নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

লুঙ্গি পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিকল ভাঙ্গবার প্রেচেষ্টা !!

১৩ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশের পুরুষদের পোশাক হিসেবে লুঙ্গীর
ব্যাপক প্রচলন ছিল।আর আজ লুঙ্গি পড়াকে অনেকেই লজ্জার অনুষঙ্গ মনে করে।
সবাই পশ্চিমা পোশাক পরে নিজেকে সাহেব-বাবু হিসেবে পরিচিত করতে চায়!!
কিন্তু আজ বলবো ঢাবি শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেনের কথা যে কিনা বাঙ্গালী
ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গী পড়তেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

খাবারের দোকানে কাজ করা তরুণ, সিগারেট বিক্রেতারাও আজকাল লুঙ্গি
পরেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সবাই প্যান্ট পরেন। কিন্তু এই
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে লুঙ্গি পরে ঘুরে বেড়ান।
ক্লাসও করেন লুঙ্গি পরে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত এই ব্যতিক্রমী
শিক্ষার্থীর বাড়ি স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ নেওয়ার জন্য বিখ্যাত
মেহেরপুরের মুজিবনগরে।

বাবা শাহার আলী স্বাস্থ্য বিভাগের পরিদর্শক। মা আয়েশা সিদ্দিকা গৃহিণী।
তিন ভাই, এক বোনের মধ্যে শাহরিয়ার বড়। জানালেন, বাবা তাঁর আসল বন্ধু।
ছোটবেলা থেকে তিনিই সাহিত্যের বই কিনে দিতেন। প্রতিটি বইমেলার সময়
কিছু টাকা আলাদা করে দিতেন বই কেনার জন্য।

এবারের মেলার সময় বাবা কম টাকা দিয়েছেন জানিয়ে শাহরিয়ার বলেন,
‘মন খারাপ হয়েছিল। বাবাকে না জানিয়ে ১৫ হাজার টাকা ধার করে বই কিনে
ফেলেছি। সেই টাকা এখনো শোধ করতে পারিনি। বাবা মাসখরচের যে টাকা
দেন, তা থেকেও বই কিনে ফেলি। মাসের শেষের কটা দিন কষ্ট করে চলি।’

শাহরিয়ার বই পড়তে ভালোবাসে, না সে শুধু পাঠ্য বইয়ের মাঝে নিজেকে বন্দী করে
রাখতে চায় না,শুধু নম্বর পাওয়ার জন্য পড়তে ভালো লাগে না তাঁর বরং জ্ঞান
অর্জনের জন্য বই পড়েই অধিকাংশ সময় কাটিয়ে দেয় সে।

শাহরিয়ারের বন্ধুরা তাঁকে মেধাবী বলেই মানেন। তাঁর লুঙ্গি পরাকে পাগলামো নয়,
বুদ্ধিবৃত্তিক সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসার উদাহরণ হিসেবেই দেখতে চান তাঁরা।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তানজীম উদ্দিন বলেন,
‘আমার মনে হয়েছে, স্রোতের বিপরীতে দাঁড়ানোর জন্য যে মানসিক শক্তি দরকার,
তা এই ছেলের আছে। এ কথাও ঠিক, ব্রিটিশ শাসকেরা যদি লুঙ্গি পরতেন, আমরাও
লুঙ্গি পরতাম। এ ধরনের ব্যতিক্রমী চিন্তার মানুষ এখন কম। আমরাও এ ধরনের
চিন্তার মানুষকে দূরে ঠেলে দিই। থাকুক না কিছু ব্যতিক্রম।’

সব থেকে ভাল লেগেছে শাহরিয়ার যে শুধু ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গীকে ধরে রেখেছে তাই নয়
বরং সে অন্যের অধীনে চাকুরী করবার থেকে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজে খামার করবার
স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন দেখে দেশি ঐতিহ্য, দেশী ধানের জাতগুলো রক্ষা করবার।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

বর্ষন হোমস বলেছেন: পত্রিকায় উঠেছে ব্যাপারটা দেখেছিলাম কালকে।কথা হচ্ছে সে কি চাকুরী জীবনেও এমন করবে কিনা।

১৪ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: আশাকরি তার যেহেতু ইচ্ছা আছে আর শিকল ভাঙ্গবার সাহস আছে সুতরাং সে পারবে।

২| ১৩ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

খালিদ১২২ বলেছেন: হাজারো শাহারিয়ার চাই

১৪ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত।

৩| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কপি পেস্ট দিয়ে ব্লগার হওয়া যায় না...

১৪ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ভাল বলেছেন। নিউজটি প্রথম আলো থেকে সংগৃহীত। কিন্তু বিষয় হল আপনি শুধু খবর টি সংকলিত দেখেই থেমে গেলেন অথচ এর ভেতরে যা বলতে চাওয়া হচ্ছে তা থেকে শিক্ষা গ্রহন করলেন না!! হয়ত আপনি অনেক বড় ব্লগার। আপনার জ্ঞানের নাগাল পাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। তবে স্রোতের বিপরীতে কিছু দেখলে শেয়ার না করে থাকতে পারিনা। এক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমগুলোই হয় আমার প্রথম সুত্র। আপনি হয়ত নিজ থেকেই সংবাদ তৈরি করতে পারেন যা আমার মত ক্ষুদ্র একজন সংবাদ পাঠকের পক্ষে সম্ভব নয়। আশাকরি ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে বড় মনের পরিচয় দিবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.