নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি ভাবছে আমাদের এই প্রজন্মের তরুনেরা?

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

দেশের তরুণদের ভাবনা জানতে প্রথম আলোর উদ্যোগে ওআরজি-কোয়েস্ট সারা দেশে জরিপ করেছে। যেখানে উঠে এসেছে আমাদের আজকের তরুণদের মতামত, চিন্তাধারা, অভিবাক্তি। তরুন সমাজের একজন সদস্য হিসেবে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।
তবে আশংকাজনক বিষয় হল তরুনদের ভাবনার মধ্যে বারবারই হতাশা ফুটে এসেছে। এই হতাশা পারিবারিক, সামাজিক, নিরাপত্তাসহ পাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে।

পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে তরুণেরা, দূরত্ব বাড়ছে বাবা-মায়ের সঙ্গে। এই মতামত বড়দের না, তরুণদেরই। পারিবারিক বন্ধন দিন দিন দুর্বল হওয়ার বিষয়ে একমত ৮৫ দশমিক ৩ শতাংশ তরুণ। তারা যেমন পরিবার ও বাবা-মায়ের সঙ্গে দূরত্ব নিয়ে চিন্তিত, তেমনি ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়েও রয়েছে দুশ্চিন্তা। আবার জীবনের লক্ষ্য খুঁজে পেতে তরুণেরা বাবা-মা বা পরিবার থেকেও যে খুব বেশি সহায়তা পাচ্ছে, তাও না। বাস্তব জীবনে তরুণদের বড় অংশই জানে না তাদের জীবনের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য কী।
এই যে পারিবারিক বন্ধন আলগা হয়ে যাচ্ছে, বাড়ছে বাবা-মায়ের সঙ্গে দূরত্ব—কেন হচ্ছে? বাবা-মা দুজনে কাজ করেন বলেই এমনটা হচ্ছে? ঠিক এই প্রশ্নটাই ছিল তরুণদের জন্য। বলা যায়, তরুণদের প্রায় সবাই এমনটাই মনে করে। জরিপে অংশ নেওয়া ৮৯ দশমিক ১ শতাংশ তরুণই এমনটা মনে করে। মায়েদের আয় বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য দিলেও সন্তানেরা আবার এ কারণে দূরত্ববোধও করে। জরিপ বিশ্লেষণে এমনটাই দেখা যাচ্ছে।
সেই আদিকাল থেকেই দেখা যেত বাবারা পরিবারের জন্য আর্থিক ও নিরাপত্তা বিষয়ে অবদান রাখেন আর মায়েরা সামাজিক অর্থাৎ সন্তানকে বড় করে তোলা থেকে শুরু করে পারিবারিক বন্ধন সেবা, শুশ্রূষা দিয়ে পরিবারের সকলকে এক নিবিড় মারায় বন্ধনে আবদ্ধ রাখতে মায়েদের বিকল্প নেই। এখন পর্যন্ত তরুণদের সব থেকে ভরসার স্থল কিন্তু এই মা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭১ দশমিক ৯ শতাংশ তরুণ বলেছে তারা জীবনের বিভিন্ন বিষয় বা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা তারা মাকেই বলে, মায়ের সঙ্গেই তারা সবকিছু ভাগাভাগি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
তরুণের মধ্যে মানুষের আত্মকেন্দ্রিক হওয়া নিয়ে তেমন কোনো সংশয় নেই। ৯৬ দশমিক ৬ শতাংশ তরুণ কমবেশি একমত মানুষ ক্রমাগতভাবে আত্মকেন্দ্রিক বা স্বার্থপর হয়ে পড়ছে। সামাজিক নীতিনৈতিকতার যে অবক্ষয় হচ্ছে, এ নিয়েও একমত ৯৫ দশমিক ১ শতাংশ তরুণ। দিন দিন দুর্নীতি যে বাড়ছে, এ নিয়ে একমত ৯৩ শতাংশ তরুণ। তরুণদের উদ্বেগ আছে ব্যক্তিগত বা নিজের নিরাপত্তা নিয়েও। ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ তরুণ নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।
তরুণরা এখন পেশাজীবনে চরম অনিরাপদ একটা অবস্থানে চলে গেছে। যার জন্য তারা দায় দিচ্ছে বেকারত্বকে। দিন দিন বেকারত্ব বাড়াছে মনে করে ৯২ দশমিক ৯ শতাংশ তরুণ। তরুণদের মতে জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে না পারার মুল কারন হল কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাব। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে চাকুরি পাবার নিশ্চয়তা নিয়ে রয়েছে ব্যাপক সংশয়। বিষয় ভিত্তিক নিয়োগের নিশ্চয়তার অভাবে মুলত তরুণেরা তাদের কর্ম জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে বিফল হচ্ছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.