নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানা অজানার একে-৪৭ আগ্নেয় অস্ত্র।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৬

যে হাতে কলমে লেখা হয়েছিল শান্তির কবিতা, সেই একই হাত তৈরি করেছিল বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র একে-৪৭। তিনি মিখাইল কালাশনিকভ।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত অস্ত্র একে-৪৭। বিদ্রোহী, সন্ত্রাসীদের এবং যেকোনো দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ব্যবহার করে এই অস্ত্র। ২০০৪ সালে বিশ্বকে বদলে দিয়েছে এমন ৫০টি পণ্যের একটি একে-৪৭।
১৯৪১ সালে বিশ্বযুদ্ধে আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি অটোমেটিক রাইফেল একে-৪৭-এর নকশা করেছিলেন। তাঁর ভাবনায় ছিল, যেকোনো পরিস্থিতিতে টেকসই হবে এবং আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে হবে বিধ্বংসী। সাত বছরের পরিশ্রমের ফসল একে-৪৭।

কালাশনিকভের নকশা করা আগ্নেয়াস্ত্রটি গত অর্ধশতাব্দীতে বিশ্বে সমাদৃত। তাঁর নামেই এটির নামকরণ হয়েছিল। একে-৪৭-এর মতো ভয়ংকর অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে দেখে দুঃখ পেয়েছিলেন তিনি। সেই দুঃখ নিয়েই ২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর ৯৪ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেলের উদ্ভাবক মিখাইল কালাশনিকভ।
বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া ও ব্যবহৃত অস্ত্র হিসেবে একে-৪৭ গিনেস বুক অব রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে বর্তমানে ১০ কোটির বেশি কালাশনিকভ রাইফেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
কল্পনার তুলনায় বেশি প্রাণঘাতী এই অস্ত্র। বড় কামান, বিমান হামলা এবং রকেটে সমন্বিত আক্রমণের তুলনায় এ রাইফেলের গুলিতে বিশ্বে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবছর কালাশনিকভের বুলেটের আঘাতে আড়াই লাখ মানুষের প্রাণ যায়।
হাতে ব্যবহারে সেরা অস্ত্র একে-৪৭। বিশ্বজুড়ে ১০৬টি দেশের সামরিক এবং বিশেষ বাহিনী এখনো একে-৪৭ ব্যবহার করে। এটি এমন একটি অস্ত্র, যা সম্পূর্ণরূপে পানিতে নিমজ্জিত এবং আগুনের মধ্যও শত্রুপক্ষের ওপর হামলা চালানো যায়।
এর নকশাও খুবই সাদামাটা আর এটি তৈরি করতে খরচও খুব কম। এ ছাড়া অস্ত্রটির রক্ষণাবেক্ষণও সহজ। এটি ব্যবহার এতই সহজ যে বলা হয়, শিশুকে চালনা শেখানো সম্ভব এবং সেটা নাকি মাত্র এক ঘণ্টার মধ্য। এ কারণেই দেখার পরেই চালানো শেখার দিক দিয়ে এগিয়ে কালাশনিকভ। এই রাইফেলটির অংশগুলো খুলে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই তা আবারও জোড়া লাগানো সম্ভব।
রাশিয়ায় প্রথম তৈরি হলেও এখন সারা বিশ্বে রাশিয়া ছাড়া আরও কয়েকটি দেশ কালাশনিকভ রাইফেল তৈরি করে সরবরাহ করে থাকে। চীন, ইসরায়েল, ভারত, মিসর, নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের ৩০টি দেশের একে-৪৭ তৈরির লাইসেন্স আছে।
আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন সব সময় তাঁর পাশে কালাশনিকভ রাইফেলটি রাখতেন। কিছু কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাদেনের পাশে থাকা একে-৪৭ রাইফেলটি যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে দিয়েছিল। এ অস্ত্র দিয়ে আফগানিস্তানে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা।
কালাশনিকভের নকশা করা আগ্নেয়াস্ত্রটিই অর্ধশতাব্দী ধরে বিশ্বে সমাদৃত। কিন্তু তিনি হয়তো ভাবেননি এই রাইফেল একসময় দেশের জাতীয় পতাকায় স্থান পাবে। মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়ে, বুরকিনা ফাসো (১৯৮৪-১৯৯৭) এবং পূর্ব তিমুরের পতাকায় একে-৪৭ আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি আছে। কালাশনিকভ রাইফেল লেবাননের প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহর পতাকায়ও আছে। এই ভয়ানক অস্ত্রের ছবি!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

নতুন বিচারক বলেছেন: কি ভয়ানক বন্দুক একে ৪৭ । শুনেই শরীরে জর আইসা পড়ছে। তথ্যমূলক পোস্ট । ভালো লাগল।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.