এবার পুরো বৈঠক মেয়েটির দিকে ঘুরে গেল। অপেক্ষাকৃত বয়সী পুরুষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সম্ভাব্য গ্রাহকেরা মেয়েটির বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনলেন এবং বৈঠক শেষে কোম্পানির সাথে চুক্তি করলেন। এক বছর পর দেখা গেল, মেয়েটি কোম্পানির ব্যবসাকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়িয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন।

পশ্চিমা ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে ইরানি মেয়েদের অর্থনীতির অন্যান্য ক্ষেত্রেও সক্রিয় দেখতে পেয়েছি। যেমন তেহরান স্টক এক্সচেঞ্জের বেশির ভাগ ফ্লোর ট্রেডার এবং ম্যানেজমেন্টের অনেকেই নারী। এ ছাড়া ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীই নারী।
ইরানি নারীদের ‘পিনীড়িত ও অনগ্রসর’ বলবে কে?


ইরানে মার্কিন প্রভাবই সবচেয়ে বেশি
এটাও একটা ভুল ধারণা। ইরানের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য শুধু আমেরিকা করে না, অন্য অনেক দেশই করে। যেমন বর্তমানে ইরানে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার চীনা আছে, যারা ব্যবসা করছে কিংবা ব্যবসার সুযোগ খুঁজছে। ফ্রান্স ও জার্মানির বড় বড় কোম্পানির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা প্রায়ই ইরান সফর করছেন এবং অবরোধ-পরবর্তী ব্যবসার সুযোগ খুঁজছেন। এসব দেশের ধাক্কায় আমেরিকা যে ইরানে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বে না, তা খুব জোরগলায় বলা চলে না।


ইরান ভ্রমণ বিপজ্জনক ও জটিল
এটি আরেকটি বহুল প্রচলিত ভুল ধারণা। যথাযথভাবে ভিসা নিয়ে এবং তাদের নিয়মকানুন মেনে চললে ইরান ভ্রমণ অত্যন্ত নিরাপদ। হাজার হাজার পশ্চিমা নাগরিক প্রতি বছর কোনো অঘটন ছাড়াই ইরান ভ্রমণ করছে।

আমেরিকা বা অন্য যেকোনো দেশের নাগরিককেই ভ্রমণ ভিসা দিয়ে থাকে ইরান। ব্যতিক্রম শুধু ইসরাইল। ইসরাইলিরা ইরানি ভিসা পায় না। ইরানে ভ্রমণকারীকে একজন গাইড দেয়া হয়। সাধারণ গাইডের সব কাজই তিনি করেন, পাশাপাশি তিনি আপনাকে জানিয়ে দেন আপনি কোথায় যেতে পারবেন এবং কোথায় যেতে পারবেন না।

কোনো আমেরিকান ইরান যেতে চাইলে তাকে তার সরকারের বিশেষ অনুমতি নিতে হয় না। তবে যদি তার পাসপোর্টে ইসরাইলের সিল থাকে, সেক্ষেত্রে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ তাকে দ্বিতীয় একটি পাসপোর্ট ইস্যু করে, যা দিয়ে পাসপোর্ট মালিক মধ্যপ্রাচ্য বা অন্যান্য যে দেশে ইসরাইলবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা আছে, সেসব দেশে যেতে পারেন।

ইরান সফরকালে আমেরিকা ও ব্রিটেনের নাগরিকদের সাথে সবসময় একজন গাইড থাকেন, যিনি সফরকারীকে জানিয়ে দেন কোথায় যাওয়া যাবে আর কোথায় নয়। তবে এসব নিয়মকানুন আসলে খুব বেশি কঠিন নয়। বিধিনিষেধ সত্ত্বেও পর্যটকেরা প্রায় সবখানে যেতে পারেন ও যান। আমাদের কথাই বলি। পথচলার সময় এবং দোকানপাটে কেনাকাটার সময় আমরা অসংখ্য লোকের সাক্ষাৎ পেয়েছি এবং কথা বলেছি। তারা আমাদেরকে অনেক প্রশ্ন করেছে। অনেক বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। এমনকি রাজনীতি নিয়ে আলাপও বাদ যায়নি। অবিশ্বাস্য শোনায়, কিন্তু এটাই সত্য।
এক দিনের কথা বলি। আমরা হাঁটছিলাম তেহরানের বড় বাজারে। হঠাৎ এক প্রবীণ আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন এবং জানতে চাইলেন আমি কোন দেশ থেকে এসেছি। যেই না আমি বলেছি ‘আমেরিকা’ অমনি তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। ধরলেন তো ধরলেনই, আর ছাড়েন না। শুধু বলছেন, ‘আমেরিকা, আমরা তোমার জন্য ৩০ বছর ধরে অপেক্ষা করছি।’

ইরান ও মার্কিন সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য আছে, কিন্তু ইরানে গেলে কোনো আমেরিকান সেটা বুঝতেই পারেন না। কেননা ইরানের সাধারণ মানুষ মার্কিনিদের উষ্ণ আন্তরিকতায় বুকে টেনে নেয়। সেটা ইরানে প্রবেশের সময় যেমন দেখেছি, দেশটিতে থাকাকালেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ইরানে প্রবেশকালে এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশানে কর্তব্যরত বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সদস্যরা আমাদের মার্কিন পাসপোর্ট দেখেই বলেছে, ‘স্বাগতম! আল্লাহ তোমাদের রহমত করুন।!’ আর ইরান ভ্রমণকালে কেনাকাটা করে দাম দিতে গিয়ে পড়েছি আরেক বিপত্তিতে। অনেক দোকানই আমাদের কাছ থেকে জিনিসের দাম নেয়নি। কারণ আমরা তাদের অতিথি। অতিথির কাছ থেকে সামান্য ক’টা জিনিসের দাম নেবে? কক্ষনো নয়!

লেখকঃ ইরান নিয়ে মার্কিন ও পাশ্চাত্য জগতের ভুল নিয়ে লিখেছেন ডিক সাইমন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার এবং ওয়াইপিও পিস অ্যাকশন নেটওয়ার্কের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন। তার অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি অবলম্বনে আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী লিখেছেন প্রবন্ধটি।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

আহলান বলেছেন: ভালো লিখা ..!

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৬

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০০

আহলান বলেছেন: আমরা জানি ইরান শিয়া মুসলিম অধ্যুসিত। যারা রাসুলুল্লাহ সাঃ কে শেষ নবী মানে না, প্রথম তিন খলিফাকে ন্যুনতম সম্মান দেয় না, এক হযরত আলী (রাঃ) কে ছাড়া আর কাওকে নেতা মনে করে না ... এই ব্যপারে আপনি কি দেখেছেন বলেন তো ভায়া ...!

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৪

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: আসলে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বর্ণনাগুলোর ব্যখ্যা নিয়ে মতভেদের কারণেই মুসলমানদের মধ্যে নানা মাজহাব বা মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে। এটি সব ধর্মের মধ্যেই দেখা যায়। এ জাতীয় মতভেদ কেবল তর্ক বা মত-বিনিময়ের পর্যায়ে সীমিত থাকলেই তা স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু এ নিয়ে সহিংসতা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা সব পক্ষের জন্যই ক্ষতিকর বলে এ ব্যাপারে মুসলমানদের সতর্ক থাকা উচিত। কারণ, পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রশি বা রজ্জুকে আঁকড়ে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।

আসলে শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে মতভেদ থাকলেও অনেক মৌলিক বিষয়েই রয়েছে মতের মিল। যেমন, উভয় মাজহাবই এক আল্লাহ, অভিন্ন ধর্মগ্রন্থ তথা পবিত্র কুরআন এবং বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে সর্বশেষ নবী হিসেবে মানেন। উভয় মাজহাবই পরকালের প্রতি তথা পুনরুত্থান ও বিচার দিবসের প্রতি বিশ্বাস, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত ও নারীদের পর্দা করা ফরজ হওয়ার বিষয়সহ আরো অনেক বিষয়েই একমত। এইসব বিষয়ের খুঁটিনাটি দিকে কিছু মতভেদ রয়েছে যা সুন্নি ভাইদের চার মাজহাবের মধ্যেও রয়েছে।

তবে শিয়া ও সুন্নি মাজহাবের মধ্যে মতবিরোধের একটা দিক হলো- বিশ্বনবী (সা.)'র পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত তথা খলিফা বা প্রতিনিধি নিয়োগ নিয়ে। সুন্নি ভাইয়েরা মনে করেন এ বিষয়টি আল্লাহর সর্বশেষ রাসূল মুসলমানদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন এবং সাহাবাগণ নির্বাচন পদ্ধতিতে খলিফা নির্বাচন করেছেন।
অন্যদিকে শিয়া মুসলমানরা মনে করেন, বিশ্বনবী (সা.)'র স্থলাভিষিক্ত তথা খলিফা বা প্রতিনিধি নিয়োগের বিষয়টি মহান আল্লাহই নির্ধারণ করেন ও তা রাসূল (সা.)-কে জানিয়ে দেন। আর এরই ভিত্তিতে হযরত আলী (আ.) এবং এরপর তাঁর বংশধরগণ ছিলেন মুসলমানদের প্রকৃত খলিফা।

তবে শিয়াদের সম্পর্কে একটি মারাত্মক মিথ্যা অভিযোগ তথা অপবাদ হলো তারা বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সা.)-কে নবী বা শেষ নবী হিসেবে স্বীকার করেন না। বরং শিয়া মুসলমানরাও সুন্নি ভাইদের মতই মনে করেন যে, বিশ্বনবী (সা.)'র পর আর কোনো নবী আসবেন না এবং যারাই এ বিশ্বাস পোষণ করবে না তারা মুসলমান হিসেবে স্বীকৃত হবে না।

আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.)'র ভাষণ ও বক্তৃতামালার সংস্করণ 'নাহজুল বালাগ্বা' শিয়াদের জন্য শীর্ষস্থানীয় প্রামাণ্য বই। আল্লাহ ও বিশ্বনবী (সা.)'র বাণীর পরই এ বইকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন তারা। আবার সুন্নি মুসলমানের কাছেও এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রামাণ্য বই। এ বইয়ে স্বয়ং আলী (আ.) থেকে বার বার বলা হয়েছে যে রাসূল (সা.) ছিলেন সর্বশেষ নবী। দৃষ্টান্ত হিসেবে এ বইয়ে উল্লেখিত আলী (আ.)'র ৭১ ও ২৩৩ নম্বর খোতবা দেখুন (সাইটে এ দুই খোতবার ফটোকপি সংযুক্ত করা হল)। তাই শিয়ারা রাসূল (সা.)-কে নবী ও রাসূল বলে মানেন না- এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ইসলামের শত্রুদের পক্ষ থেকে প্রচারিত একটি অপবাদ।

শিয়া মুসলমানরা যে কোনো সমাবেশে কিংবা একা থাকলেও বিশ্বনবী (সা.)'র পবিত্র নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে দরুদ পাঠ করে সম্মান প্রদর্শন করেন তাঁকে ও এমনকি তাঁর আহলে বাইতকেও।
এ ছাড়াও শিয়া মুসলমানরা বিশ্বনবী (সা.)'র নবুওত প্রাপ্তির দিবসকে উৎসব হিসেবে পালন করে থাকেন।

শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে কোনো কোনো বিষয়ে মতভেদ থাকলেও তারা যুগ যুগ ধরে পরস্পরের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করে এসেছে। তাদের মধ্যে বড়জোর জ্ঞানগত তর্ক-বিতর্ক বা যুক্তি বিনিময় হতো। আসলে ইসলামের শত্রুরাই মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টির জন্য শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে সহিংস দাঙ্গা বাধানোর জন্য সুন্নি নামধারী একদল ওয়াহাবিকে উস্কে দিয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। এই ওয়াহাবিদের দৃষ্টিতে সুন্নিদের চার মাজহাবের তিন মাজহাবের ইমামগণ এবং তাদের অনুসারীরাও কাফির ও হত্যার যোগ্য! আপনারা হয়তো জানেন যে ভারত বর্ষে মোঘল শাসকদের অনেকেই ছিলেন শিয়া মুসলমান। নবাব সিরাজউদদৌলাও ছিলেন শিয়া মুসলমান। দানবীর ও ভারত বর্ষে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের জন্য সবচেয়ে বেশি সম্পদ ওয়াকফকারী মহান ব্যক্তিত্ব হাজি মুহাম্মাদ মুহসিন ছিলেন একজন শিয়া মুসলমান। ভারতবর্ষ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা অঞ্চলে শিয়া ও সুন্নি মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনসহ উপনিবেশবাদী কাফির শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।

বর্তমান যুগে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞ থেকে মুসলমানদের দৃষ্টি আড়াল করতে এবং মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদ উস্কে দিয়ে তাদেরকে সহজেই শোষণ করার জন্য দেশে দেশে শিয়া-সুন্নি বিভেদ উস্কে দেয়ার চেষ্টা করছে সাম্রাজ্যবাদীরা।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরাক ও সিরিয়ায় এ ধরনের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে আলকায়দা বা আইএসআইএল-এর ওয়াহাবি সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে। কিন্তু এই দুই দেশের শিয়া ও সুন্নি আলেমগণ ঐক্যবদ্ধভাবে ওয়াহাবি ও বিজাতীয় শক্তিকে মোকাবেলার আহ্বান জানানোর পর সন্ত্রাসীরা শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের সম্মিলিত শক্তির কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবের মহান রূপকার ইমাম খোমেনী (র.)ও বলেছেন, যারা মুসলমানদের মধ্যে শিয়া-সুন্নির নামে অনৈক্য সৃষ্টি করে তারা শিয়াও নয়, সুন্নিও নয়, বরং সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১৫

আমিই মিসির আলী বলেছেন: লেখা ভালো লাগলো

ইরানের মেয়েরা খুব সুন্দরী।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: কথা সত্য ইরানিদের চেহারা আসলেই সুন্দর।

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি হয়তো যা দেখেন, সেটা প্রসেসিং করেন।

শিয়া মতবাদ এক্সপোর্ট দেখেছেন? শিয়া আরবদের অস্ত্র দিচ্ছে সেটা দেখেছেন? আপনি কেনকাটা করেছেন ও খেয়েছেন;
ওখানে আপনার ওজন বেড়েছে?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: শিয়া মতবাদ সম্পর্কে আমাদের ধারনা খুবই কম। শিয়ারাও আমাদের মতন মুসলিম। তাদের কিছু আকিদা বা রীতিনীতি আমাদের থেকে পৃথক। আমরা মুসলিম হলেও আমাদের দেশে পীর, মাজার ইত্যাদির প্রচলন রয়েছে কিন্তু সৌদিআরবে আপনি এসব বিষয় খুঁজে পাবেন না।

আর আপনি যদি ইয়েমেন বা সিরিয়ার, লেবানন, ফিলিস্তিনের কথা বলেন তবে অস্ত্রের কথা আসতে পারে। হ্যাঁ সেখানে ইরান অস্ত্র দেয় গোপনে অথবা প্রকাশ্য অবশ্যই সেসব দেশের জনগণকে রক্ষা করতে। সৌদি সেনারা প্রায় ১ বছর যাবত ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে। ইরান সহয়তা না করলে এতদিনে ইয়েমেন দখল হয়ে যেত।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ইরান বেশ এগিয়ে আছে অন্য অনেকের চেয়ে সেটায় সন্দেহ নাই। তবে যাই বলেন প্রযুক্তি গবেষণায় ইরান অতো এগুতে পারেনি। আর সামাজিক ব্যাপারেও অনেক পেছনে তারা।

আপনার লেখাটি যথেষ্ট কোয়ালিফাইড!! :)

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রশংসা করবার জন্য। আপনি হয়ত জেনে থাকবেন ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকেই পশ্চিমা বিশ্ব ইরানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। ইরান পশ্চিমাদের থেকে কোন প্রযুক্তি পণ্য কিনতে পারে নি অথবা কোন প্রযুক্তির কৌশল পেতে পারে নাই। মাত্র কিছুদিন আগে ফ্রান্স আর ইতালি থেকে ইরান বিমান কিনছে, অ্যামেরিকান বিমান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িং ইরান সফর করেছে তাদের বিমান ইরানে বিক্রি করবার উদ্দেশে। তবে ড্রোন, জঙ্গি বিমান,সাবমেরিন, রাডার ইত্যাদি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কিন্তু তারা যথেষ্ট ভালো অবস্থানে রয়েছে। সামাজিক যে বিষয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু ইরান খুব ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে তার প্রমান ইরান তাদের বার্তা সংস্থা কে এক্ষেত্রে দারুন ভাবে কাজে লাগিয়েছে ইংলিশ, বাংলা সহ প্রায় ৩০ টি ভাষায় তাদের সংবাদ প্রকাশ করছে। এবং তাদের সংবাদগুলোও যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য। সম্প্রতি তারা বাংলাদেশে ইরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খুলবার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রানালয় কিন্তু ৬ জাতি আলোচনায় তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২৯

করিম বস বলেছেন: ইরানি শিপ এ যাওয়ার বৌধলতে আমারও গত বছর ইরান যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল । আমার ইরান সম্পর্কে ভয় প্রচন্ড ভুল ধারনা ছিল কিন্ত ওইখানে গিয়ে সব ধারনা ভূল প্রমানিত হল । তারা খুবই ভদ্র মিশুক এবং হেল্পফুল । ইরানি নারীরা স্বাধীনভাবে কাজ করে সর্ব ক্ষেত্রে মেডিকেল দোকান সব জায়গায় তাদের সমান পদাচারনা ।ইরান অনেক উন্নত দেশ আমরা বাহির থেকে যে রকম ভাবী ঠিক তার উল্টো

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০৮

অপরাজেয়আমি বলেছেন: ভালো লেগেছে লেখা টা :)

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৫৬

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার ভালোলাগা প্রকাশ করায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.