নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব জুড়ে বেড়েই চলছে রমরমা অস্ত্র ব্যাবসা!!

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

থিংকট্যাংক স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপরি) সম্প্রতি দেখিয়েছে, স্নায়ুযুদ্ধের পর পাঁচ বছর মেয়াদে বড় অস্ত্র কেনার হার এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। প্রশ্ন উঠেছে, যখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মন্দা যাচ্ছে, তখন কেন অস্ত্রব্যবসা এত চাঙ্গা হচ্ছে?
আবুধাবিতে গত মাসে হয়ে গেল আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী ও সম্মেলন নামে অস্ত্রমেলা। মধ্যপ্রাচ্যে এটাই বৃহত্তম অস্ত্রমেলা। চার দিনের এই মেলা ছিল পুরোপুরি সফল। ১,২৩৫টি অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেয়। তবে প্রতিনিধির সংখ্যা ছিল রেকর্ড সৃষ্টিকারী। শেষ দিনে আরব আমিরাত ফ্রান্স, রাশিয়া ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ৫.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র কেনার কথা ঘোষণা করে। উপসাগরীয় এই দেশটি বিপুল অর্থের অস্ত্র কেনার জন্য তেমন পরিচিত ছিল না। কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে। আমিরাতও এখন অস্ত্র বাজারের বড় ক্রেতা।
বহু মেরুর বিশ্বে ভঙ্গুর নিরাপত্তাব্যবস্থায় অনেক দেশই উদ্বিগ্ন। কয়েক বছর ধরে যে বিষয়টা বদলে গেছে তা হলো ২০০০-এর দশকের চেয়ে এখন অস্ত্র আমদানি খাতে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে।

আমদানি করা অস্ত্র কোথায় প্রয়োগ করার কথা ভাবা হচ্ছে? পাশ্চাত্যের দেশগুলো আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরাকে তাদের অস্ত্র ব্যবহার করছে। আর কয়েকটি দেশ পুরনো বিবাদের রেশ ধরে পেশিশক্তি প্রদর্শনের উপায় মনে করছে অস্ত্র আমদানি। এসব দেশ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়ে শক্তি প্রদর্শন সম্ভব বলে মনে করছে না। ফলে দেশগুলোর মধ্যে অস্ত্র কেনার প্রতিযোগিতা বেড়েই চলছে । দক্ষিণ চীন সাগরে সীমান্ত থাকা ভিয়েতনাম ২০০৭-২০১১ সালের চেয়ে ২০১২-১৬ সময়কালে তিন গুণ বেশি অস্ত্র কিনেছে। সৌদি আরবের বেড়েছে ২১২ ভাগ, কাতারের ২৪৫ ভাগ।
তবে সরবরাহকারী পক্ষের চাপও অস্ত্র বিক্রি বাড়িয়ে দিচ্ছে। শতাধিক দেশে অস্ত্র রফতানিকারী আমেরিকা এই বাজারে প্রাধান্য বিস্তার করে রেখেছে। প্রযুক্তি যতই উন্নত হচ্ছে, তত উন্নত অস্ত্রের প্রয়োজন পড়ছে। ফলে পুুরনো অস্ত্র বাদ দিয়ে নতুন কিছুর সন্ধানে নামতেই হচ্ছে। লাভ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটির অস্ত্র বিক্রি করে ২০০৮ সালের চেয়ে ২০১৫ সালে রফতানি বেড়েছে ৪২ ভাগ। অন্য আরো কয়েকটি দেশও লাভজনক বাজার দেখতে পাচ্ছে। যেই চীন ১৯৯০-এর দশকে পাশ্চাত্যের সরঞ্জাম ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছিল, তারা এখন শীর্ষস্থানীয় অস্ত্র রফতানিকারক। নানান ধরনের অস্ত্র তারা বিক্রি করছে। দক্ষিণ কোরিয়া বিমান বিক্রি করছে ল্যাটিন আমেরিকায়, হুথিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র ব্যবহার করছে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত, রাশিয়াও তাদের ঐতিহ্যমণ্ডিত ব্যবসায়ে মনোযোগী হয়েছে।

প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তারও উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে। পরমাণু অস্ত্র বিক্রির ওপর বেশ কড়া বিধিবিধান আছে। কিন্তু প্রচলিত অস্ত্রে তেমন কিছুই নেই বলতে গেলে। আবার পরমাণু অস্ত্রও বিক্রির ওপর যেসব বিধিনিষেধ আছে, সেটার কার্যকারিতাও প্রমাণিত নয়। যেমনটা মনে করা হয় অ্যামেরিকার কাছ থেকে তুরস্ক আর পাকিস্তানের কাছ থেকে সৌদি আরব পরামানবিক অস্ত্র ক্রয় করেছে।

জাতিসঙ্ঘ-নেতৃত্বাধীন অস্ত্রবাণিজ্য চুক্তিটির বয়স মাত্র দুই বছর। এটাই বিশ্বব্যাপী অস্ত্র প্রতিযোগিতার লাগাম টেনে ধরার প্রথম প্রয়াস। তবে চীন ও রাশিয়া এখনো এতে সই করেনি, আমেরিকাও অনুমোদন করেনি। অথচ এই তিন দেশ মিলে বিশ্বের মোট অস্ত্রের ৬০ ভাগের বেশি রফতানি করে। আবার ইইউ কোড অব কন্ডাক্ট অন আর্মস এক্সপোর্টের মতো বিদ্যমান আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থাগুলো প্রচলিত অস্ত্র বিক্রির লাগাম টানতে ব্যর্থ হয়েছে শোচনীয়ভাবে। এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক অঞ্চলে এ ধরনের কোনো চুক্তিই নেই। এ দিকে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে পরিকল্পনার কথা গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছেন, তাতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা ভয়াবহ রকমের বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদেরও পারমাণবিক সাবমেরিণ দরকার; রাজনীতিবিদরা বানরের লেভেলে পৌঁচেছে!

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৬

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: নিঃসন্দেহে!!

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাংলাদেশও কি পিছিয়ে নাকি? সাবমেরিন এরপর হেলিকপ্টার/ফাইটার প্লেন আরো কি কি কিনলো এই কদিন আগে!!

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৪

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: বিশ্ব অস্ত্র বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান একবারেই নিচের স্তরে তবে আমাদের সেনাবাহিনী বিশ্বের অন্যতম।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বলতে ভুলে গেছি- পোস্টটা ভাল ছিল! :)

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। এই জন্যই পৃথিবীর দেশে দেশে যুদ্ধ, জঙ্গিবাদ ও মাদকের উৎপাদন টিকিয়ে রাখা হয়।

ভালো পোস্ট। ধন্যবাদ ভাই আল-শাহরিয়ার।

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৫

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

শার্লক_ বলেছেন: মানুষকে মারার জন্য কি বিপুল আয়োজন। কষ্ট লাগে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০১

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ভালো পোস্ট ছিল।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২৬

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: শিক্ষাই বিনিয়োগ কম করে সামরিক বিনিয়োগ সবাই বাড়াচ্ছে। অাবার অনেক মানুষ খাবারের অভাবে মারাযাচ্ছে। অার কিছু মানুষ মানবতার বুলি দিচ্ছে। কাজের মানুষ কম।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২৭

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পোষ্ট টা ভালো ছিলো।
যতসব মারণাস্ত্র পৃথিবী ধ্বংসের মূল। শান্তি নষ্টের মূল।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২৬

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.